
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫৩
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমাদের সবার অর্জন, এটা আমরা বারবার বলে আসছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের অর্জন হচ্ছে বাংলাদেশ এবং সংবিধান।
সবাই তা মেনেই রাজনীতি করছে, আমরাও তাই। মুক্তিযুদ্ধকে না মানলে তো বাংলাদেশকে অস্বীকার করা হয়। নির্বাচন তো পরের কথা। যারা বাংলাদেশের রাজনীতি করবে, তাদের জুলাইও মেনে রাজনীতি করা উচিত। এছড়া রাজনীতিতে পথ চলা কঠিন।
জামায়াত একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কাউকে মুক্তিযুদ্ধ মেনে নিতে বাধ্য করা যায় কি না- এই প্রশ্নে হামিদুর রহমান আযাদ এসব কথা বলেন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আযাদ বলেন, জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে জুলাই জাতীয় সনদ মেনে চলা এবং বাস্তবায়নের শপথ করতে হবে। হলফনামা দিতে ব্যর্থ হলে প্রার্থিতা বাতিল হবে। নির্বাচনে জুলাই সনদবিরোধী প্রচার চালালে প্রার্থিতা বাতিল এবং রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হবে। এসব প্রস্তাব করেছে জামায়াতে ইসলামী।
তবে এটি প্রস্তাব মাত্র। এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জুলাই সনদের বাস্তবায়নে ‘প্রভেশিয়াল সাংবিধানিক আদেশ-২০২৫’ জারির যে প্রস্তাব জামায়াত করেছে, তাতে এসব বিধান যুক্তের কথা বলা হয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন ঐকমত্য কমিশনকে লিখিতভাবে এই প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত।
আযাদ বলেন, বিএনপি সংবিধান সংক্রান্ত সংস্কার আগামী সংসদে বাস্তবায়ন করতে চায়। জামায়াত আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে সংবিধান সংস্কারসহ জুলাই সনদে থাকা ৮৪টি সংস্কারের বাস্তবায়ন চায়।
যদিও বিএনপি বলছে, সংসদ ছাড়া সংবিধান সংশোধনের উপায় নেই। তবে জামায়াত সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জুলাই অভ্যুত্থানকে জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তি হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব করেছে।
দলটির মতামত, জুলাই সনদও হবে জনগণের অভিপ্রায়ের ফল। যা সংবিধানের সমমর্যাদার হবে। ফলে এই সনদ সবাইকে মানতে হবে। তাই সংবিধানের মতো সনদকে মান্য করার হলফনামা দিতে হবে প্রার্থীকে।
কাউকে জুলাই সনদ মানতে বাধ্য করা গণতান্ত্রিক কি না- প্রশ্নে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জুলাই সনদ প্রণীত হয়েছে গণতন্ত্রের সুরক্ষা। বিপরীতে যা রয়েছে, তা ফ্যাসিবাদ।
কাউকে জোর করে শ্রদ্ধা করতে বাধ্য করা যায় কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'জুলাই চেতনা থেকে আমরা এই প্রস্তাব দিয়েছি। অপব্যাখ্যার সুযোগ নেই। আলোচনার মাধ্যমে এটার সমাধান হবে। '
জামায়াতের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে উৎখাতের মাধ্যমে জনগণের কাছে ‘কন্সটিটুয়েন্ট পাওয়ার’ (সংবিধান তৈরি, পরিবর্তন বা বাতিলের ক্ষমতা) হস্তান্তর হয়েছে। এ ক্ষমতার বলে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, জনগণের ‘কন্সটিটুয়েন্স পাওয়ারে’ গঠিত সরকারের সাংবিধানিক আদেশ জারির ক্ষমতা রয়েছে। এ আদেশ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে কার্যকর গণ্য হবে। জনগণ সংবিধান সংস্কারের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে, যা জুলাই সনদে ধারণ করা হয়েছে। জারিকৃত সাংবিধানিক আদেশ, বিদ্যমান সব আইনের ওপরে প্রাধান্য পাবে।
সংবিধানসহ কোনো আইনের যতখানি সাংবিধানের আদেশের সঙ্গে অসামাঞ্জস্যপূর্ণ হবে, তা বাতিল হবে। নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ এবং বিচার বিভাগ সাংবিধানিক আদেশে আওতাধীন হবে। কোনো উপায়ে সাংবিধানিক আদেশকে বদল বিকৃত করার প্রচেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে গণ্য হবে।
জামায়াতের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক আদেশ অধীনে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন করবেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী এবং দলকে সাংবিধানিক আদেশ মেনে চলা এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নে হলফনামা দিতে হবে।
