
০৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৩১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নিজ আসন পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) এ প্রার্থী দেয়নি বিএনপি।
একইভাবে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের নিজ আসন বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ ও মুলাদী) এ প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। দলের ঘোষিত ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় এই দুইটিসহ বিভাগের আরো ৫টি আসনে প্রার্থীর নাম নেই। বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, আসন ৫টি নুরুল হক নুর এবং আসাদুজ্জামান ফুয়াদসহ শরীকদের জন্যই ‘খালি’ রাখা হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিক সম্মেলনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন।
এদিন পটুয়াখালী জেলার চারটি আসনের মধ্যে ১ ও ৪ নম্বর আসনে প্রার্থী দেওয়া হলেও ২ ও ৩ নম্বর আসন শূন্য রাখা হয়। অপরদিকে বরিশালের ৬টি আসনের মধ্যে বরিশাল-৩ আসন শূন্য রাখা হয়।
পটুয়াখালী-২ আসনেও প্রার্থী দেওয়া হয়নি।
সেখানে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নাম আলোচনায় রয়েছে। স্থানীয় রাজনীতির মাঠে এখন জোটের হিসাব–নিকাশই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
ঘোষিত তালিকায় পটুয়াখালী-১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। আর পটুয়াখালী-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন।
তবে ২ ও ৩ আসনে কেন প্রার্থী দেওয়া হয়নি, সে বিষয়ে দলের ভেতরে নানা আলোচনা চলছে। কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, ওই দুই আসনে শরিক দলের সমন্বয় ও প্রভাবশালী সম্ভাব্য প্রার্থীদের উপস্থিতির কারণে ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত’ স্থগিত রাখা হয়েছে।
পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন। বিএনপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর সন্ধ্যায় তিনি নিজের ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘প্রিয় গলাচিপা-দশমিনাবাসী, আপনারা ধৈর্য ও আশঙ্কামুক্ত থাকুন। যেকোনো পরিস্থিতিতেই পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করবে ইনশাআল্লাহ।’
অন্যদিকে, ওই আসন থেকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ইতোমধ্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। স্থানীয় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে সমন্বয়ের ইঙ্গিতও মিলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে লিখছেন, আসনটি মূলত নুরুল হক নুরের জন্যই ফাঁকা রাখা হয়েছে।
এদিকে বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) এস সরফুদ্দিন সান্টু, বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) রাজীব আহসান, বরিশাল-৫ (মহানগর ও সদর উপজেলা) মজিবর রহমান সরোয়ার এবং বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আবুল হোসেন খান।
তবে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) শূন্য রাখা হয়েছে। মনোনয়ন আলোচনার শীর্ষে থাকা বরিশাল-৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। মুলাদী-বাবুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে মনোনয়ন আলোচনায় রয়েছেন দলের দুই শীর্ষ নেতা। তারা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
তবে আসনটিতে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি নির্বাচনে অংশ নিলে জোটের স্বার্থে বিএনপির পক্ষ থেকে আসনটি ছাড় দেওয়া হতে পারে বলে আলোচনা দীর্ঘদিনের। সেই আলোচনা আরো তীব্র করেছে আসনটিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করা।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নিজ আসন পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) এ প্রার্থী দেয়নি বিএনপি।
একইভাবে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের নিজ আসন বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ ও মুলাদী) এ প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। দলের ঘোষিত ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় এই দুইটিসহ বিভাগের আরো ৫টি আসনে প্রার্থীর নাম নেই। বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, আসন ৫টি নুরুল হক নুর এবং আসাদুজ্জামান ফুয়াদসহ শরীকদের জন্যই ‘খালি’ রাখা হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিক সম্মেলনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন।
এদিন পটুয়াখালী জেলার চারটি আসনের মধ্যে ১ ও ৪ নম্বর আসনে প্রার্থী দেওয়া হলেও ২ ও ৩ নম্বর আসন শূন্য রাখা হয়। অপরদিকে বরিশালের ৬টি আসনের মধ্যে বরিশাল-৩ আসন শূন্য রাখা হয়।
