
০৪ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:৫৫
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র (এফডব্লিউসি) থাকার কথা থাকলেও পটুয়াখালী জেলায় ৭৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ৫৪ টিতে এই সেবামুলক প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে। আবার এসব এফডবিলউসিতে ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে গত ১৪ মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে জনবল সংকটও। এতে করে বিপাকে পড়ছেন সেবা নিতে আসা প্রান্তিক মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এখানে জ্বর, সর্দি, কাশি, চর্মরোগসহ মা ও শিশুস্বাস্থ্য সেবার ২৬ ধরনের ওষুধ দেওয়ার কথা। কিন্তু গত ১৪ মাস ধরে এসব কেন্দ্রে বন্ধ রয়েছে ওষুধ সরবরাহ। ফলে সেবা নিতে আসা রোগীদের যেতে হচ্ছে শহরের সরকারি ও বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকব ও হাসপাতালে। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি বাড়ছে ব্যয়।
গত বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, কেন্দ্রটিতে সেবা নিতে আসা রোগীরা ওষুধ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন। সরকারি এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সঠিক সেবা না পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। জেলার অন্য ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রেগুলোতেও একই চিত্র।
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা বকুল বাড়িয়া গ্রামের লামিয়া বেগম বলেন, ‘আমার দেড় বছরের শিশু সামিয়াকে নিয়ে এখানে এসেছি। ছেলেটির কয়েকদিন ধরে জ্বর-সর্দি-কাঁশিতে ভুগছে। এখানকার ডাক্তার ঔষধ লিখে দিছে, তবে কোনো ওষধ দেয় নাই। বলেছে এখানে কোনো ওষধ নেই। মাস দুয়েক আগেও একবার আসছিলাম। তখনও ওষধ পাই নাই। তিনি আরও বলেন, আমরা গরিব মানুষ। টাকা-পয়সা খরচ ছাড়া ডাক্তার দেখানোসহ বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যায় বলেই এখানে আসি। এখন এখানে ঔষধ না পাওয়ায় বাইরে থেকে কিনতে হয়। একই গ্রামের গৃহবধূ সুমী আক্তার (২১) ঠান্ডা জ¦রে আক্রান্ত তার দুবছরের ছেলে মিরাজকে নিয়ে এসেছেন। তিনি জানান, তিনমাস আগেও এবকার এসেছিলাম অঅমার জ¦র নিয়ে তখনও ওষুধ পাইনি। এবার অঅমার ছেলে অসুস্থ শুধুমাত্র ওষধ লিখে দিয়েছে। কোনো ওষুধ দেয়নি। বলেছে কোননো ওষুধ নেই। আমার বাড়ি থেকে গলাচিপা উপজেলা শহরে ১৫ কিলোমটিা আর পটুয়াখালী জেলা শহর প্রায় ২৫ কিলোমিটার। ওইসব শহরে গিয়ে ক্লিনিক বা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া খুবই ভোগান্তির এবং ব্যয়বহুল। আমার স্বামী একজন দিনমজুর। তাই টাকার অভাবে এখন আমরা চিকিৎসাসেবা ঠিকভাবে পাচ্ছি না।
এই এডব্লিউসিতে রয়েছে জনবল সংকটও। এখানে ৬ টি পদে কর্মরত আছেন মাত্র দুজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) ও একজন এমএলএসএস। উপ-সহকারি মেডিকেল কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার বা স্যাকমো পদে প্রতিষ্ঠালগ্নে একজনকে নিয়োগ দেয়া হলেও ২ বছর সেবা দিয়ে তিনি অন্যত্র বদলী হন। তারপর থেকে ওই পদে আর কেউ আসেননি। এখন পরিবার কল্যাণ সহকারি রনজিতা একাই সামলান চিকিৎসা সেবা। তিনি আবার পাশর্^বর্তী খারিজ্জমা ইউনিয়নেরও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, আমাকেই সব সামলাতে হয়। ওষুধ সরবরাহ ১৪ মাস ধরে বন্ধ। তা এখন রোগীদের চাপ কম। তবে গত একমাসে ৩০ টি স্বাভাবিক প্রসব করানো হয়েছে। পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রেও ওষুধ সংকটের পাশাপাশি রয়েছে জনবল সংকট। এখানেও উপসহকারি মেডিকেল অফিসারের পদটি দীর্ঘদিন খালি। ৭ টি পদে কর্মরত আছে ৫ জন। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা নাছিমা বেগম জানান, কয়েকদনি ধরে আমার জ¦র আর চুলকানি। ডাক্তার দেখাতে আসছি। কিছু ওষুধ লিখে দিয়েছে। কোনো ওষুধ দেয় নাই বলেছে সরবরাহ নেই।
