
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৪২
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ (৫৫) নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে অপ রাজনীতির অভিযোগ উঠেছে।
দুই বিএনপি কর্মীর তর্কাতর্কীর জেরে এই হত্যাকান্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মামলায় আসামী করা হয়েছে মসজিদের ইমামসহ কয়েকজন জামায়াতের নেতাকর্মীকে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ইব্রাহীম হাওলাদার বলেন, শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে করফাকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে স্থানীয় বিএনপি কর্মী দেলোয়ার হোসেন ঘরামীর সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক
আবদুল লতিফের। একপর্যায়ে দেলোয়ার হোসেন ঘরামী কয়েকটি থাপ্পর মারেন আবদুল লতিফকে। এতে আবদুল লতিফ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এখানে শুরু থেকেই উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় আল মামুন, ইসমাইল চৌকিদার, হিরু হাওলাদার ও মনির সহ আরো অনেকে। অথচ দায়েরকৃত মামলাটিতে প্রকৃত প্রত্যক্ষদর্শী এসব ব্যক্তিদেরকে স্বাক্ষী রাখা হয়নি।
তিনি বলেন, আবদুল লতিফকে চরথাপ্পর মেরেছে দেলোয়ার। কোন সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনা দেখিনি। ওখানে উপস্থিত অন্যান্যরা উভয়কে ছাড়িয়ে দিয়েছে। আমি নিজে আবদুল লতিফকে হাসপাতালে নিতে সাহায্য করেছি।
অথচ মামলায় আমাকেও আসামী করা হয়েছে। তাছাড়া জামায়াতের কয়েকজন নেতাকে আসামী করা হয়েছে যারা আদৌ সেদিন ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। এমনকি মসজিদের ইমাম সাহেবকেও আসামী করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত দেলোয়ার একজন বিএনপি কর্মী। গত ৬ সেপ্টেম্বর বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে তার ছিল সরব উপস্থিতি। সেই ছবি এখনো অনলাইন ও ফেসবুকে রয়েছে।
করফাকর বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা জাহিদুল ইসলাম বলেন, আবদুল লতিফ ভাই আমার মসজিদের মুসল্লী ছিলেন। আসরের নামাজের পর মারামারির সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই।
কিন্তু ততক্ষণে লতিফ ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। অথচ আমাকেও এই মামলায় আসামী করা হয়েছে। আমি অত্যন্ত আশ্চার্যম্বিত হয়েছি। তাছাড়া এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রমরমা মামলা বাণিজ্য।
নিহতের পরিবারকে জিম্মি করে মামলায় নীরিহ জামায়াতের লোকদের আসামী করে এই বাণিজ্য করছে একটি মহল। এ ঘটনায় অসংখ্য নির্দোষ পুরুষ এখন বাড়িছাড়া ।
ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী আল মামুন বলেন, যেহেতু মামলা হয়েছে। তাই অযথা এই মুহুর্তে কোন কথা বলে বিপদে পড়তে চাইনা। কেননা এলাকায় অনেকেই এখন আতঙ্কে আছে।
সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মোহাম্মদ ফেরদাউস বলেন, ঘটনার দিন আমি ছিলাম উজিরপুরে। সেখান থেকে আমি এলাকায় ফিরে মৃধাবাড়ি মসজিদে আসরের নামাজ পড়ি। এরপর শুনতে পাই করফাকর স্কুল প্রাঙ্গনে মারামারি হয়েছে।
আমি আদৌ ঘটনাস্থলেই যাইনি। অথচ আমি সহ জামায়াতের নায়েবে আমির হাফেজ নাজিমউদ্দিন ও যুব জামায়াতের নেতা জাহিদুল ইসলামকে আসামী করা হয়েছে। বিএনপি নেতারা আমাদেরকে আসামী করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে এলাকায় দফায় দফায় মিছিল বের করে।
তিনি আরো বলেন, মামলায় বাদীপক্ষকে জবরদস্তি করে জামায়াতের লোকদেরকে আসামী দিয়েছে বিএনপি নেতারা। এতে একদিকে নিরীহ লোকজন হয়ারানি হচ্ছে।
অপরদিকে হত্যাকান্ডের ন্যায়বিচার ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া অভিযুক্ত দেলোয়ার একজন বিএনপি কর্মী। তাকে এখন জামায়াত সাজিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা চলছে।
সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন জামায়াতের নায়েবে আমির হাফেজ নাজিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি ঘটার অনেক সময় পরে আমি খবর পেয়েছি। অথচ আমাকেও আসামী করা হয়েছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা এটিকে নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। তারা নিহতের পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে নির্দোষ লোকগুলোকে আসামী দিয়েছে। জামায়াতের উপরে দায় চাপিয়ে তারা রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা চালাচ্ছে। নিরপেক্ষ তদন্ত করলে সব বেরিয়ে আসবে।
