dreamliferupatolibarisal

বরগুনা

বরগুনায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্ট, ডেঙ্গুর চিকিৎসা দিতে বিপাকে চিকিৎসকরা

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

১৭ জুন, ২০২৫ ১৭:৫২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরগুনায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্ট, ডেঙ্গুর চিকিৎসা দিতে বিপাকে চিকিৎসকরা

বরগুনায় মহামারি আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এ অবস্থায় হাসপাতালে রোগীদের বার্তি চাপে পরীক্ষা সঙ্কটে বেশিরভাগ রোগী ছুটছেন বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।

তবে এসব পরীক্ষায় একের পর এক ভুল রিপোর্ট ধরা পড়ায় চিকিৎসা দিতে বিপাকে পড়ছেন চিকিৎসকরা। অপরদিকে একই পরীক্ষা বারবার করায় বাড়তি টাকা খরচের ভোগান্তি ভুক্তভোগীদের।

সরেজমিনে বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্ধারিত ৫৫টি বেডের বিপরীতে প্রায় দেড় শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদের মধ্যে গত তিন দিন আগে ৯৩ হাজার প্লাটিলেট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বরগুনা সদর উপজেলার খেজুরতলা নামক এলাকার বাসিন্দা মো. সাগর। এর এক দিন পর ১৬ জুন হাসপাতালের বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তিনি পরীক্ষা করেন।

এ সময় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দেওয়া রিপোর্টে সাগরের মাত্র ১ হাজার ২৬০ প্লাটিলেট পরিমাপ করা হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে পূনরায় পরীক্ষা করতে বললে একই দিনে তিন থেকে চার ঘণ্টার ব্যবধানে আরেকটি ক্লিনিকের পরীক্ষায় সাগরের প্লাটিলেট পরিমাপ করা হয় ১ লাখ ৪৯ হাজার।

ভুক্তভোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সাগর বলেন, ডাক্তারকে শারীরিক অবস্থা জানাতে বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করি। সেখান থেকে আমার ১ হাজার ২৬০ প্লাটিলেট পরিমাপ করে রিপোর্ট দেওয়া হয়। রিপোর্ট দেখে আমি ভয় পেয়ে তড়িঘড়ি করে বরিশাল যেতে চাই। এ ছাড়া ভয়ে আমার বুক কাঁপা শুরু করে। পরে ওই রিপোর্টটি ডাক্তারকে দেখালে রিপোর্টে ভুল হয়েছে জানিয়ে আবারও পরীক্ষা করতে বলেন। পরবর্তী অন্য একটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করলে ১ লাখ ৪৯ হাজার প্লাটিলেট আছে এমন রিপোর্ট দেওয়া হয়।

ফোরকান নামে সাগরের এক মামা বলেন, বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সোহাগের পরীক্ষায় ১ হাজার ২৬০ প্লাটিলেট পরিমাপ করে রিপোর্ট দেয়। তবে ওই রিপোর্ট ভুল হয়েছে বলে ডাক্তার আবারও পরীক্ষা করতে বলেন। আমারা এমনিতেই রোগী নিয়ে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির মধ্যে থাকি। এরপর আবার ভুল রিপোর্টের কারণে এক পরীক্ষা বারবার করে বাড়তি টাকা খরচ করতে হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু সাগর নয় আরও অনেকেরই পরীক্ষার রিপোর্ট ভুল দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন রোগী ও স্বজনদের। খেজুর তলা এলাকার বাসিন্দা মরিয়ম নামে আরও এক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সঙ্গেও ঘটেছে এমন ঘটনা। তিনি গত শুক্রবার ৬৭ হাজার প্লাটিলেট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন স্থানীয় অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে তার প্লাটিলেট পরিমাপ করা হয় ২ লাখ ৯৬ হাজার। তবে এক দিনের ব্যবধানে এমন রিপোর্ট দেখে সন্দেহ হয় চিকিৎসকের। পরে আরেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে প্লাটিলেট দেখায় ৫৪ হাজার।

এর আগে গত ১১ জুন একই ক্লিনিক থেকে ১০ বছর বয়সী তানিয়া নামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এক শিশুর পরীক্ষায়ও দেওয়া হয় ভুল রিপোর্ট। ক্লিনিকের দেওয়া রিপোর্টে তার প্লাটিলেট দেখায় ১৮ লাখ ৯৫ হাজার। ভুক্তভোগী মরিয়ম বলেন, পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে ডাক্তার আমাকে আবারও পরীক্ষা করতে বলেছেন। কি হয়েছে বা না হয়েছে আমি তা বলতে পারি না।

