
০१ জুন, २০२५ १९:০४
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, গণতন্ত্র মনে থাকতে হবে, গণতন্ত্র জাতীয় জীবনেও থাকতে হবে। গণতন্ত্র থাকলে পালাতে হয় না।
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কোন প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় না। যে শাসক গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হন, জনগণকে যারা বিশ্বাস করে, জনগ কে যারা তোয়াক্কা করে, জনগণ তাদের সম্পদ হয়ে যায়, তাদের পালাতে হয় না।
যেমন আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পালায়নি। ১/১১ এর সময় তার উপরে চাপ ছিল। তাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি দেশ ছেড়ে চলে যায়নি।
আজ রবিবার (০১ জুন) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা মানুষের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করতেন না। দেশে সুষ্ঠ ভোট হলে তিনি গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসন থেকে হয়তো নির্বাচিত হতে পারতেন না।
আমি তাকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছিলাম, আপনি কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়পায় কত পার্সেন্ট ভোট পেয়েছেন ভোটের সেই মুড়িগুলো দেখান। যদি দেখাতে পারেন তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে আপনার গোলামী করবো। আর যদি না দেখাতে পারেন তাহলে আপনি প্রধানমন্ত্রীর পথ থেকে সরে গিয়ে আমাদের দেশকে বাঁচান। তিনি আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেননি।
ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, শেখ হাসিনা দেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া এলাকায় ওনার যারা চামচা ছিলেন, যারা নেতাকর্মী ছিলেন তারা ভোটের বাক্স ভরে দিয়েছেন।
এটা কি নির্বাচন হলো? এটা কি গণতন্ত্র হলো? বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গনতন্ত্রে বিশ্বাসী।তাই আজকের এই সম্মেলনে সকল নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে আমরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করতে চাই।
অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধানকে উদ্দেশ্যে করে ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সংস্কারের কথা বলে আর কালক্ষেপন করবেন না। দ্রুত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। আগামীকাল (০২ জুন)বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাথে আপনার সংলাম অনুষ্ঠিত হবে। আশাকরি এই সংলাপের পর আপনি নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।
সম্মেলনের প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ইতোমধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার ও মেরামতের জন্য ৩১ দফা পেশ করেছে। আপনারা সবাই এই ৩১ দফা সর্ম্পকে ধারণা রাখবেন। এই ৩১ দফাই হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সনদ।
কোটালীপাড়া উপজেলার বিএনপির আহবায়ক এস এম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের আলোচনা সভায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির আহবায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান, কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল বাশার হাওলাদার, যুগ্ম আহবায়ক ফায়েকুজ্জামান, পৌর বিএনপির আহবায়ক ইউসুফ আলী দাড়িয়া, সদস্য সচিব ওলিউর রহমান হাওলাদারসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, সুষ্ঠ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দেশের কোন সমস্যার সমাধান হবে না। সেই কারনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সহ ৫০টিরও অধিক রাজনৈতিক দল আজকে ভোটাধিকার চায়, নির্বাচন চায়।
নির্বাচনের একটিন সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা চায়। কারণ সংস্কারের কথা যদি বলেন, তাহলে বলবো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিই প্রথম সংস্কারের কথা বলেছিল কেননা শেখ হাসিনার আমলে যখন মানুষকে গুম কর হচ্ছিল, খুন করা হচ্ছিল তখন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশ সংস্কারের জন্য ২৭ দফা ঘোষণা করেছিলেন।আজ সেই ২৭ দফাই ৩১ দফায় পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, গণতন্ত্র মনে থাকতে হবে, গণতন্ত্র জাতীয় জীবনেও থাকতে হবে। গণতন্ত্র থাকলে পালাতে হয় না।
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কোন প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় না। যে শাসক গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হন, জনগণকে যারা বিশ্বাস করে, জনগ কে যারা তোয়াক্কা করে, জনগণ তাদের সম্পদ হয়ে যায়, তাদের পালাতে হয় না।
যেমন আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পালায়নি। ১/১১ এর সময় তার উপরে চাপ ছিল। তাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি দেশ ছেড়ে চলে যায়নি।
