
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫৯
ভারতের ছত্তিশগড় হাইকোর্ট সম্প্রতি একটি যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। এই রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, ন্যায়বিচার পেতে দেরি হলেও তা কখনো অস্বীকার করা হয় না। মধ্যপ্রদেশ স্টেট ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের একজন বিলিং অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন জগেশ্বর প্রসাদ অবস্থী।
২০০৪ সালে ১০০ রুপি ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত। কিন্তু গত ৩৯ বছর ধরে এই মামলার আইনি লড়াই চালিয়ে নিজেকে অবশেষে নির্দোষ প্রমাণ করেছেন জগেশ্বর প্রসাদ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের বিচারপতি বিভু দত্ত গুরু আগের রায় সম্পূর্ণ বাতিল করে দিয়েছেন। কারণ তিনি এই মামলার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ খুঁজে পাননি।
মামলাটি ছিল ১৯৮৬ সালের। সে সময় অভিযোগ করা হয়েছিল, জগেশ্বর প্রসাদ বকেয়া বিল নিষ্পত্তির জন্য কর্মচারী অশোক কুমার বর্মার কাছে ১০০ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। হাইকোর্ট দেখতে পান এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা মামলায় গুরুতর ত্রুটি ছিল।
নিম্ন আদালতের রায়ের ত্রুটি হিসেবে হাইকোর্ট বলেছেন, ঘুষ চাওয়ার প্রমাণ দিতে কোনো স্বাধীন সাক্ষী ছিল না। ছায়া সাক্ষী স্বীকার করেছেন, যে তিনি কথোপকথন শোনেননি এবং ঘুষ গ্রহণও দেখেননি।
এ ছাড়া সরকারি সাক্ষীরা ২০-২৫ গজ দূরে ছিলেন, ফলে লেনদেন দেখতে পাওয়া তাঁদের পক্ষে অসম্ভব ছিল। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, জব্দ করা ঘুষের টাকা একটি ১০০ টাকার নোট ছিল নাকি দুটি ৫০ টাকার নোট ছিল, তা স্পষ্ট ছিল না।
জগেশ্বর কোর্টে জানান, কথিত ওই ঘটনার সময় তাঁর বিল পাসের কোনো ক্ষমতা ছিল না এবং সেই ক্ষমতা তিনি এক মাস পরে পেয়েছিলেন। আদালত এই যুক্তির সঙ্গে একমত হন যে, শুধুমাত্র ঘুষের টাকা পাওয়া গেলেই অপরাধ প্রমাণিত হয় না, এর পেছনে উদ্দেশ্য ও দাবির প্রমাণ থাকা প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকটি রায় উল্লেখ করে বিচারক বলেন, এই ফাঁদটি ব্যর্থ হয়েছিল। তাই নিম্ন আদালতের সাজা অগ্রহণযোগ্য।
১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত জগেশ্বর সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। পরে বদলি হন অন্যত্র। ওই সময়ে অর্ধেক বেতনে চাকরি চালাতে হয়েছে তাঁকে। পদোন্নতি হয়নি, বাড়েনি বেতন। সন্তানদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আর মানসিক চাপে ভুগে স্ত্রী মারা গেছেন। জগেশ্বর প্রসাদ বলেন, ‘আমি সততার জন্য পরিচিত ছিলাম... কিন্তু সবকিছু শেষ হয়ে গেল।’
অবসরের পরও তাঁকে পেনশন দেওয়া হয়নি। জীবিকা নির্বাহের জন্য স্কুলের প্রহরীর কাজ করেছেন, করেছেন নানা খণ্ডকালীন চাকরি। আদালতের তারিখ আর শুনানিতেই গেছে যৌবন ও বার্ধক্য। এখন তিনি আর নতুন করে কোনো মামলা লড়ার শক্তি পান না। শুধু বাড়ি মেরামতের জন্য সামান্য আর্থিক সাহায্য চান সরকারের কাছে।
ভারতের ছত্তিশগড় হাইকোর্ট সম্প্রতি একটি যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। এই রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, ন্যায়বিচার পেতে দেরি হলেও তা কখনো অস্বীকার করা হয় না। মধ্যপ্রদেশ স্টেট ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের একজন বিলিং অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন জগেশ্বর প্রসাদ অবস্থী।
