
১২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:৫৫
প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ভোলা সাইক্লোনের আজ ৫৫ বছর। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদেশের দক্ষিণা পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকার ৫ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। উপকূলীয় দ্বীপ ভোলা ও নোয়াখালীসহ বিভিন্ন চরসমূহের বহু এলাকার ঘরবাড়ি, গবাদিপশু নিশ্চিহ্ন হয়ে বিরান জনপদে পরিণত হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতার কথা মনে করে আজও শিউরে ওঠেন অনেকে। ওই ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটে ভোলা এবং তৎকালীন নোয়াখালী উপকূলে। তৎকালীন নোয়াখালী উপকূলের রামগতি, হাতিয়া, সন্দ্বীপ এবং ভোলার মনপুরা ও পটুয়াখালী পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। সেই স্মৃতি বয়ে আজও যারা বেঁচে রয়েছেন কিংবা স্বজনদের হারিয়েছেন, কেবল তারাই অনুভব করেন সেদিনের ভয়াবহতা।
ধারণা করা হয়, সেই দুর্যোগে শুধু ভোলা জেলাতেই লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সেদিন উত্তাল মেঘনা তেঁতুলিয়া নদী আর তার শাখা-প্রশাখাগুলো রূপান্তরিত হয় লাশের নদীতে। এজন্য একে ‘ভোলা সাইক্লোন’ও বলা হয়ে থাকে।
৭০-এর সেই ভয়াবহ সাইক্লোনের কালো রাতের কথা মনে হলে ধূসর স্মৃতিতে চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা হয়ে আসে বলে স্মৃতি রোমন্থন করেন কালের সাক্ষী ভোলার প্রবীণ সাংবাদিক এম এ তাহের। তিনি বলেন, আমরা কয়েকজন ভোলা সদর থেকে কলাগাছ দিয়ে ভেউর্কা বানিয়ে দৌলতখানে যাওয়ার পথে সারি সারি মৃত লাশ আর লাশ। লাশ বাঁশ দিয়ে সরিয়ে যাওয়ার পথে দেখেছি সাপ আর মানুষ দৌলতখানের চৌকিঘাটে জড়িয়ে পড়ে আছে। স্নেহময়ী মা তার শিশুকে কোলে জড়িয়ে পড়ে আছে মেঘনার পাড়ে। সোনাপুরের একটি বাগানে গাছের ডালে এক মহিলার লাশ ঝুলছে। এমনিভাবে মনপুরা, চরফ্যাশন, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও দৌলতখানসহ সমগ্র জেলায় মানুষ আর গবাদিপশু বঙ্গোপসাগরের উত্তাল পানিতে ভেসে গেছে। জনশূন্য হয়ে পড়েছিল দ্বীপ ভোলা।
সেই সময়কার প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ভোলার সমস্ত জনপদ বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল আর নদীতে গবাদি পশুসহ বনি আদম সন্তান সারিবদ্ধভাবে পড়ে ছিল। তৎকালীন পূর্বদেশ পত্রিকার ভোলা প্রতিনিধি ও বর্তমান দৈনিক বাংলার কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক এম হাবিবুর রহমান প্রেরিত সচিত্র প্রতিবেদন ছিল ‘বাংলার মানুষ কাঁদো, ভোলার গাছে গাছে ঝুলছে মানুষের লাশ’। আর এ সংবাদ বিশ্ব জানতে পেরেছিল চার দিন পর। সেই চিত্রটি আজও ঢাকা প্রেস ইনস্টিটিউট-এ কালের সাক্ষী হিসেবে বাঁধানো রয়েছে।
৭০-এর ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের পর মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ধ্বংসযজ্ঞ ও বেদনাহতদের দেখতে আসেন ভোলা, এসব দৃশ্য দেখে শোকবিহ্বল হয়ে পড়েন তিনি।
প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম এম সানাউল্লাহ্ নূরীর এক লেখায় তিনি উল্লেখ করেছেন, (সত্তরের জলোচ্ছ্বাসের পর) ‘আমরা রামগতি বাজারের নিকটবর্তী চর এলাকায় পৌঁছালাম। সেখানে স্তূপীকৃত লাশ এবং মৃত গবাদিপশুর যে হাল দেখলাম, তা ভাষায় অবর্ণনীয়। রামগতি বাজারের একজন শৌখিন ফটোগ্রাফার আমাকে ফুলের মতো ফুটফুটে চারটি শিশুর ছবি দিয়েছিলেন। সেটি আমি ছেপেছি দৈনিক বাংলায়।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি আমার পত্রিকার বিশেষ সংবাদদাতার দায়িত্ব নিয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে থেকে একটানা কয়েক দিন ঢাকায় দৈনিক বাংলার জন্য রিপোর্ট পাঠাচ্ছিলাম। এতে কাগজের প্রচার সংখ্যা ৩০ হাজার থেকে এক লাখে উঠেছিল। চট্টগ্রামে সে সময় এক টাকা দামের কাগজ পাঁচ-ছয় টাকা বিক্রি হচ্ছিল। আমরা চরবাদাম, চরসীতা এবং চরজব্বরে ধানক্ষেতগুলোতে নাকেমুখে লোনা পানি লেপ্টানো হাজার হাজার লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেছি। সাগরে ভাসতে দেখেছি অসংখ্য লাশ। রামগতি, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, ভোলা ও পটুয়াখালী পরিণত হয়েছিল ধ্বংসস্তূপে। একটি গাছের ৩০ ফুট উঁচু মাথায় অসহায় দুর্গত কুকুরকে দেখেছি হাহাকার করতে। কোথাও পানি উঠেছে ৪০ ফুট ওপরে। গোটা উপকূল অঞ্চলে প্রায় অর্ধকোটি লোক মৃত্যুবরণ করেছে। ১২৮৩ সালের গোর্কির চেয়ে বহুগুণে করুণ এবং ভয়াবহ ছিল ’৭০ সালের গোর্কি। এর ধ্বংসলীলা তো আমরা নিজের চোখেই দেখেছি। সারা দুনিয়ায় সংবাদপত্রের প্রধান সংবাদ হয়েছিল এই প্রলয় ভয়াল দুর্যোগের খবর।’
