
০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ০২:১৪
নির্বাচনী ফলাফল ঘরে তুলতে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণা
ত্রয়োদশ নির্বাচনে বরিশালের ৬ টি আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতাদের মধ্যেকার বিভাজনের রেখা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। এবং তাদের কর্মী-সমর্থকেরাও কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এই বিভাজন শেষ পর্যন্ত এত প্রকট হয় যে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। উপায়ান্ত না পেয়ে বরিশাল বিএনপির এই বিভক্তি নিয়ে দলটির হাইকমান্ড সপ্তাহখানেক পূর্বে শালিস করে এবং সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দেয়। এমন লেজেগোবরে অবস্থার মধ্যে সোমবার বরিশালের ৫টি আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা বিএনপি। ধারণা করা হচ্ছিল, একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী বঞ্চিত হয়ে বেসামাল হয়ে পড়বেন এবং নির্বাচনের আগে বরিশাল বিএনপিতে অসন্তোস আরও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে, মনোনয়ন বঞ্চিত বিএনপি নেতারা হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের বিরোধীতাতো দূরের কথা, নির্বাচন ইস্যুতে কিঞ্চিত শব্দও করেননি। বরং দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী ফলাফল কিভাবে ঘরে তোলা যায় সেই লক্ষে তোড়জোড় চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত সোমবার রাতে বরিশাল ৩ আসন উহ্য রেখে বাকি ৫টিতে প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। ঘোষণা অনুযায়ী বরিশাল-১ জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল-২ সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, বরিশাল-৪ মো. রাজিব আহসান, বরিশাল-৫ মো. মজিবর রহমান সরোয়ার এবং বরিশাল-৬ আবুল হোসেন খান ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
স্থানীয় বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, বরিশাল জেলার ৬টি আসন থেকেই একাধিক বিএনপি নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এবং স্থানীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে। এনিয়ে কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারাও বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
উদাহরণস্বরূপ বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) এবং বরিশাল-৫ (বরিশাল মহানগর ও সদর) আসনকে চিহ্নিত করা যায়। বরিশাল-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন অন্তত ৫ জন। তাদের মধ্যে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার পেয়েছেন সরদার সরফুদ্দিন সান্টু। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সান্টুর ওপর থেকে হাইকমান্ডের নজর সরাতে মনোনয়ন বঞ্চিতদের কেউ কেউ কৌশল নিয়েছিলেন।
কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বরিশাল-২ আসনে সেই সান্টুকে মনোনয়ন দেওয়ার চূড়ান্ত ঘোষণা দেন। এরপরেই পাল্টে যায় উজিরপুর-বানারীপাড়া বিএনপির রাজনীতির মেরুকরণ। মনোনয়ন বঞ্চিতদের পাশাপাশি তাদের কর্মী-সমর্থকেরাও এই আসনে সান্টুর ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার জোরালো ঘোষণা দিয়েছেন।
বরিশাল ৫ সদর আসনে পাঁচবারের এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার ধানের শীষে নির্বাচন করার অধিকার পেয়েছেন। মর্যাদার আসন হিসেবে বিবেচিত এখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ প্রভাবশালী অন্তত হাফডজন নেতা মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন প্রাপ্তি নিয়ে নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যেকার কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি করতে গিয়ে বিএনপির হাইকমান্ডের শোকজ খেয়েছিলেন।
বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এতটাই ধারণ করেছিল যে বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন পিতৃতুল্য মজিবর রহমান সরোয়ারকে নিয়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে একাধিকবার নেতিবাচক মন্তব্য করেন। এনিয়ে বরিশাল বিএনপির রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ উর্ধ্বমুখী হতে থাকলে বিষয়টি হাইকমান্ডের নজরে আসে। এবং একদিনের নোটিসে তাদের সকলকে রাজধানী ঢাকার গুলশান কার্যালয়ে ডেকে নিতে বাধ্য হন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় বরিশালের একটি আসন বাদে বাকি ৫টিতে প্রার্থীতা ঘোষণা দেওয়ার পরে সকলেই সেই পূর্ব বিরোধ ভুলে গেছেন। এবং আসন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে কি ভাবে বিজয়ী করে তাদের নেতা তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালি করা যায় সে পথে হাঁটতে শুরু করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে প্রার্থিতা ঘোষণার পরে বরিশাল মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এবং বরিশালের ৫টি আসনে যাদেরকে মনোনীত করা হয়েছে, তাদের সাথে স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব যোগাযোগও বাড়িয়েছেন।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার জানান, তার আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিনও বরিশাল ৫ সদর আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু হাইকমান্ড মজিবর রহমান সরোয়ারকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, এই সিদ্ধান্ত সকলে মেনে নিয়েছেন। এবং নির্বাচনী ফলাফল ঘরে তুলতে শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আবু নাসের রহমত উল্লাহও অনুরূপ অভিব্যক্তি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তাদের নেতা বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং ধানের শীষ প্রশ্নে নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ।
বরিশাল (দক্ষিণ) জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহীন জানান, তিনিও বরিশাল ৫ সদর আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু দল তাকে বঞ্চিত করেছে। এনিয়ে তার কোনো রাগ বা অনুরাগ নেই। হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন এবং নেতাকর্মীদের ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভাজিত বরিশাল বিএনপি যে ঐক্যবদ্ধ এবং কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিবাচক আলোচনা শোনা যাচ্ছে। স্থানীয় নেতাদের এমন আচরণে বিএনপির হাইকমান্ডও খুশি বলে মন্তব্য পাওয়া গেছে।
তবে পূর্বের এই বিভাজন নিয়ে কোনোরূপ মন্তব্য করতে চাইছেন না বরিশাল সদর আসনের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। বর্ষীয়াণ এই রাজনৈতিক জানান, নেতা তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত সকলে মেনে নিয়েছেন। এবং মনোনয়ন বঞ্চিতরাও সোমবার সন্ধ্যার পরে তার সাথে বিভিন্ন মাধ্যম যোগাযোগ করেছেন। নির্বাচনে ধানের শীষকে কি ভাবে বিজয়ী করা যায়, সকলে সেই লক্ষে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে আছেন।’
নির্বাচনী ফলাফল ঘরে তুলতে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণা
ত্রয়োদশ নির্বাচনে বরিশালের ৬ টি আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতাদের মধ্যেকার বিভাজনের রেখা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। এবং তাদের কর্মী-সমর্থকেরাও কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এই বিভাজন শেষ পর্যন্ত এত প্রকট হয় যে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। উপায়ান্ত না পেয়ে বরিশাল বিএনপির এই বিভক্তি নিয়ে দলটির হাইকমান্ড সপ্তাহখানেক পূর্বে শালিস করে এবং সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দেয়। এমন লেজেগোবরে অবস্থার মধ্যে সোমবার বরিশালের ৫টি আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা বিএনপি। ধারণা করা হচ্ছিল, একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী বঞ্চিত হয়ে বেসামাল হয়ে পড়বেন এবং নির্বাচনের আগে বরিশাল বিএনপিতে অসন্তোস আরও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে, মনোনয়ন বঞ্চিত বিএনপি নেতারা হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের বিরোধীতাতো দূরের কথা, নির্বাচন ইস্যুতে কিঞ্চিত শব্দও করেননি। বরং দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী ফলাফল কিভাবে ঘরে তোলা যায় সেই লক্ষে তোড়জোড় চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত সোমবার রাতে বরিশাল ৩ আসন উহ্য রেখে বাকি ৫টিতে প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। ঘোষণা অনুযায়ী বরিশাল-১ জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল-২ সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, বরিশাল-৪ মো. রাজিব আহসান, বরিশাল-৫ মো. মজিবর রহমান সরোয়ার এবং বরিশাল-৬ আবুল হোসেন খান ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