২০০৪ সালে ১০০ রুপি ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত। কিন্তু গত ৩৯ বছর ধরে এই মামলার আইনি লড়াই চালিয়ে নিজেকে অবশেষে নির্দোষ প্রমাণ করেছেন জগেশ্বর প্রসাদ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের বিচারপতি বিভু দত্ত গুরু আগের রায় সম্পূর্ণ বাতিল করে দিয়েছেন। কারণ তিনি এই মামলার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ খুঁজে পাননি।
মামলাটি ছিল ১৯৮৬ সালের। সে সময় অভিযোগ করা হয়েছিল, জগেশ্বর প্রসাদ বকেয়া বিল নিষ্পত্তির জন্য কর্মচারী অশোক কুমার বর্মার কাছে ১০০ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। হাইকোর্ট দেখতে পান এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা মামলায় গুরুতর ত্রুটি ছিল।
নিম্ন আদালতের রায়ের ত্রুটি হিসেবে হাইকোর্ট বলেছেন, ঘুষ চাওয়ার প্রমাণ দিতে কোনো স্বাধীন সাক্ষী ছিল না। ছায়া সাক্ষী স্বীকার করেছেন, যে তিনি কথোপকথন শোনেননি এবং ঘুষ গ্রহণও দেখেননি।
এ ছাড়া সরকারি সাক্ষীরা ২০-২৫ গজ দূরে ছিলেন, ফলে লেনদেন দেখতে পাওয়া তাঁদের পক্ষে অসম্ভব ছিল। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, জব্দ করা ঘুষের টাকা একটি ১০০ টাকার নোট ছিল নাকি দুটি ৫০ টাকার নোট ছিল, তা স্পষ্ট ছিল না।
জগেশ্বর কোর্টে জানান, কথিত ওই ঘটনার সময় তাঁর বিল পাসের কোনো ক্ষমতা ছিল না এবং সেই ক্ষমতা তিনি এক মাস পরে পেয়েছিলেন। আদালত এই যুক্তির সঙ্গে একমত হন যে, শুধুমাত্র ঘুষের টাকা পাওয়া গেলেই অপরাধ প্রমাণিত হয় না, এর পেছনে উদ্দেশ্য ও দাবির প্রমাণ থাকা প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকটি রায় উল্লেখ করে বিচারক বলেন, এই ফাঁদটি ব্যর্থ হয়েছিল। তাই নিম্ন আদালতের সাজা অগ্রহণযোগ্য।
১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত জগেশ্বর সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। পরে বদলি হন অন্যত্র। ওই সময়ে অর্ধেক বেতনে চাকরি চালাতে হয়েছে তাঁকে। পদোন্নতি হয়নি, বাড়েনি বেতন। সন্তানদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আর মানসিক চাপে ভুগে স্ত্রী মারা গেছেন। জগেশ্বর প্রসাদ বলেন, ‘আমি সততার জন্য পরিচিত ছিলাম... কিন্তু সবকিছু শেষ হয়ে গেল।’
অবসরের পরও তাঁকে পেনশন দেওয়া হয়নি। জীবিকা নির্বাহের জন্য স্কুলের প্রহরীর কাজ করেছেন, করেছেন নানা খণ্ডকালীন চাকরি। আদালতের তারিখ আর শুনানিতেই গেছে যৌবন ও বার্ধক্য। এখন তিনি আর নতুন করে কোনো মামলা লড়ার শক্তি পান না। শুধু বাড়ি মেরামতের জন্য সামান্য আর্থিক সাহায্য চান সরকারের কাছে।

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৭
হংকংয়ের উত্তরাঞ্চলীয় তাই পো এলাকার কয়েকটি বহুতল আবাসিক ভবনে ভয়াবহ আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ৪৫ জন। এছাড়া আরও ২৭৯ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আগুনের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো অজানা।
এদিকে, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ‘হত্যার’ অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুজন একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও একজন প্রকৌশল পরামর্শক।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো তদন্তাধীন হলেও পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে সংস্কার কাজ চলছিল ও জানালাগুলোতে পলিস্টাইরিন বোর্ড লাগানো ছিল। এগুলো আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলেন, আগুন অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের ভবনগুলোতেও পৌঁছে যায়, যার একটি কারণ বাঁশের স্ক্যাফোল্ডিং (অস্থায়ী কাঠামো যা শ্রমিক ও উপকরণকে উঁচু স্থানে কাজ করতে সহায়তা করে।) তদন্তে পুলিশ ভবনের বাইরে জাল ও সুরক্ষা সামগ্রী পেয়েছে, যেগুলো আগুন নিরোধক বলে মনে হয়নি। এছাড়া জানালাগুলোতে স্টাইরোফোমও পাওয়া গেছে।
