
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২
পটুযাখালীর বাউফলে টেন্ডার ছাড়া একাধিক প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ না করে বিল উত্তোলনের চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০২৪ সালের ৫ই আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট সৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো বাউফল উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বহাল তবিয়তে আছে।
কাজ না করেই বিল তুলে নিচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসরে কিছু নামধারী ঠিকাদার। অভিযোগ রয়েছে, বাউফল উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় টেন্ডারবাজিতে এখনো সক্রিয় ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসর আওয়ামী সন্ত্রীসীদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রোদেলা এন্টারপ্রাইজ, জাইফা এন্টারপ্রাইজ ও ইয়াসীন এন্টারপ্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা প্রশাসন এর সাথে যোগসাজশে তারা বিনা টেন্ডারে বাগিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকার কাজ। এসব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক হচ্ছেন যথাক্রমে রুহুল আমিন, শিরীন আক্তার ও সুমন মিয়া।
রুহুল আমিনের পিতা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম খান। সরেজমিনে জানা যায়, এসব লাইসেন্স এর আড়ালে বেনামী ঠিকাদারী কাজ করেছে বাউফল দাশপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মহিউদ্দিন তালুকদার ওরফে সবুজ মাষ্টার।
সবুজ মাষ্টার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার এর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন ছিলেন এবং রুহুল আমিনের আপন ফুফাতো ভাই। আওয়ামী লীগ নেতা ও তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার এবং নাজিরপুর-তাতেরকাঠী ইউপির তৎকালীন চেয়ারম্যান ইব্রাহীম ফারুকের সব ঠিকাদারী কাজ বেনামে করতো এ মহিউদ্দিন সবুজ মাষ্টার।
অনুসন্ধানে জানা যায়,উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিনা টেন্ডারে উপজেলার অসংখ্য কাজ উক্ত ৩ তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়েছে। কার মধ্যে ইউ.এন.ও এর বাসভবনের ওয়াল উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এর জন্য সবুজ মাষ্টারের ঘনিষ্ঠ শিরীন আক্তার এর মালিকানাধীন মেসার্স জাইফা এন্টারপ্রাইজ কার্যাদেশ পায়।
এই কাজের প্রাক্কলিত মুল্য ছিলো ৬ লক্ষ টাকা এবং কার্যাদেশ ছিলো ৫,৭০,০০০/-। দ্বিতীয় কাজে ইউ.এন.ও এর বাসভবনের পশ্চিম পাশে চলাচলের জন্য গেটসহ রাস্ত নির্মান- এই কাজ সবুজ মাষ্টারের ফুফাতো ভাই আওয়ামী লীগ নেতা কালাম খান এর পুত্র মোঃ রুহুল আমিন এর মালিকানাধীন মেসার্স রোদেলা এন্টারপ্রাইজ করেছে।
এই কাজের প্রাক্কলিত মুল্য ছিলো ৬ লক্ষ টাকা এবং কার্যাদেশ ছিলো ৫,৭০,০০০/-। তৃতীয় কাজে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবনের পশ্চিম পাশের নিচতলীর নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মান। এই কাজ সবুজ মাষ্টারের ফুফাতো ভাই রুহুল আমিন এর বন্ধু সুমনের মালিকানাধীন মেসার্স ইয়াসিন এন্টারপ্রাইজ করেছে।
এই কাজের প্রাক্কলিত মুল্য ছিলো ৬ লক্ষ টাকা এবং কার্যাদেশ ছিলো ৫,৭০,০০০/- প্রাক্কলিত মুল্য ও চুক্তি মুল্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সবগুলো কাজেরই ব্যবধান একই ৩০ হাজার টাকা।
এ থেকেই বোঝা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে উপজেলা প্রশাসনের আগে থেকেই যোকসাজেশ রয়েছে। এই কাজের অনুসন্ধান করতে গিয়ে সবুজ মাষ্টার এর আরেক অপকর্মের খোজ পাওয়া যায়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার এর শেষের দিকে মহিউদ্দিন ওরফে সবুজ মাষ্টার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পুলের বাজারের আয়রন ব্রিজের মেরামত কাজ টেন্ডার ছাড়াই তার এক ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার এর নামে নিয়ে পুরাতন মালামাল দিয়ে সম্পন্ন করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান মনজু মিয়ার গোডাউনে রক্ষিত পুরাতন মালামাল দিয়ে মহিউদ্দিন ওরফে সবুজ মাষ্টার সর্বোচ্চ ৩ (তিন) লক্ষ টাকা ব্যয় করে এ মেরামত কাজ সম্পন্ন করেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) টেন্ডার বিহীন ভাবে বিশেষ জরুরী ভিত্তিতে ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ের সীমা থাকায় একই ব্রিজের মেরামতের কাজ বে- আইনীভাবে দুইটি প্রকল্প দেখিয়ে দুইবারে ১০ (দশ) লক্ষ টাকা প্রকল্প ব্যয় দেখানো হয় (বাউফল উপজেলা পরিষদের ২০ তম রেজুলেশন তারিখ ১৩/১১/২০২৩, ক্রমিক নং ২৪ ও ২৫ পার্ট-১ ও ২)।
