
০২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:২৭
বরগুনায় সরকারি টেলিযোগাযোগ সংস্থা বিটিসিএল এর প্রায় ৯ শতাধিক গ্রাহকের কাছে টেলিফোন বিল বকেয়া রয়েছে। আর এসব গ্রাহকের অধিকাংশের প্রকৃত তথ্য জানা না থাকায় এবং জনবল সংকটের কারণে বকেয়া বিল আদায়ে বিড়ম্বনায় পড়ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তাদের ধারণা, বর্তমানে গ্রাহকের কাছে বিল বকেয়া রয়েছে অন্তত অর্ধকোটি টাকা। তবে এসব বকেয়া বিল আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনার বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ।
টেলিযোগাযোগ সংস্থা বিটিসিএল বরগুনা অফিস সূত্রে জানা যায়, বরগুনায় বকেয়া বিলসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমানে ৯ শতাধিক গ্রাহকের সংযোগ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী বরগুনা সদরসহ ছয়টি উপজেলায় মোট ৬৯৪টি টেলিফোন সংযোগ সচল রয়েছে।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৭৪টি, পাথরঘাটায় ৫২টি, আমতলী ৭৭টি, বেতাগী ৫১টি, বামনা ৩৭টি এবং তালতলীতে রয়েছে ২৫টি। এছাড়াও এডিএসএল সংযোগ রয়েছে ৭৮টি এবং জিপন সংযোগ রয়েছে আরও ১০৭৫টি।
বরগুনায় টেলিফোন সার্ভিসের বিভিন্ন সুবিধা পেতে সংযোগ নেওয়া গ্রাহকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিল বকেয়া থাকা ১৫ গ্রাহককে সনাক্ত করছে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১০ লাখ টাকা বকেয়া বিল আদায় করতে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছেন বিটিসিএল।
এছাড়া ৭ লাখ ৫৯ হাজার টাকা বকেয়া বিল আদায় করতে আরও ২০ গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে অনেক গ্রাহকেরই সঠিক পরিচয় এবং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় খুঁজে না পাওয়ায় বকেয়া আদায়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না বরগুনার বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ।
বিটিসিএল বরগুনা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বরগুনা পৌর শহরের কলেজ রোড নামক এলাকার বাসিন্দা স্বপন কুমার রায় নামে এক গ্রাহকের কাছে টেলিফোন বিল বকেয়া রয়েছে।
তবে ওই এলাকায় স্বপন কুমার বা তার কোনো স্বজনকেও খুঁজে না পাওয়ায় আদায় করা যাচ্ছে না তার কাছে পাওনা টেলিফোন বিলের ২ লাখ ৯ হাজার টাকা। এছাড়াও খোঁজ নেই পৌর শহরের বালিকা বিদ্যালয় সড়কের আরেক গ্রাহক কামরুল ইসলাম কাঞ্চনের। তার কাছেও বর্তমানে টেলিফোন বিল বকেয়া রয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার টাকা। এদের মতোই খোঁজ মিলছে বরগুনার আরও অনেক গ্রাহকের।
সরেজমিনে কলেজ রোড এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তেমন কেউই স্বপন কুমার নামে কাউকে চেনেন না। আবার অনেকে বলেছেন তিনি দীর্ঘদিন আগেই বরগুনা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বর্তমানে তিনি ভারতে বসবাস করছেন এমন কথাও বলছেন অনেকে।
ওই এলাকার স্থানীয় এক প্রবীণ বাসিন্দা শান্তি রঞ্জন সরকার বলেন, এলাকর বাসিন্দাদের মধ্যে প্রায় সকলেরই আমি নাম বলতে পারি। তবে স্বপন কুমার রায় নামে কাউকে আমি চিনি না। এবং তিনি যদি এ এলাকায় থাকেনও তবে তার টেলিফোন সংযোগ ছিল কীনা তা আমার জানা নেই।
কলেজ রোড এলাকায় রতন নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, আমি ছোট থেকেই এ এলাকায় বসবাস করছি, কিন্তু স্বপন কুমার রায় নামে কাউকে চিনি না। এমনকি এ নামের কেউ এ এলাকায় আছেন তাও শুনিনি।
অজয় নামে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, স্বপন কুমার রায়ের বাবার নাম ছিল স্বর্ণ কর্মকার। রায় বংশ বলে পরিচিত থাকলেও মূলত তারা ছিল কর্মকার। আমি যতটুকু জানি প্রায় ২০-২৫ বছর আগে বরগুনায় থাকা তাদের সকল পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে ভারতে চলে গেছেন।
বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন মেয়াদে এভাবেই বিটিসিএল এর টেলিফোন বিল বকেয়া রয়েছে বরগুনার প্রায় ৯ শতাধিক গ্রাহকের। এদের মধ্যে অনেকেরই পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংরক্ষণ না থাকায় পরিচয় শনাক্ত করতে পারছে না বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ। ফলে আটকে আছে বকেয়া বিল আদায় প্রক্রিয়া।
