
০৪ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:৪০
সব গার্ডার বসানো, পিলার দাঁড়িয়ে গেছে, অ্যাপ্রোচ সড়কও প্রস্তুত। তবু বরিশালের বাকেরগঞ্জের চরাদি ও দুধল ইউনিয়নের মানুষকে দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। কারণ, মাঝের দুটি স্প্যান না বসানোয় রাঙামাটি নদীর গোমা সেতুটি এখনো চলাচলের অযোগ্য। অবশেষে মঙ্গলবার একটি স্প্যান বসানো হয়েছে।
আরেকটি স্প্যান আগামী বৃহস্পতিবার উঠলেই ছয় বছরের অপেক্ষার অবসান হবে তিন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের।
এর আগে সেতুটি নির্মাণে ত্রুটি নিয়ে কালের কণ্ঠে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ২০২০ সালের ৩ জুলাই পত্রিকাটির শেষ পাতায় ‘অপরিকল্পিত সেতুতে বন্ধ হবে নৌপথ!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পরই এলজিইডির তত্ত্বাবধানে চলমান গোমা সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয় বিআইডাব্লিউটিএ। ২০২২ সালের ১৪ জুন নির্মাণাধীন সেতুর উচ্চতা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন হয়।
এরপর সংশোধিত নতুন নকশায় সেতুটির বাকি কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার প্রাক্কলন অনুমোদন করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
উচ্চতা নিয়ে দ্বন্দ্ব, সেতুর কাজ বন্ধ:
গোমা সেতুর নির্মাণকাজে দেরির পেছনে মূল কারণ ছিল সেতুর উচ্চতা নিয়ে দুই সরকারি সংস্থার মতবিরোধ। ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর বিআইডাব্লিউটিএর কাছে মতামত চেয়ে চিঠি পাঠায়। একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর বিআইডাব্লিউটিএ জানায়, বর্ষা মৌসুমের পানির উচ্চতা থেকে কমপক্ষে ৭ দশমিক ৬২ মিটার উঁচুতে সেতুটি নির্মাণ করতে হবে।
সেই অনুযায়ী নকশা তৈরি করে দরপত্র আহ্বান ও নির্মাণকাজ শুরু হয়।
তবে ২০১৯ সালের ৮ মে বিআইডাব্লিউটিএ নতুন এক চিঠিতে আগের অনুমোদন বাতিল করে। নতুন প্রস্তাবে বলা হয়, রাঙামাটি নদী এখন দ্বিতীয় শ্রেণির নৌপথ—এখানে বড় নৌযান চলাচল করবে। তাই সেতুর উচ্চতা বাড়িয়ে বর্ষা মৌসুমের পানির স্তর থেকে ১২ দশমিক ২০ মিটার করতে হবে। ফলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
তখন থেকেই এক দপ্তর বলছে পুরনো নকশায় ঝুঁকি নেই, আরেক দপ্তর বলছে নৌপথ বন্ধ হয়ে যাবে। এই টানাপড়েনে থেমে যায় পুরো প্রকল্প।
বরিশাল জোনের তৎকালীন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শিশির কান্তি রাউৎ বলেছিলেন, উচ্চতা বাড়ালে ইতিমধ্যে সম্পন্ন হওয়া অংশে অতিরিক্ত চাপ পড়বে, যা নকশায় ধরা হয়নি। তাই বিআইডাব্লিউটিএর সঙ্গে সমন্বয় করে সমাধান খোঁজা হচ্ছে। অন্যদিকে, বিআইডাব্লিউটিএর দক্ষিণ বদ্বীপ অঞ্চলের তৎকালীন যুগ্ম পরিচালক এস এম আজগর আলী বলেছিলেন, নৌপথ সচল রাখতে সেতুটি ১২ দশমিক ২০ মিটার উঁচুতে নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পুরনো নকশায় কাজ চললে নৌপথটি কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে।
দীর্ঘসূত্রতা আর জটিলতায় থেমে থাকা প্রকল্প:
২০১৮ সালে রাঙামাটি নদীর ওপর দুই হাজার ৫৪০ ফুট দীর্ঘ গোমা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তিন বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। ব্যয়ও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২ কোটি ৫৩ লাখ টাকায়, যা প্রাথমিক প্রাক্কলনের চেয়ে ৩৪ কোটির বেশি। এদিকে, নদী পারাপারে এখনো একটিমাত্র ফেরির ওপর নির্ভর করতে হয় এলাকাবাসীকে। প্রতি ঘণ্টায় একবার ফেরি চলে। কোনো কারণে ফেরি বন্ধ থাকলে ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে নদী পার হন অনেকে।
চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের বাসিন্দা রাছেল হাওলাদার বলেন, রোগী অসুস্থ হলে সহজে এপার থেকে ওপারে নেওয়া যায় না। আরেকজনের মন্তব্য, ফেরি গেলে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়, সেতু থাকলে দুই মিনিটেই যাওয়া যেত।
নকশা আর অনুমোদনের জট
সওজের তথ্য অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে সেতুর ৪৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছিল। কিন্তু উচ্চতা নিয়ে বিআইডাব্লিউটিএর আপত্তির পর পুরো প্রকল্পই থমকে যায়। পরে নকশা পরিবর্তন ও নতুন বাজেট অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় কেটে যায় আরো দুই বছর। সম্প্রতি একনেক সভায় নতুন নকশা অনুমোদনের মাধ্যমে প্রকল্পটি আবার গতি পেয়েছে।
বরিশাল সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, নদীর ধারা পরিবর্তন ও জমি অধিগ্রহণের কারণে বারবার নকশা পরিবর্তন করতে হয়েছে। এখন কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে একটি স্প্যানটি বসানো হয়েছে। আশা করছি দ্বিতীয় স্প্যানটি বৃহস্পতিবার বসাতো পারবো। আগামী ডিসেম্বরের মাসের মধ্যেই সেতুটি চালু করতে পারব।
বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ ও জনসুরক্ষা ফোরামের আহ্বায়ক শুভংকর শুভ বলেন, একটি স্প্যান বসানো হয়েছে। অপরটি দ্রুত স্থাপনের মাধ্যমে সেতুটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হোক। তা না হলে মানুষ কবে এর সুফল ভোগ করতে পারবে, বলা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, গোমা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ এসেছিল সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের দেওয়া চাহিদাপত্রে (ডিও লেটার) অনুমোদনের মাধ্যমে। জাসদ নেতা মোহাম্মদ মোহসীনসহ এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই সেতু। সেতুটি চালু হলে বরিশাল সদর, বাকেরগঞ্জ ও পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এতে যাতায়াত, চিকিৎসা, বাণিজ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আসবে বলে আশা স্থানীয়দের।
সব গার্ডার বসানো, পিলার দাঁড়িয়ে গেছে, অ্যাপ্রোচ সড়কও প্রস্তুত। তবু বরিশালের বাকেরগঞ্জের চরাদি ও দুধল ইউনিয়নের মানুষকে দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। কারণ, মাঝের দুটি স্প্যান না বসানোয় রাঙামাটি নদীর গোমা সেতুটি এখনো চলাচলের অযোগ্য। অবশেষে মঙ্গলবার একটি স্প্যান বসানো হয়েছে।
আরেকটি স্প্যান আগামী বৃহস্পতিবার উঠলেই ছয় বছরের অপেক্ষার অবসান হবে তিন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের।
এর আগে সেতুটি নির্মাণে ত্রুটি নিয়ে কালের কণ্ঠে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ২০২০ সালের ৩ জুলাই পত্রিকাটির শেষ পাতায় ‘অপরিকল্পিত সেতুতে বন্ধ হবে নৌপথ!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পরই এলজিইডির তত্ত্বাবধানে চলমান গোমা সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয় বিআইডাব্লিউটিএ। ২০২২ সালের ১৪ জুন নির্মাণাধীন সেতুর উচ্চতা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন হয়।
এরপর সংশোধিত নতুন নকশায় সেতুটির বাকি কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার প্রাক্কলন অনুমোদন করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
উচ্চতা নিয়ে দ্বন্দ্ব, সেতুর কাজ বন্ধ:
গোমা সেতুর নির্মাণকাজে দেরির পেছনে মূল কারণ ছিল সেতুর উচ্চতা নিয়ে দুই সরকারি সংস্থার মতবিরোধ। ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর বিআইডাব্লিউটিএর কাছে মতামত চেয়ে চিঠি পাঠায়। একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর বিআইডাব্লিউটিএ জানায়, বর্ষা মৌসুমের পানির উচ্চতা থেকে কমপক্ষে ৭ দশমিক ৬২ মিটার উঁচুতে সেতুটি নির্মাণ করতে হবে।
