
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৩০
জনবল সংকটে ভুগছে বঙ্গোপসাগরের কূলঘেঁষা বরগুনার তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দরিদ্র মানুষের চিকিৎসার শেষ আস্থা ও ভরসার স্থল এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মাত্র চারজন চিকিৎসক দিয়েই চলছে। অথচ ৪১টি চিকিৎসকের পদ রয়েছে। সংকট রয়েছে অন্যান্য পদেও। হয় না কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সব মিলিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে হাসপাতালটি। এতে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে নির্মাণ করা হয় ২০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এরপর ২০১৮ সাল থেকে সাতজন চিকিৎসক ও পাঁচজন নার্স নিয়ে চিকিৎসাসেবা চালু হয়। পরে ২০২২ সালে কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। তবে কাগজ-কলমে শয্যা বাড়লেও স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে প্রসূতি, শিশু, সার্জারি, মেডিসিন, অ্যানেসথেসিয়া বিভাগসহ ৪১টি চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র চারজন চিকিৎসক। বাকি ৩৭ জনের পদ শূন্য। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদ রয়েছে ৬৪টি। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত আছেন আটজন। বাকি ৫৬ জনের পদ শূন্য। এ ছাড়া নার্সের পদ রয়েছে ২৯টি। বর্তমানে কর্মরত আছেন ছয়জন। বাকি ২৩ জনের পদ শূন্য।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগে লম্বা লাইন। রোগীরা এসেছেন সর্দি-জ্বর, ডায়রিয়া, গর্ভাবস্থা বা শিশুর অসুস্থতা নিয়ে। অধিকাংশই নিম্ন আয়ের মানুষ। যাদের একমাত্র ভরসা এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
কিন্তু হাসপাতালে আসা রোগীদের রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ছুটতে হচ্ছে বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে, যেতে হচ্ছে বরগুনা জেলা সদর ও পটুয়াখালী সদর হাসপাতালসহ অন্য কোথাও। এতে কম খরচে মানসম্মত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
জরুরি ওষুধের অভাবে রোগীদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। জরুরি বিভাগের পরীক্ষাও বেসরকারি ক্লিনিক থেকে করাতে হচ্ছে। হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় বিকল হয়ে পড়ে আছে।
এতে অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আসা রোগীরা। এ ছাড়া বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর থাকলেও তেলের অভাবে তা চালানো সম্ভব হয় না। ফলে হাসপাতাল অন্ধকারে নেমে আসে। ওয়ার্ডগুলোতে পানির সংকট ও পরিবেশ খুবই নোংরা আর টয়লেটে গেলে দমবন্ধ অবস্থা হয়। এমন নোংরা অবস্থায় রোগীদের জন্য তৈরি হয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তাঁতি পাড়া গ্রাম থেকে আসা এ কে এম নাসির উদ্দীন বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে জ্বরে ভুগছি তাই ডাক্তার দেখাতে এসেছি। দুটো টেস্ট দিয়েছে একটি হাসপাতাল থেকে করিয়েছি, আর একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করাতে হচ্ছে। এতে কয়েক গুণ বেশি খরচ হয়েছে।
বড়বগী ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামের বাসিন্দা মো. ছালাম হাওলাদার বলেন, ‘কিছু দিন আগে আমার ছোট ভাইয়ের হাত ভাঙা নিয়ে হাসপাতালে যাই। কিন্তু হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় বেশি টাকায় গাড়ি ভাড়া করে বরিশালে চিকিৎসার জন্য যাই।
তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা ঠিকভাবে দেওয়া যাচ্ছে না। তবু আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি অপারেশন থিয়েটার ও প্যাথলজি বিভাগ চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু জনবল সংকট থাকায় তা চালু করা সম্ভব হয়নি।
বরগুনা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, জনবল সংকট নিরসনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সংকট নিরসন হবে।
জনবল সংকটে ভুগছে বঙ্গোপসাগরের কূলঘেঁষা বরগুনার তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দরিদ্র মানুষের চিকিৎসার শেষ আস্থা ও ভরসার স্থল এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মাত্র চারজন চিকিৎসক দিয়েই চলছে। অথচ ৪১টি চিকিৎসকের পদ রয়েছে। সংকট রয়েছে অন্যান্য পদেও। হয় না কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সব মিলিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে হাসপাতালটি। এতে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে নির্মাণ করা হয় ২০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এরপর ২০১৮ সাল থেকে সাতজন চিকিৎসক ও পাঁচজন নার্স নিয়ে চিকিৎসাসেবা চালু হয়। পরে ২০২২ সালে কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। তবে কাগজ-কলমে শয্যা বাড়লেও স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে প্রসূতি, শিশু, সার্জারি, মেডিসিন, অ্যানেসথেসিয়া বিভাগসহ ৪১টি চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র চারজন চিকিৎসক। বাকি ৩৭ জনের পদ শূন্য। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদ রয়েছে ৬৪টি। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত আছেন আটজন। বাকি ৫৬ জনের পদ শূন্য। এ ছাড়া নার্সের পদ রয়েছে ২৯টি। বর্তমানে কর্মরত আছেন ছয়জন। বাকি ২৩ জনের পদ শূন্য।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগে লম্বা লাইন। রোগীরা এসেছেন সর্দি-জ্বর, ডায়রিয়া, গর্ভাবস্থা বা শিশুর অসুস্থতা নিয়ে। অধিকাংশই নিম্ন আয়ের মানুষ। যাদের একমাত্র ভরসা এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
