১৭ জুন, ২০২৫ ১৭:৫২
বরগুনায় মহামারি আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এ অবস্থায় হাসপাতালে রোগীদের বার্তি চাপে পরীক্ষা সঙ্কটে বেশিরভাগ রোগী ছুটছেন বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
তবে এসব পরীক্ষায় একের পর এক ভুল রিপোর্ট ধরা পড়ায় চিকিৎসা দিতে বিপাকে পড়ছেন চিকিৎসকরা। অপরদিকে একই পরীক্ষা বারবার করায় বাড়তি টাকা খরচের ভোগান্তি ভুক্তভোগীদের।
সরেজমিনে বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্ধারিত ৫৫টি বেডের বিপরীতে প্রায় দেড় শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদের মধ্যে গত তিন দিন আগে ৯৩ হাজার প্লাটিলেট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বরগুনা সদর উপজেলার খেজুরতলা নামক এলাকার বাসিন্দা মো. সাগর। এর এক দিন পর ১৬ জুন হাসপাতালের বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তিনি পরীক্ষা করেন।
এ সময় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দেওয়া রিপোর্টে সাগরের মাত্র ১ হাজার ২৬০ প্লাটিলেট পরিমাপ করা হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে পূনরায় পরীক্ষা করতে বললে একই দিনে তিন থেকে চার ঘণ্টার ব্যবধানে আরেকটি ক্লিনিকের পরীক্ষায় সাগরের প্লাটিলেট পরিমাপ করা হয় ১ লাখ ৪৯ হাজার।
ভুক্তভোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সাগর বলেন, ডাক্তারকে শারীরিক অবস্থা জানাতে বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করি। সেখান থেকে আমার ১ হাজার ২৬০ প্লাটিলেট পরিমাপ করে রিপোর্ট দেওয়া হয়। রিপোর্ট দেখে আমি ভয় পেয়ে তড়িঘড়ি করে বরিশাল যেতে চাই। এ ছাড়া ভয়ে আমার বুক কাঁপা শুরু করে। পরে ওই রিপোর্টটি ডাক্তারকে দেখালে রিপোর্টে ভুল হয়েছে জানিয়ে আবারও পরীক্ষা করতে বলেন। পরবর্তী অন্য একটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করলে ১ লাখ ৪৯ হাজার প্লাটিলেট আছে এমন রিপোর্ট দেওয়া হয়।
ফোরকান নামে সাগরের এক মামা বলেন, বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সোহাগের পরীক্ষায় ১ হাজার ২৬০ প্লাটিলেট পরিমাপ করে রিপোর্ট দেয়। তবে ওই রিপোর্ট ভুল হয়েছে বলে ডাক্তার আবারও পরীক্ষা করতে বলেন। আমারা এমনিতেই রোগী নিয়ে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির মধ্যে থাকি। এরপর আবার ভুল রিপোর্টের কারণে এক পরীক্ষা বারবার করে বাড়তি টাকা খরচ করতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু সাগর নয় আরও অনেকেরই পরীক্ষার রিপোর্ট ভুল দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন রোগী ও স্বজনদের। খেজুর তলা এলাকার বাসিন্দা মরিয়ম নামে আরও এক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সঙ্গেও ঘটেছে এমন ঘটনা। তিনি গত শুক্রবার ৬৭ হাজার প্লাটিলেট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন স্থানীয় অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে তার প্লাটিলেট পরিমাপ করা হয় ২ লাখ ৯৬ হাজার। তবে এক দিনের ব্যবধানে এমন রিপোর্ট দেখে সন্দেহ হয় চিকিৎসকের। পরে আরেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে প্লাটিলেট দেখায় ৫৪ হাজার।
এর আগে গত ১১ জুন একই ক্লিনিক থেকে ১০ বছর বয়সী তানিয়া নামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এক শিশুর পরীক্ষায়ও দেওয়া হয় ভুল রিপোর্ট। ক্লিনিকের দেওয়া রিপোর্টে তার প্লাটিলেট দেখায় ১৮ লাখ ৯৫ হাজার। ভুক্তভোগী মরিয়ম বলেন, পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে ডাক্তার আমাকে আবারও পরীক্ষা করতে বলেছেন। কি হয়েছে বা না হয়েছে আমি তা বলতে পারি না।