সেই অনুযায়ী নকশা তৈরি করে দরপত্র আহ্বান ও নির্মাণকাজ শুরু হয়।
তবে ২০১৯ সালের ৮ মে বিআইডাব্লিউটিএ নতুন এক চিঠিতে আগের অনুমোদন বাতিল করে। নতুন প্রস্তাবে বলা হয়, রাঙামাটি নদী এখন দ্বিতীয় শ্রেণির নৌপথ—এখানে বড় নৌযান চলাচল করবে। তাই সেতুর উচ্চতা বাড়িয়ে বর্ষা মৌসুমের পানির স্তর থেকে ১২ দশমিক ২০ মিটার করতে হবে। ফলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
তখন থেকেই এক দপ্তর বলছে পুরনো নকশায় ঝুঁকি নেই, আরেক দপ্তর বলছে নৌপথ বন্ধ হয়ে যাবে। এই টানাপড়েনে থেমে যায় পুরো প্রকল্প।
বরিশাল জোনের তৎকালীন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শিশির কান্তি রাউৎ বলেছিলেন, উচ্চতা বাড়ালে ইতিমধ্যে সম্পন্ন হওয়া অংশে অতিরিক্ত চাপ পড়বে, যা নকশায় ধরা হয়নি। তাই বিআইডাব্লিউটিএর সঙ্গে সমন্বয় করে সমাধান খোঁজা হচ্ছে। অন্যদিকে, বিআইডাব্লিউটিএর দক্ষিণ বদ্বীপ অঞ্চলের তৎকালীন যুগ্ম পরিচালক এস এম আজগর আলী বলেছিলেন, নৌপথ সচল রাখতে সেতুটি ১২ দশমিক ২০ মিটার উঁচুতে নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পুরনো নকশায় কাজ চললে নৌপথটি কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে।
দীর্ঘসূত্রতা আর জটিলতায় থেমে থাকা প্রকল্প:
২০১৮ সালে রাঙামাটি নদীর ওপর দুই হাজার ৫৪০ ফুট দীর্ঘ গোমা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তিন বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। ব্যয়ও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২ কোটি ৫৩ লাখ টাকায়, যা প্রাথমিক প্রাক্কলনের চেয়ে ৩৪ কোটির বেশি। এদিকে, নদী পারাপারে এখনো একটিমাত্র ফেরির ওপর নির্ভর করতে হয় এলাকাবাসীকে। প্রতি ঘণ্টায় একবার ফেরি চলে। কোনো কারণে ফেরি বন্ধ থাকলে ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে নদী পার হন অনেকে।
চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের বাসিন্দা রাছেল হাওলাদার বলেন, রোগী অসুস্থ হলে সহজে এপার থেকে ওপারে নেওয়া যায় না। আরেকজনের মন্তব্য, ফেরি গেলে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়, সেতু থাকলে দুই মিনিটেই যাওয়া যেত।
নকশা আর অনুমোদনের জট
সওজের তথ্য অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে সেতুর ৪৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছিল। কিন্তু উচ্চতা নিয়ে বিআইডাব্লিউটিএর আপত্তির পর পুরো প্রকল্পই থমকে যায়। পরে নকশা পরিবর্তন ও নতুন বাজেট অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় কেটে যায় আরো দুই বছর। সম্প্রতি একনেক সভায় নতুন নকশা অনুমোদনের মাধ্যমে প্রকল্পটি আবার গতি পেয়েছে।
বরিশাল সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, নদীর ধারা পরিবর্তন ও জমি অধিগ্রহণের কারণে বারবার নকশা পরিবর্তন করতে হয়েছে। এখন কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে একটি স্প্যানটি বসানো হয়েছে। আশা করছি দ্বিতীয় স্প্যানটি বৃহস্পতিবার বসাতো পারবো। আগামী ডিসেম্বরের মাসের মধ্যেই সেতুটি চালু করতে পারব।
বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ ও জনসুরক্ষা ফোরামের আহ্বায়ক শুভংকর শুভ বলেন, একটি স্প্যান বসানো হয়েছে। অপরটি দ্রুত স্থাপনের মাধ্যমে সেতুটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হোক। তা না হলে মানুষ কবে এর সুফল ভোগ করতে পারবে, বলা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, গোমা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ এসেছিল সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের দেওয়া চাহিদাপত্রে (ডিও লেটার) অনুমোদনের মাধ্যমে। জাসদ নেতা মোহাম্মদ মোহসীনসহ এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই সেতু। সেতুটি চালু হলে বরিশাল সদর, বাকেরগঞ্জ ও পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এতে যাতায়াত, চিকিৎসা, বাণিজ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আসবে বলে আশা স্থানীয়দের।