স্থানীয় বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, বরিশাল জেলার ৬টি আসন থেকেই একাধিক বিএনপি নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এবং স্থানীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে। এনিয়ে কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারাও বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
উদাহরণস্বরূপ বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) এবং বরিশাল-৫ (বরিশাল মহানগর ও সদর) আসনকে চিহ্নিত করা যায়। বরিশাল-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন অন্তত ৫ জন। তাদের মধ্যে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার পেয়েছেন সরদার সরফুদ্দিন সান্টু। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সান্টুর ওপর থেকে হাইকমান্ডের নজর সরাতে মনোনয়ন বঞ্চিতদের কেউ কেউ কৌশল নিয়েছিলেন।
কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বরিশাল-২ আসনে সেই সান্টুকে মনোনয়ন দেওয়ার চূড়ান্ত ঘোষণা দেন। এরপরেই পাল্টে যায় উজিরপুর-বানারীপাড়া বিএনপির রাজনীতির মেরুকরণ। মনোনয়ন বঞ্চিতদের পাশাপাশি তাদের কর্মী-সমর্থকেরাও এই আসনে সান্টুর ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার জোরালো ঘোষণা দিয়েছেন।
বরিশাল ৫ সদর আসনে পাঁচবারের এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার ধানের শীষে নির্বাচন করার অধিকার পেয়েছেন। মর্যাদার আসন হিসেবে বিবেচিত এখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ প্রভাবশালী অন্তত হাফডজন নেতা মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন প্রাপ্তি নিয়ে নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যেকার কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি করতে গিয়ে বিএনপির হাইকমান্ডের শোকজ খেয়েছিলেন।
বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এতটাই ধারণ করেছিল যে বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন পিতৃতুল্য মজিবর রহমান সরোয়ারকে নিয়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে একাধিকবার নেতিবাচক মন্তব্য করেন। এনিয়ে বরিশাল বিএনপির রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ উর্ধ্বমুখী হতে থাকলে বিষয়টি হাইকমান্ডের নজরে আসে। এবং একদিনের নোটিসে তাদের সকলকে রাজধানী ঢাকার গুলশান কার্যালয়ে ডেকে নিতে বাধ্য হন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় বরিশালের একটি আসন বাদে বাকি ৫টিতে প্রার্থীতা ঘোষণা দেওয়ার পরে সকলেই সেই পূর্ব বিরোধ ভুলে গেছেন। এবং আসন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে কি ভাবে বিজয়ী করে তাদের নেতা তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালি করা যায় সে পথে হাঁটতে শুরু করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে প্রার্থিতা ঘোষণার পরে বরিশাল মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এবং বরিশালের ৫টি আসনে যাদেরকে মনোনীত করা হয়েছে, তাদের সাথে স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব যোগাযোগও বাড়িয়েছেন।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার জানান, তার আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিনও বরিশাল ৫ সদর আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু হাইকমান্ড মজিবর রহমান সরোয়ারকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, এই সিদ্ধান্ত সকলে মেনে নিয়েছেন। এবং নির্বাচনী ফলাফল ঘরে তুলতে শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আবু নাসের রহমত উল্লাহও অনুরূপ অভিব্যক্তি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তাদের নেতা বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং ধানের শীষ প্রশ্নে নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ।
