
১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৩
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, গত ফ্যাসিস্ট আমলে যেই পরিমাণ কলঙ্ক আমাদের ওপর চেপেছে, এটি শুধরাতে সময় লাগবে। এটা এত সহজে যাবে না। কিন্তু নির্বাচনটা আমরা করে ফেলতে পারবো। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ৪৩ হাজার সেন্টারের কয়টি সেন্টার বন্ধ করবেন? ৫০০ সেন্টার বন্ধ করবেন, রি-ইলেকশন হবে। ৪২ হাজার ৫০০ সেন্টারে করে ফেলবো। ৪২ হাজারে হয়ে যাবে, ৪১ হাজারে হয়ে যাবে। নির্বাচন ঠেকাতে পারবেন না। কারণ মানুষ নির্বাচনমুখী। এটাই হচ্ছে বড় শক্তি।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে খুলনা মহানগরীর বয়রায় অবস্থিত পুলিশ লাইন্সে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, মানুষ নির্বাচনকে স্বাগত জানাচ্ছে। উদগ্রীব হয়ে মানুষ অপেক্ষা করছে নির্বাচনের জন্য। কাজেই এখানে যেসব বাধা-বিপত্তি আছে, বিশৃঙ্খলা আছে, অপরাধ আছে, সন্ত্রাস আছে- আমার বিশ্বাস সমাজের কোনো লোকই চায় না, আর যেহেতু সবাই নির্বাচনের ব্যাপারে উদগ্রীব প্রত্যেকেই আমাদেরকে সহযোগিতা করবে। সমাজের সবচেয়ে সচেতন আপনারা (সাংবাদিক)। আপনাদের কাছ থেকে খবর পাই। আমার বিশ্বাস আমাদের হাতে যে দুই মাস সময় আছে, আমরা অবশ্যই দমন করতে পারবো।
নির্বাচন বানচালে নাশকতা বন্ধে পুলিশের পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে, সমাজের প্রতিটি মানুষ। পুলিশের একার পক্ষে বল প্রয়োগ করে এই নাশকতা শেষ করা অথবা মোকাবিলা করা সম্ভব না, যতক্ষণ না সমাজের সবাই আমাদেরকে সাহায্য করছে। আমার বিশ্বাস আমরা পারবো।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, আগে পুলিশ যেই রূপে ছিল- কিছু হলেই একজনকে ধরে নিয়ে আটকে ফেলা। কোর্টকে জানানোর কোনো প্রয়োজন ছিল না। তিন দিন আটকে রাখলাম, এক মাস আটকে রাখলাম। অথবা ক্রসফায়ারের নামে খুন করে ফেললাম। এই যে অন্যায়, অত্যাচার করে টিকে থাকা এটাতো সবলতার লক্ষণ নয়। সবল কর্তৃপক্ষ বা সবল সরকার কি মানুষের ওপর অত্যাচার করে? অত্যাচার কে করে? করে তো একটা দুর্বল সরকার। যার আইনি ভিত্তি নেই। যার নৈতিক শক্তি নেই। তার জন্যই দরকার হয় মানুষকে অত্যাচার করা, গুলি করা, লাঠি দিয়ে আঘাত করা, মানুষকে গুম করে ফেলা। এসব কাজগুলো দুর্বল কর্তৃপক্ষের বৈশিষ্ট্য। আমি মনে করি- আমরা নৈতিকভাবে এখন অনেক বেশি শক্তিশালী।
তিনি বলেন, আমরা যখন ডিউটিতে যাই, পুলিশকে অনেক সময় মানুষ এক্সেপ্ট করতে পারে না। তাদের সেই স্মৃতি মনে পড়ে। যে এই পুলিশতো আমাকে গুলি করেছিল। তার জন্য অনেক সময় আক্রমণ করতে আসে। অনেক সময় আসামি ছিনিয়ে নিতে আসে। আমরা অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করি। আমরা এখানে গুলি করে মানুষকে মারি না, জোর করে লাঠিপেটা করি না, গ্যাস মারি না। আমরা কিন্তু এই জায়গায় টলারেন্স। আমরা সেই পুলিশ হতে চাই না গালি দিলে গুলি করবে। সন্ত্রাসীরা জানে যে ধরা পড়লে ক্রসফায়ার, ধরা পড়লে গুম। এই ভয় দিয়ে আমি সন্ত্রাস দমন করতে চাই না। আমি রুলসের মধ্য দিয়েই ধরা পড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোর্টে পাঠাবো। চার্জশিট দেব, ওইখানে বিচার হবে। এর মধ্য দিয়েই আমি সন্ত্রাস দমন করবো। আমি ক্রসফায়ার দিয়ে দমন করতে চাই না। এর জন্য মূল্য দিতে হচ্ছে, ঘুমহীন কাটাতে হচ্ছে।
নির্বাচনে সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহের বিষয়ে আইজিপি বলেন, আগে বাধা দিত সিল মারার কারণে। এ জন্য ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন সময়। আমরা আপনাদের বলবো ভাই আসেন, দেখে যান কেমন ভোট হচ্ছে। আমি উল্টা করবো। আপনি বরং টায়ার্ড হয়ে যাবেন। আপনাদের প্রতি আমার শত্রুতা নেই, শত্রুতা ছিল যখন আমি অন্যায় করেছি, দেখাতে চাইনি। দেখলে লিখে দেবে পত্রিকায়। আমি চাচ্ছি না সেটা। আমাদের ভেতরে যে অভ্যাসটা গড়ে উঠেছে এক বছরে যাবে না, চেষ্টা করছি। নির্বাচন কমিশন খুবই পজিটিভ।
