
১৫ জুন, ২০২৫ ১৮:৪৫
ভোলার লালমোহন উপজেলায় অটোমেটিক ডাস্টবিন উদ্ভাবন করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে মোস্তাকিম মাহি নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে লালমোহন পৌরসভা গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থী মোস্তাকিম মাহি লালমোহন বাজারের চালের আড়তদার মো. মনির হোসেনের ছেলে এবং লালমোহর সরকারি পলিটেকনিক্যালের নবম শ্রেণির ছাত্র। তার মা পশ্চিম বাউরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
শিক্ষার্থী মোস্তাকিম মাহির খালু মনির হাওলাদার জানান, মাহি পলিটেকনিক্যালে পড়ার কারণে নিজে নিজে নতুন কিছু উদ্ভাবনের চেষ্টা করতো। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে মাহি তার রুমে বসে মোটর ও ফ্যান দিয়ে অটোমেটিক ডাস্টবিন তৈরির চেষ্টা করছিল।
এ সময় অসতর্কতাবশত বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘরের দেয়ালের কাছে ছিটকে পড়ে যায়। ঘটনার সময় তার বাবা-মা বাজারে ছিল। বাজার থেকে ফিরে তারা মাহিকে দেয়ালের সঙ্গে হেলে পড়ে থাকতে দেখেন।
এরপর দ্রুত তাকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোস্তাকিম মাহিকে মৃত ঘোষণা করেন। লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, শনিবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর স্বজনরা তাকে হাসপাতালে আনেন।
তবে এখানে আনার আগেই মারা যায় ওই শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
ভোলার লালমোহন উপজেলায় অটোমেটিক ডাস্টবিন উদ্ভাবন করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে মোস্তাকিম মাহি নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে লালমোহন পৌরসভা গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থী মোস্তাকিম মাহি লালমোহন বাজারের চালের আড়তদার মো. মনির হোসেনের ছেলে এবং লালমোহর সরকারি পলিটেকনিক্যালের নবম শ্রেণির ছাত্র। তার মা পশ্চিম বাউরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
শিক্ষার্থী মোস্তাকিম মাহির খালু মনির হাওলাদার জানান, মাহি পলিটেকনিক্যালে পড়ার কারণে নিজে নিজে নতুন কিছু উদ্ভাবনের চেষ্টা করতো। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে মাহি তার রুমে বসে মোটর ও ফ্যান দিয়ে অটোমেটিক ডাস্টবিন তৈরির চেষ্টা করছিল।
এ সময় অসতর্কতাবশত বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘরের দেয়ালের কাছে ছিটকে পড়ে যায়। ঘটনার সময় তার বাবা-মা বাজারে ছিল। বাজার থেকে ফিরে তারা মাহিকে দেয়ালের সঙ্গে হেলে পড়ে থাকতে দেখেন।
এরপর দ্রুত তাকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোস্তাকিম মাহিকে মৃত ঘোষণা করেন। লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, শনিবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর স্বজনরা তাকে হাসপাতালে আনেন।
তবে এখানে আনার আগেই মারা যায় ওই শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:০১
ভোলার লালমোহন উপজেলার হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীসহ ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট ৬ জন ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের প্রকাশিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা আলম মীম রংপুর মেডিকেল কলেজে এবং সুমাইয়া আশরাফ শুশমিতা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান।