বিটিসিএল বরগুনা কার্যালয়ের অফিস সহকারী ওবায়দুর রহমান ফজলু বলেন, বরগুনায় ১৯৮০-১৯৯৫ সালের দিকে যে সমস্ত সংযোগ দেওয়া হয়েছে সেখানে শুধুমাত্র গ্রাহকেরই নাম আছে। কোন এলাকার বাসিন্দা এবং গ্রাহকের বাবার নাম কী তাও উল্লেখ নেই। এ কারণেই ওই সময়ে সংযোগ প্রাপ্ত গ্রাহকদের খুঁজে বের করে বকেয়া আদায় করতে পারছি না।
রাষ্ট্রের টাকা কোনোভাবে অনাদায়ী রাখার সুযোগ নেই জানিয়ে বরগুনা জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্রাহকদের যখন সংযোগ দেওয়া হয়েছে তখন ব্যাংকে টাকা জমা নেওয়া হয়েছে। হয়তো তারা কিছু বিল জমাও দিয়েছেন।
ব্যক্তি পর্যায়ে এখন যারা বকেয়া বিল দিচ্ছে না এবং যাদের সনাক্ত করা যাচ্ছে না তাদেরকে ওই সময় যারা সংযোগ দিয়েছেন তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন। বিটিসিএল কোনোভাবেই তাদের দায় দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। বরগুনায় বকেয়া বিল আদায় করতে বিটিসিএল কর্তৃক যেকোনো আইনি পদক্ষেপে আমাদের সহযোগিতা থাকবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে বরগুনা টেলিকম উপ-বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. বনি আমিন বলেন, দীর্ঘদিন যাদের বিল বকেয়া থাকে তাদের সংযোগগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় যাতে পরবর্তীতে তাদের বিল আরও বাড়তে না পারে। এছাড়াও বকেয়া থাকা প্রত্যেক গ্রাহককেই আমরা পরপর তিনটি নোটিশ প্রদান করি। নোটিশের জবাব পেলে অথবা না পেলে সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের রেভিনিউ শাখা রয়েছে কিন্তু জনবল শূন্য। একজন টেকনিক্যাল পার্সনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার জানাশোনা কম এবং প্রশিক্ষণের ঘাটতিসহ জনবল কম থাকায় সবকিছু সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হয়।
বরগুনায় বকেয়া বিলের প্রকৃত তথ্য অজানা থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, বিটিসিএল এর জিপন সার্ভিসটি আসার পর ২০২২ সালের আগস্ট থেকে অনলাইন সিস্টেম চালু হয়েছে। ওই সময়ের পর থেকে আমাদের সকল গ্রাহকদের তথ্য হালনাগাদ করা আছে।
তবে এর আগে লেজার সিস্টেম থাকায় তা দেখে দেখে ওই সময়ের গ্রাহকদের সনাক্ত করতে হয়। কিন্তু আমাদের জনবল ঘাটতি এবং আগের কপার সিস্টেমে যে গ্রাহক আছেন তাদের বকেয়া বিল এখন পর্যন্ত হালনাগাদ করতে পারিনি। তবে পর্যাপ্ত জনবল পেলে আমরা দ্রুতই সবকিছু হালনাগাদ করতে পারবো।
বরগুনায় সরকারি টেলিযোগাযোগ সংস্থা বিটিসিএল এর প্রায় ৯ শতাধিক গ্রাহকের কাছে টেলিফোন বিল বকেয়া রয়েছে। আর এসব গ্রাহকের অধিকাংশের প্রকৃত তথ্য জানা না থাকায় এবং জনবল সংকটের কারণে বকেয়া বিল আদায়ে বিড়ম্বনায় পড়ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তাদের ধারণা, বর্তমানে গ্রাহকের কাছে বিল বকেয়া রয়েছে অন্তত অর্ধকোটি টাকা। তবে এসব বকেয়া বিল আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনার বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ।
টেলিযোগাযোগ সংস্থা বিটিসিএল বরগুনা অফিস সূত্রে জানা যায়, বরগুনায় বকেয়া বিলসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমানে ৯ শতাধিক গ্রাহকের সংযোগ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী বরগুনা সদরসহ ছয়টি উপজেলায় মোট ৬৯৪টি টেলিফোন সংযোগ সচল রয়েছে।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৭৪টি, পাথরঘাটায় ৫২টি, আমতলী ৭৭টি, বেতাগী ৫১টি, বামনা ৩৭টি এবং তালতলীতে রয়েছে ২৫টি। এছাড়াও এডিএসএল সংযোগ রয়েছে ৭৮টি এবং জিপন সংযোগ রয়েছে আরও ১০৭৫টি।
বরগুনায় টেলিফোন সার্ভিসের বিভিন্ন সুবিধা পেতে সংযোগ নেওয়া গ্রাহকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিল বকেয়া থাকা ১৫ গ্রাহককে সনাক্ত করছে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১০ লাখ টাকা বকেয়া বিল আদায় করতে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছেন বিটিসিএল।
এছাড়া ৭ লাখ ৫৯ হাজার টাকা বকেয়া বিল আদায় করতে আরও ২০ গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে অনেক গ্রাহকেরই সঠিক পরিচয় এবং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় খুঁজে না পাওয়ায় বকেয়া আদায়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না বরগুনার বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ।