আইজিপি বলেন, পুলিশের সবগুলো ইউনিটিতে আমাদের প্রশিক্ষণ চলছে। নির্বাচনে আগের চেয়ে এবার দায়িত্ব পালন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সরকার চাচ্ছে এই নির্বাচন সবচেয়ে ফ্রি, ফেয়ার এবং উৎসবমুখর হবে। এ জন্য আমাদের দায়িত্বটা আমরা যেন সবচেয়ে ভালোভাবে পালন করতে পারি, সে জন্য আমরা নিজেরা প্রশিক্ষিত হচ্ছি। গত তিনটি নির্বাচন নিয়ে নানা বিতর্ক আছে, নানা সমালোচনা আছে। সেই সব সমালোচনা থেকে আমরা যেন বেরিয়ে আসতে পারি। সকলের সহায়তায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে একটি সফল নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা যেন ভূমিকা পালন করতে পারি। সেই বিষয়েসকলকে মনে করিয়ে দিতে সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই খুবই উজ্জীবিত। ইনশাআল্লাহ- নির্বাচনে আমাদের ওপর যে দায়িত্ব এসেছে, সেটা পালন করতে পারবো।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, গত ফ্যাসিস্ট আমলে যেই পরিমাণ কলঙ্ক আমাদের ওপর চেপেছে, এটি শুধরাতে সময় লাগবে। এটা এত সহজে যাবে না। কিন্তু নির্বাচনটা আমরা করে ফেলতে পারবো। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ৪৩ হাজার সেন্টারের কয়টি সেন্টার বন্ধ করবেন? ৫০০ সেন্টার বন্ধ করবেন, রি-ইলেকশন হবে। ৪২ হাজার ৫০০ সেন্টারে করে ফেলবো। ৪২ হাজারে হয়ে যাবে, ৪১ হাজারে হয়ে যাবে। নির্বাচন ঠেকাতে পারবেন না। কারণ মানুষ নির্বাচনমুখী। এটাই হচ্ছে বড় শক্তি।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে খুলনা মহানগরীর বয়রায় অবস্থিত পুলিশ লাইন্সে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, মানুষ নির্বাচনকে স্বাগত জানাচ্ছে। উদগ্রীব হয়ে মানুষ অপেক্ষা করছে নির্বাচনের জন্য। কাজেই এখানে যেসব বাধা-বিপত্তি আছে, বিশৃঙ্খলা আছে, অপরাধ আছে, সন্ত্রাস আছে- আমার বিশ্বাস সমাজের কোনো লোকই চায় না, আর যেহেতু সবাই নির্বাচনের ব্যাপারে উদগ্রীব প্রত্যেকেই আমাদেরকে সহযোগিতা করবে। সমাজের সবচেয়ে সচেতন আপনারা (সাংবাদিক)। আপনাদের কাছ থেকে খবর পাই। আমার বিশ্বাস আমাদের হাতে যে দুই মাস সময় আছে, আমরা অবশ্যই দমন করতে পারবো।
নির্বাচন বানচালে নাশকতা বন্ধে পুলিশের পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে, সমাজের প্রতিটি মানুষ। পুলিশের একার পক্ষে বল প্রয়োগ করে এই নাশকতা শেষ করা অথবা মোকাবিলা করা সম্ভব না, যতক্ষণ না সমাজের সবাই আমাদেরকে সাহায্য করছে। আমার বিশ্বাস আমরা পারবো।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, আগে পুলিশ যেই রূপে ছিল- কিছু হলেই একজনকে ধরে নিয়ে আটকে ফেলা। কোর্টকে জানানোর কোনো প্রয়োজন ছিল না। তিন দিন আটকে রাখলাম, এক মাস আটকে রাখলাম। অথবা ক্রসফায়ারের নামে খুন করে ফেললাম। এই যে অন্যায়, অত্যাচার করে টিকে থাকা এটাতো সবলতার লক্ষণ নয়। সবল কর্তৃপক্ষ বা সবল সরকার কি মানুষের ওপর অত্যাচার করে? অত্যাচার কে করে? করে তো একটা দুর্বল সরকার। যার আইনি ভিত্তি নেই। যার নৈতিক শক্তি নেই। তার জন্যই দরকার হয় মানুষকে অত্যাচার করা, গুলি করা, লাঠি দিয়ে আঘাত করা, মানুষকে গুম করে ফেলা। এসব কাজগুলো দুর্বল কর্তৃপক্ষের বৈশিষ্ট্য। আমি মনে করি- আমরা নৈতিকভাবে এখন অনেক বেশি শক্তিশালী।
তিনি বলেন, আমরা যখন ডিউটিতে যাই, পুলিশকে অনেক সময় মানুষ এক্সেপ্ট করতে পারে না। তাদের সেই স্মৃতি মনে পড়ে। যে এই পুলিশতো আমাকে গুলি করেছিল। তার জন্য অনেক সময় আক্রমণ করতে আসে। অনেক সময় আসামি ছিনিয়ে নিতে আসে। আমরা অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করি। আমরা এখানে গুলি করে মানুষকে মারি না, জোর করে লাঠিপেটা করি না, গ্যাস মারি না। আমরা কিন্তু এই জায়গায় টলারেন্স। আমরা সেই পুলিশ হতে চাই না গালি দিলে গুলি করবে। সন্ত্রাসীরা জানে যে ধরা পড়লে ক্রসফায়ার, ধরা পড়লে গুম। এই ভয় দিয়ে আমি সন্ত্রাস দমন করতে চাই না। আমি রুলসের মধ্য দিয়েই ধরা পড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোর্টে পাঠাবো। চার্জশিট দেব, ওইখানে বিচার হবে। এর মধ্য দিয়েই আমি সন্ত্রাস দমন করবো। আমি ক্রসফায়ার দিয়ে দমন করতে চাই না। এর জন্য মূল্য দিতে হচ্ছে, ঘুমহীন কাটাতে হচ্ছে।