আজ রবিবার (০১ জুন) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা মানুষের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করতেন না। দেশে সুষ্ঠ ভোট হলে তিনি গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসন থেকে হয়তো নির্বাচিত হতে পারতেন না।
আমি তাকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছিলাম, আপনি কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়পায় কত পার্সেন্ট ভোট পেয়েছেন ভোটের সেই মুড়িগুলো দেখান। যদি দেখাতে পারেন তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে আপনার গোলামী করবো। আর যদি না দেখাতে পারেন তাহলে আপনি প্রধানমন্ত্রীর পথ থেকে সরে গিয়ে আমাদের দেশকে বাঁচান। তিনি আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেননি।
ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, শেখ হাসিনা দেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া এলাকায় ওনার যারা চামচা ছিলেন, যারা নেতাকর্মী ছিলেন তারা ভোটের বাক্স ভরে দিয়েছেন।
এটা কি নির্বাচন হলো? এটা কি গণতন্ত্র হলো? বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গনতন্ত্রে বিশ্বাসী।তাই আজকের এই সম্মেলনে সকল নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে আমরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করতে চাই।
অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধানকে উদ্দেশ্যে করে ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সংস্কারের কথা বলে আর কালক্ষেপন করবেন না। দ্রুত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। আগামীকাল (০২ জুন)বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাথে আপনার সংলাম অনুষ্ঠিত হবে। আশাকরি এই সংলাপের পর আপনি নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।
সম্মেলনের প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ইতোমধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার ও মেরামতের জন্য ৩১ দফা পেশ করেছে। আপনারা সবাই এই ৩১ দফা সর্ম্পকে ধারণা রাখবেন। এই ৩১ দফাই হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সনদ।
কোটালীপাড়া উপজেলার বিএনপির আহবায়ক এস এম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের আলোচনা সভায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির আহবায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান, কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল বাশার হাওলাদার, যুগ্ম আহবায়ক ফায়েকুজ্জামান, পৌর বিএনপির আহবায়ক ইউসুফ আলী দাড়িয়া, সদস্য সচিব ওলিউর রহমান হাওলাদারসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, সুষ্ঠ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দেশের কোন সমস্যার সমাধান হবে না। সেই কারনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সহ ৫০টিরও অধিক রাজনৈতিক দল আজকে ভোটাধিকার চায়, নির্বাচন চায়।
নির্বাচনের একটিন সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা চায়। কারণ সংস্কারের কথা যদি বলেন, তাহলে বলবো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিই প্রথম সংস্কারের কথা বলেছিল কেননা শেখ হাসিনার আমলে যখন মানুষকে গুম কর হচ্ছিল, খুন করা হচ্ছিল তখন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশ সংস্কারের জন্য ২৭ দফা ঘোষণা করেছিলেন।আজ সেই ২৭ দফাই ৩১ দফায় পরিণত হয়েছে।
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १९:२५
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १८:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १७:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १६:০০

१३ ডিসেম্বর, २০२५ १५:३२
যেখানে সন্তান মায়ের ছায়া হয়ে দাঁড়ানোর কথা, সেখানে সেই মায়ের ওপর ওঠে সন্তানেরই নির্মম হাত। গাজীপুরের শ্রীপুরে এমন এক হৃদয়বিদারক ও ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন এলাকাবাসী, যা আগে কখনো দেখেনি তারা।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামে মাদকাসক্ত ছেলের দীর্ঘদিনের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছে। নেশার টাকা না পেয়ে নিজের মা খোদেজা খাতুনকে ইট ও লাঠি দিয়ে মারধর করে পা থেঁতলে দেয় খলিল (৩২)। এতে গুরুতর আহত হন মা।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে।
মায়ের আর্তচিৎকারে ছুটে যান প্রতিবেশীরা। দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও অসহায়তা থেকে মায়ের সম্মতি নিয়েই এলাকাবাসী স্থানীয় একটি সড়কের পাশে বুকসমান গর্ত করে খলিলকে কোমর পর্যন্ত পুঁতে রাখেন।
প্রায় এক ঘণ্টা পর তিনি নিজে মাটি সরিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে রাখে। স্থানীয়দের ভাষ্য, আগেও একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ ও মুচলেকা দেওয়া হলেও খলিলের আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা ও নীরব আতঙ্ক বিরাজ করছে। নেশার ভয়াবহতা আর পারিবারিক ভাঙনের এমন দৃশ্য টেপিরবাড়িকে করে তুলেছে এক শিউরে ওঠা উদাহরণ।