এখানকার পরিবার কল্যাণ সহকারি নাসিমা বেগম বলেন, ‘আমরা আগে প্রায় ২৩ রকমের ওষুধ পেতাম। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ঔষধের সাপ্লাই না থাকায় এখন আর রোগীদের দিতে পারছি না। তাই রোগী তেমন একটা আসে না। আগে প্রতিদিন প্রায় অর্ধশত রোগী এলেও বর্তমানে আসে আট থেকে ১০ জন রোগী। ওষুধ না থাকায় রোগীদের শুধু পরামর্শ দিয়ে বিদায় করতে হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু ওষুধ সংকট নয়, জনবল সংকটেও ভুগছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো। জেলার ৫৪ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সমান সংখ্যক স্যাকমো পদে কর্মরত আছেন মাত্র ৩৩ জন। ২১ টি ফার্মাসিস্ট পদে ১১ টি পদ খালি। পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকের ৭৮ পদের মধ্যে ২৪ টি পদ খালি, পরিবার কল্যাণ সহকারির ৩১৭ পদে ৮৮ টি পদ র্দীঘদিন খালি।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের সহকারি পরিচালক ডা. মো. সামসুজ্জামান বলেন, জনবল ও ওষুধ সংকটে সেবা কিছুটা ব্যাহত হলেও অচিরেই তা কেটে যাবে। আশা করছি আগামি সপ্তাহে সব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ করতে পারবো।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র (এফডব্লিউসি) থাকার কথা থাকলেও পটুয়াখালী জেলায় ৭৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ৫৪ টিতে এই সেবামুলক প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে। আবার এসব এফডবিলউসিতে ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে গত ১৪ মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে জনবল সংকটও। এতে করে বিপাকে পড়ছেন সেবা নিতে আসা প্রান্তিক মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এখানে জ্বর, সর্দি, কাশি, চর্মরোগসহ মা ও শিশুস্বাস্থ্য সেবার ২৬ ধরনের ওষুধ দেওয়ার কথা। কিন্তু গত ১৪ মাস ধরে এসব কেন্দ্রে বন্ধ রয়েছে ওষুধ সরবরাহ। ফলে সেবা নিতে আসা রোগীদের যেতে হচ্ছে শহরের সরকারি ও বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকব ও হাসপাতালে। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি বাড়ছে ব্যয়।
গত বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, কেন্দ্রটিতে সেবা নিতে আসা রোগীরা ওষুধ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন। সরকারি এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সঠিক সেবা না পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। জেলার অন্য ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রেগুলোতেও একই চিত্র।
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা বকুল বাড়িয়া গ্রামের লামিয়া বেগম বলেন, ‘আমার দেড় বছরের শিশু সামিয়াকে নিয়ে এখানে এসেছি। ছেলেটির কয়েকদিন ধরে জ্বর-সর্দি-কাঁশিতে ভুগছে। এখানকার ডাক্তার ঔষধ লিখে দিছে, তবে কোনো ওষধ দেয় নাই। বলেছে এখানে কোনো ওষধ নেই। মাস দুয়েক আগেও একবার আসছিলাম। তখনও ওষধ পাই নাই। তিনি আরও বলেন, আমরা গরিব মানুষ। টাকা-পয়সা খরচ ছাড়া ডাক্তার দেখানোসহ বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যায় বলেই এখানে আসি। এখন এখানে ঔষধ না পাওয়ায় বাইরে থেকে কিনতে হয়। একই গ্রামের গৃহবধূ সুমী আক্তার (২১) ঠান্ডা জ¦রে আক্রান্ত তার দুবছরের ছেলে মিরাজকে নিয়ে এসেছেন। তিনি জানান, তিনমাস আগেও এবকার এসেছিলাম অঅমার জ¦র নিয়ে তখনও ওষুধ পাইনি। এবার অঅমার ছেলে অসুস্থ শুধুমাত্র ওষধ লিখে দিয়েছে। কোনো ওষুধ দেয়নি। বলেছে কোননো ওষুধ নেই। আমার বাড়ি থেকে গলাচিপা উপজেলা শহরে ১৫ কিলোমটিা আর পটুয়াখালী জেলা শহর প্রায় ২৫ কিলোমিটার। ওইসব শহরে গিয়ে ক্লিনিক বা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া খুবই ভোগান্তির এবং ব্যয়বহুল। আমার স্বামী একজন দিনমজুর। তাই টাকার অভাবে এখন আমরা চিকিৎসাসেবা ঠিকভাবে পাচ্ছি না।
