
২০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:২৬
ঠোংগা আনে দে বউ, দড়াআনে দে, ঠিলে ধুয়ে দে বউ, গাছ কাটতি যাব...।’ কণ্ঠশিল্পী অনিল হাজারিকার গাওয়া জনপ্রিয় এই আঞ্চলিক গানের গাছির মতোই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মাগুরার গাছিরা।
শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রামের পথঘাটে, মাঠের ধারে, কিংবা বসতবাড়ির আঙিনায় দেখা মিলছে খেজুর গাছের রস আহরণের প্রস্তুতি। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের।
মাজায় মোটা দড়ি পেঁচিয়ে, হাতে বড় দা আর পায়ের নিচে শক্ত বাঁশের লাঠি বেঁধে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা।
গাছের আগায় উঠে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে গাছের মরা পাতা কেটে পরিষ্কার করে তৈরি করছেন ‘চোখ’ যেখান দিয়ে ঝরবে সোনালি খেজুর রস। সেই ছিদ্রে বাঁশের নল বসিয়ে ঝোলানো হচ্ছে ঠিলে, যাতে রাতের শিশিরভেজা রসে ভরে ওঠে গ্রামের সকাল।
একসময় জেলার শালিখা উপজেলার মাঠজুড়ে কিংবা সড়কের দুই পাশে সারি সারি খেজুর গাছ ছিল। কিন্তু এখন সে দৃশ্য অতীত স্মৃতি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও স্থানীয় ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে খেজুর গাছের অতিরিক্ত ব্যবহার সব মিলিয়ে দিন দিন কমে যাচ্ছে এই ঐতিহ্যবাহী গাছ।
তবুও রসের টানে এখনই অনেকে শুরু করে দিয়েছেন গাছ পরিচর্যার কাজ। যদিও শীত এখনো পুরোপুরি নামেনি, কিন্তু অভিজ্ঞ গাছিরা জানেন, সময় মতো প্রস্তুতি না নিলে ভালো রস পাওয়া যায় না। তবে গাছের সংকটের কারণে এবারও চাহিদামতো রস পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
শালিখা উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের গাছি ছুরাপ মিয়া বলেন, শীতের শুরুতেই গাছ পরিষ্কার করে প্রস্তুত করি। এরপরই রস সংগ্রহ শুরু হয়। এই রস দিয়েই আমরা তৈরি করি পাটালি আর ঝোলা গুড়। এগুলো বিক্রি করেই চলে আমাদের সংসার।
তালখড়ি ইউনিয়নের ছান্দড়া গ্রামের গাছি কুদ্দুস আলী বলেন, এই বছর তিন পন বা প্রায় ২৪০টি খেজুর গাছ কেটেছি। গত বছরের চেয়ে একটু কম। এখন গাছ কমে গেছেপ্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আবার অনেক জায়গায় ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবেও খেজুর গাছ কাটা হচ্ছে।
সাধারণত প্রতি বছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় চার মাস খেজুর রস ও গুড় সংগ্রহের মৌসুম। খেজুরের রস শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। গ্রামীণ জীবনে এই রস ও গুড় একদিকে যেমন শীতের মিষ্টি আনন্দের উৎস, অন্যদিকে স্থানীয় অর্থনীতিরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
শ্রীপুর উপজেলার তারাউজিয়াল গ্রামের গাছি রাজেক বিশ্বাস বলেন, এক সময় অনেক খেজুর কাছ কেটেছি তখন অনেক রস সংগ্রহ করতাম। এখনো রসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে কিন্তু দিন দিন শ্রীপুর উপজেলায় খেজুর গাছ হারিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, খেজুর গাছ একদিকে ছায়া ও অক্সিজেন দেয়, অপরদিকে তার রস ও গুড় গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চার করে। তাই বিলুপ্তপ্রায় এই ঐতিহ্য রক্ষায় এখনই উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
শালিখা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবুল হোসেন বলেন, বর্তমানে উপজেলায় প্রায় ২৬ হাজার খেজুর গাছ রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে আমরা কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছি যেন সড়কের দুই ধারসহ পতিত জমিতে বেশি বেশি খেজুর গাছ লাগানো হয়। খেজুর গাছ ফসলের কোনো ক্ষতি করে না, বরং অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই এই গাছ রস ও গুড়ের চাহিদা মেটাতে পারে।
তিনি আরও বলেন কৃষক ও সাধারণ মানুষ যদি একযোগে সচেতন হয়ে উদ্যোগ নেন, তাহলে গ্রামাঞ্চল আবারও ভরে উঠবে খেজুর গাছের সারি আর মিষ্টি রসের মনমাতানো সুবাসে।
ঠোংগা আনে দে বউ, দড়াআনে দে, ঠিলে ধুয়ে দে বউ, গাছ কাটতি যাব...।’ কণ্ঠশিল্পী অনিল হাজারিকার গাওয়া জনপ্রিয় এই আঞ্চলিক গানের গাছির মতোই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মাগুরার গাছিরা।
শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রামের পথঘাটে, মাঠের ধারে, কিংবা বসতবাড়ির আঙিনায় দেখা মিলছে খেজুর গাছের রস আহরণের প্রস্তুতি। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের।
মাজায় মোটা দড়ি পেঁচিয়ে, হাতে বড় দা আর পায়ের নিচে শক্ত বাঁশের লাঠি বেঁধে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা।
গাছের আগায় উঠে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে গাছের মরা পাতা কেটে পরিষ্কার করে তৈরি করছেন ‘চোখ’ যেখান দিয়ে ঝরবে সোনালি খেজুর রস। সেই ছিদ্রে বাঁশের নল বসিয়ে ঝোলানো হচ্ছে ঠিলে, যাতে রাতের শিশিরভেজা রসে ভরে ওঠে গ্রামের সকাল।
একসময় জেলার শালিখা উপজেলার মাঠজুড়ে কিংবা সড়কের দুই পাশে সারি সারি খেজুর গাছ ছিল। কিন্তু এখন সে দৃশ্য অতীত স্মৃতি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও স্থানীয় ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে খেজুর গাছের অতিরিক্ত ব্যবহার সব মিলিয়ে দিন দিন কমে যাচ্ছে এই ঐতিহ্যবাহী গাছ।
তবুও রসের টানে এখনই অনেকে শুরু করে দিয়েছেন গাছ পরিচর্যার কাজ। যদিও শীত এখনো পুরোপুরি নামেনি, কিন্তু অভিজ্ঞ গাছিরা জানেন, সময় মতো প্রস্তুতি না নিলে ভালো রস পাওয়া যায় না। তবে গাছের সংকটের কারণে এবারও চাহিদামতো রস পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
শালিখা উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের গাছি ছুরাপ মিয়া বলেন, শীতের শুরুতেই গাছ পরিষ্কার করে প্রস্তুত করি। এরপরই রস সংগ্রহ শুরু হয়। এই রস দিয়েই আমরা তৈরি করি পাটালি আর ঝোলা গুড়। এগুলো বিক্রি করেই চলে আমাদের সংসার।
তালখড়ি ইউনিয়নের ছান্দড়া গ্রামের গাছি কুদ্দুস আলী বলেন, এই বছর তিন পন বা প্রায় ২৪০টি খেজুর গাছ কেটেছি। গত বছরের চেয়ে একটু কম। এখন গাছ কমে গেছেপ্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আবার অনেক জায়গায় ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবেও খেজুর গাছ কাটা হচ্ছে।
সাধারণত প্রতি বছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় চার মাস খেজুর রস ও গুড় সংগ্রহের মৌসুম। খেজুরের রস শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। গ্রামীণ জীবনে এই রস ও গুড় একদিকে যেমন শীতের মিষ্টি আনন্দের উৎস, অন্যদিকে স্থানীয় অর্থনীতিরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
শ্রীপুর উপজেলার তারাউজিয়াল গ্রামের গাছি রাজেক বিশ্বাস বলেন, এক সময় অনেক খেজুর কাছ কেটেছি তখন অনেক রস সংগ্রহ করতাম। এখনো রসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে কিন্তু দিন দিন শ্রীপুর উপজেলায় খেজুর গাছ হারিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, খেজুর গাছ একদিকে ছায়া ও অক্সিজেন দেয়, অপরদিকে তার রস ও গুড় গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চার করে। তাই বিলুপ্তপ্রায় এই ঐতিহ্য রক্ষায় এখনই উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
শালিখা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবুল হোসেন বলেন, বর্তমানে উপজেলায় প্রায় ২৬ হাজার খেজুর গাছ রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে আমরা কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছি যেন সড়কের দুই ধারসহ পতিত জমিতে বেশি বেশি খেজুর গাছ লাগানো হয়। খেজুর গাছ ফসলের কোনো ক্ষতি করে না, বরং অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই এই গাছ রস ও গুড়ের চাহিদা মেটাতে পারে।
তিনি আরও বলেন কৃষক ও সাধারণ মানুষ যদি একযোগে সচেতন হয়ে উদ্যোগ নেন, তাহলে গ্রামাঞ্চল আবারও ভরে উঠবে খেজুর গাছের সারি আর মিষ্টি রসের মনমাতানো সুবাসে।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৫

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৬
পরশুরামের চিথলিয়ায় যুবদল নেতা কাজী রবিউল হোসেন জিহাদের(৪০) বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জিহাদ চিথলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলীরকুল গ্রামের কাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।