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২৭
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৫
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:০৫
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২৭
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের কুয়াকাটা মহাসড়কসহ পুরো শহরের সড়ক এখন বেহাল দশায়। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অটোর চাকা আটকে যাচ্ছে খানাখন্দে, আবার কোথাও যাত্রীসহ অটো উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক ভাঙাচোরা থাকায় যাত্রী, চালক ও পথচারীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ছাড়াও ভোলা রোড, রুপাতলী, নথুল্লাবাদ, বাংলাবাজার ও নতুন বাজার এলাকায় খানাখন্দ বেশি। সড়কের পিচ-পাথর উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সাময়িকভাবে ইট ফেলে ভরাট করা হলেও তা টেকসই হচ্ছে না। প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। পদ্মা সেতু চালুর পর কুয়াকাটাগামী যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ায় চাপ বেড়েছে আরও।
কুয়াকাটা-ঢাকা রুটের বাসচালক কেরামত আলী বলেন, ‘সড়কের যে অবস্থা, তাতে বাস চালাতে অনেক ঝুঁকি নিতে হয়। যাত্রীরাও আতঙ্কে থাকেন। সময়ও বেশি লাগে। যে ধরনের সংস্কার করা হচ্ছে, তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আগেও এভাবে সংস্কার হয়েছে, কিন্তু টেকেনি।’
সওজ বরিশালের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান জানান, ‘আমরা সবসময়ই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সড়ককে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তবে এটি মাত্র ২৪ ফিটের একটি সিঙ্গেল রোড। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আমরা ২০০ মিটার রাস্তায় পাঁচটি স্পিড ব্রেকার দিয়েছি, যা একটি হাইওয়ের জন্য উপযোগী নয়। এখানে ভারী যানবাহন চলাচল করে, ফলে হঠাৎ গতি কমে গেলে সড়কের ক্ষতি হয়।
ফিটনেসবিহীন বেপরোয়া যানবাহন এবং মোটরচালিত যানও রাস্তার ক্ষতির বড় কারণ। বরিশালে আদর্শ সড়ক মাত্র ১২ কিলোমিটার। জায়গার অভাবে রাস্তা প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। জোড়া-তালি দিয়ে প্রশস্তকরণ করায় সড়কের লেভেল এক থাকে না, ফলে ত্রুটি থেকে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের অংশ থেকে ১৮ কিলোমিটার রাস্তা ওভারলেপিংয়ের আওতায় আসবে। তাছাড়া ট্রাফিক কন্ট্রোল ও সিন্ডিকেট সমস্যার কারণে নতুন যানবাহন প্রবেশ করাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। মাস্টারপ্ল্যানের অভাবে এই সড়ক বছরের পর বছর এভাবেই চলছে। তবে আসন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফুটওভার ব্রিজ নির্মিত হলে দুর্ঘটনা ও সড়ক অব্যবস্থাপনা অনেকটাই কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি।’
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার বলেন, ‘বর্ষাকালে বিটুমিনের কাজ করা যায় না। বর্ষা শেষ না হলে রাস্তা সংস্কার সম্ভব নয়। অতীতে টেন্ডার রাজনীতির কারণে দায়সারা কাজ হয়েছে, ফলে টেকসই হয়নি। হেভি লোড যানবাহন, স্পিড ব্রেকার ও লাইসেন্সবিহীন মোটরযানের কারণে রাস্তার ফ্লেক্সিবিলিটি নষ্ট হচ্ছে। আবার ফাইনান্সিয়াল সংকটের কারণে নতুন প্রজেক্টও বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, ‘একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কের এমন বেহাল অবস্থা সত্যিই হতাশাজনক। মাঝেমধ্যেই দেখি যাত্রীসহ অটো উল্টে যাচ্ছে। আমার নিজেরও চলাচলে ভোগান্তি হয়। কর্তৃপক্ষের যেমন গাফিলতি আছে, তেমনি আমাদের তাগিদের অভাবও রয়েছে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।’
