২৮ জুলাই, ২০২৫ ১৯:৪৫
পিরোজপুরের কাউখালীতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম এবং গুপ্ত হত্যার শিকার ব্যবসায়ী নাজমুল হক মুরাদের সঠিক পরিচয় নির্ধারণ করতে কবর থেকে দ্বিতীয়বার লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।
ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি এর কার্যালয় থেকে অনুরোধের প্রেক্ষিতে পিরোজপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান গত মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এ আদেশ দেন।
মৃত্যুর ১৪ বছর পর দ্বিতীয় বার সোমবার (২৮জুলাই) সকালে পিরোজপুরের কাউখালীর পার সাতুরিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গুম কমিশনের সদস্য মানবাধিকার কর্মী নূর খান, কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বজল মোল্লা।জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ পালনে কাউখালী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত দেবনাথ, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইসতিয়াক আহমেদ, কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোলায়মান, মামলার বাদী মুরাদের ভাই মিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করেন।
জানাগেছে, আইনজীবি গিয়াস উদ্দিন খান মাসুদ হত্যা মামলার আসামী কাউখালীর ব্যবসায়ী মুরাদ, রাজাপুর উপজেলার নৈকাঠী গ্রামের মিজান জোমাদ্দার ও ফোরকানকে ২০১১ সালের ১৭ই এপ্রিল ঢাকার উত্তরা থেকে র্যাব পরিচয়ে ধরে নিয়ে যায়। এরপরে তাদের কোন সন্ধান পায়নি তাদের পরিবার। ১০দিন পরে ২৭ এপ্রিল ২০১১ ঢাকার তুরাগ তীরে বালির নিচ থেকে বস্তাবন্দি ৩ যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার করে ছিল পুলিশ। পরে তিন জনের পরিবার তাদের লাশ সনাক্ত করে প্রত্যেক এর বাড়িতে দাফন করে।
উল্লেখ্য, কাউখালীতে আইনজীবি গিয়াস উদ্দিন খান মাসুদ হত্যা মামলায় গুপ্ত হত্যায় নিহত দুইজন আসামী থাকায় মামলার বাদী নিহত দুই আসামীর ডিএনএ টেষ্টের আবেদন করলে স্বরাস্ট্র মস্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঢাকার সিএমএম আদালতের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট একেএম এনামুল হক ২০১১ সালের জুন মাসে মুরাদ ও মিজানের ডিএনএ টেস্ট এর নির্দেশ দেয়।
২০১১ সালের ৪ জুলাই কাউখালীর পারসাতুরিয়া গ্রামে নাজমুল হক মুরাদের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে লাশের দাঁত সহ বিভিন্ন উপকরন সংগ্রহ করে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হয়। পরে ডিএনএ টেস্টে কাউখালীতে দাফন দেয়া লাশ মুরাদের নয় বলে প্রমানিত হয়েছে বলে জানিয়েছিল তৎকালিন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি আঃ রাজ্জাক। মামলায় মিজান ও মুরাদকে জীবিত দেখিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দিয়ে ছিল।
কিন্ত দীর্ঘ ১৪ বছরে মুরাদের ছোট ভাই নাজমুল হক মুরাদের সঠিক সন্ধান এবং তদন্ত করে সুষ্ঠ বিচার দাবি করে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি নিকট । পরে গত ২৮ এপ্রিল (২০২৫ ) গুম সংক্রান্ত কমিশন এর দুই জন সদস্য কাউখালীতে আসেন এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘটনার বিবরন শুনে মুরাদের লাশ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দেন।
পিরোজপুরের কাউখালীতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম এবং গুপ্ত হত্যার শিকার ব্যবসায়ী নাজমুল হক মুরাদের সঠিক পরিচয় নির্ধারণ করতে কবর থেকে দ্বিতীয়বার লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।
ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি এর কার্যালয় থেকে অনুরোধের প্রেক্ষিতে পিরোজপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান গত মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এ আদেশ দেন।
মৃত্যুর ১৪ বছর পর দ্বিতীয় বার সোমবার (২৮জুলাই) সকালে পিরোজপুরের কাউখালীর পার সাতুরিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গুম কমিশনের সদস্য মানবাধিকার কর্মী নূর খান, কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বজল মোল্লা।জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ পালনে কাউখালী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত দেবনাথ, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইসতিয়াক আহমেদ, কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোলায়মান, মামলার বাদী মুরাদের ভাই মিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করেন।
