
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:২৭
সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ভোলার লালমোহন উপজেলার নিখোঁজ হওয়া ১৩ জেলের সন্ধান মিলেছে। সোমবার (১লা ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি কারাগার থেকে ওইসব জেলেরা ভিডিও কলে তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। ২১ দিন পর ১৩ জেলের জীবিত থাকার খবরে বাঁধ ভাঙা আনন্দ-উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে পরিবারগুলোতে। তবে সরকারের কাছে ওইসব জেলেদের দ্রুত ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা। গত ১০ নভেম্বর লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাতিরখাল মৎস্যঘাট এলাকা থেকে ১৩ জেলে সাগরে মাছ শিকারের যাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
ভারতের কারাগারে থাকা জেলেরা হলেন- লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দলিল মাস্টার বাজার এলাকার মো. মাকসুদুর রহমান, মো. খোকন, মো. হেলাল, মো. শামিম, মো. সাব্বির, মো. সজিব, মো. জাহাঙ্গীর, মো. নাছির মাঝি এবং একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাতিরখাল এলাকার আব্দুল মালেক, মো. ফারুক, মো. মাকসুদ, মো. আলম মাঝি ও মো. ফারুকসহ মোট ১৩ জেলে।
জেলে হেলালের স্ত্রী মিতু বেগম বলেন, সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার পর থেকেই আমার স্বামীর কোনো খোঁজ পাচ্ছিলাম না। ২১ দিন পর ভারত থেকে আমার স্বামী ইমুতে কল দিয়েছে। বলেছেন তারা সবাই সেখানের একটি কারাগারে আছেন। স্বামীসহ তার সঙ্গে থাকা সবাই এখনো বেঁচে থাকায় মহান আল্লাহ’র কাছে শুকরিয়া জানাই। তবে এখন তাদেরকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে এনে দিতে সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি।
ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পশ্চিম শাখা বিএনপির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন নসু জানান, ওইসব জেলেদের পরিবারগুলো এতদিন ধরে অত্যন্ত শোকের ভেতর ছিলেন। তারা স্বজনদের খোঁজে দিশেহারা হয়ে পড়েন। তবে তাদের সেই দুশ্চিন্তা এখন দূর হয়েছে, সোমবার ভারতের একটি কারাগার থেকে তারা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাই ওইসব পরিবারের পক্ষ থেকে আমি সরকারের কাছে দাবি করছি; যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেন ভারতে থাকা ওইসব জেলেদের ফিরিয়ে আনা হয়।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা ধারণা করছি সাগরে মাছ শিকার করতে গিয়ে ভারতের জলসীমায় ঢুকে পড়েন জেলেরা। এরপর তাদের ভারতের নৌবাহিনীর সদস্যরা আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। বর্তমানে তারা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি কারাগারে রয়েছেন। এখন আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবো। এরপর কর্তৃপক্ষ ভারতে থাকা ওইসব জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনার যেসব প্রক্রিয়া রয়েছে তার মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন।।
সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ভোলার লালমোহন উপজেলার নিখোঁজ হওয়া ১৩ জেলের সন্ধান মিলেছে। সোমবার (১লা ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি কারাগার থেকে ওইসব জেলেরা ভিডিও কলে তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। ২১ দিন পর ১৩ জেলের জীবিত থাকার খবরে বাঁধ ভাঙা আনন্দ-উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে পরিবারগুলোতে। তবে সরকারের কাছে ওইসব জেলেদের দ্রুত ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা। গত ১০ নভেম্বর লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাতিরখাল মৎস্যঘাট এলাকা থেকে ১৩ জেলে সাগরে মাছ শিকারের যাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
ভারতের কারাগারে থাকা জেলেরা হলেন- লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দলিল মাস্টার বাজার এলাকার মো. মাকসুদুর রহমান, মো. খোকন, মো. হেলাল, মো. শামিম, মো. সাব্বির, মো. সজিব, মো. জাহাঙ্গীর, মো. নাছির মাঝি এবং একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাতিরখাল এলাকার আব্দুল মালেক, মো. ফারুক, মো. মাকসুদ, মো. আলম মাঝি ও মো. ফারুকসহ মোট ১৩ জেলে।
