১৬ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:০৭
কেন্দ্রীয় নেতা সরফুদ্দিন সান্টুর বেশ কয়েকটি বেফাঁস মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী এই নেতা একটি বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কর্মী-সমর্থকদের চাঁদাবাজির অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি নিজে স্বীকার করেন। তার এই বেফাঁস মন্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তোলপাড়, যা নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য সান্টুর ওপর সংক্ষুব্ধ হয়েছেন বরিশাল জেলার শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এবং দলের দায়িত্বশীল নেতার এমন আচরণে বিব্রত বিএনপির হাইকমান্ড। এই তথ্য বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এবং ঢাকার একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র রূপালী বাংলাদেশকে নিশ্চিত করে।
স্থানীয় বিএনপির একটি অংশের অভিযোগ, উজিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরফুদ্দিন সান্টু বিগত সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে কখনও মাঠে ছিলেন না। তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য করে বিদেশে নিরাপদে থেকেছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং নিজের সংসদীয় এলাকা উজিরপুর-বানারীপাড়ায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন।
এই নেতার অনুগত কর্মী-সমর্থকেরা আওয়ামী লীগের অনপুস্থিতিতে গত এক বছরে বিভিন্ন দখলসন্ত্রাসসহ নানামুখী অপরাধে জড়িয়ে আলোচনায় আছেন। নেতাকর্মীদের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে নেপথ্য শক্তি হিসেবে এতদিন সরফুদ্দিন সান্টু নিজেই কাজ করেছেন, যা তিনি স্বীকারও করেছেন। বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির সদস্য সান্টুর বক্তব্যের একটি ভিডিও বেশকদিন ধরে সমাজপাতায় ঘুরছে, যেখানে তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘গত এক বছর বিএনপি নেতাকর্মীরা যে চাঁদাবাজি করেছে, সেটা তিনি তাদের করতে দিয়েছেন।
ত্রয়োদশ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির নেতার এমন বেফাঁস মন্তব্যে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বইছে। এবং এই বিষয়টিকে তার প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ আবার সার্বক্ষণিক আলোচনায় রাখছেন। বিশেষ করে ইস্যুটি নিয়ে একই আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু এবং ছাত্রদলের সাবেক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের অনুগত অনুসারীরা সান্টুকে বিতর্কিত করতে নানা কৌশল চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ১ মিনিট ২২ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ছাড়াও সরফুদ্দিন সান্টু আরও বেশ কিছু বিতর্কিত কর্মকান্ড করে নিজেকে আলোচনায় রাখেন। গত ১৯ জুলাই উজিরপুর ও ২০ জুলাই বানারীপাড়া উপজেলা এবং পৌর বিএনপির সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে ‘বেগম খালেদা জিয়ার হাতে ১০ লাখ টাকা’ দিয়ে বিএনপির রাজনীতি করার কথা বলেছেন। এছাড়া ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলালের মনোনয়ন এনে দিয়ে ভোটে জেতানোর কথা বলেছেন সান্টু। তার এই দুটি বেফাঁস মন্তব্যের পরে এবার আলোচনায় এসেছে কর্মী-সমর্থকদের দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করানোর বিষয়টি, যা খোদ বিএনপি নেতা নিজের মুখেই স্বীকার করে রীতিমত আলোচনার খোরাক হয়েছেন।
উপজেলা বিএনপির একটি সূত্র নিশ্চিত করে কর্মী-সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার সুযোগ দেওয়া সংক্রান্ত যে ভিডিওটি দুদিন পূর্বে ভাইরাল হয়, তা চলতি বছরের জুলাই মাসে বানারীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের। নতুন কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি কর্মীদের উদ্দেশ করে এমন বেসামাল কথা বলেন। ধারনা করা হচ্ছে, তার বক্তব্যের ভিডিওটি দলীয় ঘরনার রাজনৈতিক কারও কাছে সংরক্ষিত ছিল, তিনি সময় বুঝে প্রকাশ করেছেন।
এই ভিডিও ক্লিপে সান্টুকে বলতে শোনা যায়, ‘গত এক বছর বিএনপি নেতা-কর্মীরা যে চাঁদাবাজি করেছে, সেটা তিনি তাদের করতে দিয়েছেন। এবং কেন দিয়েছেন তার যুক্তিও খন্ডন করে তিনি বলেন, গত ১৭ বছর নেতাকর্মীরা কিছু খায় নায়। অবস্থা কিন্তু ভালো না, আমি থাকি আর না থাকি, আপনারা এক থাকেন। বিএনপি ক্ষমতায় না এলে কিন্তু কিছু পাবেন না। এবং নেতাকর্মীদের পকেটে যদি পয়সা না থাকে, তাহলে সমস্যা হলে আমার কাছে আসেন, ইত্যাদি...।
