১৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:৩৬
পাঁচ বছরের শিশু সন্তান তানিম ইসলামকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান মহিপুর থানা এলাকার বাসিন্দা নুর আলম। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সিবিসি পরীক্ষা করান মহিপুর থানা সদরে অবস্থিত গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’। প্রায় ১ ঘন্টা পরে সিবিসির একটি ভুল রিপোর্ট প্রদান করেন রোগীর বাবা নুর আলমকে।
ভুক্তভোগী নুর আলম বলেন, গত মঙ্গলবার আমার অসুস্থ ৫ বছরের ছেলে তানিমকে ডাক্তার দেখানোর জন্য নিয়ে আসলে ডাক্তার আমাকে কিছু টেস্ট করাতে দেয়।
আমি মহিপুরের গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার আসলে তারা ৫০০ টাকা রেখে আমাকে একটি ভুল সিবিসি রিপোর্ট ধরিয়ে দেন। সেখানে আমার ছেলের নামেও ভুল আছে। রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক রোগীর অবস্থা খুব আশংকাজনক বলে জানান। আমাকে সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
পরবর্তীতে আমি অন্য একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারে টেস্ট করাতে গেলে সেখানে সঠিক রিপোর্ট আসে। পরবর্তীতে তিনি তার এক নিকট আত্মীয়কে সাথে নিয়ে গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। ভুল রিপোর্টের কথা বলাতে তাদের সাথে অসদাচরণ করেন রিসিপশনিস্ট মোহাম্মদ রানা। একপর্যায়ে তার সাথে থাকা স্বজন আল-মামুনকে মারধর করতে তেরে আসে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এসময় তার সাথে থাকা ভুল রিপোর্টটি নিয়ে অন্য একটি রিপোর্ট প্রদান করেন। রোগীর স্বজনের তাড়াহুড়ার কারণে রিপোর্ট এমন ভুল হয়েছে দাবি ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহিপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে অবস্থিত গ্রীণলাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কোনো টেস্ট করাতে গেলে তারা তাদের মনগড়া রিপোর্ট দিয়ে রোগীদের বাড়তি চাপে ফেলে দেন এমন অহরহ অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে ভুয়া সিবিসির মনগড়া রিপোর্টে হয়রানি শিকার হন নুর আলম নামের এক রোগীর স্বজন। অভিযোগ রয়েছে এর আগেও বেশ কয়েকবার ভুল রিপোর্ট প্রদান করেন এই ডায়গনস্টিক সেন্টার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, গত তিন মাস টেকনোলজিস্ট ছাড়াই রিসিপশনিস্ট রানা রিপোর্ট প্রদান করেছেন। এমনকি এক্সরেও করিয়ে দেন তিনি।
এ বিষয় ভুক্তভোগীর স্বজন আল-মামুন বলেন, গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে একটি ভুল রিপোর্ট প্রদান করলে নুর আলম আমাকে বিষয়টি জানায়। ঘটনা শুনে আমি তাকে সাথে নিয়ে ডায়াগনস্টিক এ গিয়ে জিজ্ঞেস করলে রিসিপশনিস্ট রানা নামের একজন আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন। একপ্রকার তেড়ে আসেন আমাকে মারতে। ভুল রিপোর্টের সাথে রোগীর নামেও ভুল রয়েছে।
এ বিষয়ে গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর রিসিপশনিস্ট মোহাম্মদ রানা বলেন, রিপোর্টের অনেক চাপ ও রোগীর তাড়াহুড়ার কারণে এমনটা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি নিউজ না করার জন্য প্রতিবেদককে অনুরোধ জানান।
গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মোঃ সবুজ আল মামুন বলেন, আসলে আমি তো ডাক্তার না আমি যতটুকু জানি সিবিসির ডব্লিউবিসি কাউন্টে জিরো আসে না।
রিসিপশনিস্ট দিয়ে টেস্ট করানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন আমাদের টেকনোলজিস্ট ছিল না তখন আমরা তুলাতুলির একটি ল্যাপ দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছি। রিপোর্টটি আমাকে দিলে আমি জেনে আপনাকে জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে একাধিক এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, এটি ভুল টেস্ট, সিবিসি টেস্টের টোটাল ডব্লিউবিসি কাউন্টে জিরো আসার সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রসাদ অধিকারী বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক, এভাবে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। আমরা এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ খালেদুর রহমান মিয়া। তিনি বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম খোঁজখবর নিচ্ছি। চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দেবার সুযোগ নেই।