এই এডব্লিউসিতে রয়েছে জনবল সংকটও। এখানে ৬ টি পদে কর্মরত আছেন মাত্র দুজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) ও একজন এমএলএসএস। উপ-সহকারি মেডিকেল কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার বা স্যাকমো পদে প্রতিষ্ঠালগ্নে একজনকে নিয়োগ দেয়া হলেও ২ বছর সেবা দিয়ে তিনি অন্যত্র বদলী হন। তারপর থেকে ওই পদে আর কেউ আসেননি। এখন পরিবার কল্যাণ সহকারি রনজিতা একাই সামলান চিকিৎসা সেবা। তিনি আবার পাশর্^বর্তী খারিজ্জমা ইউনিয়নেরও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, আমাকেই সব সামলাতে হয়। ওষুধ সরবরাহ ১৪ মাস ধরে বন্ধ। তা এখন রোগীদের চাপ কম। তবে গত একমাসে ৩০ টি স্বাভাবিক প্রসব করানো হয়েছে। পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রেও ওষুধ সংকটের পাশাপাশি রয়েছে জনবল সংকট। এখানেও উপসহকারি মেডিকেল অফিসারের পদটি দীর্ঘদিন খালি। ৭ টি পদে কর্মরত আছে ৫ জন। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা নাছিমা বেগম জানান, কয়েকদনি ধরে আমার জ¦র আর চুলকানি। ডাক্তার দেখাতে আসছি। কিছু ওষুধ লিখে দিয়েছে। কোনো ওষুধ দেয় নাই বলেছে সরবরাহ নেই।
এখানকার পরিবার কল্যাণ সহকারি নাসিমা বেগম বলেন, ‘আমরা আগে প্রায় ২৩ রকমের ওষুধ পেতাম। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ঔষধের সাপ্লাই না থাকায় এখন আর রোগীদের দিতে পারছি না। তাই রোগী তেমন একটা আসে না। আগে প্রতিদিন প্রায় অর্ধশত রোগী এলেও বর্তমানে আসে আট থেকে ১০ জন রোগী। ওষুধ না থাকায় রোগীদের শুধু পরামর্শ দিয়ে বিদায় করতে হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু ওষুধ সংকট নয়, জনবল সংকটেও ভুগছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো। জেলার ৫৪ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সমান সংখ্যক স্যাকমো পদে কর্মরত আছেন মাত্র ৩৩ জন। ২১ টি ফার্মাসিস্ট পদে ১১ টি পদ খালি। পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকের ৭৮ পদের মধ্যে ২৪ টি পদ খালি, পরিবার কল্যাণ সহকারির ৩১৭ পদে ৮৮ টি পদ র্দীঘদিন খালি।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের সহকারি পরিচালক ডা. মো. সামসুজ্জামান বলেন, জনবল ও ওষুধ সংকটে সেবা কিছুটা ব্যাহত হলেও অচিরেই তা কেটে যাবে। আশা করছি আগামি সপ্তাহে সব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ করতে পারবো।
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২৭
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৫
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:০৫
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২৭
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের কুয়াকাটা মহাসড়কসহ পুরো শহরের সড়ক এখন বেহাল দশায়। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অটোর চাকা আটকে যাচ্ছে খানাখন্দে, আবার কোথাও যাত্রীসহ অটো উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক ভাঙাচোরা থাকায় যাত্রী, চালক ও পথচারীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ছাড়াও ভোলা রোড, রুপাতলী, নথুল্লাবাদ, বাংলাবাজার ও নতুন বাজার এলাকায় খানাখন্দ বেশি। সড়কের পিচ-পাথর উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সাময়িকভাবে ইট ফেলে ভরাট করা হলেও তা টেকসই হচ্ছে না। প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। পদ্মা সেতু চালুর পর কুয়াকাটাগামী যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ায় চাপ বেড়েছে আরও।
কুয়াকাটা-ঢাকা রুটের বাসচালক কেরামত আলী বলেন, ‘সড়কের যে অবস্থা, তাতে বাস চালাতে অনেক ঝুঁকি নিতে হয়। যাত্রীরাও আতঙ্কে থাকেন। সময়ও বেশি লাগে। যে ধরনের সংস্কার করা হচ্ছে, তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আগেও এভাবে সংস্কার হয়েছে, কিন্তু টেকেনি।’
সওজ বরিশালের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান জানান, ‘আমরা সবসময়ই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সড়ককে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তবে এটি মাত্র ২৪ ফিটের একটি সিঙ্গেল রোড। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আমরা ২০০ মিটার রাস্তায় পাঁচটি স্পিড ব্রেকার দিয়েছি, যা একটি হাইওয়ের জন্য উপযোগী নয়। এখানে ভারী যানবাহন চলাচল করে, ফলে হঠাৎ গতি কমে গেলে সড়কের ক্ষতি হয়।
