
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:২৬
বরিশালের বাকেরগঞ্জে এক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার তদ্বিরে পৌর বিএনপির ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি জামাল হোসেন বিপ্লবকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শনিবার (১১ অক্টোবর) পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির জোমাদার ও সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন তালুকদার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি জামাল হোসেন বিপ্লবকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
বিএনপি নেতা বিপ্লবের অব্যাহতি পত্র সোশ্যাল মিডিয়া প্রকাশ হলে বিএনপি'র নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হয়েছে। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অব্যাহতি ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছে।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ পৌরসভার সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জামাল হোসেন বিপ্লব দলের একজন নিবেদিত প্রাণ। তিনি বিগত ১৬-১৭ বছর যাবত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে একাধিক মামলার শিকার হয়ে কারাবরণ করেন।
এমনকি তার ছোট কন্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত জুঁথি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী বিরোধী এক দফার আন্দোলনে বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।
বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি আর্থিক ক্ষতিসহ নানারকম হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ রকম একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে অব্যাহতি দেয়া নিয়ে নেতাকর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ারসহ নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর বিএনপির এক নেতা জানান, গত কয়েকদিন ধরে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদগার কথা লিখে পোস্ট করেন।
এ লেখার প্রতিবাদে ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জামাল হোসেন বিপ্লব তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে প্রতিবাদ করেন। পরবর্তীতে পৌর বিএনপির একটি চক্রের সহযোগিতায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা শোভন সাবেক বিএনপি'র এমপি আবুল হোসেন খানের বাসভবনে গিয়ে বিপ্লবের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার তদবিরের কয়েক দিনের মাথায় শনিবার তাকে ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
জামাল হোসেন বিপ্লবের অব্যাহতি দেয়ার প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেলে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন উল্লাস প্রকাশ করে লেখেন, "স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বিএনপি থেকে জামাল হোসেন বিপ্লবকে অব্যাহতি দেয়ায় ধন্যবাদ সাবেক এমপি আবুল হোসেন কাকাকে।"
জামাল হোসেন বিপ্লবের অব্যাহতির বিষয় বাকেরগঞ্জ পৌর যুবদলের সদস্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মনির তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে "ছাত্রলীগ নেতার সাথে অশোভন আচরণ করার জন্য কারাবরণকারী ত্যাগী নেতা বিপ্লব ভাই বহিষ্কার" শিরোনামে একটি লেখা পোস্ট করেন।
ছাত্রদল নেতা শওকত খান তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেছেন পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটিতে পদ পেয়েছেন একাধিক আওয়ামী নেতা, অথচ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার অভিযোগ ও তদবিরের কারণে জুলুমের শিকার কারাবরণকারী ত্যাগী নেতা ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জামাল হোসেন বিপ্লবকে দল থেকে অব্যাহতি! বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
পৌরসভার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে জামাল হোসেন বিপ্লব বলেন, কী কারনে তাকে অব্যাহতি দেয়া আছে তিনি জানেন না। তিনি বিগত ১৬-১৭ বছর যাবত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামীকে ভূমিকা রেখেছেন এবং একাধিকবার জেল খেটেছেন। রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই তিনি পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছেন।
পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির জোমাদ্দার জানান, সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে বিপ্লবকে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার সুপারিশেই কি বিপ্লবকে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এ বিষয় প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে নিশ্চুপ থাকেন। শুধু বানান ঠিক কর
বরিশালের বাকেরগঞ্জে এক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার তদ্বিরে পৌর বিএনপির ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি জামাল হোসেন বিপ্লবকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শনিবার (১১ অক্টোবর) পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির জোমাদার ও সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন তালুকদার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি জামাল হোসেন বিপ্লবকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
