
০१ জুন, २০२५ १০:१८
বরিশালের ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল ঘোষিত সদ্য কমিটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই কমিটিতে স্বৈরাচারের দোসর ছাত্রলীগসহ অনেক অছাত্র স্থান পাওয়ায় পদবঞ্চিত একটি বৃহৎ অংশ সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, যা নিয়ে নেতিবাচক লেখালেখিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুদিন ধরে তোলপাড় চলছে। পাশাপাশি পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের ফেসবুকে তীর্যক মন্তব্যে তীব্র অসন্তোস এবং ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
বঞ্চিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নবগঠিত কমিটির অনেকে আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে আবার কেউ জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন ছাত্রসমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। অনেকের আবার ছাত্রত্বও নেই। কিন্তু তারপরেও তাদের ছাত্রদলের কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে, যা তামাশার সামিল।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে বরিশাল সদর ব্যতিত ৯টি উপজেলার ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি ঘোষণা করে বরিশাল জেলা ছাত্রদল। জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক আল ইমরান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমরান এই কমিটি অনুমোদন করেন। মূলত এ কমিটির অনুলিপি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লেই ফেসবুককে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়।
অভিযোগ আছে, বাবুগঞ্জ সরকারি আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি মল্লিক সাকিব, তিনি উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন ছাত্রসমাজের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এমনকি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাথে তার ব্যাপক সখ্যতাও ছিল, যা নিয়ে ফেসবুকে দুদিন ধরে নেতিবাচক লেখালেখি হচ্ছে। এই অভিযোগ করেছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ মাহমুদ। তিনি রূপালী বাংলাদেশকে জানান, কমিটি ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় নেতারা বাবুগঞ্জে কর্মিসভা করেছেন। সেখানে সাকিবের সাথে জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু এরপরেও সেই বিতর্কিত ব্যক্তিকেই সভাপতি করা হয়েছে। ফলে ত্যাগিরা উপেক্ষিত রয়েছেন এবং তাদের যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়নি।
আত্মপক্ষ সমর্থনে সভাপতি সাকিব বলছেন, কেন্দ্রীয় নেতারা যাচাই-বাছাই করেই তাকে পদ দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। ছাত্রদল নেতার দাবি, কোরামভিত্তিক জটিলতার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মুলাদী উপজেলার চরকালেখান আদর্শ ডিগ্রি কলেজের নতুন কমিটির সহ-সভাপতি আল-আমিনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের পদে থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ ওই কলেজের ছাত্র নন বলে জানা গেছে, যা নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা করছেন স্থানীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
চরকালেখান ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিব হোসেন রূপালী বাংলাদেশের কাছে অভিযোগ করেন, কমিটিতে ত্যাগিদের রাখা হয়নি। এবং সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন, এমনকি তার ছাত্রত্বও নেই।
তবে আল-আমিন বলছেন, ‘তিনি ছাত্রদল করে অনেক নিপিড়নের শিকার হয়েছেন এবং আন্দোলন করতে গিয়ে একাধিক মামলার আসামিও হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সমূলে মিথ্যে বলে দাবি করেন আল আমিন।
চরকালেখান আদর্শ ডিগ্রি কলেজে নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে জানিয়ে মুলাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ঢালী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, কমিটির এই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার কাশেমাবাদ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্রদলের কমিটিতে প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রবিউল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গৌরনদীর আওয়ামী লীগের নেতা হারিছুর রহমান হারিছের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। কমিটিতে তিনি স্থান পাওয়া নিয়ে সমালোচনা চলছে। এছাড়া জেলার হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ, উজিরপুর এবং বানারীপাড়ার বিভিন্ন কলেজের নতুন কমিটি নিয়েও একই ধরনের বিতর্ক চলমান রয়েছে।
পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বরিশালে কমিটি ঘোষিত ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৮, মেহেন্দিগঞ্জের ৯, হিজলার ৪, বানারীপাড়ার ৫, উজিরপুরের ৭, বাবুগঞ্জের ৪, মুলাদীর ৯, গৌরনদীর ৫ ও আগৈলঝাড়ার ৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিতেই স্বৈরাচারের দোসর এবং বিতর্কিত ব্যক্তিদের স্থান দেওয়া হয়েছে। কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে স্ব-স্ব উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর থাকার কথা থাকলেও সেখানে জেলার নেতাদের নাম দেখা যাচ্ছে। ফলে এখানে গঠনতন্ত্র উপেক্ষিত রয়েছে, এই বিষয়টি অনেকেই সহজভাবে মেনে নিতে পারছেন না। তবে কমিটিতে নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই বলে দাবি করেছেন সভাপতি তারেক আল ইমরান এবং সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমরান।
