
२८ জুলাই, २০२५ १९:२४
আওয়ামী শোকের মাস আগস্টে দেশবাসীকে কাঁদাতে চায় ফ্যাসিবাদীরা। অন্তর্বর্তী সরকার হটাতে তৈরি করা হচ্ছে ভয়াবহ নাশকতার ছক। বিভিন্ন দেশে পলাতক মুজিববাদী নেতাকর্মী এবং আমলা, সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের সাবেক কর্মকর্তাদের দিয়ে আঁটা হচ্ছে কূটকৌশল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দলীয় ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। ভারতে বসে এ নীলনকশা প্রস্তুত করছেন শেখ হাসিনা। জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার তৈরি করা প্রতিবেদনে মিলেছে উদ্বেগজনক এ তথ্য।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামী ৫ আগস্ট। সেদিন দেশ দখলের স্বপ্ন দেখছে আওয়ামী লীগ। অস্থিরতা তৈরি করতে ঢাকা ও দিল্লিতে চলছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। ইতোমধ্যে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় চার শতাধিক আওয়ামী ক্যাডারকে কর্মশালার নামে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গোপালগঞ্জকে সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রম ধরে সেখানে প্রস্তুত করা হচ্ছে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র। দেশের বাইরেও পুরোদমে কার্যক্রম চালাচ্ছে আওয়ামী ক্যাডাররা। ভারতের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় জড়ো হচ্ছে পলাতক ও গা-ঢাকা দেওয়া ফ্যাসিবাদীরা। আয়ত্ত করছে নাশকতার বিভিন্ন উপায় ও হামলার কৌশল।
আওয়ামী লীগ আগস্টকে আবেগের অস্ত্র বানাতে চায় জানিয়ে গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, এ মাসকে ঘিরে নেতাকর্মীদের নতুন করে শোকের আবহে সংঘবদ্ধ করতে চায় ফ্যাসিবাদী দলটি। ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আন্দোলনের নামে সরকারের বিরুদ্ধে হানতে চায় চূড়ান্ত আঘাত।
প্রতিবেদনের কিছু তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য এ পর্যন্ত গৃহীত পরিকল্পনা তেমন সাফল্যের মুখ না দেখায় চব্বিশের ৫ আগস্টের মতো পরিস্থিতি তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে সারা দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পারদর্শী ও ‘ডাই হার্ট’ আওয়ামী লীগারদের বাছাই করা হয়েছে, যারা দলের জন্য জীবনও দিতে প্রস্তুত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের ভারতে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাসিনার নির্দেশনা অনুসরণ করে সপ্তাহ দুই আগ থেকে বুকিং দেওয়া শুরু হয়েছে এয়ার টিকিট। অনেকে ইতোমধ্যে ভারতে পৌঁছেছেন। সেখানে বাছাইকৃত নেতাদের চূড়ান্ত নির্দেশনা দেওয়া হবে।
রাজধানী ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন এবং জেলার জন্য একজন করে নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নাশকতার বিষয়গুলো (আওয়ামী লীগের ভাষায় আন্দোলন) তদারক করবেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ঢাকায় নাশকতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কামাল বর্তমানে ভারতে পলাতক আছেন। তিনি ইতোমধ্যে তার বাহিনী গঠনের কাজ শেষ করেছেন এবং বাছাইকৃতদের দেশে ও দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছেন।
কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সব সহায়তা দেওয়ার জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন এসবির সাবেক প্রধান, ভারতে পলাতক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম। এছাড়া পলাতক বরখাস্ত সেনা কর্মকর্তা এসএসএফের সাবেক ডিজি ও সাবেক কিউএমজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মুজিবুর রহমান বর্তমানে দিল্লিতে আছেন। তিনিও হাসিনার সঙ্গে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর অত্যন্ত বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত জেনারেল মুজিব। ময়মনসিংহ অঞ্চলের ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে তিনি ভারতে পালান। মুজিব ছাড়াও পলাতক একাধিক জেনারেল নাশকতার পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। এসবি মনিরুল দেশবিরোধী তৎপরতা চালানোর জন্য দিল্লিতে একটি কার্যালয় নিয়েছেন। সেখানে বসে ‘র’-এর সঙ্গে পরামর্শ করে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন হাসিনা। নাশকতার সার্বিক বিষয় তত্ত্বাবধান করছেন জেনারেল মুজিব ও এসবি মনিরুল।
