https://joinnavy.navy.mil.bd/

সারাদেশ

শার্শা উপজেলায় পাটের ফলন ভালো, আঁশের দাম কমলেও পাটখড়ির দাম আকাশছোঁয়া

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

শার্শা উপজেলায় পাটের ফলন ভালো, আঁশের দাম কমলেও পাটখড়ির দাম আকাশছোঁয়া

যশোরের শার্শা উপজেলা ও বেনাপোলে এলাকায় এ বছর সোনালী আঁশ পাটের ফলন ভালো। হলেও শ্রমিক সংকট ও অধিক মজুরি কৃষকদের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাট কাটা থেকে শুরু করে আঁশ ছাড়ানোর প্রতিটি ধাপেই শ্রমিকদের উচ্চ মজুরি দিতে হচ্ছে কৃষকদের। ফলে ভালো ফলনের আনন্দেও মিশেছে দুশ্চিন্তার ছাপ।

কৃষকদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এ বছর পাটের দাম কিছুটা কম। বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ৩২০০ থেকে ৩৫০০ টাকার মধ্যে। অন্যদিকে শ্রমিক সংকটের কারণে মজুরি বেড়ে যাওয়ায় খরচও অনেক বেড়েছে। এতে কৃষকরা কাঙ্ক্ষিত লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেকে পাটকাঠি কেনাবেচাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন। এতে নতুন  কর্মসংস্থার সৃষ্টি হয়েছে,  

উপজেলার কৃষকরা জানান, দূর দুরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে পাটকাঠি কিনে নিচ্ছেন। এবং ভাল দাম  দিচ্ছেন,বর্তমানে এক মণ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়। যেখানে এক সময় ১২০থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হতো। আর পাটকাঠি তাদের প্রকৃত লাভের মুখ দেখাচ্ছে।

কৃষকেরা পাট ও পাটকাঠি শুকিয়ে ঘরে তুলার ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা এখন পাটকাঠি যত্ন করে মজুদ করছেন। এই সময় পাটকাঠি প্রধারত গ্রামের অসচ্ছল পরিবারের ঘরের বেড়া ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হতো।

কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে এটি এখন অর্থ  কারী পূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাটকাঠির ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। ফলে পাটকাঠি বিক্রয় করে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। স্থানীয় চাষিরা পাটের উপজাত এই পাটখড়ি এখন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। 

তবে এ বছর আশার আলো জুগিয়েছে পাটখড়ি। গত বছর যেখানে প্রতি আঁটি পাটখড়ি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেখানে এ বছর সেই আঁটির দাম দাঁড়িয়েছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। আঁশের দামে ক্ষতি হলেও পাটখড়ি বিক্রি করে কিছুটা সান্ত্বনা পাচ্ছেন কৃষকেরা।

পাট জাগ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ থাকায় কৃষকেরা তুলনামূলকভাবে সুবিধা পেয়েছেন।  হাকর, খাল, বিল, বেতনা, কেউ ছোট ডোবায় আবার কেউ নিজস্ব জমিতে পাট কেটে জাগ দিয়েছেন।

ডিহি ইউনিয়নের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, এক বিঘা জমিতে পাট আবাদ করতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ঠিকভাবে হিসাব করলে দেখা যায়, ন্যায্য দাম আমরা পাইনা।

 উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রহমান জানান, ফলন ভালো, দামও সন্তোষজনক। তবে কতদিন এ দাম থাকবে, তা নিয়ে শঙ্কায় আছে। উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা জানান, এই বছর সোনালী আঁশ (পাটের) ফলন ভালো হয়েছে। 

এই উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়নে অর্থবছরে২০২৪-২৫মোট ৫৪৬৫হেক্টর জমিতে,চলতি বছরে২০২৫-২৬মোট৫৯২৯=হেক্টর, এই বছরে বেশি ৪৬৪ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদন হয়। আগের বছর তুলনায। গত এক দশকে ধরেই এই জ্বালানির বাজার

বারছে। অনেকে পাটকাঠি কেনাবেচাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন। এতে নতুন কর্মসংস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই বছর পাট জাগ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ থাকায় কৃষকেরা তুলনামূলক ভাবে সুবিধা পেয়েছেন।

আরও পড়ুন:

যুবদল নেতার বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

যুবদল নেতার বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার

পরশুরামের চিথলিয়ায় যুবদল নেতা কাজী রবিউল হোসেন জিহাদের(৪০) বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।

‎জিহাদ চিথলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলীরকুল গ্রামের কাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।

শুক্রবার(৭ নভেম্বর) রাত দুইটায় উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলির কুল গ্রামে জিহাদের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পরশুরাম থানা পুলিশ। এ সময় তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বস্তা ভর্তি ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত থ্রি-পিস গুলো গণনা করে ২১১ পিস বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

‎‎উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম শাকিল বলেন, যুবদলের কেউ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ‎পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে লাঞ্ছনা, দালালের ৩ মাসের জেল

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:৩৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে লাঞ্ছনা, দালালের ৩ মাসের জেল

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আক্তার হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দালালকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল মো. আক্তার হোসেন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। গত বছরও জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জরুরি বিভাগে ওই দালালকে দেখে তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ না মেনে তর্কে জড়িয়ে ডা. মহিবুস সালামের ওপর চড়াও হন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখার জন্য আমরা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সচেতনতামূলক প্রচারণার বিলবোর্ড টানিয়েছি। দুপুরে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বের হতে বললে সে না গিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর আক্রমণ চালায় এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।

দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আক্তার হোসেনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আবার প্রবেশ করলে পুনরায় জেল দেওয়া হবে।’

যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ১৯৪

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ১৯৪

দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আট দিনে ১৯৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।

এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য এবং দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.