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) এ ঘূর্ণিঝড়কে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উল্লেখ করেছে। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে ১৩ নভেম্বর ভোর পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় প্রথমে ১৮৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানলেও পরে তা আরও বৃদ্ধি পেয়ে তা ২০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। এ বছর সেই প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের ৫৫ বছর পূর্ণ হলেও ভয়াল সেই ঝড়ের অর্ধশতাব্দী পর উপকূলের মানুষ এখনো অরক্ষিত, অবহেলিত।
পৃথিবীর প্রাণঘাতী ঝড় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের উপকূলে সংঘটিত ঝড় ‘সাইক্লোন ভোলা’। ছবি : সংগৃহীত
প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ভোলা সাইক্লোনের আজ ৫৫ বছর। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদেশের দক্ষিণা পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকার ৫ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। উপকূলীয় দ্বীপ ভোলা ও নোয়াখালীসহ বিভিন্ন চরসমূহের বহু এলাকার ঘরবাড়ি, গবাদিপশু নিশ্চিহ্ন হয়ে বিরান জনপদে পরিণত হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতার কথা মনে করে আজও শিউরে ওঠেন অনেকে। ওই ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটে ভোলা এবং তৎকালীন নোয়াখালী উপকূলে। তৎকালীন নোয়াখালী উপকূলের রামগতি, হাতিয়া, সন্দ্বীপ এবং ভোলার মনপুরা ও পটুয়াখালী পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। সেই স্মৃতি বয়ে আজও যারা বেঁচে রয়েছেন কিংবা স্বজনদের হারিয়েছেন, কেবল তারাই অনুভব করেন সেদিনের ভয়াবহতা।
ধারণা করা হয়, সেই দুর্যোগে শুধু ভোলা জেলাতেই লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সেদিন উত্তাল মেঘনা তেঁতুলিয়া নদী আর তার শাখা-প্রশাখাগুলো রূপান্তরিত হয় লাশের নদীতে। এজন্য একে ‘ভোলা সাইক্লোন’ও বলা হয়ে থাকে।
৭০-এর সেই ভয়াবহ সাইক্লোনের কালো রাতের কথা মনে হলে ধূসর স্মৃতিতে চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা হয়ে আসে বলে স্মৃতি রোমন্থন করেন কালের সাক্ষী ভোলার প্রবীণ সাংবাদিক এম এ তাহের। তিনি বলেন, আমরা কয়েকজন ভোলা সদর থেকে কলাগাছ দিয়ে ভেউর্কা বানিয়ে দৌলতখানে যাওয়ার পথে সারি সারি মৃত লাশ আর লাশ। লাশ বাঁশ দিয়ে সরিয়ে যাওয়ার পথে দেখেছি সাপ আর মানুষ দৌলতখানের চৌকিঘাটে জড়িয়ে পড়ে আছে। স্নেহময়ী মা তার শিশুকে কোলে জড়িয়ে পড়ে আছে মেঘনার পাড়ে। সোনাপুরের একটি বাগানে গাছের ডালে এক মহিলার লাশ ঝুলছে। এমনিভাবে মনপুরা, চরফ্যাশন, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও দৌলতখানসহ সমগ্র জেলায় মানুষ আর গবাদিপশু বঙ্গোপসাগরের উত্তাল পানিতে ভেসে গেছে। জনশূন্য হয়ে পড়েছিল দ্বীপ ভোলা।
সেই সময়কার প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ভোলার সমস্ত জনপদ বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল আর নদীতে গবাদি পশুসহ বনি আদম সন্তান সারিবদ্ধভাবে পড়ে ছিল। তৎকালীন পূর্বদেশ পত্রিকার ভোলা প্রতিনিধি ও বর্তমান দৈনিক বাংলার কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক এম হাবিবুর রহমান প্রেরিত সচিত্র প্রতিবেদন ছিল ‘বাংলার মানুষ কাঁদো, ভোলার গাছে গাছে ঝুলছে মানুষের লাশ’। আর এ সংবাদ বিশ্ব জানতে পেরেছিল চার দিন পর। সেই চিত্রটি আজও ঢাকা প্রেস ইনস্টিটিউট-এ কালের সাক্ষী হিসেবে বাঁধানো রয়েছে।
৭০-এর ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের পর মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ধ্বংসযজ্ঞ ও বেদনাহতদের দেখতে আসেন ভোলা, এসব দৃশ্য দেখে শোকবিহ্বল হয়ে পড়েন তিনি।