পাশাপাশি দেশে অবস্থান করা কয়েক সাবেক ও বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তার নিবিড় তত্ত্বাবধানে ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ চলছে। প্রশিক্ষিত কর্মীদের কাজ হবে নির্দেশনা অনুযায়ী ‘হিট অ্যান্ড রান’ পদ্ধতিতে কাজ করা। এমন পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে, যা আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। এতে নানাভাবে সহায়তা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসররা। এ বিষয়ে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বক্তব্যকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। ফাঁস হওয়া একটি অডিওবার্তায় তাকে বলতে শোনা গেছে, ১৬ বছরে অনেক অফিসার ও অধস্তন ফোর্স নিয়োগ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এরাই সময়মতো আওয়ামী লীগের পক্ষে বন্দুকের নল ঘুরিয়ে দেবে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিশ্লেষণে আরও জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় স্থাপনায় নাশকতাসহ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, কৌশলে অভ্যুত্থানপন্থি দলগুলোর কিছু কর্মীকে ভাড়া করে নিজেদের মধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর মাধ্যমে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে নির্বাচনের আগেই ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে চায় আওয়ামী লীগ। বর্তমানে পুলিশের দুর্বল অবস্থার সুযোগে বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য তাদেরই প্রথম টার্গেট করা হতে পারে, যাতে পুলিশ আন্দোলন দমনে নিষ্ক্রিয় থাকে। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আঘাত করা, যাতে দেশ ও দেশের বাইরে আলোড়ন তৈরি হয়। বাছাইকৃত কর্মীদের যোগাযোগের জন্য প্রচলিত মাধ্যম এড়িয়ে অপরিচিত আলাদা অ্যাপ চালু, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে প্রশিক্ষিত দল।
এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমন্বয়কদের প্রয়োজনে তাদের কাছে টাকা পাঠানো হচ্ছে। হুন্ডির মাধ্যমে ভারত থেকে অর্থ আসছে। এছাড়া দেশে অবস্থান করা তুলনামূলক কম বিতর্কিত নেতাদের মাধ্যমে টাকা সরবরাহ করা হচ্ছে। সুইজারল্যান্ডে অবস্থান করা সামিট গ্রুপের মালিক আজিজ খানকে বিদেশে ফান্ড ম্যানেজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কনভেনশন হল ভাড়া নিয়ে দিনব্যাপী ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এনজিওর প্রশিক্ষণের নামে চার শতাধিক নেতাকর্মীকে নাশকতার বিভিন্ন আধুনিক কৌশল শেখানো হয়। গুজব ছড়ানোর নানা উপায় সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দুজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একজনের বাড়ি গোপালগঞ্জে।
নাশকতার ছকের অংশ হিসেবে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির মতো উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতির সুযোগ কাজে লাগাতে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে আওয়ামী ক্যাডারদের। সর্বশেষ ২২ জুলাই সচিবালয়ে আক্রমণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের মধ্যে অভিষেক সিকদারসহ চারজনের অনলাইন যোগাযোগের সূত্র ধরে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিদেশে অবস্থানরত নেতাদের নির্দেশনায় ২২ জুলাই সচিবালয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাশাপাশি শাহবাগ দখল করার পরিকল্পনা ছিল আওয়ামী লীগের। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার খোরশেদ আলম গোপালগঞ্জ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। গ্রেপ্তার শাকিলও আওয়ামী পরিবারের সদস্য ও ছাত্রলীগে জড়িত।
চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম শানতু সাংবাদিকদের বলেন, দেশবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত। তাদের যে কোনো অপতৎপরতা ঠেকিয়ে দেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন, গোপালগঞ্জসহ যেখানেই অপরাধীরা থাকবে, অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় প্রস্তুত। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় সদা সজাগ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী সাংবাদিকদের বলেন, সচিবালয়ে হামলা ও মাইলস্টোনের কাছে উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভে উসকানি ও মদতদাতারা রেহাই পাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে।’
সংবাদসূত্র: দৈনিক আমার দেশ।