জানাগেছে, আইনজীবি গিয়াস উদ্দিন খান মাসুদ হত্যা মামলার আসামী কাউখালীর ব্যবসায়ী মুরাদ, রাজাপুর উপজেলার নৈকাঠী গ্রামের মিজান জোমাদ্দার ও ফোরকানকে ২০১১ সালের ১৭ই এপ্রিল ঢাকার উত্তরা থেকে র্যাব পরিচয়ে ধরে নিয়ে যায়। এরপরে তাদের কোন সন্ধান পায়নি তাদের পরিবার। ১০দিন পরে ২৭ এপ্রিল ২০১১ ঢাকার তুরাগ তীরে বালির নিচ থেকে বস্তাবন্দি ৩ যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার করে ছিল পুলিশ। পরে তিন জনের পরিবার তাদের লাশ সনাক্ত করে প্রত্যেক এর বাড়িতে দাফন করে।
উল্লেখ্য, কাউখালীতে আইনজীবি গিয়াস উদ্দিন খান মাসুদ হত্যা মামলায় গুপ্ত হত্যায় নিহত দুইজন আসামী থাকায় মামলার বাদী নিহত দুই আসামীর ডিএনএ টেষ্টের আবেদন করলে স্বরাস্ট্র মস্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঢাকার সিএমএম আদালতের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট একেএম এনামুল হক ২০১১ সালের জুন মাসে মুরাদ ও মিজানের ডিএনএ টেস্ট এর নির্দেশ দেয়।
২০১১ সালের ৪ জুলাই কাউখালীর পারসাতুরিয়া গ্রামে নাজমুল হক মুরাদের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে লাশের দাঁত সহ বিভিন্ন উপকরন সংগ্রহ করে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হয়। পরে ডিএনএ টেস্টে কাউখালীতে দাফন দেয়া লাশ মুরাদের নয় বলে প্রমানিত হয়েছে বলে জানিয়েছিল তৎকালিন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি আঃ রাজ্জাক। মামলায় মিজান ও মুরাদকে জীবিত দেখিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দিয়ে ছিল।
কিন্ত দীর্ঘ ১৪ বছরে মুরাদের ছোট ভাই নাজমুল হক মুরাদের সঠিক সন্ধান এবং তদন্ত করে সুষ্ঠ বিচার দাবি করে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি নিকট । পরে গত ২৮ এপ্রিল (২০২৫ ) গুম সংক্রান্ত কমিশন এর দুই জন সদস্য কাউখালীতে আসেন এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘটনার বিবরন শুনে মুরাদের লাশ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দেন।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫৯
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫৪
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫২
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৪৯
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৪৯
পিরোজপুরের কাউখালীতে ফ্রি মেডিকেলে ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়। রবিবার (১৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে এগারোটায় উপজেলার নীলতি সম্মিলিত মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ব্যাংকার জিহাদুল ইসলাম তুহিনের ব্যবস্থাপনায় দিনব্যাপী অত্র বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ফ্রি মেডিকেলে ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়েছে।
নীলতি সম্মিলিত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক চন্দ্র শীলের সভাপতিত্বে মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন, নীলতি সম্মিলিত মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ও স্কুল প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক রুস্তুম আলী তালুকদারের লন্ডন প্রবাসী ছেলে আবুল কালাম আজাদ।
ফ্রি ক্যাম্পে চিকিৎসা প্রদান করেন, কাউখালীর কৃতি সন্তান ঢাকা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের প্রাক্তন অধ্যাপক চর্ম ও যৌন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ রেবেকা সুলতানা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
বিশিষ্ট সমাজসেবক ব্যাংকার জিহাদুল ইসলাম তুহিন, বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম শাহীন, তারিকুল ইসলাম পান্নু, কাউখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ,শিক্ষক নেতা জাকিয়া খানম, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, খান মোহাম্মদ বাচ্চু, রতন চক্রবর্তী, শহিদুল ইসলাম সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক রুস্তম আলী তালুকদারের মেয়ে অধ্যাপক ডাক্তার রেবেকা সুলতানা প্রতিবছর উপজেলার নীলতি গ্রামে নিজ এলাকায় ফ্রি ক্যাম্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে রোগী দেখেন এবং সামর্থ্য অনুযায়ী ফ্রি ওষুধ প্রদান করেন।
