dreamliferupatolibarisal

বরিশাল

জীবন সংগ্রামী নারী মুকুলী বেগমের ভিক্ষায় চলে ৭ সদস্যের সংসার, ঝুপড়ির ঘরে মানবেতর জীবন যাপন

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:৪৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জীবন সংগ্রামী নারী মুকুলী বেগমের ভিক্ষায় চলে ৭ সদস্যের সংসার, ঝুপড়ির ঘরে মানবেতর জীবন যাপন

বরিশালের বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের   দরিদ্র নারী মুকুলী বেগম নিজের জীবনের সব কষ্ট ভুলে পরিবারটিকে টিকিয়ে রেখেছেন ভিক্ষার ওপর নির্ভর করে। সাত সদস্যের এই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনিই।

এক মাস বয়সের শিশু সন্তানকে কাঁধে নিয়ে প্রতিদিন ভোরে তিনি বের হন ভিক্ষার ঝুলি হাতে, ফিরেন সন্ধ্যায় ক্লান্ত শরীরে। তবুও মুখে থাকে অদম্য হাসি, কারণ তাঁর ভিক্ষার টাকাতেই চলছে সাতজনের জীবনযুদ্ধ।

পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন ওই নারী ও তাঁর পরিবার। স্বামী দীর্ঘদিন অসুস্থ, চিকিৎসার অভাবে শয্যাশায়ী। সন্তানদের কারও পড়াশোনা করার সুযোগ নেই অভাবের তাড়নায়। দিনের খাবার জুটলে রাতের চিন্তা, আবার রাতের পর সকালে কী খাবেন সেই অনিশ্চয়তা তাদের নিত্যসঙ্গী।

মুকুলী বেগমের প্রথম বিবাহ হয়েছিল ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার খোকন নামের এক হকার ব্যবসায়ির সাথে। সেখানে তার দুই সন্তানের জন্ম হয়।

স্বামী স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করলে দুই কন্যা সন্তান সুমাইয়া ও হালিমাকে নিয়ে তখন অসহায় হয়ে পরেন মুকুল বেগম। কোন উপায়ান্তর না পেয়ে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের ভ্যানগাড়ি চালক আলমগীর হোসেন এর সাথে দ্বিতীয় বিয়ে আবদ্ধ হয়।

সুখের ঘরে দুখের আগুন ভুলে নতুন করে বাঁচতে সংসার শুরু করলেও সুখ জোটেনি মুকুলী বেগমের কপালে। দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে তিন সন্তানের জন্ম হয় মুকুলী বেগমের।

স্বামী আলমগীর হোসেন ভ্যানগাড়ি চালাতেন। সড়ক দুর্ঘটনায় দীর্ঘদিন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগে কর্মহীন হয়ে পরেছেন। এখন ৭ জনের এই সংসারের হাল ধরেছেন সংগ্রামী এই নারী মুকুলী বেগম। 

মানবতার এই কঠিন বাস্তবতায় সমাজের বিত্তবান ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী অসহায় এই নারী ও তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভিক্ষুক মুকুলী বেগমের ৭ সদস্যের পরিবারটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন। ঘরের উপরে নেই টিনের চালা। ঝড়-বৃষ্টিতে ছিড়ে গিয়ে পলিথিনের চালার ফাক দিয়ে আকাশ দেখা যায়।

খরকুটার তৈরি ঘরে বৃষ্টিতে পানি ঢুকে পরে ঘরের ভিতরে। অসহায় পরিবারের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি কোন বিত্তশালী মানুষ। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য হলেও পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের অসাহায় পরিবারটির বেলায় কথাটি সম্পূর্ণ বিপরীত। পরিবারটির কাছে এসে দেখা যায় জীবন দুর্দশার করুন চিত্র।

কথা হয় মুকুলী বেগমের স্বামী আলমগীর হোসেনের সাথে তিনি জানান, দীর্ঘদিন অসুস্থতার কারনে কাজে যেতে পারছি না। সড়ক দুর্ঘটনায় আমার মেরুদণ্ডে সমস্যা হয়। গ্রাম থেকে মাঝে মধ্যে শাকসবজি নিয়ে বাজারে বিক্রি করতাম।