বিটিসিএল বরগুনা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বরগুনা পৌর শহরের কলেজ রোড নামক এলাকার বাসিন্দা স্বপন কুমার রায় নামে এক গ্রাহকের কাছে টেলিফোন বিল বকেয়া রয়েছে।
তবে ওই এলাকায় স্বপন কুমার বা তার কোনো স্বজনকেও খুঁজে না পাওয়ায় আদায় করা যাচ্ছে না তার কাছে পাওনা টেলিফোন বিলের ২ লাখ ৯ হাজার টাকা। এছাড়াও খোঁজ নেই পৌর শহরের বালিকা বিদ্যালয় সড়কের আরেক গ্রাহক কামরুল ইসলাম কাঞ্চনের। তার কাছেও বর্তমানে টেলিফোন বিল বকেয়া রয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার টাকা। এদের মতোই খোঁজ মিলছে বরগুনার আরও অনেক গ্রাহকের।
সরেজমিনে কলেজ রোড এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তেমন কেউই স্বপন কুমার নামে কাউকে চেনেন না। আবার অনেকে বলেছেন তিনি দীর্ঘদিন আগেই বরগুনা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বর্তমানে তিনি ভারতে বসবাস করছেন এমন কথাও বলছেন অনেকে।
ওই এলাকার স্থানীয় এক প্রবীণ বাসিন্দা শান্তি রঞ্জন সরকার বলেন, এলাকর বাসিন্দাদের মধ্যে প্রায় সকলেরই আমি নাম বলতে পারি। তবে স্বপন কুমার রায় নামে কাউকে আমি চিনি না। এবং তিনি যদি এ এলাকায় থাকেনও তবে তার টেলিফোন সংযোগ ছিল কীনা তা আমার জানা নেই।
কলেজ রোড এলাকায় রতন নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, আমি ছোট থেকেই এ এলাকায় বসবাস করছি, কিন্তু স্বপন কুমার রায় নামে কাউকে চিনি না। এমনকি এ নামের কেউ এ এলাকায় আছেন তাও শুনিনি।
অজয় নামে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, স্বপন কুমার রায়ের বাবার নাম ছিল স্বর্ণ কর্মকার। রায় বংশ বলে পরিচিত থাকলেও মূলত তারা ছিল কর্মকার। আমি যতটুকু জানি প্রায় ২০-২৫ বছর আগে বরগুনায় থাকা তাদের সকল পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে ভারতে চলে গেছেন।
বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন মেয়াদে এভাবেই বিটিসিএল এর টেলিফোন বিল বকেয়া রয়েছে বরগুনার প্রায় ৯ শতাধিক গ্রাহকের। এদের মধ্যে অনেকেরই পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংরক্ষণ না থাকায় পরিচয় শনাক্ত করতে পারছে না বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ। ফলে আটকে আছে বকেয়া বিল আদায় প্রক্রিয়া।
বিটিসিএল বরগুনা কার্যালয়ের অফিস সহকারী ওবায়দুর রহমান ফজলু বলেন, বরগুনায় ১৯৮০-১৯৯৫ সালের দিকে যে সমস্ত সংযোগ দেওয়া হয়েছে সেখানে শুধুমাত্র গ্রাহকেরই নাম আছে। কোন এলাকার বাসিন্দা এবং গ্রাহকের বাবার নাম কী তাও উল্লেখ নেই। এ কারণেই ওই সময়ে সংযোগ প্রাপ্ত গ্রাহকদের খুঁজে বের করে বকেয়া আদায় করতে পারছি না।
রাষ্ট্রের টাকা কোনোভাবে অনাদায়ী রাখার সুযোগ নেই জানিয়ে বরগুনা জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্রাহকদের যখন সংযোগ দেওয়া হয়েছে তখন ব্যাংকে টাকা জমা নেওয়া হয়েছে। হয়তো তারা কিছু বিল জমাও দিয়েছেন।
ব্যক্তি পর্যায়ে এখন যারা বকেয়া বিল দিচ্ছে না এবং যাদের সনাক্ত করা যাচ্ছে না তাদেরকে ওই সময় যারা সংযোগ দিয়েছেন তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন। বিটিসিএল কোনোভাবেই তাদের দায় দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। বরগুনায় বকেয়া বিল আদায় করতে বিটিসিএল কর্তৃক যেকোনো আইনি পদক্ষেপে আমাদের সহযোগিতা থাকবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে বরগুনা টেলিকম উপ-বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. বনি আমিন বলেন, দীর্ঘদিন যাদের বিল বকেয়া থাকে তাদের সংযোগগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় যাতে পরবর্তীতে তাদের বিল আরও বাড়তে না পারে। এছাড়াও বকেয়া থাকা প্রত্যেক গ্রাহককেই আমরা পরপর তিনটি নোটিশ প্রদান করি। নোটিশের জবাব পেলে অথবা না পেলে সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের রেভিনিউ শাখা রয়েছে কিন্তু জনবল শূন্য। একজন টেকনিক্যাল পার্সনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার জানাশোনা কম এবং প্রশিক্ষণের ঘাটতিসহ জনবল কম থাকায় সবকিছু সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হয়।