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নূর লামিয়া তাবাসসুম (ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, ১১ ব্যাচ) বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরসাইকেল এসে ধাক্কা দেয়, আমি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পাই। আমার দুর্ঘটনার জন্য সড়কের অব্যবস্থাপনা, গাড়ির বেপরোয়া গতি এবং প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করি। নেই ফুটওভার ব্রিজ, রাস্তা পার হতে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এটা দুঃখজনক।’
এ পথের নিয়মিত যাত্রী ফয়সাল সাহেব জানায়, ‘প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় রাস্তাঘাটের খানাখন্দ আমার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাঁটার সময় ভয় থাকে কখন যে পা পিছলে যায়। কয়েকদিন আগে আমার পরিচিত একজন অটোতে উঠতে গিয়ে পড়ে পা মচকে ফেলেন। বয়স হয়েছে, তাই আরও বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক শুধু দক্ষিণাঞ্চলের নয়, পুরো দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। অথচ সড়কের এই বেহাল দশা প্রতিদিনই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের কুয়াকাটা মহাসড়কসহ পুরো শহরের সড়ক এখন বেহাল দশায়। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অটোর চাকা আটকে যাচ্ছে খানাখন্দে, আবার কোথাও যাত্রীসহ অটো উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক ভাঙাচোরা থাকায় যাত্রী, চালক ও পথচারীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ছাড়াও ভোলা রোড, রুপাতলী, নথুল্লাবাদ, বাংলাবাজার ও নতুন বাজার এলাকায় খানাখন্দ বেশি। সড়কের পিচ-পাথর উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সাময়িকভাবে ইট ফেলে ভরাট করা হলেও তা টেকসই হচ্ছে না। প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। পদ্মা সেতু চালুর পর কুয়াকাটাগামী যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ায় চাপ বেড়েছে আরও।
কুয়াকাটা-ঢাকা রুটের বাসচালক কেরামত আলী বলেন, ‘সড়কের যে অবস্থা, তাতে বাস চালাতে অনেক ঝুঁকি নিতে হয়। যাত্রীরাও আতঙ্কে থাকেন। সময়ও বেশি লাগে। যে ধরনের সংস্কার করা হচ্ছে, তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আগেও এভাবে সংস্কার হয়েছে, কিন্তু টেকেনি।’
সওজ বরিশালের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান জানান, ‘আমরা সবসময়ই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সড়ককে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তবে এটি মাত্র ২৪ ফিটের একটি সিঙ্গেল রোড। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আমরা ২০০ মিটার রাস্তায় পাঁচটি স্পিড ব্রেকার দিয়েছি, যা একটি হাইওয়ের জন্য উপযোগী নয়। এখানে ভারী যানবাহন চলাচল করে, ফলে হঠাৎ গতি কমে গেলে সড়কের ক্ষতি হয়।