বরিশাল (দক্ষিণ) জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহীন জানান, তিনিও বরিশাল ৫ সদর আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু দল তাকে বঞ্চিত করেছে। এনিয়ে তার কোনো রাগ বা অনুরাগ নেই। হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন এবং নেতাকর্মীদের ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভাজিত বরিশাল বিএনপি যে ঐক্যবদ্ধ এবং কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিবাচক আলোচনা শোনা যাচ্ছে। স্থানীয় নেতাদের এমন আচরণে বিএনপির হাইকমান্ডও খুশি বলে মন্তব্য পাওয়া গেছে।
তবে পূর্বের এই বিভাজন নিয়ে কোনোরূপ মন্তব্য করতে চাইছেন না বরিশাল সদর আসনের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। বর্ষীয়াণ এই রাজনৈতিক জানান, নেতা তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত সকলে মেনে নিয়েছেন। এবং মনোনয়ন বঞ্চিতরাও সোমবার সন্ধ্যার পরে তার সাথে বিভিন্ন মাধ্যম যোগাযোগ করেছেন। নির্বাচনে ধানের শীষকে কি ভাবে বিজয়ী করা যায়, সকলে সেই লক্ষে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে আছেন।’

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১৫
দীর্ঘ ১৮ বছর প্রবাস জীবন শেষে দেশের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার আগমনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন অধ্যায় তৈরী হবে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। একই সাথে আগামীতে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার যে সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে এর প্রথম ধাপের সূচনা হবে ২৫শে ডিসেম্বর। এদিন তাকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। সারাদেশ থেকে এদিন লাখ লাখ মানুষ অবস্থান করবেন ঢাকা শহরে। শুধু নেতাকর্মীরাই নয় সমর্থকরাও যাবেন একনজর তারেক রহমানকে দেখতে। বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা থেকে লাখো মানুষ ঢাকায় যাবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা আছেন তাদের পাশাপাশি যারা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের নেতৃত্বেও লোকসমাগম করা হবে বলে জানাগেছে। একাধিক বিএনপি নেতা জানান, তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে লঞ্চ-বাস সহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন অগ্রীম ভাড়া করা হয়েছে। এখন রীতিমত যানবাহনের সংকট দেখা দিয়েছে। যে সংখ্যক লোক টার্গেট তার অর্ধেকও হয়তো যেতে পারবেন না যানবাহন সংকটের কারণে। এজন্য অনেকই আগেভাগে ঢাকা অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বেশিরভাগ নেতাকর্মী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকায় অবস্থান করার টার্গেট নিয়েছেন। অনেকে আবার ২২ ডিসেম্বরই বরিশাল ছেড়ে রাজধানীতে অবস্থান করার কথা বলেছেন।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবীর বলেন, তারেক রহমান দেশে আসার সাথে সাথে নতুন অধ্যায় তৈরী হবে। পাশাপাশি দলের মধ্যে ফিরে আসবে শৃঙ্খলা। জাহিদ বলেন আমার নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ঢাকা যাবে। ইতিমধ্যে সেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
জেলা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহীন বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে ২৫ ডিসেম্বর। এতবছর দেশের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে, বিএনপির বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্র হয়েছে আমি মনে করি এর সবকিছুর অবসান হবে তারেক রহমানের দেশের মাটিতে পা রাখার মধ্য দিয়ে। তাকে বরণ করতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা শুধু জেলা দক্ষিণ বিএনপির পক্ষ থেকেই প্রায় ২০ হাজার লোকের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে আমরা মহানগরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এখানে শুধু দলীয় নেতাকর্মীরাই নয়, সমর্থকরাও ঢাকায় যেতে চাইছেন। তবে তার আগমনকে কেন্দ্র করে যানবাহনের সংকট দেখা দিয়েছে। এজন্য মহানগর বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ২/১দিন আগেই ঢাকায় অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ের প্রথম ধাপ রচিত হবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর। এদিন কোটি জনতা তারেক রহমানকে বরণ করবেন। বরিশাল থেকে হাজার হাজার মানুষ নিজ উদ্যোগেই দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেখতে যাবেন। পাশাপাশি আমরাও অর্গানাইজ করছি। রহমাতুল্লাহ বলেন, তারেক রহমান যাতে দেশে আসতে না পারে সেজন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। ওসমান হাদি কে হত্যা তারই অংশ বলে আমি মনে করি।
বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, দীর্ঘবছর পর তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। তার এই আগমনের দিন নতুন এক ইতিহাস রচিত হবে। এ দিন লাখ লাখ লোকের সমাগম হবে ঢাকা শহরে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আগমনে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সমর্থকরাও বেশ উজ্জীবিত।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সদর আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, তারেক রহমান যখন বাংলাদেশে আসতেছেন তখন পরিবেশটা বিএনপির পক্ষে। তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড। আপনারা জানেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন, তারেক রহমান প্রায় ১৮ বছর লন্ডনে। কিন্তু তিনি (তারেক রহমান) বিদেশে বসে থাকেননি। লন্ডনে বসেই সকল আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশে^র অনেক বড় বড় নেতা দেশের বাইরে থেকে সংগ্রাম করেছেন। তারেক রহমানও তাদের একজন। তিনি যেদিন আসবেন পুরো ঢাকার শহর ব্লক হয়ে যাবে। তার প্রতি ভালবাসা শুধু দলীয় নেতাকর্মীদের নয়, সারাদেশের মানুষের; সেটার বহি:প্রকাশ ঘটবে ২৫শে ডিসেম্বর।
দীর্ঘ ১৮ বছর প্রবাস জীবন শেষে দেশের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার আগমনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন অধ্যায় তৈরী হবে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। একই সাথে আগামীতে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার যে সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে এর প্রথম ধাপের সূচনা হবে ২৫শে ডিসেম্বর। এদিন তাকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। সারাদেশ থেকে এদিন লাখ লাখ মানুষ অবস্থান করবেন ঢাকা শহরে। শুধু নেতাকর্মীরাই নয় সমর্থকরাও যাবেন একনজর তারেক রহমানকে দেখতে। বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা থেকে লাখো মানুষ ঢাকায় যাবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা আছেন তাদের পাশাপাশি যারা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের নেতৃত্বেও লোকসমাগম করা হবে বলে জানাগেছে। একাধিক বিএনপি নেতা জানান, তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে লঞ্চ-বাস সহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন অগ্রীম ভাড়া করা হয়েছে। এখন রীতিমত যানবাহনের সংকট দেখা দিয়েছে। যে সংখ্যক লোক টার্গেট তার অর্ধেকও হয়তো যেতে পারবেন না যানবাহন সংকটের কারণে। এজন্য অনেকই আগেভাগে ঢাকা অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বেশিরভাগ নেতাকর্মী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকায় অবস্থান করার টার্গেট নিয়েছেন। অনেকে আবার ২২ ডিসেম্বরই বরিশাল ছেড়ে রাজধানীতে অবস্থান করার কথা বলেছেন।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবীর বলেন, তারেক রহমান দেশে আসার সাথে সাথে নতুন অধ্যায় তৈরী হবে। পাশাপাশি দলের মধ্যে ফিরে আসবে শৃঙ্খলা। জাহিদ বলেন আমার নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ঢাকা যাবে। ইতিমধ্যে সেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
জেলা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহীন বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে ২৫ ডিসেম্বর। এতবছর দেশের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে, বিএনপির বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্র হয়েছে আমি মনে করি এর সবকিছুর অবসান হবে তারেক রহমানের দেশের মাটিতে পা রাখার মধ্য দিয়ে। তাকে বরণ করতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা শুধু জেলা দক্ষিণ বিএনপির পক্ষ থেকেই প্রায় ২০ হাজার লোকের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে আমরা মহানগরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এখানে শুধু দলীয় নেতাকর্মীরাই নয়, সমর্থকরাও ঢাকায় যেতে চাইছেন। তবে তার আগমনকে