নেতাদ্বয় রূপালী বাংলাদেশকে জানান, পক্ষকালের বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রিয়াদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল এবং মো. আরিফুল ইসলাম বরিশালে অবস্থান করেন এবং তারাই সকলের কাছ থেকে সিভি সংগ্রহ করেছেন। এমনকি বরিশাল বিএনপির কার্যালয়ে প্রার্থীদের ডেকে সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়। পরবর্তীতে উপজেলার নেতাদের সাথে সমন্বয় করে কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের নেতৃত্ব চূড়ান্ত করেছেন। বলা যায়, সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে স্বচ্ছতার সাথে, যেখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
কমিটি যদি স্বচ্ছতার সাথে দেওয়া হয় তাহলে এত বিতর্ক কেনো, এমন প্রশ্নে উত্তরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান জানান, এক সঙ্গে এতগুলো কমিটি ঘোষণার অতীত উদাহরণ নেই বললেই চলে। ৭০০ কর্মীকে এক সাথে ছাত্রদলের পরিচয় দেওয়া হয়েছে, অনেকে বাদ পড়েছেন। তারাই সম্ভবত ক্ষুব্ধ হয়ে ফেসবুকে নেতিবাচক পোস্ট করে চলছেন। কিন্তু কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কোনো রূপ স্বজনপ্রীতি বা অনিয়ম করা হয়নি।’
ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক
স্থান পেয়েছেন ছাত্রলীগ-ছাত্রসমাজের নেতাকর্মীরাসহ বিতর্কিতরাও
বরিশালের ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল ঘোষিত সদ্য কমিটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই কমিটিতে স্বৈরাচারের দোসর ছাত্রলীগসহ অনেক অছাত্র স্থান পাওয়ায় পদবঞ্চিত একটি বৃহৎ অংশ সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, যা নিয়ে নেতিবাচক লেখালেখিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুদিন ধরে তোলপাড় চলছে। পাশাপাশি পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের ফেসবুকে তীর্যক মন্তব্যে তীব্র অসন্তোস এবং ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
বঞ্চিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নবগঠিত কমিটির অনেকে আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে আবার কেউ জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন ছাত্রসমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। অনেকের আবার ছাত্রত্বও নেই। কিন্তু তারপরেও তাদের ছাত্রদলের কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে, যা তামাশার সামিল।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে বরিশাল সদর ব্যতিত ৯টি উপজেলার ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি ঘোষণা করে বরিশাল জেলা ছাত্রদল। জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক আল ইমরান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমরান এই কমিটি অনুমোদন করেন। মূলত এ কমিটির অনুলিপি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লেই ফেসবুককে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়।
অভিযোগ আছে, বাবুগঞ্জ সরকারি আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি মল্লিক সাকিব, তিনি উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন ছাত্রসমাজের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এমনকি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাথে তার ব্যাপক সখ্যতাও ছিল, যা নিয়ে ফেসবুকে দুদিন ধরে নেতিবাচক লেখালেখি হচ্ছে। এই অভিযোগ করেছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ মাহমুদ। তিনি রূপালী বাংলাদেশকে জানান, কমিটি ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় নেতারা বাবুগঞ্জে কর্মিসভা করেছেন। সেখানে সাকিবের সাথে জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু এরপরেও সেই বিতর্কিত ব্যক্তিকেই সভাপতি করা হয়েছে। ফলে ত্যাগিরা উপেক্ষিত রয়েছেন এবং তাদের যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়নি।
আত্মপক্ষ সমর্থনে সভাপতি সাকিব বলছেন, কেন্দ্রীয় নেতারা যাচাই-বাছাই করেই তাকে পদ দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। ছাত্রদল নেতার দাবি, কোরামভিত্তিক জটিলতার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মুলাদী উপজেলার চরকালেখান আদর্শ ডিগ্রি কলেজের নতুন কমিটির সহ-সভাপতি আল-আমিনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের পদে থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ ওই কলেজের ছাত্র নন বলে জানা গেছে, যা নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা করছেন স্থানীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
চরকালেখান ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিব হোসেন রূপালী বাংলাদেশের কাছে অভিযোগ করেন, কমিটিতে ত্যাগিদের রাখা হয়নি। এবং সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন, এমনকি তার ছাত্রত্বও নেই।
