১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:৫১
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারের দাবিতে যে আন্দোলন চলছে সেটির বিরুদ্ধে এবার আন্দোলনে নেমেছেন চিকিৎসক-নার্সসহ কর্মরতরা।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা সবার নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিভিন্ন দাবি নিয়ে অনশনরত দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে তুলে দেওয়া হয়। শুক্রবারের (১৫ আগস্ট) মধ্যে এ আন্দোলন বন্ধ না হলে শনিবার থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন।
ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিক্ষোভরতরা হাসপাতালের সামনের বান্দ রোড সড়কে অবস্থান নেন। এরপর সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আবারও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এ সময় হাসপাতালের মাঝের গেটে হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা নিয়ে অনশনরত দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে তুলে দেওয়া হয়।
সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ। সমাবেশ থেকে আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। এতে করে তাদের কর্মপরিবেশ নষ্ট এবং তাদের নিরাপত্তার দাবি তোলেন। শুক্রবারের মধ্যে এ আন্দোলন শেষ না হলে শনিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মিড লেভেল ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. সাখাওয়াত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, হাসপাতাল নিয়ে আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবির প্রতি আমাদেরও সমর্থন ছিল।
পরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু জাফর তিনি বরিশালে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবি মেনে নেন। কিন্তু এরপরও তারা আন্দোলন চালিয়ে চিকিৎসা সেবায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে আন্দোলনকারীরা সারাক্ষণ হাসপাতালে রোগীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন।
তারা বলেন, এমনকি একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। তারা সারাক্ষণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করে চিকিৎসক ও নার্সসহ হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে মানহানিকর শব্দচয়ন করছে। তারপরও আন্দোলন যৌক্তিকতা থাকায় আমরা চুপ ছিলাম। কিন্তু মহাপরিচালকের আশ্বাসের পর এ আন্দোলনের কোনও যৌক্তিকতা নেই।
চিকিৎসকরা বলেন, কে বা কারা অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করেছে তা আমরা জানি না। আমাদের সাফ কথা, শুক্রবারের মধ্যে এ আন্দোলন বন্ধ না হলে শনিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাবো। সে ক্ষেত্রে আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে দেশের অন্য হাসপাতালও থাকবে।
এ বিষয়ে হাসপাতালে দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ কমিশনার বেলাল হোসেন বলেন, এখানে কোনও ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা কাজ করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের সঙ্গে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কথা বলেন এবং দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। এরপর আন্দোলনকারীদের একটি অংশ একমাসের আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন। একটি অংশ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আসার দাবিতে আন্দোলনে অনড় থাকে।
গল ১৬ দিন ধরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের সব হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা দূর করারসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলন করছে ছাত্র-জনতা।
প্রথমে আন্দোলন মেডিক্যাল ক্যাম্পাস এবং নগরী কেন্দ্রিক হলেও পরে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকা অবরোধ করলে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রী-পথচারী থেকে শুরু করে যানবাহন সংশ্লিষ্ট এবং ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারের দাবিতে যে আন্দোলন চলছে সেটির বিরুদ্ধে এবার আন্দোলনে নেমেছেন চিকিৎসক-নার্সসহ কর্মরতরা।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা সবার নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিভিন্ন দাবি নিয়ে অনশনরত দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে তুলে দেওয়া হয়। শুক্রবারের (১৫ আগস্ট) মধ্যে এ আন্দোলন বন্ধ না হলে শনিবার থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন।
ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিক্ষোভরতরা হাসপাতালের সামনের বান্দ রোড সড়কে অবস্থান নেন। এরপর সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আবারও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এ সময় হাসপাতালের মাঝের গেটে হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা নিয়ে অনশনরত দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে তুলে দেওয়া হয়।
সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ। সমাবেশ থেকে আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। এতে করে তাদের কর্মপরিবেশ নষ্ট এবং তাদের নিরাপত্তার দাবি তোলেন। শুক্রবারের মধ্যে এ আন্দোলন শেষ না হলে শনিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মিড লেভেল ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. সাখাওয়াত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, হাসপাতাল নিয়ে আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবির প্রতি আমাদেরও সমর্থন ছিল।
পরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু জাফর তিনি বরিশালে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবি মেনে নেন। কিন্তু এরপরও তারা আন্দোলন চালিয়ে চিকিৎসা সেবায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে আন্দোলনকারীরা সারাক্ষণ হাসপাতালে রোগীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন।
তারা বলেন, এমনকি একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। তারা সারাক্ষণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করে চিকিৎসক ও নার্সসহ হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে মানহানিকর শব্দচয়ন করছে। তারপরও আন্দোলন যৌক্তিকতা থাকায় আমরা চুপ ছিলাম। কিন্তু মহাপরিচালকের আশ্বাসের পর এ আন্দোলনের কোনও যৌক্তিকতা নেই।
চিকিৎসকরা বলেন, কে বা কারা অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করেছে তা আমরা জানি না। আমাদের সাফ কথা, শুক্রবারের মধ্যে এ আন্দোলন বন্ধ না হলে শনিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাবো। সে ক্ষেত্রে আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে দেশের অন্য হাসপাতালও থাকবে।
এ বিষয়ে হাসপাতালে দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ কমিশনার বেলাল হোসেন বলেন, এখানে কোনও ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা কাজ করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের সঙ্গে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কথা বলেন এবং দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। এরপর আন্দোলনকারীদের একটি অংশ একমাসের আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন। একটি অংশ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আসার দাবিতে আন্দোলনে অনড় থাকে।
গল ১৬ দিন ধরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের সব হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা দূর করারসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলন করছে ছাত্র-জনতা।
প্রথমে আন্দোলন মেডিক্যাল ক্যাম্পাস এবং নগরী কেন্দ্রিক হলেও পরে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকা অবরোধ করলে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রী-পথচারী থেকে শুরু করে যানবাহন সংশ্লিষ্ট এবং ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:২৫
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৮
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৯
রাতের আঁধারে সরকারি রাস্তার পাশের লাখ টাকা মূল্যের একাধিক গাছ কেটে নেয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধসহ কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেছে।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন গাছ কাটার শ্রমিকদের নিয়ে এসব গাছ কাটছিলেন। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার টরকী বন্দরের ছাগলহাট সংলগ্ন হাজী বাবুল হোসেনের বাড়ির সামনের সরকারি সড়কের পাশের বিভিন্ন প্রজাতের সাতটি গাছ লোকজন নিয়ে কাটতে থাকেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন।
স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করার পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধসহ কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেন। বাড়ির মালিক হাজী বাবুল হোসেন বলেন, গাছগুলো উপড়ে আমার বাড়ির ক্ষতি হতে পারে ভেবে গাছগুলো কেটে নেয়ার জন্য অতিসম্প্রতি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। তিনি আরও বলেন, রাতের আঁধারে কেবা কারা গাছ কাটছে তা আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি।
পরে জানতে পারি, আমার আত্মীয় রোকনুজ্জামান রোকন লোকজন নিয়ে গাছ কাটছে। তিনি (রোকন) নাকি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস থেকে অনুমতি নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক রিফাত আরা মৌরি বলেন, আমার কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। যার যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আবেদনপত্রটি উপজেলা বন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো গাছ কাটার অনুমতি দেয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, অনুমতি ছাড়া রাতের আধাঁরে গাছ কাটার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, রাতে ইউএনও স্যারের ফোন পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ ও কর্তনকৃত গাছের অংশ জব্দ করা হয়েছে। ওসি আরও বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী এ ঘটনায় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, আমার নিকট আত্মীয় হাজী বাবুল হোসেন গাছ কাটার জন্য আবেদন করেছেন। আমি ভেবেছি তিনি অনুমতি পেয়েছেন। যেকারণেই শ্রমিক নিয়ে গাছগুলো কাটা হচ্ছিলো।
পরবর্তীতে ইউএনও স্যারের নির্দেশে থানা পুলিশ বাঁধা দেয়ার পর থেকে গাছ কাটা বন্ধ রয়েছে। এখন ইউএনও স্যার যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা সেই অনুযায়ী অগ্রসর হবো।
রাতের আঁধারে সরকারি রাস্তার পাশের লাখ টাকা মূল্যের একাধিক গাছ কেটে নেয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধসহ কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেছে।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন গাছ কাটার শ্রমিকদের নিয়ে এসব গাছ কাটছিলেন। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার টরকী বন্দরের ছাগলহাট সংলগ্ন হাজী বাবুল হোসেনের বাড়ির সামনের সরকারি সড়কের পাশের বিভিন্ন প্রজাতের সাতটি গাছ লোকজন নিয়ে কাটতে থাকেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন।
স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করার পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধসহ কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেন। বাড়ির মালিক হাজী বাবুল হোসেন বলেন, গাছগুলো উপড়ে আমার বাড়ির ক্ষতি হতে পারে ভেবে গাছগুলো কেটে নেয়ার জন্য অতিসম্প্রতি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। তিনি আরও বলেন, রাতের আঁধারে কেবা কারা গাছ কাটছে তা আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি।