ঘটনার পরের সকালে টাওয়ার ব্লকগুলোর কিছু অংশ থেকে এখনো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। আটটি ভবনের মধ্যে চারটির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দমকল বিভাগ জানিয়েছে, পুরো আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পুরো দিন লেগে যাবে।
এরই মধ্যে শত শত বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়ে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। যারা পুনর্বাসনের প্রয়োজন, তাদের জন্য জরুরি আবাসন বরাদ্দ করা হচ্ছে।
হংকং ফায়ার ডিপার্টমেন্ট আগুনটিকে লেভেল-ফাইভ অ্যালার্ম হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে, যা সর্বোচ্চ সতর্কতার স্তর। হংকংয়ে সর্বশেষ এমন শ্রেণির অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল ১৭ বছর আগে।
স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র জানান, আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, এটা বিশ্বাস করার যে নির্মান প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা চরম অবহেলা করেছেন। তাদের অবহেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে ও আগুন নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে।
হংকংয়ের উত্তরাঞ্চলীয় তাই পো এলাকার কয়েকটি বহুতল আবাসিক ভবনে ভয়াবহ আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ৪৫ জন। এছাড়া আরও ২৭৯ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আগুনের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো অজানা।
এদিকে, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ‘হত্যার’ অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুজন একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও একজন প্রকৌশল পরামর্শক।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো তদন্তাধীন হলেও পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে সংস্কার কাজ চলছিল ও জানালাগুলোতে পলিস্টাইরিন বোর্ড লাগানো ছিল। এগুলো আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলেন, আগুন অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের ভবনগুলোতেও পৌঁছে যায়, যার একটি কারণ বাঁশের স্ক্যাফোল্ডিং (অস্থায়ী কাঠামো যা শ্রমিক ও উপকরণকে উঁচু স্থানে কাজ করতে সহায়তা করে।) তদন্তে পুলিশ ভবনের বাইরে জাল ও সুরক্ষা সামগ্রী পেয়েছে, যেগুলো আগুন নিরোধক বলে মনে হয়নি। এছাড়া জানালাগুলোতে স্টাইরোফোমও পাওয়া গেছে।
ঘটনার পরের সকালে টাওয়ার ব্লকগুলোর কিছু অংশ থেকে এখনো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। আটটি ভবনের মধ্যে চারটির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দমকল বিভাগ জানিয়েছে, পুরো আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পুরো দিন লেগে যাবে।
এরই মধ্যে শত শত বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়ে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। যারা পুনর্বাসনের প্রয়োজন, তাদের জন্য জরুরি আবাসন বরাদ্দ করা হচ্ছে।
হংকং ফায়ার ডিপার্টমেন্ট আগুনটিকে লেভেল-ফাইভ অ্যালার্ম হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে, যা সর্বোচ্চ সতর্কতার স্তর। হংকংয়ে সর্বশেষ এমন শ্রেণির অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল ১৭ বছর আগে।
স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র জানান, আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, এটা বিশ্বাস করার যে নির্মান প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা চরম অবহেলা করেছেন। তাদের অবহেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে ও আগুন নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে।

