০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ০০:২৪
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ ৩ দফা দাবি পূরণে উপাচার্যের লিখিত আশ্বাসে আমরণ অনশন ভেঙেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। টানা আন্দোলনের ৩৮ তম দিন শুক্রবার রাত ৯টায় উপাচার্য নিজ হাতে জুস খাইয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান। এর আগে শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি আদায়ের বিষয়ে লিখিত আশ্বাস দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম।
বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন -১ এর নিচ তলায় আমরণ অনশনে বসেছিল সাত শিক্ষার্থী। অনশন শুরুর কিছুক্ষণ পরে উপাচার্য কর্মসূচি স্থলে এসে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে শিক্ষার্থীরা রাজি না হওয়ায় উপাচার্য নিজেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে শুয়ে রাত কাটান।
লিখিত আশ্বাসে ববি উপাচার্য বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগের পর থেকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডিজ এর কাজ সম্পন্ন করবো। মঙ্গলবারের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রুটে বাসের সিট সংকট নির্ধারণ করে উক্ত রুটে বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। আরেকটি এম্বুলেন্স ক্রয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে বিশেষ বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য রোববার আবেদনপত্র দাখিল করা হবে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ববির আয়তন বৃদ্ধিতে জমির পূনঃঅ্যাসেসমেন্ট সম্পন্ন করা হবে।
অনশন ভাঙানোর সময় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে আমার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। দাবি পূরণ করতে না পারলে আমি বিদায় নিব। এসময় তার ওপর আস্থা রাখতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান তিনি।
অনশনরত শিক্ষার্থী শওকত ওসমান স্বাক্ষর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাদের দাবি গুলো পু্রণের লিখিত আশ্বাস দেওয়াই নিদিষ্ট একটি সময়ের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছি। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ফের মাঠে নামতে বাধ্য হব।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ ৩ দফা দাবি পূরণে উপাচার্যের লিখিত আশ্বাসে আমরণ অনশন ভেঙেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। টানা আন্দোলনের ৩৮ তম দিন শুক্রবার রাত ৯টায় উপাচার্য নিজ হাতে জুস খাইয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান। এর আগে শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি আদায়ের বিষয়ে লিখিত আশ্বাস দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম।
বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন -১ এর নিচ তলায় আমরণ অনশনে বসেছিল সাত শিক্ষার্থী। অনশন শুরুর কিছুক্ষণ পরে উপাচার্য কর্মসূচি স্থলে এসে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে শিক্ষার্থীরা রাজি না হওয়ায় উপাচার্য নিজেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে শুয়ে রাত কাটান।
লিখিত আশ্বাসে ববি উপাচার্য বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগের পর থেকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডিজ এর কাজ সম্পন্ন করবো। মঙ্গলবারের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রুটে বাসের সিট সংকট নির্ধারণ করে উক্ত রুটে বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। আরেকটি এম্বুলেন্স ক্রয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে বিশেষ বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য রোববার আবেদনপত্র দাখিল করা হবে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ববির আয়তন বৃদ্ধিতে জমির পূনঃঅ্যাসেসমেন্ট সম্পন্ন করা হবে।
অনশন ভাঙানোর সময় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে আমার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। দাবি পূরণ করতে না পারলে আমি বিদায় নিব। এসময় তার ওপর আস্থা রাখতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান তিনি।
