
१२ ডিসেম্বর, २০२५ २१:३१
আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএর) নিবিড় তত্ত্বাবধানে নিরাপত্তার শর্ত পূরণ করে চূড়ান্ত ধাপে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রথম ইউনিটে জ্বালানি লোডিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ ধাপে চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকল্পের পূর্ণ বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা সফলভাবে নিউক্লিয়ার পাওয়ার কম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল) অপারেশন টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাসান।
প্রকল্প সূত্র জানায়, বর্তমানে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা জাতীয় গ্রিড থেকে রূপপুর সাইটে বিদ্যুৎ গ্রহণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা কমিশনিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। প্রতিদিন জাতীয় গ্রিড থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ এনে সাইটের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিস্টেমের স্থিতিশীল অপারেশন প্রমাণ করছে যে ভবিষ্যতে রূপপুর কেন্দ্র নিজস্ব উৎপাদিত বিদ্যুৎ ও একই নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করবে। অর্থাৎ যে নেটওয়ার্ক এখন গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নিচ্ছে, ভবিষ্যতে সেই নেটওয়ার্ক দিয়েই দেশকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ দেবে কেন্দ্রটি।
এই দ্বৈত সক্ষমতা পুরো প্রকল্পকে আরো শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য করে তুলেছে।
এনসিপিবিএল-এর উপপরিচালক ড.খালেকুজ্জামান জানান, রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের কমিশনিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে Power Evacuation সংশ্লিষ্ট তিনটি ফ্যাসিলিটি - 00UAB: ৪০০ কেভি জিআইএস Building, 00UAB: ২৩০ কেভি জিআইএস Building এবং 00UAG: অটোট্রান্সফরমার ষ্ট্রাকচার টেম্পোরারি অপারেশনের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। টেম্পোরারি অপারেশনে অন্তর্ভুক্ত করার পূর্বে ফ্যাসিলিটিগুলোর সব সিস্টেমের Individual Testing I পরিদর্শন যথাযথ কমিশনিং প্রক্রিয়া অনুযায়ী সম্পন্ন করা হয়।
তিনি আরো জানান, টেম্পোরারি অপারেশন গ্রহণের পূর্বে টেষ্ট প্রোগ্রাম অনুযায়ী যেসব কার্যক্রম কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছেঃ ৪০০ কেভি ও ২৩০ কেভি জিআইএস-এর সকল ইন্ডিভিজুয়াল টেস্টিং, ইন্টারলক, প্রোটেকশন ও কন্ট্রোল সিস্টেম টেস্টিং; দুটি অটোট্রান্সফরমারের ইন্সটলেশন রেজিটেন্স, রেশিও টেস্ট, উইন্ডিং রেজিটেন্স, OLTC ফাংশোনালিটি, Relay প্রটেকশন, ইন্টারলক জিইএস কন্ট্রোল সিস্টেম পরীক্ষা; পাওয়ার সাপ্লাই, ভেন্টিলেশন, Instrumentation & Control, ফায়ার ডিটেনশন জিইএস, ওয়াটার-ফায়ার Extinguishing System-এর কার্যকারিতা পরীক্ষা; অবশিষ্ট কাজ শনাক্তকরণ করে Punch List প্রস্তুতকরণ এবং Elimination Deadline নির্ধারণ।
সমস্ত পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক হওয়ায় ফ্যাসিলিটিগুলো টেম্পোরারি অপারেশনের জন্য গ্রহণযোগ্য ঘোষণা করা হয় বলে জানান তিনি।
অপারেশনাল ব্যবস্থাপনায় ৫টি শিফটে মোট ২০ জন জনবল নিয়োজিত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি শিফটে রিয়েল-টাইম সিস্টেম মনিটরিং, ওয়াকডাউন, সুইচিং অপারেশন, গ্যাস প্রেসার ও ট্রান্সফরমার প্যারামিটার যাচাই, অ্যালার্ম স্ট্যাটাস পর্যবেক্ষণ এবং জাতীয় গ্রিডের NLDC-এর নির্দেশনা অনুযায়ী পাওয়ার সরবরাহ ও গ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ড. খালেকুজ্জামান জানান, টেম্পোরারি অপারেশন চলাকালে সব সিস্টেম ও সরঞ্জাম স্থিতিশীলভাবে চলছে এবং কোনো উল্লেখযোগ্য অপারেশনাল সমস্যা পরিলক্ষিত হয়নি। সকল প্রোটেকশন, কন্ট্রোল ও সুইচিং সিস্টেম প্রত্যাশিত মান বজায় রেখেছে। শিফট লগ, ইভেন্ট রেকর্ড ও দৈনিক রিপোর্ট যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
এনপিসিবিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাসান জানান, এ বছর রূপপুর প্রকল্পে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর Pre-OSART Mission সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিদর্শন সম্পন্ন হয়েছে। এসব মূল্যায়নে কেন্দ্রের নিরাপত্তা, প্রস্তুতি ও অপারেশনাল সক্ষমতা আন্তর্জাতিক মানে উত্তীর্ণ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সব মূল্যায়নে ইতিবাচক সাফল্যের ফলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র জ্বালানি লোডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধাপে অগ্রসর হচ্ছে। জ্বালানি লোডিং সম্পন্ন হওয়ার পর কেন্দ্রটি এনপিসিবিএল অপারেশন টিমের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে রাশিয়ার পারমাণবিক অপারেটিং সংস্থা Concern RosenergoAtom প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে।
তিনি বলেন, রূপপুর প্রকল্পের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার সফল অপারেশন, একের পর এক ইতিবাচক আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরিদর্শন এবং জ্বালানি লোডিংয়ের প্রস্তুতি—সব মিলিয়ে কেন্দ্রটি এখন বাংলাদেশের শক্তি নিরাপত্তার এক নতুন আশার প্রতীক। অপারেটরদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে জাতীয় গ্রিডে রূপপুরের বিদ্যুৎ সরবরাহকে আরও নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও স্থিতিশীল করে তুলবে।
আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএর) নিবিড় তত্ত্বাবধানে নিরাপত্তার শর্ত পূরণ করে চূড়ান্ত ধাপে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রথম ইউনিটে জ্বালানি লোডিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ ধাপে চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকল্পের পূর্ণ বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা সফলভাবে নিউক্লিয়ার পাওয়ার কম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল) অপারেশন টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাসান।
প্রকল্প সূত্র জানায়, বর্তমানে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা জাতীয় গ্রিড থেকে রূপপুর সাইটে বিদ্যুৎ গ্রহণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা কমিশনিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। প্রতিদিন জাতীয় গ্রিড থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ এনে সাইটের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিস্টেমের স্থিতিশীল অপারেশন প্রমাণ করছে যে ভবিষ্যতে রূপপুর কেন্দ্র নিজস্ব উৎপাদিত বিদ্যুৎ ও একই নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করবে। অর্থাৎ যে নেটওয়ার্ক এখন গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নিচ্ছে, ভবিষ্যতে সেই নেটওয়ার্ক দিয়েই দেশকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ দেবে কেন্দ্রটি।
এই দ্বৈত সক্ষমতা পুরো প্রকল্পকে আরো শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য করে তুলেছে।
এনসিপিবিএল-এর উপপরিচালক ড.খালেকুজ্জামান জানান, রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের কমিশনিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে Power Evacuation সংশ্লিষ্ট তিনটি ফ্যাসিলিটি - 00UAB: ৪০০ কেভি জিআইএস Building, 00UAB: ২৩০ কেভি জিআইএস Building এবং 00UAG: অটোট্রান্সফরমার ষ্ট্রাকচার টেম্পোরারি অপারেশনের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। টেম্পোরারি অপারেশনে অন্তর্ভুক্ত করার পূর্বে ফ্যাসিলিটিগুলোর সব সিস্টেমের Individual Testing I পরিদর্শন যথাযথ কমিশনিং প্রক্রিয়া অনুযায়ী সম্পন্ন করা হয়।
তিনি আরো জানান, টেম্পোরারি অপারেশন গ্রহণের পূর্বে টেষ্ট প্রোগ্রাম অনুযায়ী যেসব কার্যক্রম কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছেঃ ৪০০ কেভি ও ২৩০ কেভি জিআইএস-এর সকল ইন্ডিভিজুয়াল টেস্টিং, ইন্টারলক, প্রোটেকশন ও কন্ট্রোল সিস্টেম টেস্টিং; দুটি অটোট্রান্সফরমারের ইন্সটলেশন রেজিটেন্স, রেশিও টেস্ট, উইন্ডিং রেজিটেন্স, OLTC ফাংশোনালিটি, Relay প্রটেকশন, ইন্টারলক জিইএস কন্ট্রোল সিস্টেম পরীক্ষা; পাওয়ার সাপ্লাই, ভেন্টিলেশন, Instrumentation & Control, ফায়ার ডিটেনশন জিইএস, ওয়াটার-ফায়ার Extinguishing System-এর কার্যকারিতা পরীক্ষা; অবশিষ্ট কাজ শনাক্তকরণ করে Punch List প্রস্তুতকরণ এবং Elimination Deadline নির্ধারণ।
সমস্ত পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক হওয়ায় ফ্যাসিলিটিগুলো টেম্পোরারি অপারেশনের জন্য গ্রহণযোগ্য ঘোষণা করা হয় বলে জানান তিনি।
