https://joinnavy.navy.mil.bd/

সারাদেশ

আসামি ধরতে গিয়ে অস্ত্র-ওয়াকিটকি খোয়ানো ৬ পুলিশ বরখাস্ত

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:৫৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

আসামি ধরতে গিয়ে অস্ত্র-ওয়াকিটকি খোয়ানো ৬ পুলিশ বরখাস্ত

ফেনীর সোনাগাজীতে আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা, শটগান ও ওয়াকিটকি খোয়ানোর ঘটনাকে ‌‘অযোগ্যতা’ বিবেচনা করে ছয়জন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বুধবার (৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী সার্কেল) সৈয়দ মুমিদ রায়হান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক সাইদুর রহমান ও মোফাজ্জল হোসেন, কনস্টেবল মাহবুব আলম, আইনুল করিম, কাঞ্চন ও হৃদয়। তাদের ফেনী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে সোনাগাজী থানার সহকারী উপপরিদর্শক সাইদুর রহমান ও মোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আহাম্মদপুর গ্রামের আবুল হাশেমের দুই ছেলে জাহেদুল ইসলাম রিপন ও রফিকুল ইসলাম আরিফকে গ্রেফতার করতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় আসামি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পুলিশের কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি ও একটি শটগান কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

পরে সরকারি কাজে বাধা ও হামলার ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় দুই নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন- জাহেদুল ইসলাম রিপন, তার ছোট বোন সাবিনা ইয়াসমিন ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নিশু।

অন্যদিকে গ্রেফতার আসামিদের স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশ ষড়যন্ত্র করে তাদের ফাঁসিয়েছে। পুলিশকে হামলায় অভিযুক্ত রিপনের মেজো বোন রোকসানা আক্তার বলেন, আমার ভাই (রিপন) ডাকাত নন, নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। সেদিন পৃথক ঘরে আমার দুই ভাই, বৃদ্ধ মা, বোন ও ভাবি ছিলেন। তারা ৬জন অস্ত্রধারী পুলিশের ওপর কীভাবে হামলা করবে? ষড়যন্ত্র করে তাদের ফাঁসানো হয়েছে।

সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সোনাগাজী মডেল থানার ৬ পুলিশ সদস্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা কতটুকু আহত ছিলেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, গুরুতর কিছু ছিল না, হাতাহাতি হয়েছে এমনটা। এজন্য তারা শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই চলে গেছেন।

সোনাগাজী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি জাহেদুল ইসলাম রিপন ও রফিকুল ইসলাম আরিফের বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, মারামারি, চাঁদাবাজিসহ অস্ত্র আইনে মোট ১২টি মামলা রয়েছে। ঘটনার পর সার্কেল কর্মকর্তা ও আমিসহ ভোর ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত তাদের বাড়িতে ছিলাম। আমরা আসামি ধরার পর ফেনী থেকে অতিরিক্ত ফোর্স এসেছিল।

জানতে চাইলে ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ওই পুলিশ সদস্যরা আসামি ধরতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। উল্টো শটগান ও ওয়াকিটকি ফেলে চলে আসেন। এটি ব্যর্থতা, তাদের এ দায় নিতে হবে।

আরও পড়ুন:

যুবদল নেতার বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

যুবদল নেতার বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার

পরশুরামের চিথলিয়ায় যুবদল নেতা কাজী রবিউল হোসেন জিহাদের(৪০) বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।

‎জিহাদ চিথলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলীরকুল গ্রামের কাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।

শুক্রবার(৭ নভেম্বর) রাত দুইটায় উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলির কুল গ্রামে জিহাদের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পরশুরাম থানা পুলিশ। এ সময় তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বস্তা ভর্তি ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত থ্রি-পিস গুলো গণনা করে ২১১ পিস বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

‎‎উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম শাকিল বলেন, যুবদলের কেউ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ‎পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে লাঞ্ছনা, দালালের ৩ মাসের জেল

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:৩৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে লাঞ্ছনা, দালালের ৩ মাসের জেল

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আক্তার হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দালালকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল মো. আক্তার হোসেন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। গত বছরও জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জরুরি বিভাগে ওই দালালকে দেখে তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ না মেনে তর্কে জড়িয়ে ডা. মহিবুস সালামের ওপর চড়াও হন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখার জন্য আমরা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সচেতনতামূলক প্রচারণার বিলবোর্ড টানিয়েছি। দুপুরে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বের হতে বললে সে না গিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর আক্রমণ চালায় এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।

দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আক্তার হোসেনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আবার প্রবেশ করলে পুনরায় জেল দেওয়া হবে।’

যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ১৯৪

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ১৯৪

দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আট দিনে ১৯৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।

এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য এবং দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.