অনশনরত শিক্ষার্থী শওকত ওসমান স্বাক্ষর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাদের দাবি গুলো পু্রণের লিখিত আশ্বাস দেওয়াই নিদিষ্ট একটি সময়ের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছি। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ফের মাঠে নামতে বাধ্য হব।’
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ০১:১২
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:৩৭
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:২৩
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:১৫
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:৩৭
তিন শিক্ষককে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে আজীবনের জন্য বিরত রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কলেজের একাডেমিক ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করেছিলাম। গত ৬ মে আমাদের আন্দোলনে বহিরাগতদের এনে হামলা চালানো হয়।
আমরা হামলাকারী ও তাদের মদদদাতা অত্র কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু ঘটনার দীর্ঘ চারমাস হয়ে গেলেওকার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। শিক্ষক আলী আজগর, সাইদ হোসাইন রনি ও ফরিদা বেগম এখনো স্বপদে বহাল আছেন।
তারা বলেন, বর্তমানে আমরা বরিশাল নার্সিং কলেজ, বরিশালের সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে আজীবনের জন্য বিরত রাখার দাবি জানিয়েছি।
অভিযুক্ত শিক্ষকদের ক্লাস রুটিন থেকে অপসারণ ব্যতীত আরও বেশ কিছু দাবির কথা শিক্ষার্থীরা তুলে ধরেছেন। সেগুলো হলো- হোস্টেলের মেইন গেটে সার্বক্ষণিক বাধ্যতামূলক একজন দারোয়ান রাখা এবং রেজিস্টার খাতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যাওয়া-আসা নিয়ন্ত্রণ করা। উল্লেখ্য যে, রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত পকেটগেট খোলা রাখা।
শিক্ষার্থীদের অবিভাবকদের জন্য ওয়েটিং রুমের ব্যবস্থা করা; কলেজের ৭টি ইয়ারের জন্য ন্যূনতম ১৪টি রেফ্রিজারেটরের ব্যবস্থা করা; হোস্টেলের বৈদ্যুতিক লাইনসহ যাবতীয় বৈদ্যুতিক ত্রুটি অতিসত্বর মেরামত করা এবং এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের থেকে কোনো প্রকার চাঁদা আদায় না করা; উভয় হোস্টেলের প্রতি রুমের দরজা, জানালা, লাইট, ফ্যানসহ সকল নষ্ট জিনিসপত্র অনতিবিলম্বে ঠিক করা; বেসরকারি বাবুর্চিদের বেতন এবং মেসের প্রতি মাসের গ্যাসের বিল কলেজ কর্তৃপক্ষের বহন করা; হোস্টেলে অতিসত্বর ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করা; প্রতি মাসে হোস্টেলের প্রত্যেকটি পানির ট্যাংকি পরিষ্কার করা এবং বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য ফিল্টারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের সকল দাবি কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়া বিনাশর্তে অতিদ্রুত মেনে নিতে হবে, নয়তো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
তিন শিক্ষককে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে আজীবনের জন্য বিরত রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কলেজের একাডেমিক ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করেছিলাম। গত ৬ মে আমাদের আন্দোলনে বহিরাগতদের এনে হামলা চালানো হয়।
আমরা হামলাকারী ও তাদের মদদদাতা অত্র কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু ঘটনার দীর্ঘ চারমাস হয়ে গেলেওকার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। শিক্ষক আলী আজগর, সাইদ হোসাইন রনি ও ফরিদা বেগম এখনো স্বপদে বহাল আছেন।
তারা বলেন, বর্তমানে আমরা বরিশাল নার্সিং কলেজ, বরিশালের সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে আজীবনের জন্য বিরত রাখার দাবি জানিয়েছি।
অভিযুক্ত শিক্ষকদের ক্লাস রুটিন থেকে অপসারণ ব্যতীত আরও বেশ কিছু দাবির কথা শিক্ষার্থীরা তুলে ধরেছেন। সেগুলো হলো- হোস্টেলের মেইন গেটে সার্বক্ষণিক বাধ্যতামূলক একজন দারোয়ান রাখা এবং রেজিস্টার খাতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যাওয়া-আসা নিয়ন্ত্রণ করা। উল্লেখ্য যে, রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত পকেটগেট খোলা রাখা।
