
০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ০২:১৮
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কোনো অবৈধ সুবিধা দিলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ বার্তা দেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জানতে চাওয়া হয়- নির্বাচনে যদি পুলিশ কোনো দলকে বিশেষ সুবিধা দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি করেছি আমরা। কারো কোনোরকম নেগলিজেন্স থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আগে জিডি করে রাখা হতো শুধু, কিন্তু এবার সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের প্রতি আমার নির্দেশনা হচ্ছে- নির্বাচন হতে হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল এবং উৎসবমুখর। পুলিশের কেউ অনৈতিক কাজে জড়িত থাকলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার থাকবে কিনা- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সেনাবাহিনীতে এখন সেই পাওয়ার আছে। নির্বাচন এলে বন্ধ হবে কিনা- সেই প্রশ্ন তখন করতে বলেন তিনি।
নির্বাচনের আগে পুলিশ রদবদল হবে কিনা- জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের ম্যাক্সিমাম চেঞ্জ করার চেষ্টা করা হবে। প্রথমত- যারা তিনটি নির্বাচনের সঙ্গেই জড়িত ছিল, তাদের বাদ দেওয়া হবে। এরপর দেখা হবে যারা দুটির সঙ্গে জড়িত ছিল। যেহেতু নতুন লোক রিক্রুট করে নতুন ওসি নিয়ে আসা সম্ভব নয়, তাই লোকবলের একটি লিমিটেশন আছে। যদি কেউ একটি নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত থাকে কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো রিপোর্ট না থাকে, তাকে হয়ত ব্যবহার করতে হবে।’
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কোনো অবৈধ সুবিধা দিলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ বার্তা দেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জানতে চাওয়া হয়- নির্বাচনে যদি পুলিশ কোনো দলকে বিশেষ সুবিধা দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি করেছি আমরা। কারো কোনোরকম নেগলিজেন্স থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আগে জিডি করে রাখা হতো শুধু, কিন্তু এবার সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের প্রতি আমার নির্দেশনা হচ্ছে- নির্বাচন হতে হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল এবং উৎসবমুখর। পুলিশের কেউ অনৈতিক কাজে জড়িত থাকলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার থাকবে কিনা- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সেনাবাহিনীতে এখন সেই পাওয়ার আছে। নির্বাচন এলে বন্ধ হবে কিনা- সেই প্রশ্ন তখন করতে বলেন তিনি।
নির্বাচনের আগে পুলিশ রদবদল হবে কিনা- জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের ম্যাক্সিমাম চেঞ্জ করার চেষ্টা করা হবে। প্রথমত- যারা তিনটি নির্বাচনের সঙ্গেই জড়িত ছিল, তাদের বাদ দেওয়া হবে। এরপর দেখা হবে যারা দুটির সঙ্গে জড়িত ছিল। যেহেতু নতুন লোক রিক্রুট করে নতুন ওসি নিয়ে আসা সম্ভব নয়, তাই লোকবলের একটি লিমিটেশন আছে। যদি কেউ একটি নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত থাকে কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো রিপোর্ট না থাকে, তাকে হয়ত ব্যবহার করতে হবে।’

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৬
রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে জনপ্রিয় ব্যান্ড শিরোনামহীনের পারফর্ম করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে নিরাপত্তাজনিত কারণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ ঘটনার পর সমাবর্তনে উপস্থিত অতিথিদের একাংশের মধ্যে অভিযোগ ওঠে—শিরোনামহীন নাকি ইচ্ছাকৃতভাবেই কনসার্টে অংশ নেয়নি। অভিযোগটি ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তির প্রেক্ষিতে এবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ব্যান্ডটি।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) ব্যান্ডটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে পারফর্ম করার জন্য তারা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। এমনকি আয়োজকদের কাছ থেকে সম্মানীর ৩০ শতাংশ অগ্রিমও গ্রহণ করা হয়েছিল।
