২৭ জুন, ২০২৫ ০৯:৪০
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ইউসুফ খন্দকার (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি গতকাল ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জুনায়েদ হোসেন লেলিন। মৃত ইউসুফ খন্দকার কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জেলা সির্ভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা যায়, মারা যাওয়া ওই ব্যক্তিসহ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে জেলায় ৭ জনের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৫৬৪ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৯৬ জন। বর্তমানের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬৭ জন। জেলার ডেঙ্গুর হটস্পট মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন ২৭ জন ডেঙ্গু রোগী।
ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে আলাদা ওয়ার্ড খোলার নির্দেশনা থাকলেও স্থান, বেড ও লোকবল সংকটে তা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে প্রত্যেক ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর কর্নার খোলা হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জুনায়েদ হোসেন লেলিন বলেন, ‘‘এ বছর উপজেলায় এই প্রথম বৃদ্ধ ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে বাড়ির আশপাশ পরিস্কার রাখাসহ পানি জমতে না দেওয়ার জন্য জনসাধারণকে আরো বেশি সচেতন করতে সরকারি-বেসরকারিভাবে আরো প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে।’’ এছাড়া তিনি ডেঙ্গুর জ্বর, কাশি ও মাথাব্যথাসহ ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দিলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ইউসুফ খন্দকার (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি গতকাল ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জুনায়েদ হোসেন লেলিন। মৃত ইউসুফ খন্দকার কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জেলা সির্ভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা যায়, মারা যাওয়া ওই ব্যক্তিসহ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে জেলায় ৭ জনের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৫৬৪ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৯৬ জন। বর্তমানের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬৭ জন। জেলার ডেঙ্গুর হটস্পট মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন ২৭ জন ডেঙ্গু রোগী।
ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে আলাদা ওয়ার্ড খোলার নির্দেশনা থাকলেও স্থান, বেড ও লোকবল সংকটে তা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে প্রত্যেক ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর কর্নার খোলা হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জুনায়েদ হোসেন লেলিন বলেন, ‘‘এ বছর উপজেলায় এই প্রথম বৃদ্ধ ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে বাড়ির আশপাশ পরিস্কার রাখাসহ পানি জমতে না দেওয়ার জন্য জনসাধারণকে আরো বেশি সচেতন করতে সরকারি-বেসরকারিভাবে আরো প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে।’’ এছাড়া তিনি ডেঙ্গুর জ্বর, কাশি ও মাথাব্যথাসহ ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দিলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
২৭ জুন, ২০২৫ ০৬:৩৫
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেড়ে শহিদুল ফকির (৪০) নামের এক জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আ. লীগ নেতার ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের পশ্চিম খাজুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শহিদুল ফকির ওই গ্রামের আলী ফকিরের ছেলে।
জানা যায়, নিহত শহিদুল ফকির একটি মাছ ধরার ট্রলারের মাঝি হিসেবে কাজ করেন। তার ট্রলারের এক জেলের কাছে লতাচাপলী ইউনিয়ন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ফকিরের ছোট ভাই সোহেল ফকির (৩৫) মাত্র ২৪০০ টাকা পাওনা নিয়ে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ওই জেলের। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে সজল (১৯) বলেন, আমি পাওনা টাকা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপরও সোহেল ফকির আমার বাবাকে গালাগালি করে। এ সময় সোহেল হঠাৎ বাবার মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করে।
এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, ৫ আগস্টের পরে লতাচাপলী ইউনিয়ন আ. লীগের অনেকেই এলাকায় নানা কুকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। আজকের ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযুক্ত সোহেল ফকির একাধিক মামলার আসামি। তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেড়ে শহিদুল ফকির (৪০) নামের এক জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আ. লীগ নেতার ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের পশ্চিম খাজুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শহিদুল ফকির ওই গ্রামের আলী ফকিরের ছেলে।
জানা যায়, নিহত শহিদুল ফকির একটি মাছ ধরার ট্রলারের মাঝি হিসেবে কাজ করেন। তার ট্রলারের এক জেলের কাছে লতাচাপলী ইউনিয়ন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ফকিরের ছোট ভাই সোহেল ফকির (৩৫) মাত্র ২৪০০ টাকা পাওনা নিয়ে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ওই জেলের। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে সজল (১৯) বলেন, আমি পাওনা টাকা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপরও সোহেল ফকির আমার বাবাকে গালাগালি করে। এ সময় সোহেল হঠাৎ বাবার মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করে।
এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, ৫ আগস্টের পরে লতাচাপলী ইউনিয়ন আ. লীগের অনেকেই এলাকায় নানা কুকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। আজকের ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযুক্ত সোহেল ফকির একাধিক মামলার আসামি। তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।
২৬ জুন, ২০২৫ ১২:০৫
পটুয়াখালীর বাউফলে উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ায় উত্তর দাসপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার নজির আহম্মেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করে কয়েক দফায় মাদ্রাসা বারান্দায় শিক্ষার্থীরা ওই বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় মাদ্রাসায় উপস্থিত শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সুপারের নানা অনিয়মের বিচার দাবি করেন। মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফাত জানায়, মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট না হলেও ভারপ্রাপ্ত সুপার নজির আহম্মেদ নিয়মিত মাদ্রাসায় না এসে তার ছেলে ইমরান হোসেনকে দিয়ে তার কাজ করিয়ে থাকেন। উপবৃত্তির জন্য খরচ করতে হবে বলে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে ৫শত করে টাকা আদায় করেন। তবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সরকারি উপবৃত্তির চলতি কিস্তির টাকা পেলেও তাদের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কোন টাকা পায়নি। বিক্ষোভে অংশ নেয়া ৯ম শ্রেণির ছাত্রী রাবেয়া বেগম, ১০ম শ্রেণির নুসরাত, রুপা, ৭ম শ্রেণির আব্দুল্লাহ সহ আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যুৎ বিল, পরীক্ষার ফি, স্কাউট ফি সহ বিভিন্ন অযুহাতে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে দ্ব›দ্ব থাকায় তাদের কথা কেউ শুনছেন না। নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা না করায় গত বছর দাখিলে কোন শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। কোন বিষয় বলতে গেলে সুপারের ছেলে ইমরানের ভয়ে চুপ থাকতে হয়।
সে ভয়ভিতি দেখায়। শিক্ষামুলক কোন ধরণের কার্যক্রমে তাদের অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়া হয় না। তারা আরও জানায়, ভারপ্রাপ্ত সুপার ও তার ছেলে অন্য মতাবলম্বী হওয়ায় সম্প্রতি আলোচিত উপজেলা ব্যাপি জামায়াত নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের দেয়া কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা সভাতেও তাদেরকে অংশ নিতে দেয়া হয়নি।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিচার দাবী করে অন্যত্র ভর্তির জন্য তাদের টিসি চায়। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সহসুপার মাসুম বিল্লাহসহ কয়েকজন জানায়, ভারপ্রাপ্ত সুপার নিজের মর্জি মাফিক তার ছেলেকে দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তারা অনেকেই অসহায়। উর্ধতন কর্তিপক্ষকে জানিয়েও কোন প্রতিকার মিলছে না।
এ বিষয়ে সুপারের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করলে সাংবাদিকদেরকে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন। এরপর আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন,বিক্ষোভের কথা শুনেছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পটুয়াখালীর বাউফলে উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ায় উত্তর দাসপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার নজির আহম্মেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করে কয়েক দফায় মাদ্রাসা বারান্দায় শিক্ষার্থীরা ওই বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় মাদ্রাসায় উপস্থিত শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সুপারের নানা অনিয়মের বিচার দাবি করেন। মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফাত জানায়, মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট না হলেও ভারপ্রাপ্ত সুপার নজির আহম্মেদ নিয়মিত মাদ্রাসায় না এসে তার ছেলে ইমরান হোসেনকে দিয়ে তার কাজ করিয়ে থাকেন। উপবৃত্তির জন্য খরচ করতে হবে বলে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে ৫শত করে টাকা আদায় করেন। তবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সরকারি উপবৃত্তির চলতি কিস্তির টাকা পেলেও তাদের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কোন টাকা পায়নি। বিক্ষোভে অংশ নেয়া ৯ম শ্রেণির ছাত্রী রাবেয়া বেগম, ১০ম শ্রেণির নুসরাত, রুপা, ৭ম শ্রেণির আব্দুল্লাহ সহ আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যুৎ বিল, পরীক্ষার ফি, স্কাউট ফি সহ বিভিন্ন অযুহাতে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে দ্ব›দ্ব থাকায় তাদের কথা কেউ শুনছেন না। নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা না করায় গত বছর দাখিলে কোন শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। কোন বিষয় বলতে গেলে সুপারের ছেলে ইমরানের ভয়ে চুপ থাকতে হয়।