যেখানে সন্তান মায়ের ছায়া হয়ে দাঁড়ানোর কথা, সেখানে সেই মায়ের ওপর ওঠে সন্তানেরই নির্মম হাত। গাজীপুরের শ্রীপুরে এমন এক হৃদয়বিদারক ও ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন এলাকাবাসী, যা আগে কখনো দেখেনি তারা।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামে মাদকাসক্ত ছেলের দীর্ঘদিনের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছে। নেশার টাকা না পেয়ে নিজের মা খোদেজা খাতুনকে ইট ও লাঠি দিয়ে মারধর করে পা থেঁতলে দেয় খলিল (৩২)। এতে গুরুতর আহত হন মা।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে।
মায়ের আর্তচিৎকারে ছুটে যান প্রতিবেশীরা। দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও অসহায়তা থেকে মায়ের সম্মতি নিয়েই এলাকাবাসী স্থানীয় একটি সড়কের পাশে বুকসমান গর্ত করে খলিলকে কোমর পর্যন্ত পুঁতে রাখেন।
প্রায় এক ঘণ্টা পর তিনি নিজে মাটি সরিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে রাখে। স্থানীয়দের ভাষ্য, আগেও একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ ও মুচলেকা দেওয়া হলেও খলিলের আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা ও নীরব আতঙ্ক বিরাজ করছে। নেশার ভয়াবহতা আর পারিবারিক ভাঙনের এমন দৃশ্য টেপিরবাড়িকে করে তুলেছে এক শিউরে ওঠা উদাহরণ।

१३ ডিসেম্বর, २০२५ १२:४७
শরীয়তপুর সদরে শীত নিবারণের জন্য বিছানার পাশে মাটির পাত্রে রাখা জ্বলন্ত কয়লা থেকে অগ্নিকাণ্ডে এক বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আগুনে পুড়ে বিছানার ওপরই ছাই হয়ে গেছে তার মরদেহ। শনিবার ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের রুদ্রকর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কামরুন নাহার (৮০) রুদ্রকর এলাকার মৃত মোসলেম সরদারের স্ত্রী। একমাত্র মেয়ের বিয়ের পর থেকে বাড়িতে একাই বসবাস করতেন ওই বৃদ্ধা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগুনের খবর পেয়ে পুলিশ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। তবে তার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন নেভার পর বিছানার ওপর বৃদ্ধার মরদেহ পাওয়া যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শীত নিবারণের জন্য একটি মাটির পাত্রে আগুন রেখেছিলেন তিনি। ওই পাত্রে রাখা আগুনের কয়লা বিছানায় পড়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শীত থেকে রক্ষা পেতে মাটির পাত্রে রাখা কয়লার আগুন বিছানায় পড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তার মেয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শরীয়তপুর সদরে শীত নিবারণের জন্য বিছানার পাশে মাটির পাত্রে রাখা জ্বলন্ত কয়লা থেকে অগ্নিকাণ্ডে এক বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আগুনে পুড়ে বিছানার ওপরই ছাই হয়ে গেছে তার মরদেহ। শনিবার ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের রুদ্রকর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কামরুন নাহার (৮০) রুদ্রকর এলাকার মৃত মোসলেম সরদারের স্ত্রী। একমাত্র মেয়ের বিয়ের পর থেকে বাড়িতে একাই বসবাস করতেন ওই বৃদ্ধা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগুনের খবর পেয়ে পুলিশ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। তবে তার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন নেভার পর বিছানার ওপর বৃদ্ধার মরদেহ পাওয়া যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শীত নিবারণের জন্য একটি মাটির পাত্রে আগুন রেখেছিলেন তিনি। ওই পাত্রে রাখা আগুনের কয়লা বিছানায় পড়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শীত থেকে রক্ষা পেতে মাটির পাত্রে রাখা কয়লার আগুন বিছানায় পড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তার মেয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

१३ ডিসেম্বর, २০२५ ११:३६
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলায় সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক তোসিকুর ইসলামের (৩২) মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে বাংলাদেশি পুলিশের নিকট তার মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ।
নিহত তোসিকুর বাখর আলী ইউনুস মণ্ডলের টোলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ মরদেহ গ্রহণের পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সদর উপজেলার জহুরপুরটেক সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ কম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। মরদেহ গ্রহণ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ। এর আগে মুখ দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন নিহতের বাবা ইব্রাহীম আলী।
