২২ আগস্ট, ২০২৫ ২১:৪৫
বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে আন্দোলনে জড়িত এক যুবকের পরিচয় নিয় ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। হোসাইন আল সুহান নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের দাবি, তিনি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা।
অন্যদিকে সুহান গত জুলাই আগস্টজুড়ে স্বৈরাচারী সরকার পতনে রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১১টায় বিক্ষোভ করে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনকারীরা।
থানার ভেতরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে তাদের। এর আগে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগর ভবনের সামনে ফজলুল হক এভিনিউ সড়ক থেকে সুহানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও করে ও সড়ক আটকে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা। এরপর সন্ধ্যা ৬টা থেকে কোতয়ালি মডেল থানা ঘেরাও করে মূল ফটকে বিক্ষোভ করতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা।
সুহানকে গ্রেপ্তারের খবরে রোববার দুপুর থেকে ডাকা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে সোমবার দুপুর তিনটার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকসহ অন্যান্যরা কাজে ফিরেছেন।
পুলিশ কমিশনার পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, সুহানকে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ওপর হামলাসহ গত জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
তিনি আরও বলেন, সুহান ছাত্রলীগ নেতা তার প্রমান এই ছবিতে।
স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের সদস্য তাহমিদ ইসলাম দাইয়ান মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বলেন, ‘মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। তাই আমরা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। সেখানে পুলিশ আমাদের সমন্বয়ক সুহানকে নিয়ে গেছে। তার মুক্তির দাবিতে আমরা এখন থানায় অবস্থান নিয়েছি।’
কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের ক্যাডার সুহান বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও পলাতক শেখ হাসিনার মামাতো ভাই খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারী। তাকে গ্রেপ্তারের সময় স্বাস্থ্যখাত আন্দোলনের কয়েকজন সদস্য জোর করে টহল পিকআপে উঠেছিল। তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সুহানকে হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মচারী মামলার আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হবে।
এর আগে সোমবার বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের আহত করার অভিযোগে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বাহাদুর শিকদার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
মামলায় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মহিউদ্দিন রনিকে একমাত্র নামধারী ও অজ্ঞাত আরও ৮০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইন অমান্য করে জনতার উপর হামলা, হত্যা করতে আঘাতসহ মারধর-জখমসহ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক মহিউদ্দিন রনি বলেন, ডিসির প্রতিনিধি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য বলেন। শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীরা সবাই একসাথে স্মারকলিপি দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে যেতেই পুলিশ শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেয় এবং হোসাইন আল সুহানকে ধরে নিয়ে যায়।
একজন জুলাই যোদ্ধাকে এভাবে ডেবিল ট্যাগ দিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারে না। আমারা জানতে চাই কার র্নিদেশে গ্রেপ্তার করা হলো এবং কেন পুলিশ আমাদের নারী শিক্ষার্থীদের গায় হাত দিলো।
স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের এই যৌক্তিক আন্দোলনকে বানচাল করার জন্য একজন জুলাই যোদ্ধাকে ডেভিল হান্ট অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুহান যখন ৮ম শ্রেণিতে পড়াকালে আওয়ামী লীগের একটি মিছিলে অংশগ্রহন করে, সেই মিছিলের ছবি দিয়ে তাকে ফ্যাসিস্টের দোসর বানিয়ে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুরো স্বাস্থ্যখাত আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটি কুচক্রী মহল ও পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
বরিশালে যারা গত জুলাই আগষ্টে সরকার পতনের আন্দোলন করেছে তারা সুহানকে চেনে এবং জানে। সুহানের গায়ে ১৭ টি গুলি (স্প্রিন্টারের) আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহানের বাবা সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলে সরকার পতনে পুলিশের গুলি স্বৈরাচারী সরকারের নেতা কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হয়। আমার ছেলে আহার নিদ্রা পরিহার করে রাজপথে থেকে আন্দোলন চালিয়েছে।