আওয়ামী শোকের মাস আগস্টে দেশবাসীকে কাঁদাতে চায় ফ্যাসিবাদীরা। অন্তর্বর্তী সরকার হটাতে তৈরি করা হচ্ছে ভয়াবহ নাশকতার ছক। বিভিন্ন দেশে পলাতক মুজিববাদী নেতাকর্মী এবং আমলা, সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের সাবেক কর্মকর্তাদের দিয়ে আঁটা হচ্ছে কূটকৌশল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দলীয় ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। ভারতে বসে এ নীলনকশা প্রস্তুত করছেন শেখ হাসিনা। জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার তৈরি করা প্রতিবেদনে মিলেছে উদ্বেগজনক এ তথ্য।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামী ৫ আগস্ট। সেদিন দেশ দখলের স্বপ্ন দেখছে আওয়ামী লীগ। অস্থিরতা তৈরি করতে ঢাকা ও দিল্লিতে চলছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। ইতোমধ্যে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় চার শতাধিক আওয়ামী ক্যাডারকে কর্মশালার নামে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গোপালগঞ্জকে সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রম ধরে সেখানে প্রস্তুত করা হচ্ছে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র। দেশের বাইরেও পুরোদমে কার্যক্রম চালাচ্ছে আওয়ামী ক্যাডাররা। ভারতের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় জড়ো হচ্ছে পলাতক ও গা-ঢাকা দেওয়া ফ্যাসিবাদীরা। আয়ত্ত করছে নাশকতার বিভিন্ন উপায় ও হামলার কৌশল।
আওয়ামী লীগ আগস্টকে আবেগের অস্ত্র বানাতে চায় জানিয়ে গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, এ মাসকে ঘিরে নেতাকর্মীদের নতুন করে শোকের আবহে সংঘবদ্ধ করতে চায় ফ্যাসিবাদী দলটি। ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আন্দোলনের নামে সরকারের বিরুদ্ধে হানতে চায় চূড়ান্ত আঘাত।
প্রতিবেদনের কিছু তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য এ পর্যন্ত গৃহীত পরিকল্পনা তেমন সাফল্যের মুখ না দেখায় চব্বিশের ৫ আগস্টের মতো পরিস্থিতি তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে সারা দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পারদর্শী ও ‘ডাই হার্ট’ আওয়ামী লীগারদের বাছাই করা হয়েছে, যারা দলের জন্য জীবনও দিতে প্রস্তুত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের ভারতে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাসিনার নির্দেশনা অনুসরণ করে সপ্তাহ দুই আগ থেকে বুকিং দেওয়া শুরু হয়েছে এয়ার টিকিট। অনেকে ইতোমধ্যে ভারতে পৌঁছেছেন। সেখানে বাছাইকৃত নেতাদের চূড়ান্ত নির্দেশনা দেওয়া হবে।
রাজধানী ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন এবং জেলার জন্য একজন করে নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নাশকতার বিষয়গুলো (আওয়ামী লীগের ভাষায় আন্দোলন) তদারক করবেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ঢাকায় নাশকতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কামাল বর্তমানে ভারতে পলাতক আছেন। তিনি ইতোমধ্যে তার বাহিনী গঠনের কাজ শেষ করেছেন এবং বাছাইকৃতদের দেশে ও দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছেন।
কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সব সহায়তা দেওয়ার জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন এসবির সাবেক প্রধান, ভারতে পলাতক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম। এছাড়া পলাতক বরখাস্ত সেনা কর্মকর্তা এসএসএফের সাবেক ডিজি ও সাবেক কিউএমজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মুজিবুর রহমান বর্তমানে দিল্লিতে আছেন। তিনিও হাসিনার সঙ্গে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর অত্যন্ত বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত জেনারেল মুজিব। ময়মনসিংহ অঞ্চলের ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে তিনি ভারতে পালান। মুজিব ছাড়াও পলাতক একাধিক জেনারেল নাশকতার পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। এসবি মনিরুল দেশবিরোধী তৎপরতা চালানোর জন্য দিল্লিতে একটি কার্যালয় নিয়েছেন। সেখানে বসে ‘র’-এর সঙ্গে পরামর্শ করে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন হাসিনা। নাশকতার সার্বিক বিষয় তত্ত্বাবধান করছেন জেনারেল মুজিব ও এসবি মনিরুল।
