
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫২
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই বিপ্লবী শরিফ ওসমান বিন হাদি এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। ঘটনার দিন থেকেই গুঞ্জন রয়েছে, হত্যাকারীরা ভারতে পালিয়েছে। তবে পুলিশ এখনো এ তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্য়ামে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাদি হত্যা মামলার তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মূল সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্তে তদন্ত চলমান রয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর কালফার্ট এলাকায় রিকশায় যাওয়ার সময় ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন। চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে তাকে গুলি করেন ফয়সাল করিম মাসুদ, যিনি মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন তার সহযোগী আলমগীর কবির।
হাদির মৃত্যুতে প্রধান আসামি ফয়সাল করিম এবং তার সহযোগী আলমগীর কবিরকে গ্রেপ্তারের অগ্রগতি জানাতে সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছে হাদির হাতের সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ। দাবি করা হয়েছে, অগ্রগতি না হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর পদত্যাগ চাওয়া হবে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। সেখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা হাদির হত্যা মামলার সর্বশেষ তথ্য জানাবেন। ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলামও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। তিনি জানান, গত আট দিনে মামলার বিষয়ে ‘বেশ খানিকটা অগ্রগতি’ হয়েছে।
ডিবি প্রধান বলেন, ‘ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও মোটরসাইকেল আমরা ইতোমধ্যেই উদ্ধার করেছি। বেশ কয়েকজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এখন আমরা অন্য আসামিদের অবস্থান খুঁজছি।’
হাদি হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিমের বাবা, মা, স্ত্রী, শ্যালক এবং এক বান্ধবীও রয়েছেন। এ ছাড়া হামলায় সহযোগিতার অভিযোগে আরও আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়মনসিংহ হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে পালানোর তথ্য পাওয়া মানবপাচার চক্রের দুই সদস্যকেও আটক করা হয়েছে।
ডিবি প্রধান জানিয়েছেন, ‘আটককৃত সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের ভুল নিবন্ধন নম্বরের সূত্র ধরে একজনকে আটক করা হয়েছিল, তবে তদন্তে হত্যার সঙ্গে কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।’
গত ১২ ডিসেম্বর গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অপারেশনের পর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিন দিন পর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
হাদির মরদেহ দেশে ফেরানোর পর ২০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যাতে ১০-১২ লাখ মানুষ অংশ নেন। একই দিন তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে দাফন করা হয়।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই বিপ্লবী শরিফ ওসমান বিন হাদি এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। ঘটনার দিন থেকেই গুঞ্জন রয়েছে, হত্যাকারীরা ভারতে পালিয়েছে। তবে পুলিশ এখনো এ তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্য়ামে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাদি হত্যা মামলার তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মূল সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্তে তদন্ত চলমান রয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর কালফার্ট এলাকায় রিকশায় যাওয়ার সময় ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন। চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে তাকে গুলি করেন ফয়সাল করিম মাসুদ, যিনি মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন তার সহযোগী আলমগীর কবির।
হাদির মৃত্যুতে প্রধান আসামি ফয়সাল করিম এবং তার সহযোগী আলমগীর কবিরকে গ্রেপ্তারের অগ্রগতি জানাতে সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছে হাদির হাতের সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ। দাবি করা হয়েছে, অগ্রগতি না হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর পদত্যাগ চাওয়া হবে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। সেখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা হাদির হত্যা মামলার সর্বশেষ তথ্য জানাবেন। ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলামও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। তিনি জানান, গত আট দিনে মামলার বিষয়ে ‘বেশ খানিকটা অগ্রগতি’ হয়েছে।
ডিবি প্রধান বলেন, ‘ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও মোটরসাইকেল আমরা ইতোমধ্যেই উদ্ধার করেছি। বেশ কয়েকজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এখন আমরা অন্য আসামিদের অবস্থান খুঁজছি।’
হাদি হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিমের বাবা, মা, স্ত্রী, শ্যালক এবং এক বান্ধবীও রয়েছেন। এ ছাড়া হামলায় সহযোগিতার অভিযোগে আরও আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়মনসিংহ হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে পালানোর তথ্য পাওয়া মানবপাচার চক্রের দুই সদস্যকেও আটক করা হয়েছে।