এরূপ হলফনামা দিতে ব্যর্থ হলে, নির্বাচনে অযোগ্য হবে। আগামী সংসদে তিন চর্তুথাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নতুন সংবিধান গ্রহণ এবং গণভোটে অনুমোদন হওয়া পর্যন্ত, সাংবিধানিক আদেশ বহাল থাকবে। নতুন সংবিধান সাংবিধানিক আদেশের সঙ্গে সামাঞ্জস্যপূর্ণ হবে। নতুন সংবিধান গ্রহণের পরও সাংবিধানিক আদেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমাদের সবার অর্জন, এটা আমরা বারবার বলে আসছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের অর্জন হচ্ছে বাংলাদেশ এবং সংবিধান।
সবাই তা মেনেই রাজনীতি করছে, আমরাও তাই। মুক্তিযুদ্ধকে না মানলে তো বাংলাদেশকে অস্বীকার করা হয়। নির্বাচন তো পরের কথা। যারা বাংলাদেশের রাজনীতি করবে, তাদের জুলাইও মেনে রাজনীতি করা উচিত। এছড়া রাজনীতিতে পথ চলা কঠিন।
জামায়াত একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কাউকে মুক্তিযুদ্ধ মেনে নিতে বাধ্য করা যায় কি না- এই প্রশ্নে হামিদুর রহমান আযাদ এসব কথা বলেন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আযাদ বলেন, জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে জুলাই জাতীয় সনদ মেনে চলা এবং বাস্তবায়নের শপথ করতে হবে। হলফনামা দিতে ব্যর্থ হলে প্রার্থিতা বাতিল হবে। নির্বাচনে জুলাই সনদবিরোধী প্রচার চালালে প্রার্থিতা বাতিল এবং রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হবে। এসব প্রস্তাব করেছে জামায়াতে ইসলামী।
তবে এটি প্রস্তাব মাত্র। এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জুলাই সনদের বাস্তবায়নে ‘প্রভেশিয়াল সাংবিধানিক আদেশ-২০২৫’ জারির যে প্রস্তাব জামায়াত করেছে, তাতে এসব বিধান যুক্তের কথা বলা হয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন ঐকমত্য কমিশনকে লিখিতভাবে এই প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত।
আযাদ বলেন, বিএনপি সংবিধান সংক্রান্ত সংস্কার আগামী সংসদে বাস্তবায়ন করতে চায়। জামায়াত আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে সংবিধান সংস্কারসহ জুলাই সনদে থাকা ৮৪টি সংস্কারের বাস্তবায়ন চায়।
যদিও বিএনপি বলছে, সংসদ ছাড়া সংবিধান সংশোধনের উপায় নেই। তবে জামায়াত সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জুলাই অভ্যুত্থানকে জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তি হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব করেছে।
দলটির মতামত, জুলাই সনদও হবে জনগণের অভিপ্রায়ের ফল। যা সংবিধানের সমমর্যাদার হবে। ফলে এই সনদ সবাইকে মানতে হবে। তাই সংবিধানের মতো সনদকে মান্য করার হলফনামা দিতে হবে প্রার্থীকে।
কাউকে জুলাই সনদ মানতে বাধ্য করা গণতান্ত্রিক কি না- প্রশ্নে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জুলাই সনদ প্রণীত হয়েছে গণতন্ত্রের সুরক্ষা। বিপরীতে যা রয়েছে, তা ফ্যাসিবাদ।
কাউকে জোর করে শ্রদ্ধা করতে বাধ্য করা যায় কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'জুলাই চেতনা থেকে আমরা এই প্রস্তাব দিয়েছি। অপব্যাখ্যার সুযোগ নেই। আলোচনার মাধ্যমে এটার সমাধান হবে। '
জামায়াতের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে উৎখাতের মাধ্যমে জনগণের কাছে ‘কন্সটিটুয়েন্ট পাওয়ার’ (সংবিধান তৈরি, পরিবর্তন বা বাতিলের ক্ষমতা) হস্তান্তর হয়েছে। এ ক্ষমতার বলে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, জনগণের ‘কন্সটিটুয়েন্স পাওয়ারে’ গঠিত সরকারের সাংবিধানিক আদেশ জারির ক্ষমতা রয়েছে। এ আদেশ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে কার্যকর গণ্য হবে। জনগণ সংবিধান সংস্কারের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে, যা জুলাই সনদে ধারণ করা হয়েছে। জারিকৃত সাংবিধানিক আদেশ, বিদ্যমান সব আইনের ওপরে প্রাধান্য পাবে।
সংবিধানসহ কোনো আইনের যতখানি সাংবিধানের আদেশের সঙ্গে অসামাঞ্জস্যপূর্ণ হবে, তা বাতিল হবে। নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ এবং বিচার বিভাগ সাংবিধানিক আদেশে আওতাধীন হবে। কোনো উপায়ে সাংবিধানিক আদেশকে বদল বিকৃত করার প্রচেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে গণ্য হবে।
জামায়াতের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক আদেশ অধীনে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন করবেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী এবং দলকে সাংবিধানিক আদেশ মেনে চলা এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নে হলফনামা দিতে হবে।
