https://joinnavy.navy.mil.bd/

ভোলা

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞার খবরে উপকূলে অস্থিরতা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৩৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞার খবরে উপকূলে অস্থিরতা

ভোলার মনপুরায় বিগত বছরে এই সময়ে ইলিশের ছড়াছড়ি থাকলেও এবার জেলেদের জালে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার ৫০ হাজার জেলে পরিবার। এদিকে ইলিশসহ মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এতেই উপজেলাজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করেছে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাঝে। পরিবারে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া।

জানা গেছে, গত বছর ১২ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞার সময় শুরু হলেও এবার ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত ইলিশ নিধন ও সংরক্ষণ নিষেধ করেছে সরকার। তবে এই বছরের সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবর্তনের দাবি করছেন জেলে ও মৎস্য ব্যসায়ীরা।

জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, ভরা মৌসুমে নদী ও সাগরে ইলিশ ধরা পড়েনি। খালি হাতে ফিরছে বেশিরভাগ জেলে। যখনি নদী ও সাগরে ইলিশ দেখা মিলছে, তখনই সরকার মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবর্তনের দাবি করেন তারা।

তারা আরও জানান, প্রতি বছর বাংলাদেশে যখন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, তখন ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ ইলিশ শিকার করেন। তাই তারা ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞার সময় নির্ধারণের দাবি করেন।

জনতা বাজার এলাকার সমুদ্রগামী টলারের জেলে রফিক জানান, গত দুই বছর নিষেধাজ্ঞা পালন করতে গিয়ে তার শতকোটি টাকার ক্ষতি হয়। এছাড়াও এই বছরে ইলিশ শিকার করে যা আয় করছেন তা ঋণ পরিশোধ করে হাতে কিছু থাকছে না। এতে তার সংসারে অভাব ছাড়ছে না।

মাস্টারহাট এলাকার জেলে হোসেন মাঝি জানান, কিস্তির বোঝা মাথায় নিয়ে প্রতিনিয়ত মেঘনায় জাল ফেলে আসছি। কোনো দিন খালি হাতে ফিরেছি, আবার কোনো দিন দু-একটা ইলিশ নিয়ে ফিরেছি।

এখন যখন আজকাল কমবেশি ইলিশ পড়তে শুরু করেছে, শুনছি সরকার মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এতে করে দেনা কীভাবে মিটাব আবার নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবারের খরচ কীভাবে জোগাড় করব তা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।

হাজিরহাট ঘাটের মাঝি আবব্দুর রব, মিজান, সফিজলসহ অনেক জেলেরা অভিযোগ করেন, নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারি সাহায্য তারা পান না। এতে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়।

মৎস্য ব্যবসায়ী হাবিব, হেলাল ও লিটন শাহ জানান, গত ২০ বছর ধরে ইলিশের ব্যবসা করে আসছি। যখন জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়া শুরু করছে তখনই সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দিয়েছে। তবে গত বছর ১২ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এই বছর ৩ অক্টোবর কেন দেওয়া হলো তা তারা বুঝতে পারছে না। তাই তারা নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবর্তনের দাবি করছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা না থাকায় উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী মো. মনির জানান, জেলেরা নিষেধাজ্ঞা পেছানোর দাবি করেছেন। তবে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা লালমোহন মৎস্য কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।

মনপুরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলী আখতার জানান, নদীতে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ইলিশের সংরক্ষণ কমে গেছে। তবে মা ইলিশ রক্ষা করা গেলে আগামীতে জেলেদের জালে ইলিশের দেখা মিলবে। তাই সরকারের নিষেধাজ্ঞার যাতে সঠিকভাবে পালন করা হয় সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় আগামী ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ২২ দিনের বিশেষ অভিযান চালানো হবে। এ সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ থাকবে। এ অভিযানে মৎস্য কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অংশ নেবে।

আরও পড়ুন:

লালমোহনে ৭০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আটক

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:৩২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

