০১ জুন, ২০২৫ ১৬:২২
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণবিরোধী প্লাটফর্মে রূপ নিয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে বরিশাল জেলার মূখ্য সংগঠকসহ তিন নেতা পদত্যাগ করেছেন। রোববার (১ জুন) রাত ৮টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা।
পদত্যাগ করা নেতারা হলেন—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলার মূখ্য সংগঠক হাসিবুল ইসলাম তুরান, যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম আবিদ ও সদস্য তাহাসিন আহমেদ রাতুল।
পদত্যাগকারীরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলা ও মহানগরের কমিটিতে থাকা অধিকাংশ নেতা নানান অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়েছেন। ৫০ শতাংশ নেতাকর্মী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। তারা বিভিন্ন প্রকৌশল দপ্তরে গিয়ে ঠিকাদারী কাজ পেতে তদবির, মামলা বাণিজ্য করছে। কমিটির নেতাদের মধ্যে মূখ্য সংগঠক হাসিবুর আলম তুরানের নাম ব্যবহার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মহসিন উদ্দিন চাঁদাবাজি এবং অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে চলছেন।
হাসিবুর আলম তুরান লিখিত বক্তব্যে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার শক্তিতে রূপান্তর করে আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশপন্থি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন থেকে এসে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই প্লাটফর্মকে বিতর্কিত করেছেন অনেকে। সম্প্রতি গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি, আমার (তুরান) পরিচয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মহসিন উদ্দিন চাঁদাবাজি এবং অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন। কথিত কিছু নেতাকর্মী দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের শ্রমজীবী মানুষের কাছে না গিয়ে বিভিন্ন সরকারি ও আমলাদের দপ্তরে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারা দেশের মানুষকে সচেতন না করে পুরোনো রাজনৈতিক ধারায় আগ্রাসী, দখলবাজি, সাম্প্রদায়িক উসকানি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মামলা বাণিজ্য করে চলছেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য পরিষ্কার না করে উদ্দেশ্যহীন রাজনৈতিক মব তৈরি করে রাখা হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীরা ব্যাপক অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু সেই নারীদের স্বাধীনতা রক্ষায় এদের কোনো ভূমিকা লক্ষ্য করিনি। সাংগঠনিক, রাজনৈতিকভাবে শিক্ষিত এবং সচেতনতা তৈরিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে এরা (বৈছাআ নেতা) নিজেদের মধ্যেই কোন্দল সৃষ্টি করে চলছেন। আমাদের ব্যক্তিগত মূল উদ্দেশ্য ছিল নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। যেখানে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের অন্তর্ভুক্তমূলক অংশগ্রহণ থাকবে এবং বাংলাদেশপন্থি রাজনৈতিক ধারার চর্চা হবে। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ না করে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন। যা জুলাই অভ্যুত্থানের প্রত্যাশিত রাজনৈতিক আকাঙ্খার সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। এ কারণে সংগঠনটি একটি গণবিরোধী প্লাটফর্মে রূপ নিয়েছে। তাই জুলাই শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি না করে পদত্যাগ করাকে যৌক্তিক মনে করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম আবিদ ও সদস্য তাহাসিন আহমেদ রাতুল।
অভিযোগের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মহসিন উদ্দিন বলেন, মুখ্য সংগঠক তুরান নয়, স্থানীয় কর্মী তুরানের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থান থেকে আমরা কৌশল হিসেবে ছদ্মনাম ব্যবহার করছি। পুলিশ কমিশনার ঘটনার তদন্ত করেছেন। তাতে চাঁদাবাজির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বাধাগ্রস্ত করতে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলা আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন সোহাগ বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা এখন পর্যন্ত কেউ তদবির করিনি, যদি কেউ গোপনে করে থাকে তবে তা ভিন্ন কথা। তারা পদত্যাগ করবে, তা আমাকে অবগত করেনি। সংগঠনে অনিয়ম থাকলে তারা প্রতিবাদ করতে পারতো। কিন্তু তা তারা করেনি। এখন সংগঠন তাদের ভালো লাগছে না। তাই সাধারণ অভিযোগ দিয়ে এখন দল থেকে বের হয়েছে। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণবিরোধী প্লাটফর্মে রূপ নিয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে বরিশাল জেলার মূখ্য সংগঠকসহ তিন নেতা পদত্যাগ করেছেন। রোববার (১ জুন) রাত ৮টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা।
পদত্যাগ করা নেতারা হলেন—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলার মূখ্য সংগঠক হাসিবুল ইসলাম তুরান, যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম আবিদ ও সদস্য তাহাসিন আহমেদ রাতুল।
পদত্যাগকারীরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলা ও মহানগরের কমিটিতে থাকা অধিকাংশ নেতা নানান অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়েছেন। ৫০ শতাংশ নেতাকর্মী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। তারা বিভিন্ন প্রকৌশল দপ্তরে গিয়ে ঠিকাদারী কাজ পেতে তদবির, মামলা বাণিজ্য করছে। কমিটির নেতাদের মধ্যে মূখ্য সংগঠক হাসিবুর আলম তুরানের নাম ব্যবহার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মহসিন উদ্দিন চাঁদাবাজি এবং অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে চলছেন।
