
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪১
ঝালকাঠিতে এসএ পরিবহন পার্সেল সার্ভিসের অফিস থেকে ম্যানেজার শেখর বিশ্বাসের (৪৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে অফিসের স্টাফ নাঈম হাসান প্রথমে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
শেখর বিশ্বাস গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার মাছকান্দি গ্রামের মৃত শরৎ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে। জানা যায়, দীর্ঘ আট বছর ধরে শেখর বিশ্বাস এস.এ পরিবহনের ঝালকাঠি শাখায় কর্মরত ছিলেন। পরিবার নিয়ে তিনি ঝালকাঠিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন।
তার এক ছেলে এক মেয়ে এখানকার স্কুলে পড়াশোনা করে। সম্প্রতি হঠাৎ করে তাকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। পরিবার ও স্থানীয়রা বলছেন, বদলির চাপ ও সময় না দেওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন শেখর।
শেখরের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী বদলির অর্ডার পান। তিনি অফিসে আরও ছয় মাস সময় চেয়েছিলেন, কারণ আমাদের ছেলে-মেয়েরা এখানে পড়াশোনা করছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি। হঠাৎ বদলির চাপে তিনি ভীষণ হতাশ ছিলেন। কোম্পানির ঊর্ধ্বতনদের চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
সহকারী ম্যানেজার জাহিদ হাসান বলেন, ভোরে হঠাৎ অফিস থেকে খবর পাই শেখর ভাই নেই। পরে স্টাফ নাঈম ভেতরে গিয়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। আমরা হতবাক হয়ে যাই। এটা খুবই কষ্টের ঘটনা।
এসএ পরিবহনের বরিশাল বিভাগীয় অফিসের ম্যানেজার মো. শাহদাত হোসেন বলেন, গত আগস্ট মাসের ২৮ তারিখ শেখর সাহেবের বদলির নোটিশ আসে। এরপর তিনি সময় চেয়ে কোনো আবেদন করেননি। তাছাড়া তিনি এখানে প্রায় আট বছর যাবত কর্মরত ছিলেন। তাই অফিসের নিয়মাবলী মেনেই তাকে বাদলির চিঠি দেয়া হয়েছিল।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। আমরা মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে।
ঝালকাঠিতে এসএ পরিবহন পার্সেল সার্ভিসের অফিস থেকে ম্যানেজার শেখর বিশ্বাসের (৪৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে অফিসের স্টাফ নাঈম হাসান প্রথমে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
শেখর বিশ্বাস গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার মাছকান্দি গ্রামের মৃত শরৎ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে। জানা যায়, দীর্ঘ আট বছর ধরে শেখর বিশ্বাস এস.এ পরিবহনের ঝালকাঠি শাখায় কর্মরত ছিলেন। পরিবার নিয়ে তিনি ঝালকাঠিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন।
তার এক ছেলে এক মেয়ে এখানকার স্কুলে পড়াশোনা করে। সম্প্রতি হঠাৎ করে তাকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। পরিবার ও স্থানীয়রা বলছেন, বদলির চাপ ও সময় না দেওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন শেখর।
শেখরের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী বদলির অর্ডার পান। তিনি অফিসে আরও ছয় মাস সময় চেয়েছিলেন, কারণ আমাদের ছেলে-মেয়েরা এখানে পড়াশোনা করছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি। হঠাৎ বদলির চাপে তিনি ভীষণ হতাশ ছিলেন। কোম্পানির ঊর্ধ্বতনদের চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
সহকারী ম্যানেজার জাহিদ হাসান বলেন, ভোরে হঠাৎ অফিস থেকে খবর পাই শেখর ভাই নেই। পরে স্টাফ নাঈম ভেতরে গিয়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। আমরা হতবাক হয়ে যাই। এটা খুবই কষ্টের ঘটনা।