পাশাপাশি দেশে অবস্থান করা কয়েক সাবেক ও বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তার নিবিড় তত্ত্বাবধানে ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ চলছে। প্রশিক্ষিত কর্মীদের কাজ হবে নির্দেশনা অনুযায়ী ‘হিট অ্যান্ড রান’ পদ্ধতিতে কাজ করা। এমন পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে, যা আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। এতে নানাভাবে সহায়তা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসররা। এ বিষয়ে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বক্তব্যকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। ফাঁস হওয়া একটি অডিওবার্তায় তাকে বলতে শোনা গেছে, ১৬ বছরে অনেক অফিসার ও অধস্তন ফোর্স নিয়োগ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এরাই সময়মতো আওয়ামী লীগের পক্ষে বন্দুকের নল ঘুরিয়ে দেবে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিশ্লেষণে আরও জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় স্থাপনায় নাশকতাসহ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, কৌশলে অভ্যুত্থানপন্থি দলগুলোর কিছু কর্মীকে ভাড়া করে নিজেদের মধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর মাধ্যমে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে নির্বাচনের আগেই ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে চায় আওয়ামী লীগ। বর্তমানে পুলিশের দুর্বল অবস্থার সুযোগে বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য তাদেরই প্রথম টার্গেট করা হতে পারে, যাতে পুলিশ আন্দোলন দমনে নিষ্ক্রিয় থাকে। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আঘাত করা, যাতে দেশ ও দেশের বাইরে আলোড়ন তৈরি হয়। বাছাইকৃত কর্মীদের যোগাযোগের জন্য প্রচলিত মাধ্যম এড়িয়ে অপরিচিত আলাদা অ্যাপ চালু, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে প্রশিক্ষিত দল।
এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমন্বয়কদের প্রয়োজনে তাদের কাছে টাকা পাঠানো হচ্ছে। হুন্ডির মাধ্যমে ভারত থেকে অর্থ আসছে। এছাড়া দেশে অবস্থান করা তুলনামূলক কম বিতর্কিত নেতাদের মাধ্যমে টাকা সরবরাহ করা হচ্ছে। সুইজারল্যান্ডে অবস্থান করা সামিট গ্রুপের মালিক আজিজ খানকে বিদেশে ফান্ড ম্যানেজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কনভেনশন হল ভাড়া নিয়ে দিনব্যাপী ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এনজিওর প্রশিক্ষণের নামে চার শতাধিক নেতাকর্মীকে নাশকতার বিভিন্ন আধুনিক কৌশল শেখানো হয়। গুজব ছড়ানোর নানা উপায় সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দুজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একজনের বাড়ি গোপালগঞ্জে।
নাশকতার ছকের অংশ হিসেবে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির মতো উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতির সুযোগ কাজে লাগাতে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে আওয়ামী ক্যাডারদের। সর্বশেষ ২২ জুলাই সচিবালয়ে আক্রমণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের মধ্যে অভিষেক সিকদারসহ চারজনের অনলাইন যোগাযোগের সূত্র ধরে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিদেশে অবস্থানরত নেতাদের নির্দেশনায় ২২ জুলাই সচিবালয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাশাপাশি শাহবাগ দখল করার পরিকল্পনা ছিল আওয়ামী লীগের। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার খোরশেদ আলম গোপালগঞ্জ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। গ্রেপ্তার শাকিলও আওয়ামী পরিবারের সদস্য ও ছাত্রলীগে জড়িত।
চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম শানতু সাংবাদিকদের বলেন, দেশবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত। তাদের যে কোনো অপতৎপরতা ঠেকিয়ে দেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন, গোপালগঞ্জসহ যেখানেই অপরাধীরা থাকবে, অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় প্রস্তুত। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় সদা সজাগ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী সাংবাদিকদের বলেন, সচিবালয়ে হামলা ও মাইলস্টোনের কাছে উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভে উসকানি ও মদতদাতারা রেহাই পাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে।’
সংবাদসূত্র: দৈনিক আমার দেশ।

१३ ডিসেম্বর, २০२५ १२:০९