কেন্দ্র করে যানবাহনের সংকট দেখা দিয়েছে। এজন্য মহানগর বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ২/১দিন আগেই ঢাকায় অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ের প্রথম ধাপ রচিত হবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর। এদিন কোটি জনতা তারেক রহমানকে বরণ করবেন। বরিশাল থেকে হাজার হাজার মানুষ নিজ উদ্যোগেই দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেখতে যাবেন। পাশাপাশি আমরাও অর্গানাইজ করছি। রহমাতুল্লাহ বলেন, তারেক রহমান যাতে দেশে আসতে না পারে সেজন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। ওসমান হাদি কে হত্যা তারই অংশ বলে আমি মনে করি।
বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, দীর্ঘবছর পর তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। তার এই আগমনের দিন নতুন এক ইতিহাস রচিত হবে। এ দিন লাখ লাখ লোকের সমাগম হবে ঢাকা শহরে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আগমনে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সমর্থকরাও বেশ উজ্জীবিত।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সদর আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, তারেক রহমান যখন বাংলাদেশে আসতেছেন তখন পরিবেশটা বিএনপির পক্ষে। তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড। আপনারা জানেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন, তারেক রহমান প্রায় ১৮ বছর লন্ডনে। কিন্তু তিনি (তারেক রহমান) বিদেশে বসে থাকেননি। লন্ডনে বসেই সকল আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশে^র অনেক বড় বড় নেতা দেশের বাইরে থেকে সংগ্রাম করেছেন। তারেক রহমানও তাদের একজন। তিনি যেদিন আসবেন পুরো ঢাকার শহর ব্লক হয়ে যাবে। তার প্রতি ভালবাসা শুধু দলীয় নেতাকর্মীদের নয়, সারাদেশের মানুষের; সেটার বহি:প্রকাশ ঘটবে ২৫শে ডিসেম্বর।

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৪
টাকা উত্তোলন ব্যায় বাড়লেও বরিশালে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথে গ্রাহক হয়রানি কমছেনা। সাপ্তাহিক ছুটি সহ যেকোন বন্ধের দিনগুলোতে বুথ থেকে টাকা তুলতে নাকাল হচ্ছেন গ্রাহকরা। তারল্য সংকট আড়াল করতে গত বছর আগষ্ট থেকে বিভিন্ন ব্যাংক নানা অজুহাতে এটিএম বুথ থেকে গ্রাহকদের টাকা প্রদান সীমিতকরণের পাশাপাশি নানাভাবে নিরুৎসাহিত করছে। যা গ্রাহক হয়রানিকে ক্রমশ বৃদ্ধি করে চললেও বিষয়গুলো নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনেকটাই নির্বিকার। এমনকি বরিশাল অঞ্চলের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ঠিক কতগুলো এটিএম বুথ রয়েছে তাও জানে না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বরিশাল অফিস।
বিদ্যমান বুথগুলোতে গ্রাহক হয়রানির বিষয়গুলোও কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির কাছে অনেকটাই অবান্তর বলেই মনে হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে যতবারই বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের দায়িত্বশীল মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে,ততবারই নানাভাবে এড়িয়ে গেছেন দয়িত্বশীল কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে মতামত জানতে গত কয়েকদিন ধরেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির বরিশাল অফিসের নির্বাহী পরিচালকের দাপ্তরিক সেলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোন সাড়া মেলেনি।
তবে একাধিক সূত্রের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের আওতাভুক্ত এলাকায় সরকারি-বেসরকারী ৩৬টি ব্যাংকের সহ¯্রাধিক ফাষ্ট ট্র্যাক সহ এটিএম বুথে প্রতিদিন লক্ষাধিক গ্রাহক নগদ টাকা উত্তোলন ও জমা করে থাকেন। কিন্তু গত বছর আগষ্টের পটপরিবর্তনের পরে প্রায় সব ব্যাংকই তাদের এটিএম বুথ থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা প্রদান সীমিত করেছে। ইতোপূর্বে বুথগুলো থেকে গ্রাহকদের একবারে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রদান করা হলেও এখন দশ হাজার টাকার বেশী দেয়া হচ্ছেনা । এমনকি নিজ ব্যাংকের বাইরে অন্য ব্যাংকের বুথ থেকে গ্রাহকদের আগে প্রতিবারের লেনদেনে ২০ হাজার টাকা উত্তোলনে ১৫ টাকা চার্জ ধার্য্য থাকলেও এখন ১০ হাজার টাকা উত্তোলনেই ২০ টাকা চার্জ প্রদান করতে হচ্ছে। কিন্ত সে চার্জ প্রদান করেও এখন বেশীরভাগ ব্যাংকের বুথ থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকরা টাকা তুলতে পারছেন না।
