
০৪ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:৫৫
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র (এফডব্লিউসি) থাকার কথা থাকলেও পটুয়াখালী জেলায় ৭৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ৫৪ টিতে এই সেবামুলক প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে। আবার এসব এফডবিলউসিতে ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে গত ১৪ মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে জনবল সংকটও। এতে করে বিপাকে পড়ছেন সেবা নিতে আসা প্রান্তিক মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এখানে জ্বর, সর্দি, কাশি, চর্মরোগসহ মা ও শিশুস্বাস্থ্য সেবার ২৬ ধরনের ওষুধ দেওয়ার কথা। কিন্তু গত ১৪ মাস ধরে এসব কেন্দ্রে বন্ধ রয়েছে ওষুধ সরবরাহ। ফলে সেবা নিতে আসা রোগীদের যেতে হচ্ছে শহরের সরকারি ও বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকব ও হাসপাতালে। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি বাড়ছে ব্যয়।
গত বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, কেন্দ্রটিতে সেবা নিতে আসা রোগীরা ওষুধ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন। সরকারি এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সঠিক সেবা না পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। জেলার অন্য ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রেগুলোতেও একই চিত্র।
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা বকুল বাড়িয়া গ্রামের লামিয়া বেগম বলেন, ‘আমার দেড় বছরের শিশু সামিয়াকে নিয়ে এখানে এসেছি। ছেলেটির কয়েকদিন ধরে জ্বর-সর্দি-কাঁশিতে ভুগছে। এখানকার ডাক্তার ঔষধ লিখে দিছে, তবে কোনো ওষধ দেয় নাই। বলেছে এখানে কোনো ওষধ নেই। মাস দুয়েক আগেও একবার আসছিলাম। তখনও ওষধ পাই নাই। তিনি আরও বলেন, আমরা গরিব মানুষ। টাকা-পয়সা খরচ ছাড়া ডাক্তার দেখানোসহ বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যায় বলেই এখানে আসি। এখন এখানে ঔষধ না পাওয়ায় বাইরে থেকে কিনতে হয়। একই গ্রামের গৃহবধূ সুমী আক্তার (২১) ঠান্ডা জ¦রে আক্রান্ত তার দুবছরের ছেলে মিরাজকে নিয়ে এসেছেন। তিনি জানান, তিনমাস আগেও এবকার এসেছিলাম অঅমার জ¦র নিয়ে তখনও ওষুধ পাইনি। এবার অঅমার ছেলে অসুস্থ শুধুমাত্র ওষধ লিখে দিয়েছে। কোনো ওষুধ দেয়নি। বলেছে কোননো ওষুধ নেই। আমার বাড়ি থেকে গলাচিপা উপজেলা শহরে ১৫ কিলোমটিা আর পটুয়াখালী জেলা শহর প্রায় ২৫ কিলোমিটার। ওইসব শহরে গিয়ে ক্লিনিক বা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া খুবই ভোগান্তির এবং ব্যয়বহুল। আমার স্বামী একজন দিনমজুর। তাই টাকার অভাবে এখন আমরা চিকিৎসাসেবা ঠিকভাবে পাচ্ছি না।
এই এডব্লিউসিতে রয়েছে জনবল সংকটও। এখানে ৬ টি পদে কর্মরত আছেন মাত্র দুজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) ও একজন এমএলএসএস। উপ-সহকারি মেডিকেল কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার বা স্যাকমো পদে প্রতিষ্ঠালগ্নে একজনকে নিয়োগ দেয়া হলেও ২ বছর সেবা দিয়ে তিনি অন্যত্র বদলী হন। তারপর থেকে ওই পদে আর কেউ আসেননি। এখন পরিবার কল্যাণ সহকারি রনজিতা একাই সামলান চিকিৎসা সেবা। তিনি আবার পাশর্^বর্তী খারিজ্জমা ইউনিয়নেরও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, আমাকেই সব সামলাতে হয়। ওষুধ সরবরাহ ১৪ মাস ধরে বন্ধ। তা এখন রোগীদের চাপ কম। তবে গত একমাসে ৩০ টি স্বাভাবিক প্রসব করানো হয়েছে। পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রেও ওষুধ সংকটের পাশাপাশি রয়েছে জনবল সংকট। এখানেও উপসহকারি মেডিকেল অফিসারের পদটি দীর্ঘদিন খালি। ৭ টি পদে কর্মরত আছে ৫ জন। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা নাছিমা বেগম জানান, কয়েকদনি ধরে আমার জ¦র আর চুলকানি। ডাক্তার দেখাতে আসছি। কিছু ওষুধ লিখে দিয়েছে। কোনো ওষুধ দেয় নাই বলেছে সরবরাহ নেই।