আমার ছেলের বাচ্চাকালের একটা ছবি বের করে ছেলে পেলেদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ভুল প্রমাণিত করতে চাচ্ছে একটি মহল, আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, এরই সাথে আমার ছেলেকে জামিনে যাতে বিলম্ব না করে, সে বিষয় আদালতে দাবিগুলি পেশ করবো।
প্রসঙ্গত, ২৩ দিন ধরে চলা আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধের পাশাপাশি গত ১১ আগস্ট শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি গেটে আমরণ অনশনে বসেন কয়েক শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে অনশন থেকে তুলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এ সময় দুই পক্ষের একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে দাবি করা হয়। গত রোববার শেবাচিম হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে আন্দোলনে নামে।
একই সময় ছাত্রজনতা শেবাচিমের প্রধান গেটে অবস্থানকালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তখন ছাত্রজনতার ছোড়া ইটে চিকিৎসক আহত হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়।
এরপর রোববার দুপুর থেকে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানান, হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করা হলে হাসপাতাল শাটডাউনের কথা জানান।
দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর অব্যবস্থাপনা দূর, রোগীদের হয়রানি ও স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট নির্মুলের দাবিতে চলমান এই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কয়েকজন নেতা। এর মধ্যে সুহান একজন, যদিও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সকল পদ স্থগিত করা হয়েছে।
মহিউদ্দিন রনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের এই যৌক্তিক আন্দোলন, দলীয় লেজুর ভিত্তিক ডাক্তারদের নিয়োগ,এবং দালাল নির্মূল এর যে দাবি ছাত্র জনতা তুলেছেন, এই দাবী সরকার যদি মেনে নেয় তাহলে একটি কুচক্রী মহল সন্ত্রাসবাদ কায়েম দালাল সিন্ডিকেট পরিচালনা স্বাস্থ্যখাতকে কেন্দ্র করে অনিয়ম দুর্নীতি করতে না। তাই আমাদের বিরুদ্ধে কঠিন ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে আন্দোলনে জড়িত এক যুবকের পরিচয় নিয় ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। হোসাইন আল সুহান নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের দাবি, তিনি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা।
অন্যদিকে সুহান গত জুলাই আগস্টজুড়ে স্বৈরাচারী সরকার পতনে রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১১টায় বিক্ষোভ করে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনকারীরা।
থানার ভেতরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে তাদের। এর আগে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগর ভবনের সামনে ফজলুল হক এভিনিউ সড়ক থেকে সুহানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও করে ও সড়ক আটকে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা। এরপর সন্ধ্যা ৬টা থেকে কোতয়ালি মডেল থানা ঘেরাও করে মূল ফটকে বিক্ষোভ করতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা।
সুহানকে গ্রেপ্তারের খবরে রোববার দুপুর থেকে ডাকা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে সোমবার দুপুর তিনটার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকসহ অন্যান্যরা কাজে ফিরেছেন।
পুলিশ কমিশনার পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, সুহানকে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ওপর হামলাসহ গত জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
তিনি আরও বলেন, সুহান ছাত্রলীগ নেতা তার প্রমান এই ছবিতে।
স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের সদস্য তাহমিদ ইসলাম দাইয়ান মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বলেন, ‘মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। তাই আমরা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। সেখানে পুলিশ আমাদের সমন্বয়ক সুহানকে নিয়ে গেছে। তার মুক্তির দাবিতে আমরা এখন থানায় অবস্থান নিয়েছি।’
কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের ক্যাডার সুহান বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও পলাতক শেখ হাসিনার মামাতো ভাই খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারী। তাকে গ্রেপ্তারের সময় স্বাস্থ্যখাত আন্দোলনের কয়েকজন সদস্য জোর করে টহল পিকআপে উঠেছিল। তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সুহানকে হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মচারী মামলার আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হবে।