তবে আল-আমিন বলছেন, ‘তিনি ছাত্রদল করে অনেক নিপিড়নের শিকার হয়েছেন এবং আন্দোলন করতে গিয়ে একাধিক মামলার আসামিও হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সমূলে মিথ্যে বলে দাবি করেন আল আমিন।
চরকালেখান আদর্শ ডিগ্রি কলেজে নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে জানিয়ে মুলাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ঢালী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, কমিটির এই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার কাশেমাবাদ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্রদলের কমিটিতে প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রবিউল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গৌরনদীর আওয়ামী লীগের নেতা হারিছুর রহমান হারিছের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। কমিটিতে তিনি স্থান পাওয়া নিয়ে সমালোচনা চলছে। এছাড়া জেলার হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ, উজিরপুর এবং বানারীপাড়ার বিভিন্ন কলেজের নতুন কমিটি নিয়েও একই ধরনের বিতর্ক চলমান রয়েছে।
পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বরিশালে কমিটি ঘোষিত ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৮, মেহেন্দিগঞ্জের ৯, হিজলার ৪, বানারীপাড়ার ৫, উজিরপুরের ৭, বাবুগঞ্জের ৪, মুলাদীর ৯, গৌরনদীর ৫ ও আগৈলঝাড়ার ৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিতেই স্বৈরাচারের দোসর এবং বিতর্কিত ব্যক্তিদের স্থান দেওয়া হয়েছে। কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে স্ব-স্ব উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর থাকার কথা থাকলেও সেখানে জেলার নেতাদের নাম দেখা যাচ্ছে। ফলে এখানে গঠনতন্ত্র উপেক্ষিত রয়েছে, এই বিষয়টি অনেকেই সহজভাবে মেনে নিতে পারছেন না। তবে কমিটিতে নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই বলে দাবি করেছেন সভাপতি তারেক আল ইমরান এবং সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমরান।
নেতাদ্বয় রূপালী বাংলাদেশকে জানান, পক্ষকালের বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রিয়াদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল এবং মো. আরিফুল ইসলাম বরিশালে অবস্থান করেন এবং তারাই সকলের কাছ থেকে সিভি সংগ্রহ করেছেন। এমনকি বরিশাল বিএনপির কার্যালয়ে প্রার্থীদের ডেকে সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়। পরবর্তীতে উপজেলার নেতাদের সাথে সমন্বয় করে কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের নেতৃত্ব চূড়ান্ত করেছেন। বলা যায়, সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে স্বচ্ছতার সাথে, যেখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
কমিটি যদি স্বচ্ছতার সাথে দেওয়া হয় তাহলে এত বিতর্ক কেনো, এমন প্রশ্নে উত্তরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান জানান, এক সঙ্গে এতগুলো কমিটি ঘোষণার অতীত উদাহরণ নেই বললেই চলে। ৭০০ কর্মীকে এক সাথে ছাত্রদলের পরিচয় দেওয়া হয়েছে, অনেকে বাদ পড়েছেন। তারাই সম্ভবত ক্ষুব্ধ হয়ে ফেসবুকে নেতিবাচক পোস্ট করে চলছেন। কিন্তু কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কোনো রূপ স্বজনপ্রীতি বা অনিয়ম করা হয়নি।’
বরিশালের ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল ঘোষিত সদ্য কমিটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই কমিটিতে স্বৈরাচারের দোসর ছাত্রলীগসহ অনেক অছাত্র স্থান পাওয়ায় পদবঞ্চিত একটি বৃহৎ অংশ সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, যা নিয়ে নেতিবাচক লেখালেখিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুদিন ধরে তোলপাড় চলছে। পাশাপাশি পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের ফেসবুকে তীর্যক মন্তব্যে তীব্র অসন্তোস এবং ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
বঞ্চিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নবগঠিত কমিটির অনেকে আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে আবার কেউ জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন ছাত্রসমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। অনেকের আবার ছাত্রত্বও নেই। কিন্তু তারপরেও তাদের ছাত্রদলের কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে, যা তামাশার সামিল।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে বরিশাল সদর ব্যতিত ৯টি উপজেলার ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি ঘোষণা করে বরিশাল জেলা ছাত্রদল। জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক আল ইমরান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমরান এই কমিটি অনুমোদন করেন। মূলত এ কমিটির অনুলিপি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লেই ফেসবুককে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়।