এরূপ হলফনামা দিতে ব্যর্থ হলে, নির্বাচনে অযোগ্য হবে। আগামী সংসদে তিন চর্তুথাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নতুন সংবিধান গ্রহণ এবং গণভোটে অনুমোদন হওয়া পর্যন্ত, সাংবিধানিক আদেশ বহাল থাকবে। নতুন সংবিধান সাংবিধানিক আদেশের সঙ্গে সামাঞ্জস্যপূর্ণ হবে। নতুন সংবিধান গ্রহণের পরও সাংবিধানিক আদেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না।

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:৪৫
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মোহাম্মদ সামছুদ্দীনকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। তিনি সহকারী শিক্ষক হিসেবে নোয়াখালীর কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক অফিস আদেশে তাকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুনের সই করা ওই অফিস আদেশে জানানো হয়েছে, বিদ্যমান শূন্য পদে প্রশাসনিক কারণে নিজ বেতনস্কেলে নোয়াখালী সদরের কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ সামছুদ্দীনকে তার বর্তমান কর্মস্থল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। তার বদলিকৃত বিদ্যালয়ের নাম রায়পুর লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
অফিস আদেশে আরও বলা হয়, বদলির বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, হিসাবরক্ষণ অফিস, আইএমডি এবং মহাপরিচালকের পিএসহ মোট নয়টি দপ্তরে অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৩ দফা দাবিতে গত ২৭ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন দেশের ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা৷ এরমধ্যে গত ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের কমপ্লিট শাটডাউন ও বিদ্যালয় তালাবদ্ধ কর্মসূচি। শিক্ষক সামছুদ্দীন এই আন্দোলনের মাঠপর্যায়ের অন্যতম নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মোহাম্মদ সামছুদ্দীনকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। তিনি সহকারী শিক্ষক হিসেবে নোয়াখালীর কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক অফিস আদেশে তাকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুনের সই করা ওই অফিস আদেশে জানানো হয়েছে, বিদ্যমান শূন্য পদে প্রশাসনিক কারণে নিজ বেতনস্কেলে নোয়াখালী সদরের কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ সামছুদ্দীনকে তার বর্তমান কর্মস্থল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। তার বদলিকৃত বিদ্যালয়ের নাম রায়পুর লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
অফিস আদেশে আরও বলা হয়, বদলির বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, হিসাবরক্ষণ অফিস, আইএমডি এবং মহাপরিচালকের পিএসহ মোট নয়টি দপ্তরে অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৩ দফা দাবিতে গত ২৭ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন দেশের ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা৷ এরমধ্যে গত ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের কমপ্লিট শাটডাউন ও বিদ্যালয় তালাবদ্ধ কর্মসূচি। শিক্ষক সামছুদ্দীন এই আন্দোলনের মাঠপর্যায়ের অন্যতম নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:২৯
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সুকিরাম (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুরইছড়া সীমান্তের দশটেকি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুকিরাম ওই এলাকার মুরইছড়া বস্তির দাসনু উরাংয়ের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুরইছড়া সীমান্ত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪৬ ব্যাটালিয়নের আওতাভুক্ত। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও সুকিরামসহ কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি ১ হাজার ৮৪৪ ও ১ হাজার ৮৪৫ নম্বর সীমান্ত খুঁটির কাছে গরু চরাচ্ছিলেন।