২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:৩৪
নিউইয়র্ক সিটির পাতাল ট্রেনের নিচে পড়ে বাম হাত ও পা হারানো লুইসা জেনসিন হারগার দ্য সিলভাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮২ মিলিয়ন ডলার প্রদানের রায় দিয়েছেন আদালত।
ব্রাজিলের এই কলেজছাত্রী ২০১৬ সালে টুরিস্ট ভিসায় বেড়াতে এসে দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি ব্রুকলীনে আটলান্টিক অ্যাভিনিউ রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের জন্যে অপেক্ষা করছিলেন। সে সময় অজ্ঞান হয়ে রেললাইনে পড়ে গেলে একটি ট্রেন তার বাম হাত ও পায়ের ওপরে উঠে যায়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর লুইসাকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কৃত্রিম হাত ও পা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর পাতাল ট্রেনের পরিচালনা সংস্থা মেট্রপলিটন ট্র্যাঞ্জিট অথরিটি এমটিএ-কে দায়ী করে মামলা করেছিলেন লুইসা। ব্রুকলীনে ফেডারেল কোর্টের জুরিবোর্ড গত সপ্তাহে ওই দুর্ঘটনার জন্যে এমটিএকে দায়ী করেন এবং লুইসাকে ৮২ মিলিয়ন ডলার প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার শুনানি লুইসার আইনজীবীরা নিউইয়র্কের রেলের নীচে পড়ে বিগত ১৫ বছর মানুষের প্রাণহানির বিবরণী উপস্থাপন করেন। তারা যুক্তি উপস্থাপন করেন, প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা মাথা ঘুরে পড়ে গেলেও রেললাইনে পড়বেন না, এমন কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে, রায়ের বিরুদ্ধে এমটিএ আপিল করবে বলে জানা গেছে।
এ ধরনের আরেকটি দুর্ঘটনায় হাত ও পা হারানো আরেকজনকে ৯০ মিলিয়ন ডলার প্রদানের রায় দিয়েছিলেন আদালত। সে রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের পর ক্ষতিপূরণের অঙ্ক কমিয়ে ৪০ মিলিয়ন ডলার করা হয়েছিল।
জানা গেছে, নিউইয়র্কের পাতাল ট্রেনের নিচে পড়ে ২০২৩ সালে মারা গেছে ২৪১ জন। গত ৫ বছর যাবৎ প্রতিবছর গড়ে ৭ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ গুণছে এমটিএ।
নিউইয়র্ক সিটির পাতাল ট্রেনের নিচে পড়ে বাম হাত ও পা হারানো লুইসা জেনসিন হারগার দ্য সিলভাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮২ মিলিয়ন ডলার প্রদানের রায় দিয়েছেন আদালত।
ব্রাজিলের এই কলেজছাত্রী ২০১৬ সালে টুরিস্ট ভিসায় বেড়াতে এসে দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি ব্রুকলীনে আটলান্টিক অ্যাভিনিউ রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের জন্যে অপেক্ষা করছিলেন। সে সময় অজ্ঞান হয়ে রেললাইনে পড়ে গেলে একটি ট্রেন তার বাম হাত ও পায়ের ওপরে উঠে যায়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর লুইসাকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কৃত্রিম হাত ও পা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর পাতাল ট্রেনের পরিচালনা সংস্থা মেট্রপলিটন ট্র্যাঞ্জিট অথরিটি এমটিএ-কে দায়ী করে মামলা করেছিলেন লুইসা। ব্রুকলীনে ফেডারেল কোর্টের জুরিবোর্ড গত সপ্তাহে ওই দুর্ঘটনার জন্যে এমটিএকে দায়ী করেন এবং লুইসাকে ৮২ মিলিয়ন ডলার প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার শুনানি লুইসার আইনজীবীরা নিউইয়র্কের রেলের নীচে পড়ে বিগত ১৫ বছর মানুষের প্রাণহানির বিবরণী উপস্থাপন করেন। তারা যুক্তি উপস্থাপন করেন, প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা মাথা ঘুরে পড়ে গেলেও রেললাইনে পড়বেন না, এমন কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে, রায়ের বিরুদ্ধে এমটিএ আপিল করবে বলে জানা গেছে।
