
০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ০২:১৪
নির্বাচনী ফলাফল ঘরে তুলতে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণা
ত্রয়োদশ নির্বাচনে বরিশালের ৬ টি আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতাদের মধ্যেকার বিভাজনের রেখা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। এবং তাদের কর্মী-সমর্থকেরাও কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এই বিভাজন শেষ পর্যন্ত এত প্রকট হয় যে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। উপায়ান্ত না পেয়ে বরিশাল বিএনপির এই বিভক্তি নিয়ে দলটির হাইকমান্ড সপ্তাহখানেক পূর্বে শালিস করে এবং সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দেয়। এমন লেজেগোবরে অবস্থার মধ্যে সোমবার বরিশালের ৫টি আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা বিএনপি। ধারণা করা হচ্ছিল, একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী বঞ্চিত হয়ে বেসামাল হয়ে পড়বেন এবং নির্বাচনের আগে বরিশাল বিএনপিতে অসন্তোস আরও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে, মনোনয়ন বঞ্চিত বিএনপি নেতারা হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের বিরোধীতাতো দূরের কথা, নির্বাচন ইস্যুতে কিঞ্চিত শব্দও করেননি। বরং দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী ফলাফল কিভাবে ঘরে তোলা যায় সেই লক্ষে তোড়জোড় চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত সোমবার রাতে বরিশাল ৩ আসন উহ্য রেখে বাকি ৫টিতে প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। ঘোষণা অনুযায়ী বরিশাল-১ জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল-২ সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, বরিশাল-৪ মো. রাজিব আহসান, বরিশাল-৫ মো. মজিবর রহমান সরোয়ার এবং বরিশাল-৬ আবুল হোসেন খান ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
স্থানীয় বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, বরিশাল জেলার ৬টি আসন থেকেই একাধিক বিএনপি নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এবং স্থানীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে। এনিয়ে কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারাও বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
উদাহরণস্বরূপ বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) এবং বরিশাল-৫ (বরিশাল মহানগর ও সদর) আসনকে চিহ্নিত করা যায়। বরিশাল-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন অন্তত ৫ জন। তাদের মধ্যে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার পেয়েছেন সরদার সরফুদ্দিন সান্টু। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সান্টুর ওপর থেকে হাইকমান্ডের নজর সরাতে মনোনয়ন বঞ্চিতদের কেউ কেউ কৌশল নিয়েছিলেন।
কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বরিশাল-২ আসনে সেই সান্টুকে মনোনয়ন দেওয়ার চূড়ান্ত ঘোষণা দেন। এরপরেই পাল্টে যায় উজিরপুর-বানারীপাড়া বিএনপির রাজনীতির মেরুকরণ। মনোনয়ন বঞ্চিতদের পাশাপাশি তাদের কর্মী-সমর্থকেরাও এই আসনে সান্টুর ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার জোরালো ঘোষণা দিয়েছেন।
বরিশাল ৫ সদর আসনে পাঁচবারের এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার ধানের শীষে নির্বাচন করার অধিকার পেয়েছেন। মর্যাদার আসন হিসেবে বিবেচিত এখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ প্রভাবশালী অন্তত হাফডজন নেতা মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন প্রাপ্তি নিয়ে নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যেকার কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি করতে গিয়ে বিএনপির হাইকমান্ডের শোকজ খেয়েছিলেন।
বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এতটাই ধারণ করেছিল যে বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন পিতৃতুল্য মজিবর রহমান সরোয়ারকে নিয়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে একাধিকবার নেতিবাচক মন্তব্য করেন। এনিয়ে বরিশাল বিএনপির রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ উর্ধ্বমুখী হতে থাকলে বিষয়টি হাইকমান্ডের নজরে আসে। এবং একদিনের নোটিসে তাদের সকলকে রাজধানী ঢাকার গুলশান কার্যালয়ে ডেকে নিতে বাধ্য হন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় বরিশালের একটি আসন বাদে বাকি ৫টিতে প্রার্থীতা ঘোষণা দেওয়ার পরে সকলেই সেই পূর্ব বিরোধ ভুলে গেছেন। এবং আসন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে কি ভাবে বিজয়ী করে তাদের নেতা তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালি করা যায় সে পথে হাঁটতে শুরু করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে প্রার্থিতা ঘোষণার পরে বরিশাল মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এবং বরিশালের ৫টি আসনে যাদেরকে মনোনীত করা হয়েছে, তাদের সাথে স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব যোগাযোগও বাড়িয়েছেন।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার জানান, তার আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিনও বরিশাল ৫ সদর আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু হাইকমান্ড মজিবর রহমান সরোয়ারকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, এই সিদ্ধান্ত সকলে মেনে নিয়েছেন। এবং নির্বাচনী ফলাফল ঘরে তুলতে শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আবু নাসের রহমত উল্লাহও অনুরূপ অভিব্যক্তি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তাদের নেতা বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং ধানের শীষ প্রশ্নে নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ।