অভিযোগ আছে, বাবুগঞ্জ সরকারি আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি মল্লিক সাকিব, তিনি উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন ছাত্রসমাজের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এমনকি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাথে তার ব্যাপক সখ্যতাও ছিল, যা নিয়ে ফেসবুকে দুদিন ধরে নেতিবাচক লেখালেখি হচ্ছে। এই অভিযোগ করেছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ মাহমুদ। তিনি রূপালী বাংলাদেশকে জানান, কমিটি ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় নেতারা বাবুগঞ্জে কর্মিসভা করেছেন। সেখানে সাকিবের সাথে জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু এরপরেও সেই বিতর্কিত ব্যক্তিকেই সভাপতি করা হয়েছে। ফলে ত্যাগিরা উপেক্ষিত রয়েছেন এবং তাদের যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়নি।
আত্মপক্ষ সমর্থনে সভাপতি সাকিব বলছেন, কেন্দ্রীয় নেতারা যাচাই-বাছাই করেই তাকে পদ দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। ছাত্রদল নেতার দাবি, কোরামভিত্তিক জটিলতার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মুলাদী উপজেলার চরকালেখান আদর্শ ডিগ্রি কলেজের নতুন কমিটির সহ-সভাপতি আল-আমিনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের পদে থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ ওই কলেজের ছাত্র নন বলে জানা গেছে, যা নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা করছেন স্থানীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
চরকালেখান ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিব হোসেন রূপালী বাংলাদেশের কাছে অভিযোগ করেন, কমিটিতে ত্যাগিদের রাখা হয়নি। এবং সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন, এমনকি তার ছাত্রত্বও নেই।
তবে আল-আমিন বলছেন, ‘তিনি ছাত্রদল করে অনেক নিপিড়নের শিকার হয়েছেন এবং আন্দোলন করতে গিয়ে একাধিক মামলার আসামিও হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সমূলে মিথ্যে বলে দাবি করেন আল আমিন।
চরকালেখান আদর্শ ডিগ্রি কলেজে নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে জানিয়ে মুলাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ঢালী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, কমিটির এই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার কাশেমাবাদ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্রদলের কমিটিতে প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রবিউল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গৌরনদীর আওয়ামী লীগের নেতা হারিছুর রহমান হারিছের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। কমিটিতে তিনি স্থান পাওয়া নিয়ে সমালোচনা চলছে। এছাড়া জেলার হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ, উজিরপুর এবং বানারীপাড়ার বিভিন্ন কলেজের নতুন কমিটি নিয়েও একই ধরনের বিতর্ক চলমান রয়েছে।
পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বরিশালে কমিটি ঘোষিত ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৮, মেহেন্দিগঞ্জের ৯, হিজলার ৪, বানারীপাড়ার ৫, উজিরপুরের ৭, বাবুগঞ্জের ৪, মুলাদীর ৯, গৌরনদীর ৫ ও আগৈলঝাড়ার ৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিতেই স্বৈরাচারের দোসর এবং বিতর্কিত ব্যক্তিদের স্থান দেওয়া হয়েছে। কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে স্ব-স্ব উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর থাকার কথা থাকলেও সেখানে জেলার নেতাদের নাম দেখা যাচ্ছে। ফলে এখানে গঠনতন্ত্র উপেক্ষিত রয়েছে, এই বিষয়টি অনেকেই সহজভাবে মেনে নিতে পারছেন না। তবে কমিটিতে নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই বলে দাবি করেছেন সভাপতি তারেক আল ইমরান এবং সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমরান।
নেতাদ্বয় রূপালী বাংলাদেশকে জানান, পক্ষকালের বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রিয়াদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল এবং মো. আরিফুল ইসলাম বরিশালে অবস্থান করেন এবং তারাই সকলের কাছ থেকে সিভি সংগ্রহ করেছেন। এমনকি বরিশাল বিএনপির কার্যালয়ে প্রার্থীদের ডেকে সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়। পরবর্তীতে উপজেলার নেতাদের সাথে সমন্বয় করে কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের নেতৃত্ব চূড়ান্ত করেছেন। বলা যায়, সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে স্বচ্ছতার সাথে, যেখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
কমিটি যদি স্বচ্ছতার সাথে দেওয়া হয় তাহলে এত বিতর্ক কেনো, এমন প্রশ্নে উত্তরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান জানান, এক সঙ্গে এতগুলো কমিটি ঘোষণার অতীত উদাহরণ নেই বললেই চলে। ৭০০ কর্মীকে এক সাথে ছাত্রদলের পরিচয় দেওয়া হয়েছে, অনেকে বাদ পড়েছেন। তারাই সম্ভবত ক্ষুব্ধ হয়ে ফেসবুকে নেতিবাচক পোস্ট করে চলছেন। কিন্তু কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কোনো রূপ স্বজনপ্রীতি বা অনিয়ম করা হয়নি।’
ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক
স্থান পেয়েছেন ছাত্রলীগ-ছাত্রসমাজের নেতাকর্মীরাসহ বিতর্কিতরাও
