
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:১২
বহু প্রাচীনকাল থেকেই গল্পকার, কবি, জ্যোতির্বিদ ও মহাকাশচারীদের অভিভূত করে আসছে চাঁদ। আর ভবিষ্যতে খনিজ শিল্পেরও প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে পৃথিবীর এই একমাত্র উপগ্রহ।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, শত কোটি বছর ধরে অ্যাস্টেরয়েডের (গ্রহাণু) আঘাতে চাঁদের পৃষ্ঠে অনেক মূল্যবান ধাতু সঞ্চিত হয়েছে। এর সম্ভাব্য মূল্য ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি মার্কিন ডলার হতে পারে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা!
এই হিসাব একটি গবেষণার ভিত্তিতে করা হয়েছে। চাঁদের পৃষ্ঠ পরীক্ষা করে হিসাব করা হয়েছে কতগুলো গর্ত প্লাটিনাম গ্রুপ মেটালসের (পিজিএম) আধার। এগুলো মূলত দীর্ঘ সময় ধরে গ্রহাণুর আঘাতে তৈরি হয়েছে। এই মূল্যবান ধাতুগুলোর মধ্যে রয়েছে—রুথেনিয়াম, রোডিয়াম, প্যালাডিয়াম, অসমিয়াম, ইরিডিয়াম ও প্লাটিনাম।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, নিউট্রন নক্ষত্রের ভয়াবহ সংঘর্ষের সময় এই উপাদানগুলো তৈরি হয়েছে। বর্তমানে এসব ধাতু ক্যাটালাইটিক কনভারটার (ক্ষতিকর গ্যাস শোষণের জন্য গাড়িতে ব্যবহার করা হয়), ইলেকট্রনিকস এবং সবুজ অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য।
এই গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক জয়ন্ত ব্যসনাকেরে বলেন, ‘মহাজাগতিক সময়ে নক্ষত্রের জন্ম ও মৃত্যুর বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে এই উপাদানগুলো অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মিশে গ্রহ গঠনকারী ডিস্ক এবং পরে গ্রহ ও গ্রহাণুর মধ্যে জমা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধাতব গ্রহাণুগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে লোহা থাকে এবং পিজিএমগুলো এর সঙ্গে আবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। যখন এই গ্রহাণুগুলো চাঁদের মতো কোনো বস্তুকে আঘাত করে, তখন গতিবেগের প্রভাবের ওপর নির্ভর করে এর কিছু অংশ অক্ষত থাকতে পারে।’
পৃথিবীর মতো চাঁদের কোনো বায়ুমণ্ডল নেই। এ কারণে চাঁদের দিকে আগত মহাজাগতিক শিলা পুড়ে যায় না। এ ছাড়া চাঁদের কোনো টেকটোনিক প্লেটও নেই, যা আছড়ে পড়া গ্রহাণুর ধ্বংসাবশেষকে মাটির গভীরে ঠেলে দিতে পারে। তাই আঘাতকারী বস্তুর বেশির ভাগ অংশই উপরিভাগে থেকে যাওয়ার কথা।
ব্যসনাকেরে এবং তাঁর সহগবেষকেরা অনুমান করেন, চাঁদে ৩ কোটি কেজি পর্যন্ত পিজিএম থাকতে পারে। তবে প্রকৃত পরিমাণ গ্রহাণুর আকার, গতি এবং আঘাতের কোণের ওপর নির্ভর করবে। যদি এই নতুন গবেষণা সামান্যও সঠিক হয়, তাহলে চাঁদ হবে পৃথিবীর বাইরে পিজিএমের সবচেয়ে সমৃদ্ধ পরিচিত ভান্ডার। উল্লেখ্য, পৃথিবীতে বার্ষিক পিজিএম উৎপাদন প্রায় ৬০০ টন।
চাঁদে এই ধাতুগুলো কতটা ঘনীভূত অবস্থায় রয়েছে তা এখনো অনিশ্চিত। তবে ব্যসনাকেরে উল্লেখ করেছেন, পিজিএমগুলো মূল গ্রহাণুর প্রতি মিলিয়ন ভাগের ১০ থেকে ১০০ ভাগ ঘনত্বে থাকতে পারে, এই ঘনত্ব পৃথিবীর অনেক খনির মতোই বা তার চেয়েও ভালো।
তবে, চাঁদে খননের জন্য প্রচুর প্রযুক্তিগত বাধা রয়েছে। চাঁদের অভিকর্ষজ বল পৃথিবীর এক-ষষ্ঠাংশ হওয়ায় সেখানে ওজন, চাপ বা প্রবাহী গতিবিদ্যার ওপর নির্ভরশীল প্রচলিত নিষ্কাশন কৌশলগুলো প্রয়োগ করা কঠিন হবে।
এ ছাড়া সেখানে কোনো তরল পানি নেই, এটি একটি বিশেষ চ্যালেঞ্জ। কারণ পৃথিবীর বেশির ভাগ পিজিএম পরিশোধনের পদ্ধতি পানিনির্ভর। প্রকৌশলীদের শুষ্ক পরিবেশে আকরিক নিষ্কাশন ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য নতুন করে ভাবতে হবে।
এর পরও চাঁদে কিছু সুবিধা রয়েছে, যা গ্রহাণুগুলোতে নেই। চাঁদ পৃথিবীর যথেষ্ট কাছাকাছি হওয়ায় প্রায় রিয়েল-টাইম রিমোট অপারেশনের (পৃথিবী থেকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ) মাধ্যমে যন্ত্রপাতি পরিচালনা করা সম্ভব।
পৃথিবীর সঙ্গে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের যোগাযোগ বিলম্ব থাকায় রোবটগুলোকে সহজেই নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে, গ্রহাণু খননের জন্য সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ব্যবহার প্রয়োজন হবে।
আরেকটি বড় প্রশ্ন হলো, সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার ফলস্বরূপ বিনিয়োগকারীদের কি প্লাটিনামের দাম কমে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে? ব্যসনাকেরে বলেন, ‘যদি একসঙ্গে ১০০ টন পিজিএম চাঁদ থেকে পৃথিবীতে আনা হয়, তাহলে দাম কমে যেতে পারে।
