dreamliferupatolibarisal

পটুয়াখালী

ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল রিপোর্টে সুস্থ মানুষের জটিল রোগ!

কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা

কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা

১৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:৩৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল রিপোর্টে সুস্থ মানুষের জটিল রোগ!

পাঁচ বছরের শিশু সন্তান তানিম ইসলামকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান মহিপুর থানা এলাকার বাসিন্দা নুর আলম। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সিবিসি পরীক্ষা করান মহিপুর থানা সদরে অবস্থিত গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’। প্রায় ১ ঘন্টা পরে সিবিসির একটি ভুল রিপোর্ট প্রদান করেন রোগীর বাবা নুর আলমকে।

ভুক্তভোগী নুর আলম বলেন, গত মঙ্গলবার আমার অসুস্থ ৫ বছরের ছেলে তানিমকে ডাক্তার দেখানোর জন্য নিয়ে আসলে ডাক্তার আমাকে কিছু টেস্ট করাতে দেয়।

আমি মহিপুরের গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার আসলে তারা ৫০০ টাকা রেখে আমাকে একটি ভুল সিবিসি রিপোর্ট ধরিয়ে দেন। সেখানে আমার ছেলের নামেও ভুল আছে। রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক রোগীর অবস্থা খুব আশংকাজনক বলে জানান। আমাকে সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

পরবর্তীতে আমি অন্য একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারে টেস্ট করাতে গেলে সেখানে সঠিক রিপোর্ট আসে। পরবর্তীতে  তিনি তার এক নিকট আত্মীয়কে সাথে নিয়ে গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। ভুল রিপোর্টের কথা বলাতে তাদের সাথে অসদাচরণ করেন রিসিপশনিস্ট মোহাম্মদ রানা। একপর্যায়ে তার সাথে থাকা স্বজন আল-মামুনকে মারধর করতে তেরে আসে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এসময় তার সাথে থাকা ভুল রিপোর্টটি নিয়ে অন্য একটি রিপোর্ট প্রদান করেন। রোগীর স্বজনের তাড়াহুড়ার কারণে রিপোর্ট এমন ভুল হয়েছে দাবি ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহিপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে অবস্থিত গ্রীণলাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কোনো টেস্ট করাতে গেলে তারা তাদের মনগড়া রিপোর্ট দিয়ে রোগীদের বাড়তি চাপে ফেলে দেন এমন অহরহ অভিযোগ রয়েছে।

সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে ভুয়া সিবিসির মনগড়া রিপোর্টে হয়রানি শিকার হন নুর আলম নামের এক রোগীর স্বজন। অভিযোগ রয়েছে এর আগেও বেশ কয়েকবার ভুল রিপোর্ট প্রদান করেন এই ডায়গনস্টিক সেন্টার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, গত তিন মাস টেকনোলজিস্ট ছাড়াই রিসিপশনিস্ট রানা রিপোর্ট প্রদান করেছেন। এমনকি এক্সরেও করিয়ে দেন তিনি।

এ বিষয় ভুক্তভোগীর স্বজন আল-মামুন বলেন, গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে একটি ভুল রিপোর্ট প্রদান করলে নুর আলম আমাকে বিষয়টি জানায়। ঘটনা শুনে আমি তাকে সাথে নিয়ে ডায়াগনস্টিক এ গিয়ে জিজ্ঞেস করলে রিসিপশনিস্ট রানা নামের একজন আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন। একপ্রকার তেড়ে আসেন আমাকে মারতে। ভুল রিপোর্টের সাথে রোগীর নামেও ভুল রয়েছে।

এ বিষয়ে গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর রিসিপশনিস্ট মোহাম্মদ রানা বলেন, রিপোর্টের অনেক চাপ ও রোগীর তাড়াহুড়ার কারণে এমনটা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি নিউজ না করার জন্য প্রতিবেদককে অনুরোধ জানান।

গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মোঃ সবুজ আল মামুন বলেন, আসলে আমি তো ডাক্তার না আমি যতটুকু জানি সিবিসির ডব্লিউবিসি কাউন্টে জিরো আসে না।