হাসপাতালে ভর্তি ১৩ বছর বয়সী মুসা নামে এক রোগীর স্বজন মো. আব্দুস সালাম বলেন, সোমবার প্রথমে অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করলে ৪৭ হাজার প্লাটিলেট পাওয়া যায়। পরে একই সময়ে আরেকটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করালে ৮৯ হাজার প্লাটিলেটের রিপোর্ট দেওয়া হয়। একেক ক্লিনিকের একেক ধরনের রিপোর্ট, কোন রিপোর্টটি সঠিক তা আমরা কিভাবে বুঝবো।
ভুল রিপোর্ট রোগীকে প্রদান করার বিষয়ে অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালীক সজীব বলেন, টাইপিং ভুলের কারণে রিপোর্ট ভুল হতে পারে। তবে এসব ভুল অনিচ্ছেকৃতভাবে হয়েছে।
বরগুনা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, প্লাটিলেট পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের মেশিনটি দামি। বাইরের ক্লিনিকগুলোতে যে মেশিন রয়েছে তা কম দামের এবং অনেক নিম্নমানের।
সে কারণে বাইরে থেকে অনেক সময় সঠিক রিপোর্ট আসে না। যদি হাসপাতালেই রোগীদের এ পরীক্ষাটি করা হয় তাহলে রোগীরা সঠিক রিপোর্ট এবং সঠিক চিকিৎসা পাবে। এ ছাড়া রোগীদের হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি তাদের বাড়তি টাকাও খরচ হবে না।
বরগুনার বেসরকারি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মানোন্নয়নে নিয়ন্ত্রণকারী দপ্তরকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসপাতালে দায়িত্বরত মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. আশিকুর রহমান বলেন, রিপোর্ট নিয়ে আমাদের চিন্তায় পড়তে হয়।
কিছু কিছু রিপোর্ট দেখেই তা অসামঞ্জস্য মনে হয়। তখন আমরা রোগীকে কষ্ট হলেও আরেকবার আরেক জায়গায় পুনরায় পরীক্ষা করতে বলি। তবে এতে রোগীদের অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়।
আমাদের হাসপাতালে পরীক্ষা হয় তবে অতিরিক্ত রোগীর চাপে ভীড় এড়াতে অনেকেই বাইরে থেকে পরীক্ষা করেন। প্লাটিলেট যেহেতু আমরা চোখে দেখি না তাই রিপোর্টটের ওপর ভিত্তি করেই চিকিৎসা দিতে হয়। তবে আমরা আগের রিপোর্টের সঙ্গে বর্তমান রিপোর্ট মিলিয়ে দেখে যদি খুব বেশি পার্থক্য আসে তাহলে রোগীকে আবারও পরীক্ষা করতে বলি।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. রেজওয়ানুর আলম বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে সিভিসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে অতিরিক্ত ভর্তি থাকায় শুধু ইনডোরের রোগীদের পরীক্ষা করা হয়। আশা করি, খুব দ্রুতই বেশি পরিমাণ পরীক্ষা হাসপাতালেই করা যাবে। তবে বাইরের ক্লিনিক থেকে উল্টাপাল্টা রিপোর্ট হলে রোগীর চিকিৎসা করাটাও চিকিৎসকের জন্য বিপদজনক।
বরগুনায় মহামারি আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এ অবস্থায় হাসপাতালে রোগীদের বার্তি চাপে পরীক্ষা সঙ্কটে বেশিরভাগ রোগী ছুটছেন বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
তবে এসব পরীক্ষায় একের পর এক ভুল রিপোর্ট ধরা পড়ায় চিকিৎসা দিতে বিপাকে পড়ছেন চিকিৎসকরা। অপরদিকে একই পরীক্ষা বারবার করায় বাড়তি টাকা খরচের ভোগান্তি ভুক্তভোগীদের।
সরেজমিনে বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্ধারিত ৫৫টি বেডের বিপরীতে প্রায় দেড় শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদের মধ্যে গত তিন দিন আগে ৯৩ হাজার প্লাটিলেট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বরগুনা সদর উপজেলার খেজুরতলা নামক এলাকার বাসিন্দা মো. সাগর। এর এক দিন পর ১৬ জুন হাসপাতালের বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তিনি পরীক্ষা করেন।
