
২৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:৫৭
ভোলার মনপুরায় গভীর রাতে এক বিধবা নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে আটক হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর এক ওয়ার্ড সভাপতি। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে বিচ্ছিন্ন কলাতলী ইউনিয়নের বাতান খাল এলাকায় ওই নারীর ঘর থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল সমালোচনা চলছে।
আটক ব্যক্তি মো. শোয়াইব ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি পেশায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই বিধবা নারীর সঙ্গে শোয়াইবের অনৈতিক সম্পর্ক চলছিল। ঘটনাস্থলে জনগণ তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে উপস্থিত জনতার চাপ ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের সম্মতিতে কাজি ডেকে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা বুধবার সকালে নিশ্চিত করেন ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন ও সাবেক ইউপি সদস্য আছিউল হক।
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা আমিনুল ইসলাম জসিম বলেন, এই অপকর্মের দায় জামায়াত বহন করবে না। তবে তিনি এখনো ওয়ার্ড সভাপতির দায়িত্বে আছেন।
মনপুরা থানার ওসি আহসান কবির জানান, থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে।
ভোলার মনপুরায় গভীর রাতে এক বিধবা নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে আটক হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর এক ওয়ার্ড সভাপতি। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে বিচ্ছিন্ন কলাতলী ইউনিয়নের বাতান খাল এলাকায় ওই নারীর ঘর থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল সমালোচনা চলছে।
আটক ব্যক্তি মো. শোয়াইব ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি পেশায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই বিধবা নারীর সঙ্গে শোয়াইবের অনৈতিক সম্পর্ক চলছিল। ঘটনাস্থলে জনগণ তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে উপস্থিত জনতার চাপ ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের সম্মতিতে কাজি ডেকে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা বুধবার সকালে নিশ্চিত করেন ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন ও সাবেক ইউপি সদস্য আছিউল হক।
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা আমিনুল ইসলাম জসিম বলেন, এই অপকর্মের দায় জামায়াত বহন করবে না। তবে তিনি এখনো ওয়ার্ড সভাপতির দায়িত্বে আছেন।
মনপুরা থানার ওসি আহসান কবির জানান, থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে।

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:১০

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২০
ভোলার বোরহানউদ্দিনের তেঁতুলিয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে মো. হারুন (৫৫) নামের এক ড্রেজার মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার জয়া এলাকার তেঁতুলিয়া নদীতে বালু তোলার সময় তাকে এ জরিমানা করা হয়।
হারুন ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা গ্রামের সুলতান আহমেদের ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রনজিৎ চন্দ্র দাস।
তিনি জানান, তেঁতুলিয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়। এ সময় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে হারুনকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে বোরহানউদ্দিন থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে তেঁতুলিয়া নদী থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩২
ভোলার লালমোহন উপজেলায় সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ডা. আজাহার উদ্দিন রোড থেকে ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা বাজার পর্যন্ত ওই সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু হয় প্রায় দেড় বছর আগে। যা শেষ করার কথা ছিল জুন মাসে। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার কাজ শুরু করে যথাসময়ে কাজ শেষ না করে দীর্ঘদিন অদৃশ্য হয়ে যান। হঠাৎ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) পুরনো ইট ও মাটির ওপর পিচ দিয়ে কাজ শুরু করে দেন ঠিকাদার। কাজ শুরু করলেও জানেন না উপজেলা এলজিইডি।
উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জিওবি মেইনটেন্যান্সের আওতায় ৮৫০ মিটার সড়কটি সংস্কারের জন্য ৫১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৩৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত জুন মাসেই সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে ঠিকাদারের খামখেয়ালিতে যথাসময়ে কাজটি সম্পন্ন করা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম, মো. ছিদ্দিক, মো. ফিরোজ, মো. মাকসুদ ও মো. শাহাবুদ্দিন মাস্টারসহ কয়েকজন বলেন, এই কাজের শুরু থেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের গড়িমসি করেছেন। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দা, যানবাহন চালক ও পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে ছিলেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার জানানোর পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। তবে বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে কোনো কথা ছাড়াই ঠিকাদার সড়কের ওপর ইট ও খোয়া না ফেলে মাটির মধ্যেই পিচ ঢেলে সংস্কার কাজ শুরু করে দেন। এমন করে কাজ করলে এক সপ্তাহও টিকবে না সড়কটি। আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে এলজিইডির লালমোহন উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রাসেল বলেন, ঠিকাদারের সঙ্গে কাজটি শেষ করার জন্য আমরা কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু ঠিকাদার আমাদের অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ না করে আজকে কিভাবে কাজ শুরু করেছেন তা আমাদের জানা নেই। আমরা শিগগিরই সরাসরি ওই সড়কে গিয়ে কাজটি দেখবো।
ঠিকাদার মাকসুদুর রহমান জানান, আমি নিজেও একজন সাংবাদিক। আমার কোনো বক্তব্য নাই। আমার বক্তব্য হচ্ছে অফিসের সঙ্গে কথা বলেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
ভোলার তজুমদ্দিনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের নামে বিলাসিতা প্রকল্প গ্রহণের ফলে বেড়িবাঁধ এলাকায় উচ্ছেদ হওয়া পাঁচশতাধিক পরিবার উদ্বাস্তু শিবিরে যুক্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেড়িবাঁধের ফলে উচ্ছেদ হওয়ার পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক কাজ বাস্তবায়ণের চেষ্টা করলে ১২ ডিসেম্বর এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দেয় এবং ১৯ ডিসেম্বর মানববন্ধন করে।
সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে যে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে তা টেকসই বেড়িবাঁধ। কিন্তু সেটিকে পাশ কাটিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড স্বৈরাচার সরকারের পরিকল্পনা মোতাবেক একটি বিলাসিতা প্রকল্প গ্রহণ করে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। ৭৪ কোটি ১৭ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৫৭.৩১ টাকা ব্যায়ে উপকূলীয় বাঁধ পুনর্বাসন, নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানউন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স গোলাম রব্বানী কনস্ট্রাকশন। কাজটি ২০২৬ সালের জুন মাসে শেষ করার কথা থকেলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পে কাজ হয়েছে মাত্র ২০ থেকে ৩০ ভাগ। চুক্তি অনুযায়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যথা সময়ে কাজ না করে ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে এসে তড়িঘড়ি করে বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করেন। মাটি কাটার কাজ শুরু করার ফলে বেড়িবাঁধ এলাকার প্রায় পাঁচশতাধিক পরিবার তাদের বসতঘর হারিয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে যুক্ত হওয়ার আশংকা থেকে ১২ ডিসেম্বর কাজ বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসী। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিলাসিতার বেড়িবাঁধ নির্মাণের ফলে বসতঘরের পাশাপাশি ফসলি জমি ও সুপারি বাগানসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ পালা কেটে নষ্ট করলেও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে ক্ষতি পূরণ না দিয়ে ক্ষমতার জোরে বেড়িবাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালায়। ক্ষতিগ্রস্তরা বেড়িবাঁধটি বর্তমান অবন্থান থেকে ৫ /১০ মিটার পূর্বদিকে অথবা তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবিতে ১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে হাজিকান্দি, দালালকান্দি, মাওলানাকান্দি ও ভূইয়াকান্দির কয়েকশ বেড়িবাঁধের ওপর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত মো. শাহিন, সাত্তার, সোহেল, ফরিদ, মো. হাসান, নবী মাঝি, জাহাঙ্গীর পিটারসহ অনেকে জানান, ২০১৮ সালে যে বেড়িবাঁধ করা হয়েছে সেটিই আমাদের জন্য টেকসই বেড়িবাঁধ। পরে ২০২৩ সালে পতিত সরকারের যোগসাজশে পানি উন্নয়ন বোর্ড বেড়িবাঁধের নামে বর্তমানে যেটি করছে সেটি বিলাসিতার প্রকল্প। এই বিলাসিতার প্রকল্পের দ্বারা আমাদের প্রায় পাঁচশতাধিক পরিবারকে উচ্ছেদ করে উদ্বাস্তু শিবিরে যুক্ত করতে চাচ্ছেন। বেড়িবাঁধটি বর্তমান অবস্থান থেকে ৫ থেকে ১০মিটার পূর্বদিকে সরিয়ে দিলে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে যুক্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাবো।
বেড়িবাঁধের কাজ তদারকিতে থাকা পাউবোর উপ-সহকারি প্রকৌশলী তারভীর হোসেন রাসেল সাংবাদিকদের বলেন, এই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দ না থাকায় ক্ষতিগ্রস্থদের কোন টাকা-পয়সা দেয়ার সুযোগ নেই। যে কারণে হাজিকান্দি, দালালকান্দি ও মাওলানাকান্দি বেড়িবাঁধের কাজ বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসী। কাজ বন্ধের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভোলার তজুমদ্দিনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের নামে বিলাসিতা প্রকল্প গ্রহণের ফলে বেড়িবাঁধ এলাকায় উচ্ছেদ হওয়া পাঁচশতাধিক পরিবার উদ্বাস্তু শিবিরে যুক্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেড়িবাঁধের ফলে উচ্ছেদ হওয়ার পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক কাজ বাস্তবায়ণের চেষ্টা করলে ১২ ডিসেম্বর এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দেয় এবং ১৯ ডিসেম্বর মানববন্ধন করে।
সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে যে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে তা টেকসই বেড়িবাঁধ। কিন্তু সেটিকে পাশ কাটিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড স্বৈরাচার সরকারের পরিকল্পনা মোতাবেক একটি বিলাসিতা প্রকল্প গ্রহণ করে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। ৭৪ কোটি ১৭ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৫৭.৩১ টাকা ব্যায়ে উপকূলীয় বাঁধ পুনর্বাসন, নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানউন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স গোলাম রব্বানী কনস্ট্রাকশন। কাজটি ২০২৬ সালের জুন মাসে শেষ করার কথা থকেলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পে কাজ হয়েছে মাত্র ২০ থেকে ৩০ ভাগ। চুক্তি অনুযায়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যথা সময়ে কাজ না করে ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে এসে তড়িঘড়ি করে বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করেন। মাটি কাটার কাজ শুরু করার ফলে বেড়িবাঁধ এলাকার প্রায় পাঁচশতাধিক পরিবার তাদের বসতঘর হারিয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে যুক্ত হওয়ার আশংকা থেকে ১২ ডিসেম্বর কাজ বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসী। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিলাসিতার বেড়িবাঁধ নির্মাণের ফলে বসতঘরের পাশাপাশি ফসলি জমি ও সুপারি বাগানসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ পালা কেটে নষ্ট করলেও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে ক্ষতি পূরণ না দিয়ে ক্ষমতার জোরে বেড়িবাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালায়। ক্ষতিগ্রস্তরা বেড়িবাঁধটি বর্তমান অবন্থান থেকে ৫ /১০ মিটার পূর্বদিকে অথবা তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবিতে ১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে হাজিকান্দি, দালালকান্দি, মাওলানাকান্দি ও ভূইয়াকান্দির কয়েকশ বেড়িবাঁধের ওপর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত মো. শাহিন, সাত্তার, সোহেল, ফরিদ, মো. হাসান, নবী মাঝি, জাহাঙ্গীর পিটারসহ অনেকে জানান, ২০১৮ সালে যে বেড়িবাঁধ করা হয়েছে সেটিই আমাদের জন্য টেকসই বেড়িবাঁধ। পরে ২০২৩ সালে পতিত সরকারের যোগসাজশে পানি উন্নয়ন বোর্ড বেড়িবাঁধের নামে বর্তমানে যেটি করছে সেটি বিলাসিতার প্রকল্প। এই বিলাসিতার প্রকল্পের দ্বারা আমাদের প্রায় পাঁচশতাধিক পরিবারকে উচ্ছেদ করে উদ্বাস্তু শিবিরে যুক্ত করতে চাচ্ছেন। বেড়িবাঁধটি বর্তমান অবস্থান থেকে ৫ থেকে ১০মিটার পূর্বদিকে সরিয়ে দিলে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে যুক্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাবো।