এখানকার পরিবার কল্যাণ সহকারি নাসিমা বেগম বলেন, ‘আমরা আগে প্রায় ২৩ রকমের ওষুধ পেতাম। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ঔষধের সাপ্লাই না থাকায় এখন আর রোগীদের দিতে পারছি না। তাই রোগী তেমন একটা আসে না। আগে প্রতিদিন প্রায় অর্ধশত রোগী এলেও বর্তমানে আসে আট থেকে ১০ জন রোগী। ওষুধ না থাকায় রোগীদের শুধু পরামর্শ দিয়ে বিদায় করতে হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু ওষুধ সংকট নয়, জনবল সংকটেও ভুগছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো। জেলার ৫৪ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সমান সংখ্যক স্যাকমো পদে কর্মরত আছেন মাত্র ৩৩ জন। ২১ টি ফার্মাসিস্ট পদে ১১ টি পদ খালি। পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকের ৭৮ পদের মধ্যে ২৪ টি পদ খালি, পরিবার কল্যাণ সহকারির ৩১৭ পদে ৮৮ টি পদ র্দীঘদিন খালি।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের সহকারি পরিচালক ডা. মো. সামসুজ্জামান বলেন, জনবল ও ওষুধ সংকটে সেবা কিছুটা ব্যাহত হলেও অচিরেই তা কেটে যাবে। আশা করছি আগামি সপ্তাহে সব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ করতে পারবো।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র (এফডব্লিউসি) থাকার কথা থাকলেও পটুয়াখালী জেলায় ৭৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ৫৪ টিতে এই সেবামুলক প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে। আবার এসব এফডবিলউসিতে ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে গত ১৪ মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে জনবল সংকটও। এতে করে বিপাকে পড়ছেন সেবা নিতে আসা প্রান্তিক মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এখানে জ্বর, সর্দি, কাশি, চর্মরোগসহ মা ও শিশুস্বাস্থ্য সেবার ২৬ ধরনের ওষুধ দেওয়ার কথা। কিন্তু গত ১৪ মাস ধরে এসব কেন্দ্রে বন্ধ রয়েছে ওষুধ সরবরাহ। ফলে সেবা নিতে আসা রোগীদের যেতে হচ্ছে শহরের সরকারি ও বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকব ও হাসপাতালে। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি বাড়ছে ব্যয়।
গত বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, কেন্দ্রটিতে সেবা নিতে আসা রোগীরা ওষুধ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন। সরকারি এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সঠিক সেবা না পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। জেলার অন্য ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রেগুলোতেও একই চিত্র।
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা বকুল বাড়িয়া গ্রামের লামিয়া বেগম বলেন, ‘আমার দেড় বছরের শিশু সামিয়াকে নিয়ে এখানে এসেছি। ছেলেটির কয়েকদিন ধরে জ্বর-সর্দি-কাঁশিতে ভুগছে। এখানকার ডাক্তার ঔষধ লিখে দিছে, তবে কোনো ওষধ দেয় নাই। বলেছে এখানে কোনো ওষধ নেই। মাস দুয়েক আগেও একবার আসছিলাম। তখনও ওষধ পাই নাই। তিনি আরও বলেন, আমরা গরিব মানুষ। টাকা-পয়সা খরচ ছাড়া ডাক্তার দেখানোসহ বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যায় বলেই এখানে আসি। এখন এখানে ঔষধ না পাওয়ায় বাইরে থেকে কিনতে হয়। একই গ্রামের গৃহবধূ সুমী আক্তার (২১) ঠান্ডা জ¦রে আক্রান্ত তার দুবছরের ছেলে মিরাজকে নিয়ে এসেছেন। তিনি জানান, তিনমাস আগেও এবকার এসেছিলাম অঅমার জ¦র নিয়ে তখনও ওষুধ পাইনি। এবার অঅমার ছেলে অসুস্থ শুধুমাত্র ওষধ লিখে দিয়েছে। কোনো ওষুধ দেয়নি। বলেছে কোননো ওষুধ নেই। আমার বাড়ি থেকে গলাচিপা উপজেলা শহরে ১৫ কিলোমটিা আর পটুয়াখালী জেলা শহর প্রায় ২৫ কিলোমিটার। ওইসব শহরে গিয়ে ক্লিনিক বা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া খুবই ভোগান্তির এবং ব্যয়বহুল। আমার স্বামী একজন দিনমজুর। তাই টাকার অভাবে এখন আমরা চিকিৎসাসেবা ঠিকভাবে পাচ্ছি না।
