
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৪
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হওয়ার পর থেকে টাকার বিনিময়ে একের পর এক আওয়ামী লীগ নেতারা জামিন পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন, পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি কামাল উদ্দিন।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাজী মকবুল হোসেনের জামিনে ১০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা সদরের ঈদগাহ মাঠে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ অভিযোগ তোলেন ভিপি কামাল।
ভিপি কামাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘যে আব্দুল কাহহার আকন্দ আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন মামলায় মিথ্যা চার্জশিট দিয়ে ফাঁসিয়েছে, তাকেই বারবার অনুষ্ঠান করে প্রধান অতিথি করেছেন জালাল উদ্দিন।
এমনকি বক্তব্যে বলেছেন, আব্দুল কাহহার আকন্দ আলোচিত কয়েকটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। প্রশ্ন হলো, যিনি আমাদের নেতাকে ফাঁসালেন, তাকে কীভাবে বিএনপির আহ্বায়ক হয়ে মঞ্চে প্রধান অতিথির আসনে বসিয়ে দেয়? তিনি তো কোনো এমপি ছিলেন না যে তাকে স্কুলের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করতে হবে। এসব ব্যাপারে জালাল উদ্দিনকে ব্যাখ্যা দিতে হবে।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় জালাল উদ্দিনের কোনো ভূমিকা ছিল না। কিছুদিন আগে তিনি মির্জা আব্বাস সাহেবের কাছে বলেন, পাকুন্দিয়ার এসিল্যান্ডকে সরাতে হবে।
সে ফ্যাসিবাদের দোসর। অথচ যেদিন এসিল্যান্ডের মাথা ফেটে যায়, তখন তিনি পুলিশকে বলেছেন, কামাল তার লোকজন দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, মির্জা আব্বাস সাহেবের সঙ্গে কথা বলার এক সপ্তাহ আগেই ওই এসিল্যান্ড পাকুন্দিয়া থেকে চলে গিয়েছিলেন।’
ভিপি কামাল উদ্দিন বলেন, ‘এখন তিনি আবার বলছেন, ইউএনও নাকি ফ্যাসিবাদের দোসর। শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারিয়ে পালানোর এক বছর পর এসে কেন এসব কথা বলা হচ্ছে? গত এক বছরে তো এমন কোনো কথা বলেননি। আসলে এখন স্বার্থের টান পড়েছে, তাই ইউএনওকে নিয়ে এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন।’
অনুষ্ঠানে পাকুন্দিয়ায় উপজেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল কদ্দুছ মোমেন, সদস্য রেজাউল করিম বজলু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বজলুল করিম বাবুল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল হক জর্জ, উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের নেতার জামিন করাচ্ছেন এমন অভিযোগের বিষয়ে অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন বলেন, ‘যারা জামিনে বের হয়েছেন, তারা সবাই হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা মকবুলও হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। মিথ্যা কথা বলে অভিযোগ করলেই তো হবে না।’
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হওয়ার পর থেকে টাকার বিনিময়ে একের পর এক আওয়ামী লীগ নেতারা জামিন পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন, পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি কামাল উদ্দিন।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাজী মকবুল হোসেনের জামিনে ১০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা সদরের ঈদগাহ মাঠে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ অভিযোগ তোলেন ভিপি কামাল।
ভিপি কামাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘যে আব্দুল কাহহার আকন্দ আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন মামলায় মিথ্যা চার্জশিট দিয়ে ফাঁসিয়েছে, তাকেই বারবার অনুষ্ঠান করে প্রধান অতিথি করেছেন জালাল উদ্দিন।
এমনকি বক্তব্যে বলেছেন, আব্দুল কাহহার আকন্দ আলোচিত কয়েকটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। প্রশ্ন হলো, যিনি আমাদের নেতাকে ফাঁসালেন, তাকে কীভাবে বিএনপির আহ্বায়ক হয়ে মঞ্চে প্রধান অতিথির আসনে বসিয়ে দেয়? তিনি তো কোনো এমপি ছিলেন না যে তাকে স্কুলের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করতে হবে। এসব ব্যাপারে জালাল উদ্দিনকে ব্যাখ্যা দিতে হবে।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় জালাল উদ্দিনের কোনো ভূমিকা ছিল না। কিছুদিন আগে তিনি মির্জা আব্বাস সাহেবের কাছে বলেন, পাকুন্দিয়ার এসিল্যান্ডকে সরাতে হবে।
সে ফ্যাসিবাদের দোসর। অথচ যেদিন এসিল্যান্ডের মাথা ফেটে যায়, তখন তিনি পুলিশকে বলেছেন, কামাল তার লোকজন দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, মির্জা আব্বাস সাহেবের সঙ্গে কথা বলার এক সপ্তাহ আগেই ওই এসিল্যান্ড পাকুন্দিয়া থেকে চলে গিয়েছিলেন।’
ভিপি কামাল উদ্দিন বলেন, ‘এখন তিনি আবার বলছেন, ইউএনও নাকি ফ্যাসিবাদের দোসর। শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারিয়ে পালানোর এক বছর পর এসে কেন এসব কথা বলা হচ্ছে? গত এক বছরে তো এমন কোনো কথা বলেননি। আসলে এখন স্বার্থের টান পড়েছে, তাই ইউএনওকে নিয়ে এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন।’