জানা গেছে, খাদিজা আলম মীম ২০২৪ সালে হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক (গণিত) মো. মাকসুদুর রহমানের মেয়ে। সুমাইয়া আশরাফ শুশমিতা একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি লালমোহন বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফ ছিদ্দিকের মেয়ে।
এই সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করে হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন বলেন, আমাদের দুই শিক্ষার্থীর গৌরবময় এই অর্জনে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তাদের এই সাফল্য প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্বের। আমরা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
অপরদিকে, লালমোহনের বাহিরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে আরও চার শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল হক লিটুর মেয়ে মাইশা হক আদৃতা খুলনা সরকারি মেডিকেল কলেজে, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বর্ণালী সড়কের বাসিন্দা ঠিকাদার কামরুল ইসলাম রাসেলের মেয়ে কামরুন নাহার সুজানা জামালপুর সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
এছাড়া, ডাওরী এলাকার বাসিন্দা ও ভোলা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরের মেয়ে সায়মা কবির আনিকা এবং ধলীনগর ইউনিয়নের চতলা এলাকার সাইদুর রহমান আজাদের মেয়ে ইশরাত জাহান সাবরিন ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ লাভ করেন।
ভোলার লালমোহন উপজেলার হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীসহ ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট ৬ জন ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের প্রকাশিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা আলম মীম রংপুর মেডিকেল কলেজে এবং সুমাইয়া আশরাফ শুশমিতা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান।
জানা গেছে, খাদিজা আলম মীম ২০২৪ সালে হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক (গণিত) মো. মাকসুদুর রহমানের মেয়ে। সুমাইয়া আশরাফ শুশমিতা একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি লালমোহন বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফ ছিদ্দিকের মেয়ে।
এই সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করে হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন বলেন, আমাদের দুই শিক্ষার্থীর গৌরবময় এই অর্জনে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তাদের এই সাফল্য প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্বের। আমরা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
অপরদিকে, লালমোহনের বাহিরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে আরও চার শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল হক লিটুর মেয়ে মাইশা হক আদৃতা খুলনা সরকারি মেডিকেল কলেজে, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বর্ণালী সড়কের বাসিন্দা ঠিকাদার কামরুল ইসলাম রাসেলের মেয়ে কামরুন নাহার সুজানা জামালপুর সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
এছাড়া, ডাওরী এলাকার বাসিন্দা ও ভোলা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরের মেয়ে সায়মা কবির আনিকা এবং ধলীনগর ইউনিয়নের চতলা এলাকার সাইদুর রহমান আজাদের মেয়ে ইশরাত জাহান সাবরিন ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ লাভ করেন।

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:২৬