এ সময় সুকিরামের একটি গরু ভারতের ১৯৯ নম্বর হিরাছড়া বিএসএফ ক্যাম্প এলাকায় ঢুকে পড়ে। গরুটি আনতে সীমান্তের দিকে এগোতেই বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে সুকিরাম পিঠে গুলিবিদ্ধ হন।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শারমিন ফারহানা জেরিন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক শারমিন ফারহানা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই সুকিরামের মৃত্যু হয়েছিল। তার পিঠে গুলির চিহ্ন ছিল।
কুলাউড়া থানার ওসি মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘সুকিরাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।’
বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া জানান, সীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রমের সময় বিএসএফের গুলিতে সুকিরাম নিহত হয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সুকিরাম (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুরইছড়া সীমান্তের দশটেকি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুকিরাম ওই এলাকার মুরইছড়া বস্তির দাসনু উরাংয়ের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুরইছড়া সীমান্ত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪৬ ব্যাটালিয়নের আওতাভুক্ত। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও সুকিরামসহ কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি ১ হাজার ৮৪৪ ও ১ হাজার ৮৪৫ নম্বর সীমান্ত খুঁটির কাছে গরু চরাচ্ছিলেন।
এ সময় সুকিরামের একটি গরু ভারতের ১৯৯ নম্বর হিরাছড়া বিএসএফ ক্যাম্প এলাকায় ঢুকে পড়ে। গরুটি আনতে সীমান্তের দিকে এগোতেই বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে সুকিরাম পিঠে গুলিবিদ্ধ হন।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শারমিন ফারহানা জেরিন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক শারমিন ফারহানা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই সুকিরামের মৃত্যু হয়েছিল। তার পিঠে গুলির চিহ্ন ছিল।
কুলাউড়া থানার ওসি মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘সুকিরাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।’
বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া জানান, সীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রমের সময় বিএসএফের গুলিতে সুকিরাম নিহত হয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:২৩
অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, দেশের সম্পদ চুরি করে যারা বিদেশে পাচার করে তারা দেশপ্রেমিক নয়। আমরা দেশপ্রেমিক তৈরি করতে চাই। বাংলাদেশ আমাদের সবার।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন–২০২৫ এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিভেদ থাকতে পারে কিন্তু ইসলামের বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিভেদ মানুষকে ধ্বংস করে। তবে ঐক্যবদ্ধ থাকলে ইসলাম বহুদূর এগিয়ে যাবে। রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে প্রভাব ফেলতে পারবে ইসলাম। বিচ্ছিন্ন থাকলে তা সম্ভব হবে না। সব সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, দেশে দুর্নীতি লুটপাট অর্থপাচার বন্ধ করতে পারলে বাংলাদেশ পৃথিবীর বহু দেশকে ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশে আমি দুটি বড় জেলখানা ভিজিট করেছি। কারাগারের ভেতরে কুরআন পড়ার ব্যবস্থা ছিল আমরা তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছি। আরও বাড়াব। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা কুরআনের তালিম চালু করেছি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ওই কুরআনের তালিমে ৩৫ জন শিক্ষার্থী আছেন। তারা যদি সাহাবায়ে কেরামদের জীবনী পড়েন তাহলে তাদের মাঝে পরিবর্তন আসবে।
তিনি বলেন, আমরা গীবত করব না। মানুষ বলে ফেসবুক বলে কিন্তু আমরা নিজেরা তা বলব না। নিজেকে প্রশ্ন করুন। পরে আরেকজনকে বলুন। ঘৃণা থেকে সন্ত্রাস ছড়ায়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কারি শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আযহারী, মিসরের শাইখ আহমাদ আল জাওহারী, পাকিস্তানের কারি আনওয়ারুল হাসান শাহ বুখারী, ইরানের কারি মাহদী গোলাম নেযাদ, ফিলিপাইনের কারি মুহাম্মাদ নাযীর আসগার তাদের তিলওয়াত পরিবেশন করেন।
