
১২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:৫৫
প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ভোলা সাইক্লোনের আজ ৫৫ বছর। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদেশের দক্ষিণা পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকার ৫ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। উপকূলীয় দ্বীপ ভোলা ও নোয়াখালীসহ বিভিন্ন চরসমূহের বহু এলাকার ঘরবাড়ি, গবাদিপশু নিশ্চিহ্ন হয়ে বিরান জনপদে পরিণত হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতার কথা মনে করে আজও শিউরে ওঠেন অনেকে। ওই ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটে ভোলা এবং তৎকালীন নোয়াখালী উপকূলে। তৎকালীন নোয়াখালী উপকূলের রামগতি, হাতিয়া, সন্দ্বীপ এবং ভোলার মনপুরা ও পটুয়াখালী পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। সেই স্মৃতি বয়ে আজও যারা বেঁচে রয়েছেন কিংবা স্বজনদের হারিয়েছেন, কেবল তারাই অনুভব করেন সেদিনের ভয়াবহতা।
ধারণা করা হয়, সেই দুর্যোগে শুধু ভোলা জেলাতেই লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সেদিন উত্তাল মেঘনা তেঁতুলিয়া নদী আর তার শাখা-প্রশাখাগুলো রূপান্তরিত হয় লাশের নদীতে। এজন্য একে ‘ভোলা সাইক্লোন’ও বলা হয়ে থাকে।
৭০-এর সেই ভয়াবহ সাইক্লোনের কালো রাতের কথা মনে হলে ধূসর স্মৃতিতে চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা হয়ে আসে বলে স্মৃতি রোমন্থন করেন কালের সাক্ষী ভোলার প্রবীণ সাংবাদিক এম এ তাহের। তিনি বলেন, আমরা কয়েকজন ভোলা সদর থেকে কলাগাছ দিয়ে ভেউর্কা বানিয়ে দৌলতখানে যাওয়ার পথে সারি সারি মৃত লাশ আর লাশ। লাশ বাঁশ দিয়ে সরিয়ে যাওয়ার পথে দেখেছি সাপ আর মানুষ দৌলতখানের চৌকিঘাটে জড়িয়ে পড়ে আছে। স্নেহময়ী মা তার শিশুকে কোলে জড়িয়ে পড়ে আছে মেঘনার পাড়ে। সোনাপুরের একটি বাগানে গাছের ডালে এক মহিলার লাশ ঝুলছে। এমনিভাবে মনপুরা, চরফ্যাশন, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও দৌলতখানসহ সমগ্র জেলায় মানুষ আর গবাদিপশু বঙ্গোপসাগরের উত্তাল পানিতে ভেসে গেছে। জনশূন্য হয়ে পড়েছিল দ্বীপ ভোলা।
সেই সময়কার প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ভোলার সমস্ত জনপদ বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল আর নদীতে গবাদি পশুসহ বনি আদম সন্তান সারিবদ্ধভাবে পড়ে ছিল। তৎকালীন পূর্বদেশ পত্রিকার ভোলা প্রতিনিধি ও বর্তমান দৈনিক বাংলার কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক এম হাবিবুর রহমান প্রেরিত সচিত্র প্রতিবেদন ছিল ‘বাংলার মানুষ কাঁদো, ভোলার গাছে গাছে ঝুলছে মানুষের লাশ’। আর এ সংবাদ বিশ্ব জানতে পেরেছিল চার দিন পর। সেই চিত্রটি আজও ঢাকা প্রেস ইনস্টিটিউট-এ কালের সাক্ষী হিসেবে বাঁধানো রয়েছে।
৭০-এর ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের পর মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ধ্বংসযজ্ঞ ও বেদনাহতদের দেখতে আসেন ভোলা, এসব দৃশ্য দেখে শোকবিহ্বল হয়ে পড়েন তিনি।
প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম এম সানাউল্লাহ্ নূরীর এক লেখায় তিনি উল্লেখ করেছেন, (সত্তরের জলোচ্ছ্বাসের পর) ‘আমরা রামগতি বাজারের নিকটবর্তী চর এলাকায় পৌঁছালাম। সেখানে স্তূপীকৃত লাশ এবং মৃত গবাদিপশুর যে হাল দেখলাম, তা ভাষায় অবর্ণনীয়। রামগতি বাজারের একজন শৌখিন ফটোগ্রাফার আমাকে ফুলের মতো ফুটফুটে চারটি শিশুর ছবি দিয়েছিলেন। সেটি আমি ছেপেছি দৈনিক বাংলায়।