
১৩ জুন, ২০২৫ ১৮:২০
একের পর এক দুর্ঘটনায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক এখন আতঙ্কের সড়কে পরিণত হয়েছে। ঈদুল আজহার দিন ৭ জুন থেকে শুরু করে শুক্রবার (১৩ জুন) পর্যন্ত এই ছয় দিনে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী হাইওয়ে অংশে সাতটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন নিহতসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
সর্বশেষ শুক্রবার (১৩ জুন) মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার ইল্লা এলাকায় দুই পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেপরোয়াগতির দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ কমপক্ষে আট যাত্রী আহত হয়েছেন।
বাস দুটি মহাসড়কের ওপর দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ায় দুই ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে কমপক্ষে ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. বিপুল হোসেন জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঢাকাগামী গোল্ডেন লাইন ও বরিশালগামী ইতি পরিবহনে বেপরোয়াগতির কারণে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই চালকের অবস্থা গুরুতর।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি মহাসড়কের ওপর থেকে বাস দুটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে জেলার উজিরপুর উপজেলার ইচলাদী-ডাকবাংলো সড়কের ব্রাক কার্যালয়ের সামনে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাস্তা পারাপারের সময় অটোরিকশার ধাক্কায় আলতাফ সরদার (৫৩) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন।
নিহত আলতাফ গৌরনদী উপজেলার সাকোকাঠী গ্রামের মেসের আলী সরদারের ছেলে। উজিরপুর মডেল থানার ওসি মো. আব্দুস সালাম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একের পর এক দুর্ঘটনায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক এখন আতঙ্কের সড়কে পরিণত হয়েছে। ঈদুল আজহার দিন ৭ জুন থেকে শুরু করে শুক্রবার (১৩ জুন) পর্যন্ত এই ছয় দিনে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী হাইওয়ে অংশে সাতটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন নিহতসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
সর্বশেষ শুক্রবার (১৩ জুন) মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার ইল্লা এলাকায় দুই পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেপরোয়াগতির দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ কমপক্ষে আট যাত্রী আহত হয়েছেন।
বাস দুটি মহাসড়কের ওপর দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ায় দুই ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে কমপক্ষে ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. বিপুল হোসেন জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঢাকাগামী গোল্ডেন লাইন ও বরিশালগামী ইতি পরিবহনে বেপরোয়াগতির কারণে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই চালকের অবস্থা গুরুতর।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি মহাসড়কের ওপর থেকে বাস দুটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে জেলার উজিরপুর উপজেলার ইচলাদী-ডাকবাংলো সড়কের ব্রাক কার্যালয়ের সামনে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাস্তা পারাপারের সময় অটোরিকশার ধাক্কায় আলতাফ সরদার (৫৩) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন।
নিহত আলতাফ গৌরনদী উপজেলার সাকোকাঠী গ্রামের মেসের আলী সরদারের ছেলে। উজিরপুর মডেল থানার ওসি মো. আব্দুস সালাম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০২:০৮
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে তিনি কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। এর আগে দুপুরে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হন নাসরিন। কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফুল দেওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। সেই ইস্যুতে বিএনপির নেত্রী নাসরিন থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
জানা গেছে, অভিযোগে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনের কথা বলা হয়েছে। তাদের অধিকাংশই ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মী এবং তারা সকলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সদর আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারী।
বিএনপির নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিন সাংবাদিকদের জানান, তার ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি রোববার রাত ৯টার দিকে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তাদের নাম তিনি প্রকাশও করেছেন।
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বরিশালটাইমসকে জানান, রোববার দুপুরে ফুল দিয়ে তাঁরা যখন যাচ্ছেন, তখন বাইরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নাসরিনের ঝামেলা হয়েছে। তবে কী হয়েছে জানেন না।

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:৪৬
জাটকা ইলিশ রক্ষা অভিযানে মাছের সাথে বাস জব্দ করে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা না করায় পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কে তীব্র ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) প্রায় শতাধিক যাত্রীকে সড়কে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের পটুয়াখালী ব্রিজ টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায়। উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযানে ঢাকা গামী চারটি বাস থেকে আনুমানিক ৫১০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় পরিবহনগুলোকেও আটক করা হয়। পরিবহনে থাকা যাত্রীদের ঢাকা যাত্রার বিকল্প ব্যবস্থা না করার ফলে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে।