বরিশালের ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল ঘোষিত সদ্য কমিটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই কমিটিতে স্বৈরাচারের দোসর ছাত্রলীগসহ অনেক অছাত্র স্থান পাওয়ায় পদবঞ্চিত একটি বৃহৎ অংশ সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, যা নিয়ে নেতিবাচক লেখালেখিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুদিন ধরে তোলপাড় চলছে। পাশাপাশি পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের ফেসবুকে তীর্যক মন্তব্যে তীব্র অসন্তোস এবং ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
বঞ্চিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নবগঠিত কমিটির অনেকে আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে আবার কেউ জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন ছাত্রসমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। অনেকের আবার ছাত্রত্বও নেই। কিন্তু তারপরেও তাদের ছাত্রদলের কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে, যা তামাশার সামিল।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে বরিশাল সদর ব্যতিত ৯টি উপজেলার ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি ঘোষণা করে বরিশাল জেলা ছাত্রদল। জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক আল ইমরান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমরান এই কমিটি অনুমোদন করেন। মূলত এ কমিটির অনুলিপি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লেই ফেসবুককে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়।
অভিযোগ আছে, বাবুগঞ্জ সরকারি আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি মল্লিক সাকিব, তিনি উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন ছাত্রসমাজের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এমনকি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাথে তার ব্যাপক সখ্যতাও ছিল, যা নিয়ে ফেসবুকে দুদিন ধরে নেতিবাচক লেখালেখি হচ্ছে। এই অভিযোগ করেছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ মাহমুদ। তিনি রূপালী বাংলাদেশকে জানান, কমিটি ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় নেতারা বাবুগঞ্জে কর্মিসভা করেছেন। সেখানে সাকিবের সাথে জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু এরপরেও সেই বিতর্কিত ব্যক্তিকেই সভাপতি করা হয়েছে। ফলে ত্যাগিরা উপেক্ষিত রয়েছেন এবং তাদের যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়নি।
আত্মপক্ষ সমর্থনে সভাপতি সাকিব বলছেন, কেন্দ্রীয় নেতারা যাচাই-বাছাই করেই তাকে পদ দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। ছাত্রদল নেতার দাবি, কোরামভিত্তিক জটিলতার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মুলাদী উপজেলার চরকালেখান আদর্শ ডিগ্রি কলেজের নতুন কমিটির সহ-সভাপতি আল-আমিনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের পদে থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ ওই কলেজের ছাত্র নন বলে জানা গেছে, যা নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা করছেন স্থানীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
চরকালেখান ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিব হোসেন রূপালী বাংলাদেশের কাছে অভিযোগ করেন, কমিটিতে ত্যাগিদের রাখা হয়নি। এবং সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন, এমনকি তার ছাত্রত্বও নেই।
তবে আল-আমিন বলছেন, ‘তিনি ছাত্রদল করে অনেক নিপিড়নের শিকার হয়েছেন এবং আন্দোলন করতে গিয়ে একাধিক মামলার আসামিও হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সমূলে মিথ্যে বলে দাবি করেন আল আমিন।
চরকালেখান আদর্শ ডিগ্রি কলেজে নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে জানিয়ে মুলাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ঢালী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, কমিটির এই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার কাশেমাবাদ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্রদলের কমিটিতে প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রবিউল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গৌরনদীর আওয়ামী লীগের নেতা হারিছুর রহমান হারিছের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। কমিটিতে তিনি স্থান পাওয়া নিয়ে সমালোচনা চলছে। এছাড়া জেলার হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ, উজিরপুর এবং বানারীপাড়ার বিভিন্ন কলেজের নতুন কমিটি নিয়েও একই ধরনের বিতর্ক চলমান রয়েছে।
পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বরিশালে কমিটি ঘোষিত ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৮, মেহেন্দিগঞ্জের ৯, হিজলার ৪, বানারীপাড়ার ৫, উজিরপুরের ৭, বাবুগঞ্জের ৪, মুলাদীর ৯, গৌরনদীর ৫ ও আগৈলঝাড়ার ৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিতেই স্বৈরাচারের দোসর এবং বিতর্কিত ব্যক্তিদের স্থান দেওয়া হয়েছে। কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে স্ব-স্ব উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর থাকার কথা থাকলেও সেখানে জেলার নেতাদের নাম দেখা যাচ্ছে। ফলে এখানে গঠনতন্ত্র উপেক্ষিত রয়েছে, এই বিষয়টি অনেকেই সহজভাবে মেনে নিতে পারছেন না। তবে কমিটিতে নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই বলে দাবি করেছেন সভাপতি তারেক আল ইমরান এবং সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমরান।