কিন্তু হাসপাতালে আসা রোগীদের রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ছুটতে হচ্ছে বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে, যেতে হচ্ছে বরগুনা জেলা সদর ও পটুয়াখালী সদর হাসপাতালসহ অন্য কোথাও। এতে কম খরচে মানসম্মত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
জরুরি ওষুধের অভাবে রোগীদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। জরুরি বিভাগের পরীক্ষাও বেসরকারি ক্লিনিক থেকে করাতে হচ্ছে। হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় বিকল হয়ে পড়ে আছে।
এতে অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আসা রোগীরা। এ ছাড়া বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর থাকলেও তেলের অভাবে তা চালানো সম্ভব হয় না। ফলে হাসপাতাল অন্ধকারে নেমে আসে। ওয়ার্ডগুলোতে পানির সংকট ও পরিবেশ খুবই নোংরা আর টয়লেটে গেলে দমবন্ধ অবস্থা হয়। এমন নোংরা অবস্থায় রোগীদের জন্য তৈরি হয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তাঁতি পাড়া গ্রাম থেকে আসা এ কে এম নাসির উদ্দীন বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে জ্বরে ভুগছি তাই ডাক্তার দেখাতে এসেছি। দুটো টেস্ট দিয়েছে একটি হাসপাতাল থেকে করিয়েছি, আর একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করাতে হচ্ছে। এতে কয়েক গুণ বেশি খরচ হয়েছে।
বড়বগী ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামের বাসিন্দা মো. ছালাম হাওলাদার বলেন, ‘কিছু দিন আগে আমার ছোট ভাইয়ের হাত ভাঙা নিয়ে হাসপাতালে যাই। কিন্তু হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় বেশি টাকায় গাড়ি ভাড়া করে বরিশালে চিকিৎসার জন্য যাই।
তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা ঠিকভাবে দেওয়া যাচ্ছে না। তবু আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি অপারেশন থিয়েটার ও প্যাথলজি বিভাগ চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু জনবল সংকট থাকায় তা চালু করা সম্ভব হয়নি।
বরগুনা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, জনবল সংকট নিরসনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সংকট নিরসন হবে।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৫

০১ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:২৫
বরগুনার তালতলী উপজেলায় দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের আট দিন পর আসামি মো. মোকলেছ মোল্লাকে (৫৯) আত্মগোপনে থাকাকালীন সময় গ্রেপ্তার করেছে পটুয়াখালী র্যাব-৮। গ্রেপ্তারের পর আসামি মোকলেছ মোল্লাকে তালতলী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোনা কাটা ইউনিয়নের সকিনা এলাকার মৃত আলমগীর মোল্লার ছেলে মোকলেস মোল্লা (৫৯) এর বিরুদ্ধে গত ২২ অক্টোবর-২০২৫ পৃথক পৃথকভাবে তালতলী থানায় দুই ভুক্তভোগীর বাবা ও মা বাদী হয়ে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দুটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত ৪ ও ৬ অক্টোবর উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের সকিনা এলাকায় নয় ও দশ বছরের দুই শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
প্রথম মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে ৪ অক্টোবর দুপুরে প্রতিবেশী মোকলেছ মোল্লা দশ বছরের শিশুটিকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে ঘরের বারান্দায় ভয়-ভীতি দেখিয়ে শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
একই এলাকার অন্য মামলায় নয় বছর বয়সী শিশুটির মা অভিযোগ করেন, ৬ অক্টোবর বিকেলে তিনি স্বামীর সঙ্গে স্থানীয় বাজারে ঔষধ কিনতে যান। ওই সময় বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় মোকলেছ মোল্লা শিশুটির ঘরে প্রবেশ করে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
পরে ভুক্তভোগী ওই দুই শিশুর পরিবারের সদস্যরা ধর্ষণের বিষয় জানতে পেরে প্রতিবেশী মোকলেছ মোল্লাকে অভিযুক্ত করে তালতলী থানায় পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই আসামি মোকলেস মোল্লা গা-ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে র্যাব-৮ এর সহায়তায় গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেতাগী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, আসামি মোখলেস মোল্লার বিরুদ্ধে দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় পটুয়াখালী র্যাব-৮ এর সদস্যরা তাকে বেতাগী উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে তালতলী থানায় সোপর্দ করে। আসামি মোখলেস মোল্লাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়ছে। একই সাথে মামলার তদন্তের স্বার্থে ও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে আদালতের নিকট রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
