১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১২:২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: একসময় বিকেল গড়ালেই পিরোজপুরের হুলারহাটসহ জেলার লঞ্চঘাটগুলোতে দেখা যেত অন্যরকম এক চিত্র। ব্যাগ কাঁধে মানুষজন সারিবদ্ধভাবে লঞ্চে উঠছেন, কেউ পরিবার নিয়ে ঢাকা যাচ্ছেন, কেউবা ব্যবসার কাজে রাজধানীর পথে।
লঞ্চের সাইরেন বাজতেই নদীর ঢেউ কেটে এগিয়ে যেত লঞ্চ। নিয়ে যেত হাজারো যাত্রীকে তাদের গন্তব্যে। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে এভাবেই নৌপথ ছিল ঢাকা-পিরোজপুর যাতায়াতের প্রধান ভরসা।
কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সেই দৃশ্য এখন কেবল স্মৃতি। একসময় যেখানে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮টি লঞ্চ পিরোজপুর থেকে শত শত যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করত, সেখানে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একটিও লঞ্চ চলছে না এ রুটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা যায়, যাত্রী সংকটের কারণে তারা লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ রেখেছে। পদ্মা সেতুর কারণে সড়কপথে যাতায়াত অনেক সহজ হওয়ায় যাত্রীরা ধীরে ধীরে লঞ্চের পরিবর্তে বাসে যেতে শুরু করেছেন।
ফলে ব্যবসায়িকভাবে লঞ্চ চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। পিরোজপুর থেকে ঢাকায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টায় পৌঁছানো যায়। মানুষ এ কারণে লঞ্চে সময় অপচয় করে যেতে চাইছে না। যাত্রী সংকটের কারণে প্রতিদিনের খরচ উঠছে না।
পিরোজপুর জেলার হুলারহাট, স্বরূপকাঠি, কাউখালি, ভান্ডারিয়া, ইন্দেরহাটসহ মোট আটটি ঘাট থেকে লঞ্চে যাত্রী উঠতেন। প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৮০০ যাত্রী লঞ্চে ভ্রমণ করতেন। লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব যাত্রী পড়েছেন বিড়ম্বনায়।
সরেজমিনে পিরোজপুরের হুলারহাট লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, এক সময়ের জমজমাট এ ঘাটটি যাত্রী সংকটে অলস সময় পার করছে। আগে যেখানে সারি সারি বিলাসবহুল লঞ্চ নোঙর করা থাকতো সেখানে এখন স্থান পেয়েছে বালিবোঝাই কয়েকটি কার্গো।
তবে প্রতিদিনই কিছু যাত্রী অভ্যাসবশত ঘাটে চলে আসেন লঞ্চে উঠবেন ভেবে। কিন্তু লঞ্চ না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বাসে চেপে গন্তব্যে যেতে হয় তাদের। এতে যেমন কষ্ট হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে খরচও।
এদিকে যাত্রীদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ঘাটকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরাও। লঞ্চ টার্মিনালকে ঘিরে দোকান, খাবারের হোটেল, ফেরিওয়ালা সবাই কোনো না কোনোভাবে নির্ভর করতেন যাত্রীদের ওপর। যাত্রী না থাকায় এখন সেই ব্যবসায়ও পড়েছে ধস।
হুলারহাট লঞ্চ টার্মিনালে বসে আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, দূরপাল্লার রুটে আমাদের কাছে সবচেয়ে নিরাপদ এবং আরামদায়ক হলো লঞ্চ। এখন বাসে যেতে হয় ভিড় আর দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। আমরা চাই পুনরায় ঢাকা-পিরোজপুর রুটে লঞ্চ চালু হোক।
স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার শেখ বলেন, ঢাকা যেতে লঞ্চই ছিল সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। বিকেলে লঞ্চে উঠে সকালে ঢাকা পৌঁছাতাম। এখন বাধ্য হয়ে বাসে যেতে হয়। খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝুঁকিও বেশি। লঞ্চ আবার চালু হলে আমরা উপকৃত হবো।
হুলারহাট লঞ্চঘাটের পাশেই ছোট্ট চায়ের দোকান চালান মো. আবিদ মোল্লা। তিনি বলেন, আগে প্রতিদিন লঞ্চের যাত্রীদের ভিড়ে আমার দোকানে বিক্রি ভালো হতো। এখন যাত্রী নেই, দিনে ২০০ টাকারও বিক্রি হয় না। সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আরেকজন ব্যবসায়ী, মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শুধু যাত্রী নয়, আমরা ব্যবসায়ীরাও বিপদে আছি। ঘাটকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের জীবিকা ছিল। এখন ঘাট ফাঁকা পড়ে আছে। আমরা চাই, আবার লঞ্চ চালু হোক।