বিবৃতিতে শিরোনামহীন জানায়, ‘গতকাল রাত আনুমানিক ৯টার দিকে আমাদের জানানো হয় যে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রশাসন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না। সে কারণেই কনভোকেশনের দ্বিতীয় অংশ—সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
ব্যান্ডটির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠান হওয়ায় নিয়মের ব্যতিক্রম করে পূর্ণ সম্মানী পরিশোধ না হওয়া সত্ত্বেও তারা পারফর্ম করতে সম্মত ছিল। এমনকি একই দিনে অনুষ্ঠিতব্য স্টেট ইউনিভার্সিটির কনভোকেশন কনসার্ট বাতিল করেও রাজশাহীতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল শিরোনামহীন।
উল্লেখ্য, স্টেট ইউনিভার্সিটির অনুষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় শোক দিবসের কারণে ২০ থেকে ২১ ডিসেম্বর পুনর্নির্ধারিত হয়েছিল।
বিবৃতির শেষাংশে ব্যান্ডটি জানায়, ‘কনসার্টটি শেষপর্যন্ত বাতিল হওয়ায় আগত অতিথিদের মতো আমরাও দুঃখ পেয়েছি এবং আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
তবে অতিথিদের একাংশের যে ধারণা—শিরোনামহীন ইচ্ছাকৃতভাবে এই কনসার্ট বাতিল করেছে, তা সম্পূর্ণ সত্য নয়।’
উল্লেখ্য, শিরোনামহীনের পাশাপাশি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী পড়শীর পারফর্ম করার কথা ছিল। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে পুরো সাংস্কৃতিক আয়োজনই বাতিল করা হয়েছে।
রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে জনপ্রিয় ব্যান্ড শিরোনামহীনের পারফর্ম করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে নিরাপত্তাজনিত কারণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ ঘটনার পর সমাবর্তনে উপস্থিত অতিথিদের একাংশের মধ্যে অভিযোগ ওঠে—শিরোনামহীন নাকি ইচ্ছাকৃতভাবেই কনসার্টে অংশ নেয়নি। অভিযোগটি ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তির প্রেক্ষিতে এবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ব্যান্ডটি।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) ব্যান্ডটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে পারফর্ম করার জন্য তারা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। এমনকি আয়োজকদের কাছ থেকে সম্মানীর ৩০ শতাংশ অগ্রিমও গ্রহণ করা হয়েছিল।
বিবৃতিতে শিরোনামহীন জানায়, ‘গতকাল রাত আনুমানিক ৯টার দিকে আমাদের জানানো হয় যে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রশাসন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না। সে কারণেই কনভোকেশনের দ্বিতীয় অংশ—সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
ব্যান্ডটির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠান হওয়ায় নিয়মের ব্যতিক্রম করে পূর্ণ সম্মানী পরিশোধ না হওয়া সত্ত্বেও তারা পারফর্ম করতে সম্মত ছিল। এমনকি একই দিনে অনুষ্ঠিতব্য স্টেট ইউনিভার্সিটির কনভোকেশন কনসার্ট বাতিল করেও রাজশাহীতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল শিরোনামহীন।
উল্লেখ্য, স্টেট ইউনিভার্সিটির অনুষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় শোক দিবসের কারণে ২০ থেকে ২১ ডিসেম্বর পুনর্নির্ধারিত হয়েছিল।
বিবৃতির শেষাংশে ব্যান্ডটি জানায়, ‘কনসার্টটি শেষপর্যন্ত বাতিল হওয়ায় আগত অতিথিদের মতো আমরাও দুঃখ পেয়েছি এবং আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
তবে অতিথিদের একাংশের যে ধারণা—শিরোনামহীন ইচ্ছাকৃতভাবে এই কনসার্ট বাতিল করেছে, তা সম্পূর্ণ সত্য নয়।’
উল্লেখ্য, শিরোনামহীনের পাশাপাশি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী পড়শীর পারফর্ম করার কথা ছিল। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে পুরো সাংস্কৃতিক আয়োজনই বাতিল করা হয়েছে।

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪১