এ সময় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দেওয়া রিপোর্টে সাগরের মাত্র ১ হাজার ২৬০ প্লাটিলেট পরিমাপ করা হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে পূনরায় পরীক্ষা করতে বললে একই দিনে তিন থেকে চার ঘণ্টার ব্যবধানে আরেকটি ক্লিনিকের পরীক্ষায় সাগরের প্লাটিলেট পরিমাপ করা হয় ১ লাখ ৪৯ হাজার।
ভুক্তভোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সাগর বলেন, ডাক্তারকে শারীরিক অবস্থা জানাতে বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করি। সেখান থেকে আমার ১ হাজার ২৬০ প্লাটিলেট পরিমাপ করে রিপোর্ট দেওয়া হয়। রিপোর্ট দেখে আমি ভয় পেয়ে তড়িঘড়ি করে বরিশাল যেতে চাই। এ ছাড়া ভয়ে আমার বুক কাঁপা শুরু করে। পরে ওই রিপোর্টটি ডাক্তারকে দেখালে রিপোর্টে ভুল হয়েছে জানিয়ে আবারও পরীক্ষা করতে বলেন। পরবর্তী অন্য একটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করলে ১ লাখ ৪৯ হাজার প্লাটিলেট আছে এমন রিপোর্ট দেওয়া হয়।
ফোরকান নামে সাগরের এক মামা বলেন, বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সোহাগের পরীক্ষায় ১ হাজার ২৬০ প্লাটিলেট পরিমাপ করে রিপোর্ট দেয়। তবে ওই রিপোর্ট ভুল হয়েছে বলে ডাক্তার আবারও পরীক্ষা করতে বলেন। আমারা এমনিতেই রোগী নিয়ে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির মধ্যে থাকি। এরপর আবার ভুল রিপোর্টের কারণে এক পরীক্ষা বারবার করে বাড়তি টাকা খরচ করতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু সাগর নয় আরও অনেকেরই পরীক্ষার রিপোর্ট ভুল দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন রোগী ও স্বজনদের। খেজুর তলা এলাকার বাসিন্দা মরিয়ম নামে আরও এক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সঙ্গেও ঘটেছে এমন ঘটনা। তিনি গত শুক্রবার ৬৭ হাজার প্লাটিলেট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন স্থানীয় অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে তার প্লাটিলেট পরিমাপ করা হয় ২ লাখ ৯৬ হাজার। তবে এক দিনের ব্যবধানে এমন রিপোর্ট দেখে সন্দেহ হয় চিকিৎসকের। পরে আরেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে প্লাটিলেট দেখায় ৫৪ হাজার।
এর আগে গত ১১ জুন একই ক্লিনিক থেকে ১০ বছর বয়সী তানিয়া নামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এক শিশুর পরীক্ষায়ও দেওয়া হয় ভুল রিপোর্ট। ক্লিনিকের দেওয়া রিপোর্টে তার প্লাটিলেট দেখায় ১৮ লাখ ৯৫ হাজার। ভুক্তভোগী মরিয়ম বলেন, পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে ডাক্তার আমাকে আবারও পরীক্ষা করতে বলেছেন। কি হয়েছে বা না হয়েছে আমি তা বলতে পারি না।
হাসপাতালে ভর্তি ১৩ বছর বয়সী মুসা নামে এক রোগীর স্বজন মো. আব্দুস সালাম বলেন, সোমবার প্রথমে অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করলে ৪৭ হাজার প্লাটিলেট পাওয়া যায়। পরে একই সময়ে আরেকটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করালে ৮৯ হাজার প্লাটিলেটের রিপোর্ট দেওয়া হয়। একেক ক্লিনিকের একেক ধরনের রিপোর্ট, কোন রিপোর্টটি সঠিক তা আমরা কিভাবে বুঝবো।
ভুল রিপোর্ট রোগীকে প্রদান করার বিষয়ে অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালীক সজীব বলেন, টাইপিং ভুলের কারণে রিপোর্ট ভুল হতে পারে। তবে এসব ভুল অনিচ্ছেকৃতভাবে হয়েছে।
বরগুনা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, প্লাটিলেট পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের মেশিনটি দামি। বাইরের ক্লিনিকগুলোতে যে মেশিন রয়েছে তা কম দামের এবং অনেক নিম্নমানের।