জেলে হেলালের স্ত্রী মিতু বেগম বলেন, সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার পর থেকেই আমার স্বামীর কোনো খোঁজ পাচ্ছিলাম না। ২১ দিন পর ভারত থেকে আমার স্বামী ইমুতে কল দিয়েছে। বলেছেন তারা সবাই সেখানের একটি কারাগারে আছেন। স্বামীসহ তার সঙ্গে থাকা সবাই এখনো বেঁচে থাকায় মহান আল্লাহ’র কাছে শুকরিয়া জানাই। তবে এখন তাদেরকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে এনে দিতে সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি।
ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পশ্চিম শাখা বিএনপির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন নসু জানান, ওইসব জেলেদের পরিবারগুলো এতদিন ধরে অত্যন্ত শোকের ভেতর ছিলেন। তারা স্বজনদের খোঁজে দিশেহারা হয়ে পড়েন। তবে তাদের সেই দুশ্চিন্তা এখন দূর হয়েছে, সোমবার ভারতের একটি কারাগার থেকে তারা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাই ওইসব পরিবারের পক্ষ থেকে আমি সরকারের কাছে দাবি করছি; যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেন ভারতে থাকা ওইসব জেলেদের ফিরিয়ে আনা হয়।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা ধারণা করছি সাগরে মাছ শিকার করতে গিয়ে ভারতের জলসীমায় ঢুকে পড়েন জেলেরা। এরপর তাদের ভারতের নৌবাহিনীর সদস্যরা আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। বর্তমানে তারা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি কারাগারে রয়েছেন। এখন আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবো। এরপর কর্তৃপক্ষ ভারতে থাকা ওইসব জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনার যেসব প্রক্রিয়া রয়েছে তার মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন।।

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৪
ভোলা শহরে নবনির্মিত গজনবী স্টেডিয়াম, চরফ্যাশন উপজেলার মিনি স্টেডিয়াম ও জেলা সুইমিংপুলের উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। ভোলার জেলা প্রশাসকের সম্মেলণ কক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘উপজেলা স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১ টি স্টেডিয়াম আমরা নির্মাণ করছি। ভোলা যে মিনি স্টেডিয়াম সেটা উন্নতমানের, প্রায় ১০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার সম্পূর্ণ। আমাদের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পলিসি হচ্ছে-দেশের সব পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ বাস্তবায়ন করব।’
অবকাঠামোর বাইরেও অবকাঠামোর সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে খেলাধুলার ইকোসিস্টেম বিল্ড করার জন্য দৃশ্যমান অগ্রগতি ১ বছরের বেশি সময়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দেখাতে পেরেছে।
এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.বিল্লাল হোসেন। এছাড়া ভোলার স্থানীয় রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোলা শহরে নবনির্মিত গজনবী স্টেডিয়াম, চরফ্যাশন উপজেলার মিনি স্টেডিয়াম ও জেলা সুইমিংপুলের উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। ভোলার জেলা প্রশাসকের সম্মেলণ কক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘উপজেলা স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১ টি স্টেডিয়াম আমরা নির্মাণ করছি। ভোলা যে মিনি স্টেডিয়াম সেটা উন্নতমানের, প্রায় ১০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার সম্পূর্ণ। আমাদের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পলিসি হচ্ছে-দেশের সব পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ বাস্তবায়ন করব।’
অবকাঠামোর বাইরেও অবকাঠামোর সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে খেলাধুলার ইকোসিস্টেম বিল্ড করার জন্য দৃশ্যমান অগ্রগতি ১ বছরের বেশি সময়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দেখাতে পেরেছে।
এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.বিল্লাল হোসেন। এছাড়া ভোলার স্থানীয় রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩০