পিরোজপুরের কাউখালীতে ফ্রি মেডিকেলে ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়। রবিবার (১৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে এগারোটায় উপজেলার নীলতি সম্মিলিত মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ব্যাংকার জিহাদুল ইসলাম তুহিনের ব্যবস্থাপনায় দিনব্যাপী অত্র বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ফ্রি মেডিকেলে ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়েছে।
নীলতি সম্মিলিত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক চন্দ্র শীলের সভাপতিত্বে মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন, নীলতি সম্মিলিত মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ও স্কুল প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক রুস্তুম আলী তালুকদারের লন্ডন প্রবাসী ছেলে আবুল কালাম আজাদ।
ফ্রি ক্যাম্পে চিকিৎসা প্রদান করেন, কাউখালীর কৃতি সন্তান ঢাকা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের প্রাক্তন অধ্যাপক চর্ম ও যৌন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ রেবেকা সুলতানা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
বিশিষ্ট সমাজসেবক ব্যাংকার জিহাদুল ইসলাম তুহিন, বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম শাহীন, তারিকুল ইসলাম পান্নু, কাউখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ,শিক্ষক নেতা জাকিয়া খানম, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, খান মোহাম্মদ বাচ্চু, রতন চক্রবর্তী, শহিদুল ইসলাম সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক রুস্তম আলী তালুকদারের মেয়ে অধ্যাপক ডাক্তার রেবেকা সুলতানা প্রতিবছর উপজেলার নীলতি গ্রামে নিজ এলাকায় ফ্রি ক্যাম্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে রোগী দেখেন এবং সামর্থ্য অনুযায়ী ফ্রি ওষুধ প্রদান করেন।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১২:৫৯
জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। শনিবার (১৬ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ঘোষেরহাট বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রোববার (১৭ আগস্ট) সকালে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানায়, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসির রায় ঘোষণার পর বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিরণ এলাকায় প্রকাশ্যে আনন্দ উল্লাস করে মিষ্টি বিতরণ করেছিলেন।
এরপর থেকে হিরণ দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকলেও শনিবার রাতে ঘোষেরহাট বাজার এলাকায় তাকে স্থানীয় জনতা দেখতে পেয়ে আটক করে। প্রথমে তারা হিরণকে মিষ্টি খাওয়ায়, পরে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ওসি মো. মারুফ হোসেন বলেন, হিরণ বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তাকে ঘোষেরহাট বাজার থেকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। শনিবার (১৬ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ঘোষেরহাট বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রোববার (১৭ আগস্ট) সকালে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানায়, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসির রায় ঘোষণার পর বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিরণ এলাকায় প্রকাশ্যে আনন্দ উল্লাস করে মিষ্টি বিতরণ করেছিলেন।
এরপর থেকে হিরণ দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকলেও শনিবার রাতে ঘোষেরহাট বাজার এলাকায় তাকে স্থানীয় জনতা দেখতে পেয়ে আটক করে। প্রথমে তারা হিরণকে মিষ্টি খাওয়ায়, পরে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ওসি মো. মারুফ হোসেন বলেন, হিরণ বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তাকে ঘোষেরহাট বাজার থেকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১২:২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: একসময় বিকেল গড়ালেই পিরোজপুরের হুলারহাটসহ জেলার লঞ্চঘাটগুলোতে দেখা যেত অন্যরকম এক চিত্র। ব্যাগ কাঁধে মানুষজন সারিবদ্ধভাবে লঞ্চে উঠছেন, কেউ পরিবার নিয়ে ঢাকা যাচ্ছেন, কেউবা ব্যবসার কাজে রাজধানীর পথে।
লঞ্চের সাইরেন বাজতেই নদীর ঢেউ কেটে এগিয়ে যেত লঞ্চ। নিয়ে যেত হাজারো যাত্রীকে তাদের গন্তব্যে। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে এভাবেই নৌপথ ছিল ঢাকা-পিরোজপুর যাতায়াতের প্রধান ভরসা।
কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সেই দৃশ্য এখন কেবল স্মৃতি। একসময় যেখানে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮টি লঞ্চ পিরোজপুর থেকে শত শত যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করত, সেখানে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একটিও লঞ্চ চলছে না এ রুটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা যায়, যাত্রী সংকটের কারণে তারা লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ রেখেছে। পদ্মা সেতুর কারণে সড়কপথে যাতায়াত অনেক সহজ হওয়ায় যাত্রীরা ধীরে ধীরে লঞ্চের পরিবর্তে বাসে যেতে শুরু করেছেন।
ফলে ব্যবসায়িকভাবে লঞ্চ চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। পিরোজপুর থেকে ঢাকায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টায় পৌঁছানো যায়। মানুষ এ কারণে লঞ্চে সময় অপচয় করে যেতে চাইছে না। যাত্রী সংকটের কারণে প্রতিদিনের খরচ উঠছে না।
পিরোজপুর জেলার হুলারহাট, স্বরূপকাঠি, কাউখালি, ভান্ডারিয়া, ইন্দেরহাটসহ মোট আটটি ঘাট থেকে লঞ্চে যাত্রী উঠতেন। প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৮০০ যাত্রী লঞ্চে ভ্রমণ করতেন। লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব যাত্রী পড়েছেন বিড়ম্বনায়।
সরেজমিনে পিরোজপুরের হুলারহাট লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, এক সময়ের জমজমাট এ ঘাটটি যাত্রী সংকটে অলস সময় পার করছে। আগে যেখানে সারি সারি বিলাসবহুল লঞ্চ নোঙর করা থাকতো সেখানে এখন স্থান পেয়েছে বালিবোঝাই কয়েকটি কার্গো।
তবে প্রতিদিনই কিছু যাত্রী অভ্যাসবশত ঘাটে চলে আসেন লঞ্চে উঠবেন ভেবে। কিন্তু লঞ্চ না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বাসে চেপে গন্তব্যে যেতে হয় তাদের। এতে যেমন কষ্ট হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে খরচও।
এদিকে যাত্রীদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ঘাটকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরাও। লঞ্চ টার্মিনালকে ঘিরে দোকান, খাবারের হোটেল, ফেরিওয়ালা সবাই কোনো না কোনোভাবে নির্ভর করতেন যাত্রীদের ওপর। যাত্রী না থাকায় এখন সেই ব্যবসায়ও পড়েছে ধস।
হুলারহাট লঞ্চ টার্মিনালে বসে আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, দূরপাল্লার রুটে আমাদের কাছে সবচেয়ে নিরাপদ এবং আরামদায়ক হলো লঞ্চ। এখন বাসে যেতে হয় ভিড় আর দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। আমরা চাই পুনরায় ঢাকা-পিরোজপুর রুটে লঞ্চ চালু হোক।
স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার শেখ বলেন, ঢাকা যেতে লঞ্চই ছিল সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। বিকেলে লঞ্চে উঠে সকালে ঢাকা পৌঁছাতাম। এখন বাধ্য হয়ে বাসে যেতে হয়। খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝুঁকিও বেশি। লঞ্চ আবার চালু হলে আমরা উপকৃত হবো।
হুলারহাট লঞ্চঘাটের পাশেই ছোট্ট চায়ের দোকান চালান মো. আবিদ মোল্লা। তিনি বলেন, আগে প্রতিদিন লঞ্চের যাত্রীদের ভিড়ে আমার দোকানে বিক্রি ভালো হতো। এখন যাত্রী নেই, দিনে ২০০ টাকারও বিক্রি হয় না। সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আরেকজন ব্যবসায়ী, মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শুধু যাত্রী নয়, আমরা ব্যবসায়ীরাও বিপদে আছি। ঘাটকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের জীবিকা ছিল। এখন ঘাট ফাঁকা পড়ে আছে। আমরা চাই, আবার লঞ্চ চালু হোক।
পদ্মা সেতু একদিকে খুলে দিয়েছে নতুন সম্ভাবনা, সহজ করেছে যোগাযোগব্যবস্থা। কিন্তু তার প্রভাব পড়েছে নৌরুটের ওপর। পিরোজপুরের মানুষ এখনও আশা করে, একদিন হয়তো আবারও ঢাকার পথে লঞ্চ ছাড়বে, নদীর বুক চিরে চলবে এসব লঞ্চ দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশীদ বলেন, হুলারহাট লঞ্চঘাটটি একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী লঞ্চঘাট। তবে পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে ঘাটটিতে লঞ্চ চলাচল কমে গেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় যারা লঞ্চ ব্যবসায়ী আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবসায়ীক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: একসময় বিকেল গড়ালেই পিরোজপুরের হুলারহাটসহ জেলার লঞ্চঘাটগুলোতে দেখা যেত অন্যরকম এক চিত্র। ব্যাগ কাঁধে মানুষজন সারিবদ্ধভাবে লঞ্চে উঠছেন, কেউ পরিবার নিয়ে ঢাকা যাচ্ছেন, কেউবা ব্যবসার কাজে রাজধানীর পথে।