ডিবি প্রধান জানিয়েছেন, ‘আটককৃত সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের ভুল নিবন্ধন নম্বরের সূত্র ধরে একজনকে আটক করা হয়েছিল, তবে তদন্তে হত্যার সঙ্গে কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।’
গত ১২ ডিসেম্বর গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অপারেশনের পর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিন দিন পর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
হাদির মরদেহ দেশে ফেরানোর পর ২০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যাতে ১০-১২ লাখ মানুষ অংশ নেন। একই দিন তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে দাফন করা হয়।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:০১
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২৯
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:১৭
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৪
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:০১
দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নস্যাৎ করতেই ওসমান হাদিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে— এমন অভিযোগ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি দেশের চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ থামিয়ে দেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে প্রথম আলোর কার্যালয় পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
জুনায়েদ সাকি বলেন, আমরা দেখেছি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের অফিসে হামলা করা হয়েছে। এর পরপরই সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও উদীচীর ভবনে হামলা হয়েছে। এই ধারাবাহিক হামলাগুলো ন্যাক্কারজনক। এগুলো কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়, বরং একটি গভীর ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।
ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেভাবে ওসমান হাদিকে হত্যা করা হলো, তাতে সারাদেশের মানুষ শোকাহত ও ক্ষুব্ধ। গতকাল আমরা তার জানাজায় দেখেছি—সারা দেশের মানুষ কিভাবে সেখানে যুক্ত হয়েছে। তার শাহাদাত একদিকে আমাদের শোকাহত করেছে, অন্যদিকে ক্ষোভে ফুঁসিয়ে তুলেছে।
জুনায়েদ সাকি বলেন, আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের হাজারও শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন চেয়েছি। এই তিনটি বিষয় আমাদের গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু আমরা দেখছি, পতিত ফ্যাসিস্টরা ভারতে আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকেই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।
তিনি অভিযোগ করেন, একদল স্বার্থান্বেষী মহল মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে গণমাধ্যমের ওপর হামলা চালাচ্ছে, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে আক্রমণ করছে। এতে মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি হচ্ছে।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, জুলাই আন্দোলন দেশের ইতিহাসে এক বিরাট ঐক্য তৈরি হয়েছিল। সেই আন্দোলনে রাজনৈতিক দল, মত ও আদর্শে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও জনগণের বৃহৎ ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারকে পতন ঘটিয়েছি।
বর্তমান সময়কে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পর্ব উল্লেখ করে জুনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের লক্ষ্য রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক করা, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করা, সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন করা এবং দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
জুনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতেই তারা উঠে পড়ে লেগেছে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যাতে এটি সফল হতে না পারে। তবে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আজ সরকারের দায়িত্ব ছিল এই ঐক্য বজায় রাখা, মানুষের জানমাল ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সরকার সেখানে ব্যর্থ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা রহস্যজনকভাবে নীরব ছিল।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব নাশকতামূলক তৎপরতা ঠেকাতে পারেনি? ক্ষুব্ধ মানুষকে সহজেই উত্তেজিত করা যায়— একদল সেটাই করছে।
শেষে তিনি বলেন, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন— এগুলো আমাদের জাতীয় স্বার্থ। কেউ যেন এই জাতীয় স্বার্থ বানচাল করতে না পারে, সেজন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যে ফাটল ধরলে এই আততায়ী ও নাশকতাকারীরাই লাভবান হবে।
দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নস্যাৎ করতেই ওসমান হাদিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে— এমন অভিযোগ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি দেশের চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ থামিয়ে দেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে প্রথম আলোর কার্যালয় পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
জুনায়েদ সাকি বলেন, আমরা দেখেছি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের অফিসে হামলা করা হয়েছে। এর পরপরই সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও উদীচীর ভবনে হামলা হয়েছে। এই ধারাবাহিক হামলাগুলো ন্যাক্কারজনক। এগুলো কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়, বরং একটি গভীর ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।
ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেভাবে ওসমান হাদিকে হত্যা করা হলো, তাতে সারাদেশের মানুষ শোকাহত ও ক্ষুব্ধ। গতকাল আমরা তার জানাজায় দেখেছি—সারা দেশের মানুষ কিভাবে সেখানে যুক্ত হয়েছে। তার শাহাদাত একদিকে আমাদের শোকাহত করেছে, অন্যদিকে ক্ষোভে ফুঁসিয়ে তুলেছে।
জুনায়েদ সাকি বলেন, আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের হাজারও শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন চেয়েছি। এই তিনটি বিষয় আমাদের গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু আমরা দেখছি, পতিত ফ্যাসিস্টরা ভারতে আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকেই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।
তিনি অভিযোগ করেন, একদল স্বার্থান্বেষী মহল মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে গণমাধ্যমের ওপর হামলা চালাচ্ছে, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে আক্রমণ করছে। এতে মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি হচ্ছে।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, জুলাই আন্দোলন দেশের ইতিহাসে এক বিরাট ঐক্য তৈরি হয়েছিল। সেই আন্দোলনে রাজনৈতিক দল, মত ও আদর্শে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও জনগণের বৃহৎ ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারকে পতন ঘটিয়েছি।
বর্তমান সময়কে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পর্ব উল্লেখ করে জুনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের লক্ষ্য রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক করা, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করা, সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন করা এবং দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
জুনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতেই তারা উঠে পড়ে লেগেছে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যাতে এটি সফল হতে না পারে। তবে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আজ সরকারের দায়িত্ব ছিল এই ঐক্য বজায় রাখা, মানুষের জানমাল ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সরকার সেখানে ব্যর্থ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা রহস্যজনকভাবে নীরব ছিল।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব নাশকতামূলক তৎপরতা ঠেকাতে পারেনি? ক্ষুব্ধ মানুষকে সহজেই উত্তেজিত করা যায়— একদল সেটাই করছে।
শেষে তিনি বলেন, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন— এগুলো আমাদের জাতীয় স্বার্থ। কেউ যেন এই জাতীয় স্বার্থ বানচাল করতে না পারে, সেজন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যে ফাটল ধরলে এই আততায়ী ও নাশকতাকারীরাই লাভবান হবে।

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:১৭
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাব লেনদেন বিশ্লেষণে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে সিআইডি।
বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে সিআইডি এই অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে। এ ঘটনায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অর্থ পাচারসংক্রান্ত অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে সংস্থাটি।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু তালেব এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ওরফে রাহুল এখনো গ্রেপ্তার না হলেও মামলার আলামত গোপন ও অভিযুক্তকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে তার পরিবারের সদস্যসহ একাধিক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। গ্রেপ্তার অভিযানের সময় উদ্ধার বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবইয়ের তথ্য সিআইডি গুরুত্ব নিয়ে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ শুরু করে।
এতে দেখা যায়, অভিযুক্ত ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু চেক বইয়ে বিভিন্ন পরিমাণ অর্থের কথা উল্লেখ রয়েছে। চূড়ান্ত লেনদেন সম্পন্ন না হওয়া এসব রেকর্ডের সমষ্টিগত মূল্য প্রায় ২১৮ কোটি টাকা।
তবে সিআইডির প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, অভিযুক্ত এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেন সংঘটিত হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং, সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংক্রান্ত অর্থায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে।
অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আবু তালেব আরো জানান, বিষয়টি আমলে নিয়ে সিআইডি মানি লন্ডারিং বিষয়ে পৃথক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে। মূল অভিযুক্ত ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা প্রায় ৬৫ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে দ্রুততম সময়ে যেনো বাজেয়াপ্ত করা যায় সে জন্যও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সিআইডি।