অভিযোগ উঠেছে, অভিযান চলাকালে পরিবহন থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হলেও তাদের বিকল্প পরিবহন বা গন্তব্যে পৌঁছানোর কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি যাত্রীদের দেওয়া ভাড়ার টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
যাত্রীরা জানান, হঠাৎ করেই গাড়ি থামিয়ে সবাইকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাদের কথা না শুনেই সংশ্লিষ্টরা গাড়ি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে কুয়াকাটা থেকে ঢাকাগামী প্রায় শতাধিক যাত্রী। উপায় না পেয়ে তারা পটুয়াখালী-কুয়াকাটা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওজাতুন জান্নাতের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, জাটকা ইলিশ রক্ষা ও আইন প্রয়োগের স্বার্থেই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী যাত্রীরা অভিযানের সময় মানবিক বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:২৬

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে তিনি কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। এর আগে দুপুরে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হন নাসরিন। কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফুল দেওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। সেই ইস্যুতে বিএনপির নেত্রী নাসরিন থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
জানা গেছে, অভিযোগে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনের কথা বলা হয়েছে। তাদের অধিকাংশই ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মী এবং তারা সকলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সদর আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারী।
বিএনপির নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিন সাংবাদিকদের জানান, তার ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি রোববার রাত ৯টার দিকে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তাদের নাম তিনি প্রকাশও করেছেন।
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বরিশালটাইমসকে জানান, রোববার দুপুরে ফুল দিয়ে তাঁরা যখন যাচ্ছেন, তখন বাইরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নাসরিনের ঝামেলা হয়েছে। তবে কী হয়েছে জানেন না।
জাটকা ইলিশ রক্ষা অভিযানে মাছের সাথে বাস জব্দ করে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা না করায় পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কে তীব্র ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) প্রায় শতাধিক যাত্রীকে সড়কে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের পটুয়াখালী ব্রিজ টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায়। উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযানে ঢাকা গামী চারটি বাস থেকে আনুমানিক ৫১০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় পরিবহনগুলোকেও আটক করা হয়। পরিবহনে থাকা যাত্রীদের ঢাকা যাত্রার বিকল্প ব্যবস্থা না করার ফলে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে।
অভিযোগ উঠেছে, অভিযান চলাকালে পরিবহন থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হলেও তাদের বিকল্প পরিবহন বা গন্তব্যে পৌঁছানোর কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি যাত্রীদের দেওয়া ভাড়ার টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
যাত্রীরা জানান, হঠাৎ করেই গাড়ি থামিয়ে সবাইকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাদের কথা না শুনেই সংশ্লিষ্টরা গাড়ি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে কুয়াকাটা থেকে ঢাকাগামী প্রায় শতাধিক যাত্রী। উপায় না পেয়ে তারা পটুয়াখালী-কুয়াকাটা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওজাতুন জান্নাতের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, জাটকা ইলিশ রক্ষা ও আইন প্রয়োগের স্বার্থেই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী যাত্রীরা অভিযানের সময় মানবিক বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বরিশাল বিএনপির বিভাজিত দুটি গ্রুপ সংঘাতে জড়িয়েছে। রোববার অপরাহ্নে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মুখে স্মৃতিসৌধের বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিনের কর্মী-সমর্থকদের সাথে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে সংঘাত হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও হাতাহাতির বেশকিছু ভিডিওচিত্র দুপুরের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, মহানগর বিএনপি নেত্রী নাসরিন কজন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শহীদ বেদির সম্মুখে তর্কে লিপ্ত হন। এসময় তার চারদিকে বরিশাল সদর আসনের এমপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। এবং তাদের মধ্যেকার একজন বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক উত্তেজিত সকলকে সরিয়ে দিতে ভূমিকা রাখেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সরোয়ার অনুসারী বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। এবং শহীদ বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো শেষে তারা বের হচ্ছিলেন, এমন সময় বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন তার কর্মী-অনুসারীদের নিয়ে ফুলসমেত সেখানে প্রবেশ করছিলেন। তখন দুটি গ্রুপকে তর্কবিতর্ক এবং হাতাহাতির একপর্যায়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
জানা গেছে, এই সংঘাতের কিছুক্ষণ আগেই শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার। তার সাথে ছিলেন বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিনসহ জেলা ও মহানগর বরিশাল বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব।