নেতাদ্বয় রূপালী বাংলাদেশকে জানান, পক্ষকালের বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রিয়াদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল এবং মো. আরিফুল ইসলাম বরিশালে অবস্থান করেন এবং তারাই সকলের কাছ থেকে সিভি সংগ্রহ করেছেন। এমনকি বরিশাল বিএনপির কার্যালয়ে প্রার্থীদের ডেকে সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়। পরবর্তীতে উপজেলার নেতাদের সাথে সমন্বয় করে কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের নেতৃত্ব চূড়ান্ত করেছেন। বলা যায়, সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে স্বচ্ছতার সাথে, যেখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
কমিটি যদি স্বচ্ছতার সাথে দেওয়া হয় তাহলে এত বিতর্ক কেনো, এমন প্রশ্নে উত্তরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান জানান, এক সঙ্গে এতগুলো কমিটি ঘোষণার অতীত উদাহরণ নেই বললেই চলে। ৭০০ কর্মীকে এক সাথে ছাত্রদলের পরিচয় দেওয়া হয়েছে, অনেকে বাদ পড়েছেন। তারাই সম্ভবত ক্ষুব্ধ হয়ে ফেসবুকে নেতিবাচক পোস্ট করে চলছেন। কিন্তু কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কোনো রূপ স্বজনপ্রীতি বা অনিয়ম করা হয়নি।’
१४ ডিসেম্বর, २০२५ ११:४७
१४ ডিসেম্বর, २০२५ ११:३६
१४ ডিসেম্বর, २০२५ ११:০६
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १९:२५

१३ ডিসেম্বর, २০२५ १२:५७
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপাশা এলাকার মোল্লার বাজারের নিকটবর্তী একটি বাড়িতে এক বৃদ্ধার মরদেহ এবং দুজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনই একই পরিবারের সদস্য।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাদের অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে বৃদ্ধার মরদেহসহ অচেতন দুজনকে উদ্ধার করে।
মৃত অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) ওই বাড়ির মালিক মরণ সাহার মা। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা মরণ সাহাকে (৫৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এবং তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানী সাহাকে (৪৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোল্লার বাজার সংলগ্ন ওই বাড়িতে বসবাস করেন প্রশান্ত কুমার ওরফে মরণ সাহা, তার মা অঞ্জলি সাহা এবং স্ত্রী সন্ধ্যা রানী। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুর পর্যন্ত তাদের কাউকে বাইরে দেখা না যাওয়ায় এবং ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ অবস্থায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন প্রতিবেশীরা। এ সময় ঘরের মেঝেতে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে অঞ্জলি সাহাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় ঘরের মালপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়েছিল।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাদের উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রশান্ত সাহাকে শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যা রানীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মরণ সাহার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীর অবস্থা অনেকটা ভালো। তবে মরণ সাহা বেশি অসুস্থ ও অজ্ঞান থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কারা কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে এবং ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপাশা এলাকার মোল্লার বাজারের নিকটবর্তী একটি বাড়িতে এক বৃদ্ধার মরদেহ এবং দুজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনই একই পরিবারের সদস্য।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাদের অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে বৃদ্ধার মরদেহসহ অচেতন দুজনকে উদ্ধার করে।
মৃত অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) ওই বাড়ির মালিক মরণ সাহার মা। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা মরণ সাহাকে (৫৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এবং তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানী সাহাকে (৪৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোল্লার বাজার সংলগ্ন ওই বাড়িতে বসবাস করেন প্রশান্ত কুমার ওরফে মরণ সাহা, তার মা অঞ্জলি সাহা এবং স্ত্রী সন্ধ্যা রানী। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুর পর্যন্ত তাদের কাউকে বাইরে দেখা না যাওয়ায় এবং ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ অবস্থায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন প্রতিবেশীরা। এ সময় ঘরের মেঝেতে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে অঞ্জলি সাহাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় ঘরের মালপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়েছিল।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাদের উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রশান্ত সাহাকে শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যা রানীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মরণ সাহার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীর অবস্থা অনেকটা ভালো। তবে মরণ সাহা বেশি অসুস্থ ও অজ্ঞান থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কারা কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে এবং ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