বরিশাল (দক্ষিণ) জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহীন জানান, তিনিও বরিশাল ৫ সদর আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু দল তাকে বঞ্চিত করেছে। এনিয়ে তার কোনো রাগ বা অনুরাগ নেই। হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন এবং নেতাকর্মীদের ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভাজিত বরিশাল বিএনপি যে ঐক্যবদ্ধ এবং কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিবাচক আলোচনা শোনা যাচ্ছে। স্থানীয় নেতাদের এমন আচরণে বিএনপির হাইকমান্ডও খুশি বলে মন্তব্য পাওয়া গেছে।
তবে পূর্বের এই বিভাজন নিয়ে কোনোরূপ মন্তব্য করতে চাইছেন না বরিশাল সদর আসনের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। বর্ষীয়াণ এই রাজনৈতিক জানান, নেতা তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত সকলে মেনে নিয়েছেন। এবং মনোনয়ন বঞ্চিতরাও সোমবার সন্ধ্যার পরে তার সাথে বিভিন্ন মাধ্যম যোগাযোগ করেছেন। নির্বাচনে ধানের শীষকে কি ভাবে বিজয়ী করা যায়, সকলে সেই লক্ষে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে আছেন।’
নির্বাচনী ফলাফল ঘরে তুলতে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণা
ত্রয়োদশ নির্বাচনে বরিশালের ৬ টি আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতাদের মধ্যেকার বিভাজনের রেখা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। এবং তাদের কর্মী-সমর্থকেরাও কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এই বিভাজন শেষ পর্যন্ত এত প্রকট হয় যে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। উপায়ান্ত না পেয়ে বরিশাল বিএনপির এই বিভক্তি নিয়ে দলটির হাইকমান্ড সপ্তাহখানেক পূর্বে শালিস করে এবং সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দেয়। এমন লেজেগোবরে অবস্থার মধ্যে সোমবার বরিশালের ৫টি আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা বিএনপি। ধারণা করা হচ্ছিল, একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী বঞ্চিত হয়ে বেসামাল হয়ে পড়বেন এবং নির্বাচনের আগে বরিশাল বিএনপিতে অসন্তোস আরও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে, মনোনয়ন বঞ্চিত বিএনপি নেতারা হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের বিরোধীতাতো দূরের কথা, নির্বাচন ইস্যুতে কিঞ্চিত শব্দও করেননি। বরং দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী ফলাফল কিভাবে ঘরে তোলা যায় সেই লক্ষে তোড়জোড় চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত সোমবার রাতে বরিশাল ৩ আসন উহ্য রেখে বাকি ৫টিতে প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। ঘোষণা অনুযায়ী বরিশাল-১ জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল-২ সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, বরিশাল-৪ মো. রাজিব আহসান, বরিশাল-৫ মো. মজিবর রহমান সরোয়ার এবং বরিশাল-৬ আবুল হোসেন খান ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
স্থানীয় বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, বরিশাল জেলার ৬টি আসন থেকেই একাধিক বিএনপি নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এবং স্থানীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে। এনিয়ে কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারাও বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
উদাহরণস্বরূপ বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) এবং বরিশাল-৫ (বরিশাল মহানগর ও সদর) আসনকে চিহ্নিত করা যায়। বরিশাল-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন অন্তত ৫ জন। তাদের মধ্যে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার পেয়েছেন সরদার সরফুদ্দিন সান্টু। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সান্টুর ওপর থেকে হাইকমান্ডের নজর সরাতে মনোনয়ন বঞ্চিতদের কেউ কেউ কৌশল নিয়েছিলেন।
কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বরিশাল-২ আসনে সেই সান্টুকে মনোনয়ন দেওয়ার চূড়ান্ত ঘোষণা দেন। এরপরেই পাল্টে যায় উজিরপুর-বানারীপাড়া বিএনপির রাজনীতির মেরুকরণ। মনোনয়ন বঞ্চিতদের পাশাপাশি তাদের কর্মী-সমর্থকেরাও এই আসনে সান্টুর ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার জোরালো ঘোষণা দিয়েছেন।
বরিশাল ৫ সদর আসনে পাঁচবারের এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার ধানের শীষে নির্বাচন করার অধিকার পেয়েছেন। মর্যাদার আসন হিসেবে বিবেচিত এখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ প্রভাবশালী অন্তত হাফডজন নেতা মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন প্রাপ্তি নিয়ে নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যেকার কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি করতে গিয়ে বিএনপির হাইকমান্ডের শোকজ খেয়েছিলেন।
বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এতটাই ধারণ করেছিল যে বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন পিতৃতুল্য মজিবর রহমান সরোয়ারকে নিয়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে একাধিকবার নেতিবাচক মন্তব্য করেন। এনিয়ে বরিশাল বিএনপির রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ উর্ধ্বমুখী হতে থাকলে বিষয়টি হাইকমান্ডের নজরে আসে। এবং একদিনের নোটিসে তাদের সকলকে রাজধানী ঢাকার গুলশান কার্যালয়ে ডেকে নিতে বাধ্য হন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় বরিশালের একটি আসন বাদে বাকি ৫টিতে প্রার্থীতা ঘোষণা দেওয়ার পরে সকলেই সেই পূর্ব বিরোধ ভুলে গেছেন। এবং আসন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে কি ভাবে বিজয়ী করে তাদের নেতা তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালি করা যায় সে পথে হাঁটতে শুরু করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে প্রার্থিতা ঘোষণার পরে বরিশাল মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এবং বরিশালের ৫টি আসনে যাদেরকে মনোনীত করা হয়েছে, তাদের সাথে স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব যোগাযোগও বাড়িয়েছেন।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার জানান, তার আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিনও বরিশাল ৫ সদর আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু হাইকমান্ড মজিবর রহমান সরোয়ারকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, এই সিদ্ধান্ত সকলে মেনে নিয়েছেন। এবং নির্বাচনী ফলাফল ঘরে তুলতে শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আবু নাসের রহমত উল্লাহও অনুরূপ অভিব্যক্তি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তাদের নেতা বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং ধানের শীষ প্রশ্নে নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ।
বরিশাল (দক্ষিণ) জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহীন জানান, তিনিও বরিশাল ৫ সদর আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু দল তাকে বঞ্চিত করেছে। এনিয়ে তার কোনো রাগ বা অনুরাগ নেই। হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন এবং নেতাকর্মীদের ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভাজিত বরিশাল বিএনপি যে ঐক্যবদ্ধ এবং কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিবাচক আলোচনা শোনা যাচ্ছে। স্থানীয় নেতাদের এমন আচরণে বিএনপির হাইকমান্ডও খুশি বলে মন্তব্য পাওয়া গেছে।
তবে পূর্বের এই বিভাজন নিয়ে কোনোরূপ মন্তব্য করতে চাইছেন না বরিশাল সদর আসনের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। বর্ষীয়াণ এই রাজনৈতিক জানান, নেতা তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত সকলে মেনে নিয়েছেন। এবং মনোনয়ন বঞ্চিতরাও সোমবার সন্ধ্যার পরে তার সাথে বিভিন্ন মাধ্যম যোগাযোগ করেছেন। নির্বাচনে ধানের শীষকে কি ভাবে বিজয়ী করা যায়, সকলে সেই লক্ষে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে আছেন।’

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৭
বরিশালের বাবুগঞ্জে প্রায় আড়াই হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা বিনামূল্যে পাচ্ছেন সরকারি প্রণোদনার বীজ এবং সার। চলতি অর্থবছরে রবি মৌসুমের ওই প্রণোদনা কর্মসূচিতে গম, সরিষা, সূর্যমুখী, সয়াবিন, খেসারি, মসুর, মুগ, চিনাবাদাম, ফেলন ও বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেওয়া হচ্ছে উন্নত জাতের এসব বীজসহ সার। প্রত্যেক কৃষককে জমি অনুযায়ী ১ থেকে ২০ কেজি বীজের সাথে দেওয়া হচ্ছে ২০ কেজি করে ডিএপি এবং এমওপি সার। গতকাল ওই কৃষি প্রণোদনের বীজ ও সার বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আবদুর রউফের সভাপতিত্বে এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আবদুল করিম হাওলাদার, ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা রহমাতুল্লাহ মাতুব্বর, বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সুজন সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সাইফুর রহিম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুরুন্নাহার বেগম।
এসময় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আতিকুর রহমান সুমন, রিয়াজুল ইসলাম ওমর, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহাব উদ্দিন বাচ্চু, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাব সম্পাদক আরিফ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আল-আমিন হাওলাদার, বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সম্পাদক রোকনুজ্জামান সোহাগ, যুগ্ম-সম্পাদক রুবেল সরদার প্রমুখসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রণোদনাপ্রাপ্ত কৃষাণ-কৃষাণীরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সরকার কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দিচ্ছে। যারা এই কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন রবি শষ্যের বীজ এবং সার পাচ্ছেন তারা সেগুলো যথাযথভাবে কাজে লাগাবেন। কেউ সরকারি অনুদান নষ্ট করবেন না। সরকার ভর্তুকি দিয়ে কিনে আপনাদের এসব বীজ ও সার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিচ্ছে। বিনিময়ে সরকার আপনার ফসল চায় না। আপনার উৎপাদিত ফসল আপনিই ভোগ করবেন। শষ্য উৎপাদন বাড়িয়ে নিজে স্বাবলম্বী হবেন। আপনারা কৃষকরা স্বাবলম্বী হলেই স্বনির্ভর হবে দেশ।' #