ফিটনেসবিহীন বেপরোয়া যানবাহন এবং মোটরচালিত যানও রাস্তার ক্ষতির বড় কারণ। বরিশালে আদর্শ সড়ক মাত্র ১২ কিলোমিটার। জায়গার অভাবে রাস্তা প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। জোড়া-তালি দিয়ে প্রশস্তকরণ করায় সড়কের লেভেল এক থাকে না, ফলে ত্রুটি থেকে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের অংশ থেকে ১৮ কিলোমিটার রাস্তা ওভারলেপিংয়ের আওতায় আসবে। তাছাড়া ট্রাফিক কন্ট্রোল ও সিন্ডিকেট সমস্যার কারণে নতুন যানবাহন প্রবেশ করাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। মাস্টারপ্ল্যানের অভাবে এই সড়ক বছরের পর বছর এভাবেই চলছে। তবে আসন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফুটওভার ব্রিজ নির্মিত হলে দুর্ঘটনা ও সড়ক অব্যবস্থাপনা অনেকটাই কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি।’
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার বলেন, ‘বর্ষাকালে বিটুমিনের কাজ করা যায় না। বর্ষা শেষ না হলে রাস্তা সংস্কার সম্ভব নয়। অতীতে টেন্ডার রাজনীতির কারণে দায়সারা কাজ হয়েছে, ফলে টেকসই হয়নি। হেভি লোড যানবাহন, স্পিড ব্রেকার ও লাইসেন্সবিহীন মোটরযানের কারণে রাস্তার ফ্লেক্সিবিলিটি নষ্ট হচ্ছে। আবার ফাইনান্সিয়াল সংকটের কারণে নতুন প্রজেক্টও বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, ‘একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কের এমন বেহাল অবস্থা সত্যিই হতাশাজনক। মাঝেমধ্যেই দেখি যাত্রীসহ অটো উল্টে যাচ্ছে। আমার নিজেরও চলাচলে ভোগান্তি হয়। কর্তৃপক্ষের যেমন গাফিলতি আছে, তেমনি আমাদের তাগিদের অভাবও রয়েছে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।’
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নূর লামিয়া তাবাসসুম (ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, ১১ ব্যাচ) বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরসাইকেল এসে ধাক্কা দেয়, আমি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পাই। আমার দুর্ঘটনার জন্য সড়কের অব্যবস্থাপনা, গাড়ির বেপরোয়া গতি এবং প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করি। নেই ফুটওভার ব্রিজ, রাস্তা পার হতে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এটা দুঃখজনক।’
এ পথের নিয়মিত যাত্রী ফয়সাল সাহেব জানায়, ‘প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় রাস্তাঘাটের খানাখন্দ আমার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাঁটার সময় ভয় থাকে কখন যে পা পিছলে যায়। কয়েকদিন আগে আমার পরিচিত একজন অটোতে উঠতে গিয়ে পড়ে পা মচকে ফেলেন। বয়স হয়েছে, তাই আরও বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক শুধু দক্ষিণাঞ্চলের নয়, পুরো দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। অথচ সড়কের এই বেহাল দশা প্রতিদিনই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের কুয়াকাটা মহাসড়কসহ পুরো শহরের সড়ক এখন বেহাল দশায়। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অটোর চাকা আটকে যাচ্ছে খানাখন্দে, আবার কোথাও যাত্রীসহ অটো উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক ভাঙাচোরা থাকায় যাত্রী, চালক ও পথচারীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ছাড়াও ভোলা রোড, রুপাতলী, নথুল্লাবাদ, বাংলাবাজার ও নতুন বাজার এলাকায় খানাখন্দ বেশি। সড়কের পিচ-পাথর উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সাময়িকভাবে ইট ফেলে ভরাট করা হলেও তা টেকসই হচ্ছে না। প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। পদ্মা সেতু চালুর পর কুয়াকাটাগামী যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ায় চাপ বেড়েছে আরও।
কুয়াকাটা-ঢাকা রুটের বাসচালক কেরামত আলী বলেন, ‘সড়কের যে অবস্থা, তাতে বাস চালাতে অনেক ঝুঁকি নিতে হয়। যাত্রীরাও আতঙ্কে থাকেন। সময়ও বেশি লাগে। যে ধরনের সংস্কার করা হচ্ছে, তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আগেও এভাবে সংস্কার হয়েছে, কিন্তু টেকেনি।’