ফিটনেসবিহীন বেপরোয়া যানবাহন এবং মোটরচালিত যানও রাস্তার ক্ষতির বড় কারণ। বরিশালে আদর্শ সড়ক মাত্র ১২ কিলোমিটার। জায়গার অভাবে রাস্তা প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। জোড়া-তালি দিয়ে প্রশস্তকরণ করায় সড়কের লেভেল এক থাকে না, ফলে ত্রুটি থেকে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের অংশ থেকে ১৮ কিলোমিটার রাস্তা ওভারলেপিংয়ের আওতায় আসবে। তাছাড়া ট্রাফিক কন্ট্রোল ও সিন্ডিকেট সমস্যার কারণে নতুন যানবাহন প্রবেশ করাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। মাস্টারপ্ল্যানের অভাবে এই সড়ক বছরের পর বছর এভাবেই চলছে। তবে আসন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফুটওভার ব্রিজ নির্মিত হলে দুর্ঘটনা ও সড়ক অব্যবস্থাপনা অনেকটাই কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি।’
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার বলেন, ‘বর্ষাকালে বিটুমিনের কাজ করা যায় না। বর্ষা শেষ না হলে রাস্তা সংস্কার সম্ভব নয়। অতীতে টেন্ডার রাজনীতির কারণে দায়সারা কাজ হয়েছে, ফলে টেকসই হয়নি। হেভি লোড যানবাহন, স্পিড ব্রেকার ও লাইসেন্সবিহীন মোটরযানের কারণে রাস্তার ফ্লেক্সিবিলিটি নষ্ট হচ্ছে। আবার ফাইনান্সিয়াল সংকটের কারণে নতুন প্রজেক্টও বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, ‘একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কের এমন বেহাল অবস্থা সত্যিই হতাশাজনক। মাঝেমধ্যেই দেখি যাত্রীসহ অটো উল্টে যাচ্ছে। আমার নিজেরও চলাচলে ভোগান্তি হয়। কর্তৃপক্ষের যেমন গাফিলতি আছে, তেমনি আমাদের তাগিদের অভাবও রয়েছে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।’
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নূর লামিয়া তাবাসসুম (ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, ১১ ব্যাচ) বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরসাইকেল এসে ধাক্কা দেয়, আমি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পাই। আমার দুর্ঘটনার জন্য সড়কের অব্যবস্থাপনা, গাড়ির বেপরোয়া গতি এবং প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করি। নেই ফুটওভার ব্রিজ, রাস্তা পার হতে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এটা দুঃখজনক।’
এ পথের নিয়মিত যাত্রী ফয়সাল সাহেব জানায়, ‘প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় রাস্তাঘাটের খানাখন্দ আমার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাঁটার সময় ভয় থাকে কখন যে পা পিছলে যায়। কয়েকদিন আগে আমার পরিচিত একজন অটোতে উঠতে গিয়ে পড়ে পা মচকে ফেলেন। বয়স হয়েছে, তাই আরও বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক শুধু দক্ষিণাঞ্চলের নয়, পুরো দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। অথচ সড়কের এই বেহাল দশা প্রতিদিনই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৫
বরিশালে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই কয়লা ও পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি লাইটার ভেসেলসহ ১২ চোরাকারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ডের একটি দল। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কোস্ট গার্ড স্টেশন বরিশাল কোতোয়ালি থানাধীন চরমোনাই আনন্দ ঘাট-সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে একটি সন্দেহজনক লাইটার ভেসেল তল্লাশি করা হয়। তল্লাশির পর ভেসেলটি থেকে ১ হাজার ১০০ টন চোরাই কয়লা জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ সময় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মোংলা হিরণ পয়েন্টে অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে এই কয়লা অসদুপায় অবলম্বন করে অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল।
জব্দ করা কয়লা, পাচারকাজে ব্যবহৃত লাইটার ভেসেল এবং আটক ১২ চোরাকারবারিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা।