প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম এম সানাউল্লাহ্ নূরীর এক লেখায় তিনি উল্লেখ করেছেন, (সত্তরের জলোচ্ছ্বাসের পর) ‘আমরা রামগতি বাজারের নিকটবর্তী চর এলাকায় পৌঁছালাম। সেখানে স্তূপীকৃত লাশ এবং মৃত গবাদিপশুর যে হাল দেখলাম, তা ভাষায় অবর্ণনীয়। রামগতি বাজারের একজন শৌখিন ফটোগ্রাফার আমাকে ফুলের মতো ফুটফুটে চারটি শিশুর ছবি দিয়েছিলেন। সেটি আমি ছেপেছি দৈনিক বাংলায়।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি আমার পত্রিকার বিশেষ সংবাদদাতার দায়িত্ব নিয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে থেকে একটানা কয়েক দিন ঢাকায় দৈনিক বাংলার জন্য রিপোর্ট পাঠাচ্ছিলাম। এতে কাগজের প্রচার সংখ্যা ৩০ হাজার থেকে এক লাখে উঠেছিল। চট্টগ্রামে সে সময় এক টাকা দামের কাগজ পাঁচ-ছয় টাকা বিক্রি হচ্ছিল। আমরা চরবাদাম, চরসীতা এবং চরজব্বরে ধানক্ষেতগুলোতে নাকেমুখে লোনা পানি লেপ্টানো হাজার হাজার লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেছি। সাগরে ভাসতে দেখেছি অসংখ্য লাশ। রামগতি, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, ভোলা ও পটুয়াখালী পরিণত হয়েছিল ধ্বংসস্তূপে। একটি গাছের ৩০ ফুট উঁচু মাথায় অসহায় দুর্গত কুকুরকে দেখেছি হাহাকার করতে। কোথাও পানি উঠেছে ৪০ ফুট ওপরে। গোটা উপকূল অঞ্চলে প্রায় অর্ধকোটি লোক মৃত্যুবরণ করেছে। ১২৮৩ সালের গোর্কির চেয়ে বহুগুণে করুণ এবং ভয়াবহ ছিল ’৭০ সালের গোর্কি। এর ধ্বংসলীলা তো আমরা নিজের চোখেই দেখেছি। সারা দুনিয়ায় সংবাদপত্রের প্রধান সংবাদ হয়েছিল এই প্রলয় ভয়াল দুর্যোগের খবর।’
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) এ ঘূর্ণিঝড়কে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উল্লেখ করেছে। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে ১৩ নভেম্বর ভোর পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় প্রথমে ১৮৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানলেও পরে তা আরও বৃদ্ধি পেয়ে তা ২০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। এ বছর সেই প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের ৫৫ বছর পূর্ণ হলেও ভয়াল সেই ঝড়ের অর্ধশতাব্দী পর উপকূলের মানুষ এখনো অরক্ষিত, অবহেলিত।

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩২
ভোলার লালমোহন উপজেলায় সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ডা. আজাহার উদ্দিন রোড থেকে ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা বাজার পর্যন্ত ওই সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু হয় প্রায় দেড় বছর আগে। যা শেষ করার কথা ছিল জুন মাসে। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার কাজ শুরু করে যথাসময়ে কাজ শেষ না করে দীর্ঘদিন অদৃশ্য হয়ে যান। হঠাৎ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) পুরনো ইট ও মাটির ওপর পিচ দিয়ে কাজ শুরু করে দেন ঠিকাদার। কাজ শুরু করলেও জানেন না উপজেলা এলজিইডি।
উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জিওবি মেইনটেন্যান্সের আওতায় ৮৫০ মিটার সড়কটি সংস্কারের জন্য ৫১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৩৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত জুন মাসেই সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে ঠিকাদারের খামখেয়ালিতে যথাসময়ে কাজটি সম্পন্ন করা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম, মো. ছিদ্দিক, মো. ফিরোজ, মো. মাকসুদ ও মো. শাহাবুদ্দিন মাস্টারসহ কয়েকজন বলেন, এই কাজের শুরু থেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের গড়িমসি করেছেন। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দা, যানবাহন চালক ও পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে ছিলেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার জানানোর পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। তবে বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে কোনো কথা ছাড়াই ঠিকাদার সড়কের ওপর ইট ও খোয়া না ফেলে মাটির মধ্যেই পিচ ঢেলে সংস্কার কাজ শুরু করে দেন। এমন করে কাজ করলে এক সপ্তাহও টিকবে না সড়কটি। আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে এলজিইডির লালমোহন উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রাসেল বলেন, ঠিকাদারের সঙ্গে কাজটি শেষ করার জন্য আমরা কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু ঠিকাদার আমাদের অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ না করে আজকে কিভাবে কাজ শুরু করেছেন তা আমাদের জানা নেই। আমরা শিগগিরই সরাসরি ওই সড়কে গিয়ে কাজটি দেখবো।