শুধুমাত্র ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথ এবং ফাষ্ট ট্র্যাকের এটিএম ও সিআরএম মেশিন থেকে প্রায় সব ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা প্রদান করা হলেও সেসব স্থাপনায়ও রাত ৯টার পরে ১টি মেশিন চালু রেখে অন্যগুলোতে গ্রাহকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এমনকি ঈদ সহ যে কোন লম্বা ছুটির সময়ও ব্যাংকটির সব ফাষ্ট ট্র্যাকেই মাত্র ১টি করে সিআরএম মেশিন চালু রেখে অন্যসবগুলো আটকে দেয়া হয়। ডাচ-বাংলার বুথ ও ফাষ্ট ট্র্যাকগুলোতে প্রায় সব ব্যাংকের কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান করা হলেও সেখানেও ইতোপূর্বের ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১০ হাজার টাকায় সীমিত করা হয়েছে।
ডাচ-বাংলার পরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে’এর এটিএম বুথের সংখ্যা বেশী থাকলেও গত বছর আগষ্ট থেকে সেখানেও অন্য সব ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান বন্ধ রাখা হচ্ছে প্রায়শই। তবে রাষ্ট্রীয় রূপালী ব্যাংকের হাতেগোনা কয়কটি বুথে বেশীরভাগ ব্যাংকের কার্ডের বিপরিতে টাকা পরিশোধ করা হলেও অনেক নামিদামী ব্যাংগুলোও এক্ষেত্রে রক্ষনশীল ভূমিকা পালন করায় সাধারন মানুষের দুর্ভোগ সব বর্ণনার বাইরে। এমনকি সীমিত কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে অন্যসব ব্যাংকের এটিএম কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান করা হলেও কোন বুথ থেকেই এককালীন ১০ হাজারের বেশী টাকা প্রদান করা হচ্ছে না।
অপরদিকে অতি সম্প্রতি যে ৫টি রুগ্ন ব্যাংক নিয়ে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক চালু করা হচ্ছে,সেসব ব্যাংকগুলোর সব বুথই ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঐসব ব্যাংক গ্রাহকদের দুর্ভোগ এখন সব বর্ণনার বাইরে। ফলে অন্য ব্যাংকের বুথে চাপ বাড়ছে। ডাচ-বাংলা সহ কয়েকটি ব্যাংকের বুথে দিন-রাতই গ্রাহকের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়না। এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের নির্বাহী পরিচালকের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
টাকা উত্তোলন ব্যায় বাড়লেও বরিশালে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথে গ্রাহক হয়রানি কমছেনা। সাপ্তাহিক ছুটি সহ যেকোন বন্ধের দিনগুলোতে বুথ থেকে টাকা তুলতে নাকাল হচ্ছেন গ্রাহকরা। তারল্য সংকট আড়াল করতে গত বছর আগষ্ট থেকে বিভিন্ন ব্যাংক নানা অজুহাতে এটিএম বুথ থেকে গ্রাহকদের টাকা প্রদান সীমিতকরণের পাশাপাশি নানাভাবে নিরুৎসাহিত করছে। যা গ্রাহক হয়রানিকে ক্রমশ বৃদ্ধি করে চললেও বিষয়গুলো নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনেকটাই নির্বিকার। এমনকি বরিশাল অঞ্চলের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ঠিক কতগুলো এটিএম বুথ রয়েছে তাও জানে না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বরিশাল অফিস।
বিদ্যমান বুথগুলোতে গ্রাহক হয়রানির বিষয়গুলোও কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির কাছে অনেকটাই অবান্তর বলেই মনে হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে যতবারই বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের দায়িত্বশীল মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে,ততবারই নানাভাবে এড়িয়ে গেছেন দয়িত্বশীল কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে মতামত জানতে গত কয়েকদিন ধরেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির বরিশাল অফিসের নির্বাহী পরিচালকের দাপ্তরিক সেলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোন সাড়া মেলেনি।