সে ভয়ভিতি দেখায়। শিক্ষামুলক কোন ধরণের কার্যক্রমে তাদের অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়া হয় না। তারা আরও জানায়, ভারপ্রাপ্ত সুপার ও তার ছেলে অন্য মতাবলম্বী হওয়ায় সম্প্রতি আলোচিত উপজেলা ব্যাপি জামায়াত নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের দেয়া কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা সভাতেও তাদেরকে অংশ নিতে দেয়া হয়নি।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিচার দাবী করে অন্যত্র ভর্তির জন্য তাদের টিসি চায়। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সহসুপার মাসুম বিল্লাহসহ কয়েকজন জানায়, ভারপ্রাপ্ত সুপার নিজের মর্জি মাফিক তার ছেলেকে দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তারা অনেকেই অসহায়। উর্ধতন কর্তিপক্ষকে জানিয়েও কোন প্রতিকার মিলছে না।
এ বিষয়ে সুপারের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করলে সাংবাদিকদেরকে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন। এরপর আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন,বিক্ষোভের কথা শুনেছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২৫ জুন, ২০২৫ ১৪:০৯
পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এতে আইনজীবী ও রাজনৈতিক নেতাসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল নোমান, অ্যাড. হাসিবুর রহমান, কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আতিকুল ইসলাম দিপু, কলাপাড়া পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল এবং পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজল তালুকদার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামিন শুনানির সময় দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে তর্কাতর্কি শুরু হয়, যা পরে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনজীবীদের হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায়।
ঘটনার সময় আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমি পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরপরই আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল নোমানের ওপর আক্রমণ করেন।”
অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, “জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগপন্থী হয়ে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করছেন। তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জামিনে বাধা সৃষ্টি করেন এবং হুমকি-ধামকি দেন।”
অপরদিকে, এই অভিযোগ অস্বীকার করে পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন শরীফ বলেন, “এই মামলার দুজন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল নোমান উচ্চস্বরে কথা বলা ও অশোভন আচরণ শুরু করেন। তখন অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বহিরাগতদের নিয়ে তিনি আইনজীবীদের ওপর হামলার চেষ্টা করেন। তখন আমি আইনজীবীদের নিয়ে সেখান থেকে সরে যাই।”
ঘটনার বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির জানান, “আজকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। যে আইনজীবী এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ ঘটনার পর আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আইনজীবীদের একটি অংশ আওয়ামী লীগবিরোধী স্লোগান দেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এতে আইনজীবী ও রাজনৈতিক নেতাসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল নোমান, অ্যাড. হাসিবুর রহমান, কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আতিকুল ইসলাম দিপু, কলাপাড়া পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল এবং পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজল তালুকদার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামিন শুনানির সময় দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে তর্কাতর্কি শুরু হয়, যা পরে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনজীবীদের হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায়।
ঘটনার সময় আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমি পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরপরই আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল নোমানের ওপর আক্রমণ করেন।”
অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, “জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগপন্থী হয়ে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করছেন। তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জামিনে বাধা সৃষ্টি করেন এবং হুমকি-ধামকি দেন।”
অপরদিকে, এই অভিযোগ অস্বীকার করে পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন শরীফ বলেন, “এই মামলার দুজন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল নোমান উচ্চস্বরে কথা বলা ও অশোভন আচরণ শুরু করেন। তখন অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বহিরাগতদের নিয়ে তিনি আইনজীবীদের ওপর হামলার চেষ্টা করেন। তখন আমি আইনজীবীদের নিয়ে সেখান থেকে সরে যাই।”
ঘটনার বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির জানান, “আজকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। যে আইনজীবী এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ ঘটনার পর আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আইনজীবীদের একটি অংশ আওয়ামী লীগবিরোধী স্লোগান দেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.