বরিশাল

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বরিশালে ঈদ উদযাপন

মাহাদী হাসান, বরিশাল

মাহাদী হাসান, বরিশাল

০৬ জুন, ২০২৫ ১০:১১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বরিশালে ঈদ উদযাপন

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার পরিবার একদিন আগেই ঈদ-উল-আযহা উদযাপন করেছে। শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকেই ঈদের নামাজ ও কোরবানির মধ্য দিয়ে এই উৎসব শুরু হয়।

সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী দেশে ঈদ-উল-আযহা পালিত হবে শনিবার (৭ জুন)। তবে প্রতি বছরের মতো এবারও চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার জাহাগিরিয়া শাহ্ সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারীরা সৌদি সময় অনুসরণ করে আগাম ঈদ উদযাপন করেছেন।

বরিশাল বিভাগের অন্তত ১০টি উপজেলায় প্রায় ৭৫টি মসজিদে এই অনুসারীরা ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। বিভাগের প্রধান জামাতটি অনুষ্ঠিত হয় বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠী হাজীবাড়ি এলাকায়। সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন এবং পশু কোরবানির মাধ্যমে ঈদের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন।

এছাড়া বরিশাল নগরীর জিয়া সড়ক, টিয়াখালী, হরিনাফুলিয়া, সদর উপজেলার সাহেবের হাট, বাবুগঞ্জ উপজেলার খানপুরা, কেদারপুর, মাধবপাশা ইউনিয়নের ছয়টি গ্রাম, মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা এবং চন্দ্রমোহন, পতাং ও লাহারহাট এলাকায়ও আগাম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। চন্দনাইশ দরবার শরীফের অনুসারীরা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা ও মক্কার সময় অনুযায়ী ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করে আসছেন।

লঞ্চের ম্যানেজার-মাস্টার গ্রেপ্তারের পরে কীর্তনখোলার রুট পারমিট স্থগিত

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৮ জুন, ২০২৫ ০৭:৪৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

লঞ্চের ম্যানেজার-মাস্টার গ্রেপ্তারের পরে কীর্তনখোলার রুট পারমিট স্থগিত

বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রীবাহী কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের রুট পারমিট স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার রাতে লঞ্চটির রুট পারমিট স্থগিত আদেশ জারি করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এর আগে শুক্রবার রাতে লঞ্চের মালিক মনজুরুল ইসলাম ফেরদৌসসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানা মামলা করে কোস্টগার্ড।

বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক মুহম্মদ মোবরাক হোসেনের স্বাক্ষরিত রুট পারমিট স্থগিত আদেশে বলা হয়েছে, এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করে। সদরঘাট টার্মিনাল ত্যাগ করার পর পোস্তগোলা ব্রীজ অতিক্রম করার আগে লঞ্চের একটি প্রপেলার ভেঙে যায়। বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানার পর বিআইডব্লিউটিএ’র পরিবহন পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম দায়িত্বরত মাস্টার শুক্কুর এবং ড্রাইভার মিজানুর রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। তারা প্রপেলার ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চের মাস্টারকে যাত্রা বাতিল করে সদরঘাট টার্মিনালে ফেরত আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম-পরিচালক (নৌনিট্রা) লঞ্চের মাস্টারের সঙ্গে ফোনে কথা বলে অনুরূপ নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি নির্দেশ অমান্য করে লঞ্চটি এক ইঞ্জিনে চালিয়ে শুক্রবার সকালে বরিশালে পৌঁছায়। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এবং ঈদ-উল-আযহায় ঘরমুখো যাত্রীদের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। ফলে কর্তৃপক্ষের তথা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারতো। লঞ্চটির চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে।

এর আগে শুক্রবার সকালে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চ বরিশাল নৌবন্দরে পৌঁছার পর যাত্রীদের সঙ্গে লঞ্চ কর্মচারীদের তুমুল বাকবিতন্ডা হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে তখন কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে গেলে লঞ্চের মালিক ফেরদৌস দলবলসহ কোস্টগার্ড ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসাদচরণ করেন।

সেই ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার রাতে মামলা করেন কোস্টগার্ডের কমান্ডার শাহ-জালাল। এরপরে গ্রেপ্তার হয়েছেন কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের ম্যানেজার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন এবং মাস্টার শুকুর আলী। মামলা এবং গ্রেপ্তারের একদিন পরে কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চটির রুট পারমিট স্থগিত করল বিআইডব্লিউটিএ।’

লঞ্চের ম্যানেজার-মাস্টার গ্রেপ্তারের পরে কীর্তনখোলার রুট পারমিট স্থগিত

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৭ জুন, ২০২৫ ০৪:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে ঈদের প্রধান জামাত, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা

বরিশালে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশে ঈদের জামাত আদায় করতে পেরে শুকরিয়া জানিয়েছেন মুসল্লিরা।শনিবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় শহরের বান্দরোডের হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজে ইমামতি করেন কালেক্টরেট জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সকাল থেকেই ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে দলে দলে ঈদগাহ ময়দানে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা।

বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কায়ছার, জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ধর্মপ্রাণ মানুষ ঈদের প্রধান জামাতে অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। অপরদিকে নামাজ শেষে পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসল্লিরা।

প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া নগরের ৫ শতাধিক মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা।

কীর্তনখোলা লঞ্চ মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৬ জুন, ২০২৫ ১৪:৪২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

কীর্তনখোলা লঞ্চ মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে বরিশালের লঞ্চগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন, ভাড়া বেশি নেয়া, যাত্রী হয়রানি এবং দায়িত্বে থাকা কোস্টগার্ড সদস্যদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।শুক্রবার (৬ জুন) বিকেলে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে মামলাটি করা হয়।

এই মামলায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছে, জানান কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান।

কোস্টগার্ড জানিয়েছে, গত ৫ জুন রাত ৯টার দিকে ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা থাকলেও কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে। পরে মাঝনদীতে লঞ্চ থামিয়ে নৌকা ও ট্রলারে করে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়। যাত্রীর ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৫৫০ হলেও প্রায় ৪ হাজার যাত্রী বহন করা হয়। এবং ভোর রাতে বৃষ্টির সময় ছাদে থাকা নারী, শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীদের লঞ্চের ভেতরে ঢুকতে না দিয়ে ছাদের দরজায় তালা দিয়ে রাখা হয়। এতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বরিশাল লঞ্চঘাটে পৌঁছানোর পর অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, দুর্ব্যবহার এবং নানা অনিয়মের অভিযোগে যাত্রীদের সঙ্গে লঞ্চ স্টাফদের বাগবিতণ্ডা ও একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যাত্রীদের অনুরোধে কোস্টগার্ড, সেনাবাহিনী ও নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডারের মধ্যস্থতায় যাত্রীদের সঙ্গে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সমঝোতা হয়।

তবে পরে লঞ্চ মালিক মঞ্জুরুল আহসান এবং তার ছেলে শান্ত হাসান এসে কোস্টগার্ড সদস্যদের উদ্দেশে আক্রমণাত্মক ও নাশকতামূলক আচরণ করেন এবং সরকারি কাজে বাধা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর কোস্টগার্ড সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং দুইজনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। তাদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

ঘটনার পর লঞ্চ মালিক, তার ছেলে, ম্যানেজার ও সুপারভাইজারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানি, সরকারি কাজে বাধা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি হুমকি দেয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.