বিএনপি নেত্রী নাসরিন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, তিনি শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানতে প্রবেশ করার প্রাক্কালে মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেকের নেতৃত্বে লোকজন নিয়ে তার ওপর হামলা করা হয়। এতে তার কজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন এবং ফুলের চাক ভেঙে যায়। এই ঘটনায় তিনি আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
তবে বিএনপি নেত্রীর ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তরিকুল ইসলাম তারেক। এই ছাত্রনেতার দাবি, তিনি মজিবর রহমান সরোয়ারের সাথে শ্রদ্ধা জানতে শহীদ বেদিতে গিয়েছিলেন। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে নেতা সরোয়ারসহ শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। এর কয়েক মিনিটের মাথায় বিএনপি নেত্রী নাসরিন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বেদিতে প্রবেশ করেন। তখন তার কর্মীদের সাথে নাসরিন অনুসারীদের হাতাহাতি হলে তিনি ভূমিকা রেখে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
খোদ শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানতে গিয়ে সংঘাতের এই ঘটনায় বিভাজিত দুটি গ্রুপ সংঘাতে জড়ানোর বিষয়টিকে অপ্রত্যাশিত বলে অভিহিত করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল) বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন। তিনি বরিশালটাইমসকে বলেন, কর্মীদের মধ্যেকার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে শীর্ষস্থানীয় নেতারা একত্রে বসে বিষয়টিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
তবে এই সংঘাতের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত নন বলে জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সদর আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। এই বর্ষীয়াণ নেতা বরিশালটাইমসকে বলেন, ঘটনার পরে বিভিন্ন মাধ্যম খন্ড খন্ড তথ্য তাকে অবহিত করেছে। পরবর্তীতে পুরো ঘটনা জেনে দলীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থাগ্রহণে হাইকমান্ডকে অবহিত করা হবে।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বরিশাল বিএনপির বিভাজিত দুটি গ্রুপ সংঘাতে জড়িয়েছে। রোববার অপরাহ্নে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মুখে স্মৃতিসৌধের বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিনের কর্মী-সমর্থকদের সাথে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে সংঘাত হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও হাতাহাতির বেশকিছু ভিডিওচিত্র দুপুরের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, মহানগর বিএনপি নেত্রী নাসরিন কজন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শহীদ বেদির সম্মুখে তর্কে লিপ্ত হন। এসময় তার চারদিকে বরিশাল সদর আসনের এমপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। এবং তাদের মধ্যেকার একজন বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক উত্তেজিত সকলকে সরিয়ে দিতে ভূমিকা রাখেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সরোয়ার অনুসারী বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। এবং শহীদ বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো শেষে তারা বের হচ্ছিলেন, এমন সময় বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন তার কর্মী-অনুসারীদের নিয়ে ফুলসমেত সেখানে প্রবেশ করছিলেন। তখন দুটি গ্রুপকে তর্কবিতর্ক এবং হাতাহাতির একপর্যায়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
জানা গেছে, এই সংঘাতের কিছুক্ষণ আগেই শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার। তার সাথে ছিলেন বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিনসহ জেলা ও মহানগর বরিশাল বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব।
বিএনপি নেত্রী নাসরিন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, তিনি শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানতে প্রবেশ করার প্রাক্কালে মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেকের নেতৃত্বে লোকজন নিয়ে তার ওপর হামলা করা হয়। এতে তার কজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন এবং ফুলের চাক ভেঙে যায়। এই ঘটনায় তিনি আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
তবে বিএনপি নেত্রীর ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তরিকুল ইসলাম তারেক। এই ছাত্রনেতার দাবি, তিনি মজিবর রহমান সরোয়ারের সাথে শ্রদ্ধা জানতে শহীদ বেদিতে গিয়েছিলেন। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে নেতা সরোয়ারসহ শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। এর কয়েক মিনিটের মাথায় বিএনপি নেত্রী নাসরিন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বেদিতে প্রবেশ করেন। তখন তার কর্মীদের সাথে নাসরিন অনুসারীদের হাতাহাতি হলে তিনি ভূমিকা রেখে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
খোদ শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানতে গিয়ে সংঘাতের এই ঘটনায় বিভাজিত দুটি গ্রুপ সংঘাতে জড়ানোর বিষয়টিকে অপ্রত্যাশিত বলে অভিহিত করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল) বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন। তিনি বরিশালটাইমসকে বলেন, কর্মীদের মধ্যেকার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে শীর্ষস্থানীয় নেতারা একত্রে বসে বিষয়টিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
তবে এই সংঘাতের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত নন বলে জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সদর আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। এই বর্ষীয়াণ নেতা বরিশালটাইমসকে বলেন, ঘটনার পরে বিভিন্ন মাধ্যম খন্ড খন্ড তথ্য তাকে অবহিত করেছে। পরবর্তীতে পুরো ঘটনা জেনে দলীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থাগ্রহণে হাইকমান্ডকে অবহিত করা হবে।’