এ ধরনের আরেকটি দুর্ঘটনায় হাত ও পা হারানো আরেকজনকে ৯০ মিলিয়ন ডলার প্রদানের রায় দিয়েছিলেন আদালত। সে রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের পর ক্ষতিপূরণের অঙ্ক কমিয়ে ৪০ মিলিয়ন ডলার করা হয়েছিল।
জানা গেছে, নিউইয়র্কের পাতাল ট্রেনের নিচে পড়ে ২০২৩ সালে মারা গেছে ২৪১ জন। গত ৫ বছর যাবৎ প্রতিবছর গড়ে ৭ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ গুণছে এমটিএ।

২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:৫০
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানীর স্বীকৃতি পেয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। বর্তমানে শহরটির জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ।জাতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক দপ্তরের ‘ওয়ার্ল্ড আরবানাইজেশন প্রস্পেক্টস- ২০২৫’ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিশ্ব দ্রুত শহরমুখী হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বের মোট ৮.২ বিলিয়ন মানুষের ৪৫ শতাংশই শহরে বসবাস করে।’
১৯৫০ সালে বিশ্বের মাত্র ২.৫ বিলিয়ন মানুষের ২০ শতাংশ শহরে থাকত। এরপর থেকে শহুরে জনসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির দুই-তৃতীয়াংশই হবে শহরে, আর বাকি এক-তৃতীয়াংশ হবে ছোট শহর ও উপজেলা পর্যায়ে।
মহানগর বা মেগাসিটির সংখ্যাও দ্রুত বেড়েছে। ১৯৭৫ সালে যেখানে ১০ মিলিয়ন বা তার বেশি মানুষের শহর ছিল মাত্র ৮টি, ২০২৫ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৩–এ। এর মধ্যে ১৯টি শহরই এশিয়ায়।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর জাকার্তা, জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। শহরটির জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। তৃতীয় স্থানে আছে জাপানের রাজধানী টোকিও, জনসংখ্যা ৩ কোটি ৩০ লাখ।
হালনাগাদ জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার মোট জনসংখ্যা এখন ২৮৬ মিলিয়ন, যা বিশ্বে চতুর্থ সর্বোচ্চ।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানীর স্বীকৃতি পেয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। বর্তমানে শহরটির জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ।জাতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক দপ্তরের ‘ওয়ার্ল্ড আরবানাইজেশন প্রস্পেক্টস- ২০২৫’ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিশ্ব দ্রুত শহরমুখী হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বের মোট ৮.২ বিলিয়ন মানুষের ৪৫ শতাংশই শহরে বসবাস করে।’
১৯৫০ সালে বিশ্বের মাত্র ২.৫ বিলিয়ন মানুষের ২০ শতাংশ শহরে থাকত। এরপর থেকে শহুরে জনসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির দুই-তৃতীয়াংশই হবে শহরে, আর বাকি এক-তৃতীয়াংশ হবে ছোট শহর ও উপজেলা পর্যায়ে।
মহানগর বা মেগাসিটির সংখ্যাও দ্রুত বেড়েছে। ১৯৭৫ সালে যেখানে ১০ মিলিয়ন বা তার বেশি মানুষের শহর ছিল মাত্র ৮টি, ২০২৫ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৩–এ। এর মধ্যে ১৯টি শহরই এশিয়ায়।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর জাকার্তা, জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। শহরটির জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। তৃতীয় স্থানে আছে জাপানের রাজধানী টোকিও, জনসংখ্যা ৩ কোটি ৩০ লাখ।
হালনাগাদ জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার মোট জনসংখ্যা এখন ২৮৬ মিলিয়ন, যা বিশ্বে চতুর্থ সর্বোচ্চ।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:২৪
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:০৯
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৮