ঠিকাদার মাকসুদুর রহমান জানান, আমি নিজেও একজন সাংবাদিক। আমার কোনো বক্তব্য নাই। আমার বক্তব্য হচ্ছে অফিসের সঙ্গে কথা বলেন।

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৫৪
ভোলায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও জামায়াত সমর্থকদের ৪-৫টি দোকানে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এরপর যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে ভোলার সদরের ভেলুমিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভেলুমিয়া বাজার শাখার জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. মমিম জানান, সকালের দিকে তারা বিজয় র্যালি বের করেন। এসময় তাদের এক সমর্থকের সঙ্গে বিএনপির এক সমর্থকের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার রেষ ধরে সন্ধ্যার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জামায়াত সমর্থকের ৫টি দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে তাদের কয়েকজন সমর্থক আহত হন।
অন্যদিকে ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউনুছ কমান্ডার জানান, সকালে জামায়াতের লোকজন বিএনপির এক কর্মীকে মারধর করে। কিন্তু তারা কিছু বলেনি। সন্ধ্যার দিকে তারা বিজয় মিছিল বের করে ভেলুমিয়া স্কুলের গেটের সামনে গেলে জামায়াতে ইসলামীর লোকজন ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। বিএনপির ৩ জন আহত হয়েছেন। তবে কোনো দোকান ভাঙচুর করা হয়নি।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশসহ যৌথ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি।

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:০১

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
ভোলার লালমোহন উপজেলায় সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ডা. আজাহার উদ্দিন রোড থেকে ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা বাজার পর্যন্ত ওই সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু হয় প্রায় দেড় বছর আগে। যা শেষ করার কথা ছিল জুন মাসে। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার কাজ শুরু করে যথাসময়ে কাজ শেষ না করে দীর্ঘদিন অদৃশ্য হয়ে যান। হঠাৎ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) পুরনো ইট ও মাটির ওপর পিচ দিয়ে কাজ শুরু করে দেন ঠিকাদার। কাজ শুরু করলেও জানেন না উপজেলা এলজিইডি।
উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জিওবি মেইনটেন্যান্সের আওতায় ৮৫০ মিটার সড়কটি সংস্কারের জন্য ৫১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৩৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত জুন মাসেই সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে ঠিকাদারের খামখেয়ালিতে যথাসময়ে কাজটি সম্পন্ন করা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম, মো. ছিদ্দিক, মো. ফিরোজ, মো. মাকসুদ ও মো. শাহাবুদ্দিন মাস্টারসহ কয়েকজন বলেন, এই কাজের শুরু থেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের গড়িমসি করেছেন। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দা, যানবাহন চালক ও পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে ছিলেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার জানানোর পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। তবে বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে কোনো কথা ছাড়াই ঠিকাদার সড়কের ওপর ইট ও খোয়া না ফেলে মাটির মধ্যেই পিচ ঢেলে সংস্কার কাজ শুরু করে দেন। এমন করে কাজ করলে এক সপ্তাহও টিকবে না সড়কটি। আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে এলজিইডির লালমোহন উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রাসেল বলেন, ঠিকাদারের সঙ্গে কাজটি শেষ করার জন্য আমরা কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু ঠিকাদার আমাদের অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ না করে আজকে কিভাবে কাজ শুরু করেছেন তা আমাদের জানা নেই। আমরা শিগগিরই সরাসরি ওই সড়কে গিয়ে কাজটি দেখবো।