এসএ পরিবহনের বরিশাল বিভাগীয় অফিসের ম্যানেজার মো. শাহদাত হোসেন বলেন, গত আগস্ট মাসের ২৮ তারিখ শেখর সাহেবের বদলির নোটিশ আসে। এরপর তিনি সময় চেয়ে কোনো আবেদন করেননি। তাছাড়া তিনি এখানে প্রায় আট বছর যাবত কর্মরত ছিলেন। তাই অফিসের নিয়মাবলী মেনেই তাকে বাদলির চিঠি দেয়া হয়েছিল।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। আমরা মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে।

০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:০৫
ঝালকাঠির নলছিটিতে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেছেন জোবায়ের হাবিব। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তার নতুন কমর্মস্থলে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
নলছিটিতে যোগদানের আগে তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব) হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। নবাগত এই কর্মকর্তাকে বরণ করে নিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়। তার যোগদান উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আবু মোঃ ইফাদ ইশতিয়াক,কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি রিজভী আহমেদ সবুজ,উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার ওবায়দুল ইসলাম নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ।
তারা নবাগত ইউএনওকে স্বাগত জানান এবং তার কার্যকালে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
ঝালকাঠির নলছিটিতে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেছেন জোবায়ের হাবিব। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তার নতুন কমর্মস্থলে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
নলছিটিতে যোগদানের আগে তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব) হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। নবাগত এই কর্মকর্তাকে বরণ করে নিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়। তার যোগদান উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আবু মোঃ ইফাদ ইশতিয়াক,কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি রিজভী আহমেদ সবুজ,উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার ওবায়দুল ইসলাম নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ।
তারা নবাগত ইউএনওকে স্বাগত জানান এবং তার কার্যকালে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৬
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বর্তমানে ডা. শামীম খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুদক পিরোজপুর কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল বাদী হয়ে এই মামলা করেন। তার বিরুদ্ধে দরপত্রে অনিয়ম ও প্রতারণার মাধ্যমে ২ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার ঠিকাদারি কাজ একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন, বরিশাল কাটপট্রি রোডের ঠিকাদার শিপ্রা রানী পিপলাই, তার ছেলে সোহাগ কৃষ্ণ পিপলাই ও স্বামী সত্য কৃষ্ণ পিপলাই।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এমএসআর সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ৫ কোটি টাকার এপিপি অনুমোদন করা হয়। এপিপি অনুমোদনের পর গজ, ব্যান্ডেজ, তুলা, ওষুধ, কেমিক্যাল, আসবাবপত্র ও কিচেন সামগ্রী ক্রয়ের জন্য সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদ ২ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার দরপত্র আহ্বান করেন। ৬টি গ্রুপের দরপত্রে প্রতিগ্রুপে ৫টি করে দরপত্র বিক্রি দেখানো হয়।