২০২৬ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দুই থেকে তিন মাস পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের এপ্রিলের শেষ দিকে অথবা মে মাসের শুরুতে এই পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই পরীক্ষার রুটিনসহ সংশ্লিষ্ট সব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসেই এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও জাতীয় নির্বাচনের সময় দেশের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ কারণে ওই সময়ে পরীক্ষা নেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। ফলে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এর আগেও নানা কারণে এসএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত সময় থেকে পিছিয়েছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত নিয়মিতভাবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে মার্চের মধ্যেই শেষ হতো। তবে ২০২১ সালে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সেই ধারায় বড় পরিবর্তন আসে এবং ওই বছর নভেম্বর মাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয় ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এবং ২০২৩ সালে শুরু হয় ৩০ এপ্রিল। সর্বশেষ ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষা আবার স্বাভাবিক সময়সূচিতে ফিরে আসে এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়। তবে জাতীয় নির্বাচনের কারণে ২০২৬ সালে পরীক্ষাটি পুনরায় কয়েক মাস পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানান, চলতি সপ্তাহ অথবা আগামী সপ্তাহে বোর্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সভায় এসএসসি পরীক্ষার তারিখ ও রুটিন চূড়ান্ত করা হবে। চলতি মাসের মধ্যেই পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
২০২৬ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দুই থেকে তিন মাস পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের এপ্রিলের শেষ দিকে অথবা মে মাসের শুরুতে এই পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই পরীক্ষার রুটিনসহ সংশ্লিষ্ট সব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসেই এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও জাতীয় নির্বাচনের সময় দেশের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ কারণে ওই সময়ে পরীক্ষা নেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। ফলে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এর আগেও নানা কারণে এসএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত সময় থেকে পিছিয়েছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত নিয়মিতভাবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে মার্চের মধ্যেই শেষ হতো। তবে ২০২১ সালে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সেই ধারায় বড় পরিবর্তন আসে এবং ওই বছর নভেম্বর মাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয় ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এবং ২০২৩ সালে শুরু হয় ৩০ এপ্রিল। সর্বশেষ ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষা আবার স্বাভাবিক সময়সূচিতে ফিরে আসে এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়। তবে জাতীয় নির্বাচনের কারণে ২০২৬ সালে পরীক্ষাটি পুনরায় কয়েক মাস পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানান, চলতি সপ্তাহ অথবা আগামী সপ্তাহে বোর্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সভায় এসএসসি পরীক্ষার তারিখ ও রুটিন চূড়ান্ত করা হবে। চলতি মাসের মধ্যেই পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:১২
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে দেশ একটি ঘন কালো অন্ধকার সময় পার করেছে, যেখানে সাংবাদিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মী প্রত্যেকেই কমবেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, মতামত ও বক্তব্যের কারণে কারোর ওপর হামলা হওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং ফ্যাসিবাদোত্তর সময়েও এমন ঘটনা গভীর উদ্বেগের জন্ম দেয়।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক রেডিও, টেলিভিশনের বার্তা প্রধান এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা করে বিএনপি।