শারীরিক অসুস্থতা ও অর্থের অভাবে তাও এখন করতে পারতেছি না। স্ত্রীর ভিক্ষায় আমাদের সংসার চলে। খেয়ে না খেয়ে অসুখে - বিসুখে মানবেতর দিন কাটছে আমাদের পরিবারের। অর্থের অভাবে পারিনি মাথা গোঁজার ঠাঁই করতে।

গোয়ার ঘরের মত একটি ঝুপড়ি ঘরে ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে শেষ বয়সে মানবেতর জীবন যাপন করতেছি পরিবার নিয়ে। সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত আমরা।

দারিদ্র্যের কাছে হার না মানা এই নারীর সংগ্রাম আজও নিঃশব্দে বলে যায় জীবন যত কঠিনই হোক, ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধের বন্ধনই মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ বলেন, অসহায় মুকুলী বেগমের পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে। 

বরিশালের সেই ৩৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার কাজ শুরু

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:২২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালের সেই ৩৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার কাজ শুরু

বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।

সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।

জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।

একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’

সীমান্ত দিয়ে পালানোর সময় উজিরপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:২৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

সীমান্ত দিয়ে পালানোর সময় উজিরপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

বরিশালের উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ইকবালকে গ্রেপ্তার করেছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এ খবরটি উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে জানানো হয় বলে সাংবাদিকদের জানান (ওসি) মো. আব্দুস সালাম। ওসি আরও জানান, তবে তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে দিনাজপুর আদালতে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) হাজির করা হবে।

ওসি বলেন, তাকে আটকের পর দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানায় রাখা হয়েছিল। উজিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা রয়েছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ কর্মীদের জানান, এই মুহূর্তে জানানো সম্ভব হচ্ছে না তবে মামলার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি জানাবেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, সাবেক উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী বিরামপুর কাটলা এলাকায় অবৈধ পথে ভারত যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বাকেরগঞ্জে ছাত্রদল নেতা রুবেলের ইন্ধনে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার উপর হামলা! মামলা হলেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ! 

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:৪৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাকেরগঞ্জে ছাত্রদল নেতা রুবেলের ইন্ধনে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার উপর হামলা! মামলা হলেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ! 

বরিশালের বাকেরগঞ্জে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার দ্বন্দ্বের জেরে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।  ঘটনার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের  বোয়ালিয়া এলাকায় গতকাল, ১৫ অক্টোবর( বুধবার) রাত ৯:৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। হামলার পেছনে বোয়ালিয়া গ্রামের স্থানীয় বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রুবেলের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।

আহত রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের সাবেক স্বেচ্ছাসেব দলের আহ্বায়ক তুহিন আকন জানান, সাম্প্রতিক দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধের জের ধরে ছাত্রদল নেতা রুবেল তার আপন ছোট ভাই রনি খান ও রুবেলের অনুসারীদের দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।

রাতে বোয়ালিয়া বাজারে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল গতিরোধ করে হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতে তার উপর চড়াও হয়ে মাথা ও হাতে আঘাত করে। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। 

আহত তুহিন আকন আরো জানান, গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে রুবেল ও তার ভাই রনি এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করার জন্য একাধিক ব্যক্তির উপর হামলা চালিয়েছে।

রনি এলাকায় তার ভাই ছাত্রদল নেতা রুবেলের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বোয়ালিয়া এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এলাকায় মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে রনি খান। তাদের ভয়ে এলাকা সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রুবেল ও তার ভাই রনির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি। 

স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে এই হামলার ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দলীয় অভ্যন্তরীণ বিরোধ থেকে এমন ঘটনাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন উপজেলার সিনিয়র বিএনপি নেতারা।

আহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার পিতা দেলোয়ার হোসেন জানান, আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়েছে রনি ও তার বড় ভাই বরিশাল জেলা ছাত্রদল নেতা রুবেলের অনুসারীরা।

এই ঘটনায় আজকে আমি বাকেরগঞ্জ থানায় ৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছি। যাহার মামলা নম্বর ২০/৩৮৬। তিনি আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায়। 

বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আবুল কালাম আজাদ জানান, বোয়ালিয়া স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার উপর হামলা ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.