এই আহ্বানের প্রেক্ষিতে মেসার্স আহসান ব্রাদার্স, পিপলাই এন্টারপ্রাইজ, বাপ্পী ইন্টারন্যাশনাল ও শহিদুল ইসলাম এই চারটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। ডা. শামীমের নেতৃত্বে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি তিনটি প্রতিষ্ঠা মেসার্স আহসান ব্রাদার্স, পিপলাই এন্টারপ্রাইজ ও বাপ্পী ইন্টারন্যাশনালকে উপযুক্ত বিবেচনা করে কার্যাদেশ প্রদান করে। অথচ এই তিনটি প্রতিষ্ঠান আসামি সোহাগ কৃষ্ণ পিপলাই একাই পরিচালনা করেন। মেসার্স আহসান ব্রাদার্স প্রোপাইটর দেখানো হয় সোহাগের বাবা সত্য কৃষ্ণ পিপলাইকে, বাপ্পী ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর সোহাগের মা শিপ্রা রানী পিপলাইকে এবং পিপলাই এন্টারপ্রাইজের মালিক সোহাগ পিপলাই নিজে। প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ৮৩৭/৮৩৮ উত্তর কাটপট্রি বরিশাল সদর।
মামলার বাদী দুদক পিরোজপুরের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল বলেন, আসামি ডা. শামীম নিজে এবং অপর আসামিদের লাভবান করার জন্য পরস্পর যোগসাজশে দাখিলি দরপত্রে আইটেমভিত্তিক প্রায় কাছাকাছি সাজানো প্রতিযোগিতা দেখিয়েছেন, যা পিপিআর বিধিমালা ২০০৮ এর ১২৭ (৩) (খ) অনুযায়ী চক্রান্তমূলক কার্য এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তিনি বলেন, মামলা রেকর্ডের পর কাগজপত্র ঢাকা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কমিশন থেকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পর আসামিদের গ্রেফতারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডা. শামীম আহমেদ বলেন, সাজানো এবং বানানো অভিযোগে আমার নামে মামলা করা হয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বর্তমানে ডা. শামীম খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুদক পিরোজপুর কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল বাদী হয়ে এই মামলা করেন। তার বিরুদ্ধে দরপত্রে অনিয়ম ও প্রতারণার মাধ্যমে ২ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার ঠিকাদারি কাজ একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন, বরিশাল কাটপট্রি রোডের ঠিকাদার শিপ্রা রানী পিপলাই, তার ছেলে সোহাগ কৃষ্ণ পিপলাই ও স্বামী সত্য কৃষ্ণ পিপলাই।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এমএসআর সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ৫ কোটি টাকার এপিপি অনুমোদন করা হয়। এপিপি অনুমোদনের পর গজ, ব্যান্ডেজ, তুলা, ওষুধ, কেমিক্যাল, আসবাবপত্র ও কিচেন সামগ্রী ক্রয়ের জন্য সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদ ২ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার দরপত্র আহ্বান করেন। ৬টি গ্রুপের দরপত্রে প্রতিগ্রুপে ৫টি করে দরপত্র বিক্রি দেখানো হয়।
এই আহ্বানের প্রেক্ষিতে মেসার্স আহসান ব্রাদার্স, পিপলাই এন্টারপ্রাইজ, বাপ্পী ইন্টারন্যাশনাল ও শহিদুল ইসলাম এই চারটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। ডা. শামীমের নেতৃত্বে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি তিনটি প্রতিষ্ঠা মেসার্স আহসান ব্রাদার্স, পিপলাই এন্টারপ্রাইজ ও বাপ্পী ইন্টারন্যাশনালকে উপযুক্ত বিবেচনা করে কার্যাদেশ প্রদান করে। অথচ এই তিনটি প্রতিষ্ঠান আসামি সোহাগ কৃষ্ণ পিপলাই একাই পরিচালনা করেন। মেসার্স আহসান ব্রাদার্স প্রোপাইটর দেখানো হয় সোহাগের বাবা সত্য কৃষ্ণ পিপলাইকে, বাপ্পী ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর সোহাগের মা শিপ্রা রানী পিপলাইকে এবং পিপলাই এন্টারপ্রাইজের মালিক সোহাগ পিপলাই নিজে। প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ৮৩৭/৮৩৮ উত্তর কাটপট্রি বরিশাল সদর।