পদ্মা সেতু একদিকে খুলে দিয়েছে নতুন সম্ভাবনা, সহজ করেছে যোগাযোগব্যবস্থা। কিন্তু তার প্রভাব পড়েছে নৌরুটের ওপর। পিরোজপুরের মানুষ এখনও আশা করে, একদিন হয়তো আবারও ঢাকার পথে লঞ্চ ছাড়বে, নদীর বুক চিরে চলবে এসব লঞ্চ দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশীদ বলেন, হুলারহাট লঞ্চঘাটটি একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী লঞ্চঘাট। তবে পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে ঘাটটিতে লঞ্চ চলাচল কমে গেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় যারা লঞ্চ ব্যবসায়ী আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবসায়ীক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: একসময় বিকেল গড়ালেই পিরোজপুরের হুলারহাটসহ জেলার লঞ্চঘাটগুলোতে দেখা যেত অন্যরকম এক চিত্র। ব্যাগ কাঁধে মানুষজন সারিবদ্ধভাবে লঞ্চে উঠছেন, কেউ পরিবার নিয়ে ঢাকা যাচ্ছেন, কেউবা ব্যবসার কাজে রাজধানীর পথে।
লঞ্চের সাইরেন বাজতেই নদীর ঢেউ কেটে এগিয়ে যেত লঞ্চ। নিয়ে যেত হাজারো যাত্রীকে তাদের গন্তব্যে। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে এভাবেই নৌপথ ছিল ঢাকা-পিরোজপুর যাতায়াতের প্রধান ভরসা।
কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সেই দৃশ্য এখন কেবল স্মৃতি। একসময় যেখানে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮টি লঞ্চ পিরোজপুর থেকে শত শত যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করত, সেখানে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একটিও লঞ্চ চলছে না এ রুটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা যায়, যাত্রী সংকটের কারণে তারা লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ রেখেছে। পদ্মা সেতুর কারণে সড়কপথে যাতায়াত অনেক সহজ হওয়ায় যাত্রীরা ধীরে ধীরে লঞ্চের পরিবর্তে বাসে যেতে শুরু করেছেন।
ফলে ব্যবসায়িকভাবে লঞ্চ চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। পিরোজপুর থেকে ঢাকায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টায় পৌঁছানো যায়। মানুষ এ কারণে লঞ্চে সময় অপচয় করে যেতে চাইছে না। যাত্রী সংকটের কারণে প্রতিদিনের খরচ উঠছে না।
পিরোজপুর জেলার হুলারহাট, স্বরূপকাঠি, কাউখালি, ভান্ডারিয়া, ইন্দেরহাটসহ মোট আটটি ঘাট থেকে লঞ্চে যাত্রী উঠতেন। প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৮০০ যাত্রী লঞ্চে ভ্রমণ করতেন। লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব যাত্রী পড়েছেন বিড়ম্বনায়।
সরেজমিনে পিরোজপুরের হুলারহাট লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, এক সময়ের জমজমাট এ ঘাটটি যাত্রী সংকটে অলস সময় পার করছে। আগে যেখানে সারি সারি বিলাসবহুল লঞ্চ নোঙর করা থাকতো সেখানে এখন স্থান পেয়েছে বালিবোঝাই কয়েকটি কার্গো।
তবে প্রতিদিনই কিছু যাত্রী অভ্যাসবশত ঘাটে চলে আসেন লঞ্চে উঠবেন ভেবে। কিন্তু লঞ্চ না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বাসে চেপে গন্তব্যে যেতে হয় তাদের। এতে যেমন কষ্ট হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে খরচও।
এদিকে যাত্রীদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ঘাটকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরাও। লঞ্চ টার্মিনালকে ঘিরে দোকান, খাবারের হোটেল, ফেরিওয়ালা সবাই কোনো না কোনোভাবে নির্ভর করতেন যাত্রীদের ওপর। যাত্রী না থাকায় এখন সেই ব্যবসায়ও পড়েছে ধস।
হুলারহাট লঞ্চ টার্মিনালে বসে আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, দূরপাল্লার রুটে আমাদের কাছে সবচেয়ে নিরাপদ এবং আরামদায়ক হলো লঞ্চ। এখন বাসে যেতে হয় ভিড় আর দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। আমরা চাই পুনরায় ঢাকা-পিরোজপুর রুটে লঞ্চ চালু হোক।