ভোলার তজুমদ্দিনে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালী এবং অপরিল্পিত বেড়িবাঁধ নির্মাণের ফলে নিকটবর্তী এলাকার কয়েকশ পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করার উপক্রম হয়েছে। এ নিয়ে ভোক্তভোগী প্রায় আড়াইশ পরিবার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলি বেড়িবাঁধে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
সুত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ৭৪ কোটি ১৭ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৫৭.৩১ টাকা ব্যায়ে উপকূলীয় বাঁধ পুর্নবাসন ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন জীবনমান প্রকল্পের আওতায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স গোলাম রব্বানী কনাষ্ট্রাকশন। কাজটি শেষ হবে ২০২৬ সালের জুন মাসে। সেই অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেড়িবাঁধে মাটি কাটার কাজ শুরু করেন ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে। মাটি কাটার কাজ শুরু করার ফলে দুই শতাধিক বসতঘর, ফসলি জমি ও সুপারি বাগানসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ পালা কেটে নষ্ট করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে ক্ষতি পূরণ না দিয়ে ক্ষমতার জোড়ে বেড়িবাঁধের কাজ বাস্তবায়ণ করার চেষ্টা চালায়। পরে ভোক্তভোগীরা একত্রিত হয়ে গত শুক্রবার সকালে বেড়িবাঁধের মাটি কাটার কাজ বন্ধ করে দেয়। ক্ষতিগ্রস্থরা বেড়িবাঁধটি বর্তমান অবন্থান থেকে ৫-১০ ফুট পূর্বদিকে অথবা তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবী করে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স গোলাম রব্বানী কনাষ্ট্রাকশন ইতিপূর্বে যে সব বাড়িঘর ভেঙ্গে মাটি কাটার কাজ করেছে সেসব ঘরমালিক গরীব অসহায় ভূমিহীন পরিবারগুলি বর্তমানে কনকনে শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করে। ক্ষতির সম্মুখীন পরিবারগুলোর ভূমিহীন ও গরীব হওয়ায় খোলা আকাশই তাদের একমাত্র ভরসা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এলাকায় বলে বেড়াচ্ছেন সরকারি বরাদ্দ না থাকায় তারা ক্ষতিগ্রস্থ মানুষজনকে কোন সহযোগীতা করতে পারবে না।
ক্ষতিগ্রস্ত মোঃ শাহিন বলেন, ঠিকাদারের লোকজন আমাদেরকে ১৫ হাজার টাকা করে দেয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু আমরা তা গ্রহণ করিনি। হয়ত আমাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে আর না হয় পূর্বদিকে অনেক জায়গা আছে সেদিকে সরিয়ে দিলে আমার শেষ সম্বল ঘর ভিটাটুকু রক্ষা হবে। আর তাতেই আমরা আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থকেতে পারবো। অন্যদিকে হাজিকান্দি এলাকায় নদী থেকে ১০ থেকে ১৫ মিটার দূরত্বে নতুন বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। চৌমুহনী এলাকায় আরো কমদূরত্বে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। শুধু আমাদের এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গোলাম রব্বানী কনাষ্ট্রাকশনের লোকজন দালালকান্দি ও মাওলানা কান্দির গরীব মানুষের বাড়িঘর উচ্ছেদ করতে চাচ্ছে।
জানতে চাইলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গোলাম রব্বানী কনাষ্ট্রাকশনের প্রকল্পের ম্যানেজার তন্ময় বলেন, আমি চরফ্যাশনের মিটিংয়ে আছি। তজুমদ্দিনে আসলে সরাসরি কথা বলবো বলে কল কেটে দেন।
তজুমদ্দিন-লালমোহনের এসএসডিও আহসান আহমেদ বলেন, জমির মালিকদের সাথে কথা বলে সমজোতার মাধ্যমে বন্ধ কাজ শুরু করা হবে। বেড়িবাঁধের জমি অধিগ্রহণ করতে সরকারীভাবে কোন বরাদ্দ না থাকায় ঘর ও জমির মালিকদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়া সুযোগ নেই। তবুও ঘর মালিকরা কোথাও অস্থায়ীভাবে থাকলে বেড়িবাঁধ সম্পন্ন হলে আবার বেড়িবাঁধে থাকতে পারবে।
তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বেড়িবাঁধের এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে।
ভোলার তজুমদ্দিনে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালী এবং অপরিল্পিত বেড়িবাঁধ নির্মাণের ফলে নিকটবর্তী এলাকার কয়েকশ পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করার উপক্রম হয়েছে। এ নিয়ে ভোক্তভোগী প্রায় আড়াইশ পরিবার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলি বেড়িবাঁধে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
সুত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ৭৪ কোটি ১৭ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৫৭.৩১ টাকা ব্যায়ে উপকূলীয় বাঁধ পুর্নবাসন ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন জীবনমান প্রকল্পের আওতায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স গোলাম রব্বানী কনাষ্ট্রাকশন। কাজটি শেষ হবে ২০২৬ সালের জুন মাসে। সেই অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেড়িবাঁধে মাটি কাটার কাজ শুরু করেন ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে। মাটি কাটার কাজ শুরু করার ফলে দুই শতাধিক বসতঘর, ফসলি জমি ও সুপারি বাগানসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ পালা কেটে নষ্ট করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে ক্ষতি পূরণ না দিয়ে ক্ষমতার জোড়ে বেড়িবাঁধের কাজ বাস্তবায়ণ করার চেষ্টা চালায়। পরে ভোক্তভোগীরা একত্রিত হয়ে গত শুক্রবার সকালে বেড়িবাঁধের মাটি কাটার কাজ বন্ধ করে দেয়। ক্ষতিগ্রস্থরা বেড়িবাঁধটি বর্তমান অবন্থান থেকে ৫-১০ ফুট পূর্বদিকে অথবা তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবী করে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স গোলাম রব্বানী কনাষ্ট্রাকশন ইতিপূর্বে যে সব বাড়িঘর ভেঙ্গে মাটি কাটার কাজ করেছে সেসব ঘরমালিক গরীব অসহায় ভূমিহীন পরিবারগুলি বর্তমানে কনকনে শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করে। ক্ষতির সম্মুখীন পরিবারগুলোর ভূমিহীন ও গরীব হওয়ায় খোলা আকাশই তাদের একমাত্র ভরসা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এলাকায় বলে বেড়াচ্ছেন সরকারি বরাদ্দ না থাকায় তারা ক্ষতিগ্রস্থ মানুষজনকে কোন সহযোগীতা করতে পারবে না।
ক্ষতিগ্রস্ত মোঃ শাহিন বলেন, ঠিকাদারের লোকজন আমাদেরকে ১৫ হাজার টাকা করে দেয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু আমরা তা গ্রহণ করিনি। হয়ত আমাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে আর না হয় পূর্বদিকে অনেক জায়গা আছে সেদিকে সরিয়ে দিলে আমার শেষ সম্বল ঘর ভিটাটুকু রক্ষা হবে। আর তাতেই আমরা আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থকেতে পারবো। অন্যদিকে হাজিকান্দি এলাকায় নদী থেকে ১০ থেকে ১৫ মিটার দূরত্বে নতুন বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। চৌমুহনী এলাকায় আরো কমদূরত্বে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। শুধু আমাদের এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গোলাম রব্বানী কনাষ্ট্রাকশনের লোকজন দালালকান্দি ও মাওলানা কান্দির গরীব মানুষের বাড়িঘর উচ্ছেদ করতে চাচ্ছে।
জানতে চাইলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গোলাম রব্বানী কনাষ্ট্রাকশনের প্রকল্পের ম্যানেজার তন্ময় বলেন, আমি চরফ্যাশনের মিটিংয়ে আছি। তজুমদ্দিনে আসলে সরাসরি কথা বলবো বলে কল কেটে দেন।
