
১৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:২৬
শেষ কর্মদিবসে অনুগতরা সোমবার (১৭ নভেম্বর) নগর ভবনে বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলো। বিক্ষুব্ধদের তোপের মুখে সে আয়োজন পণ্ড হয়। বিক্ষুব্ধরা সংবাদ সম্মেলন করে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন প্রশাসকের বিরুদ্ধে।
এছাড়া চাকরিচ্যুত কর্মচারীরা চাকরি ফিরে পেতে বিক্ষোভ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেন।
জানা গেছে, রায়হান কায়সারকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে বদলি করে গত ১৩ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গত বছর আগস্টে পটপরিবর্তনের পর তিনি বিভাগীয় কমিশনার পদে যোগ দেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সিটি করপোরেশন কর্মচারী ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক জানান, ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচিত মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ার ১২১ জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছিলেন। নিয়োগ অস্বচ্ছ দেখিয়ে ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। ২০১০ সালে উচ্চ আদালতের রায়ে নিয়োগ বৈধ ঘোষণা দেয়া হয়। তৎকালীন সময়ের মেয়রদের বাঁধায় তারা কেউ চাকরি ফিরে পাননি। ২০২৩ সালে নির্বাচিত মেয়রের সময়ে সবাই চাকরিতে যোগ দিলেও স্থায়ী হননি।
তিনি আরও জানান, ২০১০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত চাকরি বিধিমালায় পদ সৃষ্টি সাপেক্ষে তাদের স্থায়ী হতে বাঁধা নেই। বিদায়ী প্রশাসক রায়হান কায়ছার যোগদানের পর তাদেরকে স্থায়ীকরন না করে টালবাহানা করেছেন। এ দাবি নিয়ে তার কক্ষে গেলে দুর্ব্যবহার করেন।
সবশেষ সোমবার প্রশাসকের কাছে গেলে খারাপ ভাষায় কথা বলেন এবং একপর্যায়ে গুলি করার হুমকি দেন।
কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান জানান, প্রশাসক বিপুল অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য, দরপত্র ছাড়া ঠিকাদারি ও পদোন্নতি দিয়েছেন। ঠিকাদারি কাজ, জমি ক্রয়ে টাকা না নিয়ে ফাইলে সাক্ষর করেননি।
সহকারী প্রকৌশলী আরাফাত হোসেন মনির বলেন, ‘নগরে উন্নয়ন বঞ্চনা ও নানা সংকট থাকার পরও সম্প্রতি কুয়াকাটায় রিসোর্টের নামে কয়েক কোটি টাকার জমি ক্রয় কিনেছেন প্রশাসক। প্রতি শতাংশে ৫০ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন।’
অপরদিকে চাকরিচ্যুত শতাধিক শ্রমিক সোমবার বিকালে নগর ভবনের সামনে বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। তারা নগর পরিচ্ছন্নতার কাজ করতেন। কয়েকজন নারী শ্রমিক কান্নাকাটি করেন।
জানা গেছে, বিদায়ী প্রশাসক রায়হান কায়ছার ১৫৯ অস্থায়ী শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করেছেন। তাদের কোনো আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়নি। প্রশাসকের বদলির খবরে নগর ভবনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। একপর্যায়ে তারা প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু বক্করকে অবরুদ্ধ করেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সবার ফাইল আবু বক্কর আটকে রেখেছেন। প্রশাসকদের কার্যালয় পর্যন্ত পৌঁছাননি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে আবু বক্কর বলেন, ‘৬০ বছর ঊর্ধ্ব শ্রমিকদের চাকরি বিধি অনুযায়ী অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।’
আর্থিক সহায়তা আটকে রাখা প্রসঙ্গে বলেন, ‘তার দফতরে ফাইল প্রস্তত রেখেছেন। প্রশাসক তলব না করায় সেগুলো তার কাছে পৌঁছানো হয়নি।’
অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে প্রশাসক রায়হান কাওছার বলেন, ‘যারা চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি করছেন তারা বিধান দেখাতে পারেননি। এছাড়া ১৫৯ জনকে ছাটাই নয় বরং বয়সজনিত কারণে তাদের বাদ দেয়া হয়েছে।’
কুয়াকাটায় জমি ক্রয় করে রিসোর্ট করার বিষয়ে প্রশাসক বলেন, ‘মৌজা দরের চেয়ে কম দামে জমি কিনেছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রাখা হয়নি। আমি তো বেতন বকেয়া রেখে জমি কিনিনি।’
তার দাবি, রাজনৈতিক কারণে নগর ভবনে সোমবার বিশৃঙ্খলা করা হয়েছে।
শেষ কর্মদিবসে অনুগতরা সোমবার (১৭ নভেম্বর) নগর ভবনে বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলো। বিক্ষুব্ধদের তোপের মুখে সে আয়োজন পণ্ড হয়। বিক্ষুব্ধরা সংবাদ সম্মেলন করে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন প্রশাসকের বিরুদ্ধে।
এছাড়া চাকরিচ্যুত কর্মচারীরা চাকরি ফিরে পেতে বিক্ষোভ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেন।
জানা গেছে, রায়হান কায়সারকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে বদলি করে গত ১৩ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গত বছর আগস্টে পটপরিবর্তনের পর তিনি বিভাগীয় কমিশনার পদে যোগ দেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সিটি করপোরেশন কর্মচারী ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক জানান, ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচিত মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ার ১২১ জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছিলেন। নিয়োগ অস্বচ্ছ দেখিয়ে ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। ২০১০ সালে উচ্চ আদালতের রায়ে নিয়োগ বৈধ ঘোষণা দেয়া হয়। তৎকালীন সময়ের মেয়রদের বাঁধায় তারা কেউ চাকরি ফিরে পাননি। ২০২৩ সালে নির্বাচিত মেয়রের সময়ে সবাই চাকরিতে যোগ দিলেও স্থায়ী হননি।