রিসিপশনিস্ট দিয়ে টেস্ট করানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন আমাদের টেকনোলজিস্ট ছিল না তখন আমরা তুলাতুলির একটি ল্যাপ দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছি। রিপোর্টটি আমাকে দিলে আমি জেনে আপনাকে জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে একাধিক এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, এটি ভুল টেস্ট, সিবিসি টেস্টের টোটাল ডব্লিউবিসি কাউন্টে জিরো আসার সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রসাদ অধিকারী বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক, এভাবে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। আমরা এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ খালেদুর রহমান মিয়া। তিনি বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম খোঁজখবর নিচ্ছি। চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দেবার সুযোগ নেই।

বাউফলে নবগঠিত উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির পরিচিতি সভা

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:১১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাউফলে নবগঠিত উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির পরিচিতি সভা

দুর্নীতিকে না বলুন, এই স্লোগানকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির নব নির্বাচিত সদস্যদের পরিচিতি ও মতবিনিম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১১ টার সময় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন কক্ষে এ সব অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দশমিনা ডলি আকবর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ সোহরাব হোসেনে, ধানদী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ, বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জলিলুর রহমান, চরআলগী রশিদিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ফারুক হোসাইন, ডাঃ ইয়াকুব শরিফ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য আসমা বেগম, কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লাহ স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মোসাঃ নার্গিস আক্তার, ধুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য এস এম জহিরুল ইসলাম, বাউফল প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক ডাঃ মোঃ জসীম উদ্দিন, বাউফল প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ মাইনুদ্দীন জিপু সহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতি সহ সকল সদস্য তারা নিজেরা সকল প্রকার দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে বাউফল উপজেলাকে একটি দুর্নীতি মুক্ত উপজেলা গড়ার সহায়ক হিসেবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

দুমকিতে কৃষকদল নেতার বিরুদ্ধে চর দখলের অভিযোগ!

রাজিবুল ইসলাম, দুমকি

রাজিবুল ইসলাম, দুমকি

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:৪০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

দুমকিতে কৃষকদল নেতার বিরুদ্ধে চর দখলের অভিযোগ!

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার উত্তর মুরাদিয়া চরে কৃষক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার উত্তর মুরাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. কবির হোসেন শরীফ অভিযোগ করেন, তিনি ও তাঁর আত্মীয়স্বজনসহ ১৪ জন রেকর্ডীয় মালিক এবং সরকার কর্তৃক বন্দোবস্ত পাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে ওই চরাঞ্চলের প্রায় ৪৫ একর জমি তিন বছরের জন্য লিজ নিয়ে তরমুজ চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

এসময় উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মর্তুজার মদদে একদল প্রভাবশালী ভূমিদস্যু তাঁদের জমিতে প্রবেশে বাধা দেয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে কবির শরীফ বাদি হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগে বলা হয়, উত্তর মুরাদিয়া গ্রামের মো. মোস্তফা হাওলাদার, ইদ্রিস হাওলাদার, আব্দুল জব্বার মীর ও ছলেমান মীরসহ একাধিক ব্যক্তি পূর্বেও জোরপূর্বক ওই জমি দখল করে রেখেছিল। সম্প্রতি তারা আবারও জমি দখলের চেষ্টা করে কবির শরীফের ট্রাক্টর ও ভেকুর যন্ত্রাংশ খুলে নেয়।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা সাবেক কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মর্তুজা বলেন, আমি কোনো দখল বা হুমকির ঘটনায় জড়িত নই। জমির মালিকরাই তাদের জমি ভোগদখল করছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত মোস্তফা হাওলাদার বলেন, কবির শরীফ জমির মালিক নন।

তিনি লিজের টাকা না দেওয়ায় মালিকরা অন্যদের কাছে জমি লিজ দিয়েছেন। এখন তিনি নাটক সাজাচ্ছেন। দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুয়াকাটায় ব্যাটারিচালিত গাড়ির দাপট, যানজটে নাকাল পর্যটকরা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