তবে একাধিক সূত্রের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের আওতাভুক্ত এলাকায় সরকারি-বেসরকারী ৩৬টি ব্যাংকের সহ¯্রাধিক ফাষ্ট ট্র্যাক সহ এটিএম বুথে প্রতিদিন লক্ষাধিক গ্রাহক নগদ টাকা উত্তোলন ও জমা করে থাকেন। কিন্তু গত বছর আগষ্টের পটপরিবর্তনের পরে প্রায় সব ব্যাংকই তাদের এটিএম বুথ থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা প্রদান সীমিত করেছে। ইতোপূর্বে বুথগুলো থেকে গ্রাহকদের একবারে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রদান করা হলেও এখন দশ হাজার টাকার বেশী দেয়া হচ্ছেনা । এমনকি নিজ ব্যাংকের বাইরে অন্য ব্যাংকের বুথ থেকে গ্রাহকদের আগে প্রতিবারের লেনদেনে ২০ হাজার টাকা উত্তোলনে ১৫ টাকা চার্জ ধার্য্য থাকলেও এখন ১০ হাজার টাকা উত্তোলনেই ২০ টাকা চার্জ প্রদান করতে হচ্ছে। কিন্ত সে চার্জ প্রদান করেও এখন বেশীরভাগ ব্যাংকের বুথ থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকরা টাকা তুলতে পারছেন না।
শুধুমাত্র ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথ এবং ফাষ্ট ট্র্যাকের এটিএম ও সিআরএম মেশিন থেকে প্রায় সব ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা প্রদান করা হলেও সেসব স্থাপনায়ও রাত ৯টার পরে ১টি মেশিন চালু রেখে অন্যগুলোতে গ্রাহকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এমনকি ঈদ সহ যে কোন লম্বা ছুটির সময়ও ব্যাংকটির সব ফাষ্ট ট্র্যাকেই মাত্র ১টি করে সিআরএম মেশিন চালু রেখে অন্যসবগুলো আটকে দেয়া হয়। ডাচ-বাংলার বুথ ও ফাষ্ট ট্র্যাকগুলোতে প্রায় সব ব্যাংকের কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান করা হলেও সেখানেও ইতোপূর্বের ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১০ হাজার টাকায় সীমিত করা হয়েছে।
ডাচ-বাংলার পরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে’এর এটিএম বুথের সংখ্যা বেশী থাকলেও গত বছর আগষ্ট থেকে সেখানেও অন্য সব ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান বন্ধ রাখা হচ্ছে প্রায়শই। তবে রাষ্ট্রীয় রূপালী ব্যাংকের হাতেগোনা কয়কটি বুথে বেশীরভাগ ব্যাংকের কার্ডের বিপরিতে টাকা পরিশোধ করা হলেও অনেক নামিদামী ব্যাংগুলোও এক্ষেত্রে রক্ষনশীল ভূমিকা পালন করায় সাধারন মানুষের দুর্ভোগ সব বর্ণনার বাইরে। এমনকি সীমিত কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে অন্যসব ব্যাংকের এটিএম কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান করা হলেও কোন বুথ থেকেই এককালীন ১০ হাজারের বেশী টাকা প্রদান করা হচ্ছে না।
অপরদিকে অতি সম্প্রতি যে ৫টি রুগ্ন ব্যাংক নিয়ে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক চালু করা হচ্ছে,সেসব ব্যাংকগুলোর সব বুথই ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঐসব ব্যাংক গ্রাহকদের দুর্ভোগ এখন সব বর্ণনার বাইরে। ফলে অন্য ব্যাংকের বুথে চাপ বাড়ছে। ডাচ-বাংলা সহ কয়েকটি ব্যাংকের বুথে দিন-রাতই গ্রাহকের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়না। এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের নির্বাহী পরিচালকের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০২:০৩
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বাকপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, আটক ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি। ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
বানারীপাড়া থানা পুলিশের ওসি মজিবর রহমান আওয়ামীলীগ নেতা এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটকের বিষয়টি বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ডেভিল হ্যান্ট ফেজ-২ অপারেশনের অংশ হিসেবে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করা হয়। তিনি বর্তমানে ডিবি হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন থানায় কি মামলা রয়েছে সে বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।’
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বাকপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, আটক ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি। ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
বানারীপাড়া থানা পুলিশের ওসি মজিবর রহমান আওয়ামীলীগ নেতা এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটকের বিষয়টি বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ডেভিল হ্যান্ট ফেজ-২ অপারেশনের অংশ হিসেবে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করা হয়। তিনি বর্তমানে ডিবি হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন থানায় কি মামলা রয়েছে সে বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.