এই এডব্লিউসিতে রয়েছে জনবল সংকটও। এখানে ৬ টি পদে কর্মরত আছেন মাত্র দুজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) ও একজন এমএলএসএস। উপ-সহকারি মেডিকেল কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার বা স্যাকমো পদে প্রতিষ্ঠালগ্নে একজনকে নিয়োগ দেয়া হলেও ২ বছর সেবা দিয়ে তিনি অন্যত্র বদলী হন। তারপর থেকে ওই পদে আর কেউ আসেননি। এখন পরিবার কল্যাণ সহকারি রনজিতা একাই সামলান চিকিৎসা সেবা। তিনি আবার পাশর্^বর্তী খারিজ্জমা ইউনিয়নেরও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, আমাকেই সব সামলাতে হয়। ওষুধ সরবরাহ ১৪ মাস ধরে বন্ধ। তা এখন রোগীদের চাপ কম। তবে গত একমাসে ৩০ টি স্বাভাবিক প্রসব করানো হয়েছে। পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রেও ওষুধ সংকটের পাশাপাশি রয়েছে জনবল সংকট। এখানেও উপসহকারি মেডিকেল অফিসারের পদটি দীর্ঘদিন খালি। ৭ টি পদে কর্মরত আছে ৫ জন। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা নাছিমা বেগম জানান, কয়েকদনি ধরে আমার জ¦র আর চুলকানি। ডাক্তার দেখাতে আসছি। কিছু ওষুধ লিখে দিয়েছে। কোনো ওষুধ দেয় নাই বলেছে সরবরাহ নেই।
এখানকার পরিবার কল্যাণ সহকারি নাসিমা বেগম বলেন, ‘আমরা আগে প্রায় ২৩ রকমের ওষুধ পেতাম। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ঔষধের সাপ্লাই না থাকায় এখন আর রোগীদের দিতে পারছি না। তাই রোগী তেমন একটা আসে না। আগে প্রতিদিন প্রায় অর্ধশত রোগী এলেও বর্তমানে আসে আট থেকে ১০ জন রোগী। ওষুধ না থাকায় রোগীদের শুধু পরামর্শ দিয়ে বিদায় করতে হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু ওষুধ সংকট নয়, জনবল সংকটেও ভুগছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো। জেলার ৫৪ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সমান সংখ্যক স্যাকমো পদে কর্মরত আছেন মাত্র ৩৩ জন। ২১ টি ফার্মাসিস্ট পদে ১১ টি পদ খালি। পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকের ৭৮ পদের মধ্যে ২৪ টি পদ খালি, পরিবার কল্যাণ সহকারির ৩১৭ পদে ৮৮ টি পদ র্দীঘদিন খালি।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের সহকারি পরিচালক ডা. মো. সামসুজ্জামান বলেন, জনবল ও ওষুধ সংকটে সেবা কিছুটা ব্যাহত হলেও অচিরেই তা কেটে যাবে। আশা করছি আগামি সপ্তাহে সব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ করতে পারবো।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:২৩
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:১০
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:১৩
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৬

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:২৩
ঝালকাঠির নলছিটিতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করেছে পুলিশ। তবে ওই আলুর মালিক পাওয়া যায়নি। রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের খাওখীর গ্রামের উত্তর দিকে কালিজিরা খালেরপাড়ে মনির তালুকদারের জমি থেকে মালিকানাবিহীন ওই ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করা হয়।
জব্দ আলু মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জামাল হোসেনের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে এলাকাবাসী জানান, বুধবার রাতে অপরিচিত কয়েকজন লোক আলুভর্তি একটি বড় ট্রলার ওই খালের পাড়ে নিয়ে আসেন। পরে আলুর বস্তাগুলো ট্রলার থেকে খালের পার্শ্ববর্তী মনির তালুকদারের জমিতে উঠিয়ে রেখে খালি ট্রলার নিয়ে চলে যান। এ সময় তারা (এলাকাবাসী) ভেবেছিলেন হয়তো এই আলু কেউ কিনেছেন। তারা নিয়ে যাবেন; কিন্তু বুধবার রাত থেকে শনিবার দিন পর্যন্ত ওই আলুর বস্তা কেউ না নেওয়ায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ওখানেই বস্তাগুলো পড়ে থাকে। পরে মগড় ইউপি সদস্য মিন্টু খানকে বিষয়টি জানানো হয়।
মগড় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিন্টু খান বলেন, আমি বিষয়টি জেনে এবং আলুর মালিককে খুঁজে না পেয়ে রোববার নলছিটি থানা পুলিশকে এ ঘটনা জানাই। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আলুর বস্তাগুলো জব্দ করে।
মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জামাল হোসেন জানান, জব্দ আলুর বস্তাগুলো তার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