পটুয়াখালী-২ আসনেও প্রার্থী দেওয়া হয়নি।
সেখানে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নাম আলোচনায় রয়েছে। স্থানীয় রাজনীতির মাঠে এখন জোটের হিসাব–নিকাশই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
ঘোষিত তালিকায় পটুয়াখালী-১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। আর পটুয়াখালী-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন।
তবে ২ ও ৩ আসনে কেন প্রার্থী দেওয়া হয়নি, সে বিষয়ে দলের ভেতরে নানা আলোচনা চলছে। কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, ওই দুই আসনে শরিক দলের সমন্বয় ও প্রভাবশালী সম্ভাব্য প্রার্থীদের উপস্থিতির কারণে ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত’ স্থগিত রাখা হয়েছে।
পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন। বিএনপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর সন্ধ্যায় তিনি নিজের ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘প্রিয় গলাচিপা-দশমিনাবাসী, আপনারা ধৈর্য ও আশঙ্কামুক্ত থাকুন। যেকোনো পরিস্থিতিতেই পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করবে ইনশাআল্লাহ।’
অন্যদিকে, ওই আসন থেকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ইতোমধ্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। স্থানীয় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে সমন্বয়ের ইঙ্গিতও মিলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে লিখছেন, আসনটি মূলত নুরুল হক নুরের জন্যই ফাঁকা রাখা হয়েছে।
এদিকে বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) এস সরফুদ্দিন সান্টু, বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) রাজীব আহসান, বরিশাল-৫ (মহানগর ও সদর উপজেলা) মজিবর রহমান সরোয়ার এবং বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আবুল হোসেন খান।
তবে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) শূন্য রাখা হয়েছে। মনোনয়ন আলোচনার শীর্ষে থাকা বরিশাল-৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। মুলাদী-বাবুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে মনোনয়ন আলোচনায় রয়েছেন দলের দুই শীর্ষ নেতা। তারা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
তবে আসনটিতে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি নির্বাচনে অংশ নিলে জোটের স্বার্থে বিএনপির পক্ষ থেকে আসনটি ছাড় দেওয়া হতে পারে বলে আলোচনা দীর্ঘদিনের। সেই আলোচনা আরো তীব্র করেছে আসনটিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করা।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি।

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১৫
দীর্ঘ ১৮ বছর প্রবাস জীবন শেষে দেশের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার আগমনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন অধ্যায় তৈরী হবে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। একই সাথে আগামীতে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার যে সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে এর প্রথম ধাপের সূচনা হবে ২৫শে ডিসেম্বর। এদিন তাকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। সারাদেশ থেকে এদিন লাখ লাখ মানুষ অবস্থান করবেন ঢাকা শহরে। শুধু নেতাকর্মীরাই নয় সমর্থকরাও যাবেন একনজর তারেক রহমানকে দেখতে। বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা থেকে লাখো মানুষ ঢাকায় যাবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা আছেন তাদের পাশাপাশি যারা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের নেতৃত্বেও লোকসমাগম করা হবে বলে জানাগেছে। একাধিক বিএনপি নেতা জানান, তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে লঞ্চ-বাস সহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন অগ্রীম ভাড়া করা হয়েছে। এখন রীতিমত যানবাহনের সংকট দেখা দিয়েছে। যে সংখ্যক লোক টার্গেট তার অর্ধেকও হয়তো যেতে পারবেন না যানবাহন সংকটের কারণে। এজন্য অনেকই আগেভাগে ঢাকা অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বেশিরভাগ নেতাকর্মী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকায় অবস্থান করার টার্গেট নিয়েছেন। অনেকে আবার ২২ ডিসেম্বরই বরিশাল ছেড়ে রাজধানীতে অবস্থান করার কথা বলেছেন।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবীর বলেন, তারেক রহমান দেশে আসার সাথে সাথে নতুন অধ্যায় তৈরী হবে। পাশাপাশি দলের মধ্যে ফিরে আসবে শৃঙ্খলা। জাহিদ বলেন আমার নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ঢাকা যাবে। ইতিমধ্যে সেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
