dreamliferupatolibarisal

বরগুনা

বরগুনায় বকেয়া বিল পরিশোধে গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা করছে বিটিসিএল

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:২৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরগুনায় বকেয়া বিল পরিশোধে গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা করছে বিটিসিএল

বরগুনায় সরকারি টেলিযোগাযোগ সংস্থা বিটিসিএল এর প্রায় ৯ শতাধিক গ্রাহকের কাছে টেলিফোন বিল বকেয়া রয়েছে। আর এসব গ্রাহকের অধিকাংশের প্রকৃত তথ্য জানা না থাকায় এবং জনবল সংকটের কারণে বকেয়া বিল আদায়ে বিড়ম্বনায় পড়ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

তাদের ধারণা, বর্তমানে গ্রাহকের কাছে বিল বকেয়া রয়েছে অন্তত অর্ধকোটি টাকা। তবে এসব বকেয়া বিল আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনার বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ।

টেলিযোগাযোগ সংস্থা বিটিসিএল বরগুনা অফিস সূত্রে জানা যায়, বরগুনায় বকেয়া বিলসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমানে ৯ শতাধিক গ্রাহকের সংযোগ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী বরগুনা সদরসহ ছয়টি উপজেলায় মোট ৬৯৪টি টেলিফোন সংযোগ সচল রয়েছে।

এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৭৪টি, পাথরঘাটায় ৫২টি, আমতলী ৭৭টি, বেতাগী ৫১টি, বামনা ৩৭টি এবং তালতলীতে রয়েছে ২৫টি। এছাড়াও এডিএসএল সংযোগ রয়েছে ৭৮টি এবং জিপন সংযোগ রয়েছে আরও ১০৭৫টি।

বরগুনায় টেলিফোন সার্ভিসের বিভিন্ন সুবিধা পেতে সংযোগ নেওয়া গ্রাহকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিল বকেয়া থাকা ১৫ গ্রাহককে সনাক্ত করছে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১০ লাখ টাকা বকেয়া বিল আদায় করতে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছেন বিটিসিএল।

এছাড়া ৭ লাখ ৫৯ হাজার টাকা বকেয়া বিল আদায় করতে আরও ২০ গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে অনেক গ্রাহকেরই সঠিক পরিচয় এবং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় খুঁজে না পাওয়ায় বকেয়া আদায়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না বরগুনার বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ।

বিটিসিএল বরগুনা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বরগুনা পৌর শহরের কলেজ রোড নামক এলাকার বাসিন্দা স্বপন কুমার রায় নামে এক গ্রাহকের কাছে টেলিফোন বিল বকেয়া রয়েছে।

তবে ওই এলাকায় স্বপন কুমার বা তার কোনো স্বজনকেও খুঁজে না পাওয়ায় আদায় করা যাচ্ছে না তার কাছে পাওনা টেলিফোন বিলের ২ লাখ ৯ হাজার টাকা। এছাড়াও খোঁজ নেই পৌর শহরের বালিকা বিদ্যালয় সড়কের আরেক গ্রাহক কামরুল ইসলাম কাঞ্চনের। তার কাছেও বর্তমানে টেলিফোন বিল বকেয়া রয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার টাকা। এদের মতোই খোঁজ মিলছে বরগুনার আরও অনেক গ্রাহকের।

সরেজমিনে কলেজ রোড এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তেমন কেউই স্বপন কুমার নামে কাউকে চেনেন না। আবার অনেকে বলেছেন তিনি দীর্ঘদিন আগেই বরগুনা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বর্তমানে তিনি ভারতে বসবাস করছেন এমন কথাও বলছেন অনেকে।

ওই এলাকার স্থানীয় এক প্রবীণ বাসিন্দা শান্তি রঞ্জন সরকার বলেন, এলাকর বাসিন্দাদের মধ্যে প্রায় সকলেরই আমি নাম বলতে পারি। তবে স্বপন কুমার রায় নামে কাউকে আমি চিনি না। এবং তিনি যদি এ এলাকায় থাকেনও তবে তার টেলিফোন সংযোগ ছিল কীনা তা আমার জানা নেই।

কলেজ রোড এলাকায় রতন নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, আমি ছোট থেকেই এ এলাকায় বসবাস করছি, কিন্তু স্বপন কুমার রায় নামে কাউকে চিনি না। এমনকি এ নামের কেউ এ এলাকায় আছেন তাও শুনিনি।

অজয় নামে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, স্বপন কুমার রায়ের বাবার নাম ছিল স্বর্ণ কর্মকার। রায় বংশ বলে পরিচিত থাকলেও মূলত তারা ছিল কর্মকার। আমি যতটুকু জানি প্রায় ২০-২৫ বছর আগে বরগুনায় থাকা তাদের সকল পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে ভারতে চলে গেছেন।

বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন মেয়াদে এভাবেই বিটিসিএল এর টেলিফোন বিল বকেয়া রয়েছে বরগুনার প্রায় ৯ শতাধিক গ্রাহকের। এদের মধ্যে অনেকেরই পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংরক্ষণ না থাকায় পরিচয় শনাক্ত করতে পারছে না বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ। ফলে আটকে আছে বকেয়া বিল আদায় প্রক্রিয়া।

বিটিসিএল বরগুনা কার্যালয়ের অফিস সহকারী ওবায়দুর রহমান ফজলু বলেন, বরগুনায় ১৯৮০-১৯৯৫ সালের দিকে যে সমস্ত সংযোগ দেওয়া হয়েছে সেখানে শুধুমাত্র গ্রাহকেরই নাম আছে। কোন এলাকার বাসিন্দা এবং গ্রাহকের বাবার নাম কী তাও উল্লেখ নেই। এ কারণেই ওই সময়ে সংযোগ প্রাপ্ত গ্রাহকদের খুঁজে বের করে বকেয়া আদায় করতে পারছি না।

রাষ্ট্রের টাকা কোনোভাবে অনাদায়ী রাখার সুযোগ নেই জানিয়ে বরগুনা জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্রাহকদের যখন সংযোগ দেওয়া হয়েছে তখন ব্যাংকে টাকা জমা নেওয়া হয়েছে। হয়তো তারা কিছু বিল জমাও দিয়েছেন।

ব্যক্তি পর্যায়ে এখন যারা বকেয়া বিল দিচ্ছে না এবং যাদের সনাক্ত করা যাচ্ছে না তাদেরকে ওই সময় যারা সংযোগ দিয়েছেন তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন। বিটিসিএল কোনোভাবেই তাদের দায় দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। বরগুনায় বকেয়া বিল আদায় করতে বিটিসিএল কর্তৃক যেকোনো আইনি পদক্ষেপে আমাদের সহযোগিতা থাকবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে বরগুনা টেলিকম উপ-বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. বনি আমিন বলেন, দীর্ঘদিন যাদের বিল বকেয়া থাকে তাদের সংযোগগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় যাতে পরবর্তীতে তাদের বিল আরও বাড়তে না পারে। এছাড়াও বকেয়া থাকা প্রত্যেক গ্রাহককেই আমরা পরপর তিনটি নোটিশ প্রদান করি। নোটিশের জবাব পেলে অথবা না পেলে সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের রেভিনিউ শাখা রয়েছে কিন্তু জনবল শূন্য। একজন টেকনিক্যাল পার্সনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার জানাশোনা কম এবং প্রশিক্ষণের ঘাটতিসহ জনবল কম থাকায় সবকিছু সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হয়।

বরগুনায় বকেয়া বিলের প্রকৃত তথ্য অজানা থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, বিটিসিএল এর জিপন সার্ভিসটি আসার পর ২০২২ সালের আগস্ট থেকে অনলাইন সিস্টেম চালু হয়েছে। ওই সময়ের পর থেকে আমাদের সকল গ্রাহকদের তথ্য হালনাগাদ করা আছে।

তবে এর আগে লেজার সিস্টেম থাকায় তা দেখে দেখে ওই সময়ের গ্রাহকদের সনাক্ত করতে হয়। কিন্তু আমাদের জনবল ঘাটতি এবং আগের কপার সিস্টেমে যে গ্রাহক আছেন তাদের বকেয়া বিল এখন পর্যন্ত হালনাগাদ করতে পারিনি। তবে পর্যাপ্ত জনবল পেলে আমরা দ্রুতই সবকিছু হালনাগাদ করতে পারবো।

তালতলীতে জলবায়ু ঋণ বাতিল করার দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচি

রিয়াজুল ইসলাম, তালতলী

রিয়াজুল ইসলাম, তালতলী

১৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:১০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

তালতলীতে জলবায়ু ঋণ বাতিল করার দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচি

ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায্য রূপান্তর এখনই' এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জলবায়ু ঋণ বাতিল করার দাবিতে বরগুনার তালতলীতে পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা),  পিপীলিকা'র পাঠশালা, বিডি ক্লিন-তালতলী ও নিদ্রা পর্যটন উদ্যোক্তা কমিটির আয়োজনে এ পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এ পদযাত্রা উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু হয়ে সোনাকাটা ইউনিয়নের নিদ্রার চর সৈকতে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শতাধিক শিক্ষার্থী পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের শরীরে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি সম্বলিত টি শার্ট ও বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।

বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ-সম্পাদক আবু জাফর সালেহ পদযাত্রা কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, বরগুনা জেলা টেলিভিশন ফোরামের সাবেক সাধারণ-সম্পাদক বেলাল হোসেন মিলন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ'র (তালতলী-আমতলী) সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, পরিবেশ ও উন্নয়নকর্মী এম মিলন, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী মো. মোস্তাফিজ, তালতলী চারুকলা একাডেমীর পরিচালক রফিকুল ইসলাম অন্তর প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, 'আমাদের সকল প্রকার জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে নবায়ন শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।উপকূলীয় অঞ্চলে সূর্যের তাপ বেশি উষ্ণ বিধায় এখানে সোলার প্রযুক্তি স্থাপন, সমুদ্র তীরের বাতাসকে ব্যবহার করে বায়োবিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রামীণ এলাকায় বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করতে হবে। সকল প্রকার জলবায়ু ঋণ বাতিল করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।'

মিথ্যা মামলা করায় বাদীকে কারাদণ্ড, আসামি খালাস

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৩০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

মিথ্যা মামলা করায় বাদীকে কারাদণ্ড, আসামি খালাস

বরগুনায় মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাদীকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শরীয়ত উল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব স্বপন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মিলটন মুন্সি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া এলাকার মো. শাহজাহান মুন্সির ছেলে।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, মিলটন মুন্সি বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণ লাকুরতলা এলাকায় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সুলতান আহমেদের সম্পত্তির দেখভাল করতেন। জমি দখল নিয়ে হুমকি ও ভয়ভীতির অভিযোগে তিনি মো. মহিউদ্দিন বাদল (৫৫) ও মো. নাসির উদ্দিন (৫৮) নামে দুইজনের বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আদালত জিডিটি আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করেন।

পরবর্তীতে মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(২) ধারায় বাদী মিলটন মুন্সিকে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব স্বপন বলেন, ‘বাদী মিলটন মুন্সি আদালতে তার অভিযোগের পক্ষে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন। ফলে অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(২) ধারায় আদালত তাকে সাত দিনের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন। অভিযুক্ত দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এটি আইন অঙ্গনে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।’

বরগুনায় ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পর চাচার হাতে এবার ভাতিজি খুন

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৩৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরগুনায় ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পর চাচার হাতে এবার ভাতিজি খুন

বরগুনার তালতলী উপজেলায় ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পর এবার নিজের ছয় বছর বয়সী ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে চাচা হাবিব ওরফে হাবিল খান (২৭)। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটার পরপরই পুলিশ ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত তাননুর আক্তার নাবিল (৬) ইদুপাড়া গ্রামের দুলাল খানের মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে দোকানে বিস্কুট কিনতে গেলে হঠাৎ পেছন দিক থেকে চাচা হাবিল একটি গড়ান কাঠের লাঠি দিয়ে শিশুটির মাথা ও হাতে আঘাত করে।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ডা. রকিবুল ইসলাম তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফার্ড করেন। পথে শিশুটি মৃত্যুবরণ করে।

এদিকে হত্যার ঘটনার পর স্থানীয়রা হাবিলকে ধাওয়া করে এবং পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক হাবিল ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে তার বড় ভাই দুলাল খানের প্রথম স্ত্রী তানিয়া বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেছিল। সে সময় তার বয়স ছিল ১৭ বছর। শিশু আইনে সে ৯ বছর সাজাভোগের পর ২০২৪ সালের শুরুর দিকে জামিনে মুক্তি পায়।

মুক্তির এক বছর না যেতেই আবারও ঘাতক রূপে ফিরে এলো সে। এবার বড়ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী ফাহিমা আক্তারের কন্যা তাননুর আক্তারকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পর চাচার হাতে এবার ভাতিজি খুন

নিহত শিশুর বাবা দুলাল খান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘২০১৫ সালে আমার প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করেছে। এখন আমার ছোট মেয়ে তাননুকেও পিটিয়ে মেরেছে। আমার জীবনে আর কিছুই রইল না। আমি ঘাতক হাবিলের ফাঁসি চাই।’

প্রত্যক্ষদর্শী রানা হাওলাদার জানান, তাননু দোকানে যাওয়ার পথে হাবিল পেছন দিক থেকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

ইউপি সদস্য মো. টুকু সিকদার ও সাবেক ইউপি সদস্য সালাম হাওলাদার বলেন, ‘ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা হাবিলকে ধাওয়া করলে সে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে।’

এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটির মাথা ও হাতের কনুইয়ে গুরুতর জখম ছিল। বরিশালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।’

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, ‘ঘাতক হাবিল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটির মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে এবং বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। শিশুর বাবা দুলাল খান বাদী হয়ে হাবিলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.