স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার শেখ বলেন, ঢাকা যেতে লঞ্চই ছিল সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। বিকেলে লঞ্চে উঠে সকালে ঢাকা পৌঁছাতাম। এখন বাধ্য হয়ে বাসে যেতে হয়। খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝুঁকিও বেশি। লঞ্চ আবার চালু হলে আমরা উপকৃত হবো।
হুলারহাট লঞ্চঘাটের পাশেই ছোট্ট চায়ের দোকান চালান মো. আবিদ মোল্লা। তিনি বলেন, আগে প্রতিদিন লঞ্চের যাত্রীদের ভিড়ে আমার দোকানে বিক্রি ভালো হতো। এখন যাত্রী নেই, দিনে ২০০ টাকারও বিক্রি হয় না। সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আরেকজন ব্যবসায়ী, মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শুধু যাত্রী নয়, আমরা ব্যবসায়ীরাও বিপদে আছি। ঘাটকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের জীবিকা ছিল। এখন ঘাট ফাঁকা পড়ে আছে। আমরা চাই, আবার লঞ্চ চালু হোক।
পদ্মা সেতু একদিকে খুলে দিয়েছে নতুন সম্ভাবনা, সহজ করেছে যোগাযোগব্যবস্থা। কিন্তু তার প্রভাব পড়েছে নৌরুটের ওপর। পিরোজপুরের মানুষ এখনও আশা করে, একদিন হয়তো আবারও ঢাকার পথে লঞ্চ ছাড়বে, নদীর বুক চিরে চলবে এসব লঞ্চ দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশীদ বলেন, হুলারহাট লঞ্চঘাটটি একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী লঞ্চঘাট। তবে পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে ঘাটটিতে লঞ্চ চলাচল কমে গেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় যারা লঞ্চ ব্যবসায়ী আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবসায়ীক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:২৫
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৮
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৯
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:৪৮
পিরোজপুরে আবুল কালাম শরীফ নামে একজনকে হত্যার দায়ে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একজনকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ছাড়া, অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত এবং মামলা চলাকালীন একজনের মৃত্যু হয়। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মজিবুর রহমান দুই আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ওয়াহিদ হাসান বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের মো. হানিফ শরীফের ছেলে এজাজা শরীফ (৩৮), একই গ্রামের হাবিব শরীফের ছেলে মো. আক্কাস শরীফ (৬৩), জবেদ আলী শরীফের ছেলে সাখায়েত শরীফ (৫১), আক্কাস শরীফের স্ত্রী শেফালী বেগম (৫৬), সাখায়েত শরীফের স্ত্রী হ্যাপি বেগম (৩৯), এজাজ শরীফের স্ত্রী লিমা বেগম (৩১) হানিফ শরীফের ছেলে মো. এমরান (৩৯)। এর মধ্যে মো. এমরানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের মৃত সাইজ উদ্দিন শরীফের নামে জেয়াফত খাওয়ানোর বিষয় নিয়ে সাইজ উদ্দিন শরীফের সন্তানদের সঙ্গে আসামিদের বিরোধ চলছিল।
ওই বিরোধের জেরে ২০১৪ সালের ১০ জুলাই রাতে ভুক্তভোগী আবুল কালাম শরীফ আসামি আক্কাস শরীফের বাড়ির সামনে থেকে আসার সময় আসামিরা তার ওপর হামলা চালান। এ সময় আসামিরা আবুল কালাম শরীফকে খুনের উদ্দেশে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ভুক্তভোগী আবুল কালাম শরীফকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন ২০১৪ সালের ১১ জুলাই নিহতের ভাই হাকিম শরীফ বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরের বছর ২০১৫ সালের ৪ মে পিরোজপুর সদর থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুল্লাহ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ওয়াহিদ হাসান বাবু বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস প্রদান করেন।