বিএনপি নেতা বিপ্লবের অব্যাহতি পত্র সোশ্যাল মিডিয়া প্রকাশ হলে বিএনপি'র নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হয়েছে। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অব্যাহতি ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছে।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ পৌরসভার সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জামাল হোসেন বিপ্লব দলের একজন নিবেদিত প্রাণ। তিনি বিগত ১৬-১৭ বছর যাবত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে একাধিক মামলার শিকার হয়ে কারাবরণ করেন।
এমনকি তার ছোট কন্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত জুঁথি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী বিরোধী এক দফার আন্দোলনে বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।
বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি আর্থিক ক্ষতিসহ নানারকম হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ রকম একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে অব্যাহতি দেয়া নিয়ে নেতাকর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ারসহ নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর বিএনপির এক নেতা জানান, গত কয়েকদিন ধরে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদগার কথা লিখে পোস্ট করেন।
এ লেখার প্রতিবাদে ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জামাল হোসেন বিপ্লব তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে প্রতিবাদ করেন। পরবর্তীতে পৌর বিএনপির একটি চক্রের সহযোগিতায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা শোভন সাবেক বিএনপি'র এমপি আবুল হোসেন খানের বাসভবনে গিয়ে বিপ্লবের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার তদবিরের কয়েক দিনের মাথায় শনিবার তাকে ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
জামাল হোসেন বিপ্লবের অব্যাহতি দেয়ার প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেলে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন উল্লাস প্রকাশ করে লেখেন, "স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বিএনপি থেকে জামাল হোসেন বিপ্লবকে অব্যাহতি দেয়ায় ধন্যবাদ সাবেক এমপি আবুল হোসেন কাকাকে।"
জামাল হোসেন বিপ্লবের অব্যাহতির বিষয় বাকেরগঞ্জ পৌর যুবদলের সদস্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মনির তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে "ছাত্রলীগ নেতার সাথে অশোভন আচরণ করার জন্য কারাবরণকারী ত্যাগী নেতা বিপ্লব ভাই বহিষ্কার" শিরোনামে একটি লেখা পোস্ট করেন।
ছাত্রদল নেতা শওকত খান তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেছেন পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটিতে পদ পেয়েছেন একাধিক আওয়ামী নেতা, অথচ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার অভিযোগ ও তদবিরের কারণে জুলুমের শিকার কারাবরণকারী ত্যাগী নেতা ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জামাল হোসেন বিপ্লবকে দল থেকে অব্যাহতি! বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
পৌরসভার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে জামাল হোসেন বিপ্লব বলেন, কী কারনে তাকে অব্যাহতি দেয়া আছে তিনি জানেন না। তিনি বিগত ১৬-১৭ বছর যাবত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামীকে ভূমিকা রেখেছেন এবং একাধিকবার জেল খেটেছেন। রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই তিনি পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছেন।
পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির জোমাদ্দার জানান, সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে বিপ্লবকে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার সুপারিশেই কি বিপ্লবকে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এ বিষয় প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে নিশ্চুপ থাকেন। শুধু বানান ঠিক কর
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৫
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:০৫
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:২৪

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৫
বরিশালে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই কয়লা ও পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি লাইটার ভেসেলসহ ১২ চোরাকারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ডের একটি দল। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কোস্ট গার্ড স্টেশন বরিশাল কোতোয়ালি থানাধীন চরমোনাই আনন্দ ঘাট-সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে একটি সন্দেহজনক লাইটার ভেসেল তল্লাশি করা হয়। তল্লাশির পর ভেসেলটি থেকে ১ হাজার ১০০ টন চোরাই কয়লা জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ সময় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মোংলা হিরণ পয়েন্টে অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে এই কয়লা অসদুপায় অবলম্বন করে অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল।
জব্দ করা কয়লা, পাচারকাজে ব্যবহৃত লাইটার ভেসেল এবং আটক ১২ চোরাকারবারিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা।