নির্বাচনে সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহের বিষয়ে আইজিপি বলেন, আগে বাধা দিত সিল মারার কারণে। এ জন্য ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন সময়। আমরা আপনাদের বলবো ভাই আসেন, দেখে যান কেমন ভোট হচ্ছে। আমি উল্টা করবো। আপনি বরং টায়ার্ড হয়ে যাবেন। আপনাদের প্রতি আমার শত্রুতা নেই, শত্রুতা ছিল যখন আমি অন্যায় করেছি, দেখাতে চাইনি। দেখলে লিখে দেবে পত্রিকায়। আমি চাচ্ছি না সেটা। আমাদের ভেতরে যে অভ্যাসটা গড়ে উঠেছে এক বছরে যাবে না, চেষ্টা করছি। নির্বাচন কমিশন খুবই পজিটিভ।
আইজিপি বলেন, পুলিশের সবগুলো ইউনিটিতে আমাদের প্রশিক্ষণ চলছে। নির্বাচনে আগের চেয়ে এবার দায়িত্ব পালন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সরকার চাচ্ছে এই নির্বাচন সবচেয়ে ফ্রি, ফেয়ার এবং উৎসবমুখর হবে। এ জন্য আমাদের দায়িত্বটা আমরা যেন সবচেয়ে ভালোভাবে পালন করতে পারি, সে জন্য আমরা নিজেরা প্রশিক্ষিত হচ্ছি। গত তিনটি নির্বাচন নিয়ে নানা বিতর্ক আছে, নানা সমালোচনা আছে। সেই সব সমালোচনা থেকে আমরা যেন বেরিয়ে আসতে পারি। সকলের সহায়তায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে একটি সফল নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা যেন ভূমিকা পালন করতে পারি। সেই বিষয়েসকলকে মনে করিয়ে দিতে সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই খুবই উজ্জীবিত। ইনশাআল্লাহ- নির্বাচনে আমাদের ওপর যে দায়িত্ব এসেছে, সেটা পালন করতে পারবো।

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে হাদির মরদেহ স্থানান্তর করা হয়।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সাড়ে ১১টার দিকে তাকে গোসল করানো হবে। বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার মরদেহ নেওয়া হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়।
সেখানে দুপুর দুইটায় হাদির নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরিবারের ইচ্ছায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে হাদিকে সমাহিত করা হবে।
এদিকে, শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ (শনিবার) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। দিনটি উপলক্ষে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। এরপর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার অস্ত্রোপচার হয়। পরে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নেওয়া হয়েছিল সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি (বিজি-৫৮৫) সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে হাদির মরদেহ স্থানান্তর করা হয়।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সাড়ে ১১টার দিকে তাকে গোসল করানো হবে। বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার মরদেহ নেওয়া হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়।
সেখানে দুপুর দুইটায় হাদির নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরিবারের ইচ্ছায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে হাদিকে সমাহিত করা হবে।
এদিকে, শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ (শনিবার) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। দিনটি উপলক্ষে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। এরপর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার অস্ত্রোপচার হয়। পরে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নেওয়া হয়েছিল সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি (বিজি-৫৮৫) সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:৫৬