জেলা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহীন বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে ২৫ ডিসেম্বর। এতবছর দেশের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে, বিএনপির বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্র হয়েছে আমি মনে করি এর সবকিছুর অবসান হবে তারেক রহমানের দেশের মাটিতে পা রাখার মধ্য দিয়ে। তাকে বরণ করতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা শুধু জেলা দক্ষিণ বিএনপির পক্ষ থেকেই প্রায় ২০ হাজার লোকের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে আমরা মহানগরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এখানে শুধু দলীয় নেতাকর্মীরাই নয়, সমর্থকরাও ঢাকায় যেতে চাইছেন। তবে তার আগমনকে কেন্দ্র করে যানবাহনের সংকট দেখা দিয়েছে। এজন্য মহানগর বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ২/১দিন আগেই ঢাকায় অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ের প্রথম ধাপ রচিত হবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর। এদিন কোটি জনতা তারেক রহমানকে বরণ করবেন। বরিশাল থেকে হাজার হাজার মানুষ নিজ উদ্যোগেই দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেখতে যাবেন। পাশাপাশি আমরাও অর্গানাইজ করছি। রহমাতুল্লাহ বলেন, তারেক রহমান যাতে দেশে আসতে না পারে সেজন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। ওসমান হাদি কে হত্যা তারই অংশ বলে আমি মনে করি।
বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, দীর্ঘবছর পর তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। তার এই আগমনের দিন নতুন এক ইতিহাস রচিত হবে। এ দিন লাখ লাখ লোকের সমাগম হবে ঢাকা শহরে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আগমনে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সমর্থকরাও বেশ উজ্জীবিত।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সদর আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, তারেক রহমান যখন বাংলাদেশে আসতেছেন তখন পরিবেশটা বিএনপির পক্ষে। তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড। আপনারা জানেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন, তারেক রহমান প্রায় ১৮ বছর লন্ডনে। কিন্তু তিনি (তারেক রহমান) বিদেশে বসে থাকেননি। লন্ডনে বসেই সকল আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশে^র অনেক বড় বড় নেতা দেশের বাইরে থেকে সংগ্রাম করেছেন। তারেক রহমানও তাদের একজন। তিনি যেদিন আসবেন পুরো ঢাকার শহর ব্লক হয়ে যাবে। তার প্রতি ভালবাসা শুধু দলীয় নেতাকর্মীদের নয়, সারাদেশের মানুষের; সেটার বহি:প্রকাশ ঘটবে ২৫শে ডিসেম্বর।
দীর্ঘ ১৮ বছর প্রবাস জীবন শেষে দেশের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার আগমনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন অধ্যায় তৈরী হবে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। একই সাথে আগামীতে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার যে সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে এর প্রথম ধাপের সূচনা হবে ২৫শে ডিসেম্বর। এদিন তাকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। সারাদেশ থেকে এদিন লাখ লাখ মানুষ অবস্থান করবেন ঢাকা শহরে। শুধু নেতাকর্মীরাই নয় সমর্থকরাও যাবেন একনজর তারেক রহমানকে দেখতে। বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা থেকে লাখো মানুষ ঢাকায় যাবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা আছেন তাদের পাশাপাশি যারা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের নেতৃত্বেও লোকসমাগম করা হবে বলে জানাগেছে। একাধিক বিএনপি নেতা জানান, তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে লঞ্চ-বাস সহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন অগ্রীম ভাড়া করা হয়েছে। এখন রীতিমত যানবাহনের সংকট দেখা দিয়েছে। যে সংখ্যক লোক টার্গেট তার অর্ধেকও হয়তো যেতে পারবেন না যানবাহন সংকটের কারণে। এজন্য অনেকই আগেভাগে ঢাকা অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বেশিরভাগ নেতাকর্মী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকায় অবস্থান করার টার্গেট নিয়েছেন। অনেকে আবার ২২ ডিসেম্বরই বরিশাল ছেড়ে রাজধানীতে অবস্থান করার কথা বলেছেন।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবীর বলেন, তারেক রহমান দেশে আসার সাথে সাথে নতুন অধ্যায় তৈরী হবে। পাশাপাশি দলের মধ্যে ফিরে আসবে শৃঙ্খলা। জাহিদ বলেন আমার নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ঢাকা যাবে। ইতিমধ্যে সেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