বরিশালে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই কয়লা ও পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি লাইটার ভেসেলসহ ১২ চোরাকারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ডের একটি দল। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কোস্ট গার্ড স্টেশন বরিশাল কোতোয়ালি থানাধীন চরমোনাই আনন্দ ঘাট-সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে একটি সন্দেহজনক লাইটার ভেসেল তল্লাশি করা হয়। তল্লাশির পর ভেসেলটি থেকে ১ হাজার ১০০ টন চোরাই কয়লা জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ সময় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মোংলা হিরণ পয়েন্টে অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে এই কয়লা অসদুপায় অবলম্বন করে অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল।
জব্দ করা কয়লা, পাচারকাজে ব্যবহৃত লাইটার ভেসেল এবং আটক ১২ চোরাকারবারিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা।

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:০৫
শয়তানের নিঃশ্বাসের খপ্পরে পড়ে ২৭ বছরের গৃহবধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মামলা হলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরিশাল কোতয়ালি থানার ওসিকে আসামির বিরুদ্ধে এজাহার করার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উপরোক্ত নির্দেশ দেন।
নগরের ২৬ নং ওয়ার্ডের হরিনাফুলিয়া এলাকার আসমা আক্তার বাদী হয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের রাসেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। বাদি মামলায় উল্লেখ করেন তার সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ হয় আসামীর।
বাদির আইডি কার্ড সংশোধন করে দেওয়ার কথা বলে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলে। গত ১২ নভেম্বর বাদি বাস স্ট্যান্ড আসলে শয়তানের নিঃশ্বাস দিয়া বাদিসহ তার নবজাত শিশু সন্তানকে ঢাকা নিয়ে যায়। এরপর ১২ ই নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাঁদিকে খুনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাদি স্বামীকে জানালে স্বামী ১৯ নভেম্বর ঢাকা গিয়ে বাদিকে উদ্ধার করে বরিশাল নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ২৭বছরের ওই গৃহবধূ বৃহস্পতিবার বরিশাল আদালতে হাজির হয়ে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন।
শয়তানের নিঃশ্বাসের খপ্পরে পড়ে ২৭ বছরের গৃহবধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মামলা হলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরিশাল কোতয়ালি থানার ওসিকে আসামির বিরুদ্ধে এজাহার করার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উপরোক্ত নির্দেশ দেন।
নগরের ২৬ নং ওয়ার্ডের হরিনাফুলিয়া এলাকার আসমা আক্তার বাদী হয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের রাসেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। বাদি মামলায় উল্লেখ করেন তার সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ হয় আসামীর।
বাদির আইডি কার্ড সংশোধন করে দেওয়ার কথা বলে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলে। গত ১২ নভেম্বর বাদি বাস স্ট্যান্ড আসলে শয়তানের নিঃশ্বাস দিয়া বাদিসহ তার নবজাত শিশু সন্তানকে ঢাকা নিয়ে যায়। এরপর ১২ ই নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাঁদিকে খুনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাদি স্বামীকে জানালে স্বামী ১৯ নভেম্বর ঢাকা গিয়ে বাদিকে উদ্ধার করে বরিশাল নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ২৭বছরের ওই গৃহবধূ বৃহস্পতিবার বরিশাল আদালতে হাজির হয়ে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন।

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
বাবুগঞ্জের প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল ওহাব খানের সহধর্মিণী বাংলাদেশ প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান খালেদা ওহাবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকবার্তা দিয়েছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখা এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়। এসব সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে প্রেরিত পৃথক শোকবার্তায় তারা খালেদা ওহাবের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল করিম হাওলাদার বলেন, 'খালেদা ওহাব দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে একজন জনপ্রিয় নেত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের অতি আপনজন। তাঁর স্বামী শহীদ আব্দুল ওহাব খান ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার। ১৯৮৯ সালে আততায়ীর গুলিতে আব্দুল ওহাব খান নিহত হওয়ার পরে খালেদা ওহাব একজন গৃহবধূ থেকে নিজের মেধা যোগ্যতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি থেকে জনগণের নেত্রী হয়ে ওঠেন। জীবদ্দশায় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বিভিন্ন কাজ করে গেছেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার রক্ষায় সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তাদের একজন স্বজন হারিয়েছে।'
