
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫৮
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনো হাসিনার লোকজন সক্রিয় রয়েছেন। কেউ এস আলমের মাধ্যমে, কেউ অন্যভাবে। এখন শুনছি, এস আলমের লোকজন নমিনেশন পাচ্ছেন। এটা শুধু আমার কথা নয়, জনগণের কথাও। আমিও তাদের সঙ্গে একমত।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে চন্দনাইশ উপজেলা গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বরমা কলেজ মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের অবস্থা ভালো নয়। সব কিছুর দাম হুঁ হুঁ করে বাড়ছে। কারণ হাসিনা বাংলাদেশে কিছুই অবশিষ্ট রাখেননি। ১৩৪ বিলিয়ন ডলার লুট করে নিয়ে গেছেন। এ টাকা যদি দেশে থাকত, তাহলে বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ হিসেবে পরিচিতি পেত। তিনি কিছুই রেখে যাননি, সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে অলি আহমদ বলেন, আপনি খেলাচ্ছলে দেশ পরিচালনা করলে হবে না। লটারি মন্ত্রীদের নিয়ে দেশ চালানো সম্ভব নয়। লটারি মন্ত্রীদের দিয়ে দেশ চালানোর জন্য হয়ত আপনি আরেকটি নোবেল পুরস্কারও পেতে পারেন। কারণ আপনি এর আগে মাইক্রোক্রেডিটের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। দেশে রক্তপাত চলছে, বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলি হচ্ছে, মারামারি হচ্ছে। সমগ্র বাংলাদেশ এখন এক অশান্ত পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কেউ চাঁদা তুলছে, কেউ দখল করছে—এভাবেই চলছে দেশ।
গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দল চন্দনাইশ উপজেলা শাখার সভাপতি জসিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোরশেদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সভাপতি শিল্পপতি এম. এ. ইয়াকুব আলী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শিমুল। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনিসুর রহমান।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনছুর আলম, চন্দনাইশ উপজেলা এলডিপির সভাপতি মোতাহের মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আকতার আলম।
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনো হাসিনার লোকজন সক্রিয় রয়েছেন। কেউ এস আলমের মাধ্যমে, কেউ অন্যভাবে। এখন শুনছি, এস আলমের লোকজন নমিনেশন পাচ্ছেন। এটা শুধু আমার কথা নয়, জনগণের কথাও। আমিও তাদের সঙ্গে একমত।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে চন্দনাইশ উপজেলা গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বরমা কলেজ মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের অবস্থা ভালো নয়। সব কিছুর দাম হুঁ হুঁ করে বাড়ছে। কারণ হাসিনা বাংলাদেশে কিছুই অবশিষ্ট রাখেননি। ১৩৪ বিলিয়ন ডলার লুট করে নিয়ে গেছেন। এ টাকা যদি দেশে থাকত, তাহলে বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ হিসেবে পরিচিতি পেত। তিনি কিছুই রেখে যাননি, সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে অলি আহমদ বলেন, আপনি খেলাচ্ছলে দেশ পরিচালনা করলে হবে না। লটারি মন্ত্রীদের নিয়ে দেশ চালানো সম্ভব নয়। লটারি মন্ত্রীদের দিয়ে দেশ চালানোর জন্য হয়ত আপনি আরেকটি নোবেল পুরস্কারও পেতে পারেন। কারণ আপনি এর আগে মাইক্রোক্রেডিটের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। দেশে রক্তপাত চলছে, বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলি হচ্ছে, মারামারি হচ্ছে। সমগ্র বাংলাদেশ এখন এক অশান্ত পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কেউ চাঁদা তুলছে, কেউ দখল করছে—এভাবেই চলছে দেশ।
গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দল চন্দনাইশ উপজেলা শাখার সভাপতি জসিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোরশেদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সভাপতি শিল্পপতি এম. এ. ইয়াকুব আলী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শিমুল। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনিসুর রহমান।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনছুর আলম, চন্দনাইশ উপজেলা এলডিপির সভাপতি মোতাহের মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আকতার আলম।

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:২৭
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘চক্রান্তের গোপন পথে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা প্রায় ১৬ বছর গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রক্ষমতাকে হাতের মুঠোর মধ্যে ধরে রাখে। এদের নতজানু নীতির কারণেই দেশের সার্বভৌমত্ব দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পড়েছিল।’
৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিবৃতিটি পাঠান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বিবৃতিতে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াকু নেতাকর্মীদেরকে বিভৎস নির্মমতায় দমন করেছে, আয়নাঘর, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ দুর্নীতি ও অপশাসনের এক ভয়াল রাজত্ব কায়েম করেছিল। ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে বহু বছর মুক্তি দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মহিমান্বিত আত্মদানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন চালাতে সুযোগ দিয়েছিল। তাই আমি মনে করি ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র বিনির্মাণ করতে হবে। আর সেজন্য জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মমুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি।’
বিবৃতিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘তাদের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লব শুধু মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা নয়, এ দেশে আধিপত্যবাদ বিরোধী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অভ্যুদয়ের সূচনা। সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা পায়। ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশপ্রেমে উদ্দীপ্ত হয়ে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও গণতন্ত্র পুণরুজ্জীবনের অঙ্গীকার নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাত্তোর ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী নিজ স্বার্থে দেশকে আধিপত্যবাদের থাবার মধ্যে ঠেলে দেয়। এর উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতাকে চিরদিনের জন্য ধরে রাখা। সেজন্য একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। বাকশালী সরকার চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের ন্যায়সংগত অধিকারগুলোকে হরণ করে। দেশমাতৃকার এই চরম সংকটকালে ৭৫ এর ৩ নভেম্বর কুচক্রীরা মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতির এই গভীর সংকটকালে ৭ নভেম্বর স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় অকুতোভয় সৈনিক এবং জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফুরণ ঘটে এবং স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্ত হন। এই পটপরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশে প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয় এবং গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু আধিপত্যবাদী শক্তির এ দেশীয় এজেন্টরা উদ্দেশ্য সাধনের পথে কাঁটা মনে করে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পৈশাচিকভাবে হত্যা করে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘জিয়া শাহাদাত বরণ করলেও তার আদর্শে বলীয়ান মানুষ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনো ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘চক্রান্তের গোপন পথে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা প্রায় ১৬ বছর গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রক্ষমতাকে হাতের মুঠোর মধ্যে ধরে রাখে। এদের নতজানু নীতির কারণেই দেশের সার্বভৌমত্ব দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পড়েছিল।’
৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিবৃতিটি পাঠান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বিবৃতিতে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াকু নেতাকর্মীদেরকে বিভৎস নির্মমতায় দমন করেছে, আয়নাঘর, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ দুর্নীতি ও অপশাসনের এক ভয়াল রাজত্ব কায়েম করেছিল। ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে বহু বছর মুক্তি দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মহিমান্বিত আত্মদানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন চালাতে সুযোগ দিয়েছিল। তাই আমি মনে করি ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র বিনির্মাণ করতে হবে। আর সেজন্য জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মমুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি।’
বিবৃতিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘তাদের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লব শুধু মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা নয়, এ দেশে আধিপত্যবাদ বিরোধী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অভ্যুদয়ের সূচনা। সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা পায়। ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশপ্রেমে উদ্দীপ্ত হয়ে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও গণতন্ত্র পুণরুজ্জীবনের অঙ্গীকার নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাত্তোর ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী নিজ স্বার্থে দেশকে আধিপত্যবাদের থাবার মধ্যে ঠেলে দেয়। এর উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতাকে চিরদিনের জন্য ধরে রাখা। সেজন্য একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। বাকশালী সরকার চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের ন্যায়সংগত অধিকারগুলোকে হরণ করে। দেশমাতৃকার এই চরম সংকটকালে ৭৫ এর ৩ নভেম্বর কুচক্রীরা মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতির এই গভীর সংকটকালে ৭ নভেম্বর স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় অকুতোভয় সৈনিক এবং জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফুরণ ঘটে এবং স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্ত হন। এই পটপরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশে প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয় এবং গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু আধিপত্যবাদী শক্তির এ দেশীয় এজেন্টরা উদ্দেশ্য সাধনের পথে কাঁটা মনে করে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পৈশাচিকভাবে হত্যা করে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘জিয়া শাহাদাত বরণ করলেও তার আদর্শে বলীয়ান মানুষ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনো ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।’

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:২০
অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থেকেও নির্বাচন করা যায়—সংবিধানে এতে কোনো বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি শেষে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে, বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগ করে জাতীয় নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন মো. আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছেন তিনি। তবে এর একদিন পর পদে থেকেই নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থেকেও নির্বাচন করা যায়—সংবিধানে এতে কোনো বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি শেষে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে, বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগ করে জাতীয় নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন মো. আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছেন তিনি। তবে এর একদিন পর পদে থেকেই নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:০৯
