
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:২৬
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রত্যেক উপদেষ্টা নিজেদের আখের গোছানোর কাজ করে রেখেছেন। এই ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট আজ দেশের সাধারণ মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সামান্তা শারমিন বলেন, ‘এই সরকারকে দেশের ছাত্র-জনতা, শিক্ষক-চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ নিজেদের রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন। অথচ আজ খবর আসছে, তারা ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জন্য গাড়ি কেনার উদ্যোগ নিচ্ছেন। অথচ যখন শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর কথা বলা হয় তখন তাদের উত্তর থাকে, ‘সরকারের হাতে টাকা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। কিন্তু তারা এখন দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষা না করে, তাদের বিপক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের ক্ষেত্রে তারা সম্পূর্ণ উদাসীন।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণঅভ্যুত্থান পরিলক্ষিত হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা তখন ভেবেছিলাম, দেশে একটি শক্তিশালী শিক্ষা কমিশন গঠিত হবে।
কিন্তু সেই আশাও বিফলে গেছে। শেখ হাসিনা দীর্ঘ সময় ধরে পরিকল্পিতভাবে যেভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন, তা ঠেকাতে একটি জাতীয় শিক্ষা কমিশন অত্যন্ত জরুরি ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্পূর্ণ জাতিকে শুধু একটি নির্বাচনের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, অথচ শিক্ষকদের ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার ও দাবি পূরণের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গুলি করে গণহত্যা চালানো আর শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করা দুটোই সমান অপরাধ।’
শিক্ষকদের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অবহেলার কথা তুলে ধরে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘শিক্ষকদের অবমূল্যায়নই হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের অন্যতম প্রধান কারণ। প্রশিক্ষণ, বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা সব ক্ষেত্রেই অবহেলা করা হয়েছে। মাত্র ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, এই ন্যূনতম দাবিগুলোর জন্যও শিক্ষকদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে, আন্দোলন করতে হচ্ছে। এটা এই সরকারের দেউলিয়াত্বকেই প্রমাণ করে।’
শিক্ষা উপদেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান উপদেষ্টা যেহেতু নিজেও একজন শিক্ষক ছিলেন, আমরা ভেবেছিলাম তিনি অন্তত শিক্ষকদের দুরবস্থার জায়গাটি বুঝবেন। কিন্তু মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির পর তার ভূমিকা দেখে আমরা হতাশ হয়েছি।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি কারও সঙ্গে দেখা করতে চান না, সময় দেন না। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারের উপদেষ্টারা যদি সবসময় মানুষের জন্য অ্যাভেইলেবল না থাকেন, তাহলে তাদের সেই জায়গায় থাকার নৈতিকতা কী?’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জাতীয়করণ দূরে থাক, শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বা চিকিৎসা ভাতা পর্যন্ত বাড়ানো যাচ্ছে না! আর এসব দাবি জানাতে আসায় শিক্ষকদের ওপর হামলা করে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এনসিপি শিক্ষকদের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনারা আপনাদের ন্যায্য দাবিতে অবিচল থাকুন। সরকারকে এ দাবি মানতেই হবে।’
শিক্ষকদের এই কর্মসূচিতে সামান্তা শারমিন ছাড়াও বক্তব্য দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, যুগ্ম সদস্য সচিব ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত এবং যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে সচিবালয়ে যায় এবং সেখানে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে কোনো সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পাওয়ায় শিক্ষক নেতারা জানান, বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়নি।
বৈঠক শেষে দুপুর ১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফিরে এসে শিক্ষকরা দুটি ঘোষণা দেন। এক) তারা প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে সরে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা ছাড়বেন না। দুই) মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করবেন।
ঘোষণার পর আন্দোলনকারী শিক্ষকরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন ও অধ্যক্ষ আজিজীর নেতৃত্বে একটি পক্ষ শহীদ মিনারের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রওনা হয়। অন্যদিকে, আরেক পক্ষ প্রেস ক্লাবের সামনেই থেকে যায় এবং সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চের কর্মসূচির ঘোষণা দাবি করেন। তারা শহীদ মিনারে যেতে অস্বীকৃতি জানান।
দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে পুলিশ অ্যাকশনে নামে। প্রথমে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক রাস্তায় পড়ে যান এবং আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রত্যেক উপদেষ্টা নিজেদের আখের গোছানোর কাজ করে রেখেছেন। এই ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট আজ দেশের সাধারণ মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সামান্তা শারমিন বলেন, ‘এই সরকারকে দেশের ছাত্র-জনতা, শিক্ষক-চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ নিজেদের রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন। অথচ আজ খবর আসছে, তারা ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জন্য গাড়ি কেনার উদ্যোগ নিচ্ছেন। অথচ যখন শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর কথা বলা হয় তখন তাদের উত্তর থাকে, ‘সরকারের হাতে টাকা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। কিন্তু তারা এখন দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষা না করে, তাদের বিপক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের ক্ষেত্রে তারা সম্পূর্ণ উদাসীন।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণঅভ্যুত্থান পরিলক্ষিত হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা তখন ভেবেছিলাম, দেশে একটি শক্তিশালী শিক্ষা কমিশন গঠিত হবে।