হাসিবুর আলম তুরান লিখিত বক্তব্যে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার শক্তিতে রূপান্তর করে আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশপন্থি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন থেকে এসে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই প্লাটফর্মকে বিতর্কিত করেছেন অনেকে। সম্প্রতি গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি, আমার (তুরান) পরিচয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মহসিন উদ্দিন চাঁদাবাজি এবং অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন। কথিত কিছু নেতাকর্মী দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের শ্রমজীবী মানুষের কাছে না গিয়ে বিভিন্ন সরকারি ও আমলাদের দপ্তরে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারা দেশের মানুষকে সচেতন না করে পুরোনো রাজনৈতিক ধারায় আগ্রাসী, দখলবাজি, সাম্প্রদায়িক উসকানি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মামলা বাণিজ্য করে চলছেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য পরিষ্কার না করে উদ্দেশ্যহীন রাজনৈতিক মব তৈরি করে রাখা হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীরা ব্যাপক অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু সেই নারীদের স্বাধীনতা রক্ষায় এদের কোনো ভূমিকা লক্ষ্য করিনি। সাংগঠনিক, রাজনৈতিকভাবে শিক্ষিত এবং সচেতনতা তৈরিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে এরা (বৈছাআ নেতা) নিজেদের মধ্যেই কোন্দল সৃষ্টি করে চলছেন। আমাদের ব্যক্তিগত মূল উদ্দেশ্য ছিল নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। যেখানে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের অন্তর্ভুক্তমূলক অংশগ্রহণ থাকবে এবং বাংলাদেশপন্থি রাজনৈতিক ধারার চর্চা হবে। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ না করে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন। যা জুলাই অভ্যুত্থানের প্রত্যাশিত রাজনৈতিক আকাঙ্খার সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। এ কারণে সংগঠনটি একটি গণবিরোধী প্লাটফর্মে রূপ নিয়েছে। তাই জুলাই শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি না করে পদত্যাগ করাকে যৌক্তিক মনে করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম আবিদ ও সদস্য তাহাসিন আহমেদ রাতুল।
অভিযোগের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মহসিন উদ্দিন বলেন, মুখ্য সংগঠক তুরান নয়, স্থানীয় কর্মী তুরানের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থান থেকে আমরা কৌশল হিসেবে ছদ্মনাম ব্যবহার করছি। পুলিশ কমিশনার ঘটনার তদন্ত করেছেন। তাতে চাঁদাবাজির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বাধাগ্রস্ত করতে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলা আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন সোহাগ বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা এখন পর্যন্ত কেউ তদবির করিনি, যদি কেউ গোপনে করে থাকে তবে তা ভিন্ন কথা। তারা পদত্যাগ করবে, তা আমাকে অবগত করেনি। সংগঠনে অনিয়ম থাকলে তারা প্রতিবাদ করতে পারতো। কিন্তু তা তারা করেনি। এখন সংগঠন তাদের ভালো লাগছে না। তাই সাধারণ অভিযোগ দিয়ে এখন দল থেকে বের হয়েছে। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
০৯ জুন, ২০২৫ ১০:৩০
বরিশালের বাবুগঞ্জে এক ঈদ পুনর্মিলনী, শুভেচ্ছা বিনিময় ও মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির ১নং সহ-সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ। রোববার (৮ জুন) দুপুরে উপজেলার দেহেরগতি গ্রামে তার পৈত্রিক বাড়িতে ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ওই মিলনমেলায় বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের ঢল নামে। এসময় জনস্রোত সামলাতে হিমশিম খেতে হয় স্বেচ্ছাসেবকদের।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান। শারীরিক অসুস্থতা সত্যেও তার উপস্থিতি অনুষ্ঠানে ভিন্নমাত্রা যোগ করে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবায়দুল হক চাঁন, সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ ও বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার। এসময় বরিশাল জেলা বিএনপির সদস্য ও মুলাদীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার খান, জেলা বিএনপির সদস্য ও বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসরাত হোসেন কচি তালুকদার, জেলা কৃষকদলের সভাপতি মহসিন আলম, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আওলাদ হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সহস্রাধিক বিএনপি নেতা এবং তাদের বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির ১নং সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ বলেন, 'ঈদ উপলক্ষ্যে এক পুনর্মিলনীর মাধ্যমে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় এবং তৃণমূল কর্মীদের সাথে সিনিয়র নেতাদের এক সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির মিলনমেলা করার উদ্দেশ্যেই আমার এই আয়োজন। আমি সবসময়ই তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছি, নিয়মিত খোঁজখবর রেখেছি। তাদের বিভিন্ন সংকটে এবং প্রয়োজনে পাশে দাঁড়িয়েছি। সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। বাবুগঞ্জ-মুলাদীর সর্বস্তরের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই বলেই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছি। আমার নেতা জনাব তারেক রহমানের আদর্শ ধারণ করে আমি সারাজীবন দলের জন্য এবং সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিম রহমান বলেন, 'বর্তমানে আমি শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ। তারপরেও ব্যারিস্টার আসাদের আমন্ত্রণে বাবুগঞ্জ-মুলাদীর সর্বস্তরের মানুষের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা ও সৌহার্দ্য বিনিময় করতে আসলাম। বরিশালে দলীয় সাংগঠনিক সভা ও কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করবো। মানুষ বহুবছর ভোট দিতে পারেনি। তাই সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ সহ্য করবে না জনগণ। ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন দেখতে চাই আমরা।'