ঠিকাদার মাকসুদুর রহমান জানান, আমি নিজেও একজন সাংবাদিক। আমার কোনো বক্তব্য নাই। আমার বক্তব্য হচ্ছে অফিসের সঙ্গে কথা বলেন।
ভোলায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও জামায়াত সমর্থকদের ৪-৫টি দোকানে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এরপর যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে ভোলার সদরের ভেলুমিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভেলুমিয়া বাজার শাখার জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. মমিম জানান, সকালের দিকে তারা বিজয় র্যালি বের করেন। এসময় তাদের এক সমর্থকের সঙ্গে বিএনপির এক সমর্থকের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার রেষ ধরে সন্ধ্যার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জামায়াত সমর্থকের ৫টি দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে তাদের কয়েকজন সমর্থক আহত হন।
অন্যদিকে ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউনুছ কমান্ডার জানান, সকালে জামায়াতের লোকজন বিএনপির এক কর্মীকে মারধর করে। কিন্তু তারা কিছু বলেনি। সন্ধ্যার দিকে তারা বিজয় মিছিল বের করে ভেলুমিয়া স্কুলের গেটের সামনে গেলে জামায়াতে ইসলামীর লোকজন ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। বিএনপির ৩ জন আহত হয়েছেন। তবে কোনো দোকান ভাঙচুর করা হয়নি।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশসহ যৌথ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি।
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় দলের ২০ জন আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতখান উপজেলা স্টেডিয়ামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় জামায়াতে ইসলামীর ১৫ জন ও বিএনপির সাতজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর দুজনকে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দৌলতখান উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় দৌলতখান স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে পূর্বেই বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদদের পরিবার, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে আলাদাভাবে সবার জন্য আসন নির্ধারিত ছিল।
অনুষ্ঠান শুরুর নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হয়ে আসন গ্রহণ করেন জামায়াতে ইসলামীর দৌলতখান উপজেলা শাখার আমির ও সেক্রেটারি। এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা এসে আসনে জামায়াতের নেতাদের দেখে ‘রাজাকার বলে’ নানা ধরনের কথা বলতে থাকেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জামায়াতে ইসলামীর দৌলতখান উপজেলার সেক্রেটারি মো. আশরাফ উদ্দিন ফারুক বলেন, উপজেলা প্রশাসন আমাদেরকে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়েছিল। দাওয়াত পেয়ে আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হই। সেখানে অতিথিদের জন্য নির্ধারিত আসনে বিএনপির চারজন ও জামায়াতে ইসলামীর দুজন নেতার জন্য চেয়ার সংরক্ষিত ছিল।
তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আমরা আমাদের আসন গ্রহণ করি। এক পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনে দৌলতখান পৌরসভা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুল ও দৌলতখান উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলামসহ বিএনপি ও যুবদলের বেশ কয়েকজন পদধারী নেতাকর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