শিক্ষার্থীদের অবিভাবকদের জন্য ওয়েটিং রুমের ব্যবস্থা করা; কলেজের ৭টি ইয়ারের জন্য ন্যূনতম ১৪টি রেফ্রিজারেটরের ব্যবস্থা করা; হোস্টেলের বৈদ্যুতিক লাইনসহ যাবতীয় বৈদ্যুতিক ত্রুটি অতিসত্বর মেরামত করা এবং এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের থেকে কোনো প্রকার চাঁদা আদায় না করা; উভয় হোস্টেলের প্রতি রুমের দরজা, জানালা, লাইট, ফ্যানসহ সকল নষ্ট জিনিসপত্র অনতিবিলম্বে ঠিক করা; বেসরকারি বাবুর্চিদের বেতন এবং মেসের প্রতি মাসের গ্যাসের বিল কলেজ কর্তৃপক্ষের বহন করা; হোস্টেলে অতিসত্বর ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করা; প্রতি মাসে হোস্টেলের প্রত্যেকটি পানির ট্যাংকি পরিষ্কার করা এবং বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য ফিল্টারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের সকল দাবি কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়া বিনাশর্তে অতিদ্রুত মেনে নিতে হবে, নয়তো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:২৩
আন্তর্জাতিক ‘নীলাকাশের জন্য নির্মল বায়ু’ দিবস উপলক্ষ্যে বরিশালে পথসভা হয়েছে। রোববার দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে এই পথসভা হয়।
একশনএইড বাংলাদেশ ও জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (জেটনেট বিডি) এর সহয়োগিতায় সদস্য সংগঠন প্রান্তজন, আভাস, আরোহি, সিল্ট ও বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ ও জনসুরক্ষা ফোরামের যৌথ আয়োজনে এই কর্মসূচি হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে এসময় বক্তৃতা দেন, বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ ও জনসুরক্ষা ফোরামের আহ্বায়ক শুভংকর চক্রবর্তী, আরোহির নির্বাহী পরিচালক এটিএম খোরশেদ আলম, প্রান্তজনের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম শাহাজাদা, বরিশাল পরিবেশ ও উন্নয়ন ফোরামের আহ্বায়ক সুভাষ দত্ত, বরিশাল পরিবেশ ও উন্নয়ন ফোরামের সদস্য আক্তারুল কবির।
বক্তারা বলেন, বায়ুদূষণ বর্তমান বিশ্বে প্রথম পাঁচটি মৃত্যুকারণের একটি। সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ বায়ুদূষণের কারণে অকাল মৃত্যুবরণ করে। যা অন্য যেকোনো পরিবেশগত দূষণে সংঘটিত মৃত্যু সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। শুধু তাই নয়, বায়ুদূষণ জনিত অসুস্থতায় মানুষের কর্মক্ষমতা বহুলাংশে হ্রাস পায় যার আর্থিক মূল্য অপরিসীম।
বক্তারা আরও বলেন, শঙ্কার বিষয় এই যে, বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব শুধু মানব স্বাস্থ্যের ওপরই সীমাবদ্ধ নয়। জীবজগত ও উদ্ভিদের ওপরেও এর প্রভাব মারাত্মক। উপরন্তু, জলবায়ু পরিবর্তনে বায়ুদূষণ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে।
বায়ুদূষণের এমন সব বহুমাত্রিক ক্ষতিকর প্রভাব থাকা সত্তেও এখন পর্যন্ত এটি নিয়ন্ত্রণে কোনো আন্তর্জাতিক সমঝোতা নেই। এমন বাস্তবতায়, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী জন-রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিকভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি বলে জানান বক্তারা।
আন্তর্জাতিক ‘নীলাকাশের জন্য নির্মল বায়ু’ দিবস উপলক্ষ্যে বরিশালে পথসভা হয়েছে। রোববার দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে এই পথসভা হয়।
একশনএইড বাংলাদেশ ও জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (জেটনেট বিডি) এর সহয়োগিতায় সদস্য সংগঠন প্রান্তজন, আভাস, আরোহি, সিল্ট ও বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ ও জনসুরক্ষা ফোরামের যৌথ আয়োজনে এই কর্মসূচি হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে এসময় বক্তৃতা দেন, বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ ও জনসুরক্ষা ফোরামের আহ্বায়ক শুভংকর চক্রবর্তী, আরোহির নির্বাহী পরিচালক এটিএম খোরশেদ আলম, প্রান্তজনের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম শাহাজাদা, বরিশাল পরিবেশ ও উন্নয়ন ফোরামের আহ্বায়ক সুভাষ দত্ত, বরিশাল পরিবেশ ও উন্নয়ন ফোরামের সদস্য আক্তারুল কবির।
বক্তারা বলেন, বায়ুদূষণ বর্তমান বিশ্বে প্রথম পাঁচটি মৃত্যুকারণের একটি। সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ বায়ুদূষণের কারণে অকাল মৃত্যুবরণ করে। যা অন্য যেকোনো পরিবেশগত দূষণে সংঘটিত মৃত্যু সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। শুধু তাই নয়, বায়ুদূষণ জনিত অসুস্থতায় মানুষের কর্মক্ষমতা বহুলাংশে হ্রাস পায় যার আর্থিক মূল্য অপরিসীম।