পাশাপাশি এসব অর্থের মূল সরবরাহকারী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করার জন্য সিআইডির অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে পরিকল্পনা, অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহে কোনো সংঘবদ্ধ ও শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সক্রিয় ছিল কি না সে বিষয়েও সিআইডির একাধিক টিম কাজ করছে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাব লেনদেন বিশ্লেষণে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে সিআইডি।
বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে সিআইডি এই অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে। এ ঘটনায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অর্থ পাচারসংক্রান্ত অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে সংস্থাটি।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু তালেব এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ওরফে রাহুল এখনো গ্রেপ্তার না হলেও মামলার আলামত গোপন ও অভিযুক্তকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে তার পরিবারের সদস্যসহ একাধিক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। গ্রেপ্তার অভিযানের সময় উদ্ধার বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবইয়ের তথ্য সিআইডি গুরুত্ব নিয়ে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ শুরু করে।
এতে দেখা যায়, অভিযুক্ত ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু চেক বইয়ে বিভিন্ন পরিমাণ অর্থের কথা উল্লেখ রয়েছে। চূড়ান্ত লেনদেন সম্পন্ন না হওয়া এসব রেকর্ডের সমষ্টিগত মূল্য প্রায় ২১৮ কোটি টাকা।
তবে সিআইডির প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, অভিযুক্ত এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেন সংঘটিত হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং, সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংক্রান্ত অর্থায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে।
অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আবু তালেব আরো জানান, বিষয়টি আমলে নিয়ে সিআইডি মানি লন্ডারিং বিষয়ে পৃথক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে। মূল অভিযুক্ত ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা প্রায় ৬৫ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে দ্রুততম সময়ে যেনো বাজেয়াপ্ত করা যায় সে জন্যও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সিআইডি।
পাশাপাশি এসব অর্থের মূল সরবরাহকারী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করার জন্য সিআইডির অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে পরিকল্পনা, অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহে কোনো সংঘবদ্ধ ও শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সক্রিয় ছিল কি না সে বিষয়েও সিআইডির একাধিক টিম কাজ করছে।

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৪
সীমান্ত দিয়ে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের ডাংগাপাড়া এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক জওয়ানকে আটক করেছে বিজিবি।
রোববার ভোরের দিকে বেদপ্রকাশ নামের ওই জওয়ানকে আটক করা হয়। তিনি ১৭৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদস্য।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানিয়েছে, গরু চোরাকারবারিদের তাড়া করতে গিয়ে কুয়াশায় পথ ভুলে ওই জওয়ান বাংলাদেশ ভূখণ্ডের প্রায় ১০০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে বিজিবির একটি টহল দল তাকে আটক করে নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে যান। তাকে ব্যক্তিগত অস্ত্র-গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদিসহ আঙ্গরপোতা বিওপিতে রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিষয়টি জানতে পেরে বিএসএফ এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে ওই জওয়ানকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সীমান্ত চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক আইন যথাযথভাবে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে উক্ত বিএসএফ সদস্যের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহবান জানানো হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সীমান্ত দিয়ে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের ডাংগাপাড়া এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক জওয়ানকে আটক করেছে বিজিবি।
রোববার ভোরের দিকে বেদপ্রকাশ নামের ওই জওয়ানকে আটক করা হয়। তিনি ১৭৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদস্য।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানিয়েছে, গরু চোরাকারবারিদের তাড়া করতে গিয়ে কুয়াশায় পথ ভুলে ওই জওয়ান বাংলাদেশ ভূখণ্ডের প্রায় ১০০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে বিজিবির একটি টহল দল তাকে আটক করে নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে যান। তাকে ব্যক্তিগত অস্ত্র-গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদিসহ আঙ্গরপোতা বিওপিতে রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিষয়টি জানতে পেরে বিএসএফ এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে ওই জওয়ানকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সীমান্ত চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক আইন যথাযথভাবে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে উক্ত বিএসএফ সদস্যের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহবান জানানো হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.