পিরোজপুরে আবুল কালাম শরীফ নামে একজনকে হত্যার দায়ে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একজনকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ছাড়া, অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত এবং মামলা চলাকালীন একজনের মৃত্যু হয়। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মজিবুর রহমান দুই আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ওয়াহিদ হাসান বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের মো. হানিফ শরীফের ছেলে এজাজা শরীফ (৩৮), একই গ্রামের হাবিব শরীফের ছেলে মো. আক্কাস শরীফ (৬৩), জবেদ আলী শরীফের ছেলে সাখায়েত শরীফ (৫১), আক্কাস শরীফের স্ত্রী শেফালী বেগম (৫৬), সাখায়েত শরীফের স্ত্রী হ্যাপি বেগম (৩৯), এজাজ শরীফের স্ত্রী লিমা বেগম (৩১) হানিফ শরীফের ছেলে মো. এমরান (৩৯)। এর মধ্যে মো. এমরানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের মৃত সাইজ উদ্দিন শরীফের নামে জেয়াফত খাওয়ানোর বিষয় নিয়ে সাইজ উদ্দিন শরীফের সন্তানদের সঙ্গে আসামিদের বিরোধ চলছিল।
ওই বিরোধের জেরে ২০১৪ সালের ১০ জুলাই রাতে ভুক্তভোগী আবুল কালাম শরীফ আসামি আক্কাস শরীফের বাড়ির সামনে থেকে আসার সময় আসামিরা তার ওপর হামলা চালান। এ সময় আসামিরা আবুল কালাম শরীফকে খুনের উদ্দেশে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ভুক্তভোগী আবুল কালাম শরীফকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন ২০১৪ সালের ১১ জুলাই নিহতের ভাই হাকিম শরীফ বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরের বছর ২০১৫ সালের ৪ মে পিরোজপুর সদর থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুল্লাহ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ওয়াহিদ হাসান বাবু বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস প্রদান করেন।
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:১৯
ছারছীনা দরবার শরীফের উদ্যোগে নেছারাবাদে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে আনন্দ মিছিল, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ছারছীনা আলিয়া মাদ্রাসা ও ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত জামেয়া-এ-নেছারিয়া দীনিয়া মাদ্রাসা, হাফেজি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর নেছারাবাদ উপজেলা শাখার নের্তৃবৃন্দ এবং স্থানীয়রা এতে অংশ নেন।
আনন্দ মিছিলটি ছারছীনা দরবার শরীফ থেকে শুরু হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দরবার শরীফে এসে শেষ হয়।
এসময় অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন না’ত, ক্বাসিদা ও স্লোগানে আকাশ-বাতাস মুখরিত করে তোলে। আনন্দ মিছিলে বিভিন্ন ভাষার ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শনের মাধ্যমে সৌন্দর্যমন্ডিত করা হয়।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত আলিয়া মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওঃ মোঃ রুহুল আমিন ছালেহী, ছারছীনা দ্বিনিয়া মাদ্রাসার মুদীর মাওঃ মোঃ মাহমুদুম মুনির হামীম, নায়েবে মুদীর মাওঃ মোঃ সফিউল্লাহ আল মামুন, সহকারী অধ্যাপক মাওঃ মোঃ নজরুল ইসলাম, আরবি প্রভাষক মাওঃ মোঃ বোরহান উদ্দিন ছালেহী, ক্বারী মাওঃ মোঃ বেলায়েত হোসেন।
এর আগে ছাত্রদের অংশগ্রহণে পবিত্র কুরআন খতম অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ ছাত্র হিযবুল্লাহ কেন্দ্রীয় শাখার উদ্যোগে ১২ দিনব্যাপী বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ১২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে হামদ, না’ত ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবনীভিত্তিক বক্তৃতা প্রতিযোগিতা হয়।