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি আমার পত্রিকার বিশেষ সংবাদদাতার দায়িত্ব নিয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে থেকে একটানা কয়েক দিন ঢাকায় দৈনিক বাংলার জন্য রিপোর্ট পাঠাচ্ছিলাম। এতে কাগজের প্রচার সংখ্যা ৩০ হাজার থেকে এক লাখে উঠেছিল। চট্টগ্রামে সে সময় এক টাকা দামের কাগজ পাঁচ-ছয় টাকা বিক্রি হচ্ছিল। আমরা চরবাদাম, চরসীতা এবং চরজব্বরে ধানক্ষেতগুলোতে নাকেমুখে লোনা পানি লেপ্টানো হাজার হাজার লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেছি। সাগরে ভাসতে দেখেছি অসংখ্য লাশ। রামগতি, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, ভোলা ও পটুয়াখালী পরিণত হয়েছিল ধ্বংসস্তূপে। একটি গাছের ৩০ ফুট উঁচু মাথায় অসহায় দুর্গত কুকুরকে দেখেছি হাহাকার করতে। কোথাও পানি উঠেছে ৪০ ফুট ওপরে। গোটা উপকূল অঞ্চলে প্রায় অর্ধকোটি লোক মৃত্যুবরণ করেছে। ১২৮৩ সালের গোর্কির চেয়ে বহুগুণে করুণ এবং ভয়াবহ ছিল ’৭০ সালের গোর্কি। এর ধ্বংসলীলা তো আমরা নিজের চোখেই দেখেছি। সারা দুনিয়ায় সংবাদপত্রের প্রধান সংবাদ হয়েছিল এই প্রলয় ভয়াল দুর্যোগের খবর।’
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) এ ঘূর্ণিঝড়কে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উল্লেখ করেছে। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে ১৩ নভেম্বর ভোর পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় প্রথমে ১৮৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানলেও পরে তা আরও বৃদ্ধি পেয়ে তা ২০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। এ বছর সেই প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের ৫৫ বছর পূর্ণ হলেও ভয়াল সেই ঝড়ের অর্ধশতাব্দী পর উপকূলের মানুষ এখনো অরক্ষিত, অবহেলিত।
পৃথিবীর প্রাণঘাতী ঝড় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের উপকূলে সংঘটিত ঝড় ‘সাইক্লোন ভোলা’। ছবি : সংগৃহীত
প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ভোলা সাইক্লোনের আজ ৫৫ বছর। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদেশের দক্ষিণা পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকার ৫ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। উপকূলীয় দ্বীপ ভোলা ও নোয়াখালীসহ বিভিন্ন চরসমূহের বহু এলাকার ঘরবাড়ি, গবাদিপশু নিশ্চিহ্ন হয়ে বিরান জনপদে পরিণত হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতার কথা মনে করে আজও শিউরে ওঠেন অনেকে। ওই ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটে ভোলা এবং তৎকালীন নোয়াখালী উপকূলে। তৎকালীন নোয়াখালী উপকূলের রামগতি, হাতিয়া, সন্দ্বীপ এবং ভোলার মনপুরা ও পটুয়াখালী পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। সেই স্মৃতি বয়ে আজও যারা বেঁচে রয়েছেন কিংবা স্বজনদের হারিয়েছেন, কেবল তারাই অনুভব করেন সেদিনের ভয়াবহতা।
ধারণা করা হয়, সেই দুর্যোগে শুধু ভোলা জেলাতেই লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সেদিন উত্তাল মেঘনা তেঁতুলিয়া নদী আর তার শাখা-প্রশাখাগুলো রূপান্তরিত হয় লাশের নদীতে। এজন্য একে ‘ভোলা সাইক্লোন’ও বলা হয়ে থাকে।
৭০-এর সেই ভয়াবহ সাইক্লোনের কালো রাতের কথা মনে হলে ধূসর স্মৃতিতে চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা হয়ে আসে বলে স্মৃতি রোমন্থন করেন কালের সাক্ষী ভোলার প্রবীণ সাংবাদিক এম এ তাহের। তিনি বলেন, আমরা কয়েকজন ভোলা সদর থেকে কলাগাছ দিয়ে ভেউর্কা বানিয়ে দৌলতখানে যাওয়ার পথে সারি সারি মৃত লাশ আর লাশ। লাশ বাঁশ দিয়ে সরিয়ে যাওয়ার পথে দেখেছি সাপ আর মানুষ দৌলতখানের চৌকিঘাটে জড়িয়ে পড়ে আছে। স্নেহময়ী মা তার শিশুকে কোলে জড়িয়ে পড়ে আছে মেঘনার পাড়ে। সোনাপুরের একটি বাগানে গাছের ডালে এক মহিলার লাশ ঝুলছে। এমনিভাবে মনপুরা, চরফ্যাশন, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও দৌলতখানসহ সমগ্র জেলায় মানুষ আর গবাদিপশু বঙ্গোপসাগরের উত্তাল পানিতে ভেসে গেছে। জনশূন্য হয়ে পড়েছিল দ্বীপ ভোলা।
সেই সময়কার প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ভোলার সমস্ত জনপদ বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল আর নদীতে গবাদি পশুসহ বনি আদম সন্তান সারিবদ্ধভাবে পড়ে ছিল। তৎকালীন পূর্বদেশ পত্রিকার ভোলা প্রতিনিধি ও বর্তমান দৈনিক বাংলার কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক এম হাবিবুর রহমান প্রেরিত সচিত্র প্রতিবেদন ছিল ‘বাংলার মানুষ কাঁদো, ভোলার গাছে গাছে ঝুলছে মানুষের লাশ’। আর এ সংবাদ বিশ্ব জানতে পেরেছিল চার দিন পর। সেই চিত্রটি আজও ঢাকা প্রেস ইনস্টিটিউট-এ কালের সাক্ষী হিসেবে বাঁধানো রয়েছে।