পুলিশ কর্মকর্তা সুকোমল বলেন, ‘কফিনে মোড়ানো ময়নাতদন্ত করা মরদেহ প্রাথমিক পরীক্ষার পর তোসিকুরের বুকের ডান দিক থেকে ঘাড়ের নিচ পর্যন্ত ছররা গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এর আগে, গত বুধবার (১০ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতীয় পুলিশ নদীতে তোসিকুরের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে দাবি করে সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তোসিকুরের বাবা ইব্রাহীম আলী বাখর আলী বিওপিতে উপস্থিত হয়ে অবহিত করেন। এরপর বিজিবি পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৩ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার জহুরপুর সীমান্তে প্রথম দফা বিজিবি-বিএসএফ কম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবি প্রতিপক্ষ ৭১ বিএসএফের বয়রাঘাট বিএসএফ ক্যাম্পকে তোসিকুরের ছবিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করে।
বিএসএফ বৈঠকে এ ব্যাপারে দ্রুত বিজিবিকে জানানো হবে বলে জানায়। পরে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বিএসএফ এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে হস্তান্তরের কথা জানায়। সে অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মেইন আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ২৩/৮ এস নিকট টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পতাকা বৈঠকে মরদেহ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
এ ঘটনা তদন্তের পর বিজিবি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে জানিয়ে অধিনায়ক মুস্তাফিজুর আরো বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তোসিকুরের মরদেহ সীমান্তে পদ্মার সমান্তরালে প্রবাহিত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথপুর (সাবেক জঙ্গিপুর) থানার ভাগিরথী নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে। স্থানটি সীমান্ত থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলায় সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক তোসিকুর ইসলামের (৩২) মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে বাংলাদেশি পুলিশের নিকট তার মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ।
নিহত তোসিকুর বাখর আলী ইউনুস মণ্ডলের টোলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ মরদেহ গ্রহণের পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সদর উপজেলার জহুরপুরটেক সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ কম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। মরদেহ গ্রহণ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ। এর আগে মুখ দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন নিহতের বাবা ইব্রাহীম আলী।
পুলিশ কর্মকর্তা সুকোমল বলেন, ‘কফিনে মোড়ানো ময়নাতদন্ত করা মরদেহ প্রাথমিক পরীক্ষার পর তোসিকুরের বুকের ডান দিক থেকে ঘাড়ের নিচ পর্যন্ত ছররা গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এর আগে, গত বুধবার (১০ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতীয় পুলিশ নদীতে তোসিকুরের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে দাবি করে সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তোসিকুরের বাবা ইব্রাহীম আলী বাখর আলী বিওপিতে উপস্থিত হয়ে অবহিত করেন। এরপর বিজিবি পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৩ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার জহুরপুর সীমান্তে প্রথম দফা বিজিবি-বিএসএফ কম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবি প্রতিপক্ষ ৭১ বিএসএফের বয়রাঘাট বিএসএফ ক্যাম্পকে তোসিকুরের ছবিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করে।
বিএসএফ বৈঠকে এ ব্যাপারে দ্রুত বিজিবিকে জানানো হবে বলে জানায়। পরে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বিএসএফ এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে হস্তান্তরের কথা জানায়। সে অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মেইন আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ২৩/৮ এস নিকট টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পতাকা বৈঠকে মরদেহ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
এ ঘটনা তদন্তের পর বিজিবি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে জানিয়ে অধিনায়ক মুস্তাফিজুর আরো বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তোসিকুরের মরদেহ সীমান্তে পদ্মার সমান্তরালে প্রবাহিত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথপুর (সাবেক জঙ্গিপুর) থানার ভাগিরথী নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে। স্থানটি সীমান্ত থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.