তিনি আরও জানান, ২০১০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত চাকরি বিধিমালায় পদ সৃষ্টি সাপেক্ষে তাদের স্থায়ী হতে বাঁধা নেই। বিদায়ী প্রশাসক রায়হান কায়ছার যোগদানের পর তাদেরকে স্থায়ীকরন না করে টালবাহানা করেছেন। এ দাবি নিয়ে তার কক্ষে গেলে দুর্ব্যবহার করেন।
সবশেষ সোমবার প্রশাসকের কাছে গেলে খারাপ ভাষায় কথা বলেন এবং একপর্যায়ে গুলি করার হুমকি দেন।
কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান জানান, প্রশাসক বিপুল অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য, দরপত্র ছাড়া ঠিকাদারি ও পদোন্নতি দিয়েছেন। ঠিকাদারি কাজ, জমি ক্রয়ে টাকা না নিয়ে ফাইলে সাক্ষর করেননি।
সহকারী প্রকৌশলী আরাফাত হোসেন মনির বলেন, ‘নগরে উন্নয়ন বঞ্চনা ও নানা সংকট থাকার পরও সম্প্রতি কুয়াকাটায় রিসোর্টের নামে কয়েক কোটি টাকার জমি ক্রয় কিনেছেন প্রশাসক। প্রতি শতাংশে ৫০ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন।’
অপরদিকে চাকরিচ্যুত শতাধিক শ্রমিক সোমবার বিকালে নগর ভবনের সামনে বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। তারা নগর পরিচ্ছন্নতার কাজ করতেন। কয়েকজন নারী শ্রমিক কান্নাকাটি করেন।
জানা গেছে, বিদায়ী প্রশাসক রায়হান কায়ছার ১৫৯ অস্থায়ী শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করেছেন। তাদের কোনো আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়নি। প্রশাসকের বদলির খবরে নগর ভবনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। একপর্যায়ে তারা প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু বক্করকে অবরুদ্ধ করেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সবার ফাইল আবু বক্কর আটকে রেখেছেন। প্রশাসকদের কার্যালয় পর্যন্ত পৌঁছাননি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে আবু বক্কর বলেন, ‘৬০ বছর ঊর্ধ্ব শ্রমিকদের চাকরি বিধি অনুযায়ী অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।’
আর্থিক সহায়তা আটকে রাখা প্রসঙ্গে বলেন, ‘তার দফতরে ফাইল প্রস্তত রেখেছেন। প্রশাসক তলব না করায় সেগুলো তার কাছে পৌঁছানো হয়নি।’
অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে প্রশাসক রায়হান কাওছার বলেন, ‘যারা চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি করছেন তারা বিধান দেখাতে পারেননি। এছাড়া ১৫৯ জনকে ছাটাই নয় বরং বয়সজনিত কারণে তাদের বাদ দেয়া হয়েছে।’
কুয়াকাটায় জমি ক্রয় করে রিসোর্ট করার বিষয়ে প্রশাসক বলেন, ‘মৌজা দরের চেয়ে কম দামে জমি কিনেছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রাখা হয়নি। আমি তো বেতন বকেয়া রেখে জমি কিনিনি।’
তার দাবি, রাজনৈতিক কারণে নগর ভবনে সোমবার বিশৃঙ্খলা করা হয়েছে।

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:০৭
শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র- জনতা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে রাত পৌনে বারোটা পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের চৌমাথা এলাকায় এই অবরোধ চলে। এতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা ও পায়রা বন্দরসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধস্থলের দু’দিকে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন।
এসময় ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে শ্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা। রাত পৌনে বারোটা পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত রাখার পর কর্মসূচি শেষ হয়।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন উল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। সড়ক অবরোধ তুলে নিয়ে মহাসড়ক ত্যাগ করেছে বিক্ষোভকারীরা।
শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র- জনতা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে রাত পৌনে বারোটা পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের চৌমাথা এলাকায় এই অবরোধ চলে। এতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা ও পায়রা বন্দরসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধস্থলের দু’দিকে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন।
এসময় ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে শ্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা। রাত পৌনে বারোটা পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত রাখার পর কর্মসূচি শেষ হয়।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন উল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। সড়ক অবরোধ তুলে নিয়ে মহাসড়ক ত্যাগ করেছে বিক্ষোভকারীরা।

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:২৫
বরিশাল নগরীর রিফিউজি কলোনীর সন্ত্রাসীদের ধরতে মাঠে নেমেছে যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে কোতয়ালি পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ১৪ নং ওয়ার্ডের কলোনীটিতে হানা দেয়।