ছারছীনা দরবার শরীফের উদ্যোগে নেছারাবাদে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে আনন্দ মিছিল, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ছারছীনা আলিয়া মাদ্রাসা ও ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত জামেয়া-এ-নেছারিয়া দীনিয়া মাদ্রাসা, হাফেজি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর নেছারাবাদ উপজেলা শাখার নের্তৃবৃন্দ এবং স্থানীয়রা এতে অংশ নেন।
আনন্দ মিছিলটি ছারছীনা দরবার শরীফ থেকে শুরু হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দরবার শরীফে এসে শেষ হয়।
এসময় অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন না’ত, ক্বাসিদা ও স্লোগানে আকাশ-বাতাস মুখরিত করে তোলে। আনন্দ মিছিলে বিভিন্ন ভাষার ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শনের মাধ্যমে সৌন্দর্যমন্ডিত করা হয়।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত আলিয়া মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওঃ মোঃ রুহুল আমিন ছালেহী, ছারছীনা দ্বিনিয়া মাদ্রাসার মুদীর মাওঃ মোঃ মাহমুদুম মুনির হামীম, নায়েবে মুদীর মাওঃ মোঃ সফিউল্লাহ আল মামুন, সহকারী অধ্যাপক মাওঃ মোঃ নজরুল ইসলাম, আরবি প্রভাষক মাওঃ মোঃ বোরহান উদ্দিন ছালেহী, ক্বারী মাওঃ মোঃ বেলায়েত হোসেন।
এর আগে ছাত্রদের অংশগ্রহণে পবিত্র কুরআন খতম অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ ছাত্র হিযবুল্লাহ কেন্দ্রীয় শাখার উদ্যোগে ১২ দিনব্যাপী বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ১২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে হামদ, না’ত ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবনীভিত্তিক বক্তৃতা প্রতিযোগিতা হয়।
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫৩
পিরোজপুর সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে ভোট গণনার সময় দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে নির্বাচন ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে পিরোজপুর শহরের শিল্পকলা একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৪৯৭ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৪৮২ জন ভোট প্রদান করেন। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। গণনার একপর্যায়ে কিছু ব্যক্তি হট্টগোল শুরু করেন এবং তা দ্রুত অডিটোরিয়ামের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে কয়েকজন ব্যক্তি ভোট দেওয়া ব্যালট ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ফলে ভোট গণনা বন্ধ হয়ে যায় এবং ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়।
এ বিষয়ে বিএনপির কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু বলেন, ঘটনার বিষয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ঘটনা সম্পর্কে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
পিরোজপুর সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে ভোট গণনার সময় দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে নির্বাচন ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে পিরোজপুর শহরের শিল্পকলা একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৪৯৭ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৪৮২ জন ভোট প্রদান করেন। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। গণনার একপর্যায়ে কিছু ব্যক্তি হট্টগোল শুরু করেন এবং তা দ্রুত অডিটোরিয়ামের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে কয়েকজন ব্যক্তি ভোট দেওয়া ব্যালট ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ফলে ভোট গণনা বন্ধ হয়ে যায় এবং ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়।
এ বিষয়ে বিএনপির কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু বলেন, ঘটনার বিষয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ঘটনা সম্পর্কে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.