তাদের হামলায় আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ পুরোপুরি নির্বিকার ছিল। এ ছাড়া তারা চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর চালিয়েছে। এ ঘটনায় দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দৌলতখান উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ফারুক হোসেন তালুকদার বলেন, জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল, তারা বাংলাদেশ চায়নি। তারা যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল তাই তাদের কিছুটা সেক্রিফাইস মন-মানসিকতা থাকা দরকার ছিল। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বসা নিয়ে নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কথা-কাটাকাটি ও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এ সময় চেয়ার ছোড়াছুড়িতে আমাদের ৫-৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সিকদার বলেন, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বসার আসনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় দলের ২০ জন আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতখান উপজেলা স্টেডিয়ামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় জামায়াতে ইসলামীর ১৫ জন ও বিএনপির সাতজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর দুজনকে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দৌলতখান উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় দৌলতখান স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে পূর্বেই বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদদের পরিবার, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে আলাদাভাবে সবার জন্য আসন নির্ধারিত ছিল।
অনুষ্ঠান শুরুর নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হয়ে আসন গ্রহণ করেন জামায়াতে ইসলামীর দৌলতখান উপজেলা শাখার আমির ও সেক্রেটারি। এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা এসে আসনে জামায়াতের নেতাদের দেখে ‘রাজাকার বলে’ নানা ধরনের কথা বলতে থাকেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জামায়াতে ইসলামীর দৌলতখান উপজেলার সেক্রেটারি মো. আশরাফ উদ্দিন ফারুক বলেন, উপজেলা প্রশাসন আমাদেরকে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়েছিল। দাওয়াত পেয়ে আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হই। সেখানে অতিথিদের জন্য নির্ধারিত আসনে বিএনপির চারজন ও জামায়াতে ইসলামীর দুজন নেতার জন্য চেয়ার সংরক্ষিত ছিল।
তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আমরা আমাদের আসন গ্রহণ করি। এক পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনে দৌলতখান পৌরসভা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুল ও দৌলতখান উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলামসহ বিএনপি ও যুবদলের বেশ কয়েকজন পদধারী নেতাকর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
তাদের হামলায় আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ পুরোপুরি নির্বিকার ছিল। এ ছাড়া তারা চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর চালিয়েছে। এ ঘটনায় দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দৌলতখান উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ফারুক হোসেন তালুকদার বলেন, জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল, তারা বাংলাদেশ চায়নি। তারা যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল তাই তাদের কিছুটা সেক্রিফাইস মন-মানসিকতা থাকা দরকার ছিল। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বসা নিয়ে নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কথা-কাটাকাটি ও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এ সময় চেয়ার ছোড়াছুড়িতে আমাদের ৫-৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সিকদার বলেন, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বসার আসনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:১২
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৭
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৬
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৩