পাঁচ বছরের শিশু সন্তান তানিম ইসলামকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান মহিপুর থানা এলাকার বাসিন্দা নুর আলম। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সিবিসি পরীক্ষা করান মহিপুর থানা সদরে অবস্থিত গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’। প্রায় ১ ঘন্টা পরে সিবিসির একটি ভুল রিপোর্ট প্রদান করেন রোগীর বাবা নুর আলমকে।
ভুক্তভোগী নুর আলম বলেন, গত মঙ্গলবার আমার অসুস্থ ৫ বছরের ছেলে তানিমকে ডাক্তার দেখানোর জন্য নিয়ে আসলে ডাক্তার আমাকে কিছু টেস্ট করাতে দেয়।
আমি মহিপুরের গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার আসলে তারা ৫০০ টাকা রেখে আমাকে একটি ভুল সিবিসি রিপোর্ট ধরিয়ে দেন। সেখানে আমার ছেলের নামেও ভুল আছে। রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক রোগীর অবস্থা খুব আশংকাজনক বলে জানান। আমাকে সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
পরবর্তীতে আমি অন্য একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারে টেস্ট করাতে গেলে সেখানে সঠিক রিপোর্ট আসে। পরবর্তীতে তিনি তার এক নিকট আত্মীয়কে সাথে নিয়ে গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। ভুল রিপোর্টের কথা বলাতে তাদের সাথে অসদাচরণ করেন রিসিপশনিস্ট মোহাম্মদ রানা। একপর্যায়ে তার সাথে থাকা স্বজন আল-মামুনকে মারধর করতে তেরে আসে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এসময় তার সাথে থাকা ভুল রিপোর্টটি নিয়ে অন্য একটি রিপোর্ট প্রদান করেন। রোগীর স্বজনের তাড়াহুড়ার কারণে রিপোর্ট এমন ভুল হয়েছে দাবি ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহিপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে অবস্থিত গ্রীণলাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কোনো টেস্ট করাতে গেলে তারা তাদের মনগড়া রিপোর্ট দিয়ে রোগীদের বাড়তি চাপে ফেলে দেন এমন অহরহ অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে ভুয়া সিবিসির মনগড়া রিপোর্টে হয়রানি শিকার হন নুর আলম নামের এক রোগীর স্বজন। অভিযোগ রয়েছে এর আগেও বেশ কয়েকবার ভুল রিপোর্ট প্রদান করেন এই ডায়গনস্টিক সেন্টার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, গত তিন মাস টেকনোলজিস্ট ছাড়াই রিসিপশনিস্ট রানা রিপোর্ট প্রদান করেছেন। এমনকি এক্সরেও করিয়ে দেন তিনি।
এ বিষয় ভুক্তভোগীর স্বজন আল-মামুন বলেন, গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে একটি ভুল রিপোর্ট প্রদান করলে নুর আলম আমাকে বিষয়টি জানায়। ঘটনা শুনে আমি তাকে সাথে নিয়ে ডায়াগনস্টিক এ গিয়ে জিজ্ঞেস করলে রিসিপশনিস্ট রানা নামের একজন আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন। একপ্রকার তেড়ে আসেন আমাকে মারতে। ভুল রিপোর্টের সাথে রোগীর নামেও ভুল রয়েছে।
এ বিষয়ে গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর রিসিপশনিস্ট মোহাম্মদ রানা বলেন, রিপোর্টের অনেক চাপ ও রোগীর তাড়াহুড়ার কারণে এমনটা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি নিউজ না করার জন্য প্রতিবেদককে অনুরোধ জানান।
গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মোঃ সবুজ আল মামুন বলেন, আসলে আমি তো ডাক্তার না আমি যতটুকু জানি সিবিসির ডব্লিউবিসি কাউন্টে জিরো আসে না।
রিসিপশনিস্ট দিয়ে টেস্ট করানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন আমাদের টেকনোলজিস্ট ছিল না তখন আমরা তুলাতুলির একটি ল্যাপ দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছি। রিপোর্টটি আমাকে দিলে আমি জেনে আপনাকে জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে একাধিক এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, এটি ভুল টেস্ট, সিবিসি টেস্টের টোটাল ডব্লিউবিসি কাউন্টে জিরো আসার সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রসাদ অধিকারী বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক, এভাবে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। আমরা এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ খালেদুর রহমান মিয়া। তিনি বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম খোঁজখবর নিচ্ছি। চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দেবার সুযোগ নেই।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৪০