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বাবুগঞ্জ উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া শোকবার্তায় সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না বলেন, 'খালেদা ওহাব শুধু একজন জনপ্রতিনিধি কিংবা রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ একজন মানবাধিকার কর্মী। তিনি আমৃত্যু গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে গেছেন। ১৯৮৯ সালে স্বামী শহীদ আব্দুল ওহাব খানের মৃত্যুর পরে তিনি তাঁর স্বামীর অসমাপ্ত কাজের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। পুরো একটা জীবন তিনি অবলীলায় খরচ করেছেন মানুষ ও মানবতার কল্যাণে। তিনি ছিলেন নারীদের জন্য এক অনুপ্রেরণার বাতিঘর। তিনি শিখিয়ে গেছেন কীভাবে একজন সাধারণ গৃহবধূ নারীকে সমাজের সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে জীবনযুদ্ধে জয়ী এবং সফল হতে হয়। তিনি অদম্য ও জীবন সংগ্রামী নারীদের কাছে একজন আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন।'
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভাগীয় সমন্বয়কারী মেহের আফরোজ মিতা বলেন, 'বাবুগঞ্জে নারীর অগ্রযাত্রা এবং নারীর ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন খালেদা ওহাব। জীবদ্দশায় তিনি বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং সর্বোপরি নারীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। তিনি আমৃত্যু বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল অসাধারণ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন, রান্নাবান্না এবং অতিথি আপ্যায়নে ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন অনন্য। তাঁর শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। একজন কীর্তিমতী নারী হিসেবে তিনি ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবেন।'
উল্লেখ্য, বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারিণী খালেদা ওহাব ১৯৮৯ সালের উপ-নির্বাচনে বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় পরবর্তী এরশাদ সরকারের উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তনের পরে তিনিই বাংলাদেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট তাঁর স্বামী বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রথম চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব খান আততায়ীর গুলিতে নিহত হলে ওই বছরই অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। যে সময়ে নারীরা ঠিকভাবে ঘর থেকেই বের হতে পারতেন না সেই সময়ে একজন নারী উপজেলা চেয়ারম্যান ছিল অকল্পনীয় একটা ঘটনা। দেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও তিনি একাধিকবার বিআরডিবি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি প্রথমে জাতীয় পার্টির বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগদান করে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন।
রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সাথেও আমৃত্যু যুক্ত ছিলেন খালেদা ওহাব। তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ছাড়াও পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিএফজি) কো-অর্ডিনেটর এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট পরিচালিত বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভাপতি এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার বাবুগঞ্জ উপজেলা সভানেত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর বাড়ি বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের দরিয়াবাদ গ্রামে।
গত মঙ্গলবার খালেদা ওহাব পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিএফজি) কো-অর্ডিনেটর হিসেবে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শান্তি সহায়ক সম্মেলনে যোগ দিতে বরিশাল থেকে ঢাকায় যান। সম্মেলন শেষে তিনি রামপুরা এলাকায় তার ছোটবোনের বাসায় বেড়াতে গেলে বুধবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে নিকটস্থ ফরাজি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ৪টার দিকে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। চিকিৎসকরা জানান, খালেদা ওহাব স্ট্রোকজনিত কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা যান। তিনি উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রথম নামাজে জানাজা এবং বাদ আছর চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজ মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা শেষে বাবার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। #
বাবুগঞ্জের প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল ওহাব খানের সহধর্মিণী বাংলাদেশ প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান খালেদা ওহাবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকবার্তা দিয়েছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখা এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়। এসব সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে প্রেরিত পৃথক শোকবার্তায় তারা খালেদা ওহাবের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল করিম হাওলাদার বলেন, 'খালেদা ওহাব দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে একজন জনপ্রিয় নেত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের অতি আপনজন। তাঁর স্বামী শহীদ আব্দুল ওহাব খান ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার। ১৯৮৯ সালে আততায়ীর গুলিতে আব্দুল ওহাব খান নিহত হওয়ার পরে খালেদা ওহাব একজন গৃহবধূ থেকে নিজের মেধা যোগ্যতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি থেকে জনগণের নেত্রী হয়ে ওঠেন। জীবদ্দশায় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বিভিন্ন কাজ করে গেছেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার রক্ষায় সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তাদের একজন স্বজন হারিয়েছে।'