অপারেশনাল ব্যবস্থাপনায় ৫টি শিফটে মোট ২০ জন জনবল নিয়োজিত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি শিফটে রিয়েল-টাইম সিস্টেম মনিটরিং, ওয়াকডাউন, সুইচিং অপারেশন, গ্যাস প্রেসার ও ট্রান্সফরমার প্যারামিটার যাচাই, অ্যালার্ম স্ট্যাটাস পর্যবেক্ষণ এবং জাতীয় গ্রিডের NLDC-এর নির্দেশনা অনুযায়ী পাওয়ার সরবরাহ ও গ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ড. খালেকুজ্জামান জানান, টেম্পোরারি অপারেশন চলাকালে সব সিস্টেম ও সরঞ্জাম স্থিতিশীলভাবে চলছে এবং কোনো উল্লেখযোগ্য অপারেশনাল সমস্যা পরিলক্ষিত হয়নি। সকল প্রোটেকশন, কন্ট্রোল ও সুইচিং সিস্টেম প্রত্যাশিত মান বজায় রেখেছে। শিফট লগ, ইভেন্ট রেকর্ড ও দৈনিক রিপোর্ট যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
এনপিসিবিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাসান জানান, এ বছর রূপপুর প্রকল্পে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর Pre-OSART Mission সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিদর্শন সম্পন্ন হয়েছে। এসব মূল্যায়নে কেন্দ্রের নিরাপত্তা, প্রস্তুতি ও অপারেশনাল সক্ষমতা আন্তর্জাতিক মানে উত্তীর্ণ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সব মূল্যায়নে ইতিবাচক সাফল্যের ফলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র জ্বালানি লোডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধাপে অগ্রসর হচ্ছে। জ্বালানি লোডিং সম্পন্ন হওয়ার পর কেন্দ্রটি এনপিসিবিএল অপারেশন টিমের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে রাশিয়ার পারমাণবিক অপারেটিং সংস্থা Concern RosenergoAtom প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে।
তিনি বলেন, রূপপুর প্রকল্পের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার সফল অপারেশন, একের পর এক ইতিবাচক আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরিদর্শন এবং জ্বালানি লোডিংয়ের প্রস্তুতি—সব মিলিয়ে কেন্দ্রটি এখন বাংলাদেশের শক্তি নিরাপত্তার এক নতুন আশার প্রতীক। অপারেটরদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে জাতীয় গ্রিডে রূপপুরের বিদ্যুৎ সরবরাহকে আরও নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও স্থিতিশীল করে তুলবে।

१३ ডিসেম্বর, २০२५ १५:३२
যেখানে সন্তান মায়ের ছায়া হয়ে দাঁড়ানোর কথা, সেখানে সেই মায়ের ওপর ওঠে সন্তানেরই নির্মম হাত। গাজীপুরের শ্রীপুরে এমন এক হৃদয়বিদারক ও ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন এলাকাবাসী, যা আগে কখনো দেখেনি তারা।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামে মাদকাসক্ত ছেলের দীর্ঘদিনের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছে। নেশার টাকা না পেয়ে নিজের মা খোদেজা খাতুনকে ইট ও লাঠি দিয়ে মারধর করে পা থেঁতলে দেয় খলিল (৩২)। এতে গুরুতর আহত হন মা।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে।
মায়ের আর্তচিৎকারে ছুটে যান প্রতিবেশীরা। দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও অসহায়তা থেকে মায়ের সম্মতি নিয়েই এলাকাবাসী স্থানীয় একটি সড়কের পাশে বুকসমান গর্ত করে খলিলকে কোমর পর্যন্ত পুঁতে রাখেন।
প্রায় এক ঘণ্টা পর তিনি নিজে মাটি সরিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে রাখে। স্থানীয়দের ভাষ্য, আগেও একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ ও মুচলেকা দেওয়া হলেও খলিলের আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা ও নীরব আতঙ্ক বিরাজ করছে। নেশার ভয়াবহতা আর পারিবারিক ভাঙনের এমন দৃশ্য টেপিরবাড়িকে করে তুলেছে এক শিউরে ওঠা উদাহরণ।
যেখানে সন্তান মায়ের ছায়া হয়ে দাঁড়ানোর কথা, সেখানে সেই মায়ের ওপর ওঠে সন্তানেরই নির্মম হাত। গাজীপুরের শ্রীপুরে এমন এক হৃদয়বিদারক ও ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন এলাকাবাসী, যা আগে কখনো দেখেনি তারা।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামে মাদকাসক্ত ছেলের দীর্ঘদিনের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছে। নেশার টাকা না পেয়ে নিজের মা খোদেজা খাতুনকে ইট ও লাঠি দিয়ে মারধর করে পা থেঁতলে দেয় খলিল (৩২)। এতে গুরুতর আহত হন মা।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে।
মায়ের আর্তচিৎকারে ছুটে যান প্রতিবেশীরা। দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও অসহায়তা থেকে মায়ের সম্মতি নিয়েই এলাকাবাসী স্থানীয় একটি সড়কের পাশে বুকসমান গর্ত করে খলিলকে কোমর পর্যন্ত পুঁতে রাখেন।