উপজেলাপর্যায়ের শীর্ষ নেতার এই ধরনের বেফাঁস মন্তব্য স্থানীয় নেতাকর্মীদের হাতাশ এবং সংক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম মাহমুদ মাহবুব। তিনি বলেন, উজিরপুরের গুঠিয়ায় সান্টুর মালিকানাধীন বাইতুল ভিউ কনভেনশন হলে আয়োজিত একটি বৈঠকে তিনি বেফাঁস মন্তব্যটি করেছেন। তবে বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মৃধা ওই ভিডিও বক্তব্যকে কাটপিস বলে দাবি করেছেন। এবং তিনি রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ভিডিওটি দেখে মনে হয়েছে এটি কাটপিস করে তৈরি করা হয়েছে। তবে ভিডিওটি যে সুপার এডিট করা নয়, তা বিভিন্ন মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সান্টুর এমন বেফাঁস মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু। এই নেতা সাংবাদিকদের বলছেন, দায়িত্বশীল নেতা হয়ে সান্টু দলের ক্ষতি করছেন। তার এই ধরনের বক্তব্যে দলীয় হাইকমান্ড পুরোপুরি বিব্রত এবং তৃণমূল বিএনপিকে তিনি সন্ত্রাসী বানিয়ে ফেলেছেন।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, সান্টু শুধু বেফাঁস মন্তব্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি, তিনি এর আগে বরিশাল অঞ্চলের প্রবীণ বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ারকে নিয়েও ‘খিস্তিখেউর’ করেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সদর আসনের তিনবারের এমপি সরোয়ারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সান্টু বলেছিলেন, ‘সেই দিন ভুলে যান, আমারে আঙুল দিয়েন না। আমি কিন্তু বরিশালে একবার ভোট করেছি, আবারও করে দেখাব। নেতা সরোয়ারকে নিয়ে তার এমন বিষাদগারমূলক এমন বক্তব্য ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি করে। এনিয়ে সরোয়ার অনুসারী নেতাকর্মীদের ক্ষোভে ফুসে উঠলেও রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে পরিশেষে চেপে যেতে দেখা যায়।
প্রতাপশালী বিএনপি নেতা সরফুদ্দিন সান্টুর ধারাবাহিক বেফাঁস মন্তব্য পর্যায়ক্রমে প্রকাশ্যে আসা এবং সেগুলো সমাজপাতায় ভাইরাল হওয়া নিয়ে তার কর্মী-অনুসারীরা বেশ টেনশনে রয়েছেন। প্রাসঙ্গিক এই বিষয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশী সান্টুর বক্তব্য না পাওয়া গেলেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার অনুগত একাধিক কর্মী সাংবাদিকদের জানান, বয়সের ভারে নুহ্য নেতা বক্তব্য রাখতে গিয়ে খানিকটা তালগোল পাকিয়ে ফেলছেন। পরবর্তীতে সেগুলো দলীয় ঘরনার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক, বিশেষ করে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা ভাইরাল করে তাকে বিতর্কিত করতে তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছেন।
সান্টুর এই ধারাবাহিক বেফাঁস মন্তব্য যে সামগ্রিকভাবে দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তা বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহীনও স্বীকার করেছেন। এবং তিনি বুধবার সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি নিয়ে তার সাথে আলোচনা হয়েছে, সান্টু এর বিভিন্ন ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন। তাছাড়া তিনি নির্বাহী কমিটির সদস্য, বিষয়টি নিয়ে তার সাথে হাইকমান্ডও কথা বলেছেন।’
কেন্দ্রীয় নেতা সরফুদ্দিন সান্টুর বেশ কয়েকটি বেফাঁস মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী এই নেতা একটি বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কর্মী-সমর্থকদের চাঁদাবাজির অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি নিজে স্বীকার করেন। তার এই বেফাঁস মন্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তোলপাড়, যা নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য সান্টুর ওপর সংক্ষুব্ধ হয়েছেন বরিশাল জেলার শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এবং দলের দায়িত্বশীল নেতার এমন আচরণে বিব্রত বিএনপির হাইকমান্ড। এই তথ্য বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এবং ঢাকার একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র রূপালী বাংলাদেশকে নিশ্চিত করে।
স্থানীয় বিএনপির একটি অংশের অভিযোগ, উজিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরফুদ্দিন সান্টু বিগত সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে কখনও মাঠে ছিলেন না। তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য করে বিদেশে নিরাপদে থেকেছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং নিজের সংসদীয় এলাকা উজিরপুর-বানারীপাড়ায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন।
