dreamliferupatolibarisal

ভোলা

ভোলায় প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত, প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি-বিজেপিসহ অন্যান্য দল

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১২ আগস্ট, ২০২৫ ১২:৩৩

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভোলায় প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত, প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি-বিজেপিসহ অন্যান্য দল

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে ভোলায় সরব হয়ে উঠেছেন রাজনৈতিক নেতারা। এখনও জামায়াত ছাড়া বড় দল বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের প্রার্থী চূড়ান্ত না হলেও মাঠে সক্রিয় রয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোলায় তৃণমূল পর্যায়ে দল গোছাচ্ছে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, বিজেপিসহ সব দল। তবে এখনও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থী চূড়ান্ত না হলেও সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো জেলা। মাঠ গোছাতেও ব্যস্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, কেন্দ্র কমিটি গঠন এবং সদস্য সংগ্রহের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে বিএনপি থেকে একাধিক নেতার মনোনয়ন প্রত্যাশা থাকায় দলের ভেতরে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছেন।

মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং নেতাকর্মীরা জানান, কেন্দ্র থেকে যাকে মনোনয়ন দেবে এবং কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা দেবে, সেটা তারা মেনে নিয়ে তার পক্ষেই কাজ করবেন। এখন সবার অপেক্ষা কেন্দ্র থেকে চূড়ান্তভাবে কার নাম ঘোষণা আসে।

জানা গেছে, বিএনপি, জামায়াত, বিজেপি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ অনেকটাই বেশি। তবে প্রার্থিতার বিষয়ে আপাতত এ জেলায় জাপা এবং এনসিপিসহ অন্যান্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা নেই।

এদিকে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে শহরের অলিগলি, পাড়া-মহল্লা। চারটি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত দ্বীপজেলা ভোলার রাজনৈতিক মাঠ এখন অনেকটাই সরগরম। বিএনপি, বিজেপি এবং জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চোখে পড়ার মতো। তারাই এখন তৃণমূলে মাঠ গোছাতে ব্যস্ত। দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন নেতাকর্মীরা।

ভোলা-১ (সদর) আসনে বিএনপি থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীরের নাম শোনা যাচ্ছে। তার পক্ষে দলীয় শুভেচ্ছা ব্যানার টানিয়ে রাখা হয়েছে শহরের অলিগলিতে।

বিজেপি থেকে দলের চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থের পক্ষে কাজ করছেন নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে জামায়াত থেকে দলের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মাওলানা ওবায়দুর রহমান বিন মোস্তফার নাম শোনা যাচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ ও বিএনপি গোলাম নবী আলমগীর। পিছিয়ে নেই জামায়াত প্রার্থীও।

ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আসন থেকে বিএনপির একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছেন দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিম। এছাড়া একই দল থেকে এবিএম ইব্রাহিম খলিলসহ একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। তারাও বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে চান। এ আসনে জামায়াত থেকে প্রার্থী হচ্ছেন মাওলানা ফজলুল করিম। তবে বিজেপি বা অন্যদলের প্রার্থীদের নাম নিয়ে আলোচনা নেই।

ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসন থেকে বিএনপিতে এককভাবে মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) মহাসচিব নিজামুল হক নাঈমের শোনা গেলেও বিজেপি, জাপা ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম আলোচনায় নেই।

ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থীর নাম আলোচনায় রয়েছে। যাদের মধ্যে সাবেক সংসদ নাজিম উদ্দিম আলম, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিকুল্লা, নুরুল ইসলামাম নয়ন রয়েছেন। এছাড়াও জামায়াত থেকে অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে কামাল উদ্দিন আলোচনায় রয়েছেন। অন্যান্য দলের প্রার্থী এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

বিএনপিতে একাধিক প্রার্থীর বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর বলেন, বিএনপি একটি বড় দল, এ দল থেকে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন চাইতেই পারেন। তবে এখন পর্যন্ত যারা মনোনয়ন চাইছেন, তারা কেউ শক্তিশালী প্রার্থী নন। সবচেয়ে বড় কথা কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা আসবে, আমরা তাই মেনে নেব। তার পক্ষেই কাজ করব।