এর আগে সোমবার বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের আহত করার অভিযোগে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বাহাদুর শিকদার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
মামলায় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মহিউদ্দিন রনিকে একমাত্র নামধারী ও অজ্ঞাত আরও ৮০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইন অমান্য করে জনতার উপর হামলা, হত্যা করতে আঘাতসহ মারধর-জখমসহ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক মহিউদ্দিন রনি বলেন, ডিসির প্রতিনিধি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য বলেন। শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীরা সবাই একসাথে স্মারকলিপি দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে যেতেই পুলিশ শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেয় এবং হোসাইন আল সুহানকে ধরে নিয়ে যায়।
একজন জুলাই যোদ্ধাকে এভাবে ডেবিল ট্যাগ দিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারে না। আমারা জানতে চাই কার র্নিদেশে গ্রেপ্তার করা হলো এবং কেন পুলিশ আমাদের নারী শিক্ষার্থীদের গায় হাত দিলো।
স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের এই যৌক্তিক আন্দোলনকে বানচাল করার জন্য একজন জুলাই যোদ্ধাকে ডেভিল হান্ট অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুহান যখন ৮ম শ্রেণিতে পড়াকালে আওয়ামী লীগের একটি মিছিলে অংশগ্রহন করে, সেই মিছিলের ছবি দিয়ে তাকে ফ্যাসিস্টের দোসর বানিয়ে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুরো স্বাস্থ্যখাত আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটি কুচক্রী মহল ও পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
বরিশালে যারা গত জুলাই আগষ্টে সরকার পতনের আন্দোলন করেছে তারা সুহানকে চেনে এবং জানে। সুহানের গায়ে ১৭ টি গুলি (স্প্রিন্টারের) আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহানের বাবা সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলে সরকার পতনে পুলিশের গুলি স্বৈরাচারী সরকারের নেতা কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হয়। আমার ছেলে আহার নিদ্রা পরিহার করে রাজপথে থেকে আন্দোলন চালিয়েছে।
আমার ছেলের বাচ্চাকালের একটা ছবি বের করে ছেলে পেলেদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ভুল প্রমাণিত করতে চাচ্ছে একটি মহল, আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, এরই সাথে আমার ছেলেকে জামিনে যাতে বিলম্ব না করে, সে বিষয় আদালতে দাবিগুলি পেশ করবো।
প্রসঙ্গত, ২৩ দিন ধরে চলা আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধের পাশাপাশি গত ১১ আগস্ট শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি গেটে আমরণ অনশনে বসেন কয়েক শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে অনশন থেকে তুলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এ সময় দুই পক্ষের একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে দাবি করা হয়। গত রোববার শেবাচিম হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে আন্দোলনে নামে।
একই সময় ছাত্রজনতা শেবাচিমের প্রধান গেটে অবস্থানকালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তখন ছাত্রজনতার ছোড়া ইটে চিকিৎসক আহত হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়।
এরপর রোববার দুপুর থেকে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানান, হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করা হলে হাসপাতাল শাটডাউনের কথা জানান।
দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর অব্যবস্থাপনা দূর, রোগীদের হয়রানি ও স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট নির্মুলের দাবিতে চলমান এই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কয়েকজন নেতা। এর মধ্যে সুহান একজন, যদিও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সকল পদ স্থগিত করা হয়েছে।
মহিউদ্দিন রনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের এই যৌক্তিক আন্দোলন, দলীয় লেজুর ভিত্তিক ডাক্তারদের নিয়োগ,এবং দালাল নির্মূল এর যে দাবি ছাত্র জনতা তুলেছেন, এই দাবী সরকার যদি মেনে নেয় তাহলে একটি কুচক্রী মহল সন্ত্রাসবাদ কায়েম দালাল সিন্ডিকেট পরিচালনা স্বাস্থ্যখাতকে কেন্দ্র করে অনিয়ম দুর্নীতি করতে না। তাই আমাদের বিরুদ্ধে কঠিন ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:২৫