এভাবে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্বাস এর যোগসাজশে মহিউদ্দিন সবুজ মাষ্টার সরকারের আনুমানিক ৭ (সাত) লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ সব নিয়ে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী সরকারী প্রকৌশলী বলেন, নিয়ম অনুযায়ী এসব কাজ উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে টেন্ডার আহবান করে হওয়ার কথা।
কিন্তু অজানা কারনে এসব কাজ উপজেলা প্রশাসন বিনা টেন্ডারে করাচ্ছে। আদাবাড়ীয়া ব্রিজের কাজের ব্যাপারে বলেন, একই কাজ দুইবার দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার নজির বাংলাদেশে খুব কম রয়েছে ।
এসব দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে বিচার হওয়া উচিত। সরেজমিনে কাজ পরিদর্শন কালে দেখা যায়, শ্রমিকরা কাজ করছে। কাজের মান অত্যন্ত নিম্নমানের । রাস্তার সুড়কি উঠে যাচ্ছে। ওয়ালের কাজও সঠিকভাবে করা হচ্ছে না।
পুরান গেট লাগিয়ে রং করা হয়েছে। সরেজমিনে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, মহিউদ্দিন ওরফে সবুজ মাষ্টার তাদের দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। কাজের তত্বাবধানকারী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্বাসকে বার বার ফোন দিয়েও পাওয়া যায় নাই। এসব বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক বলেন, বাউফলে এখনো সব আগের মতোই আছে। আগে মহিউদ্দিন ওরফে সবুজ মাষ্টার আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের ক্ষমতা অপব্যবহার করে কাজ নিতো, এখন একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র ছায়ায় থেকে কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বিনা টেন্ডারে কাজ মহিউদ্দিন ওরফে সবুজ মাষ্টারের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারের নামে নিচ্ছে। যাতে মহিউদ্দিন ওরফে সবুজ মাষ্টার কাজ করতে পারে।
বাউফলের এক রাজনৈতিক দলের নেতা বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে এই মহিউদ্দিন ওরফে সবুজ মাষ্টার অবৈধ ঠিকাদারী ব্যবসার মাধ্যমে ঠিকমতো কাজ না করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ।
ওই সরকার পালিয়ে গেলে এখন অন্য একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় এখনো তারা সক্রিয়। এই সরকারের কর্মকর্তারা এসব আওয়ামী ঠিকাদারদেরকে সমর্থন করে বিনা টেন্ডারে কাজ দিয়েছে। এ ব্যাপারে সবুজ মাষ্টারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ কাজের সাথে সম্পৃক্ত নন মর্মে দাবী করেন। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নিবাহী অফিসার আমিনুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পটুযাখালীর বাউফলে টেন্ডার ছাড়া একাধিক প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ না করে বিল উত্তোলনের চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০২৪ সালের ৫ই আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট সৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো বাউফল উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বহাল তবিয়তে আছে।
কাজ না করেই বিল তুলে নিচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসরে কিছু নামধারী ঠিকাদার। অভিযোগ রয়েছে, বাউফল উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় টেন্ডারবাজিতে এখনো সক্রিয় ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসর আওয়ামী সন্ত্রীসীদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রোদেলা এন্টারপ্রাইজ, জাইফা এন্টারপ্রাইজ ও ইয়াসীন এন্টারপ্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা প্রশাসন এর সাথে যোগসাজশে তারা বিনা টেন্ডারে বাগিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকার কাজ। এসব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক হচ্ছেন যথাক্রমে রুহুল আমিন, শিরীন আক্তার ও সুমন মিয়া।
রুহুল আমিনের পিতা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম খান। সরেজমিনে জানা যায়, এসব লাইসেন্স এর আড়ালে বেনামী ঠিকাদারী কাজ করেছে বাউফল দাশপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মহিউদ্দিন তালুকদার ওরফে সবুজ মাষ্টার।