বগুড়ায় একটি হিমাগারের পলাতক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্বাক্ষর জাল করে ঋণ পুনঃতফশিলের চেষ্টার অভিযোগে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বগুড়ার শেরপুরের খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মিল্লাত হোসেন সম্প্রতি বগুড়ার অবকাশকালীন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা করেন।
বিচারক সিনিয়র স্পেশাল জজ শাহজাহান কবির মামলাটি আমলে নিয়ে নথিপত্র ও প্রাথমিক তথ্য পর্যালোচনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়কে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওহাব ও দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহফুজ ইকবাল মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান ড. এম জুবায়দুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক খান, প্রধান কার্যালয়ের ইনচার্জ মাহমুদ হোসেন খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সৈয়দ উল্লাহ, বগুড়ার জোনাল শাখার ইনচার্জ সিকদার শাহাবুদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (বিআরপিডি) ও সদস্য সচিব, নীতি সহায়তা প্রদান বাছাই কমিটি বায়েজিদ সরকার এবং বগুড়ার শিবগঞ্জের কিচক বাজারে আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না (সভাপতি নাগরিক ঐক্য)।
মামলায় কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরী ও পরিচালক তার স্ত্রী ইসমত আরা লাইজুসহ পাঁচজনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আসামিরা জালিয়াতি ও প্রতারণাকারী এবং আইন পরিপন্থি কাজের সঙ্গে জড়িত। তার সঙ্গে ২নং সাক্ষী এবিএম নাজমুল কাদির চৌধুরী ও ৩নং সাক্ষী ইসমত আরা লাইজুর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিনামা সম্পাদক হয়। চুক্তিনামা অনুযায়ী এরা দুজন ও ৭নং আসামি মাহমুদুর রহমান মান্নার প্রতিষ্ঠান আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ২৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করে তা বিক্রির জন্য চুক্তি হয়। চুক্তির দিন সাক্ষী ১০ কোটি টাকা বুঝিয়ে দেন এবং অবশিষ্ট ১৫ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধের সময় পরিশোধ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সম্পত্তি হস্তান্তরের বিষয়েও সম্মতি প্রকাশ করেন।
পরে দেখা যায়, সাক্ষী এবিএম নাজমুল১ কাদির শাহজাহান চৌধুরী ও তার স্ত্রী ইসমত আরা লাইজু গত বছরের ১৯ আগস্ট আমেরিকা চলে যান। পলাতক অবস্থায় তাদের অনুপস্থিতিতে আসামি মাহমুদুর রহমান মান্না ওই দম্পতির স্বাক্ষর জাল করে ১ ডিসেম্বর বোর্ড সভার ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করেন। যেখানে ৩৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফশিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আসামিরা এই জাল রেজুলেশনকে বৈধ রূপ দিয়ে তা বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকে দাখিল করে ঋণ পুনঃতফশিলের আবেদন করেন। পরে তারা পরস্পর যোগসাজশে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা লঙ্ঘন করে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে মিথ্যা কাগজপত্রের মাধ্যমে ঋণ পুনঃতফশিলের অনুমোদন আদায়ের চেষ্টা করেন।
গত ১১ ডিসেম্বর দাখিল করা ওই মামলায় আরও বলা হয়, ইসলামী ব্যাংক বগুড়ার বড়গোলা শাখা থেকে খেলাপি ৩৮ কোটি চার লাখ ৭৬ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধের জন্য আসামিদের ‘কল ব্যাক নোটিশ’ দেওয়া হয়।
ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। এরপরও আসামিরা জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে পুনঃতফশিলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওহাব বলেন, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শিবগঞ্জের কিচক বাজারে আফাকু কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরী, তার স্ত্রী ইসমত আরা লাইজুকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। এরপরও তাদের উপস্থিত দেখিয়ে ভুয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে ৩৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফশিলের চেষ্টা করায় এ মামলা হয়েছে।
দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহফুজ ইকবাল জানান, আদালতের আদেশের কপি বুধবার হাতে এসে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার আদেশের অনুলিপিসহ নথিপত্র দুদক ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অন্যতম আসামি নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ফোন না ধরায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বগুড়ায় একটি হিমাগারের পলাতক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্বাক্ষর জাল করে ঋণ পুনঃতফশিলের চেষ্টার অভিযোগে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বগুড়ার শেরপুরের খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মিল্লাত হোসেন সম্প্রতি বগুড়ার অবকাশকালীন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা করেন।
বিচারক সিনিয়র স্পেশাল জজ শাহজাহান কবির মামলাটি আমলে নিয়ে নথিপত্র ও প্রাথমিক তথ্য পর্যালোচনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়কে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওহাব ও দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহফুজ ইকবাল মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান ড. এম জুবায়দুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক খান, প্রধান কার্যালয়ের ইনচার্জ মাহমুদ হোসেন খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সৈয়দ উল্লাহ, বগুড়ার জোনাল শাখার ইনচার্জ সিকদার শাহাবুদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (বিআরপিডি) ও সদস্য সচিব, নীতি সহায়তা প্রদান বাছাই কমিটি বায়েজিদ সরকার এবং বগুড়ার শিবগঞ্জের কিচক বাজারে আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না (সভাপতি নাগরিক ঐক্য)।
মামলায় কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরী ও পরিচালক তার স্ত্রী ইসমত আরা লাইজুসহ পাঁচজনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আসামিরা জালিয়াতি ও প্রতারণাকারী এবং আইন পরিপন্থি কাজের সঙ্গে জড়িত। তার সঙ্গে ২নং সাক্ষী এবিএম নাজমুল কাদির চৌধুরী ও ৩নং সাক্ষী ইসমত আরা লাইজুর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিনামা সম্পাদক হয়। চুক্তিনামা অনুযায়ী এরা দুজন ও ৭নং আসামি মাহমুদুর রহমান মান্নার প্রতিষ্ঠান আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ২৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করে তা বিক্রির জন্য চুক্তি হয়। চুক্তির দিন সাক্ষী ১০ কোটি টাকা বুঝিয়ে দেন এবং অবশিষ্ট ১৫ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধের সময় পরিশোধ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সম্পত্তি হস্তান্তরের বিষয়েও সম্মতি প্রকাশ করেন।
পরে দেখা যায়, সাক্ষী এবিএম নাজমুল১ কাদির শাহজাহান চৌধুরী ও তার স্ত্রী ইসমত আরা লাইজু গত বছরের ১৯ আগস্ট আমেরিকা চলে যান। পলাতক অবস্থায় তাদের অনুপস্থিতিতে আসামি মাহমুদুর রহমান মান্না ওই দম্পতির স্বাক্ষর জাল করে ১ ডিসেম্বর বোর্ড সভার ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করেন। যেখানে ৩৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফশিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আসামিরা এই জাল রেজুলেশনকে বৈধ রূপ দিয়ে তা বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকে দাখিল করে ঋণ পুনঃতফশিলের আবেদন করেন। পরে তারা পরস্পর যোগসাজশে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা লঙ্ঘন করে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে মিথ্যা কাগজপত্রের মাধ্যমে ঋণ পুনঃতফশিলের অনুমোদন আদায়ের চেষ্টা করেন।