মামলার বাদী দুদক পিরোজপুরের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল বলেন, আসামি ডা. শামীম নিজে এবং অপর আসামিদের লাভবান করার জন্য পরস্পর যোগসাজশে দাখিলি দরপত্রে আইটেমভিত্তিক প্রায় কাছাকাছি সাজানো প্রতিযোগিতা দেখিয়েছেন, যা পিপিআর বিধিমালা ২০০৮ এর ১২৭ (৩) (খ) অনুযায়ী চক্রান্তমূলক কার্য এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তিনি বলেন, মামলা রেকর্ডের পর কাগজপত্র ঢাকা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কমিশন থেকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পর আসামিদের গ্রেফতারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডা. শামীম আহমেদ বলেন, সাজানো এবং বানানো অভিযোগে আমার নামে মামলা করা হয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।

২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৩:২২
ঝালকাঠির বুক চিরে বয়ে যাওয়া সুগন্ধা নদী বহু বছর ধরে যেমন মানুষের জীবন গড়েছে, তেমনি প্রতিবর্ষায় ভয়াবহ ভাঙনের দুঃসহ অভিজ্ঞতাও হাজির করেছে নদীপারের মানুষের সামনে। বাড়িঘর ভেঙে নদীতে বিলীন হওয়া, চাষের জমি হারানো আর প্রতিদিনের অনিশ্চয়তা এক অদৃশ্য আতঙ্ক জন্ম দিয়েছিল এ অঞ্চলের মানুষের জীবনে।
সেই দীর্ঘ দুর্ভোগ কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন এখন বাস্তবায়নের কাছাকাছি। সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে সদর ও নলছটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-এর হাতে নেওয়া প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে, যা নদীপারের জনজীবনে নতুন আশার আলো ছড়িয়েছে।
প্রকল্প এলাকায় এখন প্রতিদিনই দেখা যায় শ্রমিকদের ব্যস্ত সময়। নদীতীরে স্থাপন করা হচ্ছে সুরক্ষা বাঁধ। জিও ব্যাগ ও সিমেন্ট কংক্রিটের ব্লক ফেলে গড়ে তোলা হচ্ছে আধুনিক নদীশাসন কাঠামো।
কর্মকর্তারা জানান, ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন ১৩.২১৫ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের বিষয়টি মাথায় রেখে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
নদীর স্রোতের ধরন, মাটির গঠন এবং ভাঙনপ্রবণতার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব ব্যবস্থায় নদীতীর দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করছেন তারা।
স্থানীয়রা জানায়, ইতোমধ্যে পরিবর্তনের ছোঁয়া টের পাচ্ছেন তারা। কয়েক মাস আগেও যারা ভয়ে নিজের বসতবাড়িতে বিনিয়োগ করতে পারছিলেন না, এখন তারা নতুন ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন।
কৃষকরা নিশ্চিন্তে আগাম মৌসুমের ফসল ফলানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভাঙনের ভয় কমে যাওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন গতি এসেছে। নদীর পাড়ঘেঁষা জমির দামও বেড়েছে কয়েকগুণ, যা স্থানীয় অর্থনীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘সুগন্ধা নদীর ভাঙন রোধ শুধু একটি প্রকল্প নয়—এটি নদীপারের মানুষের বেঁচে থাকার লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা একটি স্বপ্ন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মানুষ আবাসন ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আরেকটি নিরাপদ বাস্তবতায় প্রবেশ করবে।
প্রকল্পকে সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি নিয়মিত কাজের গুণগত মান যাচাই করছে এবং নকশা অনুযায়ী নির্মাণকাজ হচ্ছে কিনা, তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ কারণে পুরো প্রকল্পটি নিরাপদ, মানসম্মত ও দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এই প্রকল্প শুধু ভাঙন ঠেকিয়ে মানুষের ঘরবাড়ি রক্ষাই করবে না; বরং ঝালকাঠির সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন পথ খুলে দেবে। নদীপারে গড়ে উঠবে নতুন বাজার, নতুন কৃষিভিত্তিক উদ্যোগ এবং টেকসই পরিবেশবান্ধব বসতি।
সব মিলিয়ে, সুগন্ধা নদী সংরক্ষণ প্রকল্প এখন ঝালকাঠির মানুষের সামনে নিরাপদ, স্থিতিশীল এবং উন্নয়নমুখী ভবিষ্যতের দ্বার উন্মোচিত করছে। প্রকল্পটি শেষ হলে সুগন্ধা নদীর তীর শুধু ভাঙনমুক্তই হবে না—এটি রূপ নেবে টেকসই উন্নয়নের এক অনন্য সম্ভাবনাময় অঞ্চলে।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, ঝালকাঠি জেলায় নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এগুলো বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