নলছিটি থানার পরিদর্শক (ওসি/তদন্ত) মো. আশরাফ আলী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। ওই ৪৫০ বস্তা আলুর কোনো মালিক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় ওই আলুর বস্তাগুলো জব্দ করে মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জামাল হোসেনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। পরে প্রশাসনকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঝালকাঠির নলছিটিতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করেছে পুলিশ। তবে ওই আলুর মালিক পাওয়া যায়নি। রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের খাওখীর গ্রামের উত্তর দিকে কালিজিরা খালেরপাড়ে মনির তালুকদারের জমি থেকে মালিকানাবিহীন ওই ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করা হয়।
জব্দ আলু মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জামাল হোসেনের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে এলাকাবাসী জানান, বুধবার রাতে অপরিচিত কয়েকজন লোক আলুভর্তি একটি বড় ট্রলার ওই খালের পাড়ে নিয়ে আসেন। পরে আলুর বস্তাগুলো ট্রলার থেকে খালের পার্শ্ববর্তী মনির তালুকদারের জমিতে উঠিয়ে রেখে খালি ট্রলার নিয়ে চলে যান। এ সময় তারা (এলাকাবাসী) ভেবেছিলেন হয়তো এই আলু কেউ কিনেছেন। তারা নিয়ে যাবেন; কিন্তু বুধবার রাত থেকে শনিবার দিন পর্যন্ত ওই আলুর বস্তা কেউ না নেওয়ায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ওখানেই বস্তাগুলো পড়ে থাকে। পরে মগড় ইউপি সদস্য মিন্টু খানকে বিষয়টি জানানো হয়।
মগড় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিন্টু খান বলেন, আমি বিষয়টি জেনে এবং আলুর মালিককে খুঁজে না পেয়ে রোববার নলছিটি থানা পুলিশকে এ ঘটনা জানাই। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আলুর বস্তাগুলো জব্দ করে।
মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জামাল হোসেন জানান, জব্দ আলুর বস্তাগুলো তার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
নলছিটি থানার পরিদর্শক (ওসি/তদন্ত) মো. আশরাফ আলী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। ওই ৪৫০ বস্তা আলুর কোনো মালিক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় ওই আলুর বস্তাগুলো জব্দ করে মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জামাল হোসেনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। পরে প্রশাসনকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:১০
ভোলার তজুমদ্দিনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের নামে বিলাসিতা প্রকল্প গ্রহণের ফলে বেড়িবাঁধ এলাকায় উচ্ছেদ হওয়া পাঁচশতাধিক পরিবার উদ্বাস্তু শিবিরে যুক্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেড়িবাঁধের ফলে উচ্ছেদ হওয়ার পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক কাজ বাস্তবায়ণের চেষ্টা করলে ১২ ডিসেম্বর এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দেয় এবং ১৯ ডিসেম্বর মানববন্ধন করে।
সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে যে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে তা টেকসই বেড়িবাঁধ। কিন্তু সেটিকে পাশ কাটিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড স্বৈরাচার সরকারের পরিকল্পনা মোতাবেক একটি বিলাসিতা প্রকল্প গ্রহণ করে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। ৭৪ কোটি ১৭ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৫৭.৩১ টাকা ব্যায়ে উপকূলীয় বাঁধ পুনর্বাসন, নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানউন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স গোলাম রব্বানী কনস্ট্রাকশন। কাজটি ২০২৬ সালের জুন মাসে শেষ করার কথা থকেলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পে কাজ হয়েছে মাত্র ২০ থেকে ৩০ ভাগ। চুক্তি অনুযায়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যথা সময়ে কাজ না করে ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে এসে তড়িঘড়ি করে বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করেন। মাটি কাটার কাজ শুরু করার ফলে বেড়িবাঁধ এলাকার প্রায় পাঁচশতাধিক পরিবার তাদের বসতঘর হারিয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে যুক্ত হওয়ার আশংকা থেকে ১২ ডিসেম্বর কাজ বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসী। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিলাসিতার বেড়িবাঁধ নির্মাণের ফলে বসতঘরের পাশাপাশি ফসলি জমি ও সুপারি বাগানসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ পালা কেটে নষ্ট করলেও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে ক্ষতি পূরণ না দিয়ে ক্ষমতার জোরে বেড়িবাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালায়। ক্ষতিগ্রস্তরা বেড়িবাঁধটি বর্তমান অবন্থান থেকে ৫ /১০ মিটার পূর্বদিকে অথবা তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবিতে ১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে হাজিকান্দি, দালালকান্দি, মাওলানাকান্দি ও ভূইয়াকান্দির কয়েকশ বেড়িবাঁধের ওপর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত মো. শাহিন, সাত্তার, সোহেল, ফরিদ, মো. হাসান, নবী মাঝি, জাহাঙ্গীর পিটারসহ অনেকে জানান, ২০১৮ সালে যে বেড়িবাঁধ করা হয়েছে সেটিই আমাদের জন্য টেকসই বেড়িবাঁধ। পরে ২০২৩ সালে পতিত সরকারের যোগসাজশে পানি উন্নয়ন বোর্ড বেড়িবাঁধের নামে বর্তমানে যেটি করছে সেটি বিলাসিতার প্রকল্প। এই বিলাসিতার প্রকল্পের দ্বারা আমাদের প্রায় পাঁচশতাধিক পরিবারকে উচ্ছেদ করে উদ্বাস্তু শিবিরে যুক্ত করতে চাচ্ছেন। বেড়িবাঁধটি বর্তমান অবস্থান থেকে ৫ থেকে ১০মিটার পূর্বদিকে সরিয়ে দিলে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে যুক্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাবো।
বেড়িবাঁধের কাজ তদারকিতে থাকা পাউবোর উপ-সহকারি প্রকৌশলী তারভীর হোসেন রাসেল সাংবাদিকদের বলেন, এই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দ না থাকায় ক্ষতিগ্রস্থদের কোন টাকা-পয়সা দেয়ার সুযোগ নেই। যে কারণে হাজিকান্দি, দালালকান্দি ও মাওলানাকান্দি বেড়িবাঁধের কাজ বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসী। কাজ বন্ধের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভোলার তজুমদ্দিনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের নামে বিলাসিতা প্রকল্প গ্রহণের ফলে বেড়িবাঁধ এলাকায় উচ্ছেদ হওয়া পাঁচশতাধিক পরিবার উদ্বাস্তু শিবিরে যুক্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেড়িবাঁধের ফলে উচ্ছেদ হওয়ার পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক কাজ বাস্তবায়ণের চেষ্টা করলে ১২ ডিসেম্বর এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দেয় এবং ১৯ ডিসেম্বর মানববন্ধন করে।
সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে যে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে তা টেকসই বেড়িবাঁধ। কিন্তু সেটিকে পাশ কাটিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড স্বৈরাচার সরকারের পরিকল্পনা মোতাবেক একটি বিলাসিতা প্রকল্প গ্রহণ করে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। ৭৪ কোটি ১৭ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৫৭.৩১ টাকা ব্যায়ে উপকূলীয় বাঁধ পুনর্বাসন, নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানউন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স গোলাম রব্বানী কনস্ট্রাকশন। কাজটি ২০২৬ সালের জুন মাসে শেষ করার কথা থকেলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পে কাজ হয়েছে মাত্র ২০ থেকে ৩০ ভাগ। চুক্তি অনুযায়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যথা সময়ে কাজ না করে ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে এসে তড়িঘড়ি করে বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করেন। মাটি কাটার কাজ শুরু করার ফলে বেড়িবাঁধ এলাকার প্রায় পাঁচশতাধিক পরিবার তাদের বসতঘর হারিয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে যুক্ত হওয়ার আশংকা থেকে ১২ ডিসেম্বর কাজ বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসী। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিলাসিতার বেড়িবাঁধ নির্মাণের ফলে বসতঘরের পাশাপাশি ফসলি জমি ও সুপারি বাগানসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ পালা কেটে নষ্ট করলেও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে ক্ষতি পূরণ না দিয়ে ক্ষমতার জোরে বেড়িবাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালায়। ক্ষতিগ্রস্তরা বেড়িবাঁধটি বর্তমান অবন্থান থেকে ৫ /১০ মিটার পূর্বদিকে অথবা তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবিতে ১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে হাজিকান্দি, দালালকান্দি, মাওলানাকান্দি ও ভূইয়াকান্দির কয়েকশ বেড়িবাঁধের ওপর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত মো. শাহিন, সাত্তার, সোহেল, ফরিদ, মো. হাসান, নবী মাঝি, জাহাঙ্গীর পিটারসহ অনেকে জানান, ২০১৮ সালে যে বেড়িবাঁধ করা হয়েছে সেটিই আমাদের জন্য টেকসই বেড়িবাঁধ। পরে ২০২৩ সালে পতিত সরকারের যোগসাজশে পানি উন্নয়ন বোর্ড বেড়িবাঁধের নামে বর্তমানে যেটি করছে সেটি বিলাসিতার প্রকল্প। এই বিলাসিতার প্রকল্পের দ্বারা আমাদের প্রায় পাঁচশতাধিক পরিবারকে উচ্ছেদ করে উদ্বাস্তু শিবিরে যুক্ত করতে চাচ্ছেন। বেড়িবাঁধটি বর্তমান অবস্থান থেকে ৫ থেকে ১০মিটার পূর্বদিকে সরিয়ে দিলে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে যুক্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাবো।
বেড়িবাঁধের কাজ তদারকিতে থাকা পাউবোর উপ-সহকারি প্রকৌশলী তারভীর হোসেন রাসেল সাংবাদিকদের বলেন, এই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দ না থাকায় ক্ষতিগ্রস্থদের কোন টাকা-পয়সা দেয়ার সুযোগ নেই। যে কারণে হাজিকান্দি, দালালকান্দি ও মাওলানাকান্দি বেড়িবাঁধের কাজ বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসী। কাজ বন্ধের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:১৩
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, দৈনিক প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারে আগুন দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কিছু ছবি ও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতেই আইন হাতে নেওয়া বা মব জাস্টিসকে অনুমোদন দেওয়া হবে না।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে আগুন দেওয়া ব্যক্তিদের কিছু ছবি ও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। আমরা তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করেছি। আইন হাতে নেওয়া কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ময়মনসিংহে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ধর্ম উপদেষ্টা হিসেবে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ। আমরা কোনো অবস্থায় মব জাস্টিসকে অনুমোদন করব না। আইন হাতে নেওয়া রাষ্ট্রের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য বড় বাধা। আমি ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে এই বিষয়ে নোটিশ পাঠিয়েছি।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আপনি মব জাস্টিসের কথা বলছিলেন। ১৫ মাসেও এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। এরই মধ্যে দুটি পত্রিকা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে কেবল দুঃখ প্রকাশ করতে দেখেছি। মব আসলেই কীভাবে বন্ধ হবে?
উপদেষ্টা বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। সব স্থাপনার আগে পুলিশ মোতায়েন করা কঠিন। কখন কোন স্থানে হামলা হবে তা সবসময় জানা যায় না। আমরা সবসময় মব জাস্টিসকে নিরুৎসাহিত করি। প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারে আগুন দেওয়া ব্যক্তিদের ছবি ও পরিচয় আমরা গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে শনাক্ত করেছি এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করেছি।
ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারসহ একসাথে হামলার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান একসাথে হামলার শিকার হবে, এটা আগেভাগেই জানা মুশকিল। তবে আমরা সতর্ক এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। যেমন, কাজী নজরুল ইসলামের মাজারের পাশে হাদির দাফনের সময় চারুকলা ইনস্টিটিউটে হামলার সম্ভাব্য রিপোর্ট পেয়ে আমরা আগেভাগেই পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। ফলে সেখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ময়মনসিংহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে উপস্থিত থাকলেও কেন সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি?