१३ ডিসেম্বর, २০२५ ११:२१
বরিশালের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি ও পাকিস্তানি বাহিনীর টর্চার সেল কমপ্লেক্স অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। গত বছরের ৫ আগস্ট একদল লোক ভাঙচুর করার পর দেড় বছর ধরে এটির সংস্কারে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে দেড় একর জমির ওপর সংরক্ষণ করা হয়েছে নির্যাতন ক্যাম্প, বাংকার, বধ্যভূমি ও সেতু। শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সেতুর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ‘স্মৃতিস্তম্ভ ৭১’। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর এই বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গানবোট ও হেলিকপ্টারে বরিশালে ঢুকে ওয়াপদা কলোনি দখল করে নেয়। সেখানে সেনাক্যাম্প ও টর্চার সেল স্থাপন করে তারা। কীর্তনখোলার তীরবর্তী এই ক্যাম্প থেকে ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও ভোলায় অপারেশন চালানো হতো। টর্চার সেলে বন্দী মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে খুন করে লাশ কীর্তনখোলা–সংলগ্ন সাগরদী খালের তীরে ফেলা হতো। কীর্তনখোলার তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন কম্পাউন্ডের এলাকা থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত ধানের জমির পুরো এলাকা ছিল বরিশালের মূল গণকবর ও বধ্যভূমি।
স্বাধীনতার পর এলাকাটি রাষ্ট্রীয়ভাবে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পরে ওয়াপদা কলোনি ও কীর্তনখোলা খালের তীরবর্তী প্রায় দেড় একর জায়গাজুড়ে বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সংরক্ষণ প্রকল্প শুরু হয়। প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। উদ্বোধনের পর প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
কীর্তনখোলার তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন কম্পাউন্ডের এলাকা থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত ধানের জমির পুরো এলাকা ছিল বরিশালের মূল গণকবর ও বধ্যভূমি
সম্প্রতি বধ্যভূমি কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, দর্শনার্থীরা আগের মতো সহজে ঢুকতে পারেন না। মূল সড়ক থেকে খালপাড় ঘেঁষে সিটি করপোরেশন একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ করলেও তা এখনো অসম্পূর্ণ। ফলে কয়েক ফুট নিচে লাফিয়ে নেমে বধ্যভূমিতে ঢুকতে হয়।
এক নিরাপত্তাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ৫ আগস্টের ঘটনার পর সেপ্টেম্বরের এক গভীর রাতে একদল লোক গিয়ে দুই নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা ভেতরে ঢুকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি করে দেয়ালে বিভিন্ন শব্দ লেখে। পরে অবশ্য লেখাগুলো মুছে ফেলা হয়েছে।
এই বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সংরক্ষণ প্রকল্পে বরিশাল সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতা করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বিশ্ববিদ্যালয় অব এশিয়া প্যাসিফিক, বরিশাল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ।
বধ্যভূমির সংস্কারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না জানিয়ে বরিশাল সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, ৫ আগস্টের ভাঙচুরে বধ্যভূমির অনেক নিদর্শন নষ্ট হয়েছে, যা আর সংস্কার করা হয়নি। ভেতরে এখনো সেই ভাঙচুরের ক্ষত, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, ‘ত্রিশ গোডাউনের এলাকা সংস্কারের বিষয়ে আমাদের বিবেচনা চলছে। শিগগিরই এর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
বরিশালের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি ও পাকিস্তানি বাহিনীর টর্চার সেল কমপ্লেক্স অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। গত বছরের ৫ আগস্ট একদল লোক ভাঙচুর করার পর দেড় বছর ধরে এটির সংস্কারে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে দেড় একর জমির ওপর সংরক্ষণ করা হয়েছে নির্যাতন ক্যাম্প, বাংকার, বধ্যভূমি ও সেতু। শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সেতুর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ‘স্মৃতিস্তম্ভ ৭১’। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর এই বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গানবোট ও হেলিকপ্টারে বরিশালে ঢুকে ওয়াপদা কলোনি দখল করে নেয়। সেখানে সেনাক্যাম্প ও টর্চার সেল স্থাপন করে তারা। কীর্তনখোলার তীরবর্তী এই ক্যাম্প থেকে ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও ভোলায় অপারেশন চালানো হতো। টর্চার সেলে বন্দী মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে খুন করে লাশ কীর্তনখোলা–সংলগ্ন সাগরদী খালের তীরে ফেলা হতো। কীর্তনখোলার তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন কম্পাউন্ডের এলাকা থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত ধানের জমির পুরো এলাকা ছিল বরিশালের মূল গণকবর ও বধ্যভূমি।