এর আগে বুধবার রাতে কলোনীতে রুবেল এবং রকি নামের দুটি সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যাপক সংঘাত ও গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে বরিশাল নগরময় উত্তেজনা তৈরি হয়, সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুবেল এবং রকি দুটি বাহিনীই অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলে তারা স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় কলোনীতে সন্ত্রাস করে আসছিল।
মঙ্গলবার রাতে দুটি গ্রুপ অস্ত্রের মহড়া দিয়ে গোলাগুলিতে জড়িয়ে তুমুল আলোচনা তৈরি করে। এতে নগরবাসীর নিরাপত্তার ভাবনায় টেনশনে পড়ে পুলিশ। মঙ্গলবার এবং বুধবার কবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এর পরে বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয় যৌথ অভিযানের।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, রিফিউজি কলোনীর পাশাপাশি কেডিসিসহ অপর কলোনীগুলোতে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। যে কোনো মূল্যে অপরাধীদের ধরতে চাইছে।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মামুন উল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করা হয়েছে। এবং তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও কাজ করছে।’
বরিশাল নগরীর রিফিউজি কলোনীর সন্ত্রাসীদের ধরতে মাঠে নেমেছে যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে কোতয়ালি পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ১৪ নং ওয়ার্ডের কলোনীটিতে হানা দেয়।
এর আগে বুধবার রাতে কলোনীতে রুবেল এবং রকি নামের দুটি সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যাপক সংঘাত ও গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে বরিশাল নগরময় উত্তেজনা তৈরি হয়, সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুবেল এবং রকি দুটি বাহিনীই অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলে তারা স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় কলোনীতে সন্ত্রাস করে আসছিল।
মঙ্গলবার রাতে দুটি গ্রুপ অস্ত্রের মহড়া দিয়ে গোলাগুলিতে জড়িয়ে তুমুল আলোচনা তৈরি করে। এতে নগরবাসীর নিরাপত্তার ভাবনায় টেনশনে পড়ে পুলিশ। মঙ্গলবার এবং বুধবার কবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এর পরে বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয় যৌথ অভিযানের।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, রিফিউজি কলোনীর পাশাপাশি কেডিসিসহ অপর কলোনীগুলোতে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। যে কোনো মূল্যে অপরাধীদের ধরতে চাইছে।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মামুন উল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করা হয়েছে। এবং তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও কাজ করছে।’

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:২৯
বরিশালে আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে এক বৃদ্ধের (৬০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় শহরের ফলপট্টি এলাকার ‘হোটেল পার্ক’ থেকে ওই বৃদ্ধের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল হাকিম হাওলাদার (৬০), তিনি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কাজলাকাঠি দাড়িয়াল ইউনিয়নের আরব আলী হাওলাদার ছেলে। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানটিতে গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা জানান, ‘ আব্দুল হাকিম ব্যক্তি দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে হোটেলটিতে কর্মরত ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ ছিলেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় খাবার খেয়ে স্টাফ রুমে ঢুকে আর বের হননি তিনি।’
হোটেলটির মালিক মাহমুদুল হাসান শাওন জানান, রাত ৯টায় খাবার খেয়ে কক্ষে প্রবেশ করার পর আর বের হননি। পরে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তারা মরদেহ উদ্ধার করে।
কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সেলিম বরিশালটাইমসকে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।’
বরিশালে আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে এক বৃদ্ধের (৬০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় শহরের ফলপট্টি এলাকার ‘হোটেল পার্ক’ থেকে ওই বৃদ্ধের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল হাকিম হাওলাদার (৬০), তিনি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কাজলাকাঠি দাড়িয়াল ইউনিয়নের আরব আলী হাওলাদার ছেলে। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানটিতে গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা জানান, ‘ আব্দুল হাকিম ব্যক্তি দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে হোটেলটিতে কর্মরত ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ ছিলেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় খাবার খেয়ে স্টাফ রুমে ঢুকে আর বের হননি তিনি।’
হোটেলটির মালিক মাহমুদুল হাসান শাওন জানান, রাত ৯টায় খাবার খেয়ে কক্ষে প্রবেশ করার পর আর বের হননি। পরে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তারা মরদেহ উদ্ধার করে।
কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সেলিম বরিশালটাইমসকে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.