ভোলা-বরিশাল সেতুর দাবিতে পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান আটকে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে ভোলার ওপর দিয়ে অন্যান্য জেলায় যাতায়াতকারী পরিবহন ব্যবস্থা। এ সময় দূরপাল্লার ট্রাক, পণ্যবাহী যানবাহন আটকে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার পরানগঞ্জ বাজার সংলগ্ন বিশ্বরোড চত্বরে পূর্ব ঘোষিত করিডোর অবরোধ কর্মসূচিতে এসব গাড়ি আটকে দেওয়া হয়।
আটকে পড়া ট্রাকচালক মো. হোসাইন ও মো. বাবুল বলেন, আমরা ট্রাকে কারখানার কাঁচামাল নিয়ে ভেদুরিয়া ফেরিঘাট হয়ে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরী ঘাটে যাওয়ার জন্য এসেছি। এখানে আন্দোলনের মুখে পড়েছি। আন্দোলনকারীরা বলেছে, এ রাস্তা বন্ধ, তাই ট্রাক নিয়ে বসে আছি।
তারা বলেন, সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে না পাড়লে কম্পানি এবং আমাদের লোকসান হবে। কম্পানি আমাদের প্রতি ট্রিপে নির্দিষ্ট পরিমাণে রোড খরচ দেয়, এর বাইরে দিবে না। বাকি রোড খরচ নিজেদেরই বহন করতে হবে।
আটকে পড়া ট্রাক চালকদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, ভোলা-বরিশাল সেতুর দাবিতে আন্দোলনকারীরা আমাদের আটকে দিয়েছে। এটি আামাদের জন্য ভোগান্তির কারণ। তবে আমরাও চাই ভোলা-বরিশাল সেতু হোক। এটি হলে আমাদের জন্যও ভালো হবে। ফেরিঘাটে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। আমরা সহজেই যাতায়াত করতে পারব।
আন্দোলনকারী মো. শরীফ হাওলাদার বলেন, বাইরের জেলার যে সব গাড়ি ভোলার ওপর দিয়ে অন্য জেলায় যাতায়াত করে, সেগুলোকে আমরা আটকে দিয়েছি। তবে ভোলাতে আসা-যাওয়া করা গাড়িগুলো চলাচল করবে। এটি আমাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি।
তিনি বলেন, আগামীকালের (বৃহস্পতিবার) আমাদের কর্মসূচি হলো-ভোলার জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ সাত উপজেলার নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি। সরকার যদি আমাদের সঙ্গে না বসে, তাহলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।
আন্দোলনকারী মো. রাহিম ইসলাম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা দিয়েছেন, ২৬ সালের জানুয়ারি মাসে ভোলা-বরিশাল সেতুর কাজ শুরু করবে। হঠাৎ করে গত মাসে সেতু উপদেষ্টা ভোলায় এসে বললেন, সেতুর কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তারা এটি পুনরায় যাচাই-বাছাই করে দেখবেন এবং ভোলা-বরিশাল সেতু করলে পরিবেশের জন্য ক্ষতি হবে। উপদেষ্টার এমন কথা ভোলাবাসীর সঙ্গে প্রতারণার শামিল।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
ভোলা-বরিশাল সেতুর দাবিতে পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান আটকে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে ভোলার ওপর দিয়ে অন্যান্য জেলায় যাতায়াতকারী পরিবহন ব্যবস্থা। এ সময় দূরপাল্লার ট্রাক, পণ্যবাহী যানবাহন আটকে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার পরানগঞ্জ বাজার সংলগ্ন বিশ্বরোড চত্বরে পূর্ব ঘোষিত করিডোর অবরোধ কর্মসূচিতে এসব গাড়ি আটকে দেওয়া হয়।
আটকে পড়া ট্রাকচালক মো. হোসাইন ও মো. বাবুল বলেন, আমরা ট্রাকে কারখানার কাঁচামাল নিয়ে ভেদুরিয়া ফেরিঘাট হয়ে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরী ঘাটে যাওয়ার জন্য এসেছি। এখানে আন্দোলনের মুখে পড়েছি। আন্দোলনকারীরা বলেছে, এ রাস্তা বন্ধ, তাই ট্রাক নিয়ে বসে আছি।
তারা বলেন, সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে না পাড়লে কম্পানি এবং আমাদের লোকসান হবে। কম্পানি আমাদের প্রতি ট্রিপে নির্দিষ্ট পরিমাণে রোড খরচ দেয়, এর বাইরে দিবে না। বাকি রোড খরচ নিজেদেরই বহন করতে হবে।
আটকে পড়া ট্রাক চালকদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, ভোলা-বরিশাল সেতুর দাবিতে আন্দোলনকারীরা আমাদের আটকে দিয়েছে। এটি আামাদের জন্য ভোগান্তির কারণ। তবে আমরাও চাই ভোলা-বরিশাল সেতু হোক। এটি হলে আমাদের জন্যও ভালো হবে। ফেরিঘাটে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। আমরা সহজেই যাতায়াত করতে পারব।
আন্দোলনকারী মো. শরীফ হাওলাদার বলেন, বাইরের জেলার যে সব গাড়ি ভোলার ওপর দিয়ে অন্য জেলায় যাতায়াত করে, সেগুলোকে আমরা আটকে দিয়েছি। তবে ভোলাতে আসা-যাওয়া করা গাড়িগুলো চলাচল করবে। এটি আমাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি।