জানতে চাইলে জামায়াতের ভোলা জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, ভোলার চারটি আসনেই আমাদের প্রার্থী চূড়ান্ত। আমাদের কেন্দ্র কমিটি গঠন করা শেষ, চলছে সদস্য সংগ্রহ। দল পুরোপুরি গোছানো আছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

এ ব্যাপারে এনসিপির ভোলা জেলার প্রধান সমন্বয়ক মেহেদী হাসান শরীফ বলেন, ভোলার চার সংসদীয় আসনে এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি, তবে নির্বাচনকে সমানে রেখে আমরা মাঠ গোছাতে ব্যস্ত আছি।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের দায়ে ভোলায় ১৭ জেলে আটক

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:২৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের দায়ে ভোলায় ১৭ জেলে আটক

ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরার ওপর ২২দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার দায়ে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১৭ জন জেলেকে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন,মৎস্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জব্দ করা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৮৫ কেজি ইলিশ।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেতুলিয়া নদীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রায়হান-উজ্জামান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রণজিৎ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকগণ আটককৃত জেলেদের মধ্যে ১২ জনকে সাত দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। অপরদিকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৪ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এছাড়া একজনকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা জয়। তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায়। বাকিরা ভোলার বোরহানউদ্দিন ও লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রণজিৎ চন্দ্র দাস বলেন, “বোরহানউদ্দিন উপজেলাধীন তেতুঁলিয়া নদীতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনা করে ১৭ জেলেকে আটক করা হয়।

সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ আহরণের অপরাধে মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ (সংশোধিত ২০২৫) এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আটককৃতদের জেল-জরিমানা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের মুচলেকা নিয়ে ছাড়া হয়েছে।

জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে এবং ইলিশ স্থানীয় বিভিন্ন মাদরাসায় বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন,অভিযানে বোরহানউদ্দিন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা,নৌবাহিনী,কোস্ট গার্ড ও পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।

বিআরডিবির জমিতে পৌরসভার সড়ক নির্মাণ! জানেনা বিআরডিবি অফিস 

মাসুম বিল্লাহ, লালমোহন

মাসুম বিল্লাহ, লালমোহন

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:২২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বিআরডিবির জমিতে পৌরসভার সড়ক নির্মাণ! জানেনা বিআরডিবি অফিস 

ভোলার লালমোহনে বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) এর আওতাভুক্ত কৃষক সমবায় সমিতির সদস্যদের শেয়ার ও সঞ্চয় আমানতের অর্থায়নে ক্রয়কৃত জমিতে লালমোহন পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিনা অনুমতিতে নিজেদের মতো প্লান করে সড়ক নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে লালমোহন প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের কাছে লিখিত ভাবে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশের অনুরোধ করেছেন বিআরডিবির সাবেক ৩ চেয়ারম্যান শফিকুল হক, মো. আ: হক ও মো. জহিরুল ইসলাম মাসুদ।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, লালমোহন পৌরসভার ওয়েস্টার্ন পাড়া ৮ নং ওয়ার্ডে বিআরডিবির ইউসিসি লিমিটেড ভুক্ত সমবায়ী কৃষকগণ ২ একর ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করে।

উক্ত জমিতে লালমোহন পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভূমির মালিক কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতি ও আলোচনা ব্যতিত রাস্তা নির্মাণের দরপত্র আহবান পূর্বক কাজ আরম্ভ করে। যাহা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত।

কাজ শুরু করলে উপজেলা পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা বাধা প্রদান করে কাজ বন্ধ করার ব্যবস্থা করেন। এরপর পৌর প্রশাসক বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর ওই জমিতে রাস্তা করার অনুমতির জন্য পত্র প্রেরণ করেন।