কুমিল্লা ঈদগাহ ময়দানে এই প্রথম আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন আল-কুরআন একাডেমি, কুমিল্লার উদ্যোগে সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন-কুমিল্লা আল কুরআন একাডেমি সভাপতি মু. নূরুদ্দিন আহমাদের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি ড. মুজাহিদুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, ইনসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান অধ্যাপক একেএম এমদাদুল হক মামুন, মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি মাহবুবর রহমান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, এবি পার্টির কুমিল্লা জেলা সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ তৌফিক, আল কুরআন একাডেমির অর্থ সম্পাদক ফয়েজ আহম্মেদ, গোমতী হসপিটালের চেয়ারম্যান ডা. মজিবুর রহমান, ভিক্টোরিয়া কলেজের জিএস সানাউল্লাহ মজুমদার, সম্মেলন পরিচালনা কমিটির সদস্য আবু সায়েম, গোলাম সামদানি, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সবুজসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
অনুষ্ঠানের শেষদিকে ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কার বিতরণের পর দোয়া করার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, দেশের সম্পদ চুরি করে যারা বিদেশে পাচার করে তারা দেশপ্রেমিক নয়। আমরা দেশপ্রেমিক তৈরি করতে চাই। বাংলাদেশ আমাদের সবার।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন–২০২৫ এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিভেদ থাকতে পারে কিন্তু ইসলামের বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিভেদ মানুষকে ধ্বংস করে। তবে ঐক্যবদ্ধ থাকলে ইসলাম বহুদূর এগিয়ে যাবে। রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে প্রভাব ফেলতে পারবে ইসলাম। বিচ্ছিন্ন থাকলে তা সম্ভব হবে না। সব সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, দেশে দুর্নীতি লুটপাট অর্থপাচার বন্ধ করতে পারলে বাংলাদেশ পৃথিবীর বহু দেশকে ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশে আমি দুটি বড় জেলখানা ভিজিট করেছি। কারাগারের ভেতরে কুরআন পড়ার ব্যবস্থা ছিল আমরা তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছি। আরও বাড়াব। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা কুরআনের তালিম চালু করেছি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ওই কুরআনের তালিমে ৩৫ জন শিক্ষার্থী আছেন। তারা যদি সাহাবায়ে কেরামদের জীবনী পড়েন তাহলে তাদের মাঝে পরিবর্তন আসবে।
তিনি বলেন, আমরা গীবত করব না। মানুষ বলে ফেসবুক বলে কিন্তু আমরা নিজেরা তা বলব না। নিজেকে প্রশ্ন করুন। পরে আরেকজনকে বলুন। ঘৃণা থেকে সন্ত্রাস ছড়ায়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কারি শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আযহারী, মিসরের শাইখ আহমাদ আল জাওহারী, পাকিস্তানের কারি আনওয়ারুল হাসান শাহ বুখারী, ইরানের কারি মাহদী গোলাম নেযাদ, ফিলিপাইনের কারি মুহাম্মাদ নাযীর আসগার তাদের তিলওয়াত পরিবেশন করেন।
কুমিল্লা ঈদগাহ ময়দানে এই প্রথম আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন আল-কুরআন একাডেমি, কুমিল্লার উদ্যোগে সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন-কুমিল্লা আল কুরআন একাডেমি সভাপতি মু. নূরুদ্দিন আহমাদের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি ড. মুজাহিদুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, ইনসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান অধ্যাপক একেএম এমদাদুল হক মামুন, মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি মাহবুবর রহমান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, এবি পার্টির কুমিল্লা জেলা সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ তৌফিক, আল কুরআন একাডেমির অর্থ সম্পাদক ফয়েজ আহম্মেদ, গোমতী হসপিটালের চেয়ারম্যান ডা. মজিবুর রহমান, ভিক্টোরিয়া কলেজের জিএস সানাউল্লাহ মজুমদার, সম্মেলন পরিচালনা কমিটির সদস্য আবু সায়েম, গোলাম সামদানি, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সবুজসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
অনুষ্ঠানের শেষদিকে ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কার বিতরণের পর দোয়া করার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.