
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:৪২
মেয়েকে মারধর করার অপরাধে জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন শ্বশুর। এই মামলায় পুলিশ জামাইকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। এদিকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শ্বশুর। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের পিড়ারবাড়ি গ্রামে। জানাগেছে, গত দেড় বছর আগে পিড়ারবাড়ি গ্রামের ব্যবসায়ী বিপুল বিশ্বাসের ছেলে বিপ্র বিশ্বাস (২৪) প্রেমকরে একই গ্রামের নিখিল মল্লিকের মেয়ে অন্তু মল্লিক (২০) কে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই তাদের দু’জনার মাঝে সার্বক্ষণিক ভাবে বিরোধ চলে আসছিল।
এরই সূত্রধরে গত রবিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিপ্র বিশ্বাস তার স্ত্রী অন্তু মল্লিককে মেরে গুরুতর আহত করে। উপয় পরিবারের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় অন্তু মল্লিকের পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় সোমবার (৬ অক্টোবর) অন্তু মল্লিকের পিতা নিখিল মল্লিক বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে পুলিশ বিপ্র বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
নিখিল মল্লিক বলেন, বিয়ের পর থেকেই বিপ্র ও তার পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে নানা ভাবে নির্যাতন করতেন। আমার জামাই বিপ্র একজন মাদকসেবনকারী। সে প্রায়ই আমার মেয়ের কাছে মাদক সেবনের জন্য টাকা চাইতো। টাকা না দিলেই বিপ্র আমার মেয়েকে মারধর করতো। তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ ঘটনার রাতে বিপ্র মাদকসেবনের জন্য অন্তুর কাছে টাকা চাইলে সে টাকা দিতে না পারায় বিপ্র লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমার মেয়েকে গুরুতর আহত করে। এ সময় বিপ্রর মা-বাবা আমার মেয়েকে রক্ষা না করে তারা মারধরে সহযোগিতা করে। এ ঘটনায় আমি মামলা দিয়ে পুলিশ বিপ্রকে গ্রেপ্তার করে। এখন বিপ্রর বাবা বিপুল বিশ্বাস মামলা তুলে নিতে আমাকে হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য ব্যবসায়ী বিপুল বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী মিনু বিশ্বাস বলেন, আমার ছেলে বিপ্র তার নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছে। এই বিয়েতে আমাদের মতামত ছিল না। সে তার স্ত্রী অন্তুকে মারধর করেছে। এ ঘটনায় অন্তুর বাবা মামলা দিয়েছে। মামলার কারণে পুলিশ আমার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে। এখন আদালতে যে বিচার হয় হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোটালীপাড়া থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, নিখিল মল্লিকের মামলায় শুধু একজনকে আসামী করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা মামলার আসামী বিপ্রকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য যদি আসামী পক্ষ বাদীকে হুমকি দেয় তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সে ক্ষেত্রে বাদীকে আমাদেরকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে।
মেয়েকে মারধর করার অপরাধে জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন শ্বশুর। এই মামলায় পুলিশ জামাইকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। এদিকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শ্বশুর। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের পিড়ারবাড়ি গ্রামে। জানাগেছে, গত দেড় বছর আগে পিড়ারবাড়ি গ্রামের ব্যবসায়ী বিপুল বিশ্বাসের ছেলে বিপ্র বিশ্বাস (২৪) প্রেমকরে একই গ্রামের নিখিল মল্লিকের মেয়ে অন্তু মল্লিক (২০) কে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই তাদের দু’জনার মাঝে সার্বক্ষণিক ভাবে বিরোধ চলে আসছিল।
এরই সূত্রধরে গত রবিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিপ্র বিশ্বাস তার স্ত্রী অন্তু মল্লিককে মেরে গুরুতর আহত করে। উপয় পরিবারের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় অন্তু মল্লিকের পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় সোমবার (৬ অক্টোবর) অন্তু মল্লিকের পিতা নিখিল মল্লিক বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে পুলিশ বিপ্র বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
নিখিল মল্লিক বলেন, বিয়ের পর থেকেই বিপ্র ও তার পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে নানা ভাবে নির্যাতন করতেন। আমার জামাই বিপ্র একজন মাদকসেবনকারী। সে প্রায়ই আমার মেয়ের কাছে মাদক সেবনের জন্য টাকা চাইতো। টাকা না দিলেই বিপ্র আমার মেয়েকে মারধর করতো। তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ ঘটনার রাতে বিপ্র মাদকসেবনের জন্য অন্তুর কাছে টাকা চাইলে সে টাকা দিতে না পারায় বিপ্র লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমার মেয়েকে গুরুতর আহত করে। এ সময় বিপ্রর মা-বাবা আমার মেয়েকে রক্ষা না করে তারা মারধরে সহযোগিতা করে। এ ঘটনায় আমি মামলা দিয়ে পুলিশ বিপ্রকে গ্রেপ্তার করে। এখন বিপ্রর বাবা বিপুল বিশ্বাস মামলা তুলে নিতে আমাকে হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য ব্যবসায়ী বিপুল বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী মিনু বিশ্বাস বলেন, আমার ছেলে বিপ্র তার নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছে। এই বিয়েতে আমাদের মতামত ছিল না। সে তার স্ত্রী অন্তুকে মারধর করেছে। এ ঘটনায় অন্তুর বাবা মামলা দিয়েছে। মামলার কারণে পুলিশ আমার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে। এখন আদালতে যে বিচার হয় হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোটালীপাড়া থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, নিখিল মল্লিকের মামলায় শুধু একজনকে আসামী করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা মামলার আসামী বিপ্রকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য যদি আসামী পক্ষ বাদীকে হুমকি দেয় তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সে ক্ষেত্রে বাদীকে আমাদেরকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৫