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সমুদ্র বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। এ কারণে সমুদ্রে সব মাছ ধরা ট্রলার ফিরে এসে উপকূলের বিভিন্ন নদ-নদীতে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।
রোববার (১৭ আগস্ট) সকাল থেকে উপকূলজুড়ে ভ্যাঁপসা গরম থাকলেও বিকেলে থেকে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে কিছু এলাকায় থেমে থেমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আগামী ২১ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সমুদ্র উত্তাল থাকায় গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার ট্রলারগুলো দ্রুত উপকূলে ফিরে এসেছে। পাশাপাশি নৌযান ও জাহাজগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় জেলেরা জানান, হঠাৎ সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় তারা ঝুঁকি না নিয়ে ঘাটে ফিরেছে। মহিপুর, আলীপুর মৎস্য বন্দরের খাপড়াভাঙ্গা নদীতে কয়েক'শ ট্রলার নোঙর করেছে।
আলীপুর মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতি সভাপতি জলিল ঘরামী বলেন, সমুদ্রে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সাগর ফুঁসে উঠেছে। তীব্র ঢেউয়ের তোড়ে টিকতে না পেরে ঘাটে এসেছে জেলেরা।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে সমুদ্র বেশ উত্তাল রয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। উপকূলজুড়ে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
উপকূলের মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। একই সঙ্গে নদী ও সাগরপথে ছোট নৌযান ও ট্রলার চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সমুদ্র বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। এ কারণে সমুদ্রে সব মাছ ধরা ট্রলার ফিরে এসে উপকূলের বিভিন্ন নদ-নদীতে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।
রোববার (১৭ আগস্ট) সকাল থেকে উপকূলজুড়ে ভ্যাঁপসা গরম থাকলেও বিকেলে থেকে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে কিছু এলাকায় থেমে থেমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আগামী ২১ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সমুদ্র উত্তাল থাকায় গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার ট্রলারগুলো দ্রুত উপকূলে ফিরে এসেছে। পাশাপাশি নৌযান ও জাহাজগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় জেলেরা জানান, হঠাৎ সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় তারা ঝুঁকি না নিয়ে ঘাটে ফিরেছে। মহিপুর, আলীপুর মৎস্য বন্দরের খাপড়াভাঙ্গা নদীতে কয়েক'শ ট্রলার নোঙর করেছে।
আলীপুর মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতি সভাপতি জলিল ঘরামী বলেন, সমুদ্রে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সাগর ফুঁসে উঠেছে। তীব্র ঢেউয়ের তোড়ে টিকতে না পেরে ঘাটে এসেছে জেলেরা।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে সমুদ্র বেশ উত্তাল রয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। উপকূলজুড়ে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
উপকূলের মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। একই সঙ্গে নদী ও সাগরপথে ছোট নৌযান ও ট্রলার চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১২:৫১
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস বাজার এলাকায় র্যাবের পোশাক (কটি) পরে তিন ব্যক্তি এক ব্যবসায়ীকে হাতকড়া পরিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে গতকাল রাতে ঘটনা জানাজানি হয়।
ভুক্তভোগী সোহাগ সিপাই পেশায় স্থানীয় একটি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) এজেন্ট। তিনি জানান, দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় মোটরসাইকেলযোগে আসা তিন ব্যক্তি তাঁর পথ রোধ করে। নিজেদের র্যাব পরিচয় দিয়ে তারা প্রথমে তাঁকে হাতকড়া পরায়। পরে তাঁর কাছে থাকা ৪০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। কিছু দূর নিয়ে গিয়ে হাতকড়া খুলে তাঁকে ছেড়ে দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
সোহাগ সিপাই অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার দোকান থেকে বাড়ি মাত্র ২০০ ফুট দূরে। ঘরের সামনে পৌঁছাতেই তারা আমাকে আটক করে টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়। ভয়ে তখন কিছু বলতে পারিনি।’ এ বিষয়ে বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