প্রায় এক ঘণ্টা পর তিনি নিজে মাটি সরিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে রাখে। স্থানীয়দের ভাষ্য, আগেও একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ ও মুচলেকা দেওয়া হলেও খলিলের আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা ও নীরব আতঙ্ক বিরাজ করছে। নেশার ভয়াবহতা আর পারিবারিক ভাঙনের এমন দৃশ্য টেপিরবাড়িকে করে তুলেছে এক শিউরে ওঠা উদাহরণ।

१३ ডিসেম্বর, २০२५ १२:४७
শরীয়তপুর সদরে শীত নিবারণের জন্য বিছানার পাশে মাটির পাত্রে রাখা জ্বলন্ত কয়লা থেকে অগ্নিকাণ্ডে এক বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আগুনে পুড়ে বিছানার ওপরই ছাই হয়ে গেছে তার মরদেহ। শনিবার ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের রুদ্রকর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কামরুন নাহার (৮০) রুদ্রকর এলাকার মৃত মোসলেম সরদারের স্ত্রী। একমাত্র মেয়ের বিয়ের পর থেকে বাড়িতে একাই বসবাস করতেন ওই বৃদ্ধা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগুনের খবর পেয়ে পুলিশ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। তবে তার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন নেভার পর বিছানার ওপর বৃদ্ধার মরদেহ পাওয়া যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শীত নিবারণের জন্য একটি মাটির পাত্রে আগুন রেখেছিলেন তিনি। ওই পাত্রে রাখা আগুনের কয়লা বিছানায় পড়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শীত থেকে রক্ষা পেতে মাটির পাত্রে রাখা কয়লার আগুন বিছানায় পড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তার মেয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শরীয়তপুর সদরে শীত নিবারণের জন্য বিছানার পাশে মাটির পাত্রে রাখা জ্বলন্ত কয়লা থেকে অগ্নিকাণ্ডে এক বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আগুনে পুড়ে বিছানার ওপরই ছাই হয়ে গেছে তার মরদেহ। শনিবার ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের রুদ্রকর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কামরুন নাহার (৮০) রুদ্রকর এলাকার মৃত মোসলেম সরদারের স্ত্রী। একমাত্র মেয়ের বিয়ের পর থেকে বাড়িতে একাই বসবাস করতেন ওই বৃদ্ধা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগুনের খবর পেয়ে পুলিশ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। তবে তার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন নেভার পর বিছানার ওপর বৃদ্ধার মরদেহ পাওয়া যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শীত নিবারণের জন্য একটি মাটির পাত্রে আগুন রেখেছিলেন তিনি। ওই পাত্রে রাখা আগুনের কয়লা বিছানায় পড়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শীত থেকে রক্ষা পেতে মাটির পাত্রে রাখা কয়লার আগুন বিছানায় পড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তার মেয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

१३ ডিসেম্বর, २০२५ ११:३६
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলায় সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক তোসিকুর ইসলামের (৩২) মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে বাংলাদেশি পুলিশের নিকট তার মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ।
নিহত তোসিকুর বাখর আলী ইউনুস মণ্ডলের টোলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ মরদেহ গ্রহণের পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সদর উপজেলার জহুরপুরটেক সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ কম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। মরদেহ গ্রহণ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ। এর আগে মুখ দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন নিহতের বাবা ইব্রাহীম আলী।
পুলিশ কর্মকর্তা সুকোমল বলেন, ‘কফিনে মোড়ানো ময়নাতদন্ত করা মরদেহ প্রাথমিক পরীক্ষার পর তোসিকুরের বুকের ডান দিক থেকে ঘাড়ের নিচ পর্যন্ত ছররা গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এর আগে, গত বুধবার (১০ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতীয় পুলিশ নদীতে তোসিকুরের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে দাবি করে সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তোসিকুরের বাবা ইব্রাহীম আলী বাখর আলী বিওপিতে উপস্থিত হয়ে অবহিত করেন। এরপর বিজিবি পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৩ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার জহুরপুর সীমান্তে প্রথম দফা বিজিবি-বিএসএফ কম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবি প্রতিপক্ষ ৭১ বিএসএফের বয়রাঘাট বিএসএফ ক্যাম্পকে তোসিকুরের ছবিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করে।