সবুজ মাষ্টার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার এর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন ছিলেন এবং রুহুল আমিনের আপন ফুফাতো ভাই। আওয়ামী লীগ নেতা ও তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার এবং নাজিরপুর-তাতেরকাঠী ইউপির তৎকালীন চেয়ারম্যান ইব্রাহীম ফারুকের সব ঠিকাদারী কাজ বেনামে করতো এ মহিউদ্দিন সবুজ মাষ্টার।
অনুসন্ধানে জানা যায়,উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিনা টেন্ডারে উপজেলার অসংখ্য কাজ উক্ত ৩ তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়েছে। কার মধ্যে ইউ.এন.ও এর বাসভবনের ওয়াল উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এর জন্য সবুজ মাষ্টারের ঘনিষ্ঠ শিরীন আক্তার এর মালিকানাধীন মেসার্স জাইফা এন্টারপ্রাইজ কার্যাদেশ পায়।
এই কাজের প্রাক্কলিত মুল্য ছিলো ৬ লক্ষ টাকা এবং কার্যাদেশ ছিলো ৫,৭০,০০০/-। দ্বিতীয় কাজে ইউ.এন.ও এর বাসভবনের পশ্চিম পাশে চলাচলের জন্য গেটসহ রাস্ত নির্মান- এই কাজ সবুজ মাষ্টারের ফুফাতো ভাই আওয়ামী লীগ নেতা কালাম খান এর পুত্র মোঃ রুহুল আমিন এর মালিকানাধীন মেসার্স রোদেলা এন্টারপ্রাইজ করেছে।
এই কাজের প্রাক্কলিত মুল্য ছিলো ৬ লক্ষ টাকা এবং কার্যাদেশ ছিলো ৫,৭০,০০০/-। তৃতীয় কাজে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবনের পশ্চিম পাশের নিচতলীর নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মান। এই কাজ সবুজ মাষ্টারের ফুফাতো ভাই রুহুল আমিন এর বন্ধু সুমনের মালিকানাধীন মেসার্স ইয়াসিন এন্টারপ্রাইজ করেছে।
এই কাজের প্রাক্কলিত মুল্য ছিলো ৬ লক্ষ টাকা এবং কার্যাদেশ ছিলো ৫,৭০,০০০/- প্রাক্কলিত মুল্য ও চুক্তি মুল্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সবগুলো কাজেরই ব্যবধান একই ৩০ হাজার টাকা।
এ থেকেই বোঝা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে উপজেলা প্রশাসনের আগে থেকেই যোকসাজেশ রয়েছে। এই কাজের অনুসন্ধান করতে গিয়ে সবুজ মাষ্টার এর আরেক অপকর্মের খোজ পাওয়া যায়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার এর শেষের দিকে মহিউদ্দিন ওরফে সবুজ মাষ্টার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পুলের বাজারের আয়রন ব্রিজের মেরামত কাজ টেন্ডার ছাড়াই তার এক ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার এর নামে নিয়ে পুরাতন মালামাল দিয়ে সম্পন্ন করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান মনজু মিয়ার গোডাউনে রক্ষিত পুরাতন মালামাল দিয়ে মহিউদ্দিন ওরফে সবুজ মাষ্টার সর্বোচ্চ ৩ (তিন) লক্ষ টাকা ব্যয় করে এ মেরামত কাজ সম্পন্ন করেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) টেন্ডার বিহীন ভাবে বিশেষ জরুরী ভিত্তিতে ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ের সীমা থাকায় একই ব্রিজের মেরামতের কাজ বে- আইনীভাবে দুইটি প্রকল্প দেখিয়ে দুইবারে ১০ (দশ) লক্ষ টাকা প্রকল্প ব্যয় দেখানো হয় (বাউফল উপজেলা পরিষদের ২০ তম রেজুলেশন তারিখ ১৩/১১/২০২৩, ক্রমিক নং ২৪ ও ২৫ পার্ট-১ ও ২)।
এভাবে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্বাস এর যোগসাজশে মহিউদ্দিন সবুজ মাষ্টার সরকারের আনুমানিক ৭ (সাত) লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ সব নিয়ে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী সরকারী প্রকৌশলী বলেন, নিয়ম অনুযায়ী এসব কাজ উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে টেন্ডার আহবান করে হওয়ার কথা।
কিন্তু অজানা কারনে এসব কাজ উপজেলা প্রশাসন বিনা টেন্ডারে করাচ্ছে। আদাবাড়ীয়া ব্রিজের কাজের ব্যাপারে বলেন, একই কাজ দুইবার দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার নজির বাংলাদেশে খুব কম রয়েছে ।
এসব দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে বিচার হওয়া উচিত। সরেজমিনে কাজ পরিদর্শন কালে দেখা যায়, শ্রমিকরা কাজ করছে। কাজের মান অত্যন্ত নিম্নমানের । রাস্তার সুড়কি উঠে যাচ্ছে। ওয়ালের কাজও সঠিকভাবে করা হচ্ছে না।