সওজ বরিশালের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান জানান, ‘আমরা সবসময়ই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সড়ককে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তবে এটি মাত্র ২৪ ফিটের একটি সিঙ্গেল রোড। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আমরা ২০০ মিটার রাস্তায় পাঁচটি স্পিড ব্রেকার দিয়েছি, যা একটি হাইওয়ের জন্য উপযোগী নয়। এখানে ভারী যানবাহন চলাচল করে, ফলে হঠাৎ গতি কমে গেলে সড়কের ক্ষতি হয়।
ফিটনেসবিহীন বেপরোয়া যানবাহন এবং মোটরচালিত যানও রাস্তার ক্ষতির বড় কারণ। বরিশালে আদর্শ সড়ক মাত্র ১২ কিলোমিটার। জায়গার অভাবে রাস্তা প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। জোড়া-তালি দিয়ে প্রশস্তকরণ করায় সড়কের লেভেল এক থাকে না, ফলে ত্রুটি থেকে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের অংশ থেকে ১৮ কিলোমিটার রাস্তা ওভারলেপিংয়ের আওতায় আসবে। তাছাড়া ট্রাফিক কন্ট্রোল ও সিন্ডিকেট সমস্যার কারণে নতুন যানবাহন প্রবেশ করাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। মাস্টারপ্ল্যানের অভাবে এই সড়ক বছরের পর বছর এভাবেই চলছে। তবে আসন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফুটওভার ব্রিজ নির্মিত হলে দুর্ঘটনা ও সড়ক অব্যবস্থাপনা অনেকটাই কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি।’
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার বলেন, ‘বর্ষাকালে বিটুমিনের কাজ করা যায় না। বর্ষা শেষ না হলে রাস্তা সংস্কার সম্ভব নয়। অতীতে টেন্ডার রাজনীতির কারণে দায়সারা কাজ হয়েছে, ফলে টেকসই হয়নি। হেভি লোড যানবাহন, স্পিড ব্রেকার ও লাইসেন্সবিহীন মোটরযানের কারণে রাস্তার ফ্লেক্সিবিলিটি নষ্ট হচ্ছে। আবার ফাইনান্সিয়াল সংকটের কারণে নতুন প্রজেক্টও বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, ‘একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কের এমন বেহাল অবস্থা সত্যিই হতাশাজনক। মাঝেমধ্যেই দেখি যাত্রীসহ অটো উল্টে যাচ্ছে। আমার নিজেরও চলাচলে ভোগান্তি হয়। কর্তৃপক্ষের যেমন গাফিলতি আছে, তেমনি আমাদের তাগিদের অভাবও রয়েছে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।’
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নূর লামিয়া তাবাসসুম (ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, ১১ ব্যাচ) বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরসাইকেল এসে ধাক্কা দেয়, আমি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পাই। আমার দুর্ঘটনার জন্য সড়কের অব্যবস্থাপনা, গাড়ির বেপরোয়া গতি এবং প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করি। নেই ফুটওভার ব্রিজ, রাস্তা পার হতে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এটা দুঃখজনক।’
এ পথের নিয়মিত যাত্রী ফয়সাল সাহেব জানায়, ‘প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় রাস্তাঘাটের খানাখন্দ আমার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাঁটার সময় ভয় থাকে কখন যে পা পিছলে যায়। কয়েকদিন আগে আমার পরিচিত একজন অটোতে উঠতে গিয়ে পড়ে পা মচকে ফেলেন। বয়স হয়েছে, তাই আরও বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক শুধু দক্ষিণাঞ্চলের নয়, পুরো দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। অথচ সড়কের এই বেহাল দশা প্রতিদিনই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৫
বরিশালে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই কয়লা ও পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি লাইটার ভেসেলসহ ১২ চোরাকারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ডের একটি দল। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কোস্ট গার্ড স্টেশন বরিশাল কোতোয়ালি থানাধীন চরমোনাই আনন্দ ঘাট-সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে একটি সন্দেহজনক লাইটার ভেসেল তল্লাশি করা হয়। তল্লাশির পর ভেসেলটি থেকে ১ হাজার ১০০ টন চোরাই কয়লা জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ সময় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মোংলা হিরণ পয়েন্টে অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে এই কয়লা অসদুপায় অবলম্বন করে অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল।