মামলার বাদী ও নিহতের স্ত্রী পারভীনা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, আমি তিনজন আসামীর নাম দিয়েছি। এই তিনজনের মধ্যে জামায়াতের কারো নাম ছিলো না, অন্যান্য নাম অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে পুলিশ ও বিএনপি নেতারা বলতে পারবেন।
আমি ন্যায় বিচার চাই। এ বিষয়ে সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, যেসব লোকদের আসামী করা হয়েছে তারা অনেকে ঘটনাস্থলে ছিল, অনেকে কাছাকাছি ছিল। কেননা আসামীরা সকলেই করফাকরের বাসিন্দা।
আমরা এটা নিয়ে রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকলে তো পুরো উপজেলা জামায়াতের লোকজনকে আসামী দিতে পারতাম, তা তো দেইনি।
বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মৃধা বলেন, আমরা এটা নিয়ে কোন রাজনীতি করছিনা।
ভুক্তভোগী পরিবারকে সহযোগিতা করছি। কেননা আবদুল লতিফ ছিল দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা। হত্যাকারী দেলোয়ার বিএনপির কর্মী নয়, সে জামায়াতের সমর্থক বলে মন্তব্য করেন রিয়াজ মৃধা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরাফাত হাসান বলেন, মামলাটি তদন্তনাধীন আছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বানারীপাড়া থানার ওসির দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শতদল মজুমদার বলেন, হ্যাকান্ডের পর ভুক্তভোগী পরিবার মামলা দিয়েছে।
আসামী ও স্বাক্ষীদের নাম তারাই দিয়েছে। তবে কোন নির্দোষ ব্যক্তি আসামী হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই আমরা প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনবো।
প্রসঙ্গত, সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে হত্যাকান্ডের শিকার হন। রোবাবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নিহতেরর স্ত্রী পারভীনা বেগম বাদী হয়ে তিন জামায়াত নেতাসহ ৯ জনকে সুনির্দিষ্ট ও বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বানারীপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে মামলার এজাহারনামীয় দুই নম্বর আসামী তুহিনকে ভোলা শহর থেকে র ্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়।
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ (৫৫) নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে অপ রাজনীতির অভিযোগ উঠেছে।
দুই বিএনপি কর্মীর তর্কাতর্কীর জেরে এই হত্যাকান্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মামলায় আসামী করা হয়েছে মসজিদের ইমামসহ কয়েকজন জামায়াতের নেতাকর্মীকে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ইব্রাহীম হাওলাদার বলেন, শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে করফাকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে স্থানীয় বিএনপি কর্মী দেলোয়ার হোসেন ঘরামীর সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক
আবদুল লতিফের। একপর্যায়ে দেলোয়ার হোসেন ঘরামী কয়েকটি থাপ্পর মারেন আবদুল লতিফকে। এতে আবদুল লতিফ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এখানে শুরু থেকেই উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় আল মামুন, ইসমাইল চৌকিদার, হিরু হাওলাদার ও মনির সহ আরো অনেকে। অথচ দায়েরকৃত মামলাটিতে প্রকৃত প্রত্যক্ষদর্শী এসব ব্যক্তিদেরকে স্বাক্ষী রাখা হয়নি।
তিনি বলেন, আবদুল লতিফকে চরথাপ্পর মেরেছে দেলোয়ার। কোন সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনা দেখিনি। ওখানে উপস্থিত অন্যান্যরা উভয়কে ছাড়িয়ে দিয়েছে। আমি নিজে আবদুল লতিফকে হাসপাতালে নিতে সাহায্য করেছি।
অথচ মামলায় আমাকেও আসামী করা হয়েছে। তাছাড়া জামায়াতের কয়েকজন নেতাকে আসামী করা হয়েছে যারা আদৌ সেদিন ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। এমনকি মসজিদের ইমাম সাহেবকেও আসামী করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত দেলোয়ার একজন বিএনপি কর্মী। গত ৬ সেপ্টেম্বর বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে তার ছিল সরব উপস্থিতি। সেই ছবি এখনো অনলাইন ও ফেসবুকে রয়েছে।
করফাকর বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা জাহিদুল ইসলাম বলেন, আবদুল লতিফ ভাই আমার মসজিদের মুসল্লী ছিলেন। আসরের নামাজের পর মারামারির সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই।
কিন্তু ততক্ষণে লতিফ ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। অথচ আমাকেও এই মামলায় আসামী করা হয়েছে। আমি অত্যন্ত আশ্চার্যম্বিত হয়েছি। তাছাড়া এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রমরমা মামলা বাণিজ্য।