পুরান গেট লাগিয়ে রং করা হয়েছে। সরেজমিনে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, মহিউদ্দিন ওরফে সবুজ মাষ্টার তাদের দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। কাজের তত্বাবধানকারী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্বাসকে বার বার ফোন দিয়েও পাওয়া যায় নাই। এসব বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক বলেন, বাউফলে এখনো সব আগের মতোই আছে। আগে মহিউদ্দিন ওরফে সবুজ মাষ্টার আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের ক্ষমতা অপব্যবহার করে কাজ নিতো, এখন একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র ছায়ায় থেকে কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বিনা টেন্ডারে কাজ মহিউদ্দিন ওরফে সবুজ মাষ্টারের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারের নামে নিচ্ছে। যাতে মহিউদ্দিন ওরফে সবুজ মাষ্টার কাজ করতে পারে।
বাউফলের এক রাজনৈতিক দলের নেতা বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে এই মহিউদ্দিন ওরফে সবুজ মাষ্টার অবৈধ ঠিকাদারী ব্যবসার মাধ্যমে ঠিকমতো কাজ না করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ।
ওই সরকার পালিয়ে গেলে এখন অন্য একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় এখনো তারা সক্রিয়। এই সরকারের কর্মকর্তারা এসব আওয়ামী ঠিকাদারদেরকে সমর্থন করে বিনা টেন্ডারে কাজ দিয়েছে। এ ব্যাপারে সবুজ মাষ্টারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ কাজের সাথে সম্পৃক্ত নন মর্মে দাবী করেন। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নিবাহী অফিসার আমিনুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৫

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৬
পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের জন্য দুই দলের নেতা-কর্মীরা একে অপরকে দোষারোপ করছে। তবে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ আসনে মনোনয়ন নিয়ে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে বিরোধ থেকে এ সংঘর্ষ।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরকাজল ইউয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কপালভেড়া বাজারে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা–দশমিনা) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা না করা এবং এখান থেকে গণধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নূর নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গলাচিপা থানা পুলিশের ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, কপালভেড়া বাজারে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি, তবে এখনো পুরোপুরি জানি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করব, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। সবাইকে শান্ত ও শৃঙ্খলাপূর্ণ থাকতে হবে।
এর আগেও দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারাও ঘোষণা করা হয়।
পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের জন্য দুই দলের নেতা-কর্মীরা একে অপরকে দোষারোপ করছে। তবে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ আসনে মনোনয়ন নিয়ে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে বিরোধ থেকে এ সংঘর্ষ।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরকাজল ইউয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কপালভেড়া বাজারে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা–দশমিনা) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা না করা এবং এখান থেকে গণধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নূর নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গলাচিপা থানা পুলিশের ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, কপালভেড়া বাজারে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি, তবে এখনো পুরোপুরি জানি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করব, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। সবাইকে শান্ত ও শৃঙ্খলাপূর্ণ থাকতে হবে।
এর আগেও দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারাও ঘোষণা করা হয়।

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৬
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ও বিএসসি ইন অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি (অনার্স) দুটি পৃথক ডিগ্রি বাতিল করে ‘বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি’ নামে নতুন এক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