লালমোহনে ৭০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আটক

ভোলার লালমোহন উপজেলায় সাতশত পিস ইয়াবাসহ মো. রুবেল (৩৮) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক মো. রুবেল উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বালুরচর এলাকার মো. আসমত আলীর ছেলে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমোহন থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ। এ সময় ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ জানান, বাংলাদেশ পুলিশ মাদক এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় লালমোহন থানা পুলিশও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, কালমা ইউনিয়নের বালুর চর এলাকায় মাদক কারবার হচ্ছে। পরে সেখানে থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে রুবেল নামে একজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে সাতশত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মাদকবিরোধী এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

‘গরুর গাড়ি’ প্রতীকে নির্বাচনে লড়বেন আন্দালিব রহমান পার্থ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:২৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

‘গরুর গাড়ি’ প্রতীকে নির্বাচনে লড়বেন আন্দালিব রহমান পার্থ

ভোলা-১ আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভিডিও কলের মাধ্যমে দলীয় প্রতীক ‘গরুর গাড়ি মার্কা’ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। ঘোষণার পরই ভোলায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়।

আজ (বুধবার, ৫ নভেম্বর) ভোলা জেলা বিজেপির সমাবেশ, গরুর গাড়ির মার্কার প্রচারণা ও র‌্যালীর আয়োজন করে। সকাল থেকে নেতাকর্মীরা ভোলা শহরের নতুন বাজারে দলীয় কার্যালয় এসে ঝড়ো হতে শুরু করে। সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা বিজেপি কার্যালয় থেকে গরুর গাড়ির বিশাল নির্বাচনি প্রচারণা ও র‌্যালী বের হয়।

প্রায় অর্ধ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মিছিলে হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেন। হাতে ব্যানার, ফেস্টুন ও গরুর গাড়ি প্রতীকের পোস্টার নিয়ে তারা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলে। র‌্যালীটি নতুন বাজার, বাংলাস্কুল মোড়, সদর রোড, চকবাজার হয়ে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এসময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মোতাছিন বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিজেপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রভাষক মো. নুরন্নবী, যুব সংহতির জেলা সভাপতি নুরে আলম টিটু, শ্রমিক পার্টির সভাপতি জামাল উদ্দিন চকেট প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ভোলা-১ আসনে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী। তার প্রার্থিতা ঘোষণার পর নেতাকর্মীরা আরও সংগঠিত হচ্ছে। ভোলার জনগণ একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে পার্থ সাহেবকে ভালোবাসেন এবং পছন্দ করেন। ভোলার উন্নয়নের স্বার্থে পার্থকে গরুর গাড়ি মার্কার বিকল্প নেই। তারা আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন নির্বাচনে জনগণ গরুর গাড়ি প্রতীকের পক্ষে রায় দেবে।

একই আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর।

ভোলায় ৬৭৮ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৪ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:৪৩

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভোলায় ৬৭৮ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিপুল পরিমাণ পলিথিন মজুদ রাখার অভিযোগে ভোলায় ৬৭৮ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ জব্দ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ভোলা সদরের আলীয়া মাদ্রাসা সড়কের পুরাতন লঞ্চঘাট স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব পলিথিন জব্দ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর ভোলা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. তোতা মিয়া।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি কাভার্ড ভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে ৬ বস্তা নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ পাওয়া যায়। প্রতিটি বস্তার ওজন প্রায় ১১৩ কেজি করে, সর্বমোট ৬৭৮ কেজি পলিথিন উদ্ধার করা হয়। তবে জব্দকৃত পলিথিনের প্রকৃত মালিককে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে কেউকে আটক বা জরিমানা করা যায়নি।

অভিযানে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের একটি বিশেষ টিম সহায়তা প্রদান করে। পরবর্তীতে জব্দ করা পলিথিন ব্যাগ ধ্বংস করা হয়।

সহকারী পরিচালক মো. তোতা মিয়া বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালিত হবে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.