এই নেতার অনুগত কর্মী-সমর্থকেরা আওয়ামী লীগের অনপুস্থিতিতে গত এক বছরে বিভিন্ন দখলসন্ত্রাসসহ নানামুখী অপরাধে জড়িয়ে আলোচনায় আছেন। নেতাকর্মীদের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে নেপথ্য শক্তি হিসেবে এতদিন সরফুদ্দিন সান্টু নিজেই কাজ করেছেন, যা তিনি স্বীকারও করেছেন। বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির সদস্য সান্টুর বক্তব্যের একটি ভিডিও বেশকদিন ধরে সমাজপাতায় ঘুরছে, যেখানে তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘গত এক বছর বিএনপি নেতাকর্মীরা যে চাঁদাবাজি করেছে, সেটা তিনি তাদের করতে দিয়েছেন।
ত্রয়োদশ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির নেতার এমন বেফাঁস মন্তব্যে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বইছে। এবং এই বিষয়টিকে তার প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ আবার সার্বক্ষণিক আলোচনায় রাখছেন। বিশেষ করে ইস্যুটি নিয়ে একই আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু এবং ছাত্রদলের সাবেক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের অনুগত অনুসারীরা সান্টুকে বিতর্কিত করতে নানা কৌশল চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ১ মিনিট ২২ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ছাড়াও সরফুদ্দিন সান্টু আরও বেশ কিছু বিতর্কিত কর্মকান্ড করে নিজেকে আলোচনায় রাখেন। গত ১৯ জুলাই উজিরপুর ও ২০ জুলাই বানারীপাড়া উপজেলা এবং পৌর বিএনপির সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে ‘বেগম খালেদা জিয়ার হাতে ১০ লাখ টাকা’ দিয়ে বিএনপির রাজনীতি করার কথা বলেছেন। এছাড়া ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলালের মনোনয়ন এনে দিয়ে ভোটে জেতানোর কথা বলেছেন সান্টু। তার এই দুটি বেফাঁস মন্তব্যের পরে এবার আলোচনায় এসেছে কর্মী-সমর্থকদের দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করানোর বিষয়টি, যা খোদ বিএনপি নেতা নিজের মুখেই স্বীকার করে রীতিমত আলোচনার খোরাক হয়েছেন।
উপজেলা বিএনপির একটি সূত্র নিশ্চিত করে কর্মী-সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার সুযোগ দেওয়া সংক্রান্ত যে ভিডিওটি দুদিন পূর্বে ভাইরাল হয়, তা চলতি বছরের জুলাই মাসে বানারীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের। নতুন কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি কর্মীদের উদ্দেশ করে এমন বেসামাল কথা বলেন। ধারনা করা হচ্ছে, তার বক্তব্যের ভিডিওটি দলীয় ঘরনার রাজনৈতিক কারও কাছে সংরক্ষিত ছিল, তিনি সময় বুঝে প্রকাশ করেছেন।
এই ভিডিও ক্লিপে সান্টুকে বলতে শোনা যায়, ‘গত এক বছর বিএনপি নেতা-কর্মীরা যে চাঁদাবাজি করেছে, সেটা তিনি তাদের করতে দিয়েছেন। এবং কেন দিয়েছেন তার যুক্তিও খন্ডন করে তিনি বলেন, গত ১৭ বছর নেতাকর্মীরা কিছু খায় নায়। অবস্থা কিন্তু ভালো না, আমি থাকি আর না থাকি, আপনারা এক থাকেন। বিএনপি ক্ষমতায় না এলে কিন্তু কিছু পাবেন না। এবং নেতাকর্মীদের পকেটে যদি পয়সা না থাকে, তাহলে সমস্যা হলে আমার কাছে আসেন, ইত্যাদি...।
উপজেলাপর্যায়ের শীর্ষ নেতার এই ধরনের বেফাঁস মন্তব্য স্থানীয় নেতাকর্মীদের হাতাশ এবং সংক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম মাহমুদ মাহবুব। তিনি বলেন, উজিরপুরের গুঠিয়ায় সান্টুর মালিকানাধীন বাইতুল ভিউ কনভেনশন হলে আয়োজিত একটি বৈঠকে তিনি বেফাঁস মন্তব্যটি করেছেন। তবে বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মৃধা ওই ভিডিও বক্তব্যকে কাটপিস বলে দাবি করেছেন। এবং তিনি রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ভিডিওটি দেখে মনে হয়েছে এটি কাটপিস করে তৈরি করা হয়েছে। তবে ভিডিওটি যে সুপার এডিট করা নয়, তা বিভিন্ন মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সান্টুর এমন বেফাঁস মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু। এই নেতা সাংবাদিকদের বলছেন, দায়িত্বশীল নেতা হয়ে সান্টু দলের ক্ষতি করছেন। তার এই ধরনের বক্তব্যে দলীয় হাইকমান্ড পুরোপুরি বিব্রত এবং তৃণমূল বিএনপিকে তিনি সন্ত্রাসী বানিয়ে ফেলেছেন।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, সান্টু শুধু বেফাঁস মন্তব্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি, তিনি এর আগে বরিশাল অঞ্চলের প্রবীণ বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ারকে নিয়েও ‘খিস্তিখেউর’ করেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সদর আসনের তিনবারের এমপি সরোয়ারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সান্টু বলেছিলেন, ‘সেই দিন ভুলে যান, আমারে আঙুল দিয়েন না। আমি কিন্তু বরিশালে একবার ভোট করেছি, আবারও করে দেখাব। নেতা সরোয়ারকে নিয়ে তার এমন বিষাদগারমূলক এমন বক্তব্য ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি করে। এনিয়ে সরোয়ার অনুসারী নেতাকর্মীদের ক্ষোভে ফুসে উঠলেও রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে পরিশেষে চেপে যেতে দেখা যায়।