পরে জানতে পারি, আমার আত্মীয় রোকনুজ্জামান রোকন লোকজন নিয়ে গাছ কাটছে। তিনি (রোকন) নাকি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস থেকে অনুমতি নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক রিফাত আরা মৌরি বলেন, আমার কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। যার যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আবেদনপত্রটি উপজেলা বন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো গাছ কাটার অনুমতি দেয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, অনুমতি ছাড়া রাতের আধাঁরে গাছ কাটার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, রাতে ইউএনও স্যারের ফোন পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ ও কর্তনকৃত গাছের অংশ জব্দ করা হয়েছে। ওসি আরও বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী এ ঘটনায় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, আমার নিকট আত্মীয় হাজী বাবুল হোসেন গাছ কাটার জন্য আবেদন করেছেন। আমি ভেবেছি তিনি অনুমতি পেয়েছেন। যেকারণেই শ্রমিক নিয়ে গাছগুলো কাটা হচ্ছিলো।
পরবর্তীতে ইউএনও স্যারের নির্দেশে থানা পুলিশ বাঁধা দেয়ার পর থেকে গাছ কাটা বন্ধ রয়েছে। এখন ইউএনও স্যার যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা সেই অনুযায়ী অগ্রসর হবো।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৯
ঢাকা বার কাউন্সিলের সেকশন অফিসার ও বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর হোসেন (৫২) আর নেই। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন ( ইন্না.....রাজিউন)।
সম্প্রতি তার দাঁত তোলার পরে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে টনসিলে সমস্যা হওয়াসহ তিনি ডায়বেটিস রোগে ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি মা,স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুম অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠী ইউনিয়নের উদয়কাঠী গ্রামের প্রয়াত পল্লী চিকিৎসক মো. জয়নুল আবেদীনের ছেলে। ওই দিন (শনিবার) বাদ আসর ঢাকার মধ্য বাড্ডা আদর্শনগর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে পূর্ব বাড্ডা গোরস্থানে তার মরদেহ চির নিন্দ্রায় শায়িত করা হয়।
এদিকে সদালপী,মিষ্টভাষী, হাসোজ্জ্বল মেধাবী আইনজীবী আলমগীর হোসেনের মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ,সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
ঢাকা বার কাউন্সিলের সেকশন অফিসার ও বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর হোসেন (৫২) আর নেই। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন ( ইন্না.....রাজিউন)।
সম্প্রতি তার দাঁত তোলার পরে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে টনসিলে সমস্যা হওয়াসহ তিনি ডায়বেটিস রোগে ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি মা,স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুম অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠী ইউনিয়নের উদয়কাঠী গ্রামের প্রয়াত পল্লী চিকিৎসক মো. জয়নুল আবেদীনের ছেলে। ওই দিন (শনিবার) বাদ আসর ঢাকার মধ্য বাড্ডা আদর্শনগর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে পূর্ব বাড্ডা গোরস্থানে তার মরদেহ চির নিন্দ্রায় শায়িত করা হয়।
এদিকে সদালপী,মিষ্টভাষী, হাসোজ্জ্বল মেধাবী আইনজীবী আলমগীর হোসেনের মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ,সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:১৩
বরিশালের বাকেরগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন বাকেরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি মো. ইমরান খান সালাম। ৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার বিকেলে উপজেলা চত্বরের কৃষি অফিসের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওএমএস (খোলা বাজারে চাল বিক্রি) ডিলার রুহুল নিকারী সরকারি নিয়ম মেনে চাল বিতরণ না করে গোপনে তা বাজারজাত করে আসছিলেন।
এই অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত অতর্কিতে সাংবাদিক ইমরান খান সালামের ওপর হামলা চালায় এবং তাকে বেধড়ক মারধর করে। এসময় স্থানীয় লোকজন আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে রুহুল নিকারী, সবুজ নিকারী ও আবুবক্কর নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ ও সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং অবিলম্বে সকল হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বরিশালের বাকেরগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন বাকেরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি মো. ইমরান খান সালাম। ৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার বিকেলে উপজেলা চত্বরের কৃষি অফিসের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওএমএস (খোলা বাজারে চাল বিক্রি) ডিলার রুহুল নিকারী সরকারি নিয়ম মেনে চাল বিতরণ না করে গোপনে তা বাজারজাত করে আসছিলেন।
এই অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত অতর্কিতে সাংবাদিক ইমরান খান সালামের ওপর হামলা চালায় এবং তাকে বেধড়ক মারধর করে। এসময় স্থানীয় লোকজন আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে রুহুল নিকারী, সবুজ নিকারী ও আবুবক্কর নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ ও সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং অবিলম্বে সকল হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.