বরিশালের বাবুগঞ্জে এক ঈদ পুনর্মিলনী, শুভেচ্ছা বিনিময় ও মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির ১নং সহ-সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ। রোববার (৮ জুন) দুপুরে উপজেলার দেহেরগতি গ্রামে তার পৈত্রিক বাড়িতে ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ওই মিলনমেলায় বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের ঢল নামে। এসময় জনস্রোত সামলাতে হিমশিম খেতে হয় স্বেচ্ছাসেবকদের।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান। শারীরিক অসুস্থতা সত্যেও তার উপস্থিতি অনুষ্ঠানে ভিন্নমাত্রা যোগ করে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবায়দুল হক চাঁন, সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ ও বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার। এসময় বরিশাল জেলা বিএনপির সদস্য ও মুলাদীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার খান, জেলা বিএনপির সদস্য ও বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসরাত হোসেন কচি তালুকদার, জেলা কৃষকদলের সভাপতি মহসিন আলম, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আওলাদ হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সহস্রাধিক বিএনপি নেতা এবং তাদের বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির ১নং সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ বলেন, 'ঈদ উপলক্ষ্যে এক পুনর্মিলনীর মাধ্যমে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় এবং তৃণমূল কর্মীদের সাথে সিনিয়র নেতাদের এক সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির মিলনমেলা করার উদ্দেশ্যেই আমার এই আয়োজন। আমি সবসময়ই তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছি, নিয়মিত খোঁজখবর রেখেছি। তাদের বিভিন্ন সংকটে এবং প্রয়োজনে পাশে দাঁড়িয়েছি। সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। বাবুগঞ্জ-মুলাদীর সর্বস্তরের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই বলেই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছি। আমার নেতা জনাব তারেক রহমানের আদর্শ ধারণ করে আমি সারাজীবন দলের জন্য এবং সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিম রহমান বলেন, 'বর্তমানে আমি শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ। তারপরেও ব্যারিস্টার আসাদের আমন্ত্রণে বাবুগঞ্জ-মুলাদীর সর্বস্তরের মানুষের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা ও সৌহার্দ্য বিনিময় করতে আসলাম। বরিশালে দলীয় সাংগঠনিক সভা ও কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করবো। মানুষ বহুবছর ভোট দিতে পারেনি। তাই সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ সহ্য করবে না জনগণ। ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন দেখতে চাই আমরা।'
০৮ জুন, ২০২৫ ০৭:৪৫
বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রীবাহী কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের রুট পারমিট স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার রাতে লঞ্চটির রুট পারমিট স্থগিত আদেশ জারি করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এর আগে শুক্রবার রাতে লঞ্চের মালিক মনজুরুল ইসলাম ফেরদৌসসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানা মামলা করে কোস্টগার্ড।
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক মুহম্মদ মোবরাক হোসেনের স্বাক্ষরিত রুট পারমিট স্থগিত আদেশে বলা হয়েছে, এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করে। সদরঘাট টার্মিনাল ত্যাগ করার পর পোস্তগোলা ব্রীজ অতিক্রম করার আগে লঞ্চের একটি প্রপেলার ভেঙে যায়। বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানার পর বিআইডব্লিউটিএ’র পরিবহন পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম দায়িত্বরত মাস্টার শুক্কুর এবং ড্রাইভার মিজানুর রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। তারা প্রপেলার ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চের মাস্টারকে যাত্রা বাতিল করে সদরঘাট টার্মিনালে ফেরত আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম-পরিচালক (নৌনিট্রা) লঞ্চের মাস্টারের সঙ্গে ফোনে কথা বলে অনুরূপ নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি নির্দেশ অমান্য করে লঞ্চটি এক ইঞ্জিনে চালিয়ে শুক্রবার সকালে বরিশালে পৌঁছায়। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এবং ঈদ-উল-আযহায় ঘরমুখো যাত্রীদের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। ফলে কর্তৃপক্ষের তথা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারতো। লঞ্চটির চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে।