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৮
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৯
রাতের আঁধারে সরকারি রাস্তার পাশের লাখ টাকা মূল্যের একাধিক গাছ কেটে নেয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধসহ কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেছে।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন গাছ কাটার শ্রমিকদের নিয়ে এসব গাছ কাটছিলেন। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার টরকী বন্দরের ছাগলহাট সংলগ্ন হাজী বাবুল হোসেনের বাড়ির সামনের সরকারি সড়কের পাশের বিভিন্ন প্রজাতের সাতটি গাছ লোকজন নিয়ে কাটতে থাকেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন।
স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করার পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধসহ কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেন। বাড়ির মালিক হাজী বাবুল হোসেন বলেন, গাছগুলো উপড়ে আমার বাড়ির ক্ষতি হতে পারে ভেবে গাছগুলো কেটে নেয়ার জন্য অতিসম্প্রতি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। তিনি আরও বলেন, রাতের আঁধারে কেবা কারা গাছ কাটছে তা আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি।
পরে জানতে পারি, আমার আত্মীয় রোকনুজ্জামান রোকন লোকজন নিয়ে গাছ কাটছে। তিনি (রোকন) নাকি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস থেকে অনুমতি নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক রিফাত আরা মৌরি বলেন, আমার কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। যার যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আবেদনপত্রটি উপজেলা বন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো গাছ কাটার অনুমতি দেয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, অনুমতি ছাড়া রাতের আধাঁরে গাছ কাটার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, রাতে ইউএনও স্যারের ফোন পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ ও কর্তনকৃত গাছের অংশ জব্দ করা হয়েছে। ওসি আরও বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী এ ঘটনায় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, আমার নিকট আত্মীয় হাজী বাবুল হোসেন গাছ কাটার জন্য আবেদন করেছেন। আমি ভেবেছি তিনি অনুমতি পেয়েছেন। যেকারণেই শ্রমিক নিয়ে গাছগুলো কাটা হচ্ছিলো।
পরবর্তীতে ইউএনও স্যারের নির্দেশে থানা পুলিশ বাঁধা দেয়ার পর থেকে গাছ কাটা বন্ধ রয়েছে। এখন ইউএনও স্যার যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা সেই অনুযায়ী অগ্রসর হবো।
রাতের আঁধারে সরকারি রাস্তার পাশের লাখ টাকা মূল্যের একাধিক গাছ কেটে নেয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধসহ কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেছে।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন গাছ কাটার শ্রমিকদের নিয়ে এসব গাছ কাটছিলেন। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার টরকী বন্দরের ছাগলহাট সংলগ্ন হাজী বাবুল হোসেনের বাড়ির সামনের সরকারি সড়কের পাশের বিভিন্ন প্রজাতের সাতটি গাছ লোকজন নিয়ে কাটতে থাকেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন।
স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করার পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধসহ কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেন। বাড়ির মালিক হাজী বাবুল হোসেন বলেন, গাছগুলো উপড়ে আমার বাড়ির ক্ষতি হতে পারে ভেবে গাছগুলো কেটে নেয়ার জন্য অতিসম্প্রতি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। তিনি আরও বলেন, রাতের আঁধারে কেবা কারা গাছ কাটছে তা আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি।
পরে জানতে পারি, আমার আত্মীয় রোকনুজ্জামান রোকন লোকজন নিয়ে গাছ কাটছে। তিনি (রোকন) নাকি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস থেকে অনুমতি নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক রিফাত আরা মৌরি বলেন, আমার কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। যার যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আবেদনপত্রটি উপজেলা বন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো গাছ কাটার অনুমতি দেয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, অনুমতি ছাড়া রাতের আধাঁরে গাছ কাটার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, রাতে ইউএনও স্যারের ফোন পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ ও কর্তনকৃত গাছের অংশ জব্দ করা হয়েছে। ওসি আরও বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী এ ঘটনায় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, আমার নিকট আত্মীয় হাজী বাবুল হোসেন গাছ কাটার জন্য আবেদন করেছেন। আমি ভেবেছি তিনি অনুমতি পেয়েছেন। যেকারণেই শ্রমিক নিয়ে গাছগুলো কাটা হচ্ছিলো।