বিএসএফ বৈঠকে এ ব্যাপারে দ্রুত বিজিবিকে জানানো হবে বলে জানায়। পরে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বিএসএফ এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে হস্তান্তরের কথা জানায়। সে অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মেইন আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ২৩/৮ এস নিকট টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পতাকা বৈঠকে মরদেহ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
এ ঘটনা তদন্তের পর বিজিবি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে জানিয়ে অধিনায়ক মুস্তাফিজুর আরো বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তোসিকুরের মরদেহ সীমান্তে পদ্মার সমান্তরালে প্রবাহিত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথপুর (সাবেক জঙ্গিপুর) থানার ভাগিরথী নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে। স্থানটি সীমান্ত থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলায় সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক তোসিকুর ইসলামের (৩২) মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে বাংলাদেশি পুলিশের নিকট তার মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ।
নিহত তোসিকুর বাখর আলী ইউনুস মণ্ডলের টোলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ মরদেহ গ্রহণের পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সদর উপজেলার জহুরপুরটেক সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ কম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। মরদেহ গ্রহণ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ। এর আগে মুখ দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন নিহতের বাবা ইব্রাহীম আলী।
পুলিশ কর্মকর্তা সুকোমল বলেন, ‘কফিনে মোড়ানো ময়নাতদন্ত করা মরদেহ প্রাথমিক পরীক্ষার পর তোসিকুরের বুকের ডান দিক থেকে ঘাড়ের নিচ পর্যন্ত ছররা গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এর আগে, গত বুধবার (১০ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতীয় পুলিশ নদীতে তোসিকুরের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে দাবি করে সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তোসিকুরের বাবা ইব্রাহীম আলী বাখর আলী বিওপিতে উপস্থিত হয়ে অবহিত করেন। এরপর বিজিবি পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৩ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার জহুরপুর সীমান্তে প্রথম দফা বিজিবি-বিএসএফ কম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবি প্রতিপক্ষ ৭১ বিএসএফের বয়রাঘাট বিএসএফ ক্যাম্পকে তোসিকুরের ছবিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করে।
বিএসএফ বৈঠকে এ ব্যাপারে দ্রুত বিজিবিকে জানানো হবে বলে জানায়। পরে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বিএসএফ এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে হস্তান্তরের কথা জানায়। সে অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মেইন আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ২৩/৮ এস নিকট টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পতাকা বৈঠকে মরদেহ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
এ ঘটনা তদন্তের পর বিজিবি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে জানিয়ে অধিনায়ক মুস্তাফিজুর আরো বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তোসিকুরের মরদেহ সীমান্তে পদ্মার সমান্তরালে প্রবাহিত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথপুর (সাবেক জঙ্গিপুর) থানার ভাগিরথী নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে। স্থানটি সীমান্ত থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १९:२५
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १८:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १७:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १६:০০