তজুমদ্দিন-লালমোহনের এসএসডিও আহসান আহমেদ বলেন, জমির মালিকদের সাথে কথা বলে সমজোতার মাধ্যমে বন্ধ কাজ শুরু করা হবে। বেড়িবাঁধের জমি অধিগ্রহণ করতে সরকারীভাবে কোন বরাদ্দ না থাকায় ঘর ও জমির মালিকদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়া সুযোগ নেই। তবুও ঘর মালিকরা কোথাও অস্থায়ীভাবে থাকলে বেড়িবাঁধ সম্পন্ন হলে আবার বেড়িবাঁধে থাকতে পারবে।
তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বেড়িবাঁধের এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে।

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:০৬
ভোরের আকাশে সূর্যের আলো ফোঁটার সাথে সাথেই আবাদি জমিতে শুরু হয় হাজারখানেক অস্থায়ী কৃষি শ্রমিকের এক কর্মকৌশল। পশ্চিমাকাশে সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত চলে নিপূণতার প্রতিযোগীতা। কেউ পাওয়ার টিলার চালিয়ে জমি চাষ দিচ্ছে, কেউ কেউ দলবেধে জমি প্রস্তুত ও তরমুজ গাছের পরিচর্যা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কেউবা সহকর্মীদের ক্ষুধা মেটানোর খাবার যোগানে শামিল হচ্ছে। প্রতিদিনের এই কর্ম-আয়োজন ৬ হাজার ৪৩৭ একর আয়তন বেষ্টিত বিচ্ছিন্ন ‘চর’ মুজিবনগরে। এই চরটি ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার আওতাধীন। পুরো চরঘেরা তেতুলিয়া নদী। চরের কয়েকটি জায়গায় মানুষের বসতি হলেও এক চতুর্থাংশই আবাদি জমি। নদীপথে খেয়া পারাপারেই এখানকার বাসিন্দাদের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম।
শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরো চরঘুরে এসব শ্রমিকের এই কর্মকৌশল দেখা গেছে। প্রধানত রসালো ফল তরমুজ আবাদের জন্য প্রতি বছরের অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত এ চারমাস তারা শ্রম বিনিময় করেন। ফসল তোলার পর আবার নিজ এলাকায় ফিরে যাবেন এসব শ্রমিক। ক্ষেতের পাশে ছনের দো-চালা খাটিয়ে অস্থায়ী বসতি স্থাপন করেছেন শ্রমিকরা। এমন অস্থায়ী বসতির সংখ্যা প্রায় শ’খানেক। অস্থায়ী শৌচাগারও স্থাপন করেছেন। বিগত তিন বছর তরমুজের ফলন ভালো হওয়ায় তরমুজ চাষিদের মাঝে প্রাণোচ্ছলতা দেখা গেছে এ অঞ্চলে। তেতুলিয়া নদীসহ মিলিত খালগুলোতে মিঠা পানির উৎস থাকায় এ চরে তরমুজের আবাদ প্রতি বছরই বাড়ছে। এমনটা জানিয়েছেন, শ্রম বিনিময় করতে আসা চর কলমি এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক মো. হোসেন। তিনি বলেন, ‘তরমুজ চাষের জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে তরমুজ বিক্রি করা পর্যন্ত পরিচর্যার জন্য মাসিক চুক্তি ভিত্তিক কাজ করেন শ্রমিকরা। আমি প্রতিমাসে ২২ হাজার টাকা করে তিন মাসের চুক্তি ভিত্তিক কাজ করছি। থাকা খাওয়া তরমুজ চাষির। এই জমির পাশে টং ঘরে রাতে ঘুমাই, দিনে কাজ করি।’ মো. হোসেন এর মতো একই চরে হাজারখানেক শ্রমিক তরমুজ চাষের জমিতে কর্ম ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ওই সময় তরমুজ গাছের পরিচর্যা করছিলেন মুজিব নগর ইউনিয়নের তরমুজ চাষি মো. ইসমাইল। তরমুজ আবাদের বিষয়ে কথা হয় তার সাথে। তিনি তার কাজ শেষে বলেন, ‘১৩ একর জমিতে থাই সুপার, থাই কিং ও আরলি ওয়ান জাতের তরমুজ চাষ করেছি। গত বছর ১৫ গন্ডা জমির তরমুজ ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করেছিলাম। আল্লাহ রহমত করলে এ বছর ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো। শেষ পর্যন্ত ২০ লাখ টাকা খরচ হবে। যেহেতু আগাম চাষ করেছি, তাই এই তরমুজগুলো কেজি দরে বিক্রি করবো। ৬ থেকে ১০ কেজি ওজনের তরমুজ আমার জমিতে আছে।’