প্রতাপশালী বিএনপি নেতা সরফুদ্দিন সান্টুর ধারাবাহিক বেফাঁস মন্তব্য পর্যায়ক্রমে প্রকাশ্যে আসা এবং সেগুলো সমাজপাতায় ভাইরাল হওয়া নিয়ে তার কর্মী-অনুসারীরা বেশ টেনশনে রয়েছেন। প্রাসঙ্গিক এই বিষয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশী সান্টুর বক্তব্য না পাওয়া গেলেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার অনুগত একাধিক কর্মী সাংবাদিকদের জানান, বয়সের ভারে নুহ্য নেতা বক্তব্য রাখতে গিয়ে খানিকটা তালগোল পাকিয়ে ফেলছেন। পরবর্তীতে সেগুলো দলীয় ঘরনার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক, বিশেষ করে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা ভাইরাল করে তাকে বিতর্কিত করতে তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছেন।
সান্টুর এই ধারাবাহিক বেফাঁস মন্তব্য যে সামগ্রিকভাবে দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তা বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহীনও স্বীকার করেছেন। এবং তিনি বুধবার সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি নিয়ে তার সাথে আলোচনা হয়েছে, সান্টু এর বিভিন্ন ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন। তাছাড়া তিনি নির্বাহী কমিটির সদস্য, বিষয়টি নিয়ে তার সাথে হাইকমান্ডও কথা বলেছেন।’
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:২২
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:২৯
বরিশালের উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ইকবালকে গ্রেপ্তার করেছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এ খবরটি উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে জানানো হয় বলে সাংবাদিকদের জানান (ওসি) মো. আব্দুস সালাম। ওসি আরও জানান, তবে তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে দিনাজপুর আদালতে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) হাজির করা হবে।
ওসি বলেন, তাকে আটকের পর দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানায় রাখা হয়েছিল। উজিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা রয়েছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ কর্মীদের জানান, এই মুহূর্তে জানানো সম্ভব হচ্ছে না তবে মামলার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি জানাবেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, সাবেক উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী বিরামপুর কাটলা এলাকায় অবৈধ পথে ভারত যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বরিশালের উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ইকবালকে গ্রেপ্তার করেছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এ খবরটি উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে জানানো হয় বলে সাংবাদিকদের জানান (ওসি) মো. আব্দুস সালাম। ওসি আরও জানান, তবে তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে দিনাজপুর আদালতে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) হাজির করা হবে।
ওসি বলেন, তাকে আটকের পর দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানায় রাখা হয়েছিল। উজিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা রয়েছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ কর্মীদের জানান, এই মুহূর্তে জানানো সম্ভব হচ্ছে না তবে মামলার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি জানাবেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, সাবেক উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী বিরামপুর কাটলা এলাকায় অবৈধ পথে ভারত যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:৪৬
বরিশালের বাকেরগঞ্জে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার দ্বন্দ্বের জেরে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বোয়ালিয়া এলাকায় গতকাল, ১৫ অক্টোবর( বুধবার) রাত ৯:৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। হামলার পেছনে বোয়ালিয়া গ্রামের স্থানীয় বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রুবেলের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
আহত রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের সাবেক স্বেচ্ছাসেব দলের আহ্বায়ক তুহিন আকন জানান, সাম্প্রতিক দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধের জের ধরে ছাত্রদল নেতা রুবেল তার আপন ছোট ভাই রনি খান ও রুবেলের অনুসারীদের দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।