সে কারণে বাইরে থেকে অনেক সময় সঠিক রিপোর্ট আসে না। যদি হাসপাতালেই রোগীদের এ পরীক্ষাটি করা হয় তাহলে রোগীরা সঠিক রিপোর্ট এবং সঠিক চিকিৎসা পাবে। এ ছাড়া রোগীদের হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি তাদের বাড়তি টাকাও খরচ হবে না।
বরগুনার বেসরকারি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মানোন্নয়নে নিয়ন্ত্রণকারী দপ্তরকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসপাতালে দায়িত্বরত মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. আশিকুর রহমান বলেন, রিপোর্ট নিয়ে আমাদের চিন্তায় পড়তে হয়।
কিছু কিছু রিপোর্ট দেখেই তা অসামঞ্জস্য মনে হয়। তখন আমরা রোগীকে কষ্ট হলেও আরেকবার আরেক জায়গায় পুনরায় পরীক্ষা করতে বলি। তবে এতে রোগীদের অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়।
আমাদের হাসপাতালে পরীক্ষা হয় তবে অতিরিক্ত রোগীর চাপে ভীড় এড়াতে অনেকেই বাইরে থেকে পরীক্ষা করেন। প্লাটিলেট যেহেতু আমরা চোখে দেখি না তাই রিপোর্টটের ওপর ভিত্তি করেই চিকিৎসা দিতে হয়। তবে আমরা আগের রিপোর্টের সঙ্গে বর্তমান রিপোর্ট মিলিয়ে দেখে যদি খুব বেশি পার্থক্য আসে তাহলে রোগীকে আবারও পরীক্ষা করতে বলি।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. রেজওয়ানুর আলম বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে সিভিসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে অতিরিক্ত ভর্তি থাকায় শুধু ইনডোরের রোগীদের পরীক্ষা করা হয়। আশা করি, খুব দ্রুতই বেশি পরিমাণ পরীক্ষা হাসপাতালেই করা যাবে। তবে বাইরের ক্লিনিক থেকে উল্টাপাল্টা রিপোর্ট হলে রোগীর চিকিৎসা করাটাও চিকিৎসকের জন্য বিপদজনক।
১৬ আগস্ট, ২০২৫ ২০:২৩
বরগুনার আমতলীতে গাছ কেটে নেওয়ার মামলায় জামিনে বের হয়ে এসে এক যুবদল নেতা বাদীর ঘর ভেঙে ট্রলারে তুলে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার উত্তর কলাগাছিয়া গ্রামে জাকির মাতুব্বরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মলাই চন্দ্র পলাশ গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, সরকার থেকে এক একর জমি বন্দোবস্ত নিয়ে সেখানে বাড়ি করে ২৪ বছর ধরে বাস করছেন জাকির। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৭ আগস্ট যুবদল নেতা মলাই ওই বাড়ির অন্তত ৮ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেন।
এ ঘটনায় ৮ ডিসেম্বর বরগুনা দ্রুত বিচার আদালতে মলাইকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নামে মামলা করেন জাকির। এই মামলায় মলাই বেশ কিছুদিন জেলহাজতে থেকে পরে আপসের শর্তে জামিনে বের হন।
তিনি শুক্রবার রাতে ২০-২৫ সঙ্গীসহ ওই বাড়িতে গিয়ে লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘর ভেঙে নিয়ে যান। আজ শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘরের ভিটা খালি। স্থানীয় রফিক মৃধা ও গ্রাম পুলিশ সদস্য নয়া মিয়া বলেন, ওই স্থানের ঘরে জাকির বসবাস করতেন।
জাকিরের স্ত্রী রাজিয়া বেগম বলেন, ‘মলাই চন্দ্র পলাশ ২০-২৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী এনে অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে আমাদের সবাইকে একটি ঘরে আটকে রাখে।
পরে তাঁরা আমার ঘর ভেঙে ট্রলারে তুলে নিয়ে যান। আমি এ ঘটনায় তাঁর শাস্তি দাবি করছি।’ যোগাযোগ করা হলে মলাই বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।’