ঝালকাঠির বুক চিরে বয়ে যাওয়া সুগন্ধা নদী বহু বছর ধরে যেমন মানুষের জীবন গড়েছে, তেমনি প্রতিবর্ষায় ভয়াবহ ভাঙনের দুঃসহ অভিজ্ঞতাও হাজির করেছে নদীপারের মানুষের সামনে। বাড়িঘর ভেঙে নদীতে বিলীন হওয়া, চাষের জমি হারানো আর প্রতিদিনের অনিশ্চয়তা এক অদৃশ্য আতঙ্ক জন্ম দিয়েছিল এ অঞ্চলের মানুষের জীবনে।
সেই দীর্ঘ দুর্ভোগ কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন এখন বাস্তবায়নের কাছাকাছি। সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে সদর ও নলছটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-এর হাতে নেওয়া প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে, যা নদীপারের জনজীবনে নতুন আশার আলো ছড়িয়েছে।
প্রকল্প এলাকায় এখন প্রতিদিনই দেখা যায় শ্রমিকদের ব্যস্ত সময়। নদীতীরে স্থাপন করা হচ্ছে সুরক্ষা বাঁধ। জিও ব্যাগ ও সিমেন্ট কংক্রিটের ব্লক ফেলে গড়ে তোলা হচ্ছে আধুনিক নদীশাসন কাঠামো।
কর্মকর্তারা জানান, ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন ১৩.২১৫ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের বিষয়টি মাথায় রেখে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
নদীর স্রোতের ধরন, মাটির গঠন এবং ভাঙনপ্রবণতার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব ব্যবস্থায় নদীতীর দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করছেন তারা।
স্থানীয়রা জানায়, ইতোমধ্যে পরিবর্তনের ছোঁয়া টের পাচ্ছেন তারা। কয়েক মাস আগেও যারা ভয়ে নিজের বসতবাড়িতে বিনিয়োগ করতে পারছিলেন না, এখন তারা নতুন ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন।
কৃষকরা নিশ্চিন্তে আগাম মৌসুমের ফসল ফলানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভাঙনের ভয় কমে যাওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন গতি এসেছে। নদীর পাড়ঘেঁষা জমির দামও বেড়েছে কয়েকগুণ, যা স্থানীয় অর্থনীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘সুগন্ধা নদীর ভাঙন রোধ শুধু একটি প্রকল্প নয়—এটি নদীপারের মানুষের বেঁচে থাকার লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা একটি স্বপ্ন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মানুষ আবাসন ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আরেকটি নিরাপদ বাস্তবতায় প্রবেশ করবে।
প্রকল্পকে সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি নিয়মিত কাজের গুণগত মান যাচাই করছে এবং নকশা অনুযায়ী নির্মাণকাজ হচ্ছে কিনা, তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ কারণে পুরো প্রকল্পটি নিরাপদ, মানসম্মত ও দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এই প্রকল্প শুধু ভাঙন ঠেকিয়ে মানুষের ঘরবাড়ি রক্ষাই করবে না; বরং ঝালকাঠির সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন পথ খুলে দেবে। নদীপারে গড়ে উঠবে নতুন বাজার, নতুন কৃষিভিত্তিক উদ্যোগ এবং টেকসই পরিবেশবান্ধব বসতি।
সব মিলিয়ে, সুগন্ধা নদী সংরক্ষণ প্রকল্প এখন ঝালকাঠির মানুষের সামনে নিরাপদ, স্থিতিশীল এবং উন্নয়নমুখী ভবিষ্যতের দ্বার উন্মোচিত করছে। প্রকল্পটি শেষ হলে সুগন্ধা নদীর তীর শুধু ভাঙনমুক্তই হবে না—এটি রূপ নেবে টেকসই উন্নয়নের এক অনন্য সম্ভাবনাময় অঞ্চলে।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, ঝালকাঠি জেলায় নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এগুলো বাস্তবায়নের কাজ চলছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.