জেলা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহীন বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে ২৫ ডিসেম্বর। এতবছর দেশের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে, বিএনপির বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্র হয়েছে আমি মনে করি এর সবকিছুর অবসান হবে তারেক রহমানের দেশের মাটিতে পা রাখার মধ্য দিয়ে। তাকে বরণ করতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা শুধু জেলা দক্ষিণ বিএনপির পক্ষ থেকেই প্রায় ২০ হাজার লোকের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে আমরা মহানগরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এখানে শুধু দলীয় নেতাকর্মীরাই নয়, সমর্থকরাও ঢাকায় যেতে চাইছেন। তবে তার আগমনকে কেন্দ্র করে যানবাহনের সংকট দেখা দিয়েছে। এজন্য মহানগর বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ২/১দিন আগেই ঢাকায় অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ের প্রথম ধাপ রচিত হবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর। এদিন কোটি জনতা তারেক রহমানকে বরণ করবেন। বরিশাল থেকে হাজার হাজার মানুষ নিজ উদ্যোগেই দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেখতে যাবেন। পাশাপাশি আমরাও অর্গানাইজ করছি। রহমাতুল্লাহ বলেন, তারেক রহমান যাতে দেশে আসতে না পারে সেজন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। ওসমান হাদি কে হত্যা তারই অংশ বলে আমি মনে করি।
বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, দীর্ঘবছর পর তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। তার এই আগমনের দিন নতুন এক ইতিহাস রচিত হবে। এ দিন লাখ লাখ লোকের সমাগম হবে ঢাকা শহরে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আগমনে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সমর্থকরাও বেশ উজ্জীবিত।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সদর আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, তারেক রহমান যখন বাংলাদেশে আসতেছেন তখন পরিবেশটা বিএনপির পক্ষে। তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড। আপনারা জানেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন, তারেক রহমান প্রায় ১৮ বছর লন্ডনে। কিন্তু তিনি (তারেক রহমান) বিদেশে বসে থাকেননি। লন্ডনে বসেই সকল আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশে^র অনেক বড় বড় নেতা দেশের বাইরে থেকে সংগ্রাম করেছেন। তারেক রহমানও তাদের একজন। তিনি যেদিন আসবেন পুরো ঢাকার শহর ব্লক হয়ে যাবে। তার প্রতি ভালবাসা শুধু দলীয় নেতাকর্মীদের নয়, সারাদেশের মানুষের; সেটার বহি:প্রকাশ ঘটবে ২৫শে ডিসেম্বর।

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৪
টাকা উত্তোলন ব্যায় বাড়লেও বরিশালে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথে গ্রাহক হয়রানি কমছেনা। সাপ্তাহিক ছুটি সহ যেকোন বন্ধের দিনগুলোতে বুথ থেকে টাকা তুলতে নাকাল হচ্ছেন গ্রাহকরা। তারল্য সংকট আড়াল করতে গত বছর আগষ্ট থেকে বিভিন্ন ব্যাংক নানা অজুহাতে এটিএম বুথ থেকে গ্রাহকদের টাকা প্রদান সীমিতকরণের পাশাপাশি নানাভাবে নিরুৎসাহিত করছে। যা গ্রাহক হয়রানিকে ক্রমশ বৃদ্ধি করে চললেও বিষয়গুলো নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনেকটাই নির্বিকার। এমনকি বরিশাল অঞ্চলের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ঠিক কতগুলো এটিএম বুথ রয়েছে তাও জানে না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বরিশাল অফিস।
বিদ্যমান বুথগুলোতে গ্রাহক হয়রানির বিষয়গুলোও কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির কাছে অনেকটাই অবান্তর বলেই মনে হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে যতবারই বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের দায়িত্বশীল মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে,ততবারই নানাভাবে এড়িয়ে গেছেন দয়িত্বশীল কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে মতামত জানতে গত কয়েকদিন ধরেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির বরিশাল অফিসের নির্বাহী পরিচালকের দাপ্তরিক সেলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোন সাড়া মেলেনি।