নিহতের পরিবারকে জিম্মি করে মামলায় নীরিহ জামায়াতের লোকদের আসামী করে এই বাণিজ্য করছে একটি মহল। এ ঘটনায় অসংখ্য নির্দোষ পুরুষ এখন বাড়িছাড়া ।
ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী আল মামুন বলেন, যেহেতু মামলা হয়েছে। তাই অযথা এই মুহুর্তে কোন কথা বলে বিপদে পড়তে চাইনা। কেননা এলাকায় অনেকেই এখন আতঙ্কে আছে।
সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মোহাম্মদ ফেরদাউস বলেন, ঘটনার দিন আমি ছিলাম উজিরপুরে। সেখান থেকে আমি এলাকায় ফিরে মৃধাবাড়ি মসজিদে আসরের নামাজ পড়ি। এরপর শুনতে পাই করফাকর স্কুল প্রাঙ্গনে মারামারি হয়েছে।
আমি আদৌ ঘটনাস্থলেই যাইনি। অথচ আমি সহ জামায়াতের নায়েবে আমির হাফেজ নাজিমউদ্দিন ও যুব জামায়াতের নেতা জাহিদুল ইসলামকে আসামী করা হয়েছে। বিএনপি নেতারা আমাদেরকে আসামী করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে এলাকায় দফায় দফায় মিছিল বের করে।
তিনি আরো বলেন, মামলায় বাদীপক্ষকে জবরদস্তি করে জামায়াতের লোকদেরকে আসামী দিয়েছে বিএনপি নেতারা। এতে একদিকে নিরীহ লোকজন হয়ারানি হচ্ছে।
অপরদিকে হত্যাকান্ডের ন্যায়বিচার ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া অভিযুক্ত দেলোয়ার একজন বিএনপি কর্মী। তাকে এখন জামায়াত সাজিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা চলছে।
সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন জামায়াতের নায়েবে আমির হাফেজ নাজিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি ঘটার অনেক সময় পরে আমি খবর পেয়েছি। অথচ আমাকেও আসামী করা হয়েছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা এটিকে নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। তারা নিহতের পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে নির্দোষ লোকগুলোকে আসামী দিয়েছে। জামায়াতের উপরে দায় চাপিয়ে তারা রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা চালাচ্ছে। নিরপেক্ষ তদন্ত করলে সব বেরিয়ে আসবে।
মামলার বাদী ও নিহতের স্ত্রী পারভীনা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, আমি তিনজন আসামীর নাম দিয়েছি। এই তিনজনের মধ্যে জামায়াতের কারো নাম ছিলো না, অন্যান্য নাম অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে পুলিশ ও বিএনপি নেতারা বলতে পারবেন।
আমি ন্যায় বিচার চাই। এ বিষয়ে সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, যেসব লোকদের আসামী করা হয়েছে তারা অনেকে ঘটনাস্থলে ছিল, অনেকে কাছাকাছি ছিল। কেননা আসামীরা সকলেই করফাকরের বাসিন্দা।
আমরা এটা নিয়ে রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকলে তো পুরো উপজেলা জামায়াতের লোকজনকে আসামী দিতে পারতাম, তা তো দেইনি।
বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মৃধা বলেন, আমরা এটা নিয়ে কোন রাজনীতি করছিনা।
ভুক্তভোগী পরিবারকে সহযোগিতা করছি। কেননা আবদুল লতিফ ছিল দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা। হত্যাকারী দেলোয়ার বিএনপির কর্মী নয়, সে জামায়াতের সমর্থক বলে মন্তব্য করেন রিয়াজ মৃধা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরাফাত হাসান বলেন, মামলাটি তদন্তনাধীন আছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বানারীপাড়া থানার ওসির দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শতদল মজুমদার বলেন, হ্যাকান্ডের পর ভুক্তভোগী পরিবার মামলা দিয়েছে।
আসামী ও স্বাক্ষীদের নাম তারাই দিয়েছে। তবে কোন নির্দোষ ব্যক্তি আসামী হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই আমরা প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনবো।
প্রসঙ্গত, সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে হত্যাকান্ডের শিকার হন। রোবাবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নিহতেরর স্ত্রী পারভীনা বেগম বাদী হয়ে তিন জামায়াত নেতাসহ ৯ জনকে সুনির্দিষ্ট ও বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বানারীপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে মামলার এজাহারনামীয় দুই নম্বর আসামী তুহিনকে ভোলা শহর থেকে র ্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়।
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:২৪
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:০৯
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৮

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