তিনি বলেন, আগামীকালের (বৃহস্পতিবার) আমাদের কর্মসূচি হলো-ভোলার জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ সাত উপজেলার নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি। সরকার যদি আমাদের সঙ্গে না বসে, তাহলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।
আন্দোলনকারী মো. রাহিম ইসলাম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা দিয়েছেন, ২৬ সালের জানুয়ারি মাসে ভোলা-বরিশাল সেতুর কাজ শুরু করবে। হঠাৎ করে গত মাসে সেতু উপদেষ্টা ভোলায় এসে বললেন, সেতুর কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তারা এটি পুনরায় যাচাই-বাছাই করে দেখবেন এবং ভোলা-বরিশাল সেতু করলে পরিবেশের জন্য ক্ষতি হবে। উপদেষ্টার এমন কথা ভোলাবাসীর সঙ্গে প্রতারণার শামিল।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:০৯
ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা না থাকায় দুই মাস ধরে বেতন-ভাতা তুলতে পারছেন না হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে চরম দুর্দশায় পড়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ১৩০ জন কর্মকর্তা এবং কর্মচারী রয়েছেন। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির ১২ জন ও দ্বিতীয় শ্রেণির ৩২ জন কর্মকর্তা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৮৬ জন কর্মচারী। তারা গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের কোনো ধরনের বেতন-ভাতা তুলতে পারেননি। এতে তারা চরম অর্থ সংকটে ভুগছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (ইউএইচএফপিও) বদলির পর থেকে গত দুই মাস ধরে আমাদের সবার বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত একজন দায়িত্বে থাকলেও তাকে ডিডিওশিপ (আয়ন-ব্যয়ন ক্ষমতা) না দেওয়ায় হয়নি।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. মহসীন খান জানান, আমি বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে রয়েছি। তবে আমাকে ডিডিওশিপ না দেওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের বেতন-ভাতা তুলতে পারছেন না। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি এ সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
ভোলা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মু. মনিরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, লালমোহনে ইউএইচএফপিও পদায়ন না করায় এ সম্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে এই সপ্তাহের মধ্যে সেখানে ইউএইচএফপিও পদায়ন করা না হলে আমিই ডিডিওশিপ এনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করব।
ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা না থাকায় দুই মাস ধরে বেতন-ভাতা তুলতে পারছেন না হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে চরম দুর্দশায় পড়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ১৩০ জন কর্মকর্তা এবং কর্মচারী রয়েছেন। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির ১২ জন ও দ্বিতীয় শ্রেণির ৩২ জন কর্মকর্তা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৮৬ জন কর্মচারী। তারা গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের কোনো ধরনের বেতন-ভাতা তুলতে পারেননি। এতে তারা চরম অর্থ সংকটে ভুগছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (ইউএইচএফপিও) বদলির পর থেকে গত দুই মাস ধরে আমাদের সবার বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত একজন দায়িত্বে থাকলেও তাকে ডিডিওশিপ (আয়ন-ব্যয়ন ক্ষমতা) না দেওয়ায় হয়নি।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. মহসীন খান জানান, আমি বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে রয়েছি। তবে আমাকে ডিডিওশিপ না দেওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের বেতন-ভাতা তুলতে পারছেন না। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি এ সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
ভোলা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মু. মনিরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, লালমোহনে ইউএইচএফপিও পদায়ন না করায় এ সম্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে এই সপ্তাহের মধ্যে সেখানে ইউএইচএফপিও পদায়ন করা না হলে আমিই ডিডিওশিপ এনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করব।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.