রিজভী বলেন, শফিক রেহমানের মতো বর্ষীয়ান সাংবাদিকদের যেভাবে জেলে নিয়ে যে আচরণ করা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে ফ্যাসিবাদের আমলে একটা ঘন কালো অন্ধকারের সময় পার করেছি। প্রত্যেকেই কমবেশি আক্রান্ত হয়েছি। এখনো যে সমস্ত বিষয়গুলো আমাদের সামনে আসছে তা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। একজন তরুণ নেতার এমন মৃত্যুর আমরা প্রতিবাদ জানাই। তার কথার কারণে জীবন দিতে হবে এটা মেনে নেওয়ার মতো না।
তিনি বলেন, কারও বক্তব্য এবং মতামতের জন্য তার ওপর আক্রমণ হওয়া ফ্যাসিবাদোত্তর সময়ে কাম্য নয়। ভারতে গোদী মিডিয়ার কথা বলা হয়, তেমনি স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে মিডিয়াও ভূমিকা পালন করে।
মতবিনিময় সভায় মানবজমিন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, অস্থির সময়ে আমরা সবাই অস্থির। মিডিয়া পলিসি যেটা বলা হয়েছে সেটা বাস্তবায়ন হলেই মিডিয়া এগিয়ে যাবে। তারেক রহমান এমন এক সময়ে দেশে আসছেন যখন সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন হচ্ছে নিরাপত্তা। দিল্লিতে আমাদের হাইকমিশনারের বাসভবনে হামলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ডেইলি স্টার, প্রথম আলোতে হামলা হয়েছে। এরপরে কি হবে আমরা জানি না। আমরা সবাই নিরাপদ থাকতে চাই, লিখতে চাই। আগামী দিনে যে চ্যালেঞ্জ আসছে তা মোকাবিলা করতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- নয়া দিগন্তের সম্পাদক সালাহউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান, দৈনিক খবরের কাগজ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজ, যুগান্তর সম্পাদক আব্দুল হাই শিকদার, নির্বাহী সম্পাদক এনাম আবেদীন, আজকের পত্রিকা সম্পাদক কামরুল হাসান, আমার দেশ নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ইনকিলাব সম্পাদক আ ক ম বাহাউদ্দীন, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে দেশ একটি ঘন কালো অন্ধকার সময় পার করেছে, যেখানে সাংবাদিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মী প্রত্যেকেই কমবেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, মতামত ও বক্তব্যের কারণে কারোর ওপর হামলা হওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং ফ্যাসিবাদোত্তর সময়েও এমন ঘটনা গভীর উদ্বেগের জন্ম দেয়।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক রেডিও, টেলিভিশনের বার্তা প্রধান এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা করে বিএনপি।
রিজভী বলেন, শফিক রেহমানের মতো বর্ষীয়ান সাংবাদিকদের যেভাবে জেলে নিয়ে যে আচরণ করা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে ফ্যাসিবাদের আমলে একটা ঘন কালো অন্ধকারের সময় পার করেছি। প্রত্যেকেই কমবেশি আক্রান্ত হয়েছি। এখনো যে সমস্ত বিষয়গুলো আমাদের সামনে আসছে তা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। একজন তরুণ নেতার এমন মৃত্যুর আমরা প্রতিবাদ জানাই। তার কথার কারণে জীবন দিতে হবে এটা মেনে নেওয়ার মতো না।
তিনি বলেন, কারও বক্তব্য এবং মতামতের জন্য তার ওপর আক্রমণ হওয়া ফ্যাসিবাদোত্তর সময়ে কাম্য নয়। ভারতে গোদী মিডিয়ার কথা বলা হয়, তেমনি স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে মিডিয়াও ভূমিকা পালন করে।
মতবিনিময় সভায় মানবজমিন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, অস্থির সময়ে আমরা সবাই অস্থির। মিডিয়া পলিসি যেটা বলা হয়েছে সেটা বাস্তবায়ন হলেই মিডিয়া এগিয়ে যাবে। তারেক রহমান এমন এক সময়ে দেশে আসছেন যখন সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন হচ্ছে নিরাপত্তা। দিল্লিতে আমাদের হাইকমিশনারের বাসভবনে হামলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ডেইলি স্টার, প্রথম আলোতে হামলা হয়েছে। এরপরে কি হবে আমরা জানি না। আমরা সবাই নিরাপদ থাকতে চাই, লিখতে চাই। আগামী দিনে যে চ্যালেঞ্জ আসছে তা মোকাবিলা করতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- নয়া দিগন্তের সম্পাদক সালাহউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান, দৈনিক খবরের কাগজ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজ, যুগান্তর সম্পাদক আব্দুল হাই শিকদার, নির্বাহী সম্পাদক এনাম আবেদীন, আজকের পত্রিকা সম্পাদক কামরুল হাসান, আমার দেশ নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ইনকিলাব সম্পাদক আ ক ম বাহাউদ্দীন, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.