বাবুগঞ্জের প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল ওহাব খানের সহধর্মিণী বাংলাদেশ প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান খালেদা ওহাবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকবার্তা দিয়েছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখা এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়। এসব সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে প্রেরিত পৃথক শোকবার্তায় তারা খালেদা ওহাবের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল করিম হাওলাদার বলেন, 'খালেদা ওহাব দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে একজন জনপ্রিয় নেত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের অতি আপনজন। তাঁর স্বামী শহীদ আব্দুল ওহাব খান ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার। ১৯৮৯ সালে আততায়ীর গুলিতে আব্দুল ওহাব খান নিহত হওয়ার পরে খালেদা ওহাব একজন গৃহবধূ থেকে নিজের মেধা যোগ্যতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি থেকে জনগণের নেত্রী হয়ে ওঠেন। জীবদ্দশায় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বিভিন্ন কাজ করে গেছেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার রক্ষায় সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তাদের একজন স্বজন হারিয়েছে।'
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বাবুগঞ্জ উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া শোকবার্তায় সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না বলেন, 'খালেদা ওহাব শুধু একজন জনপ্রতিনিধি কিংবা রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ একজন মানবাধিকার কর্মী। তিনি আমৃত্যু গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে গেছেন। ১৯৮৯ সালে স্বামী শহীদ আব্দুল ওহাব খানের মৃত্যুর পরে তিনি তাঁর স্বামীর অসমাপ্ত কাজের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। পুরো একটা জীবন তিনি অবলীলায় খরচ করেছেন মানুষ ও মানবতার কল্যাণে। তিনি ছিলেন নারীদের জন্য এক অনুপ্রেরণার বাতিঘর। তিনি শিখিয়ে গেছেন কীভাবে একজন সাধারণ গৃহবধূ নারীকে সমাজের সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে জীবনযুদ্ধে জয়ী এবং সফল হতে হয়। তিনি অদম্য ও জীবন সংগ্রামী নারীদের কাছে একজন আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন।'
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভাগীয় সমন্বয়কারী মেহের আফরোজ মিতা বলেন, 'বাবুগঞ্জে নারীর অগ্রযাত্রা এবং নারীর ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন খালেদা ওহাব। জীবদ্দশায় তিনি বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং সর্বোপরি নারীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। তিনি আমৃত্যু বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল অসাধারণ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন, রান্নাবান্না এবং অতিথি আপ্যায়নে ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন অনন্য। তাঁর শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। একজন কীর্তিমতী নারী হিসেবে তিনি ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবেন।'
উল্লেখ্য, বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারিণী খালেদা ওহাব ১৯৮৯ সালের উপ-নির্বাচনে বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় পরবর্তী এরশাদ সরকারের উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তনের পরে তিনিই বাংলাদেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট তাঁর স্বামী বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রথম চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব খান আততায়ীর গুলিতে নিহত হলে ওই বছরই অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। যে সময়ে নারীরা ঠিকভাবে ঘর থেকেই বের হতে পারতেন না সেই সময়ে একজন নারী উপজেলা চেয়ারম্যান ছিল অকল্পনীয় একটা ঘটনা। দেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও তিনি একাধিকবার বিআরডিবি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি প্রথমে জাতীয় পার্টির বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগদান করে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন।
রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সাথেও আমৃত্যু যুক্ত ছিলেন খালেদা ওহাব। তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ছাড়াও পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিএফজি) কো-অর্ডিনেটর এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট পরিচালিত বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভাপতি এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার বাবুগঞ্জ উপজেলা সভানেত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর বাড়ি বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের দরিয়াবাদ গ্রামে।
গত মঙ্গলবার খালেদা ওহাব পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিএফজি) কো-অর্ডিনেটর হিসেবে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শান্তি সহায়ক সম্মেলনে যোগ দিতে বরিশাল থেকে ঢাকায় যান। সম্মেলন শেষে তিনি রামপুরা এলাকায় তার ছোটবোনের বাসায় বেড়াতে গেলে বুধবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে নিকটস্থ ফরাজি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ৪টার দিকে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। চিকিৎসকরা জানান, খালেদা ওহাব স্ট্রোকজনিত কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা যান। তিনি উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রথম নামাজে জানাজা এবং বাদ আছর চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজ মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা শেষে বাবার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। #
বাবুগঞ্জের প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল ওহাব খানের সহধর্মিণী বাংলাদেশ প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান খালেদা ওহাবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকবার্তা দিয়েছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখা এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়। এসব সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে প্রেরিত পৃথক শোকবার্তায় তারা খালেদা ওহাবের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল করিম হাওলাদার বলেন, 'খালেদা ওহাব দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে একজন জনপ্রিয় নেত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের অতি আপনজন। তাঁর স্বামী শহীদ আব্দুল ওহাব খান ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার। ১৯৮৯ সালে আততায়ীর গুলিতে আব্দুল ওহাব খান নিহত হওয়ার পরে খালেদা ওহাব একজন গৃহবধূ থেকে নিজের মেধা যোগ্যতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি থেকে জনগণের নেত্রী হয়ে ওঠেন। জীবদ্দশায় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বিভিন্ন কাজ করে গেছেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার রক্ষায় সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তাদের একজন স্বজন হারিয়েছে।'
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বাবুগঞ্জ উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া শোকবার্তায় সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না বলেন, 'খালেদা ওহাব শুধু একজন জনপ্রতিনিধি কিংবা রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ একজন মানবাধিকার কর্মী। তিনি আমৃত্যু গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে গেছেন। ১৯৮৯ সালে স্বামী শহীদ আব্দুল ওহাব খানের মৃত্যুর পরে তিনি তাঁর স্বামীর অসমাপ্ত কাজের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। পুরো একটা জীবন তিনি অবলীলায় খরচ করেছেন মানুষ ও মানবতার কল্যাণে। তিনি ছিলেন নারীদের জন্য এক অনুপ্রেরণার বাতিঘর। তিনি শিখিয়ে গেছেন কীভাবে একজন সাধারণ গৃহবধূ নারীকে সমাজের সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে জীবনযুদ্ধে জয়ী এবং সফল হতে হয়। তিনি অদম্য ও জীবন সংগ্রামী নারীদের কাছে একজন আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন।'
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভাগীয় সমন্বয়কারী মেহের আফরোজ মিতা বলেন, 'বাবুগঞ্জে নারীর অগ্রযাত্রা এবং নারীর ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন খালেদা ওহাব। জীবদ্দশায় তিনি বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং সর্বোপরি নারীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। তিনি আমৃত্যু বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল অসাধারণ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন, রান্নাবান্না এবং অতিথি আপ্যায়নে ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন অনন্য। তাঁর শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। একজন কীর্তিমতী নারী হিসেবে তিনি ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবেন।'