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৬
পরশুরামের চিথলিয়ায় যুবদল নেতা কাজী রবিউল হোসেন জিহাদের(৪০) বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জিহাদ চিথলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলীরকুল গ্রামের কাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।
শুক্রবার(৭ নভেম্বর) রাত দুইটায় উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলির কুল গ্রামে জিহাদের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পরশুরাম থানা পুলিশ। এ সময় তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বস্তা ভর্তি ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত থ্রি-পিস গুলো গণনা করে ২১১ পিস বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম শাকিল বলেন, যুবদলের কেউ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ।
পরশুরামের চিথলিয়ায় যুবদল নেতা কাজী রবিউল হোসেন জিহাদের(৪০) বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জিহাদ চিথলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলীরকুল গ্রামের কাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।
শুক্রবার(৭ নভেম্বর) রাত দুইটায় উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলির কুল গ্রামে জিহাদের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পরশুরাম থানা পুলিশ। এ সময় তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বস্তা ভর্তি ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত থ্রি-পিস গুলো গণনা করে ২১১ পিস বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম শাকিল বলেন, যুবদলের কেউ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ।

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:৩৮
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আক্তার হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দালালকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল মো. আক্তার হোসেন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। গত বছরও জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জরুরি বিভাগে ওই দালালকে দেখে তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ না মেনে তর্কে জড়িয়ে ডা. মহিবুস সালামের ওপর চড়াও হন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখার জন্য আমরা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সচেতনতামূলক প্রচারণার বিলবোর্ড টানিয়েছি। দুপুরে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বের হতে বললে সে না গিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর আক্রমণ চালায় এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আক্তার হোসেনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আবার প্রবেশ করলে পুনরায় জেল দেওয়া হবে।’
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আক্তার হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দালালকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল মো. আক্তার হোসেন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। গত বছরও জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জরুরি বিভাগে ওই দালালকে দেখে তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ না মেনে তর্কে জড়িয়ে ডা. মহিবুস সালামের ওপর চড়াও হন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখার জন্য আমরা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সচেতনতামূলক প্রচারণার বিলবোর্ড টানিয়েছি। দুপুরে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বের হতে বললে সে না গিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর আক্রমণ চালায় এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আক্তার হোসেনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আবার প্রবেশ করলে পুনরায় জেল দেওয়া হবে।’

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬
দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আট দিনে ১৯৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।
এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য এবং দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আট দিনে ১৯৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।
এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য এবং দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.