dreamliferupatolibarisal

বরিশাল

বাবুগঞ্জে বেপরোয়া জুয়াড়িরাঃ গ্রামবাসীর বিক্ষোভ মানববন্ধন

আরিফ আহমেদ মুন্না

আরিফ আহমেদ মুন্না

১৭ জুন, ২০২৫ ০২:৪৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাবুগঞ্জে বেপরোয়া জুয়াড়িরাঃ গ্রামবাসীর বিক্ষোভ মানববন্ধন

বাবুগঞ্জে জুয়াড়িদের হামলা ও হুমকি-ধামকির প্রতিবাদে কেদারপুর গ্রামবাসীর মানববন্ধন।

বরিশালের বাবুগঞ্জে কথিত বৈশাখী আনন্দ মেলার নামে জুয়া, মাদক ও অশ্লীল নৃত্যের প্যান্ডেলে শুক্রবার রাতে জনতার ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনার জের ধরে এবার পাল্টা হামলা চালিয়ে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে মারপিট করেছে জুয়াড়িরা। এছাড়াও অসামাজিক কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী এলাকার সুশীল সমাজের মানুষদের ক্রমাগত খুন-জখম আর গ্রামছাড়া করার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এমন অভিযোগে জুয়াড়িদের এসব ঔদ্ধত্য আস্ফালনের প্রতিবাদে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সর্বস্তরের এলাকাবাসী। রোববার রাতে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূতেরদিয়া খেয়াঘাটে সহস্রাধিক গ্রামবাসী ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এসময় মানববন্ধন কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাবুগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল আলমও।

ক্ষুদ্রকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ আহমেদের সভাপতিত্বে রোববার রাত সাড়ে ৭টা থেকে প্রায় ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, শিক্ষক সমিতির নেতা নুরুজ্জামান পুলু, আবদুর রশিদ মাস্টার, ইমাম মাওলানা এনায়েতুর রহমান, মাওলানা আক্কাস আলী, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রমুখ।

বিক্ষোভ কর্মসূচির সভাপতি ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা মাসুদ আহমেদ বলেন, 'গত ১৪ এপ্রিল থেকে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের খেয়াঘাট সংলগ্ন বোয়ালিয়া এলাকায় কথিত বৈশাখী আনন্দ মেলার নামে রাতভর জুয়া, মাদক আর অশ্লীল নাচগানের অনুষ্ঠান চালাতে থাকে একটি চিহ্নিত জুয়াড়ি সিন্ডিকেট। জেলা প্রশাসন ১৪ মে পর্যন্ত একমাসের বৈশাখী মেলার অনুমোদন দিলেও তারা মেলার পরিবর্তে দুই মাস ধরে সেখানে বিভিন্ন সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। এর প্রতিবাদে স্থানীয় গ্রামবাসী গত ২৮ এপ্রিল কেদারপুর খেয়াঘাটে মানববন্ধন এবং বরিশাল জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিলেও বন্ধ হয়নি জুয়াড়িদের অসামাজিক কার্যকলাপ। বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহমেদ দুই দফায় অভিযান চালিয়ে তাদের জুয়া এবং অশ্লীল নাচগানের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরের দিনেই আবার তা চালু করে তারা। এসএসসি পরীক্ষার মধ্যেও সারারাত মাইক বাজিয়ে জুয়াড়িদের এসব নাচগান, জুয়া আর মাদক কেনাবেচার উৎসবে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে গত ১৩ জুন রাতে কেদারপুরে জনবিস্ফোরণ ঘটে। বিক্ষুব্ধ শতশত গ্রামবাসী রাস্তায় নেমে এসে তাদের প্যান্ডেল ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে।'

মানববন্ধন সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, 'কেদারপুরের পরিবেশ সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিয়েছিল এই কথিত বৈশাখী আনন্দ মেলা। নিরুপায় হয়ে এসব সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্যান্ডেল উচ্ছেদ করেছে গ্রামবাসী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ, সাবেক ইউপি মেম্বার আবদুল আলীম ওরফে আবদুল জুয়াড়ি, বিএনপি নেতা নূর বেল্লাল ওরফে ভুলু জুয়াড়ি এবং শ্রমিকদল নেতা অপু এখন সবাইকে খুন-জখমের হুমকি দিচ্ছে। যারা তাদের অন্যায়-অপকর্মের প্রতিবাদ করেছে তাদের ডেকে নিয়ে চড়-থাপ্পড় দিচ্ছে এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা শনিবার রাতে স্থানীয় ব্যবসায়ী লুৎফর রহমানকে ধরে নিয়ে মারপিট করেছে। বিএনপির ছাত্রছায়ায় জুয়াড়ি সিন্ডিকেট এখন বেপরোয়া। মৌন সম্মতি আছে বলেই জামায়াত ইসলামী নীরব দর্শকের ভূমিকায়। অথচ জামায়াতের বরিশাল মহানগরের আমীরের বাড়ি এই কেদারপুর ইউনিয়নে। তার ইউনিয়নেই দুই মাস ধরে চলছিল জুয়া, অশ্লীলতা আর বেশ্যাবৃত্তি। জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় উচ্ছেদ হয়েছে জুয়াড়িরা। অথচ উল্টা জুয়াড়িরা এখন হয়রানি করছে এলাকাবাসীকে। তাই এসবের প্রতিবাদে গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ রোববার রাতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।'

জুয়াড়িদের হামলায় আহত স্থানীয় ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান বলেন, 'এলাকায় বৈশাখী আনন্দ মেলা শুরু হয়েছে শুনে মেলা দেখতে যাই। কিন্তু গিয়ে দেখি সেখানে মেলার কিছুই নাই। পুরাটাই জুয়া, মাদক, অশ্লীল অর্ধ-উলঙ্গ নর্তকীদের নাচগানের রাতভর অনুষ্ঠান আর দেহব্যবসা। সেজন্য আমি সমাজ নষ্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এলাকাবাসীর সাথে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করি। শুক্রবার রাতে গ্রামবাসী জুয়ার প্যান্ডেল উচ্ছেদের ঘটনায় দায়ী করে শনিবার রাতে মেলা কমিটির নির্দেশে আমাকে মারপিট করে জুয়াড়িরা। যারা বিরোধিতা করেছে তাদের সবাইকে গ্রামছাড়া করারও হুমকি দেয় জুয়াড়িরা। তারা একজন একজন ধরবে আর কোপাবে বলেও আমাকে ভয়ভীতি দেখায়।'

বাবুগঞ্জ থানার (ওসি) জহিরুল আলম বলেন, 'জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের। কেদারপুরে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেটা অবশ্যই দুঃখজনক। জুয়া, মাদক, অশ্লীলতাসহ সকল ধরনের সমাজবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ সর্বদা জনগণের পাশে থাকবে। কেউ সমাজ নষ্ট করতে চাইলে, পরিবেশ নষ্ট করতে চাইলে, শান্তিপ্রিয় মানুষকে হুমকি, ভয়ভীতি দেখালে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।' #

বরিশালে ডেঙ্গু আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৪১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে ডেঙ্গু আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।

এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।

মেঘনায় অভিযানে আটক ১১ জেলের জেল-জরিমানা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

মেঘনায় অভিযানে আটক ১১ জেলের জেল-জরিমানা

বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।

এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বরিশালের সেই ৩৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার কাজ শুরু

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:২২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালের সেই ৩৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার কাজ শুরু

বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।

সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।

জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।

একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.