dreamliferupatolibarisal

ঝালকাঠি

ঝালকাঠিতে বাবুই পাখি হত্যার ঘটনায় ২ মামলা

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

২৯ জুন, ২০২৫ ১৮:৪৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ঝালকাঠিতে বাবুই পাখি হত্যার ঘটনায় ২ মামলা

ঝালকাঠির পূর্ব গুয়াটনে তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস এবং ছানা হত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। ঝালকাঠি সদর থানায় ফৌজদারি আইনে এবং বন বিভাগে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলাগুলো হয়েছে। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত তিনজনই পলাতক রয়েছেন।

‎রোববার (২৯ জুন) দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় থাকা তালগাছ কাটার অপরাধে সদর থানায় মোবারক আলী, মিজানুর রহমান ও ফারুক হোসেনের নামে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

একইসঙ্গে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বাবুই পাখির ছানা হত্যা ও ডিম ধ্বংস করার অপরাধে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী ‘POR নং ০১/ঝাল/২০২৪-২৫’ নামে একটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে।

‎সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান বলেন, বাবুই পাখির আবাসস্থল ও পাখি হত্যা করার অপরাধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী আমি বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি। আশা করি, আদালত ন্যায় বিচারের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি দেবেন।

‎সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, তাল গাছ কেটে আবাসস্থল ধ্বংস ও পাখি হত্যার অপরাধে দুটি মামলা হয়েছে। একটি সদর থানা ও আরেকটি জেলা জজ আদালতে। ঘটনাটি নিয়ে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। মামলা দায়েরের পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

‎উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে ঝালকাঠি সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াটন এলাকার একটি তালগাছ কেটে ফেলা হয়। মোবারক আলী ফকিরের মালিকানাধীন জমির পার্শ্ববর্তী একটি সড়কের পাশে ওই তালগাছটি বহু বছর ধরে বাবুই পাখির নিরাপদ আশ্রয় ও প্রজননকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। গাছটিতে অসংখ্য ঝুলন্ত বাসা, ডিম ও ছানা ছিল। ‎মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি গাছটি ক্রয় করে কাটেন, যার সহযোগিতায় ছিলেন ফারুক হোসেন। গাছ কাটার সময় অসংখ্য বাসা নিচে পড়ে গিয়ে ডিম ভেঙে যায় এবং ছানাগুলো মাটিতে পড়ে মারা যায়।

ঝালকাঠিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৪৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ঝালকাঠিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

ঝালকাঠি জেল প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসক দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে অবাধে গবাদিপশু জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

একদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা ও জনসচেতনতার অভাবে চলছে পশু জবাইসহ মাংস ক্রয়-বিক্রয়। জবাই করা পশুর কোনো রোগ-বালাই রয়েছে কিনা এমন কোনো ধারণাও রাখেন না কেউ। এর ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। আইন প্রয়োগের দায়িত্ব প্রাণিসম্পদ ও প্রশাসনের হলেও তাদের নেই কোনো তৎপরতা। এতে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। জেলায় যেসব এলাকায় গরু, ছাগল ও ভেড়া জবাই করা হয়।

প্রতিটি গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্বে একজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। পশু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়ায় জনসাধারণের মাঝে বাড়ছে সংক্রামকজনিত রোগবালাই।

 সদর উপজেলার আবদুস সালাম , জাকির হোসেন নলছিটি উপজেলার এইচ এম সিজার বলেন, পশু অসুস্থ নাকি সুস্থ ছিল আমরা তাও জানি না। নিয়ম অনুযায়ী পশু জবাই করার আগে চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র এবং পশুর শরীরে সিল দেবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের তদারকি না থাকায় লোকজন মারা যাওয়া পশুর মাংস, নাকি রোগাক্রান্ত গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়ার মাংস খাচ্ছে, তা বোঝার কোনো উপায় নেই।

গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ছাড়পত্র আছে কি নেই, এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাংস ব্যবসায়ী বলেন, ৫ আগস্টের আগে নিয়মিত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হতো এখন আর তা করা হয়না বা প্রশাসনের কেউ থাকেন না।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নীরোদ বরণ জয়ধর বলেন,আমি নতুন যোগদান করেছি। কেনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছেনা বিষয়টি জেনে বলতে পারবো।

ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা.হুমায়ুন কবির বলেন,স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক জায়গায় খোলা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এরপর থেকে যাতে তদারকি করে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, বিষয়টি জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হবে।

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নলছিটিতে বিএনপির উঠান বৈঠক

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৪২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নলছিটিতে বিএনপির উঠান বৈঠক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত ও সংস্কারের ৩১ দফায় নারীদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে ঝালকাঠির নলছিটিতে অভিহিতকরণ সভা ও উঠান বৈঠক করেছে বিএনপি।

‎শনিবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের চর কয়া এলাকায় এ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মো. শাহাদাত হোসেন।

ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. নান্টু মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন নলছিটি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম গাজী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) অ্যাড. মো. মিজানুর রহমান মুবিন।

উঠান বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন, ঝালকাঠি সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আনিসুজ্জামান চপল, ঝালকাঠি পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আ. রাজ্জাক রনি, নলছিটি উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলফিকার আলি বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুম শরিফ, সরদার মো. মহিউদ্দিন মঈন, দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম রিমন আকনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

‎প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাড. মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফায় মা-বোন, কৃষক-শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

এই ৩১ দফার ভিত্তিতে দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীর রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। এতে করে দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং দেশ গঠনে তাদের কার্যকর ভূমিকা থাকবে। উঠান বৈঠক শেষে  অ্যাড. শাহাদাত হোসেন ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করেন।

ঝালকাঠিতে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ঝালকাঠিতে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ঝালকাঠি সদর উপজেলার ৮নং ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছোবাহান আকন (৬৭) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সদর থানা পুলিশের অভিযানে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, ছোবাহান আকন বিএনপির সাবেক নেত্রী মুক্তার বুরুণ হত্যা মামলার আসামি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। শুক্রবার রাত বারোটার দিকে তাঁর বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছোবাহান আকনের বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। অস্ত্র মহড়া,হামলা, চাঁদাবাজি, জমি দখলের ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানিসহ নানা কর্মকাণ্ডে তাঁর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ স্থানীয়দের মধ্যে রয়েছে।

এছাড়া তাঁর ছেলেরা জাল টাকা ও মাদক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের কাছে একাধিক মামলা রয়েছে। ঢাকা বাড্ডা থানার জাল টাকা মামলা নং ৩৯ (তারিখ: ২৯.১০.২০১৮)-এ আসামি হিসেবে নুহু আকন ও শাহিন আকনের নাম রয়েছে। একইভাবে বিশেষ জজ আদালতে মাদক মামলা নং ১৮৮/১০-এ তাঁর ছেলে শিফাত আকনের নাম আছে।

ছোবাহান আকনের পরিবারের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক ও জাল টাকা সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন। এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “গ্রেপ্তার ছোবাহান আকনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.