বেড়িবাঁধের কাজ তদারকিতে থাকা পাউবোর উপ-সহকারি প্রকৌশলী তারভীর হোসেন রাসেল সাংবাদিকদের বলেন, এই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দ না থাকায় ক্ষতিগ্রস্থদের কোন টাকা-পয়সা দেয়ার সুযোগ নেই। যে কারণে হাজিকান্দি, দালালকান্দি ও মাওলানাকান্দি বেড়িবাঁধের কাজ বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসী। কাজ বন্ধের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভোলার বোরহানউদ্দিনের তেঁতুলিয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে মো. হারুন (৫৫) নামের এক ড্রেজার মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার জয়া এলাকার তেঁতুলিয়া নদীতে বালু তোলার সময় তাকে এ জরিমানা করা হয়।
হারুন ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা গ্রামের সুলতান আহমেদের ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রনজিৎ চন্দ্র দাস।
তিনি জানান, তেঁতুলিয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়। এ সময় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে হারুনকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে বোরহানউদ্দিন থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে তেঁতুলিয়া নদী থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ভোলার লালমোহন উপজেলায় সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ডা. আজাহার উদ্দিন রোড থেকে ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা বাজার পর্যন্ত ওই সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু হয় প্রায় দেড় বছর আগে। যা শেষ করার কথা ছিল জুন মাসে। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার কাজ শুরু করে যথাসময়ে কাজ শেষ না করে দীর্ঘদিন অদৃশ্য হয়ে যান। হঠাৎ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) পুরনো ইট ও মাটির ওপর পিচ দিয়ে কাজ শুরু করে দেন ঠিকাদার। কাজ শুরু করলেও জানেন না উপজেলা এলজিইডি।
উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জিওবি মেইনটেন্যান্সের আওতায় ৮৫০ মিটার সড়কটি সংস্কারের জন্য ৫১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৩৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত জুন মাসেই সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে ঠিকাদারের খামখেয়ালিতে যথাসময়ে কাজটি সম্পন্ন করা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম, মো. ছিদ্দিক, মো. ফিরোজ, মো. মাকসুদ ও মো. শাহাবুদ্দিন মাস্টারসহ কয়েকজন বলেন, এই কাজের শুরু থেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের গড়িমসি করেছেন। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দা, যানবাহন চালক ও পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে ছিলেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার জানানোর পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। তবে বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে কোনো কথা ছাড়াই ঠিকাদার সড়কের ওপর ইট ও খোয়া না ফেলে মাটির মধ্যেই পিচ ঢেলে সংস্কার কাজ শুরু করে দেন। এমন করে কাজ করলে এক সপ্তাহও টিকবে না সড়কটি। আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে এলজিইডির লালমোহন উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রাসেল বলেন, ঠিকাদারের সঙ্গে কাজটি শেষ করার জন্য আমরা কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু ঠিকাদার আমাদের অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ না করে আজকে কিভাবে কাজ শুরু করেছেন তা আমাদের জানা নেই। আমরা শিগগিরই সরাসরি ওই সড়কে গিয়ে কাজটি দেখবো।
ঠিকাদার মাকসুদুর রহমান জানান, আমি নিজেও একজন সাংবাদিক। আমার কোনো বক্তব্য নাই। আমার বক্তব্য হচ্ছে অফিসের সঙ্গে কথা বলেন।