dreamliferupatolibarisal

ঝালকাঠি

নতুন মোড়কে মাঠে ঝালকাঠি আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হক মনু

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:৫৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

নতুন মোড়কে মাঠে ঝালকাঠি আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হক মনু

ঝালকাঠি পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভপতি শামসুল হক মনু আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকলেও এখন তিনি নতুন ব্যানার নিয়ে সরব হতে চাইছেন। প্রশাসনিক মহলে পূর্বের ন্যায় আধিপত্য বিস্তার করাসহ স্থানীয়ভাবে নিজের শক্তিবৃদ্ধি করতে বহুমুখী তৎপরতায় সামিল রয়েছেন। বিশেষ করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি একটি আয়োজনে অংশ নেওয়ার পরে এনিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানান নেতিবাচক চর্চা হচ্ছে।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে দলটির প্রভাবশালী নেতা শামসুল হক মনু জনরোষে পড়ার ভয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। এবং অন্তর্ধানে থাকার পাশাপাশি তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সাথে আঁতাত করে মামলা-মোকদ্দমা থেকে নিজেকে রক্ষায় সক্ষম হন। তবে কিছু দিন ধরে তিনি এলাকায় অবস্থান করেন এবং সবশেষ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে তাকে একটি আয়োজনেও দেখা যায়, যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

সূত্র জানায়, ১৭ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠির কালেক্টরেট স্কুল কম্পাউন্ডে ‘ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট’র ব্যানারে গাছের চারা রোপন এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যেকার বিতরণ আয়োজনে জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাকিলা রহমান অংশ নিয়েছিলেন। তাদের কাছাকাছি ছিলেন স্বৈরাচারের দোষর শামসুল হক মনু।

অভিযোগ আছে, আওয়ামী লীগ শাসনামলে মনু দলীয় প্রভাব বিস্তার করার পাশাপাশি জুলাই আন্দোলনের ঘোর বিরোধীতা করেছিলেন। এবং ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে ভূমিকাও রেখেছিলেন। কিন্তু এরপরেও আওয়ামী লীগের পতন হলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, তাদের দলের একটি অংশ মনুকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। তাদের কারণে প্রভাবশালী এই আওয়ামী লীগ নেতা একটি মামলায়ও অভিযুক্ত হননি। এখন তিনি এলাকায় অবস্থান নিয়ে পূর্বের ন্যায় আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছেন এবং সামাজিক সংগঠনকে ব্যবহার করে প্রশাসনের কাছাকাছি থাকছেন। তবে এক্ষেত্রে কৌশল হিসেবে তিনি নিজের রাজনৈতিক পরিচয় আড়ালে রাখছেন বলেও শোনা গেছে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে মনু নতুন মোড়কে সরব হওয়ার বিষয়টি ভালো ভাবে গ্রহণ করতে পারছেন না জুলাই আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি, পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নানা কৌশল অবলম্বন করে এলাকায় বাসবাস করতে চাইছেন এবং আগের মতো প্রশাসনিক মহলে বিচরণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কিন্তু তাদের কোনো ধরনের সুযোগ না দেওয়া ঠিক হবে না বলে মন্তব্য পাওয়া যায়।

১৭ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসককে নিয়ে শুধু বৃক্ষরোপন করেননি। এরআগেও তিনি শহরের সড়কে ডাস্টবিন বসানোর নামে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজন করেন। সেই বিষয়টি আর বেশিদূর না গড়ালেও জেলা প্রশাসককে নিয়ে বৃক্ষরোপনের ঘটনাটি বেশ সমালোচিত হয়েছে, হচ্ছে।

স্বৈরাচারের দোষরকে আয়োজনে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কোনো মন্তব্য করেননি। তবে প্রশাসনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, শামসুল হক মনু যে একজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন, তা অনেকেরই অজানা ছিল। বিষয়টি সম্পর্কে খোদ জেলা প্রশাসকও অবগত ছিলেন না। তাছাড়া মনুও তার রাজনৈতিক পরিচয় গোপন করেছিলেন।

আগামীতে এই ধরনের ব্যক্তি-বিশেষ যেনো প্রশাসনের কাছে ভিড়তে না পারে সে জন্য সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন জুলাই আন্দোলনের স্বপেক্ষ শক্তি।’

ঝালকাঠিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৪৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ঝালকাঠিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

ঝালকাঠি জেল প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসক দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে অবাধে গবাদিপশু জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

একদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা ও জনসচেতনতার অভাবে চলছে পশু জবাইসহ মাংস ক্রয়-বিক্রয়। জবাই করা পশুর কোনো রোগ-বালাই রয়েছে কিনা এমন কোনো ধারণাও রাখেন না কেউ। এর ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। আইন প্রয়োগের দায়িত্ব প্রাণিসম্পদ ও প্রশাসনের হলেও তাদের নেই কোনো তৎপরতা। এতে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। জেলায় যেসব এলাকায় গরু, ছাগল ও ভেড়া জবাই করা হয়।

প্রতিটি গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্বে একজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। পশু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়ায় জনসাধারণের মাঝে বাড়ছে সংক্রামকজনিত রোগবালাই।

 সদর উপজেলার আবদুস সালাম , জাকির হোসেন নলছিটি উপজেলার এইচ এম সিজার বলেন, পশু অসুস্থ নাকি সুস্থ ছিল আমরা তাও জানি না। নিয়ম অনুযায়ী পশু জবাই করার আগে চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র এবং পশুর শরীরে সিল দেবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের তদারকি না থাকায় লোকজন মারা যাওয়া পশুর মাংস, নাকি রোগাক্রান্ত গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়ার মাংস খাচ্ছে, তা বোঝার কোনো উপায় নেই।

গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ছাড়পত্র আছে কি নেই, এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাংস ব্যবসায়ী বলেন, ৫ আগস্টের আগে নিয়মিত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হতো এখন আর তা করা হয়না বা প্রশাসনের কেউ থাকেন না।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নীরোদ বরণ জয়ধর বলেন,আমি নতুন যোগদান করেছি। কেনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছেনা বিষয়টি জেনে বলতে পারবো।

ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা.হুমায়ুন কবির বলেন,স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক জায়গায় খোলা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এরপর থেকে যাতে তদারকি করে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, বিষয়টি জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হবে।

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নলছিটিতে বিএনপির উঠান বৈঠক

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৪২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নলছিটিতে বিএনপির উঠান বৈঠক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত ও সংস্কারের ৩১ দফায় নারীদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে ঝালকাঠির নলছিটিতে অভিহিতকরণ সভা ও উঠান বৈঠক করেছে বিএনপি।

‎শনিবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের চর কয়া এলাকায় এ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মো. শাহাদাত হোসেন।

ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. নান্টু মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন নলছিটি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম গাজী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) অ্যাড. মো. মিজানুর রহমান মুবিন।

উঠান বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন, ঝালকাঠি সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আনিসুজ্জামান চপল, ঝালকাঠি পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আ. রাজ্জাক রনি, নলছিটি উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলফিকার আলি বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুম শরিফ, সরদার মো. মহিউদ্দিন মঈন, দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম রিমন আকনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

‎প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাড. মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফায় মা-বোন, কৃষক-শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

এই ৩১ দফার ভিত্তিতে দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীর রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। এতে করে দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং দেশ গঠনে তাদের কার্যকর ভূমিকা থাকবে। উঠান বৈঠক শেষে  অ্যাড. শাহাদাত হোসেন ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করেন।

ঝালকাঠিতে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ঝালকাঠিতে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ঝালকাঠি সদর উপজেলার ৮নং ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছোবাহান আকন (৬৭) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সদর থানা পুলিশের অভিযানে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, ছোবাহান আকন বিএনপির সাবেক নেত্রী মুক্তার বুরুণ হত্যা মামলার আসামি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। শুক্রবার রাত বারোটার দিকে তাঁর বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছোবাহান আকনের বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। অস্ত্র মহড়া,হামলা, চাঁদাবাজি, জমি দখলের ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানিসহ নানা কর্মকাণ্ডে তাঁর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ স্থানীয়দের মধ্যে রয়েছে।

এছাড়া তাঁর ছেলেরা জাল টাকা ও মাদক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের কাছে একাধিক মামলা রয়েছে। ঢাকা বাড্ডা থানার জাল টাকা মামলা নং ৩৯ (তারিখ: ২৯.১০.২০১৮)-এ আসামি হিসেবে নুহু আকন ও শাহিন আকনের নাম রয়েছে। একইভাবে বিশেষ জজ আদালতে মাদক মামলা নং ১৮৮/১০-এ তাঁর ছেলে শিফাত আকনের নাম আছে।

ছোবাহান আকনের পরিবারের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক ও জাল টাকা সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন। এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “গ্রেপ্তার ছোবাহান আকনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.