এ নিয়ে কথা হলে আমতলী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. কবির ফকির বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কোনো কাজ করলে তদন্ত সাপেক্ষে তাঁর (মলাই) বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এ বিষয়ে আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরগুনার আমতলীতে গাছ কেটে নেওয়ার মামলায় জামিনে বের হয়ে এসে এক যুবদল নেতা বাদীর ঘর ভেঙে ট্রলারে তুলে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার উত্তর কলাগাছিয়া গ্রামে জাকির মাতুব্বরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মলাই চন্দ্র পলাশ গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, সরকার থেকে এক একর জমি বন্দোবস্ত নিয়ে সেখানে বাড়ি করে ২৪ বছর ধরে বাস করছেন জাকির। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৭ আগস্ট যুবদল নেতা মলাই ওই বাড়ির অন্তত ৮ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেন।
এ ঘটনায় ৮ ডিসেম্বর বরগুনা দ্রুত বিচার আদালতে মলাইকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নামে মামলা করেন জাকির। এই মামলায় মলাই বেশ কিছুদিন জেলহাজতে থেকে পরে আপসের শর্তে জামিনে বের হন।
তিনি শুক্রবার রাতে ২০-২৫ সঙ্গীসহ ওই বাড়িতে গিয়ে লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘর ভেঙে নিয়ে যান। আজ শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘরের ভিটা খালি। স্থানীয় রফিক মৃধা ও গ্রাম পুলিশ সদস্য নয়া মিয়া বলেন, ওই স্থানের ঘরে জাকির বসবাস করতেন।
জাকিরের স্ত্রী রাজিয়া বেগম বলেন, ‘মলাই চন্দ্র পলাশ ২০-২৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী এনে অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে আমাদের সবাইকে একটি ঘরে আটকে রাখে।
পরে তাঁরা আমার ঘর ভেঙে ট্রলারে তুলে নিয়ে যান। আমি এ ঘটনায় তাঁর শাস্তি দাবি করছি।’ যোগাযোগ করা হলে মলাই বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।’
এ নিয়ে কথা হলে আমতলী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. কবির ফকির বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কোনো কাজ করলে তদন্ত সাপেক্ষে তাঁর (মলাই) বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এ বিষয়ে আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:৪৯
বরগুনার তালতলীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রাথমিক সদস্য ভর্তি ফরম বিতরন ও নবায়ন কর্মসুচীর উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তালতলী মডেল মসজিদের সভা কক্ষে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সভায় সদস্য ভর্তি ফরম বিতরন ও নবায়ন কর্মসুচীর শুভ উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য ও বরগুনা জেলার সদস্য বাছাই টিমের কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জামাল হোসেন।
সভায় উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের হাতে সদস্য ফরম তুলে দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদস্য বাছাই টিমের সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম।
উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম মামুনের সঞ্চালনায় ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল আলম মামুনের সভাপতিত্বে সদস্য ভর্তি ফরম বিতরন ও নবায়ন কর্মসুচীর সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী নজরুল ইসলাম মোল্লা।
সভায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মুরাদ খান, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান পান্না, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান অসিম ও উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ প্রমুখ। সভায় উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বরগুনার তালতলীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রাথমিক সদস্য ভর্তি ফরম বিতরন ও নবায়ন কর্মসুচীর উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তালতলী মডেল মসজিদের সভা কক্ষে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সভায় সদস্য ভর্তি ফরম বিতরন ও নবায়ন কর্মসুচীর শুভ উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য ও বরগুনা জেলার সদস্য বাছাই টিমের কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জামাল হোসেন।
সভায় উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের হাতে সদস্য ফরম তুলে দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদস্য বাছাই টিমের সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম।
উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম মামুনের সঞ্চালনায় ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল আলম মামুনের সভাপতিত্বে সদস্য ভর্তি ফরম বিতরন ও নবায়ন কর্মসুচীর সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী নজরুল ইসলাম মোল্লা।
সভায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মুরাদ খান, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান পান্না, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান অসিম ও উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ প্রমুখ। সভায় উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১২:৫২
বরগুনার পাথরঘাটায় জেলের বরশিতে ধরা পড়েছে সাড়ে ২৩ কেজি ওজনের একটি পাঙাস মাছ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কালমেঘা বাজারের স্লুইসগেট এলাকায় রিয়াজ হোসেন নামের এক জেলের বরশিতে এ মাছটি ধরা পড়ে।
জেলে রিয়াজ হোসেন জানান, প্রতিদিনের মতো আজ সকালেই স্লুইসগেটে বরশি পেতে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ পর হঠাৎ বরশিতে শক্ত টান অনুভব করলে বড় কোনো মাছ আটকে পড়েছে বুঝতে পারেন। বরশি টেনে তুলতেই দেখা যায় বিশালাকৃতির এ পাঙাস মাছটি।
পরে দুপুর ১২টার দিকে মাছটি বিক্রির জন্য স্থানীয় কালমেঘা বাজারে নিয়ে গেলে মৎস্য ব্যবসায়ী মো. রাজু মিয়া কেজিপ্রতি ১ হাজার টাকা দরে মোট ২৩ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নেন।
ব্যবসায়ী রাজু মিয়া বলেন, পাঙাসটির গুণগত মান ভালো হওয়ায় ঢাকায় দেড় হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি সম্ভব বলে আশা করছি। দুপুরেই মাছটি পরিবহনের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বরগুনার পাথরঘাটায় জেলের বরশিতে ধরা পড়েছে সাড়ে ২৩ কেজি ওজনের একটি পাঙাস মাছ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কালমেঘা বাজারের স্লুইসগেট এলাকায় রিয়াজ হোসেন নামের এক জেলের বরশিতে এ মাছটি ধরা পড়ে।
জেলে রিয়াজ হোসেন জানান, প্রতিদিনের মতো আজ সকালেই স্লুইসগেটে বরশি পেতে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ পর হঠাৎ বরশিতে শক্ত টান অনুভব করলে বড় কোনো মাছ আটকে পড়েছে বুঝতে পারেন। বরশি টেনে তুলতেই দেখা যায় বিশালাকৃতির এ পাঙাস মাছটি।
পরে দুপুর ১২টার দিকে মাছটি বিক্রির জন্য স্থানীয় কালমেঘা বাজারে নিয়ে গেলে মৎস্য ব্যবসায়ী মো. রাজু মিয়া কেজিপ্রতি ১ হাজার টাকা দরে মোট ২৩ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নেন।
ব্যবসায়ী রাজু মিয়া বলেন, পাঙাসটির গুণগত মান ভালো হওয়ায় ঢাকায় দেড় হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি সম্ভব বলে আশা করছি। দুপুরেই মাছটি পরিবহনের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.