বরগুনায় বকেয়া বিলের প্রকৃত তথ্য অজানা থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, বিটিসিএল এর জিপন সার্ভিসটি আসার পর ২০২২ সালের আগস্ট থেকে অনলাইন সিস্টেম চালু হয়েছে। ওই সময়ের পর থেকে আমাদের সকল গ্রাহকদের তথ্য হালনাগাদ করা আছে।
তবে এর আগে লেজার সিস্টেম থাকায় তা দেখে দেখে ওই সময়ের গ্রাহকদের সনাক্ত করতে হয়। কিন্তু আমাদের জনবল ঘাটতি এবং আগের কপার সিস্টেমে যে গ্রাহক আছেন তাদের বকেয়া বিল এখন পর্যন্ত হালনাগাদ করতে পারিনি। তবে পর্যাপ্ত জনবল পেলে আমরা দ্রুতই সবকিছু হালনাগাদ করতে পারবো।
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:২৪
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:০৯
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৮

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:০৯
বরগুনার তালতলীতে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে গাছ কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযুক্ত বিট কর্মকর্তার নাম হায়দার আলী। তিনি উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া বিটের দায়িত্বে রয়েছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন। এমনকি তাদের অর্থের প্রলোভনও দেখান তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর যোগসাজশে প্রায়শই বনের গাছ কাটা হয়। তিনি যোগদানের পর থেকেই বনাঞ্চলে গাছ কাটার প্রবণতা বেড়েছে। গাছচোর সিন্ডিকেটের সঙ্গে তার প্রত্যক্ষ যোগসাজশ রয়েছে। সম্প্রতি নিশানবাড়িয়া বিটের বনাঞ্চল থেকে বড় আকারের পাঁচটি কেওড়াগাছ কাটা হয়েছে।
কাটা গাছের শিকড় ও পাশের গাছ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিটির দাম ২০ হাজার টাকা করে হবে। সে হিসাবে এক লাখ টাকার গাছ কাটা হয়েছে। বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই সুযোগবুঝে গাছগুলো কাটা হয়েছে। এভাবে লোকচক্ষুর আড়ালে বনের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায়ই গাছ কাটা হয়। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।
হায়দার আলীর বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রতি বছর বনের চরের জমি স্থানীয় জেলেদের কাছে ইজারা দিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এমনকি আটক করা জেলের ট্রলার বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কার্যালয়ে যেতে বলেন। পরে কার্যালয়ে কথোপকথনের এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ করেন। তিনি অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ম্যানেজ করারও চেষ্টা করেন।
উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। গাছ কাটার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালতলীর ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) সেবক মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ পেয়েছি। রেঞ্জ কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।’
বরগুনার তালতলীতে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে গাছ কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযুক্ত বিট কর্মকর্তার নাম হায়দার আলী। তিনি উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া বিটের দায়িত্বে রয়েছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন। এমনকি তাদের অর্থের প্রলোভনও দেখান তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর যোগসাজশে প্রায়শই বনের গাছ কাটা হয়। তিনি যোগদানের পর থেকেই বনাঞ্চলে গাছ কাটার প্রবণতা বেড়েছে। গাছচোর সিন্ডিকেটের সঙ্গে তার প্রত্যক্ষ যোগসাজশ রয়েছে। সম্প্রতি নিশানবাড়িয়া বিটের বনাঞ্চল থেকে বড় আকারের পাঁচটি কেওড়াগাছ কাটা হয়েছে।
কাটা গাছের শিকড় ও পাশের গাছ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিটির দাম ২০ হাজার টাকা করে হবে। সে হিসাবে এক লাখ টাকার গাছ কাটা হয়েছে। বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই সুযোগবুঝে গাছগুলো কাটা হয়েছে। এভাবে লোকচক্ষুর আড়ালে বনের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায়ই গাছ কাটা হয়। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।