রাতে বোয়ালিয়া বাজারে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল গতিরোধ করে হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতে তার উপর চড়াও হয়ে মাথা ও হাতে আঘাত করে। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
আহত তুহিন আকন আরো জানান, গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে রুবেল ও তার ভাই রনি এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করার জন্য একাধিক ব্যক্তির উপর হামলা চালিয়েছে।
রনি এলাকায় তার ভাই ছাত্রদল নেতা রুবেলের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বোয়ালিয়া এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এলাকায় মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে রনি খান। তাদের ভয়ে এলাকা সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রুবেল ও তার ভাই রনির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে এই হামলার ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দলীয় অভ্যন্তরীণ বিরোধ থেকে এমন ঘটনাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন উপজেলার সিনিয়র বিএনপি নেতারা।
আহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার পিতা দেলোয়ার হোসেন জানান, আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়েছে রনি ও তার বড় ভাই বরিশাল জেলা ছাত্রদল নেতা রুবেলের অনুসারীরা।
এই ঘটনায় আজকে আমি বাকেরগঞ্জ থানায় ৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছি। যাহার মামলা নম্বর ২০/৩৮৬। তিনি আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায়।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আবুল কালাম আজাদ জানান, বোয়ালিয়া স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার উপর হামলা ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বরিশালের বাকেরগঞ্জে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার দ্বন্দ্বের জেরে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বোয়ালিয়া এলাকায় গতকাল, ১৫ অক্টোবর( বুধবার) রাত ৯:৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। হামলার পেছনে বোয়ালিয়া গ্রামের স্থানীয় বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রুবেলের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
আহত রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের সাবেক স্বেচ্ছাসেব দলের আহ্বায়ক তুহিন আকন জানান, সাম্প্রতিক দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধের জের ধরে ছাত্রদল নেতা রুবেল তার আপন ছোট ভাই রনি খান ও রুবেলের অনুসারীদের দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।
রাতে বোয়ালিয়া বাজারে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল গতিরোধ করে হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতে তার উপর চড়াও হয়ে মাথা ও হাতে আঘাত করে। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
আহত তুহিন আকন আরো জানান, গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে রুবেল ও তার ভাই রনি এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করার জন্য একাধিক ব্যক্তির উপর হামলা চালিয়েছে।
রনি এলাকায় তার ভাই ছাত্রদল নেতা রুবেলের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বোয়ালিয়া এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এলাকায় মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে রনি খান। তাদের ভয়ে এলাকা সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রুবেল ও তার ভাই রনির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে এই হামলার ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দলীয় অভ্যন্তরীণ বিরোধ থেকে এমন ঘটনাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন উপজেলার সিনিয়র বিএনপি নেতারা।
আহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার পিতা দেলোয়ার হোসেন জানান, আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়েছে রনি ও তার বড় ভাই বরিশাল জেলা ছাত্রদল নেতা রুবেলের অনুসারীরা।
এই ঘটনায় আজকে আমি বাকেরগঞ্জ থানায় ৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছি। যাহার মামলা নম্বর ২০/৩৮৬। তিনি আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায়।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আবুল কালাম আজাদ জানান, বোয়ালিয়া স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার উপর হামলা ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.