৮৫৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার অন্যতম আসামি এক্সিম ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচা থেকে সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দুদকের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। আজই তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানা যায়।
গত ১৭ আগস্ট ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন করে এক্সিম ব্যাংকের ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক।
এর আগে এই মামলার অপর আসামি নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে ২০২৪ সালে ১ অক্টোবর গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি। আজ আরও একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো।
মামলার আসামিরা হলেন– মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটসের প্রোপাইটার মোজাম্মেল হোসাইন, এক্সিম ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক মো. আসাদ মালেক, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দ্বিতীয় কর্মকর্তা মোসা. জেবুন্নেসা বেগম, সিনিয়র অফিসার ও ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অফিসার কাওসার আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আরমান হোসেন, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আনিছুল আলম, অ্যাডিশনাল ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইছরাইল খান ও মো. মঈদুল ইসলাম, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাকসুদা খানম ও মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া।
এ ছাড়া সাবেক অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহ মো. আব্দুল বারি, সাবেক অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিএফও মো. হুমায়ুন কবীর, সাবেক পরিচালক ও বর্তমানে চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম স্বপন, সাবেক পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ, পরিচালক মো. নুরুল আমিন, পরিচালক অঞ্জন কুমার সাহা, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মো. নাজমুস ছালেহিন এবং সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মিয়া মোহাম্মদ কাওছার আলমও রয়েছেন তালিকায়।
দুদকের এজাহার বলছে ‘মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটস’ শাখার অসম্পূর্ণ ঋণ প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো যাচাই, সম্ভাব্যতা যাচাই বা স্টক রিপোর্ট ছাড়াই এবং জামানতের বিষয়টি থাকলেও আসামিরা যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার, অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ঋণ অনুমোদনের সুপারিশ করেন। তারা ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ও সভাপতি হিসেবে ঋণ অনুমোদনের সুপারিশ, বোর্ড মেমো পাঠানো এবং বোর্ডের অনুমোদন করিয়ে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।’
৮৫৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার অন্যতম আসামি এক্সিম ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচা থেকে সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দুদকের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। আজই তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানা যায়।
গত ১৭ আগস্ট ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন করে এক্সিম ব্যাংকের ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক।
এর আগে এই মামলার অপর আসামি নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে ২০২৪ সালে ১ অক্টোবর গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি। আজ আরও একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো।
মামলার আসামিরা হলেন– মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটসের প্রোপাইটার মোজাম্মেল হোসাইন, এক্সিম ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক মো. আসাদ মালেক, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দ্বিতীয় কর্মকর্তা মোসা. জেবুন্নেসা বেগম, সিনিয়র অফিসার ও ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অফিসার কাওসার আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আরমান হোসেন, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আনিছুল আলম, অ্যাডিশনাল ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইছরাইল খান ও মো. মঈদুল ইসলাম, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাকসুদা খানম ও মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া।
এ ছাড়া সাবেক অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহ মো. আব্দুল বারি, সাবেক অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিএফও মো. হুমায়ুন কবীর, সাবেক পরিচালক ও বর্তমানে চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম স্বপন, সাবেক পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ, পরিচালক মো. নুরুল আমিন, পরিচালক অঞ্জন কুমার সাহা, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মো. নাজমুস ছালেহিন এবং সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মিয়া মোহাম্মদ কাওছার আলমও রয়েছেন তালিকায়।
দুদকের এজাহার বলছে ‘মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটস’ শাখার অসম্পূর্ণ ঋণ প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো যাচাই, সম্ভাব্যতা যাচাই বা স্টক রিপোর্ট ছাড়াই এবং জামানতের বিষয়টি থাকলেও আসামিরা যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার, অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ঋণ অনুমোদনের সুপারিশ করেন। তারা ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ও সভাপতি হিসেবে ঋণ অনুমোদনের সুপারিশ, বোর্ড মেমো পাঠানো এবং বোর্ডের অনুমোদন করিয়ে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.