বক্তারা আরও বলেন, শঙ্কার বিষয় এই যে, বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব শুধু মানব স্বাস্থ্যের ওপরই সীমাবদ্ধ নয়। জীবজগত ও উদ্ভিদের ওপরেও এর প্রভাব মারাত্মক। উপরন্তু, জলবায়ু পরিবর্তনে বায়ুদূষণ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে।
বায়ুদূষণের এমন সব বহুমাত্রিক ক্ষতিকর প্রভাব থাকা সত্তেও এখন পর্যন্ত এটি নিয়ন্ত্রণে কোনো আন্তর্জাতিক সমঝোতা নেই। এমন বাস্তবতায়, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী জন-রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিকভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি বলে জানান বক্তারা।
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৪১
বরিশালের মুলাদী উপজেলায় আঙুল দিয়ে খুঁচিয়ে সেজ ভাইয়ের দুই চোখ উপড়ে ফেলার মামলায় গ্রেপ্তার তাঁর ছোট ভাই স্বপন ব্যাপারীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ফজলুর রহমান পুলিশের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট স্বপন ব্যাপারীকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি উজিরপুর মশাং গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে মুলাদী থানার পুলিশ। স্বপন ব্যাপারী মুলাদীর নাজিরপুর ইউনিয়নের সাহেবেরচর গ্রামের আরশেদ ব্যাপারীর ছেলে। তিনি ও তাঁর মেজ ভাই রোকন ব্যাপারী লোকজন নিয়ে সেজ ভাই রিপন ব্যাপারীর দুই চোখ তুলে নেন। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রিপন ব্যাপারী অবৈধপথে উপার্জিত টাকা ও স্বর্ণালংকার তাঁর মেজ ভাই রোকন ব্যাপারীর কাছে গচ্ছিত রাখেন। ওই টাকা ও স্বর্ণালংকার এবং বাবার জায়গাজমির ভাগ চাইলে তাঁদের মধ্যে বিরোধ বাধে।
এর জের ধরে ২২ আগস্ট রাত ১১টার দিকে আরশেদ আলী ব্যাপারীর নির্দেশে তাঁর অপর ছেলে রোকন ব্যাপারী, স্বপন ব্যাপারী ও তাঁদের লোকজন সেজ ছেলে রিপন ব্যাপারীর দুই চোখ তুলে নেন।
ওই ঘটনায় রিপন ব্যাপারীর স্ত্রী নূরজাহান বেগম বাদী হয়ে স্বপন ব্যাপারী, রোকন ব্যাপারী, আরশেদ আলী ব্যাপারীসহ আটজনকে আসামি করে বরিশাল আদালতে মামলা করেন। ২৭ আগস্ট বিকেলে মামলার কপি মুলাদী থানায় পৌঁছালে ওই দিনই তা নথিভুক্ত হয়। ২৮ আগস্ট ভোর রাতে স্বপন ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ২৮ আগস্ট পুলিশ স্বপন ব্যাপারীকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আজ সকালে শুনানি শেষে আদালত তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
বরিশালের মুলাদী উপজেলায় আঙুল দিয়ে খুঁচিয়ে সেজ ভাইয়ের দুই চোখ উপড়ে ফেলার মামলায় গ্রেপ্তার তাঁর ছোট ভাই স্বপন ব্যাপারীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ফজলুর রহমান পুলিশের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট স্বপন ব্যাপারীকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি উজিরপুর মশাং গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে মুলাদী থানার পুলিশ। স্বপন ব্যাপারী মুলাদীর নাজিরপুর ইউনিয়নের সাহেবেরচর গ্রামের আরশেদ ব্যাপারীর ছেলে। তিনি ও তাঁর মেজ ভাই রোকন ব্যাপারী লোকজন নিয়ে সেজ ভাই রিপন ব্যাপারীর দুই চোখ তুলে নেন। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রিপন ব্যাপারী অবৈধপথে উপার্জিত টাকা ও স্বর্ণালংকার তাঁর মেজ ভাই রোকন ব্যাপারীর কাছে গচ্ছিত রাখেন। ওই টাকা ও স্বর্ণালংকার এবং বাবার জায়গাজমির ভাগ চাইলে তাঁদের মধ্যে বিরোধ বাধে।
এর জের ধরে ২২ আগস্ট রাত ১১টার দিকে আরশেদ আলী ব্যাপারীর নির্দেশে তাঁর অপর ছেলে রোকন ব্যাপারী, স্বপন ব্যাপারী ও তাঁদের লোকজন সেজ ছেলে রিপন ব্যাপারীর দুই চোখ তুলে নেন।
ওই ঘটনায় রিপন ব্যাপারীর স্ত্রী নূরজাহান বেগম বাদী হয়ে স্বপন ব্যাপারী, রোকন ব্যাপারী, আরশেদ আলী ব্যাপারীসহ আটজনকে আসামি করে বরিশাল আদালতে মামলা করেন। ২৭ আগস্ট বিকেলে মামলার কপি মুলাদী থানায় পৌঁছালে ওই দিনই তা নথিভুক্ত হয়। ২৮ আগস্ট ভোর রাতে স্বপন ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ২৮ আগস্ট পুলিশ স্বপন ব্যাপারীকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আজ সকালে শুনানি শেষে আদালত তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.