লঞ্চের সাইরেন বাজতেই নদীর ঢেউ কেটে এগিয়ে যেত লঞ্চ। নিয়ে যেত হাজারো যাত্রীকে তাদের গন্তব্যে। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে এভাবেই নৌপথ ছিল ঢাকা-পিরোজপুর যাতায়াতের প্রধান ভরসা।
কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সেই দৃশ্য এখন কেবল স্মৃতি। একসময় যেখানে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮টি লঞ্চ পিরোজপুর থেকে শত শত যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করত, সেখানে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একটিও লঞ্চ চলছে না এ রুটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা যায়, যাত্রী সংকটের কারণে তারা লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ রেখেছে। পদ্মা সেতুর কারণে সড়কপথে যাতায়াত অনেক সহজ হওয়ায় যাত্রীরা ধীরে ধীরে লঞ্চের পরিবর্তে বাসে যেতে শুরু করেছেন।
ফলে ব্যবসায়িকভাবে লঞ্চ চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। পিরোজপুর থেকে ঢাকায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টায় পৌঁছানো যায়। মানুষ এ কারণে লঞ্চে সময় অপচয় করে যেতে চাইছে না। যাত্রী সংকটের কারণে প্রতিদিনের খরচ উঠছে না।
পিরোজপুর জেলার হুলারহাট, স্বরূপকাঠি, কাউখালি, ভান্ডারিয়া, ইন্দেরহাটসহ মোট আটটি ঘাট থেকে লঞ্চে যাত্রী উঠতেন। প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৮০০ যাত্রী লঞ্চে ভ্রমণ করতেন। লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব যাত্রী পড়েছেন বিড়ম্বনায়।
সরেজমিনে পিরোজপুরের হুলারহাট লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, এক সময়ের জমজমাট এ ঘাটটি যাত্রী সংকটে অলস সময় পার করছে। আগে যেখানে সারি সারি বিলাসবহুল লঞ্চ নোঙর করা থাকতো সেখানে এখন স্থান পেয়েছে বালিবোঝাই কয়েকটি কার্গো।
তবে প্রতিদিনই কিছু যাত্রী অভ্যাসবশত ঘাটে চলে আসেন লঞ্চে উঠবেন ভেবে। কিন্তু লঞ্চ না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বাসে চেপে গন্তব্যে যেতে হয় তাদের। এতে যেমন কষ্ট হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে খরচও।
এদিকে যাত্রীদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ঘাটকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরাও। লঞ্চ টার্মিনালকে ঘিরে দোকান, খাবারের হোটেল, ফেরিওয়ালা সবাই কোনো না কোনোভাবে নির্ভর করতেন যাত্রীদের ওপর। যাত্রী না থাকায় এখন সেই ব্যবসায়ও পড়েছে ধস।
হুলারহাট লঞ্চ টার্মিনালে বসে আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, দূরপাল্লার রুটে আমাদের কাছে সবচেয়ে নিরাপদ এবং আরামদায়ক হলো লঞ্চ। এখন বাসে যেতে হয় ভিড় আর দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। আমরা চাই পুনরায় ঢাকা-পিরোজপুর রুটে লঞ্চ চালু হোক।
স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার শেখ বলেন, ঢাকা যেতে লঞ্চই ছিল সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। বিকেলে লঞ্চে উঠে সকালে ঢাকা পৌঁছাতাম। এখন বাধ্য হয়ে বাসে যেতে হয়। খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝুঁকিও বেশি। লঞ্চ আবার চালু হলে আমরা উপকৃত হবো।
হুলারহাট লঞ্চঘাটের পাশেই ছোট্ট চায়ের দোকান চালান মো. আবিদ মোল্লা। তিনি বলেন, আগে প্রতিদিন লঞ্চের যাত্রীদের ভিড়ে আমার দোকানে বিক্রি ভালো হতো। এখন যাত্রী নেই, দিনে ২০০ টাকারও বিক্রি হয় না। সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আরেকজন ব্যবসায়ী, মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শুধু যাত্রী নয়, আমরা ব্যবসায়ীরাও বিপদে আছি। ঘাটকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের জীবিকা ছিল। এখন ঘাট ফাঁকা পড়ে আছে। আমরা চাই, আবার লঞ্চ চালু হোক।
পদ্মা সেতু একদিকে খুলে দিয়েছে নতুন সম্ভাবনা, সহজ করেছে যোগাযোগব্যবস্থা। কিন্তু তার প্রভাব পড়েছে নৌরুটের ওপর। পিরোজপুরের মানুষ এখনও আশা করে, একদিন হয়তো আবারও ঢাকার পথে লঞ্চ ছাড়বে, নদীর বুক চিরে চলবে এসব লঞ্চ দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশীদ বলেন, হুলারহাট লঞ্চঘাটটি একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী লঞ্চঘাট। তবে পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে ঘাটটিতে লঞ্চ চলাচল কমে গেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় যারা লঞ্চ ব্যবসায়ী আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবসায়ীক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.