কিন্তু সেই আশাও বিফলে গেছে। শেখ হাসিনা দীর্ঘ সময় ধরে পরিকল্পিতভাবে যেভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন, তা ঠেকাতে একটি জাতীয় শিক্ষা কমিশন অত্যন্ত জরুরি ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্পূর্ণ জাতিকে শুধু একটি নির্বাচনের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, অথচ শিক্ষকদের ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার ও দাবি পূরণের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গুলি করে গণহত্যা চালানো আর শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করা দুটোই সমান অপরাধ।’
শিক্ষকদের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অবহেলার কথা তুলে ধরে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘শিক্ষকদের অবমূল্যায়নই হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের অন্যতম প্রধান কারণ। প্রশিক্ষণ, বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা সব ক্ষেত্রেই অবহেলা করা হয়েছে। মাত্র ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, এই ন্যূনতম দাবিগুলোর জন্যও শিক্ষকদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে, আন্দোলন করতে হচ্ছে। এটা এই সরকারের দেউলিয়াত্বকেই প্রমাণ করে।’
শিক্ষা উপদেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান উপদেষ্টা যেহেতু নিজেও একজন শিক্ষক ছিলেন, আমরা ভেবেছিলাম তিনি অন্তত শিক্ষকদের দুরবস্থার জায়গাটি বুঝবেন। কিন্তু মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির পর তার ভূমিকা দেখে আমরা হতাশ হয়েছি।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি কারও সঙ্গে দেখা করতে চান না, সময় দেন না। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারের উপদেষ্টারা যদি সবসময় মানুষের জন্য অ্যাভেইলেবল না থাকেন, তাহলে তাদের সেই জায়গায় থাকার নৈতিকতা কী?’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জাতীয়করণ দূরে থাক, শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বা চিকিৎসা ভাতা পর্যন্ত বাড়ানো যাচ্ছে না! আর এসব দাবি জানাতে আসায় শিক্ষকদের ওপর হামলা করে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এনসিপি শিক্ষকদের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনারা আপনাদের ন্যায্য দাবিতে অবিচল থাকুন। সরকারকে এ দাবি মানতেই হবে।’
শিক্ষকদের এই কর্মসূচিতে সামান্তা শারমিন ছাড়াও বক্তব্য দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, যুগ্ম সদস্য সচিব ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত এবং যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে সচিবালয়ে যায় এবং সেখানে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে কোনো সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পাওয়ায় শিক্ষক নেতারা জানান, বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়নি।
বৈঠক শেষে দুপুর ১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফিরে এসে শিক্ষকরা দুটি ঘোষণা দেন। এক) তারা প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে সরে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা ছাড়বেন না। দুই) মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করবেন।
ঘোষণার পর আন্দোলনকারী শিক্ষকরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন ও অধ্যক্ষ আজিজীর নেতৃত্বে একটি পক্ষ শহীদ মিনারের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রওনা হয়। অন্যদিকে, আরেক পক্ষ প্রেস ক্লাবের সামনেই থেকে যায় এবং সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চের কর্মসূচির ঘোষণা দাবি করেন। তারা শহীদ মিনারে যেতে অস্বীকৃতি জানান।
দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে পুলিশ অ্যাকশনে নামে। প্রথমে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক রাস্তায় পড়ে যান এবং আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:২৪
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:০৯
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৮

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:০১
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক সম্পত্তির হিসাব দাখিল করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া দুর্নীতি দমন কমিশন সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫-এ কথা বলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বৈঠকের এ তথ্য জানান প্রেস সচিব।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক সম্পত্তির হিসাব দাখিল করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া দুর্নীতি দমন কমিশন সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫-এ কথা বলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বৈঠকের এ তথ্য জানান প্রেস সচিব।

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৪৭
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১টায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
জাহিদ হোসেন জানান, মেডিকেল বোর্ডে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নে সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
এ সময় দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীর মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
এর আগে গতকাল রোববার (২৩ নভেম্বর) রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয় খালেদা জিয়াকে। এরপর মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে।