এর আগে শুক্রবার সকালে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চ বরিশাল নৌবন্দরে পৌঁছার পর যাত্রীদের সঙ্গে লঞ্চ কর্মচারীদের তুমুল বাকবিতন্ডা হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে তখন কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে গেলে লঞ্চের মালিক ফেরদৌস দলবলসহ কোস্টগার্ড ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসাদচরণ করেন।
সেই ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার রাতে মামলা করেন কোস্টগার্ডের কমান্ডার শাহ-জালাল। এরপরে গ্রেপ্তার হয়েছেন কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের ম্যানেজার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন এবং মাস্টার শুকুর আলী। মামলা এবং গ্রেপ্তারের একদিন পরে কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চটির রুট পারমিট স্থগিত করল বিআইডব্লিউটিএ।’
বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রীবাহী কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের রুট পারমিট স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার রাতে লঞ্চটির রুট পারমিট স্থগিত আদেশ জারি করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এর আগে শুক্রবার রাতে লঞ্চের মালিক মনজুরুল ইসলাম ফেরদৌসসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানা মামলা করে কোস্টগার্ড।
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক মুহম্মদ মোবরাক হোসেনের স্বাক্ষরিত রুট পারমিট স্থগিত আদেশে বলা হয়েছে, এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করে। সদরঘাট টার্মিনাল ত্যাগ করার পর পোস্তগোলা ব্রীজ অতিক্রম করার আগে লঞ্চের একটি প্রপেলার ভেঙে যায়। বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানার পর বিআইডব্লিউটিএ’র পরিবহন পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম দায়িত্বরত মাস্টার শুক্কুর এবং ড্রাইভার মিজানুর রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। তারা প্রপেলার ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চের মাস্টারকে যাত্রা বাতিল করে সদরঘাট টার্মিনালে ফেরত আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম-পরিচালক (নৌনিট্রা) লঞ্চের মাস্টারের সঙ্গে ফোনে কথা বলে অনুরূপ নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি নির্দেশ অমান্য করে লঞ্চটি এক ইঞ্জিনে চালিয়ে শুক্রবার সকালে বরিশালে পৌঁছায়। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এবং ঈদ-উল-আযহায় ঘরমুখো যাত্রীদের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। ফলে কর্তৃপক্ষের তথা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারতো। লঞ্চটির চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে।
এর আগে শুক্রবার সকালে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চ বরিশাল নৌবন্দরে পৌঁছার পর যাত্রীদের সঙ্গে লঞ্চ কর্মচারীদের তুমুল বাকবিতন্ডা হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে তখন কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে গেলে লঞ্চের মালিক ফেরদৌস দলবলসহ কোস্টগার্ড ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসাদচরণ করেন।
সেই ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার রাতে মামলা করেন কোস্টগার্ডের কমান্ডার শাহ-জালাল। এরপরে গ্রেপ্তার হয়েছেন কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের ম্যানেজার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন এবং মাস্টার শুকুর আলী। মামলা এবং গ্রেপ্তারের একদিন পরে কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চটির রুট পারমিট স্থগিত করল বিআইডব্লিউটিএ।’
০৭ জুন, ২০২৫ ০৪:১৬
বরিশালে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশে ঈদের জামাত আদায় করতে পেরে শুকরিয়া জানিয়েছেন মুসল্লিরা।শনিবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় শহরের বান্দরোডের হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজে ইমামতি করেন কালেক্টরেট জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সকাল থেকেই ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে দলে দলে ঈদগাহ ময়দানে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কায়ছার, জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ধর্মপ্রাণ মানুষ ঈদের প্রধান জামাতে অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। অপরদিকে নামাজ শেষে পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসল্লিরা।
প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া নগরের ৫ শতাধিক মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা।
বরিশালে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশে ঈদের জামাত আদায় করতে পেরে শুকরিয়া জানিয়েছেন মুসল্লিরা।শনিবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় শহরের বান্দরোডের হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজে ইমামতি করেন কালেক্টরেট জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সকাল থেকেই ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে দলে দলে ঈদগাহ ময়দানে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কায়ছার, জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ধর্মপ্রাণ মানুষ ঈদের প্রধান জামাতে অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। অপরদিকে নামাজ শেষে পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসল্লিরা।
প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া নগরের ৫ শতাধিক মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.