অনুষ্ঠানে পাকুন্দিয়ায় উপজেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল কদ্দুছ মোমেন, সদস্য রেজাউল করিম বজলু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বজলুল করিম বাবুল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল হক জর্জ, উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের নেতার জামিন করাচ্ছেন এমন অভিযোগের বিষয়ে অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন বলেন, ‘যারা জামিনে বের হয়েছেন, তারা সবাই হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা মকবুলও হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। মিথ্যা কথা বলে অভিযোগ করলেই তো হবে না।’

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:৫৫
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চললেও প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পরীক্ষা চলছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পস্তাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার কক্ষে দায়িত্ব পালন করছেন এক গ্রামপুলিশ সদস্য।
জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষা অফিসার, পৌরসভা-ইউনিয়নের কর্মচারী, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, চেয়ারম্যান-মেম্বার ও গ্রামপুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
পস্তাইল স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত গ্রামপুলিশ মো. রাজ হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার চাকরি জীবনের ২২ বছরে কখনো ভাবতেই পারিনি পরীক্ষার হলে ডিউটি করতে হবে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সালাউদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, গ্রামপুলিশ পরীক্ষার হলে ডিউটি করবেন এটা খুবই দুঃখজনক; কিন্তু আমাদের করার কিছু নেই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য গ্রামপুলিশের প্রতি ইউএনওর নির্দেশনা রয়েছে। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি আমার জানা নেই।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চললেও প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পরীক্ষা চলছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পস্তাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার কক্ষে দায়িত্ব পালন করছেন এক গ্রামপুলিশ সদস্য।
জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষা অফিসার, পৌরসভা-ইউনিয়নের কর্মচারী, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, চেয়ারম্যান-মেম্বার ও গ্রামপুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
পস্তাইল স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত গ্রামপুলিশ মো. রাজ হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার চাকরি জীবনের ২২ বছরে কখনো ভাবতেই পারিনি পরীক্ষার হলে ডিউটি করতে হবে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সালাউদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, গ্রামপুলিশ পরীক্ষার হলে ডিউটি করবেন এটা খুবই দুঃখজনক; কিন্তু আমাদের করার কিছু নেই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য গ্রামপুলিশের প্রতি ইউএনওর নির্দেশনা রয়েছে। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি আমার জানা নেই।

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:২৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হলে চৌকা সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয়।
ওইদিন জিরো লাইনের কাছে মাটির বাঙ্কারে বিজিবি সদস্যদের পেছনে কাস্তে হাতে অবস্থান নেন স্থানীয় কৃষক বাবুল আলী। মুহূর্তেই সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এবার সেই সাহসী কৃষককে সংবর্ধনা দিয়েছে বিজিবি।
৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়। এ সময় কৃষক বাবুল আক্তারের হাতে সংবর্ধনা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
বাবুল আক্তার বলেন, বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই বছরের জানুয়ারিতে আমিসহ অন্যান্যরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম। আগামীতেও এমন ঘটনা ঘটলে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। এ ছাড়া, অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত ও সংবর্ধনা দেওয়ায় আমি অনেক খুশি।
বিজিবির ৫৯ ব্যাটলিয়নের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার কর্নেল কামাল হোসেন।