বরিশালের বাবুগঞ্জে প্রায় আড়াই হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা বিনামূল্যে পাচ্ছেন সরকারি প্রণোদনার বীজ এবং সার। চলতি অর্থবছরে রবি মৌসুমের ওই প্রণোদনা কর্মসূচিতে গম, সরিষা, সূর্যমুখী, সয়াবিন, খেসারি, মসুর, মুগ, চিনাবাদাম, ফেলন ও বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেওয়া হচ্ছে উন্নত জাতের এসব বীজসহ সার। প্রত্যেক কৃষককে জমি অনুযায়ী ১ থেকে ২০ কেজি বীজের সাথে দেওয়া হচ্ছে ২০ কেজি করে ডিএপি এবং এমওপি সার। গতকাল ওই কৃষি প্রণোদনের বীজ ও সার বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আবদুর রউফের সভাপতিত্বে এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আবদুল করিম হাওলাদার, ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা রহমাতুল্লাহ মাতুব্বর, বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সুজন সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সাইফুর রহিম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুরুন্নাহার বেগম।
এসময় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আতিকুর রহমান সুমন, রিয়াজুল ইসলাম ওমর, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহাব উদ্দিন বাচ্চু, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাব সম্পাদক আরিফ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আল-আমিন হাওলাদার, বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সম্পাদক রোকনুজ্জামান সোহাগ, যুগ্ম-সম্পাদক রুবেল সরদার প্রমুখসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রণোদনাপ্রাপ্ত কৃষাণ-কৃষাণীরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সরকার কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দিচ্ছে। যারা এই কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন রবি শষ্যের বীজ এবং সার পাচ্ছেন তারা সেগুলো যথাযথভাবে কাজে লাগাবেন। কেউ সরকারি অনুদান নষ্ট করবেন না। সরকার ভর্তুকি দিয়ে কিনে আপনাদের এসব বীজ ও সার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিচ্ছে। বিনিময়ে সরকার আপনার ফসল চায় না। আপনার উৎপাদিত ফসল আপনিই ভোগ করবেন। শষ্য উৎপাদন বাড়িয়ে নিজে স্বাবলম্বী হবেন। আপনারা কৃষকরা স্বাবলম্বী হলেই স্বনির্ভর হবে দেশ।' #

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৪১
মাদারীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে জেলার রাজৈর মাদরাসার বড় ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হলে পুলিশের প্রচেষ্টায় প্রায় এক ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গুরুতর আহতরা হলেন, শিহাব (১৮), রবিউল আলম (৪৬), মোহাম্মদ লিটন (৫০) ও তার স্ত্রী জোসনা (৪০), রেজাউল (২৫), সাজ্জাদুল (২৩), মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (৩০)। তারা রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং বাকি আহতরা বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নেন। এ দুর্ঘটনায় প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
প্রত্যক্ষদর্শী, হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে বরিশাল যাচ্ছিল লাবিবা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস। পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অপরদিক থেকে আসা একটি পিকআপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় পিকআপটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং বাসটি ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে পিকআপ চালকসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় আরিফ (২৫) ও আছমত (২৮) নামে দুইজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে মহাসড়কের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
মাদারীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে জেলার রাজৈর মাদরাসার বড় ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হলে পুলিশের প্রচেষ্টায় প্রায় এক ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গুরুতর আহতরা হলেন, শিহাব (১৮), রবিউল আলম (৪৬), মোহাম্মদ লিটন (৫০) ও তার স্ত্রী জোসনা (৪০), রেজাউল (২৫), সাজ্জাদুল (২৩), মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (৩০)। তারা রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং বাকি আহতরা বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নেন। এ দুর্ঘটনায় প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
প্রত্যক্ষদর্শী, হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে বরিশাল যাচ্ছিল লাবিবা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস। পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অপরদিক থেকে আসা একটি পিকআপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় পিকআপটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং বাসটি ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে পিকআপ চালকসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় আরিফ (২৫) ও আছমত (২৮) নামে দুইজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে মহাসড়কের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:২০