৭০-এর ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের পর মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ধ্বংসযজ্ঞ ও বেদনাহতদের দেখতে আসেন ভোলা, এসব দৃশ্য দেখে শোকবিহ্বল হয়ে পড়েন তিনি।
প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম এম সানাউল্লাহ্ নূরীর এক লেখায় তিনি উল্লেখ করেছেন, (সত্তরের জলোচ্ছ্বাসের পর) ‘আমরা রামগতি বাজারের নিকটবর্তী চর এলাকায় পৌঁছালাম। সেখানে স্তূপীকৃত লাশ এবং মৃত গবাদিপশুর যে হাল দেখলাম, তা ভাষায় অবর্ণনীয়। রামগতি বাজারের একজন শৌখিন ফটোগ্রাফার আমাকে ফুলের মতো ফুটফুটে চারটি শিশুর ছবি দিয়েছিলেন। সেটি আমি ছেপেছি দৈনিক বাংলায়।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি আমার পত্রিকার বিশেষ সংবাদদাতার দায়িত্ব নিয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে থেকে একটানা কয়েক দিন ঢাকায় দৈনিক বাংলার জন্য রিপোর্ট পাঠাচ্ছিলাম। এতে কাগজের প্রচার সংখ্যা ৩০ হাজার থেকে এক লাখে উঠেছিল। চট্টগ্রামে সে সময় এক টাকা দামের কাগজ পাঁচ-ছয় টাকা বিক্রি হচ্ছিল। আমরা চরবাদাম, চরসীতা এবং চরজব্বরে ধানক্ষেতগুলোতে নাকেমুখে লোনা পানি লেপ্টানো হাজার হাজার লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেছি। সাগরে ভাসতে দেখেছি অসংখ্য লাশ। রামগতি, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, ভোলা ও পটুয়াখালী পরিণত হয়েছিল ধ্বংসস্তূপে। একটি গাছের ৩০ ফুট উঁচু মাথায় অসহায় দুর্গত কুকুরকে দেখেছি হাহাকার করতে। কোথাও পানি উঠেছে ৪০ ফুট ওপরে। গোটা উপকূল অঞ্চলে প্রায় অর্ধকোটি লোক মৃত্যুবরণ করেছে। ১২৮৩ সালের গোর্কির চেয়ে বহুগুণে করুণ এবং ভয়াবহ ছিল ’৭০ সালের গোর্কি। এর ধ্বংসলীলা তো আমরা নিজের চোখেই দেখেছি। সারা দুনিয়ায় সংবাদপত্রের প্রধান সংবাদ হয়েছিল এই প্রলয় ভয়াল দুর্যোগের খবর।’
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) এ ঘূর্ণিঝড়কে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উল্লেখ করেছে। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে ১৩ নভেম্বর ভোর পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় প্রথমে ১৮৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানলেও পরে তা আরও বৃদ্ধি পেয়ে তা ২০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। এ বছর সেই প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের ৫৫ বছর পূর্ণ হলেও ভয়াল সেই ঝড়ের অর্ধশতাব্দী পর উপকূলের মানুষ এখনো অরক্ষিত, অবহেলিত।

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৮
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের (বীরবিক্রম) পক্ষ থেকে ভোলার লালমোহন উপজেলার নিখোঁজ ১৩ জেলের পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দলিল মাস্টার বাজার এলাকায় নিখোঁজ প্রত্যেক জেলের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে এই এই অনুদান প্রদান করা হয়।
এ সময় লালমোহন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহরুখ হাফিজ ডিকো, উপজেলার বিএনপির সভাপতি মো. জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল, সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. ফরিদ উদ্দিন, সফিউল্লাহ হাওলাদার, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ছাদেক মিয়া জান্টু, উপজেলা যুবদলের সভাপতি শাহিনুল ইসলাম কবির হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক কাজী হাসানুজ্জামান, ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পশ্চিম শাখা বিএনপির সভাপতি মো. নসু মেম্বারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