উপদেষ্টা জবাবে বলেন, সরকার স্থিতিশীলতা চায়। মব যদি বারবার ঘটে এবং আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খারাপ হয়, তাহলে তা সরকার ব্যর্থতার পরিচয়। সরকার নিজে হামলা করবে না, বরং আইনশৃঙ্খলা উন্নত করতে চায়। নির্বাচনের পরিবেশ যাতে সুষ্ঠু হয়, তার জন্য সরকার সক্রিয়।
বিদেশ থেকে উস্কানির প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, বিদেশ থেকে কেউ মন্তব্য করলে তা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। মেটা ও ইউটিউবের মতো ওপেন প্ল্যাটফর্ম সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তবে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সরকার সচেষ্ট।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, যে কোনো অনিয়ম, হামলা বা দোষীদের আইনের আওতায় আনা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা চাই দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নিরাপদ এবং নাগরিকরা সুরক্ষিত। সরকারি মদদে হামলা হওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, দৈনিক প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারে আগুন দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কিছু ছবি ও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতেই আইন হাতে নেওয়া বা মব জাস্টিসকে অনুমোদন দেওয়া হবে না।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে আগুন দেওয়া ব্যক্তিদের কিছু ছবি ও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। আমরা তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করেছি। আইন হাতে নেওয়া কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ময়মনসিংহে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ধর্ম উপদেষ্টা হিসেবে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ। আমরা কোনো অবস্থায় মব জাস্টিসকে অনুমোদন করব না। আইন হাতে নেওয়া রাষ্ট্রের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য বড় বাধা। আমি ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে এই বিষয়ে নোটিশ পাঠিয়েছি।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আপনি মব জাস্টিসের কথা বলছিলেন। ১৫ মাসেও এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। এরই মধ্যে দুটি পত্রিকা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে কেবল দুঃখ প্রকাশ করতে দেখেছি। মব আসলেই কীভাবে বন্ধ হবে?
উপদেষ্টা বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। সব স্থাপনার আগে পুলিশ মোতায়েন করা কঠিন। কখন কোন স্থানে হামলা হবে তা সবসময় জানা যায় না। আমরা সবসময় মব জাস্টিসকে নিরুৎসাহিত করি। প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারে আগুন দেওয়া ব্যক্তিদের ছবি ও পরিচয় আমরা গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে শনাক্ত করেছি এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করেছি।
ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারসহ একসাথে হামলার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান একসাথে হামলার শিকার হবে, এটা আগেভাগেই জানা মুশকিল। তবে আমরা সতর্ক এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। যেমন, কাজী নজরুল ইসলামের মাজারের পাশে হাদির দাফনের সময় চারুকলা ইনস্টিটিউটে হামলার সম্ভাব্য রিপোর্ট পেয়ে আমরা আগেভাগেই পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। ফলে সেখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ময়মনসিংহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে উপস্থিত থাকলেও কেন সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি?
উপদেষ্টা জবাবে বলেন, সরকার স্থিতিশীলতা চায়। মব যদি বারবার ঘটে এবং আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খারাপ হয়, তাহলে তা সরকার ব্যর্থতার পরিচয়। সরকার নিজে হামলা করবে না, বরং আইনশৃঙ্খলা উন্নত করতে চায়। নির্বাচনের পরিবেশ যাতে সুষ্ঠু হয়, তার জন্য সরকার সক্রিয়।
বিদেশ থেকে উস্কানির প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, বিদেশ থেকে কেউ মন্তব্য করলে তা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। মেটা ও ইউটিউবের মতো ওপেন প্ল্যাটফর্ম সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তবে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সরকার সচেষ্ট।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, যে কোনো অনিয়ম, হামলা বা দোষীদের আইনের আওতায় আনা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা চাই দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নিরাপদ এবং নাগরিকরা সুরক্ষিত। সরকারি মদদে হামলা হওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, দৈনিক প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারে আগুন দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কিছু ছবি ও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতেই আইন হাতে নেওয়া বা মব জাস্টিসকে অনুমোদন দেওয়া হবে না।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে আগুন দেওয়া ব্যক্তিদের কিছু ছবি ও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। আমরা তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করেছি। আইন হাতে নেওয়া কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ময়মনসিংহে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ধর্ম উপদেষ্টা হিসেবে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ। আমরা কোনো অবস্থায় মব জাস্টিসকে অনুমোদন করব না। আইন হাতে নেওয়া রাষ্ট্রের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য বড় বাধা। আমি ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে এই বিষয়ে নোটিশ পাঠিয়েছি।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আপনি মব জাস্টিসের কথা বলছিলেন। ১৫ মাসেও এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। এরই মধ্যে দুটি পত্রিকা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে কেবল দুঃখ প্রকাশ করতে দেখেছি। মব আসলেই কীভাবে বন্ধ হবে?