এ ছাড়া, আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো. শাহাদাৎ হোসেন মাসুদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল আসিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিজিবি, পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাবের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে সীমান্ত আইন অমান্য করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করে বিএসএফ। বিজিবির পক্ষ থেকে এ কাজে বাধা দেওয়া হলে চৌকা সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয়। এ সময় মাটির বাঙ্কারে অবস্থান নেওয়া বিজিবি সদস্যদের পেছনে কাস্তে হাতে অবস্থান নেন স্থানীয় কৃষক বাবুল আলী। মুহূর্তেই ওই কৃষকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হলে চৌকা সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয়।
ওইদিন জিরো লাইনের কাছে মাটির বাঙ্কারে বিজিবি সদস্যদের পেছনে কাস্তে হাতে অবস্থান নেন স্থানীয় কৃষক বাবুল আলী। মুহূর্তেই সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এবার সেই সাহসী কৃষককে সংবর্ধনা দিয়েছে বিজিবি।
৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়। এ সময় কৃষক বাবুল আক্তারের হাতে সংবর্ধনা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
বাবুল আক্তার বলেন, বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই বছরের জানুয়ারিতে আমিসহ অন্যান্যরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম। আগামীতেও এমন ঘটনা ঘটলে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। এ ছাড়া, অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত ও সংবর্ধনা দেওয়ায় আমি অনেক খুশি।
বিজিবির ৫৯ ব্যাটলিয়নের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার কর্নেল কামাল হোসেন।
এ ছাড়া, আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো. শাহাদাৎ হোসেন মাসুদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল আসিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিজিবি, পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাবের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে সীমান্ত আইন অমান্য করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করে বিএসএফ। বিজিবির পক্ষ থেকে এ কাজে বাধা দেওয়া হলে চৌকা সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয়। এ সময় মাটির বাঙ্কারে অবস্থান নেওয়া বিজিবি সদস্যদের পেছনে কাস্তে হাতে অবস্থান নেন স্থানীয় কৃষক বাবুল আলী। মুহূর্তেই ওই কৃষকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:৫২
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা যশোর সদরের মুরাদগড় বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই কোটি ১১ লাখ দামের দুটি সোনার বারসহ দুজনকে আটক করেছেন। যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী সোনাসহ দুই যুবককে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) জানায়, বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুরাদগড় বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ওইসময় ফরিদুল ইসলাম (২৮) ও মাহাফুজ আলম (৩১) নামে দুই যুবককে আটক করা হয়।
এরপর তল্লাশি করে তাদের প্যান্টের পকেটে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা সোনার ওজন ১ দশমিক ১৬৪ কেজি, যার বাজারমূল্য দুই কোটি ১১ লাখ লাখ ১৯ হাজার ২৪৪ টাকা।
আটক দুই যুবক বিজিবিকে জানান, ঢাকা থেকে যশোর ও চৌগাছা হয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে সোনার বারগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা ঢাকার তাঁতিবাজার এলাকার চোরাকারবারিদের কাছ থেকে এগুলো সংগ্রহ করে চৌগাছার দিকে যাচ্ছিলেন।
জানা গেছে, আটক ফরিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে এবং মাহাফুজ আলম ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাজিপোতা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে যশোর কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা যশোর সদরের মুরাদগড় বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই কোটি ১১ লাখ দামের দুটি সোনার বারসহ দুজনকে আটক করেছেন। যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী সোনাসহ দুই যুবককে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) জানায়, বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুরাদগড় বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ওইসময় ফরিদুল ইসলাম (২৮) ও মাহাফুজ আলম (৩১) নামে দুই যুবককে আটক করা হয়।
এরপর তল্লাশি করে তাদের প্যান্টের পকেটে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা সোনার ওজন ১ দশমিক ১৬৪ কেজি, যার বাজারমূল্য দুই কোটি ১১ লাখ লাখ ১৯ হাজার ২৪৪ টাকা।
আটক দুই যুবক বিজিবিকে জানান, ঢাকা থেকে যশোর ও চৌগাছা হয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে সোনার বারগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা ঢাকার তাঁতিবাজার এলাকার চোরাকারবারিদের কাছ থেকে এগুলো সংগ্রহ করে চৌগাছার দিকে যাচ্ছিলেন।
জানা গেছে, আটক ফরিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে এবং মাহাফুজ আলম ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাজিপোতা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে যশোর কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.