জব্দ করা কয়লা, পাচারকাজে ব্যবহৃত লাইটার ভেসেল এবং আটক ১২ চোরাকারবারিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা।
বরিশালে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই কয়লা ও পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি লাইটার ভেসেলসহ ১২ চোরাকারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ডের একটি দল। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কোস্ট গার্ড স্টেশন বরিশাল কোতোয়ালি থানাধীন চরমোনাই আনন্দ ঘাট-সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে একটি সন্দেহজনক লাইটার ভেসেল তল্লাশি করা হয়। তল্লাশির পর ভেসেলটি থেকে ১ হাজার ১০০ টন চোরাই কয়লা জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ সময় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মোংলা হিরণ পয়েন্টে অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে এই কয়লা অসদুপায় অবলম্বন করে অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল।
জব্দ করা কয়লা, পাচারকাজে ব্যবহৃত লাইটার ভেসেল এবং আটক ১২ চোরাকারবারিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা।

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:০৫
শয়তানের নিঃশ্বাসের খপ্পরে পড়ে ২৭ বছরের গৃহবধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মামলা হলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরিশাল কোতয়ালি থানার ওসিকে আসামির বিরুদ্ধে এজাহার করার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উপরোক্ত নির্দেশ দেন।
নগরের ২৬ নং ওয়ার্ডের হরিনাফুলিয়া এলাকার আসমা আক্তার বাদী হয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের রাসেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। বাদি মামলায় উল্লেখ করেন তার সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ হয় আসামীর।
বাদির আইডি কার্ড সংশোধন করে দেওয়ার কথা বলে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলে। গত ১২ নভেম্বর বাদি বাস স্ট্যান্ড আসলে শয়তানের নিঃশ্বাস দিয়া বাদিসহ তার নবজাত শিশু সন্তানকে ঢাকা নিয়ে যায়। এরপর ১২ ই নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাঁদিকে খুনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাদি স্বামীকে জানালে স্বামী ১৯ নভেম্বর ঢাকা গিয়ে বাদিকে উদ্ধার করে বরিশাল নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ২৭বছরের ওই গৃহবধূ বৃহস্পতিবার বরিশাল আদালতে হাজির হয়ে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন।
শয়তানের নিঃশ্বাসের খপ্পরে পড়ে ২৭ বছরের গৃহবধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মামলা হলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরিশাল কোতয়ালি থানার ওসিকে আসামির বিরুদ্ধে এজাহার করার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উপরোক্ত নির্দেশ দেন।
নগরের ২৬ নং ওয়ার্ডের হরিনাফুলিয়া এলাকার আসমা আক্তার বাদী হয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের রাসেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। বাদি মামলায় উল্লেখ করেন তার সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ হয় আসামীর।
বাদির আইডি কার্ড সংশোধন করে দেওয়ার কথা বলে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলে। গত ১২ নভেম্বর বাদি বাস স্ট্যান্ড আসলে শয়তানের নিঃশ্বাস দিয়া বাদিসহ তার নবজাত শিশু সন্তানকে ঢাকা নিয়ে যায়। এরপর ১২ ই নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাঁদিকে খুনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাদি স্বামীকে জানালে স্বামী ১৯ নভেম্বর ঢাকা গিয়ে বাদিকে উদ্ধার করে বরিশাল নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ২৭বছরের ওই গৃহবধূ বৃহস্পতিবার বরিশাল আদালতে হাজির হয়ে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.