একই এলাকার কৃষক রাকিব হোসেন ৩ কানি (৪৮০ শতাংশ) জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। ৩০ হাজার টাকা করে কানিপ্রতি লগ্নি নিয়েছেন। তার মোট খরচ সাড়ে চার লাখ টাকা হবে। ১১ থেকে ১২ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। পাশের ৬ কানি (৯৬০ শতাংশ) জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন কৃষক আবুল হাসেম। তিনি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৩২ হাজার টাকা করে কানিপ্রতি লগ্নি নিয়েছেন। তার ১১ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে।
ওই চরের আবাদি জমির মালিকরা জানান, প্রতি কানি (১৬০ শতাংশ) জমি ৩০ থেকে ৪০ হাজার করে লগ্নি দিয়েছেন। যা, গত বছর ছিলো ২২ থেকে ২৬ হাজারের মধ্যে। তরমুজ চাষের জন্য অনেক কৃষক গত বছর লগ্নির টাকা দিয়ে রেখেছেন।
কৃষি ব্যাংক চরফ্যাসন শাখা ব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বিগত বছরে কৃষকদের কৃষি প্রনোদনার আওতায় ৪% সুদে ঋণ দেওয়া হয়েছে, তবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া সাধারণত ১২% হারে কৃষকদের ঋণ দেওয়া হয়। বিনা জামানতে বর্গা চাষী কৃষকদের ঋণ সহায়তা দিয়ে থাকি। কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই আমরা কৃষকদের ঋণ প্রদান করে থাকি।’
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১০ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে তরমুজের আবাদ গত অর্থবছরের তুলনায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, ‘চরফ্যাসন উপজেলার চরাঞ্চলগুলো তরমুজ চাষের ‘আতুড়ঘর’। এখানকার মাটি খুবই উর্বর। এ উপজেলায় ৬ হাজার তরমুজ চাষি রয়েছে। এছাড়াও তরমুজ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ৫০ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। বিশেষ করে মুজিব নগর ইউনিয়নে ৫ হাজার একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন কৃষকরা। পশ্চিমাঞ্চলের এই এলাকাটিতে মিঠা পানির উৎস থাকায় অর্থাৎ তেঁতুলিয়া নদীতে মিঠা পানি থাকায় তরমুজ চাষিরা বেশি ঝুঁকছে।’
ভোরের আকাশে সূর্যের আলো ফোঁটার সাথে সাথেই আবাদি জমিতে শুরু হয় হাজারখানেক অস্থায়ী কৃষি শ্রমিকের এক কর্মকৌশল। পশ্চিমাকাশে সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত চলে নিপূণতার প্রতিযোগীতা। কেউ পাওয়ার টিলার চালিয়ে জমি চাষ দিচ্ছে, কেউ কেউ দলবেধে জমি প্রস্তুত ও তরমুজ গাছের পরিচর্যা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কেউবা সহকর্মীদের ক্ষুধা মেটানোর খাবার যোগানে শামিল হচ্ছে। প্রতিদিনের এই কর্ম-আয়োজন ৬ হাজার ৪৩৭ একর আয়তন বেষ্টিত বিচ্ছিন্ন ‘চর’ মুজিবনগরে। এই চরটি ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার আওতাধীন। পুরো চরঘেরা তেতুলিয়া নদী। চরের কয়েকটি জায়গায় মানুষের বসতি হলেও এক চতুর্থাংশই আবাদি জমি। নদীপথে খেয়া পারাপারেই এখানকার বাসিন্দাদের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম।
শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরো চরঘুরে এসব শ্রমিকের এই কর্মকৌশল দেখা গেছে। প্রধানত রসালো ফল তরমুজ আবাদের জন্য প্রতি বছরের অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত এ চারমাস তারা শ্রম বিনিময় করেন। ফসল তোলার পর আবার নিজ এলাকায় ফিরে যাবেন এসব শ্রমিক। ক্ষেতের পাশে ছনের দো-চালা খাটিয়ে অস্থায়ী বসতি স্থাপন করেছেন শ্রমিকরা। এমন অস্থায়ী বসতির সংখ্যা প্রায় শ’খানেক। অস্থায়ী শৌচাগারও স্থাপন করেছেন। বিগত তিন বছর তরমুজের ফলন ভালো হওয়ায় তরমুজ চাষিদের মাঝে প্রাণোচ্ছলতা দেখা গেছে এ অঞ্চলে। তেতুলিয়া নদীসহ মিলিত খালগুলোতে মিঠা পানির উৎস থাকায় এ চরে তরমুজের আবাদ প্রতি বছরই বাড়ছে। এমনটা জানিয়েছেন, শ্রম বিনিময় করতে আসা চর কলমি এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক মো. হোসেন। তিনি বলেন, ‘তরমুজ চাষের জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে তরমুজ বিক্রি করা পর্যন্ত পরিচর্যার জন্য মাসিক চুক্তি ভিত্তিক কাজ করেন শ্রমিকরা। আমি প্রতিমাসে ২২ হাজার টাকা করে তিন মাসের চুক্তি ভিত্তিক কাজ করছি। থাকা খাওয়া তরমুজ চাষির। এই জমির পাশে টং ঘরে রাতে ঘুমাই, দিনে কাজ করি।’ মো. হোসেন এর মতো একই চরে হাজারখানেক শ্রমিক তরমুজ চাষের জমিতে কর্ম ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ওই সময় তরমুজ গাছের পরিচর্যা করছিলেন মুজিব নগর ইউনিয়নের তরমুজ চাষি মো. ইসমাইল। তরমুজ আবাদের বিষয়ে কথা হয় তার সাথে। তিনি তার কাজ শেষে বলেন, ‘১৩ একর জমিতে থাই সুপার, থাই কিং ও আরলি ওয়ান জাতের তরমুজ চাষ করেছি। গত বছর ১৫ গন্ডা জমির তরমুজ ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করেছিলাম। আল্লাহ রহমত করলে এ বছর ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো। শেষ পর্যন্ত ২০ লাখ টাকা খরচ হবে। যেহেতু আগাম চাষ করেছি, তাই এই তরমুজগুলো কেজি দরে বিক্রি করবো। ৬ থেকে ১০ কেজি ওজনের তরমুজ আমার জমিতে আছে।’
একই এলাকার কৃষক রাকিব হোসেন ৩ কানি (৪৮০ শতাংশ) জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। ৩০ হাজার টাকা করে কানিপ্রতি লগ্নি নিয়েছেন। তার মোট খরচ সাড়ে চার লাখ টাকা হবে। ১১ থেকে ১২ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। পাশের ৬ কানি (৯৬০ শতাংশ) জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন কৃষক আবুল হাসেম। তিনি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৩২ হাজার টাকা করে কানিপ্রতি লগ্নি নিয়েছেন। তার ১১ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে।
ওই চরের আবাদি জমির মালিকরা জানান, প্রতি কানি (১৬০ শতাংশ) জমি ৩০ থেকে ৪০ হাজার করে লগ্নি দিয়েছেন। যা, গত বছর ছিলো ২২ থেকে ২৬ হাজারের মধ্যে। তরমুজ চাষের জন্য অনেক কৃষক গত বছর লগ্নির টাকা দিয়ে রেখেছেন।
কৃষি ব্যাংক চরফ্যাসন শাখা ব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বিগত বছরে কৃষকদের কৃষি প্রনোদনার আওতায় ৪% সুদে ঋণ দেওয়া হয়েছে, তবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া সাধারণত ১২% হারে কৃষকদের ঋণ দেওয়া হয়। বিনা জামানতে বর্গা চাষী কৃষকদের ঋণ সহায়তা দিয়ে থাকি। কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই আমরা কৃষকদের ঋণ প্রদান করে থাকি।’
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১০ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে তরমুজের আবাদ গত অর্থবছরের তুলনায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, ‘চরফ্যাসন উপজেলার চরাঞ্চলগুলো তরমুজ চাষের ‘আতুড়ঘর’। এখানকার মাটি খুবই উর্বর। এ উপজেলায় ৬ হাজার তরমুজ চাষি রয়েছে। এছাড়াও তরমুজ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ৫০ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। বিশেষ করে মুজিব নগর ইউনিয়নে ৫ হাজার একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন কৃষকরা। পশ্চিমাঞ্চলের এই এলাকাটিতে মিঠা পানির উৎস থাকায় অর্থাৎ তেঁতুলিয়া নদীতে মিঠা পানি থাকায় তরমুজ চাষিরা বেশি ঝুঁকছে।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.