গত ১০ নভেম্বর ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দলিল মাস্টার বাজার এলাকা থেকে ৮ জন ও একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাতিরখাল মৎস্যঘাট এলাকা থেকে ৫ জনসহ মোট ১৩ জন জেলে সাগরে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। তবে যাত্রার ৬ দিনের মাথায় তাদের ফেরার কথা থাকলেও ১৭ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে ওইসব জেলে পরিবারগুলোতে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের (বীরবিক্রম) পক্ষ থেকে ভোলার লালমোহন উপজেলার নিখোঁজ ১৩ জেলের পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দলিল মাস্টার বাজার এলাকায় নিখোঁজ প্রত্যেক জেলের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে এই এই অনুদান প্রদান করা হয়।
এ সময় লালমোহন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহরুখ হাফিজ ডিকো, উপজেলার বিএনপির সভাপতি মো. জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল, সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. ফরিদ উদ্দিন, সফিউল্লাহ হাওলাদার, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ছাদেক মিয়া জান্টু, উপজেলা যুবদলের সভাপতি শাহিনুল ইসলাম কবির হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক কাজী হাসানুজ্জামান, ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পশ্চিম শাখা বিএনপির সভাপতি মো. নসু মেম্বারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
গত ১০ নভেম্বর ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দলিল মাস্টার বাজার এলাকা থেকে ৮ জন ও একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাতিরখাল মৎস্যঘাট এলাকা থেকে ৫ জনসহ মোট ১৩ জন জেলে সাগরে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। তবে যাত্রার ৬ দিনের মাথায় তাদের ফেরার কথা থাকলেও ১৭ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে ওইসব জেলে পরিবারগুলোতে।

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৩৫
মেঘনায় জেলের জেলে ধরা পরেছে রাজা ইলিশ। মাছটির ওজন ২ কেজি ৭৫ গ্রাম। ইলিশটি নিলামে ৮ হাজার দুইশত টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকালে তুলাতলি মৎস্যঘাটে আসলাম গোলদারের আড়তে রাজা ইলিশটি বিক্রি হয়।
আড়তের ম্যানেজার শরিফ হোসেন জানান, সকালের দিকে ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের জেলে মো. মনিরুল ইসলাম মাঝিসহ তার সঙ্গী ইলিশ শিকার করছিলেন। মেঘনার তুলাতলি ও মদনপুরের মাঝামাঝি নদীতে তাদের জালে উঠে আসে রাজা ইলিশটি। ওই এলাকার জেলেরা বড় ইলিশকে রাজা ইলিশ বলে থাকেন।
তুলাতলি ঘাটের ইউনুছ ব্যাপারী জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই আড়তে ইলিশটি বিক্রি করতে নিয়ে আসেন জেলেরা। পরে তুলাতলি ঘাটের আড়তদার, মৎস্য ব্যবসায়ী ও খুচরা ক্রেতাদের উপস্থিতিতে মাছ নিলামে (ডাক) বিক্রি করা হয়। সর্ব্বোচ ৮ হাজার ২ শত টাকা দাম ধরে ইলিশটি কিনে নেন আড়তদার মো. জসিম উদ্দিন ব্যাপারী।
জসিম ব্যাপারী জানান, বরিশাল ও ঢাকার পাইকারি আড়তে বড় সাইজের ইলিশের চাহিদা অনেক বেশি। বড় সাইজের ইলিশ হলে তাদের কাছে দাম ব্যাপার না। তাই তিনি এত বেশি দাম দিয়ে মাছটি ক্রয় করেছে। বরিশাল বা ঢাকার পাইকারি আড়তে এই ইলিশটি ৯ থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা বিক্রির আশা তার।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে ইলিশের প্রজনন মৌসুম সফল হওয়ায় নদীতে বড় সাইজের ইলিশ প্রায়ই পাওয়া যাচ্ছে। ইলিশ মাছ সারাবছরই ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে নদীতে আসে। তবে বেশি ডিম ছাড়ে অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে। ওই ইলিশটি সাগর থেকে ডিম ছাড়ার জন্য উঠে আসছে। পরে তুলাতলি মাছ ঘাটের জেলেদের জালে ধরা পরেছে।
মেঘনায় জেলের জেলে ধরা পরেছে রাজা ইলিশ। মাছটির ওজন ২ কেজি ৭৫ গ্রাম। ইলিশটি নিলামে ৮ হাজার দুইশত টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকালে তুলাতলি মৎস্যঘাটে আসলাম গোলদারের আড়তে রাজা ইলিশটি বিক্রি হয়।