তবে একাধিক সূত্রের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের আওতাভুক্ত এলাকায় সরকারি-বেসরকারী ৩৬টি ব্যাংকের সহ¯্রাধিক ফাষ্ট ট্র্যাক সহ এটিএম বুথে প্রতিদিন লক্ষাধিক গ্রাহক নগদ টাকা উত্তোলন ও জমা করে থাকেন। কিন্তু গত বছর আগষ্টের পটপরিবর্তনের পরে প্রায় সব ব্যাংকই তাদের এটিএম বুথ থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা প্রদান সীমিত করেছে। ইতোপূর্বে বুথগুলো থেকে গ্রাহকদের একবারে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রদান করা হলেও এখন দশ হাজার টাকার বেশী দেয়া হচ্ছেনা । এমনকি নিজ ব্যাংকের বাইরে অন্য ব্যাংকের বুথ থেকে গ্রাহকদের আগে প্রতিবারের লেনদেনে ২০ হাজার টাকা উত্তোলনে ১৫ টাকা চার্জ ধার্য্য থাকলেও এখন ১০ হাজার টাকা উত্তোলনেই ২০ টাকা চার্জ প্রদান করতে হচ্ছে। কিন্ত সে চার্জ প্রদান করেও এখন বেশীরভাগ ব্যাংকের বুথ থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকরা টাকা তুলতে পারছেন না।
শুধুমাত্র ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথ এবং ফাষ্ট ট্র্যাকের এটিএম ও সিআরএম মেশিন থেকে প্রায় সব ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা প্রদান করা হলেও সেসব স্থাপনায়ও রাত ৯টার পরে ১টি মেশিন চালু রেখে অন্যগুলোতে গ্রাহকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এমনকি ঈদ সহ যে কোন লম্বা ছুটির সময়ও ব্যাংকটির সব ফাষ্ট ট্র্যাকেই মাত্র ১টি করে সিআরএম মেশিন চালু রেখে অন্যসবগুলো আটকে দেয়া হয়। ডাচ-বাংলার বুথ ও ফাষ্ট ট্র্যাকগুলোতে প্রায় সব ব্যাংকের কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান করা হলেও সেখানেও ইতোপূর্বের ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১০ হাজার টাকায় সীমিত করা হয়েছে।
ডাচ-বাংলার পরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে’এর এটিএম বুথের সংখ্যা বেশী থাকলেও গত বছর আগষ্ট থেকে সেখানেও অন্য সব ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান বন্ধ রাখা হচ্ছে প্রায়শই। তবে রাষ্ট্রীয় রূপালী ব্যাংকের হাতেগোনা কয়কটি বুথে বেশীরভাগ ব্যাংকের কার্ডের বিপরিতে টাকা পরিশোধ করা হলেও অনেক নামিদামী ব্যাংগুলোও এক্ষেত্রে রক্ষনশীল ভূমিকা পালন করায় সাধারন মানুষের দুর্ভোগ সব বর্ণনার বাইরে। এমনকি সীমিত কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে অন্যসব ব্যাংকের এটিএম কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান করা হলেও কোন বুথ থেকেই এককালীন ১০ হাজারের বেশী টাকা প্রদান করা হচ্ছে না।
অপরদিকে অতি সম্প্রতি যে ৫টি রুগ্ন ব্যাংক নিয়ে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক চালু করা হচ্ছে,সেসব ব্যাংকগুলোর সব বুথই ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঐসব ব্যাংক গ্রাহকদের দুর্ভোগ এখন সব বর্ণনার বাইরে। ফলে অন্য ব্যাংকের বুথে চাপ বাড়ছে। ডাচ-বাংলা সহ কয়েকটি ব্যাংকের বুথে দিন-রাতই গ্রাহকের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়না। এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের নির্বাহী পরিচালকের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
টাকা উত্তোলন ব্যায় বাড়লেও বরিশালে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথে গ্রাহক হয়রানি কমছেনা। সাপ্তাহিক ছুটি সহ যেকোন বন্ধের দিনগুলোতে বুথ থেকে টাকা তুলতে নাকাল হচ্ছেন গ্রাহকরা। তারল্য সংকট আড়াল করতে গত বছর আগষ্ট থেকে বিভিন্ন ব্যাংক নানা অজুহাতে এটিএম বুথ থেকে গ্রাহকদের টাকা প্রদান সীমিতকরণের পাশাপাশি নানাভাবে নিরুৎসাহিত করছে। যা গ্রাহক হয়রানিকে ক্রমশ বৃদ্ধি করে চললেও বিষয়গুলো নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনেকটাই নির্বিকার। এমনকি বরিশাল অঞ্চলের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ঠিক কতগুলো এটিএম বুথ রয়েছে তাও জানে না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বরিশাল অফিস।
বিদ্যমান বুথগুলোতে গ্রাহক হয়রানির বিষয়গুলোও কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির কাছে অনেকটাই অবান্তর বলেই মনে হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে যতবারই বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের দায়িত্বশীল মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে,ততবারই নানাভাবে এড়িয়ে গেছেন দয়িত্বশীল কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে মতামত জানতে গত কয়েকদিন ধরেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির বরিশাল অফিসের নির্বাহী পরিচালকের দাপ্তরিক সেলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোন সাড়া মেলেনি।