কিন্তু এটি খুবই অসম্ভব। সবচেয়ে সম্ভাব্য পরিস্থিতি হলো—অন্তত চাঁদ খননের প্রাথমিক দিনগুলোতে—কেউ কেউ বছরে কয়েক টন ফিরিয়ে আনতে পারবে। এটি দামের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।’
হার্ভার্ড ও স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকস এবং ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের গবেষকদের লেখা এই গবেষণাপত্র ‘প্ল্যানেটারি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
বহু প্রাচীনকাল থেকেই গল্পকার, কবি, জ্যোতির্বিদ ও মহাকাশচারীদের অভিভূত করে আসছে চাঁদ। আর ভবিষ্যতে খনিজ শিল্পেরও প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে পৃথিবীর এই একমাত্র উপগ্রহ।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, শত কোটি বছর ধরে অ্যাস্টেরয়েডের (গ্রহাণু) আঘাতে চাঁদের পৃষ্ঠে অনেক মূল্যবান ধাতু সঞ্চিত হয়েছে। এর সম্ভাব্য মূল্য ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি মার্কিন ডলার হতে পারে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা!
এই হিসাব একটি গবেষণার ভিত্তিতে করা হয়েছে। চাঁদের পৃষ্ঠ পরীক্ষা করে হিসাব করা হয়েছে কতগুলো গর্ত প্লাটিনাম গ্রুপ মেটালসের (পিজিএম) আধার। এগুলো মূলত দীর্ঘ সময় ধরে গ্রহাণুর আঘাতে তৈরি হয়েছে। এই মূল্যবান ধাতুগুলোর মধ্যে রয়েছে—রুথেনিয়াম, রোডিয়াম, প্যালাডিয়াম, অসমিয়াম, ইরিডিয়াম ও প্লাটিনাম।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, নিউট্রন নক্ষত্রের ভয়াবহ সংঘর্ষের সময় এই উপাদানগুলো তৈরি হয়েছে। বর্তমানে এসব ধাতু ক্যাটালাইটিক কনভারটার (ক্ষতিকর গ্যাস শোষণের জন্য গাড়িতে ব্যবহার করা হয়), ইলেকট্রনিকস এবং সবুজ অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য।
এই গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক জয়ন্ত ব্যসনাকেরে বলেন, ‘মহাজাগতিক সময়ে নক্ষত্রের জন্ম ও মৃত্যুর বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে এই উপাদানগুলো অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মিশে গ্রহ গঠনকারী ডিস্ক এবং পরে গ্রহ ও গ্রহাণুর মধ্যে জমা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধাতব গ্রহাণুগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে লোহা থাকে এবং পিজিএমগুলো এর সঙ্গে আবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। যখন এই গ্রহাণুগুলো চাঁদের মতো কোনো বস্তুকে আঘাত করে, তখন গতিবেগের প্রভাবের ওপর নির্ভর করে এর কিছু অংশ অক্ষত থাকতে পারে।’
পৃথিবীর মতো চাঁদের কোনো বায়ুমণ্ডল নেই। এ কারণে চাঁদের দিকে আগত মহাজাগতিক শিলা পুড়ে যায় না। এ ছাড়া চাঁদের কোনো টেকটোনিক প্লেটও নেই, যা আছড়ে পড়া গ্রহাণুর ধ্বংসাবশেষকে মাটির গভীরে ঠেলে দিতে পারে। তাই আঘাতকারী বস্তুর বেশির ভাগ অংশই উপরিভাগে থেকে যাওয়ার কথা।
ব্যসনাকেরে এবং তাঁর সহগবেষকেরা অনুমান করেন, চাঁদে ৩ কোটি কেজি পর্যন্ত পিজিএম থাকতে পারে। তবে প্রকৃত পরিমাণ গ্রহাণুর আকার, গতি এবং আঘাতের কোণের ওপর নির্ভর করবে। যদি এই নতুন গবেষণা সামান্যও সঠিক হয়, তাহলে চাঁদ হবে পৃথিবীর বাইরে পিজিএমের সবচেয়ে সমৃদ্ধ পরিচিত ভান্ডার। উল্লেখ্য, পৃথিবীতে বার্ষিক পিজিএম উৎপাদন প্রায় ৬০০ টন।
চাঁদে এই ধাতুগুলো কতটা ঘনীভূত অবস্থায় রয়েছে তা এখনো অনিশ্চিত। তবে ব্যসনাকেরে উল্লেখ করেছেন, পিজিএমগুলো মূল গ্রহাণুর প্রতি মিলিয়ন ভাগের ১০ থেকে ১০০ ভাগ ঘনত্বে থাকতে পারে, এই ঘনত্ব পৃথিবীর অনেক খনির মতোই বা তার চেয়েও ভালো।
তবে, চাঁদে খননের জন্য প্রচুর প্রযুক্তিগত বাধা রয়েছে। চাঁদের অভিকর্ষজ বল পৃথিবীর এক-ষষ্ঠাংশ হওয়ায় সেখানে ওজন, চাপ বা প্রবাহী গতিবিদ্যার ওপর নির্ভরশীল প্রচলিত নিষ্কাশন কৌশলগুলো প্রয়োগ করা কঠিন হবে।
এ ছাড়া সেখানে কোনো তরল পানি নেই, এটি একটি বিশেষ চ্যালেঞ্জ। কারণ পৃথিবীর বেশির ভাগ পিজিএম পরিশোধনের পদ্ধতি পানিনির্ভর। প্রকৌশলীদের শুষ্ক পরিবেশে আকরিক নিষ্কাশন ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য নতুন করে ভাবতে হবে।
এর পরও চাঁদে কিছু সুবিধা রয়েছে, যা গ্রহাণুগুলোতে নেই। চাঁদ পৃথিবীর যথেষ্ট কাছাকাছি হওয়ায় প্রায় রিয়েল-টাইম রিমোট অপারেশনের (পৃথিবী থেকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ) মাধ্যমে যন্ত্রপাতি পরিচালনা করা সম্ভব।