জানা যায়, বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি ফওজে আহমদের হাইকোর্ট বেঞ্চে গত বুধবার (৫ নভেম্বর) এ আদেশ দেওয়া হয়। আদালত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আগামী রবিবার (৯ নভেম্বর) মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য রুল জারি করেছেন। আগামী রবিবার রিট খারিজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে যাচ্ছে।
রিট আবেদন করেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আমির হামজা আসিফসহ ক্ষতিগ্রস্ত আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. বদরুদ্দোজা (বাদল)। আদালত প্রাথমিকভাবে আবেদনকারীদের যুক্তি গ্রহণযোগ্য মনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।
রিটকারীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় ‘পবিপ্রবি আইন, ২০০১’-এর ধারা ২০(ডি) অমান্য করে নতুন ডিগ্রি প্রবর্তন করেছে।
আইনে বলা আছে, নতুন কোনো বিভাগ বা প্রোগ্রাম চালুর আগে একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ডের অনুমোদন নিতে হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রিট খারিজের জন্য আগামী রবিবার আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করব।
ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ হবে না। দুটি বিভাগের প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীই কম্বাইন্ড ডিগ্রির পক্ষে আন্দোলন করেছিল। লিখিত দাবির প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত হয়। শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা চাইলে পুরাতন বা নতুন, যে কোনো ডিগ্রি নিতে পারবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, ‘কয়েকজন শিক্ষক ব্যক্তিগত স্বার্থে তিন শিক্ষার্থীকে ভুল বোঝিয়ে রিট করিয়েছেন। পিটিশনাররাও বিষয়টি এখন বুঝে রিট খারিচের জন্য উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন।’
এদিকে, রিট দায়ের করা এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অপর এক শিক্ষার্থীর কথোপকথনের একটি অডিও ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসে। সেখানে রিটকারী শিক্ষার্থীকে বলতে শোনা যায়, ‘ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে রিট করেছি, বিষয়টা ঠিক বুঝিনি।’ তবে সেই বড় ভাইয়ের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক জানান, আদালতের রুল জারির পরও কর্তৃপক্ষ কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে কোনো লিখিত নির্দেশ দেয়নি। ফলে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যক্রম চলছে। তাদের মতে, অধিকাংশ শিক্ষক নতুন ডিগ্রির বিপক্ষে। তবে তারা সরাসরি অবস্থান নিচ্ছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এসএম হেমায়েত জাহান বলেন, ‘আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল যে, কেউ চাইলে ডিভিএম বা এএইচ ডিগ্রি যেকোনো একটি বেছে নিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ছয় মাস পড়তে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো চাপ দেওয়া হবে না।’
শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের গত ৩ সেপ্টেম্বরে একাডেমিক কাউন্সিলের ৫৪তম সভায় কম্বাইন্ড ডিগ্রি অনুমোদন দেওয়া হয়। ৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি এবং আদালতের আশ্রয় নেয়। এখন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পুরোনো নিয়মেই আগামী তিন মাস পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে যেতে পারবে ।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ও বিএসসি ইন অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি (অনার্স) দুটি পৃথক ডিগ্রি বাতিল করে ‘বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি’ নামে নতুন এক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
জানা যায়, বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি ফওজে আহমদের হাইকোর্ট বেঞ্চে গত বুধবার (৫ নভেম্বর) এ আদেশ দেওয়া হয়। আদালত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আগামী রবিবার (৯ নভেম্বর) মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য রুল জারি করেছেন। আগামী রবিবার রিট খারিজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে যাচ্ছে।
রিট আবেদন করেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আমির হামজা আসিফসহ ক্ষতিগ্রস্ত আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. বদরুদ্দোজা (বাদল)। আদালত প্রাথমিকভাবে আবেদনকারীদের যুক্তি গ্রহণযোগ্য মনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।
রিটকারীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় ‘পবিপ্রবি আইন, ২০০১’-এর ধারা ২০(ডি) অমান্য করে নতুন ডিগ্রি প্রবর্তন করেছে।
আইনে বলা আছে, নতুন কোনো বিভাগ বা প্রোগ্রাম চালুর আগে একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ডের অনুমোদন নিতে হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রিট খারিজের জন্য আগামী রবিবার আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করব।
ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ হবে না। দুটি বিভাগের প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীই কম্বাইন্ড ডিগ্রির পক্ষে আন্দোলন করেছিল। লিখিত দাবির প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত হয়। শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা চাইলে পুরাতন বা নতুন, যে কোনো ডিগ্রি নিতে পারবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, ‘কয়েকজন শিক্ষক ব্যক্তিগত স্বার্থে তিন শিক্ষার্থীকে ভুল বোঝিয়ে রিট করিয়েছেন। পিটিশনাররাও বিষয়টি এখন বুঝে রিট খারিচের জন্য উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন।’
এদিকে, রিট দায়ের করা এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অপর এক শিক্ষার্থীর কথোপকথনের একটি অডিও ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসে। সেখানে রিটকারী শিক্ষার্থীকে বলতে শোনা যায়, ‘ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে রিট করেছি, বিষয়টা ঠিক বুঝিনি।’ তবে সেই বড় ভাইয়ের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক জানান, আদালতের রুল জারির পরও কর্তৃপক্ষ কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে কোনো লিখিত নির্দেশ দেয়নি। ফলে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যক্রম চলছে। তাদের মতে, অধিকাংশ শিক্ষক নতুন ডিগ্রির বিপক্ষে। তবে তারা সরাসরি অবস্থান নিচ্ছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এসএম হেমায়েত জাহান বলেন, ‘আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল যে, কেউ চাইলে ডিভিএম বা এএইচ ডিগ্রি যেকোনো একটি বেছে নিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ছয় মাস পড়তে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো চাপ দেওয়া হবে না।’
শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের গত ৩ সেপ্টেম্বরে একাডেমিক কাউন্সিলের ৫৪তম সভায় কম্বাইন্ড ডিগ্রি অনুমোদন দেওয়া হয়। ৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি এবং আদালতের আশ্রয় নেয়। এখন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পুরোনো নিয়মেই আগামী তিন মাস পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে যেতে পারবে ।

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:২৫
পটুয়াখালী বাউফলের প্রধান সড়কে চলাচলকারী অবৈধ ট্রলি সিএনজি হোন্ডা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১২টার সময় বাউফল থানার সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সোহাগ মিলু এ জরিমানা করেন।
ওই সময় ৯জন গাড়িচালককে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে ১ মাস করে জেল প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিলু বলেন, বেপরোয়া যান চলাচলে প্রতিনিয়ত হতাহতের ঘটনায় বাউফলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চলমান থাকবে। এ ছাড়া আইন অমান্য করে সড়কে পার্কিংরত গাড়িচালকদের বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পটুয়াখালী বাউফলের প্রধান সড়কে চলাচলকারী অবৈধ ট্রলি সিএনজি হোন্ডা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১২টার সময় বাউফল থানার সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সোহাগ মিলু এ জরিমানা করেন।
ওই সময় ৯জন গাড়িচালককে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে ১ মাস করে জেল প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিলু বলেন, বেপরোয়া যান চলাচলে প্রতিনিয়ত হতাহতের ঘটনায় বাউফলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চলমান থাকবে। এ ছাড়া আইন অমান্য করে সড়কে পার্কিংরত গাড়িচালকদের বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.