তবে একাধিক সূত্রের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের আওতাভুক্ত এলাকায় সরকারি-বেসরকারী ৩৬টি ব্যাংকের সহ¯্রাধিক ফাষ্ট ট্র্যাক সহ এটিএম বুথে প্রতিদিন লক্ষাধিক গ্রাহক নগদ টাকা উত্তোলন ও জমা করে থাকেন। কিন্তু গত বছর আগষ্টের পটপরিবর্তনের পরে প্রায় সব ব্যাংকই তাদের এটিএম বুথ থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা প্রদান সীমিত করেছে। ইতোপূর্বে বুথগুলো থেকে গ্রাহকদের একবারে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রদান করা হলেও এখন দশ হাজার টাকার বেশী দেয়া হচ্ছেনা । এমনকি নিজ ব্যাংকের বাইরে অন্য ব্যাংকের বুথ থেকে গ্রাহকদের আগে প্রতিবারের লেনদেনে ২০ হাজার টাকা উত্তোলনে ১৫ টাকা চার্জ ধার্য্য থাকলেও এখন ১০ হাজার টাকা উত্তোলনেই ২০ টাকা চার্জ প্রদান করতে হচ্ছে। কিন্ত সে চার্জ প্রদান করেও এখন বেশীরভাগ ব্যাংকের বুথ থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকরা টাকা তুলতে পারছেন না।
শুধুমাত্র ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথ এবং ফাষ্ট ট্র্যাকের এটিএম ও সিআরএম মেশিন থেকে প্রায় সব ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা প্রদান করা হলেও সেসব স্থাপনায়ও রাত ৯টার পরে ১টি মেশিন চালু রেখে অন্যগুলোতে গ্রাহকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এমনকি ঈদ সহ যে কোন লম্বা ছুটির সময়ও ব্যাংকটির সব ফাষ্ট ট্র্যাকেই মাত্র ১টি করে সিআরএম মেশিন চালু রেখে অন্যসবগুলো আটকে দেয়া হয়। ডাচ-বাংলার বুথ ও ফাষ্ট ট্র্যাকগুলোতে প্রায় সব ব্যাংকের কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান করা হলেও সেখানেও ইতোপূর্বের ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১০ হাজার টাকায় সীমিত করা হয়েছে।
ডাচ-বাংলার পরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে’এর এটিএম বুথের সংখ্যা বেশী থাকলেও গত বছর আগষ্ট থেকে সেখানেও অন্য সব ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান বন্ধ রাখা হচ্ছে প্রায়শই। তবে রাষ্ট্রীয় রূপালী ব্যাংকের হাতেগোনা কয়কটি বুথে বেশীরভাগ ব্যাংকের কার্ডের বিপরিতে টাকা পরিশোধ করা হলেও অনেক নামিদামী ব্যাংগুলোও এক্ষেত্রে রক্ষনশীল ভূমিকা পালন করায় সাধারন মানুষের দুর্ভোগ সব বর্ণনার বাইরে। এমনকি সীমিত কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে অন্যসব ব্যাংকের এটিএম কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান করা হলেও কোন বুথ থেকেই এককালীন ১০ হাজারের বেশী টাকা প্রদান করা হচ্ছে না।
অপরদিকে অতি সম্প্রতি যে ৫টি রুগ্ন ব্যাংক নিয়ে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক চালু করা হচ্ছে,সেসব ব্যাংকগুলোর সব বুথই ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঐসব ব্যাংক গ্রাহকদের দুর্ভোগ এখন সব বর্ণনার বাইরে। ফলে অন্য ব্যাংকের বুথে চাপ বাড়ছে। ডাচ-বাংলা সহ কয়েকটি ব্যাংকের বুথে দিন-রাতই গ্রাহকের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়না। এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের নির্বাহী পরিচালকের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০২:০৩
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বাকপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, আটক ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি। ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
বানারীপাড়া থানা পুলিশের ওসি মজিবর রহমান আওয়ামীলীগ নেতা এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটকের বিষয়টি বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ডেভিল হ্যান্ট ফেজ-২ অপারেশনের অংশ হিসেবে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করা হয়। তিনি বর্তমানে ডিবি হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন থানায় কি মামলা রয়েছে সে বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।’
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বাকপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, আটক ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি। ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
বানারীপাড়া থানা পুলিশের ওসি মজিবর রহমান আওয়ামীলীগ নেতা এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটকের বিষয়টি বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ডেভিল হ্যান্ট ফেজ-২ অপারেশনের অংশ হিসেবে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করা হয়। তিনি বর্তমানে ডিবি হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন থানায় কি মামলা রয়েছে সে বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:২৩
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:১০
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:১৩
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৬