গত ১১ ডিসেম্বর দাখিল করা ওই মামলায় আরও বলা হয়, ইসলামী ব্যাংক বগুড়ার বড়গোলা শাখা থেকে খেলাপি ৩৮ কোটি চার লাখ ৭৬ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধের জন্য আসামিদের ‘কল ব্যাক নোটিশ’ দেওয়া হয়।
ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। এরপরও আসামিরা জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে পুনঃতফশিলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওহাব বলেন, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শিবগঞ্জের কিচক বাজারে আফাকু কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরী, তার স্ত্রী ইসমত আরা লাইজুকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। এরপরও তাদের উপস্থিত দেখিয়ে ভুয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে ৩৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফশিলের চেষ্টা করায় এ মামলা হয়েছে।
দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহফুজ ইকবাল জানান, আদালতের আদেশের কপি বুধবার হাতে এসে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার আদেশের অনুলিপিসহ নথিপত্র দুদক ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অন্যতম আসামি নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ফোন না ধরায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:৪২
ঘুমন্ত পুলিশের সঙ্গে গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতার সেলফি, ক্যাপশনে ‘ঘুম ভালোবাসিরে’
‘ঘুম ভালোবাসিরে এএএ...। জীবন যেমনই হোক বিনোদন মিস করা যাবে না।’ কথাগুলো পটিয়া থানার হেফাজতে থাকা গ্রেপ্তার আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা মো. শোয়াইব-উল ইসলাম মহিমের (২১)। গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রামের পটিয়া থানা থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি এ পোস্ট করেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে পটিয়া পৌর সদরের কাগজীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় আসামির ফেসবুকে সক্রিয় থাকা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
গ্রেপ্তার মহিম পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল বশরের ছেলে। তিনি ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি বলে জানা গেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে পটিয়া পৌর সদরের কাগজীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে যুবলীগের একটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে।
তবে গ্রেপ্তারের পরও মহিমকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। পুলিশ হেফাজতে থাকার পরও তাকে ওই সময় ফেসবুকে দিব্যি পোস্ট দিতে দেখা যায়। এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমি পটিয়া থানায়। দেখা হবে আবারও, ফিরব বীরের বেশে কোনো একদিন। জয় বাংলা।’ পরে থানা-পুলিশের অফিসকক্ষে হাতকড়া পরা একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘এইদিন দিন নয়, দিন আরও আছে।’
এছাড়া ডিউটিরত অবস্থায় ঘুমন্ত এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন মহিম। ছবিটির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ঘুম ভালোবাসিরেএএএ...। জীবন যেমনই হোক বিনোদন মিস করা যাবে না।’