পৃথিবীর সঙ্গে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের যোগাযোগ বিলম্ব থাকায় রোবটগুলোকে সহজেই নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে, গ্রহাণু খননের জন্য সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ব্যবহার প্রয়োজন হবে।
আরেকটি বড় প্রশ্ন হলো, সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার ফলস্বরূপ বিনিয়োগকারীদের কি প্লাটিনামের দাম কমে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে? ব্যসনাকেরে বলেন, ‘যদি একসঙ্গে ১০০ টন পিজিএম চাঁদ থেকে পৃথিবীতে আনা হয়, তাহলে দাম কমে যেতে পারে।
কিন্তু এটি খুবই অসম্ভব। সবচেয়ে সম্ভাব্য পরিস্থিতি হলো—অন্তত চাঁদ খননের প্রাথমিক দিনগুলোতে—কেউ কেউ বছরে কয়েক টন ফিরিয়ে আনতে পারবে। এটি দামের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।’
হার্ভার্ড ও স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকস এবং ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের গবেষকদের লেখা এই গবেষণাপত্র ‘প্ল্যানেটারি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২৭
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৫
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:০৫
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:০১
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক সম্পত্তির হিসাব দাখিল করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া দুর্নীতি দমন কমিশন সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫-এ কথা বলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বৈঠকের এ তথ্য জানান প্রেস সচিব।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক সম্পত্তির হিসাব দাখিল করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া দুর্নীতি দমন কমিশন সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫-এ কথা বলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বৈঠকের এ তথ্য জানান প্রেস সচিব।

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৪৭
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১টায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
জাহিদ হোসেন জানান, মেডিকেল বোর্ডে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নে সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
এ সময় দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীর মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
এর আগে গতকাল রোববার (২৩ নভেম্বর) রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয় খালেদা জিয়াকে। এরপর মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে।
এদিকে খালেদা জিয়া তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান জাহিদ।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১টায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
জাহিদ হোসেন জানান, মেডিকেল বোর্ডে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নে সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
এ সময় দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীর মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
এর আগে গতকাল রোববার (২৩ নভেম্বর) রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয় খালেদা জিয়াকে। এরপর মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে।
এদিকে খালেদা জিয়া তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান জাহিদ।

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:৪৬
ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানীর পূর্বাচলে নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগের একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাত বছর ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে জয়ের এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করছেন।
একই আদালত গত ২৩ নভেম্বর প্লট বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে করা তিনটি মামলার রায়ের জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