কুয়াকাটায় ব্যাটারিচালিত গাড়ির দাপট, যানজটে নাকাল পর্যটকরা

পর্যটননগরী কুয়াকাটায় ছুটির দিনে পর্যটকদের ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের সংখ্যা। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ছুটির দিনে এই গাড়ির সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়, ফলে কুয়াকাটার প্রধান সড়কগুলোতে তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ভ্রমণে আসা পর্যটকরা। স্থানীয় চালকদের অভিযোগ, বাইরের গাড়িগুলো ঢোকার কারণেই অতিরিক্ত যানযট সৃষ্টি হয়।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট-সংলগ্ন চৌরাস্তায় দেখা যায়, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের অতিরিক্ত যাতায়াতের কারণে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে আগত পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ অবস্থা থেকে নিস্তার পেতে ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা চান স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী ও আগত পর্যটকরা।

এদিকে কুয়াকাটায় আগত একাধিক পর্যটকরা অভিযোগ করে বলেন, সৈকতের পথে কিছুতেই সময়মতো পৌঁছানো যাচ্ছে না, কারণ সর্বত্র ব্যাটারিচালিত গাড়ির ভিড়। একটি পর্যটন নগরী এলাকায় এত পরিমাণ গাড়ি যা পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয়। তীব্র যানযট মোকাবিলায় এখনই পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ বলে মনে করছেন অনেক পর্যটক।

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, শুক্র ও শনিবার কিংবা দীর্ঘ ছুটির দিনে এসব যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফলে মূল সড়কসহ সৈকতের আশপাশের এলাকায় তৈরি হয় তীব্র যানজট।

এতে করে যেমন দুর্ভোগে পড়েন পর্যটকরা, তেমনি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে না পারলে পর্যটকরা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবে না।

স্থানীয় ইজিবাইকচালক সমিতির সভাপতি রহমান বিশ্বাস বলেন, কুয়াকাটায় মোট ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোভ্যানের সংখ্যা ৯০০-এর মতো। কিন্তু ছুটির দিনগুলোতে এই সংখ্যাটা দিগুণ হয়ে যায়। নিয়ম না মেনেই অনেক চালক রাস্তায় যান, আবার অনেকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ছাড়াই গাড়ি চালান।

এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে। তবে কুয়াকাটার স্থানীয় যেসব চালক রয়েছেন তারা বছরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। যেমন, পর্যটকদের সঙ্গে কিভাবে কথা বলতে হবে এবং গাড়ি চালানোর জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা।

এসব বিষয়গুলো আমরা মাথায় রেখেই কুয়াকাটার চালকরা গাড়ি চালিয়ে থাকি। তবে কুয়াকাটার বাইরে থেকে যেসব গাড়ি আসে তারা কোনো নিয়ম তো মানেই না এবং অতিরিক্ত গাড়ি ঢোকার কারণে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। বাইরের গাড়িগুলো বন্ধ করতে পারলে এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে।

স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী সোহেল মাহমুদ বলেন, পর্যটক আসুক আমরা চাই, কিন্তু এত যানজট হলে ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকে হাঁটতেই পারছে না, গাড়ি তো দূরের কথা। এগুলো থেকে আমরা কুয়াকাটার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা নিস্তার চাই।

এ বিষয়ে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, কুয়াকাটায় নির্দিষ্ট কোনো ট্রাফিক পুলিশের টিম নেই। তবে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ থেকে কিছু দিন পর পর একটি টিম পাঠানো হয়, কিন্তু তারা সার্বক্ষণিক এখানে থাকে না।

বর্তমানে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনে একজন সার্জেন্ট দেওয়া হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিম যানজট নিরসনে কাজ করছে। তবে অতিরিক্ত ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের কারণে বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক বলেন, কুয়াকাটায় লাগামহীন ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোভ্যান নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে তাদেরকে কুয়াকাটা পৌরসভার লাইসেন্সের আওতায় আনার জন্য তাদেরকে ডাকা হয়েছে কিন্তু তারা আসছে না।

তবে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যমে ৩৮টি গাড়ি নিবন্ধন করা সম্ভব হয়েছে। এই বিষয়ে পার্শ্ববর্তী দুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি, এবং এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। যেগুলো খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন করা হবে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.