বরগুনার তালতলী উপজেলায় দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের আট দিন পর আসামি মো. মোকলেছ মোল্লাকে (৫৯) আত্মগোপনে থাকাকালীন সময় গ্রেপ্তার করেছে পটুয়াখালী র্যাব-৮। গ্রেপ্তারের পর আসামি মোকলেছ মোল্লাকে তালতলী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোনা কাটা ইউনিয়নের সকিনা এলাকার মৃত আলমগীর মোল্লার ছেলে মোকলেস মোল্লা (৫৯) এর বিরুদ্ধে গত ২২ অক্টোবর-২০২৫ পৃথক পৃথকভাবে তালতলী থানায় দুই ভুক্তভোগীর বাবা ও মা বাদী হয়ে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দুটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত ৪ ও ৬ অক্টোবর উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের সকিনা এলাকায় নয় ও দশ বছরের দুই শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
প্রথম মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে ৪ অক্টোবর দুপুরে প্রতিবেশী মোকলেছ মোল্লা দশ বছরের শিশুটিকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে ঘরের বারান্দায় ভয়-ভীতি দেখিয়ে শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
একই এলাকার অন্য মামলায় নয় বছর বয়সী শিশুটির মা অভিযোগ করেন, ৬ অক্টোবর বিকেলে তিনি স্বামীর সঙ্গে স্থানীয় বাজারে ঔষধ কিনতে যান। ওই সময় বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় মোকলেছ মোল্লা শিশুটির ঘরে প্রবেশ করে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
পরে ভুক্তভোগী ওই দুই শিশুর পরিবারের সদস্যরা ধর্ষণের বিষয় জানতে পেরে প্রতিবেশী মোকলেছ মোল্লাকে অভিযুক্ত করে তালতলী থানায় পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই আসামি মোকলেস মোল্লা গা-ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে র্যাব-৮ এর সহায়তায় গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেতাগী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, আসামি মোখলেস মোল্লার বিরুদ্ধে দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় পটুয়াখালী র্যাব-৮ এর সদস্যরা তাকে বেতাগী উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে তালতলী থানায় সোপর্দ করে। আসামি মোখলেস মোল্লাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়ছে। একই সাথে মামলার তদন্তের স্বার্থে ও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে আদালতের নিকট রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

১৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:১০
ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায্য রূপান্তর এখনই' এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জলবায়ু ঋণ বাতিল করার দাবিতে বরগুনার তালতলীতে পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), পিপীলিকা'র পাঠশালা, বিডি ক্লিন-তালতলী ও নিদ্রা পর্যটন উদ্যোক্তা কমিটির আয়োজনে এ পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ পদযাত্রা উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু হয়ে সোনাকাটা ইউনিয়নের নিদ্রার চর সৈকতে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শতাধিক শিক্ষার্থী পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের শরীরে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি সম্বলিত টি শার্ট ও বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ-সম্পাদক আবু জাফর সালেহ পদযাত্রা কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, বরগুনা জেলা টেলিভিশন ফোরামের সাবেক সাধারণ-সম্পাদক বেলাল হোসেন মিলন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ'র (তালতলী-আমতলী) সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, পরিবেশ ও উন্নয়নকর্মী এম মিলন, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী মো. মোস্তাফিজ, তালতলী চারুকলা একাডেমীর পরিচালক রফিকুল ইসলাম অন্তর প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, 'আমাদের সকল প্রকার জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে নবায়ন শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।উপকূলীয় অঞ্চলে সূর্যের তাপ বেশি উষ্ণ বিধায় এখানে সোলার প্রযুক্তি স্থাপন, সমুদ্র তীরের বাতাসকে ব্যবহার করে বায়োবিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রামীণ এলাকায় বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করতে হবে। সকল প্রকার জলবায়ু ঋণ বাতিল করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।'
ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায্য রূপান্তর এখনই' এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জলবায়ু ঋণ বাতিল করার দাবিতে বরগুনার তালতলীতে পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), পিপীলিকা'র পাঠশালা, বিডি ক্লিন-তালতলী ও নিদ্রা পর্যটন উদ্যোক্তা কমিটির আয়োজনে এ পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ পদযাত্রা উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু হয়ে সোনাকাটা ইউনিয়নের নিদ্রার চর সৈকতে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শতাধিক শিক্ষার্থী পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের শরীরে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি সম্বলিত টি শার্ট ও বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ-সম্পাদক আবু জাফর সালেহ পদযাত্রা কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, বরগুনা জেলা টেলিভিশন ফোরামের সাবেক সাধারণ-সম্পাদক বেলাল হোসেন মিলন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ'র (তালতলী-আমতলী) সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, পরিবেশ ও উন্নয়নকর্মী এম মিলন, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী মো. মোস্তাফিজ, তালতলী চারুকলা একাডেমীর পরিচালক রফিকুল ইসলাম অন্তর প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, 'আমাদের সকল প্রকার জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে নবায়ন শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।উপকূলীয় অঞ্চলে সূর্যের তাপ বেশি উষ্ণ বিধায় এখানে সোলার প্রযুক্তি স্থাপন, সমুদ্র তীরের বাতাসকে ব্যবহার করে বায়োবিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রামীণ এলাকায় বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করতে হবে। সকল প্রকার জলবায়ু ঋণ বাতিল করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।'

১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৩০
বরগুনায় মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাদীকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শরীয়ত উল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব স্বপন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মিলটন মুন্সি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া এলাকার মো. শাহজাহান মুন্সির ছেলে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, মিলটন মুন্সি বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণ লাকুরতলা এলাকায় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সুলতান আহমেদের সম্পত্তির দেখভাল করতেন। জমি দখল নিয়ে হুমকি ও ভয়ভীতির অভিযোগে তিনি মো. মহিউদ্দিন বাদল (৫৫) ও মো. নাসির উদ্দিন (৫৮) নামে দুইজনের বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আদালত জিডিটি আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করেন।
পরবর্তীতে মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(২) ধারায় বাদী মিলটন মুন্সিকে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব স্বপন বলেন, ‘বাদী মিলটন মুন্সি আদালতে তার অভিযোগের পক্ষে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন। ফলে অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(২) ধারায় আদালত তাকে সাত দিনের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন। অভিযুক্ত দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এটি আইন অঙ্গনে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।’
বরগুনায় মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাদীকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শরীয়ত উল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব স্বপন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মিলটন মুন্সি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া এলাকার মো. শাহজাহান মুন্সির ছেলে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, মিলটন মুন্সি বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণ লাকুরতলা এলাকায় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সুলতান আহমেদের সম্পত্তির দেখভাল করতেন। জমি দখল নিয়ে হুমকি ও ভয়ভীতির অভিযোগে তিনি মো. মহিউদ্দিন বাদল (৫৫) ও মো. নাসির উদ্দিন (৫৮) নামে দুইজনের বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আদালত জিডিটি আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করেন।
পরবর্তীতে মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(২) ধারায় বাদী মিলটন মুন্সিকে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব স্বপন বলেন, ‘বাদী মিলটন মুন্সি আদালতে তার অভিযোগের পক্ষে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন। ফলে অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(২) ধারায় আদালত তাকে সাত দিনের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন। অভিযুক্ত দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এটি আইন অঙ্গনে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.