স্বাধীনতার পর এলাকাটি রাষ্ট্রীয়ভাবে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পরে ওয়াপদা কলোনি ও কীর্তনখোলা খালের তীরবর্তী প্রায় দেড় একর জায়গাজুড়ে বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সংরক্ষণ প্রকল্প শুরু হয়। প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। উদ্বোধনের পর প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
কীর্তনখোলার তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন কম্পাউন্ডের এলাকা থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত ধানের জমির পুরো এলাকা ছিল বরিশালের মূল গণকবর ও বধ্যভূমি
সম্প্রতি বধ্যভূমি কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, দর্শনার্থীরা আগের মতো সহজে ঢুকতে পারেন না। মূল সড়ক থেকে খালপাড় ঘেঁষে সিটি করপোরেশন একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ করলেও তা এখনো অসম্পূর্ণ। ফলে কয়েক ফুট নিচে লাফিয়ে নেমে বধ্যভূমিতে ঢুকতে হয়।
এক নিরাপত্তাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ৫ আগস্টের ঘটনার পর সেপ্টেম্বরের এক গভীর রাতে একদল লোক গিয়ে দুই নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা ভেতরে ঢুকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি করে দেয়ালে বিভিন্ন শব্দ লেখে। পরে অবশ্য লেখাগুলো মুছে ফেলা হয়েছে।
এই বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সংরক্ষণ প্রকল্পে বরিশাল সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতা করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বিশ্ববিদ্যালয় অব এশিয়া প্যাসিফিক, বরিশাল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ।
বধ্যভূমির সংস্কারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না জানিয়ে বরিশাল সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, ৫ আগস্টের ভাঙচুরে বধ্যভূমির অনেক নিদর্শন নষ্ট হয়েছে, যা আর সংস্কার করা হয়নি। ভেতরে এখনো সেই ভাঙচুরের ক্ষত, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, ‘ত্রিশ গোডাউনের এলাকা সংস্কারের বিষয়ে আমাদের বিবেচনা চলছে। শিগগিরই এর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

१२ ডিসেম্বর, २০२५ १९:০३
বরিশাল-৫ (সদর) আসনে দাঁড়িপাল্লা মার্কার প্রার্থী ও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষায় নিজ হাতে নিজের বিলবোর্ড নামিয়েছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় জিলা স্কুল মোড়ে থাকা নিজের ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড নিজেই নামিয়ে ফেলেন। এ সময় মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য শামীম কবিরসহ বেশ কয়েকজন কর্মীসমর্থক সাথে ছিলেন।
বিলবোর্ড নামিয়ে সাংবাদিকদের অ্যাডভোকেট হেলাল বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারসহ প্রচারসামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা নিজেরাই আমাদের পোস্টার ও ফেস্টুনগুলো সরিয়ে কার্যক্রম শুরু করলাম। নির্বাচনী আচরণবিধি মানা আমাদের সবার দায়িত্ব। আমরা নিজেরা আচরণবিধি না মানলে অন্যকে উপদেশ দিয়ে কোনো লাভ নেই। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আজ এই অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলাম’।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ওই নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে তা সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থী/ব্যক্তিদের তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।
বরিশাল-৫ (সদর) আসনে দাঁড়িপাল্লা মার্কার প্রার্থী ও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষায় নিজ হাতে নিজের বিলবোর্ড নামিয়েছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় জিলা স্কুল মোড়ে থাকা নিজের ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড নিজেই নামিয়ে ফেলেন। এ সময় মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য শামীম কবিরসহ বেশ কয়েকজন কর্মীসমর্থক সাথে ছিলেন।
বিলবোর্ড নামিয়ে সাংবাদিকদের অ্যাডভোকেট হেলাল বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারসহ প্রচারসামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা নিজেরাই আমাদের পোস্টার ও ফেস্টুনগুলো সরিয়ে কার্যক্রম শুরু করলাম। নির্বাচনী আচরণবিধি মানা আমাদের সবার দায়িত্ব। আমরা নিজেরা আচরণবিধি না মানলে অন্যকে উপদেশ দিয়ে কোনো লাভ নেই। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আজ এই অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলাম’।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ওই নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে তা সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থী/ব্যক্তিদের তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.