র্যাব-৮ (পটুয়াখালী) সিপিসি-১-এর কর্মকর্তা মেজর রাশেদ জানান, ঘটনার বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানি না। তবে কিছুদিন আগে একই ধরনের একটি ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাম ব্যবহার করে এ ধরনের অপরাধ কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস বাজার এলাকায় র্যাবের পোশাক (কটি) পরে তিন ব্যক্তি এক ব্যবসায়ীকে হাতকড়া পরিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে গতকাল রাতে ঘটনা জানাজানি হয়।
ভুক্তভোগী সোহাগ সিপাই পেশায় স্থানীয় একটি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) এজেন্ট। তিনি জানান, দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় মোটরসাইকেলযোগে আসা তিন ব্যক্তি তাঁর পথ রোধ করে। নিজেদের র্যাব পরিচয় দিয়ে তারা প্রথমে তাঁকে হাতকড়া পরায়। পরে তাঁর কাছে থাকা ৪০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। কিছু দূর নিয়ে গিয়ে হাতকড়া খুলে তাঁকে ছেড়ে দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
সোহাগ সিপাই অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার দোকান থেকে বাড়ি মাত্র ২০০ ফুট দূরে। ঘরের সামনে পৌঁছাতেই তারা আমাকে আটক করে টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়। ভয়ে তখন কিছু বলতে পারিনি।’ এ বিষয়ে বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
র্যাব-৮ (পটুয়াখালী) সিপিসি-১-এর কর্মকর্তা মেজর রাশেদ জানান, ঘটনার বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানি না। তবে কিছুদিন আগে একই ধরনের একটি ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাম ব্যবহার করে এ ধরনের অপরাধ কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১২:১২
পটুয়াখালীর বাউফল-ঢাকা মহাসড়কের আফছেরের গ্রেজ এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের পুকুরে পড়ে যায়। শনিবার (১৬ আগস্ট) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ঢাকাগামী চেয়ারম্যান পরিবহনের ওই বাসে থাকা অন্তত ১০ জন যাত্রী আহত হন। আহতদের মধ্যে একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
আহত যাত্রীদের অভিযোগ, গলাচিপা ও দশমিনা থেকে ছেড়ে আসা চেয়ারম্যান পরিবহনটিতে শ্রম আইন লঙ্ঘন করে একই চালককে দিনে-রাতে দুইবার বাস চালাতে বাধ্য করা হয়। তাছাড়া চেয়ারম্যান পরিবহনটিতে অতিরিক্ত মাছ বহন করার ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এ রুটে।
স্থানীয়রা জানান, বাউফল-ঢাকা মহাসড়কে চলাচল করা ঢাকাগামী পরিবহনগুলোতে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে এবং এতে হতাহতের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সহকারি পুলিশ সুপার, বাউফল সার্কেল আরিফ মুহাম্মদ শাকুর বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়েছি। মহাসড়কে পরিবহন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তদারকি আরও জোরদার করা হবে বলেন তিনি।
পটুয়াখালীর বাউফল-ঢাকা মহাসড়কের আফছেরের গ্রেজ এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের পুকুরে পড়ে যায়। শনিবার (১৬ আগস্ট) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ঢাকাগামী চেয়ারম্যান পরিবহনের ওই বাসে থাকা অন্তত ১০ জন যাত্রী আহত হন। আহতদের মধ্যে একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
আহত যাত্রীদের অভিযোগ, গলাচিপা ও দশমিনা থেকে ছেড়ে আসা চেয়ারম্যান পরিবহনটিতে শ্রম আইন লঙ্ঘন করে একই চালককে দিনে-রাতে দুইবার বাস চালাতে বাধ্য করা হয়। তাছাড়া চেয়ারম্যান পরিবহনটিতে অতিরিক্ত মাছ বহন করার ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এ রুটে।
স্থানীয়রা জানান, বাউফল-ঢাকা মহাসড়কে চলাচল করা ঢাকাগামী পরিবহনগুলোতে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে এবং এতে হতাহতের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সহকারি পুলিশ সুপার, বাউফল সার্কেল আরিফ মুহাম্মদ শাকুর বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়েছি। মহাসড়কে পরিবহন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তদারকি আরও জোরদার করা হবে বলেন তিনি।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.