এদিকে খালেদা জিয়া তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান জাহিদ।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১টায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
জাহিদ হোসেন জানান, মেডিকেল বোর্ডে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নে সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
এ সময় দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীর মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
এর আগে গতকাল রোববার (২৩ নভেম্বর) রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয় খালেদা জিয়াকে। এরপর মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে।
এদিকে খালেদা জিয়া তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান জাহিদ।

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:৪৬
ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানীর পূর্বাচলে নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগের একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাত বছর ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে জয়ের এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করছেন।
একই আদালত গত ২৩ নভেম্বর প্লট বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে করা তিনটি মামলার রায়ের জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
এর মধ্যে তিন মামলায় সাত বছর করে শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ৫ বছরের সাজা পাওয়া জয় দ্বিতীয় মামলার আসামি ছিলেন। এ মামলায় শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ আসামি ১৭ জন। তৃতীয় মামলায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ৫ বছরের সাজা হয়েছে। এ মামলায় শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ আসামি ১৮ জন।
পৃথক তিনটি মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৪৭ জন। তবে এক ব্যক্তি একাধিক মামলার আসামি হওয়ায় ব্যক্তি হিসেবে মোট আসামির সংখ্যা ২৩ জন। এরমধ্যে প্রথম মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামি ১২ জন; দ্বিতীয় মামলায় শেখ হাসিনা ও জয়সহ আসামি ১৭ জন এবং তৃতীয় মামলায় শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ আসামি ১৮ জন।
তিন মামলায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ছাড়াও অন্য ২০ আসামি হলেন—সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শফি উল হক, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, রাজউকের সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) নায়েব আলী শরীফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) মো. কামরুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, উপপরিচালক হাবিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন।
গত ৩১ জুলাই আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত তিনটি মামলাতেই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাগুলোর বিচারকাজ চলাকালে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত ১৭ নভেম্বর পৃথক তিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পৃথক ৬টি মামলা করে। এসব মামলায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ অন্যদের আসামি করা হয়। সেই ৬ মামলার মধ্যে আজ তিনটির রায় দিলো আদালত।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানীর পূর্বাচলে নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগের একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাত বছর ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে জয়ের এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করছেন।
একই আদালত গত ২৩ নভেম্বর প্লট বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে করা তিনটি মামলার রায়ের জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
এর মধ্যে তিন মামলায় সাত বছর করে শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ৫ বছরের সাজা পাওয়া জয় দ্বিতীয় মামলার আসামি ছিলেন। এ মামলায় শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ আসামি ১৭ জন। তৃতীয় মামলায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ৫ বছরের সাজা হয়েছে। এ মামলায় শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ আসামি ১৮ জন।
পৃথক তিনটি মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৪৭ জন। তবে এক ব্যক্তি একাধিক মামলার আসামি হওয়ায় ব্যক্তি হিসেবে মোট আসামির সংখ্যা ২৩ জন। এরমধ্যে প্রথম মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামি ১২ জন; দ্বিতীয় মামলায় শেখ হাসিনা ও জয়সহ আসামি ১৭ জন এবং তৃতীয় মামলায় শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ আসামি ১৮ জন।
তিন মামলায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ছাড়াও অন্য ২০ আসামি হলেন—সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শফি উল হক, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, রাজউকের সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) নায়েব আলী শরীফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) মো. কামরুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, উপপরিচালক হাবিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন।
গত ৩১ জুলাই আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত তিনটি মামলাতেই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাগুলোর বিচারকাজ চলাকালে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত ১৭ নভেম্বর পৃথক তিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পৃথক ৬টি মামলা করে। এসব মামলায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ অন্যদের আসামি করা হয়। সেই ৬ মামলার মধ্যে আজ তিনটির রায় দিলো আদালত।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.