হাসপাতালে ভর্তি ১৩ বছর বয়সী মুসা নামে এক রোগীর স্বজন মো. আব্দুস সালাম বলেন, সোমবার প্রথমে অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করলে ৪৭ হাজার প্লাটিলেট পাওয়া যায়। পরে একই সময়ে আরেকটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করালে ৮৯ হাজার প্লাটিলেটের রিপোর্ট দেওয়া হয়। একেক ক্লিনিকের একেক ধরনের রিপোর্ট, কোন রিপোর্টটি সঠিক তা আমরা কিভাবে বুঝবো।

ভুল রিপোর্ট রোগীকে প্রদান করার বিষয়ে অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালীক সজীব বলেন, টাইপিং ভুলের কারণে রিপোর্ট ভুল হতে পারে। তবে এসব ভুল অনিচ্ছেকৃতভাবে হয়েছে।

বরগুনা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, প্লাটিলেট পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের মেশিনটি দামি। বাইরের ক্লিনিকগুলোতে যে মেশিন রয়েছে তা কম দামের এবং অনেক নিম্নমানের।

সে কারণে বাইরে থেকে অনেক সময় সঠিক রিপোর্ট আসে না। যদি হাসপাতালেই রোগীদের এ পরীক্ষাটি করা হয় তাহলে রোগীরা সঠিক রিপোর্ট এবং সঠিক চিকিৎসা পাবে। এ ছাড়া রোগীদের হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি তাদের বাড়তি টাকাও খরচ হবে না।

বরগুনার বেসরকারি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মানোন্নয়নে নিয়ন্ত্রণকারী দপ্তরকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসপাতালে দায়িত্বরত মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. আশিকুর রহমান বলেন, রিপোর্ট নিয়ে আমাদের চিন্তায় পড়তে হয়।

কিছু কিছু রিপোর্ট দেখেই তা অসামঞ্জস্য মনে হয়। তখন আমরা রোগীকে কষ্ট হলেও আরেকবার আরেক জায়গায় পুনরায় পরীক্ষা করতে বলি। তবে এতে রোগীদের অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়।

আমাদের হাসপাতালে পরীক্ষা হয় তবে অতিরিক্ত রোগীর চাপে ভীড় এড়াতে অনেকেই বাইরে থেকে পরীক্ষা করেন। প্লাটিলেট যেহেতু আমরা চোখে দেখি না তাই রিপোর্টটের ওপর ভিত্তি করেই চিকিৎসা দিতে হয়। তবে আমরা আগের রিপোর্টের সঙ্গে বর্তমান রিপোর্ট মিলিয়ে দেখে যদি খুব বেশি পার্থক্য আসে তাহলে রোগীকে আবারও পরীক্ষা করতে বলি।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. রেজওয়ানুর আলম বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে সিভিসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে অতিরিক্ত ভর্তি থাকায় শুধু ইনডোরের রোগীদের পরীক্ষা করা হয়। আশা করি, খুব দ্রুতই বেশি পরিমাণ পরীক্ষা হাসপাতালেই করা যাবে। তবে বাইরের ক্লিনিক থেকে উল্টাপাল্টা রিপোর্ট হলে রোগীর চিকিৎসা করাটাও চিকিৎসকের জন্য বিপদজনক।

তালতলীতে জলবায়ু ঋণ বাতিল করার দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচি

রিয়াজুল ইসলাম, তালতলী

রিয়াজুল ইসলাম, তালতলী

১৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:১০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

তালতলীতে জলবায়ু ঋণ বাতিল করার দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচি

ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায্য রূপান্তর এখনই' এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জলবায়ু ঋণ বাতিল করার দাবিতে বরগুনার তালতলীতে পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা),  পিপীলিকা'র পাঠশালা, বিডি ক্লিন-তালতলী ও নিদ্রা পর্যটন উদ্যোক্তা কমিটির আয়োজনে এ পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এ পদযাত্রা উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু হয়ে সোনাকাটা ইউনিয়নের নিদ্রার চর সৈকতে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শতাধিক শিক্ষার্থী পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের শরীরে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি সম্বলিত টি শার্ট ও বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।

বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ-সম্পাদক আবু জাফর সালেহ পদযাত্রা কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, বরগুনা জেলা টেলিভিশন ফোরামের সাবেক সাধারণ-সম্পাদক বেলাল হোসেন মিলন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ'র (তালতলী-আমতলী) সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, পরিবেশ ও উন্নয়নকর্মী এম মিলন, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী মো. মোস্তাফিজ, তালতলী চারুকলা একাডেমীর পরিচালক রফিকুল ইসলাম অন্তর প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, 'আমাদের সকল প্রকার জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে নবায়ন শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।উপকূলীয় অঞ্চলে সূর্যের তাপ বেশি উষ্ণ বিধায় এখানে সোলার প্রযুক্তি স্থাপন, সমুদ্র তীরের বাতাসকে ব্যবহার করে বায়োবিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রামীণ এলাকায় বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করতে হবে। সকল প্রকার জলবায়ু ঋণ বাতিল করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।'

মিথ্যা মামলা করায় বাদীকে কারাদণ্ড, আসামি খালাস

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৩০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

মিথ্যা মামলা করায় বাদীকে কারাদণ্ড, আসামি খালাস

বরগুনায় মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাদীকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শরীয়ত উল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব স্বপন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মিলটন মুন্সি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া এলাকার মো. শাহজাহান মুন্সির ছেলে।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, মিলটন মুন্সি বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণ লাকুরতলা এলাকায় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সুলতান আহমেদের সম্পত্তির দেখভাল করতেন। জমি দখল নিয়ে হুমকি ও ভয়ভীতির অভিযোগে তিনি মো. মহিউদ্দিন বাদল (৫৫) ও মো. নাসির উদ্দিন (৫৮) নামে দুইজনের বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আদালত জিডিটি আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করেন।

পরবর্তীতে মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(২) ধারায় বাদী মিলটন মুন্সিকে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব স্বপন বলেন, ‘বাদী মিলটন মুন্সি আদালতে তার অভিযোগের পক্ষে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন। ফলে অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(২) ধারায় আদালত তাকে সাত দিনের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন। অভিযুক্ত দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এটি আইন অঙ্গনে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।’

বরগুনায় ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পর চাচার হাতে এবার ভাতিজি খুন

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৩৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরগুনায় ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পর চাচার হাতে এবার ভাতিজি খুন

বরগুনার তালতলী উপজেলায় ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পর এবার নিজের ছয় বছর বয়সী ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে চাচা হাবিব ওরফে হাবিল খান (২৭)। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটার পরপরই পুলিশ ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত তাননুর আক্তার নাবিল (৬) ইদুপাড়া গ্রামের দুলাল খানের মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে দোকানে বিস্কুট কিনতে গেলে হঠাৎ পেছন দিক থেকে চাচা হাবিল একটি গড়ান কাঠের লাঠি দিয়ে শিশুটির মাথা ও হাতে আঘাত করে।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ডা. রকিবুল ইসলাম তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফার্ড করেন। পথে শিশুটি মৃত্যুবরণ করে।

এদিকে হত্যার ঘটনার পর স্থানীয়রা হাবিলকে ধাওয়া করে এবং পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক হাবিল ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে তার বড় ভাই দুলাল খানের প্রথম স্ত্রী তানিয়া বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেছিল। সে সময় তার বয়স ছিল ১৭ বছর। শিশু আইনে সে ৯ বছর সাজাভোগের পর ২০২৪ সালের শুরুর দিকে জামিনে মুক্তি পায়।

মুক্তির এক বছর না যেতেই আবারও ঘাতক রূপে ফিরে এলো সে। এবার বড়ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী ফাহিমা আক্তারের কন্যা তাননুর আক্তারকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পর চাচার হাতে এবার ভাতিজি খুন

নিহত শিশুর বাবা দুলাল খান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘২০১৫ সালে আমার প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করেছে। এখন আমার ছোট মেয়ে তাননুকেও পিটিয়ে মেরেছে। আমার জীবনে আর কিছুই রইল না। আমি ঘাতক হাবিলের ফাঁসি চাই।’

প্রত্যক্ষদর্শী রানা হাওলাদার জানান, তাননু দোকানে যাওয়ার পথে হাবিল পেছন দিক থেকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

ইউপি সদস্য মো. টুকু সিকদার ও সাবেক ইউপি সদস্য সালাম হাওলাদার বলেন, ‘ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা হাবিলকে ধাওয়া করলে সে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে।’

এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটির মাথা ও হাতের কনুইয়ে গুরুতর জখম ছিল। বরিশালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।’

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, ‘ঘাতক হাবিল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটির মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে এবং বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। শিশুর বাবা দুলাল খান বাদী হয়ে হাবিলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.