আরেকটি ছবিতে তাকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তুহিনের সঙ্গে ভিডিওকলে যোগাযোগ করতে দেখা যায়। ওই ছবির ক্যাপশনে তুহিন লেখেন— ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আপসহীন লড়াইয়ে দখলদার বাহিনীর হাতে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারকৃত পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী মো. শোয়াইব-উল ইসলাম মহিমের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক কালবেলাকে বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ছাত্রলীগ নেতা মহিমকে গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে রাখা হয়। কিন্তু সেখানে সে পুলিশের অগোচরে তার মোবাইলটি নিজের কাছে লুকিয়ে রাখে। পরে সুযোগ বুঝে সেলফি তুলে ছেড়ে দেয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
ঘুমন্ত পুলিশের সঙ্গে গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতার সেলফি, ক্যাপশনে ‘ঘুম ভালোবাসিরে’
‘ঘুম ভালোবাসিরে এএএ...। জীবন যেমনই হোক বিনোদন মিস করা যাবে না।’ কথাগুলো পটিয়া থানার হেফাজতে থাকা গ্রেপ্তার আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা মো. শোয়াইব-উল ইসলাম মহিমের (২১)। গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রামের পটিয়া থানা থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি এ পোস্ট করেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে পটিয়া পৌর সদরের কাগজীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় আসামির ফেসবুকে সক্রিয় থাকা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
গ্রেপ্তার মহিম পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল বশরের ছেলে। তিনি ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি বলে জানা গেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে পটিয়া পৌর সদরের কাগজীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে যুবলীগের একটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে।
তবে গ্রেপ্তারের পরও মহিমকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। পুলিশ হেফাজতে থাকার পরও তাকে ওই সময় ফেসবুকে দিব্যি পোস্ট দিতে দেখা যায়। এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমি পটিয়া থানায়। দেখা হবে আবারও, ফিরব বীরের বেশে কোনো একদিন। জয় বাংলা।’ পরে থানা-পুলিশের অফিসকক্ষে হাতকড়া পরা একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘এইদিন দিন নয়, দিন আরও আছে।’
এছাড়া ডিউটিরত অবস্থায় ঘুমন্ত এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন মহিম। ছবিটির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ঘুম ভালোবাসিরেএএএ...। জীবন যেমনই হোক বিনোদন মিস করা যাবে না।’
আরেকটি ছবিতে তাকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তুহিনের সঙ্গে ভিডিওকলে যোগাযোগ করতে দেখা যায়। ওই ছবির ক্যাপশনে তুহিন লেখেন— ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আপসহীন লড়াইয়ে দখলদার বাহিনীর হাতে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারকৃত পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী মো. শোয়াইব-উল ইসলাম মহিমের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক কালবেলাকে বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ছাত্রলীগ নেতা মহিমকে গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে রাখা হয়। কিন্তু সেখানে সে পুলিশের অগোচরে তার মোবাইলটি নিজের কাছে লুকিয়ে রাখে। পরে সুযোগ বুঝে সেলফি তুলে ছেড়ে দেয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১১
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪৫
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৩২
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:২০