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, 'বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৭ বছরে আমাদের নেতাকর্মীরা মামলা খেয়ে জঙ্গলে ঘুমিয়েছে, ধানক্ষেতে ঘুমিয়েছে। অনেক অত্যাচার জুলুম সহ্য করেছে। কিন্তু ক্ষমতায় গেলে আমরা কারো উপরে প্রতিশোধ নেব না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন। তিনি উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। আমরা সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে একসাথে কাজ করতে চাই।' শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বরিশালের বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মোনাজাত পূর্ব এক বিশাল জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ৪ ডিসেম্বর বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন লাভ করেন তিনি। মনোনয়ন লাভের পরে বাবুগঞ্জে এটাই তার প্রথম সফর ছিল। এসময় অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন আরো বলেন, 'বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তরুণ-যুবকদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করা হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। বেকারত্বের অভিশাপ থাকবে না। প্রত্যেক পরিবারের জন্য ফ্যামিলি কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও দেশের আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন করা হবে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা হবে।'
বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সুলতান আহমেদ খানের সভাপতিত্বে ওই দোয়ানুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী রবী, বরিশাল জেলা দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচ.এম তসলিম উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম প্রিন্স।
এসময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আবদুল করিম হাওলাদার, সামসুল আলম ফকির, নজরুল ইসলাম বাদশা, আরিফুর রহমান শিমুল সিকদার, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল মালেক সিকদার, মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অহিদুল ইসলাম খান, দেহেরগতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফারুক, রহমতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাজন সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন উদ্দিন শামীম, বাবুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রকিবুল হাসান খান রাকিব, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রাফিল, সদস্য সচিব ওবায়দুল হক, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আজিজুল হক, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আতিকুর রহমান আল-আমিন, সদস্য সচিব ইয়াসির আরাফাত মৃধা প্রমুখ নেতারা ছাড়াও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। #
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, 'বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৭ বছরে আমাদের নেতাকর্মীরা মামলা খেয়ে জঙ্গলে ঘুমিয়েছে, ধানক্ষেতে ঘুমিয়েছে। অনেক অত্যাচার জুলুম সহ্য করেছে। কিন্তু ক্ষমতায় গেলে আমরা কারো উপরে প্রতিশোধ নেব না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন। তিনি উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। আমরা সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে একসাথে কাজ করতে চাই।' শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বরিশালের বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মোনাজাত পূর্ব এক বিশাল জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ৪ ডিসেম্বর বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন লাভ করেন তিনি। মনোনয়ন লাভের পরে বাবুগঞ্জে এটাই তার প্রথম সফর ছিল। এসময় অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন আরো বলেন, 'বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তরুণ-যুবকদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করা হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। বেকারত্বের অভিশাপ থাকবে না। প্রত্যেক পরিবারের জন্য ফ্যামিলি কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও দেশের আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন করা হবে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা হবে।'
বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সুলতান আহমেদ খানের সভাপতিত্বে ওই দোয়ানুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী রবী, বরিশাল জেলা দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচ.এম তসলিম উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম প্রিন্স।