উল্লেখ্য, বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারিণী খালেদা ওহাব ১৯৮৯ সালের উপ-নির্বাচনে বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় পরবর্তী এরশাদ সরকারের উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তনের পরে তিনিই বাংলাদেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট তাঁর স্বামী বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রথম চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব খান আততায়ীর গুলিতে নিহত হলে ওই বছরই অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। যে সময়ে নারীরা ঠিকভাবে ঘর থেকেই বের হতে পারতেন না সেই সময়ে একজন নারী উপজেলা চেয়ারম্যান ছিল অকল্পনীয় একটা ঘটনা। দেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও তিনি একাধিকবার বিআরডিবি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি প্রথমে জাতীয় পার্টির বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগদান করে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন।
রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সাথেও আমৃত্যু যুক্ত ছিলেন খালেদা ওহাব। তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ছাড়াও পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিএফজি) কো-অর্ডিনেটর এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট পরিচালিত বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভাপতি এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার বাবুগঞ্জ উপজেলা সভানেত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর বাড়ি বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের দরিয়াবাদ গ্রামে।
গত মঙ্গলবার খালেদা ওহাব পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিএফজি) কো-অর্ডিনেটর হিসেবে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শান্তি সহায়ক সম্মেলনে যোগ দিতে বরিশাল থেকে ঢাকায় যান। সম্মেলন শেষে তিনি রামপুরা এলাকায় তার ছোটবোনের বাসায় বেড়াতে গেলে বুধবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে নিকটস্থ ফরাজি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ৪টার দিকে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। চিকিৎসকরা জানান, খালেদা ওহাব স্ট্রোকজনিত কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা যান। তিনি উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রথম নামাজে জানাজা এবং বাদ আছর চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজ মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা শেষে বাবার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। #

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:৩১
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘আমরা বুঝে ফেলেছি, পুরোনো বউকে নতুন শাড়ি দিয়ে ঘোমটা দিয়ে ধোঁকা দেওয়া যাবে না। এ ধোঁকায় বাংলাদেশের মানুষ আর পড়বে না। আমরা ৫৩ বছর ধোঁকা খেয়েছি, আর নয়। দেশকে মুক্ত করতে হবে।’
চরমোনাইয়ের ঐতিহাসিক অগ্রহায়ণের মাহফিলের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠিত উলামা-মাশায়েখ ও দ্বীনদার বুদ্ধিজীবী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সৈয়দ রেজাউল করীম।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। মাহফিলে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের আলেম-ওলমারা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নতুন সভাপতি হিসেবে দেশের শীর্ষ আলেম মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদের নাম ঘোষণা করেন চরমোনাই পীর।
আগামীর নির্বাচনে পরিবর্তন আসতেই হবে জানিয়ে মুফতি রেজাউল করিম বলেন, ‘৫৩ বছর দেশ যারা পরিচালনা করেছে, যেই নীতি-আদর্শের মাধ্যমে চলছে। এ নীতি-আদর্শে চোরের দিক থেকে আমরা চ্যাম্পিয়ান হয়েছি। হাজার হাজার মা সন্তান হারা হয়েছে। এখন নতুনভাবে দেশ পরিচালনার জন্য তারা পাগলের মতো হয়ে গেছে। কখন ক্ষমতায় যাবে, আবার সেই চরিত্র বাস্তবায়ন করবে।’