বর্তমান লালমোহন উপজেলা কর্মকর্তা মো. শাহ আজিজ পৌর প্রশাসক ও ইউসিসির এডহক কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। গত ৮ বছর ইউসিসির নির্বাচন ব্যতিরেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসিসিকে অকার্যকর রেখে নিজেই চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছে। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর সমবায় সমিতির প্রতিনিধিদের সাধারণ সভা না ডেকে এবং প্রতিনিধিদের সম্মতি ছাড়া এখতিয়ার বহির্ভূত সমিতির জমি অন্য সংস্থাকে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন।

সমবায় সমিতির সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যানদের দাবি বিআরডিবির মহাপরিচালক দ্রুত কৃষকদের স্বার্থে রাস্তার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করে। জমির মালিক কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত কিভাবে টেন্ডার আহবান ও কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা তদন্ত করার জন্য স্থানীয় সরকার ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধ জানান এবং আগামী এক মাসের মধ্যে ইউসিসির কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। 

এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা রিমা আক্তার বলেন, ওই জমিতে আমাদেরকে না জানিয়ে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

তাছাড়া রাস্তাটি করার জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিআরডিবির প্রধান কার্যালয়ে অনুমোদনে জন্য চিঠি পাঠিয়েছে। প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ও সেখান থেকে যে নির্দেশনা প্রদান করবে সে অনুযায়ী পরবর্তী কাজ করা হবে।   

লালমোহন উপজেলা কর্মকর্তা, পৌর প্রশাসক ও ইউসিসির এডহক কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শাহ আজিজ এ ব্যাপারে বলেন, কাজটি পাশ করা হয়েছে আমি লালমোহনে যোগদানের পূর্বে।

তখন বিআরডিবি ও সমিতির সাথে আলোচনা হয়েছে কিনা আমার জানানেই। কাজটি শুরু হয়েছে এখন। ঠিকাদার কাজ শুরু করার পর বিআরডিবির লোকজন বাধা দেয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে আমরা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের জন্য চিঠি পাঠিয়েছি। যেভাবে সিদ্ধান্ত আসবে সে অনুযায়ী

পিআর পদ্ধতির নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না: মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন

মাসুম বিল্লাহ, লালমোহন

মাসুম বিল্লাহ, লালমোহন

১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:৫৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পিআর পদ্ধতির নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না: মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীরবিক্রম) বলেছেন, বর্তমান সরকার ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন।

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে কয়েকটি রাজনৈতিক দল, যাদের কোনো সমর্থন নেই তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তারা নির্বাচনকে বানচাল বা বিলম্বিত করার জন্য নানান ধরনের উদ্ভট দাবি শুরু করেছে।

যার একটি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। এই পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে জনগণ প্রার্থীকে নয়, মার্কাকে ভোট দেবে। যার ফলে জনগণ নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে পারবে না। তাই জনগণও এই পিআর পদ্ধতির নির্বাচন মেনে নেবে না।

শুক্রবার সকালে ভোলার লালমোহন উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির আয়োজনে ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার মাঠে বিভিন্ন আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক- কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রবাসীদের কষ্ট করে পাঠানো টাকাও বিদেশে পাচার করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের একমাত্র কাজই হচ্ছে দেশের অর্থ লুটপাট করা, বিদেশে পাচার করা।

আওয়ামী লীগের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ কেউ যেন করতে না পারে সেজন্য তারা দেশের মধ্যে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিল। হত্যা, গুম ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে এ দেশের মেরুদÐ ভেঙে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

এছাড়া মাফিয়া সরকার আওয়ামী লীগ ভারতের স্বার্থ রক্ষায় সব সময় কাজ করেছে। লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইনের সভাপতিত্বে ও জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের পৌরসভার সিনিয়র সহ- সভাপতি মাওলানা মো. হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাবুল, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ছাদেক মিয়া জান্টু ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবুল পাটোয়ারীসহ উপজেলা, পৌরসভা ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.