এসময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আবদুল করিম হাওলাদার, সামসুল আলম ফকির, নজরুল ইসলাম বাদশা, আরিফুর রহমান শিমুল সিকদার, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল মালেক সিকদার, মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অহিদুল ইসলাম খান, দেহেরগতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফারুক, রহমতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাজন সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন উদ্দিন শামীম, বাবুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রকিবুল হাসান খান রাকিব, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রাফিল, সদস্য সচিব ওবায়দুল হক, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আজিজুল হক, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আতিকুর রহমান আল-আমিন, সদস্য সচিব ইয়াসির আরাফাত মৃধা প্রমুখ নেতারা ছাড়াও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। #

१२ ডিসেম্বর, २০२५ १९:१६
পুলিশের সিসিটিভি ফুটেজ ও হাদির জনসংযোগ টিমের ছবি বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বাইক থেকে গুলি ছোড়া দুই ব্যক্তি মতিঝিল ওয়াপদা মাদ্রাসা এলাকায় ওসমান হাদির জনসংযোগে মাস্ক পরা অবস্থায় অংশ নিয়েছিল। দ্য ডিসেন্ট তাদের অনুসন্ধানে এ তথ্য জানিয়েছে ।
দ্য ডিসেন্টের অনুসন্ধান বলছে, গুলিকারী দুইজনের মধ্যে একজনের গায়ে কালো পাঞ্জাবি, কালো মাস্ক, গলায় চাদর এবং পরণে আকাশি রঙের প্যান্ট ছিল। অন্যজনের গায়ে কালো ব্লেজার, কালো মাস্ক, চোখে চশমা, পায়ে চামড়া রঙের জুতা ছিল। জনসংযোগে অংশ নেয়া ওই দুই ব্যক্তির পোশাক হামলাকারী দুই বাইক আরোহীর পোশাকের সাথে হুবহু মিলে গেছে।
গুলিকারীদের চিহ্নিত করতে আজকের হাদির জনসংযোগের আরও ছবি ও ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। নতুন আপডেট পেলেই তাদের পেইজে জানাবে দ্য ডিসেন্ট।
পুলিশের সিসিটিভি ফুটেজ ও হাদির জনসংযোগ টিমের ছবি বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বাইক থেকে গুলি ছোড়া দুই ব্যক্তি মতিঝিল ওয়াপদা মাদ্রাসা এলাকায় ওসমান হাদির জনসংযোগে মাস্ক পরা অবস্থায় অংশ নিয়েছিল। দ্য ডিসেন্ট তাদের অনুসন্ধানে এ তথ্য জানিয়েছে ।
দ্য ডিসেন্টের অনুসন্ধান বলছে, গুলিকারী দুইজনের মধ্যে একজনের গায়ে কালো পাঞ্জাবি, কালো মাস্ক, গলায় চাদর এবং পরণে আকাশি রঙের প্যান্ট ছিল। অন্যজনের গায়ে কালো ব্লেজার, কালো মাস্ক, চোখে চশমা, পায়ে চামড়া রঙের জুতা ছিল। জনসংযোগে অংশ নেয়া ওই দুই ব্যক্তির পোশাক হামলাকারী দুই বাইক আরোহীর পোশাকের সাথে হুবহু মিলে গেছে।
গুলিকারীদের চিহ্নিত করতে আজকের হাদির জনসংযোগের আরও ছবি ও ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। নতুন আপডেট পেলেই তাদের পেইজে জানাবে দ্য ডিসেন্ট।

१२ ডিসেম্বর, २০२५ १५:४२
গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা এসে তাকে গুলি করে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে।
ওসমান হাদিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মিসবাহ জানান, জুমার নামাজ পড়ে মতিঝিল বিজয়নগর কালভার্ট এলাকা দিয়ে রিকশায় যাওয়ার সময় দুইজন মোটরসাইকেলে এসে গুলি চালায়। এতে গুলিটি তার বাম কানের নিচে লাগে। গুলি করেই তারা পালিয়ে যায়। এরপর ওসমান হাদিকে রিকশায় করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টার (ওসেক) চিকিৎসাধীন তিনি।
মিসবাহ আরও জানান, চিকিৎসক জানিয়েছেন তার শরীর থেকে অনেক রক্ত বেরিয়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা এসে তাকে গুলি করে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে।
ওসমান হাদিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মিসবাহ জানান, জুমার নামাজ পড়ে মতিঝিল বিজয়নগর কালভার্ট এলাকা দিয়ে রিকশায় যাওয়ার সময় দুইজন মোটরসাইকেলে এসে গুলি চালায়। এতে গুলিটি তার বাম কানের নিচে লাগে। গুলি করেই তারা পালিয়ে যায়। এরপর ওসমান হাদিকে রিকশায় করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টার (ওসেক) চিকিৎসাধীন তিনি।
মিসবাহ আরও জানান, চিকিৎসক জানিয়েছেন তার শরীর থেকে অনেক রক্ত বেরিয়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १९:२५
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १८:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १७:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १६:০০