পরবর্তীতে ইউএনও স্যারের নির্দেশে থানা পুলিশ বাঁধা দেয়ার পর থেকে গাছ কাটা বন্ধ রয়েছে। এখন ইউএনও স্যার যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা সেই অনুযায়ী অগ্রসর হবো।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৯
ঢাকা বার কাউন্সিলের সেকশন অফিসার ও বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর হোসেন (৫২) আর নেই। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন ( ইন্না.....রাজিউন)।
সম্প্রতি তার দাঁত তোলার পরে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে টনসিলে সমস্যা হওয়াসহ তিনি ডায়বেটিস রোগে ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি মা,স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুম অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠী ইউনিয়নের উদয়কাঠী গ্রামের প্রয়াত পল্লী চিকিৎসক মো. জয়নুল আবেদীনের ছেলে। ওই দিন (শনিবার) বাদ আসর ঢাকার মধ্য বাড্ডা আদর্শনগর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে পূর্ব বাড্ডা গোরস্থানে তার মরদেহ চির নিন্দ্রায় শায়িত করা হয়।
এদিকে সদালপী,মিষ্টভাষী, হাসোজ্জ্বল মেধাবী আইনজীবী আলমগীর হোসেনের মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ,সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
ঢাকা বার কাউন্সিলের সেকশন অফিসার ও বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর হোসেন (৫২) আর নেই। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন ( ইন্না.....রাজিউন)।
সম্প্রতি তার দাঁত তোলার পরে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে টনসিলে সমস্যা হওয়াসহ তিনি ডায়বেটিস রোগে ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি মা,স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুম অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠী ইউনিয়নের উদয়কাঠী গ্রামের প্রয়াত পল্লী চিকিৎসক মো. জয়নুল আবেদীনের ছেলে। ওই দিন (শনিবার) বাদ আসর ঢাকার মধ্য বাড্ডা আদর্শনগর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে পূর্ব বাড্ডা গোরস্থানে তার মরদেহ চির নিন্দ্রায় শায়িত করা হয়।
এদিকে সদালপী,মিষ্টভাষী, হাসোজ্জ্বল মেধাবী আইনজীবী আলমগীর হোসেনের মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ,সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:১৩
বরিশালের বাকেরগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন বাকেরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি মো. ইমরান খান সালাম। ৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার বিকেলে উপজেলা চত্বরের কৃষি অফিসের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওএমএস (খোলা বাজারে চাল বিক্রি) ডিলার রুহুল নিকারী সরকারি নিয়ম মেনে চাল বিতরণ না করে গোপনে তা বাজারজাত করে আসছিলেন।
এই অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত অতর্কিতে সাংবাদিক ইমরান খান সালামের ওপর হামলা চালায় এবং তাকে বেধড়ক মারধর করে। এসময় স্থানীয় লোকজন আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে রুহুল নিকারী, সবুজ নিকারী ও আবুবক্কর নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ ও সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং অবিলম্বে সকল হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বরিশালের বাকেরগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন বাকেরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি মো. ইমরান খান সালাম। ৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার বিকেলে উপজেলা চত্বরের কৃষি অফিসের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওএমএস (খোলা বাজারে চাল বিক্রি) ডিলার রুহুল নিকারী সরকারি নিয়ম মেনে চাল বিতরণ না করে গোপনে তা বাজারজাত করে আসছিলেন।
এই অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত অতর্কিতে সাংবাদিক ইমরান খান সালামের ওপর হামলা চালায় এবং তাকে বেধড়ক মারধর করে। এসময় স্থানীয় লোকজন আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে রুহুল নিকারী, সবুজ নিকারী ও আবুবক্কর নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ ও সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং অবিলম্বে সকল হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.