আড়তের ম্যানেজার শরিফ হোসেন জানান, সকালের দিকে ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের জেলে মো. মনিরুল ইসলাম মাঝিসহ তার সঙ্গী ইলিশ শিকার করছিলেন। মেঘনার তুলাতলি ও মদনপুরের মাঝামাঝি নদীতে তাদের জালে উঠে আসে রাজা ইলিশটি। ওই এলাকার জেলেরা বড় ইলিশকে রাজা ইলিশ বলে থাকেন।
তুলাতলি ঘাটের ইউনুছ ব্যাপারী জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই আড়তে ইলিশটি বিক্রি করতে নিয়ে আসেন জেলেরা। পরে তুলাতলি ঘাটের আড়তদার, মৎস্য ব্যবসায়ী ও খুচরা ক্রেতাদের উপস্থিতিতে মাছ নিলামে (ডাক) বিক্রি করা হয়। সর্ব্বোচ ৮ হাজার ২ শত টাকা দাম ধরে ইলিশটি কিনে নেন আড়তদার মো. জসিম উদ্দিন ব্যাপারী।
জসিম ব্যাপারী জানান, বরিশাল ও ঢাকার পাইকারি আড়তে বড় সাইজের ইলিশের চাহিদা অনেক বেশি। বড় সাইজের ইলিশ হলে তাদের কাছে দাম ব্যাপার না। তাই তিনি এত বেশি দাম দিয়ে মাছটি ক্রয় করেছে। বরিশাল বা ঢাকার পাইকারি আড়তে এই ইলিশটি ৯ থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা বিক্রির আশা তার।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে ইলিশের প্রজনন মৌসুম সফল হওয়ায় নদীতে বড় সাইজের ইলিশ প্রায়ই পাওয়া যাচ্ছে। ইলিশ মাছ সারাবছরই ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে নদীতে আসে। তবে বেশি ডিম ছাড়ে অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে। ওই ইলিশটি সাগর থেকে ডিম ছাড়ার জন্য উঠে আসছে। পরে তুলাতলি মাছ ঘাটের জেলেদের জালে ধরা পরেছে।

২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:৩৭
‘দেশীয় জাত, আধুনিক প্রযুক্তি: প্রাণিসম্পদে হবে উন্নতি’ এই প্রতিপাদ্যে ভোলার লালমোহন উপজেলায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকালে পৌরসভার হেলিপ্যাড মাঠে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর এবং ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ। পরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া প্রদর্শনীতে বিভিন্ন স্টলে খামারিরা তাদের গবাদি পশু ও পাখি প্রদর্শণ করেন। অতিথিরা সেসব স্টল পরিদর্শন করেন।
লালমোহন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রকিবুল হাসান নিটোলের সঞ্চালনায় এ সময় ওসি (তদন্ত) মো. মাসুদ হাওলাদার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলী আহমদ আখন্দ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা খলিলুর রহমান ইমন, নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সোহেল মাহমুদ, উপজেলা পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা বাহালুল কবির খানসহ বিভিন্ন খামারিরা উপস্থিত ছিলেন।
‘দেশীয় জাত, আধুনিক প্রযুক্তি: প্রাণিসম্পদে হবে উন্নতি’ এই প্রতিপাদ্যে ভোলার লালমোহন উপজেলায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকালে পৌরসভার হেলিপ্যাড মাঠে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর এবং ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ। পরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া প্রদর্শনীতে বিভিন্ন স্টলে খামারিরা তাদের গবাদি পশু ও পাখি প্রদর্শণ করেন। অতিথিরা সেসব স্টল পরিদর্শন করেন।
লালমোহন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রকিবুল হাসান নিটোলের সঞ্চালনায় এ সময় ওসি (তদন্ত) মো. মাসুদ হাওলাদার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলী আহমদ আখন্দ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা খলিলুর রহমান ইমন, নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সোহেল মাহমুদ, উপজেলা পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা বাহালুল কবির খানসহ বিভিন্ন খামারিরা উপস্থিত ছিলেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৫
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:০৫
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:২৪