শুক্রবার(৭ নভেম্বর) রাত দুইটায় উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলির কুল গ্রামে জিহাদের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পরশুরাম থানা পুলিশ। এ সময় তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বস্তা ভর্তি ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত থ্রি-পিস গুলো গণনা করে ২১১ পিস বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম শাকিল বলেন, যুবদলের কেউ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ।
পরশুরামের চিথলিয়ায় যুবদল নেতা কাজী রবিউল হোসেন জিহাদের(৪০) বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জিহাদ চিথলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলীরকুল গ্রামের কাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।
শুক্রবার(৭ নভেম্বর) রাত দুইটায় উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলির কুল গ্রামে জিহাদের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পরশুরাম থানা পুলিশ। এ সময় তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বস্তা ভর্তি ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত থ্রি-পিস গুলো গণনা করে ২১১ পিস বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম শাকিল বলেন, যুবদলের কেউ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ।

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:৩৮
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আক্তার হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দালালকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল মো. আক্তার হোসেন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। গত বছরও জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জরুরি বিভাগে ওই দালালকে দেখে তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ না মেনে তর্কে জড়িয়ে ডা. মহিবুস সালামের ওপর চড়াও হন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখার জন্য আমরা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সচেতনতামূলক প্রচারণার বিলবোর্ড টানিয়েছি। দুপুরে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বের হতে বললে সে না গিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর আক্রমণ চালায় এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আক্তার হোসেনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আবার প্রবেশ করলে পুনরায় জেল দেওয়া হবে।’
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আক্তার হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দালালকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল মো. আক্তার হোসেন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। গত বছরও জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জরুরি বিভাগে ওই দালালকে দেখে তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ না মেনে তর্কে জড়িয়ে ডা. মহিবুস সালামের ওপর চড়াও হন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখার জন্য আমরা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সচেতনতামূলক প্রচারণার বিলবোর্ড টানিয়েছি। দুপুরে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বের হতে বললে সে না গিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর আক্রমণ চালায় এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আক্তার হোসেনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আবার প্রবেশ করলে পুনরায় জেল দেওয়া হবে।’

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬
দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আট দিনে ১৯৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।
এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য এবং দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আট দিনে ১৯৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।
এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য এবং দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.