এর মধ্যে তিন মামলায় সাত বছর করে শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ৫ বছরের সাজা পাওয়া জয় দ্বিতীয় মামলার আসামি ছিলেন। এ মামলায় শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ আসামি ১৭ জন। তৃতীয় মামলায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ৫ বছরের সাজা হয়েছে। এ মামলায় শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ আসামি ১৮ জন।
পৃথক তিনটি মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৪৭ জন। তবে এক ব্যক্তি একাধিক মামলার আসামি হওয়ায় ব্যক্তি হিসেবে মোট আসামির সংখ্যা ২৩ জন। এরমধ্যে প্রথম মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামি ১২ জন; দ্বিতীয় মামলায় শেখ হাসিনা ও জয়সহ আসামি ১৭ জন এবং তৃতীয় মামলায় শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ আসামি ১৮ জন।
তিন মামলায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ছাড়াও অন্য ২০ আসামি হলেন—সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শফি উল হক, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, রাজউকের সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) নায়েব আলী শরীফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) মো. কামরুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, উপপরিচালক হাবিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন।
গত ৩১ জুলাই আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত তিনটি মামলাতেই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাগুলোর বিচারকাজ চলাকালে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত ১৭ নভেম্বর পৃথক তিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পৃথক ৬টি মামলা করে। এসব মামলায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ অন্যদের আসামি করা হয়। সেই ৬ মামলার মধ্যে আজ তিনটির রায় দিলো আদালত।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানীর পূর্বাচলে নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগের একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাত বছর ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে জয়ের এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করছেন।
একই আদালত গত ২৩ নভেম্বর প্লট বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে করা তিনটি মামলার রায়ের জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
এর মধ্যে তিন মামলায় সাত বছর করে শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ৫ বছরের সাজা পাওয়া জয় দ্বিতীয় মামলার আসামি ছিলেন। এ মামলায় শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ আসামি ১৭ জন। তৃতীয় মামলায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ৫ বছরের সাজা হয়েছে। এ মামলায় শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ আসামি ১৮ জন।
পৃথক তিনটি মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৪৭ জন। তবে এক ব্যক্তি একাধিক মামলার আসামি হওয়ায় ব্যক্তি হিসেবে মোট আসামির সংখ্যা ২৩ জন। এরমধ্যে প্রথম মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামি ১২ জন; দ্বিতীয় মামলায় শেখ হাসিনা ও জয়সহ আসামি ১৭ জন এবং তৃতীয় মামলায় শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ আসামি ১৮ জন।
তিন মামলায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ছাড়াও অন্য ২০ আসামি হলেন—সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শফি উল হক, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, রাজউকের সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) নায়েব আলী শরীফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) মো. কামরুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, উপপরিচালক হাবিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন।
গত ৩১ জুলাই আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত তিনটি মামলাতেই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাগুলোর বিচারকাজ চলাকালে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত ১৭ নভেম্বর পৃথক তিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পৃথক ৬টি মামলা করে। এসব মামলায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ অন্যদের আসামি করা হয়। সেই ৬ মামলার মধ্যে আজ তিনটির রায় দিলো আদালত।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.