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বাবুগঞ্জ উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া শোকবার্তায় সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না বলেন, 'খালেদা ওহাব শুধু একজন জনপ্রতিনিধি কিংবা রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ একজন মানবাধিকার কর্মী। তিনি আমৃত্যু গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে গেছেন। ১৯৮৯ সালে স্বামী শহীদ আব্দুল ওহাব খানের মৃত্যুর পরে তিনি তাঁর স্বামীর অসমাপ্ত কাজের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। পুরো একটা জীবন তিনি অবলীলায় খরচ করেছেন মানুষ ও মানবতার কল্যাণে। তিনি ছিলেন নারীদের জন্য এক অনুপ্রেরণার বাতিঘর। তিনি শিখিয়ে গেছেন কীভাবে একজন সাধারণ গৃহবধূ নারীকে সমাজের সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে জীবনযুদ্ধে জয়ী এবং সফল হতে হয়। তিনি অদম্য ও জীবন সংগ্রামী নারীদের কাছে একজন আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন।'
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভাগীয় সমন্বয়কারী মেহের আফরোজ মিতা বলেন, 'বাবুগঞ্জে নারীর অগ্রযাত্রা এবং নারীর ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন খালেদা ওহাব। জীবদ্দশায় তিনি বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং সর্বোপরি নারীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। তিনি আমৃত্যু বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল অসাধারণ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন, রান্নাবান্না এবং অতিথি আপ্যায়নে ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন অনন্য। তাঁর শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। একজন কীর্তিমতী নারী হিসেবে তিনি ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবেন।'
উল্লেখ্য, বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারিণী খালেদা ওহাব ১৯৮৯ সালের উপ-নির্বাচনে বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় পরবর্তী এরশাদ সরকারের উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তনের পরে তিনিই বাংলাদেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট তাঁর স্বামী বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রথম চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব খান আততায়ীর গুলিতে নিহত হলে ওই বছরই অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। যে সময়ে নারীরা ঠিকভাবে ঘর থেকেই বের হতে পারতেন না সেই সময়ে একজন নারী উপজেলা চেয়ারম্যান ছিল অকল্পনীয় একটা ঘটনা। দেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও তিনি একাধিকবার বিআরডিবি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি প্রথমে জাতীয় পার্টির বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগদান করে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন।
রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সাথেও আমৃত্যু যুক্ত ছিলেন খালেদা ওহাব। তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ছাড়াও পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিএফজি) কো-অর্ডিনেটর এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট পরিচালিত বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভাপতি এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার বাবুগঞ্জ উপজেলা সভানেত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর বাড়ি বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের দরিয়াবাদ গ্রামে।
গত মঙ্গলবার খালেদা ওহাব পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিএফজি) কো-অর্ডিনেটর হিসেবে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শান্তি সহায়ক সম্মেলনে যোগ দিতে বরিশাল থেকে ঢাকায় যান। সম্মেলন শেষে তিনি রামপুরা এলাকায় তার ছোটবোনের বাসায় বেড়াতে গেলে বুধবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে নিকটস্থ ফরাজি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ৪টার দিকে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। চিকিৎসকরা জানান, খালেদা ওহাব স্ট্রোকজনিত কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা যান। তিনি উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রথম নামাজে জানাজা এবং বাদ আছর চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজ মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা শেষে বাবার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। #

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.