বরিশাল-৫ (সদর) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক হুইপ অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেছেন-আমরা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছি। বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করছি জনগণই ক্ষমতার উৎস, এটা আজ আবারও প্রমাণিত হয়েছে।
বরিশাল মহানগর ও জেলা বিএনপি এবং তার সকল অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে দলের নেতাকর্মীদের সাথে বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার টাউন হলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মজিবর রহমান সরোয়ার আরও বলেছেন-আমি সবসময় জনগণের পাশে থেকেছি, আগামীতেও থাকবো। বরিশালের উন্নয়নমানে জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার উন্নয়নের ধারার ধারাবাহিকতা।
তিনি আরও বলেছেন-বিএনপির সময়ে বরিশাল বিভাগ হয়েছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও রেডিও স্টেশনসহ বহু উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। ভবিষ্যতেও অবশিষ্ট উন্নয়নের কাজগুলো সম্পন্ন করা হবে।
মজিবর রহমান সরোয়ার আরও বলেন, দেশের মানুষ ১৬ বছর ভোট দিতে পারেনি। মানুষ মুখিয়ে আছে ভোট দেয়ার জন্য। বিএনপিকে বিজয়ী করার জন্য এখন সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন-বরিশালের বিএনপিতে অতীতের ন্যায় আর কোনদিন গ্রুপিং হতে দেবোনা। সবাইকে নিয়ে আমরা একটি সুখী সমৃদ্ধ বরিশাল গড়ে তুলবো।
মতবিনিময় সভার শুরুতে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দরা মজিবর রহমান সরোয়ারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সভায় উপস্থিত সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয়ের লক্ষ্যে হাতে হাত রেখে প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন।
সভায় মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, বরিশাল থেকে বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকলেও দলের নির্দেশে দল থেকে যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার পক্ষে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বরিশার মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, মহানগরের সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন শিকদার, জেলার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহীন, বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ নুরুল আমীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি নুরুল আলম ফরিদসহ অন্যান্যরা। সভায় জেলা ও মহানগর বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিক দল, মহিলাদলসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বরিশাল-৫ (সদর) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক হুইপ অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেছেন-আমরা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছি। বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করছি জনগণই ক্ষমতার উৎস, এটা আজ আবারও প্রমাণিত হয়েছে।
বরিশাল মহানগর ও জেলা বিএনপি এবং তার সকল অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে দলের নেতাকর্মীদের সাথে বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার টাউন হলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মজিবর রহমান সরোয়ার আরও বলেছেন-আমি সবসময় জনগণের পাশে থেকেছি, আগামীতেও থাকবো। বরিশালের উন্নয়নমানে জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার উন্নয়নের ধারার ধারাবাহিকতা।
তিনি আরও বলেছেন-বিএনপির সময়ে বরিশাল বিভাগ হয়েছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও রেডিও স্টেশনসহ বহু উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। ভবিষ্যতেও অবশিষ্ট উন্নয়নের কাজগুলো সম্পন্ন করা হবে।
মজিবর রহমান সরোয়ার আরও বলেন, দেশের মানুষ ১৬ বছর ভোট দিতে পারেনি। মানুষ মুখিয়ে আছে ভোট দেয়ার জন্য। বিএনপিকে বিজয়ী করার জন্য এখন সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন-বরিশালের বিএনপিতে অতীতের ন্যায় আর কোনদিন গ্রুপিং হতে দেবোনা। সবাইকে নিয়ে আমরা একটি সুখী সমৃদ্ধ বরিশাল গড়ে তুলবো।
মতবিনিময় সভার শুরুতে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দরা মজিবর রহমান সরোয়ারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সভায় উপস্থিত সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয়ের লক্ষ্যে হাতে হাত রেখে প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন।
সভায় মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, বরিশাল থেকে বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকলেও দলের নির্দেশে দল থেকে যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার পক্ষে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বরিশার মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, মহানগরের সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন শিকদার, জেলার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহীন, বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ নুরুল আমীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি নুরুল আলম ফরিদসহ অন্যান্যরা। সভায় জেলা ও মহানগর বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিক দল, মহিলাদলসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.