হায়দার আলীর বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রতি বছর বনের চরের জমি স্থানীয় জেলেদের কাছে ইজারা দিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এমনকি আটক করা জেলের ট্রলার বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কার্যালয়ে যেতে বলেন। পরে কার্যালয়ে কথোপকথনের এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ করেন। তিনি অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ম্যানেজ করারও চেষ্টা করেন।
উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। গাছ কাটার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালতলীর ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) সেবক মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ পেয়েছি। রেঞ্জ কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।’

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:১১
বরগুনার তালতলীতে নছিমন উল্টে মাসুম (৩৫) নামের এক টিউবওয়েল শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় ড্রাইভারসহ গুরুতর আহত হয়েছেন আরো তিনজন।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে জেলার আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়কের সানুর বাজারের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মাসুম আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চন্দ্রা গ্রামের আবুল চৌকিদারের ছেলে। আহতরা হলেন একই গ্রামের আবির হোসেন ও পাথরঘাটা উপজেলার চর মাসুয়াখালি গ্রামের হৃদয়। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, তালতলী থেকে টিউবওয়েলের মালামাল বহন করে নছিমনযোগে আটজন শ্রমিক কলাপাড়া যাচ্ছিলেন।
পথে হরিণবাড়িয়া ব্রিজ পার হয়ে সানুর বাজারের আগে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। ওই সময় গাড়ির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মাসুমের।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ‘খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবারের কেউ হাসপাতালে আসেননি।
বরগুনার তালতলীতে নছিমন উল্টে মাসুম (৩৫) নামের এক টিউবওয়েল শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় ড্রাইভারসহ গুরুতর আহত হয়েছেন আরো তিনজন।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে জেলার আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়কের সানুর বাজারের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মাসুম আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চন্দ্রা গ্রামের আবুল চৌকিদারের ছেলে। আহতরা হলেন একই গ্রামের আবির হোসেন ও পাথরঘাটা উপজেলার চর মাসুয়াখালি গ্রামের হৃদয়। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, তালতলী থেকে টিউবওয়েলের মালামাল বহন করে নছিমনযোগে আটজন শ্রমিক কলাপাড়া যাচ্ছিলেন।
পথে হরিণবাড়িয়া ব্রিজ পার হয়ে সানুর বাজারের আগে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। ওই সময় গাড়ির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মাসুমের।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ‘খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবারের কেউ হাসপাতালে আসেননি।

২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:৩২
প্রতিবন্ধী, বিধবা, বয়স্ক ভাতাসহ সরকারি ভাতাভোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবা পেতে 'বিশ্বস্ত সেবা' কার্ডের নামে বিশেষ সুবিধার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক এন্ড মেডিকেল সেন্টার এ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে।
জানা যায়, সবশেষ পাথরঘাটা উপজেলায় ২২ হাজার ৭৩০ জন ভাতাভোগি রয়েছে। এসব ভাতাভোগিদের সকল চিকিৎসা, চিকিৎসক ফি ৪০ ভাগ ছাড় এবং সকল ধরনের রক্ত পরীক্ষা ফ্রি সেবা দেয়া হবে।
বুধবার পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ কার্যক্রম নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজানুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নিল রতন সরকার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহসিন হোসেন, উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি এরফান আহমেদ সোয়েন সহ অর্ধশত ভাতাভোগী।
এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক এন্ড মেডিকেল সেন্টার পরিচালক সাইমুম দিপু বলেন, এমনিতেই পাথরঘাটা উপজেলাটি নদীবেষ্টিত। সে কারণে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যাও বেশি। তারা সব সময়ই অবহেলিত। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী, বিধবাসহ সরকারি ভাতাভোগি অন্যতম। এসকল মানুষ চিকিৎসা সেবা পেতে নানামুখী বাধার সম্মুখীন হয় পাশাপাশি আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে চিকিৎসা সেবাও পায়না। তাদের কথা বিবেচনা করে আমি এ উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, নিবন্ধিত ভাতাভোগী আমাদের তালিকাভুক্ত হলে তাদের কার্ড দিবো। যার নাম 'বিশ্বস্ত সেবা' কার্ড। এ কার্ডধারীদের সকল ধরনের রক্ত পরীক্ষা ৪০ ভাগ ছাড়, রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ফ্রি।
ডা. নিল রতন সরকার বলেন, এ উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। ধারাবাহিকতা থাকলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাবে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে তাদের পরিবেশ সন্তোষজনক।
এ সময় বক্তারা বলেন, এ উদ্যোগ পাথরঘাটার সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য একটি সময়োপযোগী ও মানবিক পদক্ষেপ। আধুনিক ও মানসম্মত চিকিৎসা সুবিধা সুলভ মূল্যে পাওয়ার ফলে মানুষের ভোগান্তি কমবে এবং স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত হবে।
প্রতিবন্ধী, বিধবা, বয়স্ক ভাতাসহ সরকারি ভাতাভোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবা পেতে 'বিশ্বস্ত সেবা' কার্ডের নামে বিশেষ সুবিধার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক এন্ড মেডিকেল সেন্টার এ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে।
জানা যায়, সবশেষ পাথরঘাটা উপজেলায় ২২ হাজার ৭৩০ জন ভাতাভোগি রয়েছে। এসব ভাতাভোগিদের সকল চিকিৎসা, চিকিৎসক ফি ৪০ ভাগ ছাড় এবং সকল ধরনের রক্ত পরীক্ষা ফ্রি সেবা দেয়া হবে।
বুধবার পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ কার্যক্রম নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজানুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নিল রতন সরকার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহসিন হোসেন, উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি এরফান আহমেদ সোয়েন সহ অর্ধশত ভাতাভোগী।
এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক এন্ড মেডিকেল সেন্টার পরিচালক সাইমুম দিপু বলেন, এমনিতেই পাথরঘাটা উপজেলাটি নদীবেষ্টিত। সে কারণে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যাও বেশি। তারা সব সময়ই অবহেলিত। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী, বিধবাসহ সরকারি ভাতাভোগি অন্যতম। এসকল মানুষ চিকিৎসা সেবা পেতে নানামুখী বাধার সম্মুখীন হয় পাশাপাশি আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে চিকিৎসা সেবাও পায়না। তাদের কথা বিবেচনা করে আমি এ উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, নিবন্ধিত ভাতাভোগী আমাদের তালিকাভুক্ত হলে তাদের কার্ড দিবো। যার নাম 'বিশ্বস্ত সেবা' কার্ড। এ কার্ডধারীদের সকল ধরনের রক্ত পরীক্ষা ৪০ ভাগ ছাড়, রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ফ্রি।
ডা. নিল রতন সরকার বলেন, এ উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। ধারাবাহিকতা থাকলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাবে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে তাদের পরিবেশ সন্তোষজনক।
এ সময় বক্তারা বলেন, এ উদ্যোগ পাথরঘাটার সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য একটি সময়োপযোগী ও মানবিক পদক্ষেপ। আধুনিক ও মানসম্মত চিকিৎসা সুবিধা সুলভ মূল্যে পাওয়ার ফলে মানুষের ভোগান্তি কমবে এবং স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত হবে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.