উপদেষ্টা বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। সব স্থাপনার আগে পুলিশ মোতায়েন করা কঠিন। কখন কোন স্থানে হামলা হবে তা সবসময় জানা যায় না। আমরা সবসময় মব জাস্টিসকে নিরুৎসাহিত করি। প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারে আগুন দেওয়া ব্যক্তিদের ছবি ও পরিচয় আমরা গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে শনাক্ত করেছি এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করেছি।
ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারসহ একসাথে হামলার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান একসাথে হামলার শিকার হবে, এটা আগেভাগেই জানা মুশকিল। তবে আমরা সতর্ক এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। যেমন, কাজী নজরুল ইসলামের মাজারের পাশে হাদির দাফনের সময় চারুকলা ইনস্টিটিউটে হামলার সম্ভাব্য রিপোর্ট পেয়ে আমরা আগেভাগেই পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। ফলে সেখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ময়মনসিংহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে উপস্থিত থাকলেও কেন সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি?
উপদেষ্টা জবাবে বলেন, সরকার স্থিতিশীলতা চায়। মব যদি বারবার ঘটে এবং আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খারাপ হয়, তাহলে তা সরকার ব্যর্থতার পরিচয়। সরকার নিজে হামলা করবে না, বরং আইনশৃঙ্খলা উন্নত করতে চায়। নির্বাচনের পরিবেশ যাতে সুষ্ঠু হয়, তার জন্য সরকার সক্রিয়।
বিদেশ থেকে উস্কানির প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, বিদেশ থেকে কেউ মন্তব্য করলে তা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। মেটা ও ইউটিউবের মতো ওপেন প্ল্যাটফর্ম সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তবে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সরকার সচেষ্ট।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, যে কোনো অনিয়ম, হামলা বা দোষীদের আইনের আওতায় আনা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা চাই দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নিরাপদ এবং নাগরিকরা সুরক্ষিত। সরকারি মদদে হামলা হওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, দৈনিক প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারে আগুন দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কিছু ছবি ও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতেই আইন হাতে নেওয়া বা মব জাস্টিসকে অনুমোদন দেওয়া হবে না।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে আগুন দেওয়া ব্যক্তিদের কিছু ছবি ও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। আমরা তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করেছি। আইন হাতে নেওয়া কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ময়মনসিংহে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ধর্ম উপদেষ্টা হিসেবে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ। আমরা কোনো অবস্থায় মব জাস্টিসকে অনুমোদন করব না। আইন হাতে নেওয়া রাষ্ট্রের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য বড় বাধা। আমি ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে এই বিষয়ে নোটিশ পাঠিয়েছি।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আপনি মব জাস্টিসের কথা বলছিলেন। ১৫ মাসেও এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। এরই মধ্যে দুটি পত্রিকা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে কেবল দুঃখ প্রকাশ করতে দেখেছি। মব আসলেই কীভাবে বন্ধ হবে?
উপদেষ্টা বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। সব স্থাপনার আগে পুলিশ মোতায়েন করা কঠিন। কখন কোন স্থানে হামলা হবে তা সবসময় জানা যায় না। আমরা সবসময় মব জাস্টিসকে নিরুৎসাহিত করি। প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারে আগুন দেওয়া ব্যক্তিদের ছবি ও পরিচয় আমরা গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে শনাক্ত করেছি এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করেছি।
ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারসহ একসাথে হামলার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান একসাথে হামলার শিকার হবে, এটা আগেভাগেই জানা মুশকিল। তবে আমরা সতর্ক এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। যেমন, কাজী নজরুল ইসলামের মাজারের পাশে হাদির দাফনের সময় চারুকলা ইনস্টিটিউটে হামলার সম্ভাব্য রিপোর্ট পেয়ে আমরা আগেভাগেই পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। ফলে সেখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ময়মনসিংহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে উপস্থিত থাকলেও কেন সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি?
উপদেষ্টা জবাবে বলেন, সরকার স্থিতিশীলতা চায়। মব যদি বারবার ঘটে এবং আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খারাপ হয়, তাহলে তা সরকার ব্যর্থতার পরিচয়। সরকার নিজে হামলা করবে না, বরং আইনশৃঙ্খলা উন্নত করতে চায়। নির্বাচনের পরিবেশ যাতে সুষ্ঠু হয়, তার জন্য সরকার সক্রিয়।
বিদেশ থেকে উস্কানির প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, বিদেশ থেকে কেউ মন্তব্য করলে তা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। মেটা ও ইউটিউবের মতো ওপেন প্ল্যাটফর্ম সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তবে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সরকার সচেষ্ট।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, যে কোনো অনিয়ম, হামলা বা দোষীদের আইনের আওতায় আনা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা চাই দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নিরাপদ এবং নাগরিকরা সুরক্ষিত। সরকারি মদদে হামলা হওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.