বরিশালে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই কয়লা ও পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি লাইটার ভেসেলসহ ১২ চোরাকারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ডের একটি দল। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কোস্ট গার্ড স্টেশন বরিশাল কোতোয়ালি থানাধীন চরমোনাই আনন্দ ঘাট-সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে একটি সন্দেহজনক লাইটার ভেসেল তল্লাশি করা হয়। তল্লাশির পর ভেসেলটি থেকে ১ হাজার ১০০ টন চোরাই কয়লা জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ সময় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মোংলা হিরণ পয়েন্টে অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে এই কয়লা অসদুপায় অবলম্বন করে অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল।
জব্দ করা কয়লা, পাচারকাজে ব্যবহৃত লাইটার ভেসেল এবং আটক ১২ চোরাকারবারিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা।

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:০৫
শয়তানের নিঃশ্বাসের খপ্পরে পড়ে ২৭ বছরের গৃহবধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মামলা হলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরিশাল কোতয়ালি থানার ওসিকে আসামির বিরুদ্ধে এজাহার করার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উপরোক্ত নির্দেশ দেন।
নগরের ২৬ নং ওয়ার্ডের হরিনাফুলিয়া এলাকার আসমা আক্তার বাদী হয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের রাসেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। বাদি মামলায় উল্লেখ করেন তার সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ হয় আসামীর।
বাদির আইডি কার্ড সংশোধন করে দেওয়ার কথা বলে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলে। গত ১২ নভেম্বর বাদি বাস স্ট্যান্ড আসলে শয়তানের নিঃশ্বাস দিয়া বাদিসহ তার নবজাত শিশু সন্তানকে ঢাকা নিয়ে যায়। এরপর ১২ ই নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাঁদিকে খুনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাদি স্বামীকে জানালে স্বামী ১৯ নভেম্বর ঢাকা গিয়ে বাদিকে উদ্ধার করে বরিশাল নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ২৭বছরের ওই গৃহবধূ বৃহস্পতিবার বরিশাল আদালতে হাজির হয়ে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন।
শয়তানের নিঃশ্বাসের খপ্পরে পড়ে ২৭ বছরের গৃহবধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মামলা হলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরিশাল কোতয়ালি থানার ওসিকে আসামির বিরুদ্ধে এজাহার করার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উপরোক্ত নির্দেশ দেন।
নগরের ২৬ নং ওয়ার্ডের হরিনাফুলিয়া এলাকার আসমা আক্তার বাদী হয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের রাসেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। বাদি মামলায় উল্লেখ করেন তার সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ হয় আসামীর।
বাদির আইডি কার্ড সংশোধন করে দেওয়ার কথা বলে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলে। গত ১২ নভেম্বর বাদি বাস স্ট্যান্ড আসলে শয়তানের নিঃশ্বাস দিয়া বাদিসহ তার নবজাত শিশু সন্তানকে ঢাকা নিয়ে যায়। এরপর ১২ ই নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাঁদিকে খুনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাদি স্বামীকে জানালে স্বামী ১৯ নভেম্বর ঢাকা গিয়ে বাদিকে উদ্ধার করে বরিশাল নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ২৭বছরের ওই গৃহবধূ বৃহস্পতিবার বরিশাল আদালতে হাজির হয়ে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.