এ সময় চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমি কিন্তু কোথাও প্রার্থী হইনি। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে হবও না। সারা দেশে আমার সফর করতে হবে।’ তিনি বলেন, দিন-রাত নিজের পকটের টাকা খরচ করে পাগলের মতো ঘুরছি। এর পেছনে একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আছে। সেটা হলো—আমরা এ দেশকে ভালোবাসি। আমরা ইসলামকে ভালোবাসি, মানুষকে ভালোবাসি।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘আমরা বুঝে ফেলেছি, পুরোনো বউকে নতুন শাড়ি দিয়ে ঘোমটা দিয়ে ধোঁকা দেওয়া যাবে না। এ ধোঁকায় বাংলাদেশের মানুষ আর পড়বে না। আমরা ৫৩ বছর ধোঁকা খেয়েছি, আর নয়। দেশকে মুক্ত করতে হবে।’
চরমোনাইয়ের ঐতিহাসিক অগ্রহায়ণের মাহফিলের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠিত উলামা-মাশায়েখ ও দ্বীনদার বুদ্ধিজীবী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সৈয়দ রেজাউল করীম।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। মাহফিলে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের আলেম-ওলমারা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নতুন সভাপতি হিসেবে দেশের শীর্ষ আলেম মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদের নাম ঘোষণা করেন চরমোনাই পীর।
আগামীর নির্বাচনে পরিবর্তন আসতেই হবে জানিয়ে মুফতি রেজাউল করিম বলেন, ‘৫৩ বছর দেশ যারা পরিচালনা করেছে, যেই নীতি-আদর্শের মাধ্যমে চলছে। এ নীতি-আদর্শে চোরের দিক থেকে আমরা চ্যাম্পিয়ান হয়েছি। হাজার হাজার মা সন্তান হারা হয়েছে। এখন নতুনভাবে দেশ পরিচালনার জন্য তারা পাগলের মতো হয়ে গেছে। কখন ক্ষমতায় যাবে, আবার সেই চরিত্র বাস্তবায়ন করবে।’
এ সময় চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমি কিন্তু কোথাও প্রার্থী হইনি। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে হবও না। সারা দেশে আমার সফর করতে হবে।’ তিনি বলেন, দিন-রাত নিজের পকটের টাকা খরচ করে পাগলের মতো ঘুরছি। এর পেছনে একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আছে। সেটা হলো—আমরা এ দেশকে ভালোবাসি। আমরা ইসলামকে ভালোবাসি, মানুষকে ভালোবাসি।’

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৬
ভিন্ন অধিদপ্তরের অধীনে স্বতন্ত্র নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদ এবং জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনসহ আট দফা দাবিতে বরিশালে কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নার্সরা।
বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নার্স ও মিডওয়াইফরা ব্যানার, ফেস্টুন ও বিভিন্ন স্লোগানে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলও করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি খাত দেশের স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। অথচ দীর্ঘদিন ধরে এই খাত চরম অবহেলায় রয়েছে। স্বতন্ত্র নার্সিং অধিদপ্তর বাতিলের সিদ্ধান্ত পেশাগত মর্যাদা, দক্ষতা উন্নয়ন ও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতির পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- বিএনএ বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি আলী আজগর, সহ-সভাপতি মো. শাহআলম, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ শামীমা ইয়াসমিন, আনোয়ারা খানম, হাফিজা আক্তার প্রমুখ।
বরিশাল নার্সিং কলেজ ও শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত নার্স ও মিডওয়াইফরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
ভিন্ন অধিদপ্তরের অধীনে স্বতন্ত্র নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদ এবং জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনসহ আট দফা দাবিতে বরিশালে কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নার্সরা।
বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নার্স ও মিডওয়াইফরা ব্যানার, ফেস্টুন ও বিভিন্ন স্লোগানে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলও করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি খাত দেশের স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। অথচ দীর্ঘদিন ধরে এই খাত চরম অবহেলায় রয়েছে। স্বতন্ত্র নার্সিং অধিদপ্তর বাতিলের সিদ্ধান্ত পেশাগত মর্যাদা, দক্ষতা উন্নয়ন ও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতির পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- বিএনএ বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি আলী আজগর, সহ-সভাপতি মো. শাহআলম, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ শামীমা ইয়াসমিন, আনোয়ারা খানম, হাফিজা আক্তার প্রমুখ।
বরিশাল নার্সিং কলেজ ও শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত নার্স ও মিডওয়াইফরা এতে উপস্থিত ছিলেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.